দাঁড়াও কবিতা || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || অষ্টম শ্রেণি বাংলা।
অষ্টম শ্রেণীর বাংলা
অধ্যায় ১০
দাঁড়াও
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
কবি পরিচিতি। রবীন্দ্র-পরবর্তী ধারার বাংলা কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহুদুগ্রামে তাঁর জন্ম হয়। ছোটোবেলাতেই তিনি বাবাকে হারান। এরপরে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন। বাগবাজারের মামার বাড়িতেই তিনি বড়ো হন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় পড়াশোনা করেন বহুতু হাই স্কুল, মহারাজা কাশিমবাজার স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় 'যম' নামের কবিতাটি লিখে তিনি সাহিত্যরসিকদের চোখে পড়েন। 'কবিতা সাপ্তাহিকী' পত্রিকা প্রকাশ করে তিনি আলোড়ন তুলেছিলেন কবিতাজগতে। এ ছাড়াও তিনি 'প্রগতি' নামের হাতে-লেখা পত্রিকা প্রকাশ করেন যা পর 'বহ্নিশিখা' নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫১। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'এই তো মর্মরমূর্তি', ‘জ্বলন্ত রুমাল’, ‘ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফ্যালে’, 'ও চিরপ্রণম্য অগ্নি', 'কোথাকার তরবারি কোথায় রেখেছে’, ‘কক্সবাজারে সন্ধ্যা', 'অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল', 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো”।
"কুয়োতলা'-র মতো উপন্যাসও তিনি লিখেছেন। এ ছাড়াও তাঁর অনূদিত-সম্পাদিত-প্রণীত কবিতা ও গদ্যগ্রন্থের সংখ্যা একশোরও বেশি। শক্তি
চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার ও রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কৃত্তিবাস পত্রিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টিশীল সাহিত্যের অতিথি-অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘দাঁড়াও' কবিতাটি ড. ঝুমা রায়চৌধুরী।সম্পাদিত প্রিয় কবিতা-২' নামক সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।
সারসংক্ষেপ: মানুষের আর্ত অসহায় রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন কবি। আধুনিক পৃথিবীতে ঘটে চলা হিংসাত্মক কর্মকান্ডের জন্য মানুষ এক চরম দুঃসহ পরিস্থিতির মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। সবলের হাতে দুর্বলের নিগ্রহ, অপমান ও অত্যাচারের দৃশ্য কবিকে ব্যথিত করে তুলেছে। 'মানুষ বড়ো কাঁদছে'—এই বাক্যাংশটির মধ্য দিয়ে কবিমনের যন্ত্রণাই প্রকাশিত হয়েছে। চারদিকে দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর ভয়াবহ রূপ। মানুষের এই বিপদের দিনে, একলা হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে মানুষকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন কবি। এই বিপর্যয়ের দিনে মানুষের চিরন্তন মনুষ্যত্ববোধ ও মানবিকবোধের কাছে কবি আহ্বান জানিয়েছেন অসহায় মানুষের হাত ধরার জন্য। এইভাবে একে অন্যের পাশে দাঁড়ালে সকলের দুঃখ লাঘব হবে। অসহায় মানুষ অবলম্বন পেলে আবার বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবে। মানুষকেই মানুষের অবলম্বন হয়ে উঠতে হবে—এটিই হল 'দাঁড়াও’কবিতার মূল বক্তব্য।
নামকরণ: যে-কোনো সাহিত্যের নামকরণ : কবিতাটিতে একদিকে যেমন বলা হয়েছে মানুষের দুর্দশার কথা, তেমনই বলা হয়েছে মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার অপমান এবং লাঞ্ছনার কথা। অন্যদিকে এই অসহায়, অত্যাচারিত ও ভেঙে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথাও আছে। এই কবিতায় কবির উদ্দিষ্ট ‘তুমি’ হল মানবিকতা ও মনুষ্যত্ববোধ, তার কাছেই কবি প্রার্থনা করেছেন সব দুঃখী ও একলা হয়ে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কবিতার মূল সুরই হল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। অসহায় মানুষকে দুর্দশা থেকে মুক্তির পথ দেখানোর কথাই বলা হয়েছে এই কবিতায়। ‘দাঁড়াও’ নামকরণের মাধ্যমে কবির মনের এই ইচ্ছাই প্রকাশিত হয়েছে, যা কবিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। নামকরণটি সার্থকও যথার্থ হয়েছে বলা চলে ৷
'হাতেকলমে’ অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহুড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১.২ তাঁর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি উপন্যাস হল 'দুয়োতলা'।
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
২.১ মতো' শব্দ ব্যবহার করা হয় কখন? তোমার যুক্তির পক্ষে দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা বোঝাতে বা সাদৃশ্য কল্পনা করতে ‘মতো’ শব্দটির ব্যবহার করা হয়। যেমন—ফুলের সৌন্দর্য ও সতেজতার
সঙ্গে শিশু বা কিশোরদের তুলনা করে বলা হয় 'ফুলের মতো শিশু ।
কবিতায় বা গানে এই ধরনের তুলনা বেশি দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে আমরা সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'রানার' কবিতায় রানার আর হরিণের ছোটার
তুলনা করে কবিকে লিখতে দেখি, “কেমন করে এ রানার সবেগে হরিণের মতো যায়।”
২.২ কবি পাখির মতো পাশে দাঁড়াতে বলছেন কেন?
উত্তর: পাখির উড়ে চলা ও আচরণের মধ্যে আছে এক স্বাধীন সত্তার প্রকাশ। পাখির মধ্যে কোনো সংকীর্ণতা নেই। সহজসরল ছন্দেই তার জীবন কাটে। কবির অনুভব, পাখির মতোই স্বাধীন আর খোলামেলা মন নিয়ে মানুষকে সহজভাবে দাঁড়াতে হবে আর্ত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে।
২.৩ “মানুষই ফাঁদ পাতছে”–কবি এ কথা কেন বলেছেন? 'মানুষ' শব্দের সঙ্গে 'ই' ধ্বনি যোগ করেছেন কেন—তোমার কী মনে হয় ?
উত্তর: মনুষ্যত্ববোধ আর মানবিকতা হল মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য হারিয়ে একদল মানুষ হয়ে ওঠে লোভী আর বর্বর। তারা ফাঁদ পেতে অন্য মানুষকে বিপদে ফেলতে চায়। অন্য কেউ নয়, একজন মানুষই আর একজন মানুষকে ধ্বংস করতে চাইছে। সেই কারণেই কবি এ
কথাটি বলেছেন। “মানুষই ফাঁদ পাতছে” অংশে মানুষের প্রতি মানুষেরই বর্বরতার কথা জোর দিয়ে বোঝাতে 'ই' ধ্বনিটি যোগ করা হয়েছে।
২.৪ “তোমার মতো মনে পড়ছে”–এই পক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ কী?
উত্তর: 'দাঁড়াও' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় যে 'তুমি'র প্রসঙ্গ এনেছেন, তা কোনো বিশেষ ব্যক্তি নন। এই 'তুমি' আসলে মানবিকতা বোধসম্পন্ন মানুষ এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষের শুভবোধ। বর্তমান পৃথিবীতে নিত্যদিন মনুষ্যত্বের বিকৃতি, মানুষের প্রতি মানুষের হিংস্র আচরণ কবিকে পীড়িত করছে। তাই কবি চিরন্তন মানবিকতা ও মনুষ্যত্বকে মনে মনে কামনা করছেন এবং মানবিক গুণগুলির যাতে পুনর্জাগরণ ঘটে, তা-ই চেয়েছেন।
২.৫ “এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও”—এই পক্তিটির বিশেষত্ব কোথায় ? এই ধরনের দুটি বাক্য তুমি তৈরি করো।
উত্তর: পঙ্গিটির বিশেষত্ব: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘দাঁড়াও’ কবিতা থেকে গৃহীত প্রশ্নোকৃত পঙ্ক্তিটিতে ‘সে’ ধ্বনিটির বারবার ব্যবহারে
অনুপ্রাস অলংকারের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ‘এসে’, ‘ভেসে’, ‘ভালোবেসে' শব্দগুলিতে ‘সে ধ্বনিটি তিনবার ব্যবহৃত হয়েছে। তা ছাড়া
সমাপিকা ক্রিয়া হিসেবে দাঁড়াও' শব্দটি তিনবার ব্যবহৃত হয়ে এক ছন্দমাধুর্যের সৃষ্টি করেছে।
সৃষ্ট দুটি বাক্য: এইরকম দুটি বাক্য হল—[১] এদেশে ভালোবেস জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকলে এসে মেশে। [২] ভালোকে চাই, মন্দকে চাই
এবং তোমাকে চাই।
৩. "মানুষ বড়ো কাঁদছে” — কী কারণে কবি এই কথা বলেছেন?
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় যে সময়ে 'দাঁড়াও' কবিতাটি লিখেছেন সে সময়টি গোটা পৃথিবীতে ছিল এক অশান্ত সময়। কবি মানুষকে একে
অপরের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। বর্তমান পৃথিবীতে কিছু লোভী ও স্বার্থপর মানুষের চক্রান্তে সাধারণ মানুষের উপর নেমে এসেছে নিষ্ঠুর
আঘাত। মানুষের হাতে মানুষের এই অত্যাচার, নিপীড়ন, মৃত্যু দেখেই কবি বলে উঠেছেন, “মানুষ বড়ো কাঁদছে”। উদ্ধৃত পঙক্তিটির মধ্যে মানুষের
জীবনের চরম হতাশার ছবি ফুটে উঠেছে।
৪. "মানুষ বড়ো একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও” – এই পঙ্ক্তিটিকে তিনবার ব্যবহার করার কারণ কী হতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের 'দাঁড়াও' কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে স্পষ্টত দুটি অংশ রয়েছে।
দুর্দশার চিত্র: প্রথমত পঙক্তিটির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মানুষের চরম দুর্দশার ছবি। পৃথিবীজুড়ে মনুষ্যত্বহীনতার ফলে মানুষের ক্রমশ একলা হয়ে যাওয়ার কথা এখানে রয়েছে। সেই ভয়ংকর পরিস্থিতিকে বোঝাতেই কবি বারবার এই পঙ্ক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
মানুষের কর্তব্য; অন্যদিকে মানুষের অসহায়তা, নিঃসঙ্গতা যেন আধুনিক যুগে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তাই সে একলা। তার পাশে
দাঁড়ানোই অন্য মানুষের কর্তব্য। কবি তাই আলোচ্য পঙ্ক্তিটির মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন।
৫.কবিতাটির নাম 'দাঁড়াও' কতটা সার্থক। কবিতাটির নাম 'মানুষ বড়ো কাঁদছে' হতে পারে কি তোমার উত্তরের ক্ষেত্রে যুক্তি দাও ।
উত্তর: আমাদের আলোচ্য কবিতাটির নাম 'দাঁড়াও' নামকরণ হিসেবে সার্থক। কবিতাটি পাঠ করলে দুটি বক্তব্য পরপর উঠে আসে। কবি বিশে
শতাব্দী জুড়েই দেখেছেন মানবতার অবক্ষয় এবং মনুষ্যত্বের নির্মম পরাজয়। মানুষের হাতেই মানুষের অপমান, অত্যাচার, মৃত্যু। কিন্তু
কবি এই নিরাশায় কবিতাটি শেষ করেননি। তিনি মানুষকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। অনুরোধ করেছেন মানবতাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে ঠাঁই দিয়ে মানুষকে গ্লানিমুক্ত করতে। তাই এই নামকরণটি সুপ্রযুক্ত।
■ ‘মানুষ বড়ো কাঁদছে' নাম হলে কবিতাটির কেবল একটি বক্তব্যই প্রতিফলিত হত। কবিতাটি হয়ে উঠত সম্পূর্ণ নিরাশা ও হতাশার কবিতা ।
কিন্তু কবি এখানে শেষ না করে আশাবাদের কথাও কবিতার মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাই ‘মানুষ বড়ো কাঁদছে' নাম নয়, ‘দাঁড়াও' নামটিই এখানে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং উপযুক্ত।
৬. কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করছেন বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘দাঁড়াও' কবিতায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি কাকে এই অনুরোধ করেছেন তা স্পষ্ট নয়। কারণ ‘তুমি' শব্দের আড়ালে কী আছে তা কবিতায় বলা নেই।
তবে কবিতাটি বারবার পড়লে বোঝা যায় যে, মানুষের শুভবোধ, মানবিকতা, হারিয়ে যাওয়া মনুষ্যত্বকেই যেন 'তুমি' বলে সম্বোধন করেছেন কবি। মানুষ যে ক্রমে হিংস্র, স্বার্থপর এবং পাশবিক হয়ে উঠেছে তার বিপরীতেই এই ‘তুমি’-কে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন।
৭. কবিতাটি চলিত বাংলায় লেখা, শুধু একটা শব্দ সাধু ভাষার। শব্দটি খুঁজে বার করো এবং শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করেছেন কেন কবি ?
উত্তর: ‘দাঁড়াও’ কবিতার মধ্যে শুধু একটিই সাধুভাষার শব্দ আছে, সেটি হল ‘তাহার’। প্রতিদিনের চেনা ভাষার নিত্যনৈমিত্তিক শব্দ ব্যবহারের পাশে সাধু ভাষার ব্যবহার কবির বক্তব্যকে আরও গভীর করে তোলে। তাহার’
শব্দের মধ্যে সারা পৃথিবীর অসহায় মানুষের কথা আছে, তাই ‘তার’-এর বদলে ‘তাহার’ শব্দের ব্যবহার করেছেন কবি। ‘তার’-এর তুলনায় ‘তাহার’ শব্দের ব্যবহারে ছন্দের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
৮. কী ঘটেছে লেখো: সন্ধ্যা > সন্ধে, ফাদ > ফাঁদ ।
উত্তর: সন্ধ্যা > সন্ধে—এখানে স্বরসংগতির ফলে শব্দের শেষে ‘আ’ ধ্বনি 'এ' ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে।
ফাদ > ফাঁদ—এখানে স্বতোনাসিক্যীভবন ঘটেছে।
অতিরিক্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন. কবি কাদের ফাঁদ পাতার কথা বলেছেন ?
উত্তর- শিকারি যেমন ফাঁদ পেতে পশুপাখি ধরে, স্বার্থপর, লোভী মানুষও তেমনই গোপনে চতুরতার সঙ্গে অন্য মানুষকে বিপদে ফেলতে চাইছে।
প্রশ্ন“মানুষ বড়ো কাঁদছে”–মানুষ কাঁদছে কেন ?
উত্তর- আধুনিক বিশ্বে জাতিগত দ্বন্দ্ব তথা অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিনিয়ত মনুষ্যত্বের অপমান ঘটছে। সেই কারণে মানুষ কাঁদছে।
প্রশ্ন “মানুষই ফাঁদ পাতছে।”—তাই কবি কীভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে বলেছেন ?
উত্তর→ পক্ষীমাতা যেমন পক্ষবিস্তার করে নিজের সন্তানকে বাইরের বিপদ, থেকে রক্ষা করে, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরও উচিত সেভাবে
অত্যাচারিত মানুষকে রক্ষা করা।
প্রশ্ন. কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন্ কোন্ পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তর-→ শক্তি চট্টোপাধ্যায় 'আনন্দ পুরস্কার', 'রবীন্দ্র পুরস্কার' ও 'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর
১. “তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও”।-“দাঁড়াও' কবিতায় কবি কাদের পাশে এসে দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর-→ দাঁড়াও' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় অসহায় নিপীড়িত মানুষকে একে অন্যের পাশে এসে দাঁড়াতে বলেছেন।
'প্রশ্ন--দাঁড়াও' কবিতায় ‘তোমাকে' কবির কখন কখন মনে পড়েছে?
উতর- দাঁড়াও' কবিতায় ‘তোমাকে' কবির সকাল-সন্ধে ও রাতে বেলা মনে পড়ছে।
প্রশ্ন 'দাঁড়াও' কবিতায় যে একমাত্র সাধুভাষার শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটি কী ?
উত্তর→ ‘দাঁড়াও' কবিতায় যে একমাত্র সাধুভাষার শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।সেটি হল ‘তাহার’।
প্রশ্ন “সন্ধে হলে মনে পড়ছে”–কবি এখানে কাকে মনে পড়ার কথা বলেছেন?
উত্তর→ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের দুঃসময় তার পাশে দাঁড়ানের জন্য কোনো এক মানবতাসম্পন্ন মানুষের কথা তাঁর মনে পড়ছে।
