"কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে।"- কোন প্রসঙ্গে কার এই উক্তি ? এখানে বক্তার চরিত্রে কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ? কোনি গল্প || দশম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:; "কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল। খাবে।" – কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি? এখানে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর- বক্তার পরিচয়:; প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক মতি নন্দীর 'কোনি' উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই, অ্যাপোলোর দক্ষ সাঁতারু ও বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন অমিয়াকে। সে দ্যাখে ক্ষিতীশ ও কোনিকে অ্যাপোলোতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।। অমিয়া বেলার কাছে মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে বেলা অমিয়াকে ক্ষিদ্দার আবিষ্কার' বলে চোখ পাকিয়ে বলে- 'ক্ষিদ্দা নাকি প্রতিজ্ঞা করেছে জুপিটারকে ডাউন দেবে ওই মেয়েটাকে দিয়ে। কিন্তু অমিয়া লক্ষ করে কোনি তখনও হাতের টান দিতেই শেখেনি। তাই কোনির কথা ভেবে অমিয়া মৃদু হাসে এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ও উদ্ধৃত হয়েই কোনি সম্পর্কে প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটি করে।
অহংকারী:- আলোচা উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে বক্তা অর্থাৎ অমিয়া চরিত্রের বেশ কয়েকটি দিক চোখে পড়ে- অমিয়া সাঁতারু হিসেবে খুব নামকরা। সে বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন। তার দক্ষতার সঙ্গে কোনির কোনো তুলনাই হয় না—এ কথার মধ্য দিয়ে তার অহংকারী মনোভাবের পরিচয় মেলে।
আত্মপত্যয়ী:- অমিয়া বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন আর কোনি গঙ্গা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ক্ষিতীশের আবিষ্কার, যে আবার সাঁতারে হাতের টানটাই
দিতে শেখেনি। তাই তাকে কম্পিটিশনে পেলে অমিয়া তাকে পা ধোয়া জল খাওয়াতে পারবে, এই আত্মপ্রতায় তার রয়েছে।
ক্ষিতীশের প্রতি ঈর্ষা:; ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণে বিরক্ত হয়ে অমিয়া জুপিটার ক্লাব ছেড়ে অ্যাপোলো ক্লাবে চলে যায় এবং প্রমাণ করতে চায় যে ক্ষিতীশের প্রশিক্ষণ ছাড়াও একজন নামকরা সাঁতারু হওয়া যায়। তাই সে মনে করে ক্ষিতীশের তৈরি কোনো সাঁতারুই তাকে হারাতে পারবে না।
কোনির প্রতি ঈর্ষা:; কথায় বলে, মেয়েরা মেয়েদের চরম শত্রু। তাই ক্ষিতীশের তৈরি কোনো মেয়ে সাঁতারু অমিয়াকে কম্পিটিশনে ডাউন দেবে, এটা কোনির প্রতি ঈর্ষা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি।
