-আপনি নিজের শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।'- বক্তা কে ? শরীরটাকে চাকর বানানো বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন ? কোনি গল্প ৷৷ দশম শ্রেণী
প্রশ্ন:; "আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।"-বক্তা উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে এমন কথা বলেছেন কেন? শরীরটাকে চাকর বানানো। বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর:; মতি নন্দীর লেখা 'কোনি' উপন্যাসে ক্ষিতীশ, বিষ্টুচরণ ধরাকে এমন কথা বলেছেন। কারণ ক্ষিতীশ বয়সে পঞ্চাশোথর হওয়া সত্ত্বেও ব্যায়াম ও সংযমের মাধ্যমে নিজের শরীরকে সক্ষম রেখেছেন। তিনি এখনও দৌড়োতে পারেন, সিঁড়ি দিয়ে স্বাচ্ছন্দে ওঠা-নামা করতে পারেন, এমনকি নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে শরীরের কোনো অঙ্গকে অনড় করে রাখতে পারেন।
উলটোদিকে বিষ্টুচরণ অগাধ অর্থের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসচেতন না-হওয়ার কারণে দৈহিকভাবে দুর্বল। অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস তার দেহের ওজন বাড়িয়েছে, কিন্তু তার মনের জোর কমিয়ে দিয়েছে। কারণ শরীর আসলে তার মনের কথা শোনে না।
৷৷ শরীরটাকে চাকর বানানোর অর্থ হল, মনের নির্দেশে শরীরের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হওয়া। ক্ষিতীশের মতে, লোহা চিবিয়ে খেয়েও যদি পাকস্থলীকে তার মন হজম করার আদেশ দেয়, তবে সে তাই করবে। মন যদি পা-কে পাঁচ মাইল হাঁটার নির্দেশ দেয়, পা-জোড়া অমনি পৌঁছে দেবে। বয়স হলেও গাছের ডাল ধরে ঝুলে থাকার শখ হলে, হাত দুটো সে হুকুম তালিম করবে। শরীরটাকে চাকর বানানো বলতে। ক্ষিতীশ শরীরের ওপর মনের এই আশ্চর্য নিয়ন্ত্রণকেই বুঝিয়েছেন।