পথের পাঁচালী || প্রথম পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর - school book solver

Monday, 20 October 2025

পথের পাঁচালী || প্রথম পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর

 


পথের পাঁচালী 

অষ্টম শ্রেণী 

প্রথম পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর


প্রশ্ন:- . 'ছোটোদের পথের পাঁচালী'র কয়েকটি চরিত্রের নাম লেখো।

উত্তর:-  ‘ছোটোদের পথের পাঁচালী'র কয়েকটি চরিত্র হল—অপু, দুর্গা, হরিহর, সর্বজয়া।


প্রশ্ন:- অপু বাবার সাথে সরস্বতী পূজার বিকেলে কোন্ পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উত্তর-  সরস্বতী পূজার বিকেলে অপু বাবা ও কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে। ‘নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল।


প্রশ্ন:- মহাভারতের কোন্ চরিত্রটি অপুর সবচেয়ে ভালো লাগত এবং কেন ?

উত্তর- মহাভারতের মহাবীর কর্ণ চরিত্রটিকে অপুর সবচেয়ে ভালো লাগত। বীর হয়েও চিরদিন সকলের কৃপার পাত্র বলেই কর্ণকে বালক অপুর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত।


 প্রশ্ন:-গুরুমশাইয়ের পাঠশালার অবস্থান কোথায় ছিল? 

উত্তর- গুরুমশাইয়ের মুদিখানা দোকানের পাশেই ছিল তাঁর পাঠশালা।


প্রশ্ন:- অপুর মুখে নুনের গুঁড়ো কেন লেগেছিল?

উত্তর-অপু নুন ও লঙ্কা মিশিয়ে কাঁচা আম খাচ্ছিল, তাই তার মুখে নুনের গুঁড়ো লেগেছিল।



প্রশ্ন:-অপুর বাবা-মায়ের নাম কী ছিল ? 

উত্তর- অপুর বাবার নাম হরিহর ও মায়ের নাম সর্বজয়া।


প্রশ্ন:- বালক অপু কোথায় খরগোশের ছবি দেখেছিল ?

উত্তর-  বালক অপু বর্ণপরিচয়ে খরগোশের ছবি দেখেছিল।


প্রশ্ন:- দুপুরে খাওয়ার পর অপু কী করত?

উত্তর- দুপুরে খাওয়ার পর অপু হাতের লেখা ক-খ লিখতে লিখতে মন দিয়ে মায়ের মুখে মহাভারতের গল্প শুনত।


প্রশ্ন:- অপুর পাঠশালার গুরুমশাইয়ের নাম কী ছিল?

উত্তর। অপুর পাঠশালার গুরুমশাইয়ের নাম ছিল প্রসন্ন গুরুমশাই।


প্রশ্ন:- মহাভারতে অপুর সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র ছিল - র্জুন/কৃয়/কর্ণ।

উত্তর-  মহাভারতে অপুর সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র ছিল কর্ণ।


প্রশ্ন:- অপু কার পাঠশালায় পড়তে গিয়েছিল ?

উত্তর- অপু প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় পড়তে গিয়েছিল।

প্রশ্ন:-পাঠশালায় পৌঁছে দিয়ে হরিহর অপুকে কী বলেছিল ?

উত্তর-  হরিহর অপুকে বলেছিল ছুটি হওয়ার সময় সে এসে অপুকে বাড়ি নিয়ে যাবে। অপু যেন বসে বসে লেখে, গুরুমশাইয়ের কথা শোনে,কোনো দুষ্টুমি না করে।


প্রশ্ন:- “চোখের জল বাগ মানিত না।” –কার চোখের জল কখন বাগ মানত না ?

উত্তর- অপু যখন মায়ের মুখে মহাভারত শুনত তখন তার চোখের জল বাগমানত না।


প্রশ্ন:-“হাসচো কেন খোকা এটা কী নাট্যশালা!” কার উক্তি ?

উত্তর-আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন প্রসন্ন গুরুমহাশয় ।

 প্রশ্ন:-কুড়িয়ে পাওয়া নারকেল সর্বজয়া দুর্গাকে দিয়ে কাদের বাড়ি পাঠিয়েছিল ?

উত্তর-কুড়িয়ে পাওয়া নারকেলটি সর্বজয়া দুর্গাকে দিয়ে সতুদের বাড়ি পাঠিয়েছিল।


প্রশ্ন:- নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের শ্মশানটি কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর- নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের শ্মশানটি ছাতিমতলায় অবস্থিত।

প্রশ্ন:- গড়ের পুকুর কোথায় ?

উত্তর- গ্রামের আদি বাসিন্দা মজুমদারদের বাড়ির চারিদিকে গড়খাইয়ের যে অংশে জল থাকে সেটি গড়ের পুকুর নামে পরিচিত।


প্রশ্ন:- দুর্গা কোথায় কামরাঙা পাড়তে যাওয়ার কথা বলেছিল ?

উত্তর- দুর্গা পালিতদের বাগানে কামরাঙা পাড়তে যাবার কথা বলেছিল।


প্রশ্ন:- নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক কবে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল ?

উত্তর- নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক মাঘ মাসের শেষে সরস্বতীপূজার বিকেলে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল।


প্রশ্ন:-বাড়ির উঠোনে দুর্গা কী ব্রত করেছিল?

উত্তর- বাড়ির উঠোনে দুর্গা পুণ্যিপুকুর ব্রত করেছিল।


প্রশ্ন:- অপু যখন পাঠশালায় পৌঁছেছিল তখন গুরুমশায় কী করছিলেন ?

উত্তর-  অপু যখন পাঠশালায় পৌঁছেছিল তখন গুরুমশায় তাঁর দোকানের মাচায় বসে দাঁড়িপাল্লায় সৈন্ধব লবণ ওজন করে কাউকে দিচ্ছিলেন।


প্রশ্ন:- হরিহর কার সঙ্গে মৎস্য-শিকারের পরামর্শ করছিলেন?

উত্তর-. হরিহর নবীন পালিতের সঙ্গে মৎস্য শিকারের পরামর্শ করছিলেন।


প্রশ্ন:-সেজোবউ কোন্ পুজোর জন্য চিনিবাসের থেকে মুড়কি, সন্দেশ কিনেছিলেন?


উত্তর- সেজোবউ দশহরা পুজোর জন্য চিনিবাসের থেকে মুড়কি, সন্দেশ কিনেছিলেন।


প্রশ্ন:-“অপুদের বাড়ি হইতে কিছু দূরে খুব বড়ো অশ্বত্থ গাছ ছিল”—গাছটির দিকে তাকিয়ে অপু কী ভাবত ?


উত্তর-গাছটির দিকে তাকিয়ে অপু অনেক দূরের কোনো দেশের কথা ভারত।

প্রশ্ন:- কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বৃষ্টি থামানোর জন্য দুর্গা যে ছড়াটি বলেছিল সেটি লেখো।

 উত্তর-কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বৃষ্টি থামানোর জন্য দুর্গা ‘নেবুর পাতায়করচা, হে বিষ্টি ধরে যা’—ছড়াটি বলেছিল।


প্রশ্ন:- মায়ের কাছ থেকে অপু কার লেখা মহাভারত শুনত ?

উত্তর- মায়ের কাছ থেকে অপু কাশীরাম দাসের লেখা মহাভারত শুনত।


প্রশ্ন:- যুদ্ধ জিনিসটি উপভোগ করার জন্য অপু কী করত?

উত্তর- যুদ্ধ জিনিসটি উপভোগ করার জন্য একটা বাখারি বা হালকা গাছেরডালকে অস্ত্রের মত বানিয়ে অপু বাড়ির পিছনে বাঁশবাগানে ঘুরে

বেড়াত ও আপনমনে কথা বলত।


প্রশ্ন:- অপুদের বাড়ির পাশে কার ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল ?

উত্তর-  অপুদের বাড়ির পাশে নীলমণি রায়ের ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল।


প্রশ্ন:-  নবীন পালিত মাঠে বেড়াতে বেড়াতে কী গল্প করেছিলেন ?

উত্তর-> মাঠে বেড়াতে বেড়াতে নবীন পালিত হরিহরের সঙ্গে একবার মাঠের উত্তর অংশের জমিতে শাঁকআলু চাষ করে কেমন লাভবান

হয়েছিলেন, সেই গল্প করেছিলেন।


প্রশ্ন:- অপুর বইয়ের দফতরে বিদ্যাসাগর প্রণীত কোন্ বইটি ছিল ?

উত্তর-অপুর বইয়ের দফতরে বিদ্যাসাগর প্রণীত বর্ণপরিচয় তৃতীয় ভাগ বইটি ছিল।


প্রশ্ন:- “মহাবীর, কিন্তু চিরদিনের কৃপার পাত্র চিরদিনের কৃপার পাত্র মনে করেছে কেন?

কর্ণ।”—অপু কর্ণকে এক অসহায় পরিস্থিতিতে পড়ে মহাবীর কর্ণের মৃত্যু হয়েছিল বলে অপুর মনে হয়েছে কর্ণ চিরদিনের কৃপার পাত্র।


প্রশ্ন:-“ওমা! এ আবার কে রে?কে চিনতে পারছি নে?” সর্বজয়া অপুকে দেখে এ কথা বলেছেন কেন ?

উত্তর - দুর্গা ওড়কলমি ফুলের সাদা কুঁড়ি দিয়ে অপুকে নাকে নোলক পরিয়ে দিয়েছিল বলে সর্বজয়া মজা করে এ কথা বলেছিল।


প্রশ্ন:-  “বাবার কাছ থেকে দেখিস রথের সময় চারটে পয়সা নেব।” -দুর্গা অপুকে সঙ্গে নিয়ে এমন পরিকল্পনা করেছে কেন?

উত্তর-চিনিবাস ফেরিওলার কাছ থেকে লোভনীয় মিষ্টি কেনার মতো টাকা অপু-দুর্গার ছিল না। তাই দুর্গা আসন্ন মেলায় মুড়কি কিনে খাওয়ায় বলে অপুকে আনন্দ দিতে এমন পরিকল্পনা করেছে।


প্রশ্ন:-   “দুর্গার ... বাধা পাইয়া তাহার কথা অর্ধপথেই বন্ধ হইয়া গেল।”-কার, কোন্ কথা বন্ধ হয়ে গেলে ?

উত্তর-  অপু দুর্গার সঙ্গে মিলে গোপনে কাঁচা আম খেয়ে দাঁত টকে যাওয়ার কথা মায়ের কাছে বলে ফেলার উপক্রম করে। তখন দুর্গার কাছে বাধা পেয়ে তার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।


প্রশ্ন:-  অপুর টিনের বাক্সে কী কী সম্পত্তি ছিল ?

উত্তর-অপুর ডালাভাঙা টিনের বাক্সে ছিল একটা রং-ওঠা কাঠের ঘোড়া, যার দাম চার পয়সা, একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি এবং

গোটাকতক কড়ি। এ ছাড়া একটি দু-পয়সা দামের পিস্তল, কতকগুলো শুকনো নাটা ফল, কিছু খাপরার কুচি।


প্রশ্ন:- নীলুর সঙ্গে অপু কোথায় যেতে রাজি হয়েছিল ?

উত্তর- নীলুর সঙ্গে অপু দক্ষিণ মাঠে পাখির ছানা দেখতে যেতে রাজি হয়েছিল।


প্রশ্ন:- নিশ্চিন্দিপুরের লোক কখন নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে যাচ্ছিল?

উত্তর-  সরস্বতী পুজোর বিকেলে হরিহর ও অপু-সহ নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে বেরিয়েছিল।


প্রশ্ন:- “অপমানে দুঃখে সর্বজয়ার চোখে জল আসিল”—কখন, কেন সর্বজয়ার এরূপ অবস্থা হয়েছিল ?

উত্তর-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পথের পাঁচালী' উপন্যাসের চতুর্থ অধ্যায়ে ভুবন মুখুজ্যের বাড়ির সেজ ঠাকরুন তাঁর মেয়ে টুনু ও দেওরের ছেলে সতুকে সঙ্গে নিয়ে সর্বজয়ার বাড়িতে আচমকা হামলা করেন। দুর্গার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে তিনি তার পুতুলের বাক্স টেনে বের করে চুরির সামগ্রী খুঁজে বের করেন। একটি পুঁতির মালা এবং কয়েকটি আমের গুটি চুরির অভিযোগে তিনি সর্বজয়া ও দুর্গাকে বহু অকথা কুকথা বলেন। গরিব হলেও ভদ্র পরিবারের বধূ সর্বজয়ার এতে অসম্ভব অপমানবোধ হয় এবং এজন্যই তার চোখে জল এসে যায়।


প্রশ্ন:- গড়ের পুকুরের জঙ্গলে অপু কী কুড়িয়ে পেয়েছিল? সেটি আসলে কী তা কীভাবে জানা গেল ? 

 উত্তর- ‘ছোটোদের পথের পাঁচালী' উপন্যাসে অপু দিদি দুর্গার সঙ্গে গড়ের পুকুরের জঙ্গলে গিয়ে পাকা শেওড়ার ফল খাচ্ছিল। ওই সময় সে শেওড়াগাছের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে একটি গোল মতো একদিকে ছুঁচলো পল কাটা পাথরের মত চকচকে জিনিস খুঁজে পায়। বস্তুটির প্রকৃত পরিচয়: অপু, দুর্গা এবং তাদের মা সর্বজয়া তাদের সীমিত জ্ঞানে জিনিসটিকে হিরে বলে মনে করেছিল। সর্বজয়া তার স্বামী হরিহরকে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। কিন্তু হরিহরও বুঝতে না পারায় তার মনে আশা জাগে যে, জিনিসটা হয়তো হিরেই। তারপর হরিহর গ্রামের গাঙ্গুলিবাড়িতে তাদের কলকাতা থেকে আগত জামাই সত্যবাবুকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়েছিল যে, ওটি হিরে নয়, ঝাড়লণ্ঠনে ঝুলোনোর বেলোয়ারি কাচ।


প্রশ্ন:- আতুরি ডাইনি সম্পর্কে অপুর ধারণা কী ছিল?

উত্তর-বয়সের ভারে ন্যুব্জ এক বৃদ্ধা ছিলেন আতুরি, যাকে অপু-সহ গ্রামের সকলেই আতুরি ডাইনি বলে জানত। শিশুদের ভয় দেখানোর জন্য

তার সম্পর্কে নানা বিভীষিকাময় কাহিনি প্রচলিত ছিল স্বাভাবিকভাবেই অপুও এই কথাগুলি বিশ্বাস করেছিল। সে জানত, আতুরি ডাইনির বাড়ির উঠোনের গাছ থেকে বিলাতি আমড়া পাড়ার অপরাধে জেলেপাড়ার এক ছেলের প্রাণ ডাইনি কচু পাতায় বেঁধে জলে ডুবিয়ে রেখেছিল। পরে মাছ সেটা খেয়ে ফেলতেই ছেলেটি মারা যায়। এ ছাড়াও অপুর ধারণা ছিল, আতুরি ডাইনি ইচ্ছে করলে কেবল দৃষ্টির সাহায্যেই ছোটো ছেলেদের রক্ত চুষে খেয়ে নিতে পারে। সেই ছেলে জানতেও পারবে না কিন্তু ঘুম তার আর ভাঙবে না।


প্রশ্ন:- “ওদের তুমি মঙ্গল করো। তুমি ওদের মুখের দিকে চেয়ো।” –কে, কেন এই প্রার্থনা করেছেন ?

উত্তর- 'ছোটোদের পথের পাঁচালী' গ্রন্থে অপু-দুর্গার মা সর্বজয়াকে তার সন্তানদের জন্য ঠাকুরের কাছে এই প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। একদিন প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির পর বাড়ি ফেরার পথে দুর্গা একটা ঝুনো নারকেল এবং অপু নারকেলের বাগলো পেয়ে তা নিয়ে বাড়ি ফেরে। ভুবন মুখুজ্যের বাড়ির বাগানে বেড়ার ধারের নারকেল গাছ থেকে ঝড়ের সময় পড়ে গিয়েছিল সেগুলো। নারকেল ও বাগলো পেয়ে আনন্দের মুহূর্ত অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মুখুজ্যেবাড়ির সেজঠাকরুণের শাপশাপান্ত কানে আসতেই সন্তানদের অমঙ্গলের আশঙ্কায় সর্বজয়া নারকেল ফেরত পাঠায় দুর্গাকে দিয়ে । তারপরে তুলসীতলায় প্রদীপ দিতে দিতে ঈশ্বরের কাছে সন্তানদের মঙ্গল কামনা করে সর্বজয়া।


 প্রশ্ন:- আমের গুটি যে চুরির জিনিস নয় তা অপুর কেন মনে হয়েছিল ?

উত্তর- ভুবন মুখুজ্যের বাড়ির সেজোঠাকরুন যখন তাদের বাড়িতে এসে পুতুলের পুঁতির মালা ও আমের গুটি চুরির অপবাদ দুর্গার ওপরে চাপিয়ে দেন, তখন অপুর মনে হয়েছিল আমের গুটি চুরির জিনিস নয়। কারণ, আগের দিন বিকেলে দুর্গা তাকে সঙ্গে করে টুনুদের বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল এবং মুখুজ্যেদের সোনামুখী আমগাছতলায় যে আমগুলো পড়েছিল, তা দুর্গা কুড়িয়ে এনেছিল জারিয়ে খাবে বলে। কিন্তু সর্বজয়ার উপস্থিতির কারণে তা সম্ভব

হয়নি। কাজেই আমচুরির অপবাদ যে সর্বৈব মিথ্যা, তা অপু খুব ভালো করেই জানত ।


 প্রশ্ন:- “অপুর মুখ শুকাইয়া গেল ... আঙুরি ডাইনির বাড়ি।”-আতুরি ডাইনির নাম শুনে অপুর মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল কেন?

উত্তর-  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'ছোটোদের পথের পাঁচালী' গ্রন্থে অপু ও তার বন্ধু নীলু দক্ষিণ মাঠে পাখির ছানা দেখে ফেরার পথে পথ হারিয়ে আতুরি ডাইনির বাড়ির সামনে চলে আসে। প্রথমটায় বুঝতে না পারলেও পরে যখন তারা বিপদ হৃদয়ঙ্গম করে তখন অপুর মুখ ভয়ে শুকিয়ে গিয়েছিল। কারণ, গ্রামে আতুরি ডাইনিকে নিয়ে নানা ছেলেভুলানো গল্প প্রচলিত ছিল। কোনো-এক সময়ে নাকি একটি ছোটো ছেলে আতুরির উঠোনের গাছ থেকে বিলাতি আমড়া পেড়েছিল। সেই অপরাধে ডাইনি তার প্রাণ কেড়ে কচুর পাতায় মুড়ে জলে ডুবিয়ে রাখে। পরে মাছে সেটা খেয়ে ফেললে ছেলেটি মারা যায়। ডাইনি সম্পর্কে আরও প্রচলিত ছিল যে, কেবল দৃষ্টির মাধ্যমে সে শিশুদের রক্তশোষণ করে নিতে পারে। যার রক্ত ডাইনি শোষণ করে, সে কিছুই বুঝতে পারে না। পরে বাড়ি ফিরে ঘুমালে আর ঘুম থেকে ওঠে না। আতুরি ডাইনির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অপুর এইসব ভয়ংকর গল্প মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই তার মুখ ভয়ে শুকিয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন:- “দুপুরের কিছু পরে হরিহর কাজ সারিয়া বাড়ি ফিরিল।” হরিহর কার বাড়িতে, কীসের কাজ করেন? তাঁর ছেলে ও মেয়ের নাম কী? হরিহর কোন্ গ্রামে বাস করতেন ? 

উত্তর হরিহরের জীবিকা: বিভূতিভূষণ

বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'ছোটোদের পথের পাঁচালী' গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, হরিহর গ্রামের অন্নদা

রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করত।

> হরিহরের ছেলেমেয়ে: হরিহরের ছেলের নাম অপু এবং মেয়ের নাম দুর্গা।

> হরিহরের গ্রাম: হরিহর নিশ্চিন্দিপুর নামক গ্রামে বাস করতেন।


প্রশ্ন:- নারকেলের মালাটা আমায় দে।” বক্তা কে? সে কাকে এই কথা বলেছিল? নারকেলের মালা দিয়ে বক্তা কী করবে? শেষপর্যন্ত নারকেলের মালার কী পরিণতি হয়েছিল ?

উত্তর, বক্কা: উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হল অপু।

→ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: অপু তার দিদি দুর্গাকে এই কথা বলেছিল।

→ নারকেলের মালার প্রয়োজনীতা। অপুর দিদি দুর্গা পট্‌লিদের বাগান থেকে কচি আম কুড়িয়ে এনে জারিয়ে খাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু সেজন্য নুন আর তেল প্রয়োজন ছিল। দুর্গা মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে গোপনে অপুকে রান্নাঘর থেকে তেল ও নুন আনতে বলে। অপু তখন তেল আনবে বলে দিদির কাছে নারকেলের মালাটা চায়।

 নারকেলের মালার পরিণতি : আম জারিয়ে পাওয়ার মাঝখানেই অপু- দুর্গার মা সর্বজয়া চলে এলে দুর্গা এই গোপন কর্মের প্রমাণ লোপাটের জন্য খালি মালাটা এক টানে ভেরেণ্ডা-কচার বেড়া পার করে নীলমণি রায়ের পরিত্যক্ত জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।

পরের পর্ব দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য দেখুন :-