দিন ফুরালো || সপ্তম শ্রেণী || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || DIN PFURALO || class 7 bangla || question answer
![]() |
সপ্তম শ্রেণী বাংলা
কবিতা- দিন ফুরালো
কবি -শঙ্খ ঘোষ
কবি পরিচিতি- বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক শঙ্খ ঘোষ। ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দিনগুলি রাতগুলি'। এ ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য লেখা হল ,"নিহিত পাতাল ছায়া', 'বাবরের প্রার্থনা', 'পাজরে পাড়ের শব্দ ইত্যাদি। ছোকাদের জন্য তিনি লিখেছেন - 'অল্প বয়স কম বয়স', 'ছোট একটা স্কুল', 'সুপুরি বনের সারি' 'শব্দ নিয়ে খেলা''সকালবেলার আলো' 'শহরে পথের গুলো' ইত্যাদি। প্রবন্দের বইগুলি হল 'কালের মাত্রা ও
রবীন্দ্রনাটক', 'ছন্দোময় জীবন' ইত্যাদি।
কবিতা পরিচয়ঃ সূর্য ডুবে যাওয়ার পর পাখির দল ঘরে ফিরছে। বাচ্চারা ঘরে ফিরেছে। প্রত্যেককেই দিন শেষ হলে ঘরে ফিরতে হয়। চারিদিকে সন্ধে নেমেছে। তাই কবিতাটির নাম 'দিন ফুরালো' একেবারে সঠিক।
সারামর্ম : সন্ধে হয়েছে, সুয্যি ডুবেছে। আকাশে চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে। কিন্তু এখুনি একজন রঙের বাক্স খুলে সবাইকে চমকে দেবেন তা আর বাচ্চাদের দেখা হবে না। তাই তাদের বিরক্তি আসে। আকাশে তারা জ্বলে ওঠে। পাখির সারি বনের থেকে ঘরের দিকে ফিরছে। এবার বাচ্চাদেরকেও তাদের বাড়িতে, মন খারাপের জায়গায় ফিরতে হবে। বাবা বলবে এইটুকু সব বাচ্চারা সন্ধেবেলাতেও মাঠ ছাড়ে না। মা বলবে ঠ্যাং দুটো বিশ্রী হয়ে রয়েছে।
একগঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুতে হচ্ছে।
শব্দার্থ :বাছা—শিশু।
ধুচ্ছি—ধুয়ে ফেলেছি।
সারি—দল।
ঠ্যাং—পা।
মুচ্ছো—মূৰ্চ্ছা, চৈতন্যলোপ।
দুচ্ছাইদুরছাই- অবজ্ঞা ও বিরক্তিসূচক ধ্বনি। কুচ্ছিৎ –কুৎসিত,
বিশ্রী। গুচ্ছে—গোছা।
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. কবিতাটিতে ‘চ্ছ' দিয়ে কতগুলি শব্দ আছে লেখো, প্রত্যেকটি শব্দ ব্যবহার করে একটি করে আলাদা বাক্য লেখো।
উঃ। ইচ্ছে—আমার মাছ ধরতে যেতে ইচ্ছে করছে।
বাচ্ছা—বাচ্ছারা সব মাঠে খেলা করছে।
দুচ্ছাই—দুচ্ছাই, আমার আর কিছু ভালো লাগছে না।
আচ্ছা – আচ্ছা, ঠিক আছে, আমি তবে কালকেই যাব।
মুচ্ছো—আমার ভাই ভূতের গল্প শুনলে মুচ্ছো যায়।
কুচ্ছিৎ— গিরগিটিটা দেখতে বড়ো কুচ্ছিৎ।
ধুচ্ছি—আমি এখন আমার জামাকাপড় ধুচ্ছি।
গুচ্ছে- ধানের গুচ্ছে ফড়িং বসছে।
২ নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :
উঃ। সূর্য > [সূয্যি দুরছাই] > দুচ্ছাই।
মূৰ্চ্ছা >[ মুচ্ছো অন্ধকার] > আঁধার।
কুৎসিত >[কুচ্ছিৎ সন্ধ্যা] > সন্ধে।
৩. লক্ষ শব্দটিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি পৃথক বাক্য লেখো। 'লক্ষ্য' শব্দটির সঙ্গে এই দুটি অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে আরও একটি নতুন বাক্য লেখো।
উত্তর।
লক্ষ > একলাখ → বিয়ের সময় ছেলের বাবা এক লক্ষ টাকা পণ দাবি করেছিল।
দেখা > গাছে ওঠার আগে ভালো করে লক্ষ্য রাখো।
উদ্দেশ্য > ছাত্রজীবনে একটি লক্ষ্য থাকা দরকার।
৪. 'এক গঙ্গা জল' – শব্দবন্ধটির মানে 'গঙ্গায় যত জল ধরে সব' অর্থাৎ কিনা অনেকখানি জল।
নীচের স্তপ্তদুটির ডানদিক ও বামদিক ঠিকভাবে মেলাতে পারলে আরও কিছু এরকম শব্দবন্ধ তৈরি করতে পারবে।
এক মাথা
হাসি
এক ক্লাস
আম
এক ঝুড়ি
এক হাঁড়ি
উঃ। এক মাথা > ধুলো
এক ক্লাস > ছাত্র
এক ঝুড়ি > আম
এক হাঁড়ি > পায়েস
এক আকাশ > তারা
এক মুঠো - চিনি
এক আকাশ > তারা
এক মুঠো
এক ঘর > লোক
এক মুখ > হাসি
এক কাহন > ধান
এক কাঁড়ি > টাকা
৫. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্যরচনা করো ঃ
উঃ সুয্যি > রাঙা সুয্যি > রাতে রাঙা সুয্যি দেখা যায় না
দৃশ্য > সুন্দর দৃশ্য > আকাশে রামধনু সকলের কাছে একটি সুন্দর দৃশ্য।
বাক্স > মজবুত বাক্স > বাড়িতে সর্বদা লোহার তৈরি মজবুত বাক্স দরকার।
বাপ-মা > রাগী বাপ-মা > রাগী বাপ-মা কে ছেলেরা খুব ভয় পায়।
গর্ত -গভীর গর্ত > কুয়া খনন গেলে গভীর গর্ত করতে হয় ।
ঠ্যাং> সবল ঠ্যাং> হরিণের ঠ্যাং খুব সবল।
গাদা> বিশাল গাদা > সরিষা চাষে বিশাল গাদা দিতে হয় ।
ঘর > ছোট্ট ঘর > আমার বান্ধবী কাকুলিদের একটি ছোট্ট ঘর আছে।
ধান > সোনালি ধান > অগ্রহায়ণ মাসে মাঠে মাঠে সোনালি ধান দেখা যায়।
জল > স্বচ্ছ জল > ঝরনার জল খুব স্বচ্ছ।
৬. নীচের শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে বার করো :
উঃ বারি- জল।
অরুণ - সুয্যি।
অম্বর – আকাশ।
পেটিকা - বাক্স
অজ্ঞান - মুচ্ছো।
গোছা - গুচ্ছে
কন্দর- গর্ত।
পা ঠ্যাং।
বিশ্রী — কুচ্ছি।
৭. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নাও ঃ
উঃ ভালো - খারাপ।
মিথ্যা- সত্যি।
বাইরে -ঘরে।
বুড়ো – বাচ্চা।
সুশ্রী — কুচ্ছিং।
৮. কারক বিভক্তি নির্ণয় করো :
৮.১ চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।
উঃ। করণকারকে 'এ' বিভক্তি।
৮.২ বাপ-মায়েরা যাবেই তবে মুচ্ছো।
উঃ। কর্তৃকারকে শূন্য' বিভক্তি।
৮.৩ কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স।
উঃ। কর্মকারকে— 'র' বিভক্তি।
৮.৪ এবার ফিরতে হবে সত্যি নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে।
উঃ। কর্তৃকারকের' র'বিভক্তি।
৮.৫ এক গঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুচ্ছি।
উঃ। কর্মকারকে শূন্য' বিভক্তি।
১. এক কথায় উত্তর দাও :
১.১ সুয্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা দুচ্ছাই' বলছে কেন?
উঃ। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তাদেরও খেলার সময় শেষ হল।
৯.২ কে এক্ষুনি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন?
উঃ ঈশ্বর এক্ষুনি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন।
৯.৩ কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না?
উঃ। দিন ফুরিয়ে আসায় তাদের বাড়ি যেতে হবে বলে কথকরা সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না।
৯.৪ কথকরা কেন বলেছে, 'কেই বা খুলে দেখেছে রঙের বাক্স' ?
উঃ। বাক্সটি ঈশ্বরের, তাই ইচ্ছে ছাড়া সেটিকে খুলে দেখা যাবে না।
৯.৫ বাপ-মায়েরা কী হলে মুচ্ছো যাবেন?
উঃ। বাচ্চাদের ফিরতে দেরি হলে বাপ-মায়েরা মুচ্ছো যাবেন।
৯.৬ পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যায়?
উঃ। পাখিরা ধানের খেত থেকে ঘরের দিকে উড়ে যায়।
৯.৭ কথকরা কেন বলেছেন তাদের নিজের নিজের 'মন খারাপের গর্তে' ফিরতে হবে?
উঃ। খেলা থেকে বাড়ি ফেরাটা বাচ্চাদের কাছে মন খারাপের হয়।
৯.৮ বাবা কী বলবেন?
উঃ। বাবা বলবেন যে অন্ধকার হওয়ার পরেও এইটুকু সব বাচ্চারা মাঠ ছাড়ে না।
৯.৯ না-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন?
উঃ। না বলবেন পাগুলো কুৎসিত তাই একগঙ্গা জল দিয়ে তিনি ধুচ্ছেন।
১.১০ কথকরা কেন 'একগঙ্গা জল' দিয়ে পা ধুচ্ছে?
উঃ । পায়ে ময়লা লেগেছে বলে কথকরা পা ধুচ্ছে।
১০. ব্যাখ্যা করো :
১০.১ “সুয্যি নাকি. ..ডুব দিয়েছে?”
উঃ। লেখকের মনে হয় সূর্য নাকি সত্যি নিজের ইচ্ছায় সন্ধেবেলা ডুব দেয় না। তার মনে হয় কোনো এক ঈশ্বরের ইচ্ছায় সূর্যকে ডুব দিতে হয়েছে। কারণ এই প্রকৃতির চালক ঈশ্বর, তাঁর ইচ্ছাতেই সব হয় বলে মানুষ বিশ্বাস করে।
১০. "আকাশ জুড়ে ... লক্ষ্য রঙের দৃশ্য।"
উত্তর এক ঈশ্বর আকাশ জুড়ে লক্ষ্য রঙের দৃশ্য এঁকে চমকে দেবেন। কারণ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে অদ্ভুত এক রঙের খেলা দেখা যায়। সেই অপরূপ রঙের সেই দৃশ্য তা বোধ হয় ঈশ্বরের সৃষ্টি ।
১০.৩ লক্ষ বা তা হতেও পারে রঙের ..।"
উত্তর। কবির মনে হয়। সূর্য অস্ত্র যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে যে রঙের দৃশ্য দেখা যায় তা লক্ষ্য না হয়ে একশো হতে পারে কারণ কেউ রঙের বাক্স খুলে দেখতে যায়নি। কারণ সেটি ঈশ্বরের নিজের বাক্স। তাতে কি আছে জানার উপায় নেই কারণ সেটি খুলে দেখা যায় না । আর কারো পক্ষে খুলে দেখা সম্ভব হয় না।
১০.৪ "আমরা কি আর..... যাবেই তবে মুচ্ছো।”
উঃ। ছেলেদের আফশোস সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে আকাশ জুড়ে এই সুন্দর রঙের খেলা তারা দেখতে পারে না, কারণ অন্ধকার হবার পরে মাঠে থাকলে মা বাবা ভয়েই মুচ্ছো অর্থাৎ মুর্ছা যাবেন। সন্ধ্যা হবার পর সকল কি ফিরতে হয় না হলে বাবা মা চিন্তা করবেন। বাবা আশ্চর্য হয়ে বলবেন দিন ফুরোবার পরও এই বাচ্চা ছেলেগুলো মাঠ থেকে ঘরে ফেরেনা।
১১. আট দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ কবিতাটি অবলম্বনে তোমার দেখা একটি গোধুলির রূপ বর্ণনা করো।
উঃ। সূর্য পশ্চিম প্রাঞ্জে হেলে পড়েছে। গাছপালার মাথায়, আকাশের মেঘে লালরঙের ছোঁয়া লেগেছে। পূর্ব আকাশে একফালি চাঁদ উকি মারছে। আকাশে কোথাও কোথাও দু একটা তারা ঘুম ভেঙে উঠছে। পাখিরা আকাশে সারি বেঁধে নানারকম নকশা তৈরি করতে করতে ঘরে ফিরছে। সন্ধেবেলায় মৃদুমন্দ শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিনের শেষে সবাই কাজ থেকে বাড়ি ফিরছে। এই সময়টা বাচ্চাদের খেলার থেকে ঘরে ফিরতে হয়। কোনো কোনো গৃহস্থ বাড়িতে শাঁখ ও দেবালয়ে ঘণ্টা ও ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নেমে এলো।
১১.২ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে 'মন খারাপের গর্তে ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে?
খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো।
উঃ। কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পাখির তুলনা করা হয়েছে। খেলা থেকে ফিরে সন্ধেবেলা আবার পড়তে বসতে হয়। বাবা-মা বা বাড়ির অন্যান্য বড়োদের কাছে বকাবকি শুনতে হয়। ছোটো ছেলেরা চায় সন্ধ্যার পর আকাশ জুড়ে রঙের খেলা দেখতে। তাই সন্ধেবেলাতে ছোটো ছেলেমেয়েদের ঘরে ফেরাকে 'মন খারাপের গর্তে ফেরা বলে মনে করা হয়েছে।
খেলা থেকে যখন সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরে তখন পা আর চলে না। ঘড়ির কাঁটা দ্রুত ঘুরতে থাকে। মনে হয় যেন চারিদিকটা শুন্য হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরলেই সেই একঘেঁয়ে 'পড়তে বস', 'পড়তে বস' আওয়াজ শুনতে আর ভালো লাগে না। মনে হয় করে যে এর থেকে মুক্তি পাব।
১১.৩ মা পা ধুতে বলেছেন বলে প্রচুর জল ঢেলে অনেক দেরি করে পা-ধোওয়া আসলে দেরি করে পড়তে বসার একটা বাহানা –এইরকম কী কী বাহানা তুমি করো, লিখে ফেলো।
উঃ। আমার মাথা যন্ত্রণা করছে, চোখে ঝাপসা দেখছি, হাতে ব্যথা, মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
★ আকাশে কে কীভাবে চমকে দেবেন?
উঃ । আকাশ জুড়ে এক ঈশ্বর চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।
★ এবার কোথায় ফিরতে হবে।
উঃ। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের এবার নিজেদের 'মন খারাপের গর্তে' অর্থাৎ নিজের বাড়িতে ফিরতে হবে।
★ পাখির সারি কী করছে?
উঃ। পাখির সারি ধানের গোছায় আঁধার অর্থাৎ ছায়া ফেলে ঘরের দিকে ফিরছে।
★ বাড়ি ফিরলে বাবা কী বলবেন?
উঃ। বাবা বলবেন এইটুকু বাচ্চা ছেলেরা দিন ফুরোলেও মাঠ ছাড়ে না।
★ বাপ-মায়েদের কী হবে বলে কবি বলেছেন ?
উঃ । বাপ-মায়েরা মূৰ্চ্ছা যাবে বলে কবি বলেছেন।
★ বাড়ি ফিরলে মা কী বলবেন? উঃ। মা বলবেন ঠ্যাং দুটো কী কুচ্ছিৎ।
★ ‘সন্ধে হলো?' কীভাবে সন্ধে হলো? কবি একে 'দুচ্ছাই' বলছেন কেন?
উঃ। সূর্য সত্যি সত্যি নিজের ইচ্ছের অথবা অন্য কারোর ইচ্ছার জন্য ডুব দেওয়ায় সঙ্গে হালো। কবি এজন্যই একে ‘দুচ্ছাই' বলেছেন যে সন্ধে হলেই আবার তাদের নিজেদের মন খারাপের জগতে ফিরে যেতে হবে খেলার মাঠকে ভুলে।
★ আমরা কি আর দেখতে পাব ভাবছ?'—কবি কী দেখার কথা বলছেন?
উঃ। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে দেখা করে এক লক্ষ রঙের দৃশ্যের খেলা, কোনো এক ঈশ্বর তিনি এই খেলা দেখিয়ে চমকে দেবেন, তাঁর এই দৃশ্যে কত যে রঙ তা তার বাক্স খুলে কেউ দেখেনি, জানেও না। কিন্তু কবি ও তার সঙ্গীদের ফিরে যেতে হবে, তাই তারা এই সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন না। যদি এতক্ষণ তারা মাঠে থাকে তাদের বাপ মায়েরা শুনেই মুর্ছা যাবেন।
★ ‘তেমনি এবার ফিরতে হবে সত্যি'—কেমন ভাবে তাদের ফিরতে হবে?
উঃ। সারা দিনের খেলা ও আনন্দের পর ছেলেদের নিজেদের মন খারাপের জগতে ফিরতে হবে। ঠিক যেভাবে দিনের শেষে পাখির দল, ধানের গুচ্ছে আঁধার ফেলে দিয়ে ঘরের দিকে ফেরে, সেভাবেই তাদের ফিরতে হবে।
★. সমার্থক শব্দ লেখো :
উঃ। ঈশ্বর—ভগবান।
সুয্যি—তপন, ভাস্কর, দিবাকর।
বাবা –পিতা, জনক, জন্মদাতা।
মা–মাতা, জননী, গর্ভধারিণী।
মাঠ—প্রান্তর।
★★ কবিতায় একটি শব্দ রয়েছে 'পাখির সারি'। তুমি এইভাবে সারি যোগ করে কয়েকটি কথা তৈরি করো।
উঃ। তালের সারি। গাছের সারি। বইয়ের সারি।
★ . ঠ্যাং' শব্দটির মতো শেষে অনুস্বর যোগ করে কয়েকটি শব্দ লেখো।
উঃ। ব্যাং, ল্যাং, চ্যাং, গ্যাং।
★ ‘ধানের গুচ্ছ' কথাটির মতো আরও কয়েকটি কথা লেখো।
উঃ। ফুলের গুচ্ছ, আঙুর গুচ্ছ, লতার গুচ্ছ।
★ আমরা বিরক্তি প্রকাশ করতে ‘দুচ্ছাই' শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। এরকম আরও কয়েকটি শব্দ লেখো যা দিয়েও আমরা বিরক্তিভাব প্রকাশ করি।
উঃ। ধুত্তোর যা-তা, ভাল্লাগে না, নিকুচি।
★ পদ পরিবর্তন করো : আকাশ, ঈশ্বর, জল, সন্ধ্যা, দৃশ্য।
উঃ। আকাশ—আকাশী।
ঈশ্বর—ঐশ্বরিক।
জল —জলীয়।
সন্ধ্যা — সান্ধ্য।
দৃশ্য — দৃশ্যমান।
★ বিপরীত শব্দ : সত্যি — মিথ্যা।
ইচ্ছে-অনিচ্ছে।
দৃশ্যে— অদৃশ্যে।
আঁধার – আলো।
নিজের — অপরের।
দিন—রাত্রি।
কুচ্ছিৎ–সুন্দর।
বাচ্ছা—বুড়ো।
