পরাজয় || অষ্টম শ্রেণী বাংলা || হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || prajoy || class 8 bangla || hate- kalame question answer - school book solver

Wednesday, 3 September 2025

পরাজয় || অষ্টম শ্রেণী বাংলা || হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || prajoy || class 8 bangla || hate- kalame question answer

 


পরাজয়
লেখক- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
অষ্টম শ্রেণী বাংলা
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর


১. নিচের প্রশ্নগুলি উত্তর দাও
১.১ শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম 'ফেরারি'।

১.২ কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার ফুটবল নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের নাম হল 'ক্লাবের নাম মোহনবাগান' এবং 'ক্লাবের নাম ইস্টবোল'।

২ নীচের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখো।
২.১ “এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।”—এখানে কার দুঃখ- বেদনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটিতে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পরাজয়’ গল্পের প্রধান চরিত্র ফুটবলার রঞ্জন সরকারের দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে।

২.২ “রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?”—এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল ?
উত্তর: অফিসের এক সহকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে 'পরাজয়' গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জন বলেছিল যে, সে ক্লাবের বারপুজোয় যেতে পারেনি, কারণ
আগের দিন সকালেই তাকে কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।

২.৩ গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল ?
উত্তর। অস্থির ও বিক্ষুদ্ধ মন নিয়ে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে রঞ্জন গঙ্গার পাড়ে গিয়ে দেখল জলের ছোটো ছোটো ঢেউ, দূরে নোঙর করা
কয়েকটা ছোটো-বড়ো জাহাজ, অনেকগুলো নৌকো, ফেরি স্টিমার ইত্যাদি ।

২.৪ “সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো।”- এখানে রঞ্জনের কোন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর। বারপুজোর দিন ক্লাবে আমন্ত্রিত না হওয়ায় অপমানিত রঞ্জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিজের ক্লাব থেকে তার ডাক আসে কি না দেখার জন্য দু-দিন সে অপেক্ষা করবে, ডাক না এলে ক্লাব ছেড়ে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদে বিপক্ষ বড়ো দলে যোগ দেবে সে।

২.৫ “ঘোষদা একটা বড়ো খবর আছে।”—কী সেই 'বড়ো' খবর?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়' গল্পে একটি বড়ো ফুটবল ক্লাবের সেক্রেটারি ‘স্বপনদা, ঘোষদাকে যে বড়ো খবরটি দিলেন তা হল, তাদের বিপক্ষ ক্লাবের বিখ্যাত ফুটবলার রঞ্জন সরকার তাদের ক্লাবে যোগ দিতে চায়।

২.৬ “রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের।”—কীভাবে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে, তা বোঝা গেল ?
উত্তর: পুরোনো ক্লাবের কর্তারা শুধু রঞ্জনের বাড়িতে ছোটাছুটিই করলেন না, রঞ্জনকে ফোন করে ও কনিষ্ঠ সহ-খেলোয়াড়দের মাধ্যমে তার মত বদল করানোর চেষ্টা করলেন।

২,৭ “ব্যাপারটা কী হলো বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের।”— এখানে কোন ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’য গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে ‘ব্যাপার’বলতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই প্রধান দলের ম্যাচে রঞ্জন সরকারের ব্যাকভলিতে করা গোলের কথা বোঝানো হয়েছে।

২.৮ “দুহাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে।”—স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী ?
উত্তর:: পুরোনো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও ক্লাব ছেড়ে আসার জন্য তার যে কান্না, তা রঞ্জন অন্যদের কাছে আড়াল করতে চায় বলেই দুহাতে মুখ ঢেকে বেশিতে শুয়ে পড়ে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও।
৩.১ “একটু আগে ও সবকটা কাগজে বার পুজোর রিপোর্ট পড়েছে।”-এখানে ‘ও' বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? সে সবকটা কাগজে একই বিষয়ের রিপোর্ট পড়ল কেন ?
উত্তর। উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে 'ও' বলতে ফুটবলার রঞ্জন সরকারের কথা বোঝানো হয়েছে।
সবকটা কাগজ পড়ার কারণ:, নববর্ষের দিন সকালবেলায় বারপুজো উপলক্ষ্যে তার ক্লাবের অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন তা জানার জন্যই রঞ্জন সবকটা কাগজে বার পুজোর রিপোর্ট পড়েছিল।

৩.২ “ওকে নিয়ে মাতামাতিটা ঠিক আগের মতো আর নেই।”—আগে 'ওকে' নিয়ে কী ধরনের মাতামাতি হত ?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটিতে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জন সরকারের কথা বলা হয়েছে।
যে ক্লাবের হয়ে রঞ্জন গত পনেরো বছর ধরে খেলেছে, প্রত্যেক বছর নববর্ষের দিন সকালে বার পুজোয় মাঠে যাবার জন্য সেখান থেকে তার কাছে একের পর এক ফোন আসত। ফোন করতেন ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক, ফুটবল সম্পাদক। ক্লাবের বারপুজোয় উপস্থিত থাকার নিমন্ত্রণ জানাতে তার বাড়িতেও যেতেন কেউ কেউ। অনুষ্ঠানের দিন সকালে গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু গেল বছরই রঞ্জন ক্লাব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ভাব দেখে বুঝতে পারছিল যে, ওকে নিয়ে এরকম মাতামাতিটা আর আগের মতো নেই।

৩.৩ “ঠিক এক বছর আগের ঘটনা। "এক বছর আগে কোন ঘটনা ঘটেছিল ?
উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতিটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্প থেকে গৃহীত হয়েছে।
ঠিক এক বছর আগের ঘটনা' বলতে এখানে ফুটবলার রঞ্জন সরকারের সঙ্গে তার পুরোনো ক্লাবের ফুটবল সেক্রেটারি আর কোচের দল গড়া নিয়ে আলোচনার কথা বোঝানো হয়েছে। আগের বছর রঞ্জন তার সম্পর্কে ক্লাব- কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা লক্ষ করলেও এই দুজন মানুষ, কাকে কাকে দলে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে রঞ্জনের পরামর্শ চেয়েছিলেন।

৩.৪ “রঞ্জন সারাটা দিন আর বাড়ি থেকে বেরোয়নি।”—কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়' গল্প থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে পয়লা বৈশাখের দিনটির কথা বলা হয়েছে। পনেরো বছরের সম্পর্ক ভুলে স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের ক্লাব এ দিন তাকে বার পুজোয় মাঠে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণটুকু পর্যন্ত জানায়নি। কেউ একবার টেলিফোন পর্যন্ত করেনি। দুঃখে, যন্ত্রণায় রঞ্জন সারাটা দিন বাড়ি থেকে বেরোয়নি, হালখাতার কোনো নেমন্তন্নে পর্যন্ত যাবার ইচ্ছা সে অনুভব করেনি।

৩.৫ “রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে।”—রঞ্জন কোন্ নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে ?
উত্তর: ‘পরাজয়' গল্পের প্রধান চরিত্র রঞ্জন পয়লা বৈশাখের পরের দিন অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা গঙ্গার ধারে চলে যায়। সেখানে গঙ্গার ঢেউয়ে দুলতে থাকা, দূরে নোঙর করে রাখা কয়েকটি ছোটো-বড়ো জাহাজ সে দেখতে পায়। সেই জাহাজের নামগুলোই রঞ্জন পড়ার চেষ্টা করে।

৩.৬ “রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।” –কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল ?
উত্তর: এই প্রথম অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে রঞ্জন টেলিফোন করে। দীর্ঘ পনেরো বছর নিজের সব ভালোবাসা উজাড় করে যে ক্লাবের হয়ে রঞ্জন খেলেছে, তারা আজ তাকে বার পুজোয় নেমন্তন্নটুকু করেনি। রাগে-দুঃখে রঞ্জন পুরোনো ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ফোন
করে অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে। স্বপনদা আধ ঘণ্টার মধ্যে তার বাড়িতে পৌঁছে যাবেন বলে জানালে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দেয়।

৩.৭  “সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি।”— কোন অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' পরে রঞ্জনের সঙ্গে কথাবার্তার সময় অন্য একটি বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা আলোচ্য
উক্তিটি করেছেন।
পুরোনো ক্লাবের জন্য 'জীবন' দিয়েছে রঞ্জন, অন্য কারও প্রলোভনে সে সাড়া দেয়নি। কিন্তু চলতি বছরে পয়লা বৈশাখের বার পুজোয় নিমন্ত্রণ
জানাতে বাড়িতে আসা তো দূরের কথা, সেই ক্লাবের পক্ষ থেকে কেউ একবার ফোনও পর্যন্ত রঞ্জনকে করেনি। রঞ্জনের ক্লাবের এই কাজকেই অনুচিত বলেছেন স্বপন।

৩.৮ “মন স্থির করে ফেলেছ তো?” উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন বিষয়ে মন স্থির করে ফেলেছে?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্পে এক বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা ফুটবলার রঞ্জন সরকারকে এ কথা বলেছেন।
দীর্ঘ পনেরো বছর পুরোনো ক্লাবের হারো খেলেছে রখুন। বাংলা ও ভারতের হয়ে খেললেও, জাতীয় অধিনায়ক হলেও, শত প্রলোভন এবং পুরস্কারের বিনিময়েও এই ক্লাব ছাড়েনি রঞ্জন। কিন্তু এ বছর বার পুজোর আম না জানিয়ে এবং আচমকা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে যে অন্যায় তার কার করেছে, রঞ্জন তারই যোগ্য জবাব দিতে চায়। খেলা না ছেড়ে নিজেকে প্রমাণ করার এক প্রবল ইচ্ছায় সে 'স্বপনদা'দের ক্লাবে যোগ দিতে চায়।
পুরোনো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার কারণে একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আবার সেই সিদ্ধান্ত রঞ্জন পরিবর্তন করে ফেলবে কি না- সে বিষয়ে
নিশ্চিত হতেই স্বপনদা তাকে এই প্রশ্নটি করেছিলেন।
৩.৯  “আপনি সব ব্যবস্থা করুন।”— কোন্ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে?
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্পে স্ট্রাইকার রঞ্জ সরকার অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদাকে এ কথা বলেছে।
এই ‘ব্যবস্থা করা’বলতেরঞ্জন যাতে সহজেই তার পুরোনো ক্লাব ছেড়ে নতুন ক্লাবে যোগ দিতে পারে, সেই আয়োজনের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে।
নববর্ষের দিনে বার পুজোয় তাকে মাঠে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্রুদ্ধ, অপমানিত স্ট্রাইকার রঞ্জন অনেক ভাবনাচিন্তা করেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচ্য উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে সেকথাই সে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৪.১ “রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন।”—তার এই রাগের কারণ কী ?
উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতিটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' শীর্ষক ছোটোগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকার দীর্ঘ পনেরো বছর একটানা যে ক্লাবের হয়ে খেলেছে, অজস্র পুরস্কার আর সম্মান ক্লাবকে এনে দিয়েছে, সেই ক্লাবই
আজ তাকে নববর্ষের বারপুজোয় আমন্ত্রণ জানায়নি। সারাটা দিন তীব্র মনোকষ্টে কেটেছে রঞ্জনের। এমনকি, সে সারাদিন বাড়ি থেকে পর্যন্ত
বেরোয়নি। পরদিন সকালে সবকটি খবরের কাগজে সে খুঁটিয়ে পড়েছে বার পুজোর রিপোর্টগুলি। দেখতে চেয়েছে, তার ক্লাবের অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন। তখনও তার রাগ পড়েনি। সে তখনও 'ফুঁসছিল'। ক্লাব-কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণ ও অকৃজ্ঞতাই তার এই রাগের কারণ।

৪.২ “এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।”—এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে?
উত্তর। প্রশোদ্ভূত অংশটি শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে রঞ্জন সরকারের কথা প্রসঙ্গে লেখক এই মন্তব্যটি করেছেন। একটি ক্লাবের হয়ে দীর্ঘ পনেরো বছর ঘাম ঝরিয়েছে রঞ্জন, বেশি রোজগারের শত প্রলোভন ভুলে একমনে সে ওই ক্লাবের কথা সবসময় ভেবেছে। সেই ক্লাবই আজ অবজ্ঞা আর অপমান করে তাকে বার পুজোয় না ডেকে চরম দুঃখ দিয়েছে। নববর্ষের সকালে মাঠে বারপুজোর অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেউ একবার ফোন করার সৌজন্যটুকুও পালন করেনি।
অবজ্ঞা, অবহেলা আর অপমানের দুঃখ-যন্ত্রণাভরা এই দিনে রঞ্জনের মনে এসেছে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা। প্রতি বছর বার পুজোর দিনটির বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তার কাছে একের পর এক ফোন আসত। ফোন করতেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, ফুটবল-সেক্রেটারিরা। বার পুজোয় মাঠে যাবার আমন্ত্রণ জানাতে কেউ কেউ তার বাড়িতেও এসে
উপস্থিত হতেন। ভোরবেলাতেই বাড়ির সামনে গাড়ি গিয়ে উপস্থিত হত তাকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। রঞ্জনও অত সকালেই স্নান সেরে তৈরি থাকত। গাড়ি গেলেই রওনা হত মাঠের উদ্দেশে। গত পনেরো বছর ধরে এমনই চলে আসছিল। কিন্তু এ বছর সেই অভ্যাস আর বজায় রইল না।

৪.৩ রঞ্জনের ক্লাবের সঙ্গে তার পনেরো বছরের সম্পর্ক কীভাবে ছিন্ন হল হল ? এই বিচ্ছেদের জন্য কাকে তোমার দায়ী বলে মনে হয় ?
উত্তর: ক্লাবের সঙ্গে রঞ্জনের সম্পর্ক ছেদ: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়’ ছোটোগল্পে ফুটবলার রঞ্জন সরকারের সঙ্গে তার পুরোনো ক্লাবের পনেরো বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার প্রসঙ্গটি বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে।
পুরোনো ক্লাবের প্রতি রঞ্জনের ভালোবাসার কাছে অন্যান্য বড়ো বড়ো 'ক্লাবের হাতছানি, লক্ষ লক্ষ টাকার প্রলোভনও ম্লান হয়ে গেছে। ক্লাবকে ভালোবাসার আদর্শ নমুনা হিসেবে উচ্চারিত হত রঞ্জন সরকারের নাম। সে শুধু এর পরিবর্তে সম্মান, আন্তরিকতা ও ভালোবাসা চেয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, রঞ্জন সরকারের ক্লাব পুরোনো সব গৌরবের দিনগুলির কথা ভুলে গিয়ে এ বছর নববর্ষের দিনে বার পুজোয় তাকে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানায় না। এতে রঞ্জন অত্যন্ত অপমানিত, ব্যথিত হয়ে পড়ল এবং এভাবেই তাদের এতদিনের সম্পর্ক ছিন্ন হল।
প্রকৃত দোষী: এই বিচ্ছেদের জন্য রঞ্জনের পুরোনো ক্লাব-
কর্তৃপক্ষকেই আমার দায়ী বলে মনে হয়। কেন-না, রঞ্জনের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনার প্রয়োজনটুকু পর্যন্ত তাঁরা অনুভব করেননি। খারাপ সময়েও ক্লাবের কর্তাদের তাদের ফুটবলারদের পাশে থাকা দরকার। বিশেষত এমন যে ফুটবলার দীর্ঘদিন ওই ক্লাবের হয়ে খেলেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। হঠাৎ এভাবে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষের স্বার্থপর মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে।

8.8 “কী করবে ও ঠিক করে ফেলেছে।”—এখানে কার কথা হয়েছে? সে কী ঠিক করে ফেলেছে? তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে পরবর্তী সময়ে চলতে পারল কি?

উত্তর: উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' গল্পের প্রধান চরিত্র ফুটবলার রঞ্জন সরকারের কথা বলা হয়েছে।
রঞ্জনের সিদ্ধান্ত: যে-কোনো ফুটবলারের কাছেই নিজের ক্লাবে বার পুজোয় আমন্ত্রণ পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, নববর্ষের সকালে নিজের ক্লাব থেকেই বার পুজোয় মাঠে যাওয়ার আমন্ত্রণ পায়নি রঞ্জন হতাশায়, বেদনায়, অস্থিরতায় কাতর রঞ্জন নিজের সঙ্গে প্রবলভাবে লড়াইচালিয়েছে সারাটা দিন। পরের দিন অফিস থেকে ফেরার পথে গঙ্গার ঘাটে একা একা বসে থেকে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে যে, দুটো দিন সে অপেক্ষা করবে। এর মধ্যে যদি ক্লাবের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তাহলে ভালো। নাহলে সে পুরোনো ক্লাব ছেড়ে নতুন কোনো ক্লাবে যোগ দেবে। আর মনে মনে স্থির করে নেয় যে সকলকে সে বুঝিয়ে দেবে ফুটবলার রঞ্জন সরকার এখনও ফুরিয়ে যায়নি।
রঞ্জনের পরবর্তী পদক্ষেপ: হ্যাঁ, রঞ্জন সরকার তার নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই চলেছে। পুরোনো ক্লাবের কাছে অত্যন্ত অপমানিত হওয়ার পর
তৃতীয় দিন রাতেই সে অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে সব কথা জানিয়েছে। দলবদলের মরশুমের প্রথম দিনেই সে তার পুরোনো দল ছেড়ে নতুন দলে যোগ দিয়েছে। নতুন দলের হয়ে প্রতিটি খেলায় একের পর এক গোল করে নিজেকে প্রমাণ করেছে। শেষপর্যন্ত পুরোনো এবং নতুন—এই দুই ক্লাবের প্রথমবার মুখোমুখি লড়াইতেই একটি অনবদ্য গোলে সে তার পুরোনো দলকে হারিয়ে দিয়েছে।

৪.৫ “তৃতীয় দিন রাত্তিরে টেলিফোন করল অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারিকে।”—কোন্ দিন থেকে 'তৃতীয় দিন'-এর কথা বলা হয়েছে। এই দিন তিনেক সময় তার কাভাবে কেটেছে? টেলিফোনটি করায় কোন্ পরিস্থিতি তৈরি হল?
উত্তর: শুরুর দিন: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পরাজয়' শীর্ষক ছোটোগল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে বারপুজোর দিন অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিনের পর থেকে তৃতীয় দিন রাতের কথা বলা হয়েছে।
কাটানো সময়:- এই তিন দিন ফুটবলার রঞ্জন সরকারের জীবন প্রবল অস্থিরতা ও অশান্তির মধ্যে দিয়ে কেটেছে। এমন দুঃসময় তার জীবনে আগে কখনও আসেনি। দীর্ঘ পনেরো বছর একই ক্লাবের হয়ে খেলেছে সে। এই ক্লাবেই খেলার সুবাদে বাংলা ও ভারতীয় দলে অংশগ্রহণ এবং অধিনায়কত্ব করেছে, অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছে। সেই ক্লাবই তাকে আর নির্ভরযোগ্য' মনে করে না বলে এ বছর বারপুজোয় আমন্ত্রণই জানায়নি । এই তীব্র অপমানে, দুঃখে, হতাশায় নববর্ষের দিন বাড়ি থেকেই সে বেরোয়নি। পরের দিন অফিসে গিয়ে নানাজনের প্রশ্নে সে ক্রমশ আরও অস্থির হয়ে পড়েছে। অফিস থেকে বেরিয়ে মনকে শান্ত করার জন্য সে গঙ্গার ঘাটে চলে গেছে। পরের দুটো দিনও অসম্ভব ছটফটানিতে কেটেছে তার। অফিস ছাড়া অন্য কোথাও যায়নি, কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথাও বলেনি। ক্লাব থেকে ফোন পাওয়ার আশায় বাড়িতেই সময় কাটিয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি:: অন্য একটি বড়ো দলের সেক্রেটারি স্বপনদাকে টেলিফোন করার পর রঞ্জনের মুখেচোখে উৎকণ্ঠার ছাপ ফুটে উঠেছিল। এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করার এক অপরিসীম তাগিদ তার নিজের মনে তৈরি হচ্ছিল। টেলিফোনটি করায় রঞ্জনের নতুন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। পনেরো বছরের পুরোনো ক্লাব রঞ্জনের সঙ্গে যে খারাপ ব্যবহার করেছে এবং রঞ্জন যে বিষয়টাতে অত্যন্ত দুঃখিত, তা বুঝতে পেরেই স্বপনদা আধঘণ্টার মধ্যে তার বাড়িতে পৌঁছে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

৪.৬ “দুই প্রধানের লড়াইকে কেন্দ্র করে অনেক বছর পরে কলকাতা আবার মেতে উঠেছে।”—গল্প অনুসরণে সেই লড়াইয়ের উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের বিবরণ দাও।
উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' নামক ছোটোগল্পে কলকাতার দুই প্রধান দলের এক উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের বিবরণ ফুটে উঠেছে। এই ম্যাচটি ফুটবলার রঞ্জন সরকারের কাছে ছিল এক সম্মানের লড়াই, কেননা তারই পুরোনো ক্লাব অপমান করেছে বলেই আজ সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে সে খেলছে। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক লক্ষ কুড়ি হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও টিকিটের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। সেইদিন সাংবাদিকদের তথা দর্শকদের সব আলোচনার কেন্দ্রে ছিল রঞ্জন। প্রথমার্ধে দুরন্ত গতিতে খেলা চললেও গোল হয়নি। রঞ্জনকে সামলাতে হিমসিম খেয়েছে তার পুরোনো দলের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু নিজের দলের সহ-খেলোয়াড়দের যোগ্য সহায়তা না পাওয়ায় রঞ্জন গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে রঞ্জনের পুরোনো দল আক্রমণে এলে তার কাছ থেকে খেলোয়াড়েরা একটু সরে যায়। হাফলাইনের নীচে নেমে রঞ্জন খেলতে আসামাত্রই ওদের গোলকিপার ওকে বল বাড়িয়ে দেয়। সমরের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় এগিয়ে গিয়ে দারুণ ব্যাকভলি করে বুলেটের মতো গতিতে বলটিকে বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেয় রঞ্জন। বিস্ময়ের ঘোর কাটতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সারা মাঠ। রঞ্জনকে নিয়ে লাগামছাড়া মাতামাতি শুরু হয়। গ্যালারি গমগম করে ওঠে বাজি পটকার শব্দে।

৪.৭ “বলটা বুলেটের মতো ছুটে গিয়ে ঢুকে গেল গোলে।” –এরপর সমর্থক আর সহ-খেলোয়াড়দের উল্লাসের বিপ্রতীপে রঞ্জনের
বিষণ্ণতার কোন্ রূপ গল্পে ফুটে উঠেছে?

উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পরাজয়' শীর্ষক ছোটোগল্পে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রঞ্জনের ব্যাকভলিতে করা
গোলটির কথা এখানে বলা হয়েছে। এত দ্রুত ও হঠাৎ রঞ্জন গোলটি দিয়েছিল, গ্যালারিতে বসে ঠিক কী ঘটল তা সমর্থকদের বুঝে ওঠা সহজ হল না। কিন্তু ব্যাপারটি বুঝে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার দর্শকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি তুমুল উৎসাহে আর আনন্দে চঞ্চল হয়ে উঠল। বাজি-পটকার শব্দে গমগম করে উঠল সমস্ত স্টেডিয়াম। মাঠেও তখন উল্লাস ছড়িয়ে পড়ল, সহ- খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা চলল রঞ্জনকে ঘিরে। কিন্তু এত আনন্দ, হইচই, উল্লাস, অভিনন্দনের মধ্যেও ক্রমশ বিষণ্নতায় ডুবে যাচ্ছিল প্রসিদ্ধ স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকার। কোল্ড ড্রিংকসের বোতল হাতে বিষণ্ণ, ক্লান্ত রঞ্জন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চাইল না। ক্লাব-সেক্রেটারি স্বপনদাকে বলে পাশের ঘরে গিয়ে দু-হাতে মুখ ঢেকে সে শুয়ে পড়ে আবিষ্কার করল যে তার দু-চোখ জলে ভরে উঠেছে। তার প্রতি পুরোনো ক্লাবের করা অপমানজনক আচরণের বদলা নিলেও সেই ক্লাবের প্রতি
ভালোবাসার কারণেই রঞ্জনের দু-চোখে নেমে এল জলের ধারা।

৪.৮ গল্পের ঘটনা বিশ্লেষণ করে ‘পরাজয়' গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো।

. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো : চরকি, সক্কাল, নেমন্তন্ন, নম্বর, ছুটোছুটি।
উত্তর:- চরকি : চক্র > চরকি (বর্ণবিপর্যয়)
> সকাল : সকাল > সক্কাল (ব্যঞ্জনাগম)
> নেমন্তন্ন : নিমন্ত্রণ < নেমন্তন্ন (সমীভবন)
> নম্বর : নাম্বার > নম্বর (স্বরলোপ)
> ছুটোছুটি : ছোটাছুটি > ছুটোছুটি (স্বরসংগতি)

৬. নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করে।।
৬.১ ওর মনের মধ্যে জমে ওঠা দুঃখ আর অভিমান রূপান্তরিত হয়েছিল রাগে।
উত্তর: রূপান্তরিত = রূপ + অন্তরিত।
৬.২ ক্লাবের কর্তাদের হাবভাব দেখে সে পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে।
উত্তর: পরিষ্কার = পরিঃ + কার।
৬.৩ কেউ একটা টেলিফোন পর্যন্ত করল না।
উত্তর: পর্যন্ত = পরি + অন্ত।
৬.৪ তার পুরস্কার এতদিনে পেলাম স্বপনদা।
উত্তর: পুরস্কার = পুরঃ + কার।
৬.৫ ওরা যা দিয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট ছিলাম।
উত্তর: সন্তুষ্ট = সম্ + তুষ্ট।

৭ নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক বিভক্তি নির্দেশ করো।
৭.১ রঞ্জন ঘরের মধ্যে চরকির মতো ঘুরছে।
উত্তর: কর্তৃকারক, ‘শূন্য' বিভক্তি।
৭.২ গাড়ি পাঠানো তো দূরের কথা।
উত্তর: কর্মকারক, ‘শূন্য' বিভক্তি।
৭.৩ সারাটা সকাল ও ছটফট করে বেড়িয়েছিল।
উত্তর: অধিকরণকারক, শূন্য’ বিভক্তি।
৭.৪ কানে ভেসে আসে পাখির ডাক ।
উত্তর:: সম্বন্ধপদে, ‘র’ বিভক্তি।
৭.৫ রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিল।
উত্তর: কর্মকারক, ‘টা’ নির্দেশক শূন্য বিভক্তি।

৮ . নীচের বাক্যগুলির ক্লিয়ার কাল নির্দেশ করো।
৮.১ গুরুত্ব দেয়নি।
উত্তর: অতীত কাল ।
৮.২ তুই চলে আয়। উত্তর। বর্তমান কাল।
৮.৩  কাল সকালে আমায় কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।
উত্তর: অতীত কাল।
৮.৪ আমি রখন সরকার বলছি।
উত্তর: বর্তমান কাল।
৮.৫ রঞ্জনের মুখে খেলে গেল ম্লান হাসি।
উত্তর: অতীত কাল।

৯. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো।
৯.১  এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।
উত্তর: এত দুঃখ, এত ব্যথা এই প্রথম সে পেল।
(হ্যাঁ-সূচক বাক্যে)
১.২ সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রজুনের মন অনেকটা শান্ত হল। (জটিল বাক্যে)
উত্তর: যখন রঞ্জন সিদ্ধান্তটা নিল, তখন তার মন অনেকটা শান্ত হল।
৯.৩ সেই মুহূর্তে কলিংবেলটা বেজে উঠল। (যৌগিক বাক্যে)।
উত্তর: সেই মুহূর্তটি এল এবং কলিংবেলটা বেজে উঠল।
৯.৪ রানের গলাটা একটু কেঁপে উঠল।
(না-সূচক বাক্যে)
উত্তর: রঞ্জনের গলাটা একটুও কেঁপে উঠল না এমন নয়।/রগুনের গলাটা নিষ্কম্প রইল না।
১.৫ যারা এতক্ষণ দেয়ালে পিঠ দিয়ে লড়ছিল তারাই এখন রুখে দাঁড়াল।
(সরল বাক্যে)
উত্তর: এতক্ষণ দেয়ালে পিঠ দিয়ে লড়তে থাকা মানুষগুলোই রুখে দাঁড়াল।
শেষ-