ভারত তীর্থ || সপ্তম শ্রেণী || হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || BHARAT TIRTHA | CLASS 7 || QUESTIiON ANSWER
সপ্তম শ্রেণি বাংলা
অষ্টম পাঠ
গান : ভারত তীর্থ
কবি : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবিতা পরিচয় : ভারততীর্থ' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের বীতাগুলি' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। একটি তীর্থ ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ এসে একস্থানে মিলিত হয়ে সেখানে এক হয়ে যায়, কবির মতে সেরকম একটি দেশ ভারতবর্ষ। এখানে নানা সময়, নানা দেশের, নানা মানুষ এসে এক দেহে লীন হয়ে গেছে। তাই কবি ভারতবর্ষকে তীর্থক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তীর্থ ক্ষেত্রে গিয়ে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দ করে কাটায় আর কেউ কেউ সেখানে থেকে যায় ।তেমনি ভারতবর্ষে বহু জাতি এসে এখানে থেকে গেছে। তাই 'ভারততীর্থ নামকরণটি সার্থক হয়েছে।
সারমর্ম : বিশাল এই দেশ ভারতবর্ষ। নানা ভাষার, নানা জাতির মানুষের বাস এখানে। কেউ জানে না কার অহ্বানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে তারা এসেছে। এসেছে বসতি করতে, রাজত্ব করতে, লুন্ঠন করতে। তারা কেউ এখান থেকে একেবারে চলে যায়নি, রয়ে গেছে। এখানে আর্য, অনার্য, দ্রাবিড়, চিন, মোগল, পাঠান কেউ জানা নয়, সবাই সমান। এই ভারতে যারা আসেনি তারাও আসবে। এখানে ব্রাহ্মণ পন্ডিতের হাত ধরে মন শুচি করবে। পতিত তার অপমান ভুলে যাবে। সেই দিনটির অভিবেক লগ্নে সবাইকে কবি আহ্বান জানিয়েছেন সবার পাশে পবিত্র ভারতবর্ষের এই পবিত্র তীর্থনীরে।
শব্দার্থ :
হেরো—দেখো।
লীন—মিলিত।
উন্মাদ- পাগল।
রণ—যুদ্ধ।
বন্ধ— বাঁধন।
চিত্ত—মন।
নর— মানুষ।
নমি - প্রণাম করি।
ভূধর - ভূপৃষ্ঠ।
অনল—আগুন।
লভিবে — নেবে।
হিয়া — মন।
বিভেদ - পার্থক্য।
হোমানল - যজ্ঞের আগুন।
অবসান – শেষ, সমাপ্ত।
বন্দনা - বন্দন করা।
পরশে - স্পর্শে।
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ কবিতায় ভারতভূমিকে 'পুণ্যতীর্থ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর -ভারতবর্ষ এমন এক স্থান, যেখানে নানা সময় নানা স্থানের মানুষ এসেছে । মানুষ যেমন পূন্যের টানে যায় এবং সেখানে সকলের সাথে মিলেমিশে কাটায়। কেউ কেউ সেখানে থেকে যায়। তেমনি ভারত ভূমির টানে তারা এখানে ছুটে এসেছে। তারা এখানে কেউ কেউ থেকেও গেছে। তাই কবিতায় ভারত ভূমিকে পূণ্য তীর্থক্ষেত্র বলা হয়েছে ।
২. মহামানবের সাগরতীরে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর:- কবির মতে মানুষই হল প্রধান দেবতা। সেখানে পতিত ও ব্রাহ্মণের কোনো ভেদাভেদ নেই। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ হলো সবার শ্রেষ্ঠ। ভারতবর্ষ এমন নিয়ে এক মহামানবের মিলনসাগর। তাই সাগরকে কবি মহামানবের সাগরতীর বলেছেন।
৩. ভারতের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধরা পড়েছে, কবিতা থেকে এমন একটি পঙক্তি উদ্ধৃত করো।
উত্তর- পঙক্তিটি হল ধ্যানগম্ভীর এই যে ভু-ধর। নদী জপমালা ধৃত প্রান্তর।
৪. ভারতবর্ষকে পদানত করতে কোন কোন বিদেশি শক্তি অতীতে এদেশে এসেছিল? তাদের পরিণতি কী ঘটল ?
উত্তর - ভারতবর্ষকে পদার্থ করতে অতীতে শ খ পাঠান মোগল প্রবৃত্তি জাতীয় বিদেশি শক্তি ভারতবর্ষ তে এসেছিল এখানে এসে তারা সবাই এক দেহে লীন হয়ে গেছিল। আমাদের সভ্যতার মাঝে তারা নিজেদের মিশিয়ে দিয়েছিল।
৫." পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দার" উদ্ধৃতঅংশে কোন পরিস্থিতি কথা বলা হয়েছে? এমন পরিস্থিতিতে কবির অভীষ্ঠ কি?
উত্তর- উদ্ধৃতঅংশে ব্রিটিশ , ফরাসি ইত্যাদি জাতির ভারতবর্ষে আগমনের কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে আগত মানুষজন তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে উপহার হিসেবে এ দেশে নিয়ে এসেছে। কবি মনে করেছেন তারা এসেছে, তারা দেবে আর নেবে। মিলাবে এবং মেলাবে। কেউ ফিরে যাবে না ।
৬. "আমার শোণিতে রয়েছে ধ্বনিতে তার বিচিন্ন সুর” কোন সুরের কথা বলা হয়েছে। তাকে 'বিচিত্র' বলার কারণ কী? কেনই বা সে সুর কবির রক্তে ধ্বনিত হয়?
উত্তর- যারা গিরি - মরূপথ অতিক্রম করে বিজয়ের জয়গান গেয়ে কলরব করতে করতে ভারতে প্রবেশ করেছিল তাদের সুরের কথা বলা হয়েছে।
যেহেতু সেই সুরে অনেক মানুষের নানান ভাষার ধনী রয়েছে , তাই তাকে বিচিত্র বলা হয়েছে।
কবি এখানে ভারতবর্ষের সাথে একাত্মা অনুভব করছেন । তাই কবির রক্তে বহু মানুষের মিলনের সেই বিচিত্র সুর ধ্বনিত হয়েছে। কবি অনুভব করছেন তারা সবাই তার মাঝেই বিরাজ করছে।
৭. 'হে রুদ্রবীণা বাজো বাজো বাজো'
-রুদ্রবীণা কী? কবি তার বেজে ওঠার প্রত্যাশী কেন ?
উঃ। পুরাণ কাহিনি মতে 'রুদ্রবীণা' হল ভগবান শিবের বীনা। এটি একধরণের বাদ্যযন্ত্র।
রুদ্রবীণা হল ধ্বংসের প্রতীক। কবি এখানে চাইছেন যারা আজও ঘৃণার বসে ভারতবর্ষ থেকে দূরে রয়েছেন রুদ্রবীণার ধ্বনিতে তাদের সে বাঁধন ভেঙে যাবে, তারাও এই মহান ভারতবর্ষে মহামানবের সাগর তীরে উপনীত হবে।
৮. 'আছে সে ভাগ্যে লিখা' – ভাগ্যে কী লেখা আছে? সে লিখন পাঠ করে কবি তাঁর মনে কোন শপথ গ্রহণ করেছেন?
উঃ। যে হোমের আগুনে বিভেদ ভুলে এক বিরাট হৃদয় গড়ে উঠেছিল, এখন সেই হোমের আগুনে দুঃখের রক্তশিখা জ্বলছে, সেই দুঃখকে সহ্য করতে হবে, অন্তরে দহন করতে হবে, তাই ভাগ্যে লেখা আছে।
সে লিখন পাঠ করে কবি শপথ গ্রহণ করেছেন যে, একতার ডাক শুনে তিনি সেই দুঃখ বহন করবেন, সমস্ত লজ্জা ও ভয়কে জয় করবেন, এর ফলেই অপমান দূরে সরে যাবে।
৯. 'পোহায় রজনী' অন্ধকার রাত শেষে যে নতুন আশার আলোকোজ্জ্বল দিন আসবে তার চিত্রটি কীভাবে ভারত তীর্থ কবিতায় রূপায়িত হয়েছে?
উঃ। ভারততীর্থ' কবিতায় কবি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, অন্ধকার রাত শেষ হয়ে সেই আলোকোজ্জ্বল দিনটি আসবে যে-দিন আর্য-অনার্য, হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান সবাই আসবে এবং এক হয়ে মিলিত হবে। ব্রাহ্মণ যেদিন মন শুচি করে পতিতের হাত ধরবে এবং সব অপমান ভার ঘুচে যাবে।
১০. মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা’কবি কাদের ব্যাকুল আহ্বান জানিয়েছেন ? কোন্ মায়ের কথা এখানে বলা হয়েছে? এ কোন্ অভিষেক? সে অভিষেক কীভাবে সম্পন্ন ও সার্থক হবে?
উঃ। কবি আর্য-অনার্য, হিন্দু-মুসলমান, ইংরেজ, খ্রিস্টান, ব্রাহ্মণ-পতিত সবাইকে আহ্বান করেছেন।
এখানে ভারত মায়ের কথা বলা হয়েছে।
এই অভিষেক এক নতুন দিনের নতুন দেশ গঠনের অভিষেক। ভারতমায়ের জয়গানের অভিষেক, এক নতুন ভারততীর্থ গড়ার প্রয়াস।
সে অভিষেক দ্বারা সকল ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে তাদের পরস্পরের হাত ধরার মধ্যে দিয়ে ভারতভূমি পবিত্র হবে। ভারতবর্ষ সবার স্পর্শে পবিত্র তীর্থনীরে পরিণত হবে।
১১. টীকা লেখো :
উঃ। ওংকার ধ্বনি : ওংকার হল একটি শক্তির প্রতীক। পুরাণ কাহিনি ও প্রাচীন শাস্ত্রমতে, এই ধ্বনি সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে চালনা করে। এই শন্তির জন্য উচ্চারিত মন্ত্রকে বলা হয় ওংকার ধ্বনি।
শক : শক হল একটি যুদ্ধবাজ জাতি। প্রাচীন ভারতে বারবার এদের আক্রমণ ঘটেছে। নিষ্ঠুর ও যোদ্ধা জাতি শকদের দমন করেন গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
হুন ঃ হুন হল একটি বিদেশি জাতি। এরা মূলত মধ্য এশিয়ায় বসবাস করত। গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্ত ভারতবর্ষে হুন আক্রমণ প্রতিরোধ করেন।
মোগল : মোগল বা মুঘল হল মধ্য এশিয়ার জনজাতি। ভারতবর্ষে এরা কয়েকশো বছর রাজত্ব করেছে। বাবর, আকবর, শাহজাহান প্রমুখরা ছিলেন ভারতবর্ষের মোগল সম্রাট। ভারতে বহু স্থাপত্য কীর্তি মোগলরা তৈরি করেছে।
দ্রাবিড় : বহু প্রাচীন জনজাতি। বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে এখন এদের মূলত বসবাস।
ইংরেজ : ইউরোপ থেকে আগত জাতি। ইংল্যান্ডে বসবাসকারীদের ইংরেজ বলা হয়। ব্যাবসা করতে এসে কালক্রমে ভারতবর্ষে প্রায় পৌনে দুশো বছর এরা রাজত্ব করে। সর্বশেষ এদের হাত থেকেই ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে।
১২. ভারতবর্ষের অতীত ইতিহাসের কথা কবিতায় কীভাবে বিধৃত হয়েছে।
উঃ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষে বহু জনজাতি এসেছে। শক-হুন-পাঠান ইত্যাদিরা ভারতে এসেছে। কেউ এসেছে রাজত্ব করতে, কেউ বা এসেছে লুণ্ঠন করতে। এই ধরনের ঘটনা ভারতের ইতিহাসে বারংবার ঘটেছে। অতীতের সেই ইতিহাসের পথ দিয়েই এসেছে ইংরেজ। এরা সবাই এসেছে, এসে কালক্রমে ভারতের সাথে একাত্ম হয়ে গেছে।
১৩. কবির দৃষ্টিতে ভবিষ্যৎ ভারতের যে স্বপ্নিল ছবি ধরা পড়েছে, তার পরিচয় দাও।
উঃ। কবি কল্পনা করেছেন যে এমন দিন আসবে যে-দিন ভারতীয়দের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। সব ধর্মবর্ণজাতিনির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এখানে এসে এক হয়ে যাবে। এক হয়ে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হবে।
১৪. বাক্যে প্রয়োগ করো ।
উঃ।
উদার- উদার মনোভাব সম্পন্ন মানুষরা সকলের কাছে প্রিয়।
অনল- অনল সবকিছু গ্রাস করে
ধৃত- ধৃত লোকটিকে পুলিশ থানায় নিয়ে এলো।
বিপুল - বৈশাখ মাসে মেলা বিপুল জনসমাবেশ ঘটেছিল।
পবিত্র - সকলের কাছে দেবালয় পবিত্র স্থান।
বিচিত্র - ভারত বর্ষ বিচিত্র এক দেশ।
লীন - ভারতবর্ষের সব জাতি লীন হয়ে গেছে।
সাধনা - পড়াশোনা একটি সাধনা।
মন্ত্র - পূজায় মন্ত্র পাঠ করা হয়।
জয়গান - জীবনের জয়গান সকলে গাইতে ভালবাসে।
১৫. প্রতিশব্দ লেখো
উঃ সাগর- সমুদ্র, অর্ণব, জলদি।
হিয়া- হৃদয়, মন, অন্তর
রজনী-রাত্রি, নিশা, যামিনী।
ভূধর - পাহাড়, গিরি, নগ।
ধরিত্রী - পৃথিবী, ধরা, মেদিনী।
নীর-জল,বারি,সলিল।
১৬. শালা শব্দের অর্থ গৃহ, আগার। যজ্ঞশালার অনুরূপ 'শালা' পদযুক্ত আরও পাঁচটি শব্দ লেখো।
উঃ ধর্মশালা, পানশালা, গোশালা, পাঠশালা, অতিথিশালা ।
১৭. নীচের পঙৃন্তিগুলি গদ্য বাক্যে লেখো ।
১৭.১ দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে, সমুদ্রে হলো হারা।
উঃ। দুর্বার স্রোতে কোথা থেকে এসে সমুদ্রে হারাপ।
১৭.২ উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দনা করি তাঁরে।
উঃ। পরম আনন্দে এবং উদার ছন্দে তাঁকে বন্দনা করি।
১৭.৩ হৃদয়তন্ত্রে উঠেছিল রণরণি।
উঃ। হৃদয়তন্ত্রে রণরণিয়ে উঠেছিল।
১৭.৪ হেথায় নিত্য হেরো পবিত্র ধরিত্রীরে।
উঃ। এখানে রোজ পবিত্র ধরিত্রীকে দেখো।
১৭.৫ হেথায় সবারে হবে মিলিবারে আনত শিরে ।
উঃ। এখানে সবাইকে মাথা নত করে মিলতে হবে।
১৮. বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে
তপস্যা, দুঃখ, জয়, জন্ম, শুচি, লাজ।
১৯. পরিবর্তিত করো : চিত্ত, পুণ্য, পবিত্র, এক, দ্বার, বিচিত্র,
উত্তর-
চিত্ত - চিত্তাকর্ষক।
পুণ্য – পুণ্যাত্মা।
পবিত্র- পবিত্রতা
এক -একতা
দ্বার-দ্বারস্থ
বিচিত্র - বৈচিত্র্য
তপস্যা - তপস্বী
দুঃখ - দুঃখী
জয় - জয়ী
জন্ম - জন্মগত
সূচি -সূচিতা
লাজ - লাজুক
বৈচিত্র্য। তপস্যা -তপস্বী।
দুঃখ - দুঃখী।
জয় - জয়ী।
দমন- দমনীয়।
বিচিত্র—একই।
বহু—এক।
অপমান—মান।
বিপুল
এক – একতা।
দ্বার – দ্বারস্থ।
বিচিত্র
জন্ম – জন্মগত।
শুচি – শুচিতা।
লাজ — লাজুক।
১৯. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উঃ। পরমানন্দ—পরম + আনন্দ
হোমানল—হোম + অনল।
দুঃসহ দুঃ + সহ।।
দুর্বার—দুঃ + বার।
ওংকার—ওম্ + কার।
২০. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
উঃ-ধীর- অধীর।
ধৃত — মুক্ত।
আহ্বান - বিসর্জন।
দুর্বার- দমনীয়
বিচিত্র -একই
অপমান -মান
বিপুল- স্বল্প
ত্বরা—ধীর।
পুণ্য— পাপ
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
★ কোথায় আজি দ্বার খুলিয়াছে বলে কবি বলেছেন?
উঃ। পশ্চিমে আজ দ্বার খুলেছে।
★ যারা এসেছিল সবে—তারা কীভাবে এসেছিল?
উঃ। তারা মরুপথ, গিরিপথ ভেদ করে উন্মাদ কলরবে জয়গান গেয়ে এসেছিল।
★ এখানে হৃদয়তন্ত্রে কোন্ মন্ত্র ধ্বনিত হয়েছিল?
উঃ। এখানে একদিন হৃদয়তন্ত্রে অবিরাম মহা-ওংকারধ্বনি মন্ত্র ধ্বনিত হয়েছিল।
★ কবি মনকে কী শুনতে ও কী বহন করতে বলেছেন?
উঃ। কবি মনকে একতার ডান শুনতে ও দুঃখ বহন করতে বলেছেন।
★ কী এখনও ভরা হয়নি?
উঃ। সবার স্পর্শে পবিত্র করা তীর্থনীর দ্বারা এখনও মঙ্গলঘট ভরা হয়নি।
★ কবি কী জয় করতে বলেছেন?
উঃ । কবি সমস্ত লজ্জা ও ভয়কে জয় করতে বলেছেন।
★ 'হেথায় দাঁড়ায়ে'—এখানে দাঁড়িয়ে কবি কী করতে চেয়েছেন?
উঃ। এখানে অর্থাৎ ভারততীর্থের পূর্ণ সাগরতীরে দাঁড়িয়ে দুটি বাহু প্রসারিত করে কবি নরদেবতাকে নমস্কার করেছেন এবং উনার ছন্দে আনন্দের সহিত সেই নর দেবতার বন্দনা করেছেন। অর্থাৎ মানব সভ্যতার জয়গান করেছেন।
★ 'হেতায় নিত্য হেরো'—কবি কী দেখতে বলেছেন?
উঃ। কবি এখানে প্রতিদিন ধ্যানমগ্ন এই গিরি পর্বত, নদীকে জপমালার ন্যায় ধরে থাকা এই বিশাল প্রান্তর সহ পবিত্র ধরিত্রীকে দেখতে বলেছেন।
★'কেহ নাহি জানি...। কী কেউ জানে না?
উঃ। কবি বলেছেন কেউ জানতে পারেনি কার আহ্বানে এই ভারতভূমিতে দুর্বার স্রোতের মত বহু মানুষের ধারা কোথা থেকে এসেছিল আর কীভাবে এদেশে মানুষের মতো জনস্রোতে তারা এক হয়ে গেল। এখানে আর্য অনার্য দ্রাবিড়, চিন, শক, হুন, পাঠান ও মোগল এক ভারতবর্ষে মিশে গিয়েছিল।
বিপরীত শব্দ : পুণ্য - পাপ।
উদার - কৃপণ।
পবিত্র — অপবিত্র।
নিত্য— অনিত্য।
দূর - নিকট।
ঘৃণা- ভালোবাসা।
জয়-পরাজয়।
অপমান—মান।
অবসান - প্রারম্ভ।
শুচি—অশুচি।
