গাধার কান || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || সপ্তম শ্রেণি - school book solver

Saturday, 8 November 2025

গাধার কান || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || সপ্তম শ্রেণি

 



সপ্তম শ্রেণি বাংলা
গল্প : গাধার কান
লেখক : শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় 

লেখক পরিচিতিশরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। “গৌড় মল্লার”, “তুমি সন্ধ্যার মেঘ”, “তুঙ্গভদ্রার তীরে” প্রভৃতি ঐতিহাসিক
উপন্যাস এবং 'ব্যোমকেশ বক্সী'র মতো গোয়েন্দা কাহিনি তাঁর স্মরণীয় সাহিত্য সৃষ্টি। ছোটোদের জন্য তাঁর সৃষ্ট নায়ক 'সদাশিব'। বড়োদের পাশাপাশি ছোটোদের জন্যও তাঁর অনেক রচনা রয়েছে। ১৯৭০ সালে তাঁর জীবনাবসান হয়।


সারসংক্ষেপ : টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ। শহরে একটা টানটান ব্যাপার। খেলার দিন মাঠে লোকজন উপস্থিত। টাউন স্কুলের ছেলেরা গাছতলায় বসে ড্রেস করছে। তাদের বিশ্বাস গাধার কান যান তারা মলতে পারে, তাহলে তাদের জয় অবশ্যম্ভাবী। তাই একজন খেলোয়াড় গাধার কান মলতে গিয়েছে। সে গাধা না-পেয়ে টাউন স্কুল খেলটিতে জেতে। খেলার শেষে সবাই ইয়ার্কি করে যে গাধার বদলে টুনুর কান মলাতে কাজে দিয়েছে।।তবে তারা টুনুকে হিরো বলে মেনেও নেয় ।

শব্দার্থ : ভ্রুকুটি—ভ্রু কুঁচকে তাকানো।
ভ্যাবাচাকা—হতবুদ্ধি বা বিহ্বল অবস্থা।
জটলা—বহু লোকের সমাবেশ।
রণসজ্জা—যুদ্ধের সাজ।
রেষারেষি — বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
কাতার—শ্রেণি, পক্তি।
তুক—বশীকরণের প্রকরণ।
কোমরবন্ধ—বেল্ট।
উসকোখুসকো — রুক্ষ, অবিন্যস্ত।
হস্তদন্ত – অতি ব্যস্ত ও উৎকণ্ঠিত।
বিমর্ষ—।দুঃখিত, বিষণ্ণ।
লোপাট—নিশ্চিহ্ন, লুপ্ত।
উপক্রম—সূত্রপাত, আরম্ভ।
প্রতিজ্ঞা—শপথ, সংকল্প।
রেফারি—যিনি।ফুটবল খেলা পরিচালনা করেন।



হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ “শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে”–এই সাড়া পড়ার কারণ কী?
উঃ। শহরের দুটি নামী স্কুল টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের কারণে সাড়া পড়ে গেছে।

১.২ “এই দুই স্কুলের ছেলেদের মধ্যে চিরকালের রেষারেষি – কোন্ দুই স্কুলের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের কথা বলা হয়েছে।

১.৩ হিঃ হিঃত্বক করা হল না'—বক্তা কে? কাকে সে এ কথা বলেছে? কখন বলেছে?
উঃ। বক্তা হল টুনু। সে সমরেশকে এ কথা বলেছে। সমরেশ গাধা না-পেয়ে ফিরে এসে মাঠে নামবার সময় সে এই কথা বলেছে।

১.৪ গল্পে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু শব্দ রয়েছে। যেমন—হাফ ব্যাক, রাইট-ইন, গোল-কিপার, সেন্টার ফরোয়ার্ড, ব্যাক-এরিয়া ইত্যাদি। আরও কিছু শব্দ তুমি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। এ ছাড়াও নিজস্ব কিছু সংযোজনও
করতে পারো।

উঃ। গল্পে আছে—রেফারি, ব্যাক, গোল, কর্নার, কিক, ফাউল, পেনাল্টি অফসাইড।

২. নীচের শব্দগুলি কোন্ মূল শব্দ থেকে এসেছে ?
উঃ। ভুরু > ভ্রু।
গাধা> গর্দভ।
দুপুর >  দ্বিপ্রহর।
চোখ  > চক্ষু।
বাঁশি > বংশী।
পাঁচ > পঞ্চম।

৩. পদ-পরিবর্তন করো : সন্দেহ, সজ্জিত, সর্বনাশ, উপস্থিত, মজবুত, শব্দ।
উঃ। সন্দেহ —– সন্দেহজনক।
সজ্জিত সজ্জা।
সর্বনাশ - সর্বনাশী।
উপস্থিত - উপস্থিতি।
মজবুত —মজবুতি।
শব্দ-শব্দিত।

৪. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো
উঃ। রেষারেধি — মিটমাট।
ক্ষীণ- স্থল।
বিষণ্ণ - আনন্দিত।
বিষম-সুম।
উৎসাহ - নিরুৎসাহ।

৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উঃ। আশ্চর্য= আঃ + চর্য।
দুশ্চিন্তা = দুঃ + চিন্তা।
উপস্থিত = উপ + স্থিত।

৬. 'ফিসফিস করে বললে', অর্থ অত্যন্ত আস্তে নীচু গলায় বলা বোঝায়। 'কথা বলা'র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে এমন কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ লেখো : উঃ। গুনগুন, কলকল।

৭. 'খেলোয়াড় গণ খেলোয়াড়' শব্দের সাথে গণ জুড়ে তাকে বহুবচনের রূপ দেওয়া হয়েছে। একবচন থেকে বহুবচনের রূপ পাওয়ার পাঁচটি কৌশল নতুন শব্দ গঠন করে দেখাও
উঃ বই > বইগুলি।
লোক- > লোকজন।
জন> জনসমূহ।
ছাত্র > ছাত্রদল।
পর্বত > পর্বতশ্রেণি।

৮. গল্প অনুসরণে নিজের ভাষায় লেখো।
৮.১ “আজকের খেলাটা যে খুব জমবে তাতে সন্দেহ নেই”–কোন্ বিশেষ দিনের কথা বলা হয়েছে? সে-দিনের সেই ‘খেলার মাঠের দৃশ্যটি নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উঃ। সে-দিন বলতে এখানে টাউন স্কুল এবং মিশন স্কুলের ফুটবল ম্যাচের বিশেষ দিনটির কথা বলা হয়েছে।
সে দিন চারটে না বাজতে বাজতে সবাই মাঠের চারপাশে জমতে শুরু করে, মাঠের দুধারে কাতার দিয়ে দুটি দলের ছেলেরা দাঁড়ায়। দুপক্ষের খেলোয়াড়রা তখন মাঠে নামেনি, তারা সজ্জিত হচ্ছে।

৮.২ “সমরেশদা কোথায় গেছে”–এই সমরেশদার পরিচয় দাও। সে কোথায় কোন্ উদ্দেশ্যে গিয়েছিল? তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল কি?
উঃ। সমরেশদা হল টাউন স্কুলের ফুটবল টিমের হাফ-ব্যাক।
সমরেশ শহরে একটা গাধার কান মলতে গিয়েছিল। তার বিশ্বাস এটি একটি ত্বক। এটি করলে তাদের দল খেলায় জিততে পারবে।
না, তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সারা দুপুর ধরে ঘুরে বেড়িয়েও ঘাটে, মাঠে এমনকি ধোপার বাড়িতেও একটিও গাধা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

৮.৩ 'এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল' 'রেফারি'টি কে? তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা কীরূপ ছিল? খেলার মাঠে তিনি কেমন ভূমিকা পালন করলেন?
উঃ। রেফারি হলেন দিব্যেন্দুবাবু।
দিব্যেন্দুবাবু জিলিপি খেতে বড়ো ভালোবাসেন। তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা খেলা শুরুর আগে যে পক্ষ তাকে পেট ভরে জিলিপি খাওয়াবে তিনি তাদের জিতিয়ে দেবার চেষ্টা করেন।
খেলার মাঠে রেফারি দিব্যেন্দুবাবু মিশন স্কুলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
একজন খেলোয়াড় টুনুর পায়ে বুটসুখ লাথি মারলেও দিব্যেন্দুবাবু পেনাল্টি দেওয়ার বদলে টাউন স্কুলের বিরুদ্ধে অফসাইড দেন।

৮.৪ খেলার যে ফলাফল হলো তাতে তুমি কি খুশি হলে? তোমার উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও।
উঃ। হ্যাঁ, আমি খুশি হলাম। কারণ মিশন স্কুলের দল ছিল শক্তিশালী, তাদের অনেকেই বুট পরে খেলে। টুনুকে একজন পায়ে মারলেও দিব্যেন্দুবাবুর ভুল সিদ্ধান্তে পেনাল্টি না হয়ে টাউন স্কুলের বিরুদ্ধে অফসাইড হয়। টুনুর আঙুল
ভেঙে যায়, গিরীনের হাঁটুর নীচে কতবেলের মত ফুলে যায়। এইসব বাধা সত্ত্বেও টুনু এক অদ্ভুত খেলা খেলে গোল দেয় এবং টাউনস্কুলের ছেলেরা জয়ী হয়।

৮.৫ গল্পে যে ফলাফলের কথা বলা হয়েছে, তার বিপরীতটি যদি ঘটে, তাহলে গল্পের উপসংহারটি কেমন হত তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। গল্পে যে ফলাফলের কথা বলা হয়েছে তার বিপরীতটি ঘটলে উপসংহারে হয় গিরীন বিষণ্ণভাবে বলত "আজ গাধার কান পাওয়া গেল না বলেই আমরা হেরেছি। আসছে বছর আগেই গাধার কানের খোঁজ করতে হবে।”

৮.৬ গল্পে বলা হয়েছে—'আজ টুনুই আমাদের হিরো। তোমার টুনু চরিত্রটি কেমন লাগল? সত্যিই কি নায়কের সম্মান তার প্রাপ্য?
উঃ। টুনু চরিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারন গাধার কানমলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সে নিজে  কানমলা খেয়েছে। তবুও মনের জোর নিয়ে সে বলেছে যে, কখখোনো তারা হারবে না। অবশ্যই তার নায়কের সম্মান প্রাপ্য। সে সাহসী, কুসংস্কারমুক্ত, দলের প্রতি অনুগত এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষায় অবিচল। মাঠে মার খেয়ে আঙুল ভেঙে যাওয়া আর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে এক আশ্চর্য খেলা খেলেছে এবং টাউন স্কুলকে জয় উপহার দিয়েছে।

৮.৭ গিরীন কীভাবে খেলার মাঠে টুনুকে ক্রমাগত উৎসাহ আর সাহস জুগিয়েছিল তা আলোচনা করো।
উঃ। গিরীন টুনুকে নিজের চোট দেখিয়ে তার চোটের কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া গিরীশ টুনুকে বলেছিল যে টুনকে পারতেই হবে। একমাত্র সে-ই পারবে। এইভাবে গিরীন খেলার মাঠে নিকে উৎসাহ জুগিয়েছিল।

৮.৮ অন্য সংস্কারের প্রতি আনুগত্যের জোরে নয়, প্রবল প্রচেষ্টা আর মানসিক জোরেই জীবনে সাফল্য আসে - 'গাধার কান' গল্পটি অনুসরণে উদ্ধৃতিটির যথার্থতা প্রতিপন্ন করো।
উঃ “গাধার কান” গল্পে টাউন স্কুলের ছেলেরা খেলতে নামবার আগেই ধরে নিয়েছিল যে তারা হারবে কারণ তারা গাধার কান মলতে পারেনি। সমরেশ সারা দুপুর খুঁজেও একটি গাধার সন্ধান পাননি। একমাত্র টুনুর এই সমস্ত সংস্কারে কোন বিশ্বাসই ছিল না। সে ঘটনাটা শুনে হেসে ফেলেছিল এবং তার জন্য তার জন্য সে সমরেশের এর কাছে কানমলাও খেয়েছিল।কোনো বিশ্বাস ছিল না। সে ঘটনাটা শুনে হেসে ফেলেছিল এবং তার জন্য সে সমরেশ এর কাছে কানমলাও খেয়েছিল। তবু সে মনের জোর না হারিয়ে বলেছিল কখনো তারা হারবে না। সে তার কর্মে বিশ্বাসী ছিল এবং তার মাঠে চোট পাওয়ার পরেও ছোট্ট শরীর নিয়ে সে একাই এক অদ্ভুত খেলা খেলে এবং গোল করে। টাউন স্কুল ম্যাচটি জিতে যায়।

৯. তোমার দেখা/ খেলা কোনো ফুটবল ম্যাচের অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে জানা বন্ধুকে চিঠি লেখো।
উত্তর- নিজে করো

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

প্রশ্ন:-  গিরীন, সমরেশ আর টুনু এই তিনজন কে কোন্ পজিশনে খেলে?
উঃ। গিরীন ব্যাকে খেলে, সমরেশ হাফ ব্যাক থেকে খেলে আর টুনু খেলে রাইট-ইন পজিশনে।

প্রশ্ন:-  গিরীন গেল বছর কীজন্য কাপ জিতেছে বলেছিল?
উত্তর। গিরীন বলেছিল গেল বছর গাধার কান মলে তারা কাপ জিতেছে।

প্রশ্ন:- টাউন স্কুলের ছেলেরা কোথায় তৈরি হচ্ছিল?
উঃ। খেলার মাঠ থেকে কিছু দূরে একটা বটগাছের তলায় টাউন স্কুলের ছেলেরা তৈরি হচ্ছিল।

প্রশ্ন:- একটা গোল দিয়ে মিশন স্কুলের কী হয়েছিল ?
উঃ। একটা গোল দিয়ে মিশন স্কুলের উৎসাহ দশগুণ বেড়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন:- খেলা শেষের পর কে কত গোল দিয়েছিল?
উঃ। খেলা যখন শেষ হল তখন দেখা গেল টাউন স্কুল দিয়েছে চারটি গোল, আর মিশন স্কুল মাত্র এক গোল।
প্রশ্ন:- টুনু গড়াতে গড়াতে উঠে বসে কী ভাবল ?
উঃ টুনু গড়াতে গড়াতে উঠে বসে ভাবল দিব্যেন্দুবাবু নিশ্চয়ই ফাউল নিয়েছেন।

প্রশ্ন:- টুনুর খেলা দেখে মিশন স্কুলের ছেলেদের কী হল ?
উঃ টুলুর খেলা দেখে মিশন স্কুলের ছেলেরা কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।

প্রশ্ন:- খেলার আগে সমরেশ কী করেছিল বলে জানিয়েছেন?
উঃ খেলার আগে সমরেশ টুনুর কান মলে দিয়েছিল।

প্রশ্ন:- দুই দলের মধ্যে কারা জিতবে বলা শত্রু'-কেন বলা শক্ত? দুই দলের কে কেমন খেলে লেখো।
উঃ। টাউন স্কুল ও মিশন স্কুল দুটি দলই ভালো খেলে, তাই খেলায় কে জিতবে বলা শক্ত।
টাউন স্কুলের গিরীন ব্যাকে খেলে, সমরেশ হাফব্যাক এবং টুন রাইট ইন খেলে। দলের অন্য ছেলেরা ভালো খেললেও এই তিনজনের ওপরই ভরসা। টুনু রোগা পটকা হলেও হরিণের মতো দৌড়ায় এবং পায়ে বল পড়লে তাকে আটকানো শক্ত । অপরদিকে মিশনস্থলের দলও খুব মজবুত এবং তারা বেশিরভাগই বুট পরে খেলে এবং তাদের গায়ের জোরও খুব বেশি।

প্রশ্ন:-গিরীন কীভাবে টুনুকে উৎসাহ দিয়েছিল।
উঃ। গিরীন টুনুর পাশে বসে তার গলা জড়িয়ে তাকে বলেছিল যে টুনুই আজ ভরসা। সে চেষ্টা করলে টাউন স্কুল তিনটে গোল দিতে পারে। তাই পায়ের, ব্যথা ভুলে এটাই মনে রাখতে হবে যে আজ আমাদের জিততে হবে।

প্রশ্ন:- 'তাদের একটা দোষ'- কাদের কী দোষ। এতে কী তাদের সুবিধা হয়েছিল?
উঃ। মিশন স্কুলের ছেলেদের দোষ একটাই যে তাঁরা ভালো খেলোয়াড় হলেও হারার উপক্রম দেখলেই তারা মারামারি করে খেলতে আরম্ভ করে না। এতে তাদের সুবিধা হয়নি, কারণ টাউন স্কুলের ছেলেরা এমনভাবে খেলে যে তাদের মারতে গেলে তারা পিছলে বেরিয়ে যায়। ফলে যারা মারতে যায় তাদেরই অসুবিধা হয় এবং খেলা খারাপ হয়ে যায়।

প্রশ্ন:-গোল খেয়ে যারা দমে যায় তাদের সম্পর্কে লেখক কী বলেছেন ? গল্পটিতে তা কি ঘটতে দেখা গেছে?
উঃ। লেখক বলেছেন গোল খেয়ে যারা দমে যায় তারা আর জিততে পারে না।
হ্যাঁ, গল্পটিতেও তাই ঘটেছে। দ্বিতীয় গোলের পর মিশন স্কুল দামে গিয়েছিল। তারপরে টুনু তাদের আরও দুটো গোল ঠুকে দিয়েছিল। খেলা শেষ হবার পর দেখা গেল টাউন স্কুল নিয়েছিল চার গোল আর মিশন স্কুল এক গোল দিয়ে পেরেছে।

প্রশ্ন:- সমরেশ হঠাৎ জোরে হেসে উঠল, বুঝেছি।'- কোন কথার প্রসঙ্গে সে হেসে উঠেছিল? সে কী বুঝেছিল ?
উঃ। খেলা শেষ হবার পর টাউন স্কুলের সবাই এক জায়গায় জটলা করতে গিয়ে বলল তারা জিতল কী করে? গাধার কান তো মলা হয়নি। সকলে এ ওর মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে ভাবছিল সত্যিই এরকম অসম্ভব ব্যাপার ঘটল কী করে? তখন সমরেশ হেসে উঠেছিল।
সে বুঝতে পেরেছিল খেলার আগে সে টুনুর কান মলে দিয়েছিল। আর তাতেই গাধার কানমলার ফল হয়েছে।

প্রশ্ন:-তার এ কী আশ্চর্য খেলা'—কার খেলা? সেই আশ্চর্য খেলার বর্ণনা দাও।
উঃ। টুনুর আশ্চর্য খেলা।
টুনু এক অদ্ভুত খেলা শুরু করেছিল। তাকে পাঁচজন ঘিরে থেকেও আটকাতে পারেনি। ছোট্ট শরীর নিয়ে সে বীরের মতো ছুটতে থাকে এবং তাকে আটকাতে গেলে সে পাঁকাল মাছের মতো পিছলে বেরিয়ে যেতে লাগল। এই আশ্চর্য
খেলা দেখেই মিশন স্কুলের ছেলেরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল।

পদ পরিবর্তন করো : সজ্জিত, উপস্থিতি, বিমর্ষ, উৎসাহ, ব্যথা।
উঃ। সজ্জিত-সজ্জা।
উপস্থিত --- উপস্থিত।
বিমর্ষ - বিমর্ষতা।
উৎসাহ উৎসাহিত।
বাথা -বাধিত

বিপরীত শব্দ : ক্ষীণ-স্থূল / তীব্র।
শুকনো ভিজা।
কড়া-নরম।
মজবুত— পলকা।
ব্যথা আরাম।
ভেঙে - জুড়ে।
আরম্ভ—সমাপ্ত।
উৎসাহ — নিরুৎসাহ।
অসম্ভব — সম্ভব।