স্বাধীনতার সংগ্রামে নারী || সপ্তম শ্রেণী || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || sadhinata sangramer nari || class 7 || question answer
![]() |
সপ্তম শ্রেণি বাংলা
গদ্যাংশ : স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী
কবি : কমলা দাশগুপ্ত
লেখিকা পরিচিতি : কমলা দাশগুপ্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য বর্ণময় চরিত্র। ১৯০৭ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেন, গোপনে বিপ্লবীদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন। একাধিকবার তিনি ব্রিটিশের হাতে কারাবরণও
করেছেন। ১৯৫৪ সালে তাঁর আত্মজীবনী 'রক্তের অক্ষরে' প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠ্যাংশটি তাঁর
রচিত 'স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী' নামক গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
রচনা পরিচয় ঃ পরাধীন ভারতবর্ষের বাংলার দুই অগ্নিকন্যার কথা রচনাটিতে আলোচিত হয়েছে। যারা নিজেদের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই রচনাটির নাম 'স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী' সার্থক।
সারসংক্ষেপ : স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ননীবালা দেবী ১৮৮৮ সালে বালিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জির কাছে তিনি বিপ্লবের দীক্ষা নেন। তিনি নানা সময়ে নানা স্থানে বিপ্লবীদের আশ্রয় পেতে সাহায্য করেছিলেন। ১৯১৫ সালে তিনি রামচন্দ্র মজুমদারের স্ত্রী সেজে জেলে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে পিস্তলের খবর আনেন। সেই সময় যা ছিল প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। বিপ্লবের সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে পুলিশ তাকে পেশোয়ার থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন তিনি স্পেশাল পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্টকে চড়
মারেন। ১৯১৯ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি দারিদ্র্যের মধ্যেও গৌরবে স্থির হয়ে জীবন কাটান।
স্বাধীনতা আন্দোলনের আর-একজন বিশিষ্ট মহিলা ছিলেন দুকড়িবালা দেবী। তিনি তাঁর বোনপো নিবারণ ঘটকের কাছে বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষা নেন। রডা কোম্পানি থেকে চুরি করে আনা মসার পিস্তল রাখার অপরাধে তাঁর দু-বছরের জেল হয়। তিনি ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং ১৯৭০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শব্দার্থ :
ভিত্তি—ভিত।
দরখাস্ত—আবেদনপত্র।
মহীয়সী — মহান নারী যিনি।
ভ্রাতুষ্পুত্র—ভাইয়ের পুত্র, ভাইপো। শ্যেনদৃষ্টি — তীক্ষ্ণদৃষ্টি।
গৃহকর্ত্রী— বাড়ির প্রধান যে মহিলা।
অগ্রগামী—আগে থাকেন যিনি।
পলাতক — যে পালিয়ে বেড়ায়।
ব্যর্থকাম — অসফল, পরাজিত।
দরখাস্ত — আবেদন।
বোনপো — বোনের ছেলে।
মসার পিস্তল— মসার কোম্পানির তৈরি করা পিস্তল।
গাড়োয়ান – যে গোরুর গাড়ি চালায়।
অগ্রগামী— যে এগিয়ে থাকে।
অনাদর-অবহেলা, অসম্মান।
তল্লাশি — অনুসন্ধান।
অর্ধমৃত — আধমরা।
সম্বল — পুঁজি, পাথেয়।
লাঞ্ছনা—ভৎসনা, তিরস্কার।
হুলিয়া—অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য অর্থসহ ঘোষিত বিজ্ঞাপন।
ব্যবধান— ফারাক, দূরত্ব।
হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ননীবালা দেবী বিপ্লবের দীক্ষা পেয়েছিলেন (অমরেন্দ্র চ্যাটার্জী / যাদুগোপাল মুখার্জী/ ভোলানাথ চ্যাটার্জী)-র কাছে।
উঃ। অমরেন্দ্র চ্যাটার্জী।
১.২ ননীবালা দেবী (রিষড়াতে চুঁচুড়াতে/চন্দননগরে) অমর চ্যাটার্জী ও তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে আশ্রয় দেন।
উঃ। রিষড়াতে।
১.৩ চন্দননগর থেকে পালিয়ে ননীবালা দেবী যান (পেশোয়ারে / কাশীতে/ রিষড়াতে)।
উঃ। পেশোয়ারে।
১.৪ কাশীর ডেপুটি পুলিশ সুপার (জিতেন ব্যানার্জী/ হিতেন ব্যানার্জী/যতীন ব্যানার্জী) ননীবালা দেবীকে জেরা করতেন।
উঃ। জিতেন ব্যানার্জী।
১.৫ পুলিশ সুপার গোল্ডির কাছে ননীবালা দেবী (সারদামণি দেবী/ভগিনী নিবেদিতা/দুকড়িবালা দেবী) র কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
উঃ। সারদামণি দেবী।
১.৬ দুকড়িবালা দেবী বিপ্লবের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন (বোনপো/ ভাইপো/ ভাই) নিবারণ ঘটকের কাছে।
উঃ। বোনপো।
১.৭ নিবারণ ঘটক দুকড়িবালা দেবীকে সাতটা (মসার/কোল্ট/রাইফেল) পিস্তল লুকিয়ে রাখতে বলেন।
উঃ। মসার পিতল।
১.৮ বিপ্লবী হরিদাস দত্ত (গাড়োয়ান পুলিশ/খালাসি)-র ছদ্মবেশে পিস্তল চুরি করেন।
উঃ। গাড়োয়ান।
১.৯ পিছল বাড়িতে রাখার অপরাধে দুকড়িবালা দেবীর (দু-বছর/পাঁচবছর/ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
উঃ। দু-বছর।
১.১০ দুকড়িবালা দেবীর মৃত্যু হয় (১৯৬৯/১৯৭০/১৯৭১) সালে।
উঃ। ১৯৭০ সালে।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ বিপ্লবী রামচন্দ্র মজুমদারের 'মসার' (পিস্তল)-এর খোঁজ নেওয়ার জন্য ননীবালা দেবী কী কৌশল অবলম্বন করেছিলেন ?
উঃ। বিধবা ননীবালা দেবী রামচন্দ্রবাবুর স্ত্রী সেজে প্রেসিডেন্সি জেলে যান সেখানে গিয়ে রামবাবুর ইন্টারভিউ নিয়ে পিতলের গুপ্ত খবর নিয়ে এসেছিলেন।
২.২ “এঁদের সকলেরই মাথায় অনেক হাজার টাকার হুলিয়া ছিল”—“হুলিয়া” শব্দের অর্থ কী? এঁরা কারা? এঁদের আশ্রয়দাত্রী কে ছিলেন? হুলিয়া থাকার জন্য এঁরা কীভাবে চলাফেরা করতেন ?
উঃ। “হুলিয়া' শব্দের অর্থ পলাতকের জন্য ঘোষিত পুরস্কার।
এঁরা ছিলেন যদুগোপাল মুখার্জী, অমর চ্যাটার্জী, অতুল ঘোষ, ভোলানাথ চ্যাটার্জী, নলিনীকান্ত কর, বিনয়ভূষণ ও বিজয় চক্রবর্তী।
এঁদের আশ্রয়দাত্রী ছিলেন ননীবালা দেবী। হুলিয়া থাকার জন্য এঁরা দিনের বেলা সারাদিন দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকতেন, রাত্রে সুবিধামতো বেরোতেন।
২.৩ “ননীবালা দেবী পলাতক হলেন” –ননীবালা দেবী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কেন? তিনি পালিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন? সেখানে তিনি কোন্ অসুখে আক্রান্ত হন?
উঃ। পুলিশ ননীবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠায় ননীবালা দেবী পালিয়ে গিয়েছিলেন।
ননীবালা দেবী তাঁর বাল্যবন্ধুর দাদা প্রবোধ মিত্রকে অনুনয় বিনয় করে তাঁর সঙ্গে পেশোয়ারে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
সেখানে গিয়ে ননীবালা দেবী কলেরায় আক্রান্ত হন।
২.৪ “ননীবালা দেবী সবই অস্বীকার করতেন” -ননীবালা দেবী কোন্ কথা অস্বীকার করতেন ? তার ফলশ্রুতিই বা কী হত?
উঃ। ননীবালা দেবী বিপ্লবীদের সাথে তাঁর যোগাযোগের কথা অস্বীকার করতেন। তিনি বলতেন কাউকেই তিনি চেনেন না ও কিছুই জানেন না।
তার ফলে কাশীর পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট জিতেন ব্যানার্জী তাঁকে রোজ প্রায় আধঘণ্টা আলোবাতাসহীন পানিশমেন্ট চেম্বারে অর্থাৎ শাস্তি কুঠুরিতে ঢুকিয়ে রাখাতেন ।
২.৫ কাশীর জেলের 'পানিশমেন্ট সেল'টির অবস্থা কেমন ছিল? সেখানে ননীবালা দেবীর উপর কী ধরনের অত্যাচার করা হত?
উঃ। কাশীর জেলটি ছিল পুরোনো, সেকেলে। সেই জেলের পানিশমেন্ট প্রাচীরের বাইরে সেলটি ছিল মাটির নীচে। তাতে দরজা ছিল একটাই, কিন্তু আলো বাতাস প্রবেশের কোনো জানালা ছিল না।
সেখানে তিন দিন প্রায় আধঘণ্টা ধরে ননীবালা দেবীকে ওই কবরের মতো স্থানে আটকে রাখা হত। তৃতীয় দিনে তাঁকে প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কবরের মতো সেলে আধঘন্টা আটকে রাখার পর দেখা যেত ননীবালা দেবীর অর্ধমৃত অবস্থা। তাঁর স্নায়ুর শক্তিকে পূর্ণ করে দেবার মতো অত্যাচার করা হত।
২.৬ “ননীবালা দেবী তখুনি দরখাস্ত লিখে দিলেন”—ননীবালা দেবী কাকে দরখাস্ত লিখে দিয়েছিলেন? দরখাস্তের বিষয়বস্তু কী ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই দরখাস্তের কী পরিণতি হয়েছিল।
উঃ। ননীবালা দেবী আই বি পুলিশের স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট গোল্ডিকে দরখাস্ত লিখে দিয়েছিলেন।
দরখাস্তের বিষয়বস্তু ছিল, ননীবালা দেবী বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্ত্রী সারদা মার কাছে গিয়া থাকতে চান।
শেষ পর্যন্ত গোল্ডিকে সেই দরখাস্ত ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলে।
২.৭ এবার আমায় দলে নিবো না' কে, কাকে এই অনুরোধ জানিয়েছিলেন? তিনি কেন, কোন দলে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ছিলেন।
উঃ। দুকড়িবালা দেবী তার বোনপো নিবারণ ঘটককে এই অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
তিনি দেশ স্বাধীন করার জন্য স্বদেশিদের দলে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ছিলেন।
২.৯ পুলিশ কোন্ অভিযোগে দুকড়িবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করেন। বিচারে তাঁর কী শাস্তি হয় ?
উঃ। ১৯১৭ সালে পুলিশ দুকড়িবালা দেবীর বাড়ি ঘিরে ফেলে তাঁর বাড়ি থেকে সাতটি মশার পিস্তল পায়। অস্ত্র রাখার অভিযোগে পুলিশ দুকড়িবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করে। বিচারে তার দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
৩. আট-দশটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
৩.১ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী স্বনামধন্য খ্যাতনামা বিপ্লবীদের তুলনায় ননীবালা দেবী ও দুকড়িবালা দেবীর অবদান সামান্য নয়—এ বিষয়ে তোমার মতামত জানাও।
উঃ ননীবালা দেবী তৎকালীন বাংলার আর পাঁচজন মহিলার থেকে আলাদা ছিলেন। তিনি ছিলেন অসিমসাহসী। তিনি নিজের পরিণতির কথা না-ভেবে বিপ্লবীদের তিনি আশ্রয় দিতেন। তৎকালীন বাংলায় ছদ্মবেশে বিধবা সেজে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ইন্টারভিউ নিয়ে পিস্তলের সন্ধান আনেন। জেলের চরম অত্যাচারও এক মুহুর্তের জন্য তাঁকে টলাতে পারেনি।
দুকড়িবালা দেবী ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ মহিলা। কিন্তু তিনিই বিপ্লবীদের আশ্রয় দিতেন। তাঁদের অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন। ধরা পড়ে তাঁর দু-বছরের জেল হয়। তখনও তিনি নিজের কথা না-ভেবে তাঁর বাবাকে চিঠিতে জানাতেন, যেন তাঁর বাচ্চারা না কাঁদে। এরা দুজনেই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রগামী নারী সৈনিক এবং মহীয়সী বিপ্লবী।
৩.২ ননীবালা দেবী ও দুকড়িবালা দেবীর অনমনীয় বৈপ্লবিক মনোভাব কীভাবে পরবর্তীকালের বিপ্লবী নারীকে পথ দেখিয়েছে? পাঠ গদ্যাংশ অবলম্বনে তোমার মতামত জানাও।
উঃ। এই দুই বিপ্লবী নারীর এই ধরনের মানসিকতা ও অনমনীয় মনোভাব পরবর্তীকালেও ভারতীয় মহিলাদের প্রেরণা দিয়েছে। তাঁদের থেকে পরবর্তীকালের ভারতীয় নারীরা সহ্যশক্তি, আত্মবলিদান-এর শিক্ষা পেয়েছেন। তাঁদের এইরূপ জীবন বহু নারীর কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করেছে।
৪. ননীবালা দেবী এবং দুকড়িবালা দেবী ছাড়া আর কোন্ কোন্ মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা জানো? তাঁদের কথা শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে জেনে নাও এবং খাতায় লেখো।
উঃ। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার : ইনি মাস্টারদা সূর্য সেনের শিষ্যা ছিলেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পর প্রীতিলতার নেতৃত্বেই বিপ্লবীরা পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ করেন।
মাতঙ্গিনী হাজরা : গান্ধিজির আদর্শে দীক্ষিত ছিলেন। ১৯৪২-এর পর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মিছিলে হাঁটার সময় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
শান্তি চৌধুরী ও সুনীতি ঘোষ : এই দুই মহিলা বিপ্লবী কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেনশনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
বীণা দাস ঃ ১৯৩২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব সভায় বাংলার গভর্নরকে তিনি গুলি করে মারেন।
৫. ঘটনার ক্রম অনুসারে সাজিয়ে লেখো :
৫.১ চন্দননগরের যদুগোপাল মুখার্জী, অমর চ্যাটার্জী, অতুল ঘোষ প্রমুখ বিপ্লবীকে আশ্রয়দান ও সেখান থেকে পলায়ন করলেন ননীবালা দেবী।
৫.২ পেশোয়ার থেকে গ্রেপ্তার করে কাশীতে পাঠানো হল ননীবালা দেবীকে এবং আলো- বাতাসহীন ঘরে বন্ধ করে তালা বন্ধ করে শাস্তি দেওয়া হত।
৫.৩ বাগবাজারে মা সারদার কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে দরখাস্ত লিখলেন ননীবালা দেবী।
৫.৪ আই. বি. পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট গোল্ডি ননীবালা দেবীকে জেরা করতেন।
৫.৫ অমর চ্যাটার্জী ও তাঁর সহকর্মীকে রিষড়াতে দুই মাস আশ্রয় দিলেন ননীবালা দেবী।
৫.৬ পুলিশ সুপার গোল্ডি দরখাস্ত ছিঁড়ে ফেলায় ক্ষিপ্ত ননীবালা দেবী এক চড় বসিয়ে দিলেন গোল্ডির মুখে।
৫.৭ ভাইপো অমরেন্দ্র চ্যাটার্জির কাছে বিপ্লবের দীক্ষা পেলেন ননীবালা দেবী।
৫.৮ রামচন্দ্র মজুমদারের স্ত্রী সেজে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ননীবালা দেবী সংগ্রহ করলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর।
উঃ। ৫.৭ ভাইপো অমরেন্দ্র চ্যাটার্জির কাছে বিপ্লবের দীক্ষা পেলেন ননীবালা দেবী।
৫. অমর চ্যাটার্জী ও তাঁর সহকর্মীকে রিষড়াতে দুই মাস আশ্রয় দেন ননীবালা দেবী।
৫.৮ রামচন্দ্র মজুমদারের স্ত্রী সেজে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ননীবালা দেবী সংগ্রহ করলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর।
৫.১ চন্দননগরের যাদুগোপাল মুখার্জী, অমর চ্যাটার্জী, অতুল ঘোষ প্রমুখ বিপ্লবীকে আশ্রয়দান ও সেখান থেকে পলায়ন করলেন ননীবালা দেবী।
৫.২ পেশোয়ার থেকে গ্রেপ্তার করে কাশীতে পাঠানো হল ননীবালা দেবীকে এবং আলো- বাতাসহীন ঘরে বন্ধ করে তালা বন্ধ করে শাস্তি দেওয়া হত।
৫.৪ আই. বি. পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট গোল্ডি ননীবালা দেবীকে জেরা করতেন।
৫.৩ বাগবাজারে মা সারদার কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে দরখাস্ত দিলেন ননীবালা দেবী।
৫.৬ পুলিশ সুপার গোল্ডি দরখাস্ত ছিঁড়ে ফেলায় ক্ষিপ্ত ননীবালা দেবী এক চড় বসিয়ে দিলেন গোল্ডির মুখে।
৬. কে কোন্ আন্দোলনের সাথে যুক্ত মিলিয়ে লেখো :
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আইন অমান্য আন্দোলন
মাতঙ্গিনী হাজরা—সিপাহি বিদ্রোহ
সরোজিনী নাইডু—ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ—লবণ সত্যাগ্রহ
উঃ। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার -ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ
সরোজিনী নাইডু লবণ সত্যাগ্রহ
মাতঙ্গিনী হাজরা—আইন অমান্য আন্দোলন
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ —সিপাহি বিদ্রোহ
৭. পাঠ্য গদ্যাংশটি পড়ে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে দু-চার কথা লেখো :
উঃ। অমরেন্দ্র চ্যাটার্জী—বিখ্যাত বিপ্লবী। উত্তরপাড়াতে বাস। তাঁর নামে একটি বিদ্যালয় রয়েছে।
প্রবোধ মিত্র—ননীবালা দেবীর বাল্যবন্ধুর দাদা। এঁর সঙ্গে ননীবালা দেবী পলাতক অবস্থায় পেশোয়ার যান।
জিতেন ব্যানার্জী—কাশীর জেলের অত্যাচারী ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট। তিনি ননীবালা দেবীকে প্রতিদিন জেল গেটের অফিসে এনে জেরা করতেন এবং কোনো কিছু সংবাদ জানতে ব্যর্থ হয়ে অন্ধকার আলোবাতাসহীন সেলে থাকে আধঘন্টা করে আটকে রাখতেন।
গোল্ডি—আই. বি. পুলিশের স্পেশ্যাল সুপারিনটেনডেন্ট। কলকাতার পেসিডেন্সি জেলে তিনি ননীবালা দেবীকে জেরা করতেন, অভদ্র ও নীচ প্রবৃত্তির মানুষ। ননীবালা দেবী বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্ত্রীর কাছে থাকার
ইচ্ছা প্রকাশ করে এনাকে দরখাস্ত লিখে দেন। ইনি সেই দরখাস্ত ছিঁড়ে ফেলায় ননীবালা দেবী ক্ষিপ্ত হয়ে তার মুখে এক চড় বসিয়ে দেন।
নিবারণ ঘটক—বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মাইনিং ক্লাসের ছাত্র। দুকড়িবালা দেবীর বোনপো। ইনি বড়ো কোম্পানি থেকে চুরি করে আনা সাতটা মসার পিস্তল দুকড়িবালা দেবীর কাছে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।
হরিদাস দত্ত—বিপ্লবী ও সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। গাড়োয়ানের ছদ্মবেশে গোরুর গাড়ি বোঝাই অস্ত্র চুরি করেন।
৮. অর্থ লেখো ও বাক্যরচনা করো :
←
উঃ। হুলিয়া-আসামিকে গ্রেপ্তার করার জন্য ছবিসহ বিজ্ঞাপন> কুখ্যাত আসামির নামে হুলিয়া বের হয়।
মসার— এক ধরনের পিস্তল > ব্রিটিশ শাসনের বিপ্লবীদের একপ্রকার বন্দুক ।
দরখাস্ত—আবেদনপত্র> স্কুল ছুটির জন্য মাস্টারমশাইয়ের কাছে দরখাস্ত লিখতে হয়।
কারাদণ্ড—জেলে রেখে শাস্তি > অপরাধীতে কারাদণ্ড হয়।
নিশাচর—যে রাতে চরে > বাদুড় একটি নিশাচর প্রাণী।
৯. নীচের স্থূলাক্ষর অংশগুলির কারক-বিভক্তি লেখো :
১.১ বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জীর কাছে বিপ্লবের দীক্ষা নেন ননীবালা দেবী।
উঃ। করণকারকে ‘র’ বিভক্তি।
৯.২ ১৯১৫ সালে চন্দননগরে আবার বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
উঃ। অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৯.৩ স্নায়ুর শক্তিকে চূর্ণ করে দেবার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা। উঃ। কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি।
৯.৪ এগুলি ছিল রডা কোম্পানি থেকে চুরি করে আনা মাল।
উঃ। অপাদান কারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৯.৫ ছ-খানা গাড়ি তিনি রডা কোম্পানির গুদামে পৌঁছে দেন।
উঃ। কর্তৃকারকে 'র' বিভক্তি।
৯.৬ তল্লাসীতে পাওয়া যায় সাতটা মসার পিস্তল। উঃ। নিমিত্ত কারকে 'এ' বিভক্তি। কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৯.৭ শত জেরাতে মাসিমার মুখ থেকে বের করতে পারল না।
উঃ। অপাদান কারকে 'এ' বিভক্তি।
১০. এককথায় লেখো :
উঃ। পলায়ন করেছেন যিনি।> পলাতক।
একসঙ্গে কাজ করেন যিনি > সহকর্মী।
বাজ পাখির মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি> শ্যেনদৃষ্টি।
বাল্যকালের বন্ধু > বাল্যবন্ধু।
আবেদন জানিয়ে লিখিত পত্র > দরখাস্ত ।
এগিয়ে থাকেন / অগ্রে বাস করেন যিনি >
অগ্রগামী।
মহান কর্মে ব্রতী নারী - মহীয়সী।
-
বাড়তি প্রশ্নোত্তর
ঃ-
১. রিষড়াতে তল্লাশির সময় কে কে পলাতক ও গ্রেপ্তার হন?
উঃ। রিষড়াতে তল্লাশির সময় অমরেন্দ্র চ্যাটার্জী পলাতক হন এবং রামচন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার হন।
২. ননীবালা দেবীকে কোথায় রাখা নিরাপদ হল না ? উঃ। ননীবালা দেবীকে চন্দননগরে রাখা নিরাপদ হল না।
৩. পুলিশ ননীবালা দেবীকে কাশী থেকে কোথায় নিয়ে এসেছিল? উঃ । পুলিশ
ননীবালা দেবীকে কাশী থেকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে এসেছিল।
৪. ননীবালা দেবী কবে মুক্তি পেয়েছিলেন? উঃ। ননীবালা দেবী ১৯১৯ সালে
মুক্তি পেয়েছিলেন।
৫. দুকড়িবালা দেবীর বালিতে কে কী লুকিয়ে রেখেছিলেন? উঃ। দুকড়িবালা
দেবীর বোনপো নিবারণ ঘটক সাতটা মসার পিস্তল তাঁর বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
★ বিচারে দুকড়িবালা দেবীর কী শাস্তি হয়েছিল?
উঃ। স্পেশাল ট্রাইবুনালের
বিচারের রায়ে দুকড়িবালাদেবীর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছিল।
★ কবে দুকড়িবালা দেবী মুক্তি পান? উঃ। ১৯১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দুকড়িবালা দেবী মুক্তি পান।
★ কার কাছে ননীবালা দেবী বিপ্লবের দীক্ষা নেন? সম্পর্কে তিনি ননীবালা দেবীর কে ছিলেন?
উঃ। বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জীর কাছে ননীবালা দেবী বিপ্লবের দীক্ষা নেন।
সম্পর্কে অমরেন্দ্র চ্যাটার্জী ছিলেন ননীবালা দেবীর ভ্রাতুষ্পুত্র।
★ ননীবালা দেবী কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? তাঁর পিতামাতা কে ছিলেন? তাঁর সম্বন্ধে কি জানা যায় ?
উঃ। ১৮৮৮ সালে হাওড়া জেলার বালিতে ননীবালা দেবী জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা ছিলেন সূর্য্যকান্ত ব্যানার্জী, মা গিরিবালা দেবী।
এগারো বছর বয়সে ননীবালা দেবীর বিবাহ হয় এবং মাত্র ষোলো বছর বয়সে তিনি বিধবা হয়ে বাবার কাছেই ফিরে আসেন।
★ দুকড়িবালা দেবীর পরিচয় দাও।
উঃ। ১৮৮৭ সালে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার ঝাউপাড়া গ্রামে দুকড়িবালা দেবী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল নীলমণি চট্টোপাধ্যায় এবং মা কমলকামিনী দেবী। দুকড়িবালা দেবীর স্বামী ছিলেন ঝাউপাড়া গ্রামেরই
ফণীভূষণ চক্রবর্তী। ১৯১৭ সালে দুকড়িবালা দেবীর দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা হয়। তিনি ১৯১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পান। সম্ভবত ১৯৭০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
★ 'আপনি দরখাস্ত লিখে দেন'–কে কাকে দরখাস্ত লিখে দেন? দরখাস্ত লেখার পরের ঘটনাটি লেখো।
উঃ। ননীবালা দেবী আই.বি. পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেডেন্ট গোল্ডির কাছে অনুরোধ করেন যে তিনি বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্ত্রী সারদা মায়ের কাছে গিয়ে থাকতে চান।
এজন্য তিনি গোল্ডির কাছে একটি দরখাস্ত লিখে দিয়েছিলেন।
ননীবালা দেবীর দরখাস্ত হাতে নিয়ে গোল্ডি সেটিকে ছিঁড়ে দলা পাকিয়ে ছেঁড়া কাগজের টুকরিতে ফেলে দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আহত বাঘের মতো লাফিয়ে উঠে ননীবালা দেবী গোল্ডির মুখে এক চড় বসিয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় চড় মারবার আগেই অন্য সি.আই.ডি কর্মীরা পিসিমা করেন কি' বলে তাঁর উদ্যত হাতকে চেপে ধরেছিলেন।
★ 'আবার বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল'—কবে কোথায় বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল? বাড়ি ভাড়া পাওয়ার শর্ত কী ছিল ? সেখানে গৃহকর্ত্রীর বেশে কে এসেছিলেন?
উঃ। ১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবার চন্দননগরে বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
এখানে বাড়িভাড়া পাওয়ার শর্ত ছিল সঙ্গে মেয়েরা না থাকলে বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে না।
সেখানে গৃহকর্ত্রীর বেশে এসেছিলেন দু কুড়ি বলা দেবী।
★ দুকড়িবালা দেবী বন্দীজীবন কীভাবে কাটাতেন ?
উঃ । ১৯১৭ সালে দুকড়িবালা দেবীর বাড়ি আশির ফলে সাতটা মসার পিস্তল পাওয়া যায়। এতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আমের মেনো দুকড়িবালা কোলের শিশুকে বাড়িতে রেখে জেলে গিয়েছিলেন। বন্দী জীবনের অসত্য পরিবেশের মধ্যে থেকেও প্রতিদিন তিনি আগমণ ডাল ভাঙতেন। এর মধ্যেও তিনি বাবাকে
চিঠি লিখেছিলেন যে তিনি ভালোই আছেন। তার জন্য যেন তাঁরা চিন্তা না করেন।
শুধু বাচ্চাদের যেন তারা দেখেন এবং তারা যেন না কাঁদে।
★ 'এই চুরির কাহিনি অভিনব'—অভিনব চুরির ঘটনাটি লেখো।
উঃ ১৯১৪ সালের ২৬ আগস্ট রডা কোম্পানির জেটি সরকার শ্রীশ মিত্র বড়ো সাহেবের হুকুম অনুযায়ী ২০২টি
অস্ত্রপূর্ণ বাকসো জাহাজঘাট থেকে খালাস করে সাতটি গোরুর গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে আসতে থাকেন। একটি গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান সেজে বিপ্লবী হরিদাস দত্ত ইংরেজদের মধ্যে গিয়ে, তাদের কাছ থেকে একটা পুরো গোরুর গাড়ি
শুদ্ধ গোলাবারুদ নিয়ে উধাও হয়ে যান। সেই গাড়িতে ছিল ৯টি বাকসো ভরা কার্তুজ এবং একটিতে ৫০টি মসার পিস্তল। তাকে কেউ ধরতে পারেনি। ছদ্মবেশে চুরির অভিনবত্ব এটাই।
২. পদ পরিবর্তন করো : বিপ্লবী, নিষ্ঠুর, তৎপরতা, লাঞ্ছনা, দারিদ্র্য, প্রেরিত।
উঃ। বিপ্লবী — বিপ্লব।
নিষ্ঠুর নিষ্ঠুরতা।
তৎপরতা – তৎপর।
লাঞ্ছনা – লাঞ্ছিত।
দারিদ্র্য — দারিদ্র।
প্রেরিত— প্রেরণ।
৩. বাক্য বাড়িয়ে লেখ
(ক) ইনটারভিউ নিয়ে জেনে এলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর। (কে? কোথা থেকে ?)
উঃ। বিধবা ননীবালা দেবী প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ইনটারভিউ নিয়ে জেনে এলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর।
(খ) আবার বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল। (কবে? কোথায় ?)
উঃ। ১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবার চন্দননগরে বাড়িভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
(গ) বললেন, 'এবার আমায় দলে নিয়ে নাও।' (কে? কাকে?)
উঃ। দুকড়িবালা দেবী বোনপো নিবারণ ঘটককে বললেন এবার আমায় দলে নিয়ে নাও।
(ঘ) বড়োসাহেবের হুকুম মতো মালপত্র খালাস করতে জাহাজঘাটে যান। (কে? কবে ?)
উঃ। ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট রডা কোম্পানির জেটি সরকার শ্রীশ মিত্র বড়োসাহেবের হুকুমমতো মালপত্র
খালাস করতে জাহাজপাটে যান।
বিপরীত শব্দ ঃ অদৃশ্য— দৃশ্য। প্রবেশ—প্রস্থান। ক্ষিপ্ত—শান্ত। আদেশ — অনুরোধ। স্থান — অস্থান।
সম্বল – নিঃসম্বল। অনাদর — আদর। গৌরব অগৌরব। অসহা—সহ্য। অগ্রগামী — পশ্চাদপসরণ।
