মাকু গল্পের দ্বিতীয় পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা। Maku story question answer about 2end examination
![]() |
মাকু গল্পের দ্বিতীয় পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর
সপ্তম শ্রেণি বাংলা
প্রশ্ন:- পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল ?
উঃ। পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।
প্রশ্ন:-সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় ?
উঃ। সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়।
প্রশ্ন:-সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে কেন যায়?
উত্তর- সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির ও টিকিটের কোনো খবর এল কিনা জানতে।
প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেল ওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।
প্রশ্ন:- ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল ?
উঃ। চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।
প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে কী কী রান্না হবে ঠিক হয়েছিল?
উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে ভুনি খিচুড়ি, হরিণের মাংসের কোর্মা আর পায়েস রান্না হবে ঠিক হয়েছিল।
প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল ?
উঃ। হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ভালে শুকিয়েছিল।
প্রশ্ন:- সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল ?
উঃ। সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে মুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।
প্রশ্ন:-জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল ?
উঃ। জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।
প্রশ্ন:-পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল ?
উঃ। পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।
প্রশ্ন:- সোনা ও টিয়ারা পেয়াদাকে কেমন দেখেছিল?
উঃ। মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
প্রশ্ন:-পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল ?
উঃ। পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।
প্রশ্ন:- হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।
প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে?
উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে। রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।
প্রশ্ন:- বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয় ?
উ। সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয়।
প্রশ্ন:- হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে।
উঃ। আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত।তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।
প্রশ্ন :- হোটেলে জন্মদিনে কয়টি উনুন তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তর- তিনটি।
প্রশ্ন:- হোটেল আলা জন্মদিনে কিসের উনুন তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তর- পাথরের ।
প্রশ্ন ' চারিদিকে গন্ধে মো-মো করছে"- কিসের গন্ধ এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর -পায়েসের।
পাঁচ পর্ব
প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার কে হয়।
উত্তর-। ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার ভাই হয়।
প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কী হারিয়ে ফেলেছে?
উত্তর-হোটেলওয়ালা সং-এর টিকিটের আধখানা হারিয়ে ফেলেছে।
প্রশ্ন:-মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার কতদিন সময় লেগেছিল?
উত্তর:-মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার সতেরো বছরসময় লেগেছিল।।
প্রশ্ন:-পেয়াদা কাদেরকে খুঁজছিল?
উঃ। জঙ্গলে যারা থাকে তাদের পেয়ারা খুঁজছিল।
প্রশ্ন:- পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে কোথায় পড়ে গেল?
উঃ। পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে গর্তের ফাঁদে পড়ে গেল।
প্রশ্ন:- গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে সোনা টিয়া কি দেখেছিল?
উঃ। সোনা টিয়া দেখেছিল গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে একপাশে কালো চাদর মুড়ি দিয়ে কে যেন শুয়ে আছে।
প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালার কী ফুরিয়ে গেছে বলে দাবি করেছিল? তাই সে কী করতে পারবে না?
উঃ। ঘড়িওয়ালার পয়সাকড়ি ও বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গেছে বলে দাবি করেছিল।
প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালা মাকুর জন্য কি তৈরি করতে পারব না বলেছিল?
উত্তর-মাকুর জন্য কান্নার কল সে তৈরি করতে পারবে না।
প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালা মাকুর জন্য কাঁদার কল তৈরি করতে পারবে না কেন বলেছিল?
উত্তর - তার বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- মাকু এখন কীভাবে ইচ্ছামতো চলে?
উঃ। ঘড়িওয়ালা যেভাবে মাকুকে বানিয়েছিল সে সেভাবে নেই। তার কলের মধ্যে কী যেন এক অন্য শক্তি গজিয়েছে। তার ফলে মাকু নিজের ইচ্ছেমতো চলে।
প্রশ্ন:- পেয়াদাকে দেখে সোনা ও টিয়া দৌড় দিল কেন?
উঃ। পেয়াদা ঘড়িওলা, মাকু ও সার্কাসের লোকজনদের ধরতে এসেছে ভেবে সোনা-টিয়া দৌড় দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- সোনা কাকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল?
উঃ। সোনা মানুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল।
প্রশ্ন - সোনা মানুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল কেন?
উত্তর -পেয়াদা মাকুকে ধরতে এসেছিল মনে করে সোনা মাকুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালার মাকুকে বানাবার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উঃ ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাকুকে বানিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে সে ঘড়ির কারখানায় পড়ে থাকত। ম্যানেজার তাকে তাদের নীচে শুতে দিত, আর ছাইপাঁশ খেতে দিত। সে রাত জেগে জেগে গুদাম থেকে সব বিলিতি ঘড়ির কলকবজা খুলে নিয়ে মাকুকে বানিয়েছে।
প্রশ্ন:-জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।
উঃ। জঙ্গলে ফাঁদ পাতার কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায় না। কাকগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।
প্রশ্ন:-সোনা কেন বাঁশের খুঁটি উপড়ে দিয়েছিল?
উঃ। সোনা এদিক ওদিক দেখে বড়ো কাদের কিনারা থেকে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছিল। কারণ সে চেয়েছিল খালের মধ্যে মাকুকে ফেলে দিতে, যাতে কেউ সোনা টিয়া দেখিয়ে না দিলে মাকুকে কেউ খুঁজে না পায়।
প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল কেন? এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে কী বলেছিল?
উঃ। মাকুর শরীরে যে সব বিলিতি কলকব্জা লাগানো ছিল ,তার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকার জন্য ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল।
এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে ভাবনা করতে বারণ করে বলেছিল ছমাস মাকুর খেলা দেখালে এরকম অনেক পাঁচ হাজার টাকা উঠে আসবে।
ছয় পর্ব
প্রশ্ন:- কোন্ বিষাক্ত সাপের কথা সোনা বলেছিল?
উঃ। তক্ষক সাপের কথা সোনা বলেছিল।
প্রশ্ন:- কে কাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল ?
উঃ। একটা ছুঁচো একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন:-কে কাকে পোকা খাওয়াচ্ছিল?
উঃ। ওপরের ডালে বসে মা দাঁড়কাক নীচের ডালে বসা ছানা দাঁড়কাককে পোকা খাওয়াচ্ছিল।
প্রশ্ন:-খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের কী খাওয়াতে হয় ?
উঃ। খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হয়।
প্রশ্ন:- কে সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল?
উঃ। মাকু সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- মেম সোনাদের কী উপহার দিয়েছিল ?
উঃ। মেম সোনাদের একটা করে রেশমি ফিতে উপহার দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- সার্কাসের দড়িতে কে কী নিয়ে নাচে?
উঃ। সার্কাসের দড়িতে কালো মেম ছাতা নিয়ে নাচে।
প্রশ্ন:-কে সোনা-টিয়ার জুতোয় পালিশ করে দিল?
উঃ। যে লোকটা ঘোড়ার খুরে পালিশ লাগাচ্ছিল সে সোনা-টিয়ার জুতো পালিশ করে চকচকে করে দিল।
প্রশ্ন:- কার পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল?
উঃ। রানির পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল।
প্রশ্ন:- টিয়া কেন খালি ছুটতে ছুটতে দাঁড়াতে চায় ?
উঃ। টিয়া খালি বলে যে ওর পায়ে লেগেছে কি না, আয়োডিন দিতে হবে কি না।
প্রশ্ন:- জানোয়ারদের ভিটামিনের গুলি খাওয়াতে হয় কেন?
উঃ। ভিটামিনের গুলি না খাওয়ালে জানোয়ারেরা রাতে খেলা দেখাতে পারবে না।
প্রশ্ন:- মেম পার্টিতে কী ড্রেস পড়ে যাবে বলেছিল ?
উঃ । মেম পার্টিতে সোনালি খুন্টি দেওয়া লাল গাউন পড়ে যাবে বলেছিল।
প্রশ্ন; খেলার জানোয়ারদের ভুল করে কি খাওয়ানো হয়েছিল ?
উত্তর :-জোলাপ।
প্রশ্ন:- সং সোনা-টিয়ার জন্য যে জামা কিনে এনেছিল, তা কেমন ছিল ?
উঃ। সত্তের কেনা জামাটির রং ছিল একটা গোলাপি আর একটা ফিকে বেগুনি। জামাটির তলায় কুচি দেওয়া আর গলায় ছোটো একটা করে রূপালি ফুলের মতো বোতাম দেওয়া।
প্রশ্ন:- ছুঁচো আর ব্যান্ডের ঘটনাটি কী ঘটেছিল?
উঃ। সোনা-টিয়া দেখল খুঁচোর মতো দেখতে একটা প্রাণী একটা ব্যাঙের পা ধরে চিড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। একটা চিঁ-চিঁ শব্দ হচ্ছে। টিয়া ছুঁচোটাকে তাড়িয়ে ব্যাংটাকে বাঁচায়।
প্রশ্ন:- কে ওষুধের কৌটো খুঁজছিল। কীভাবে তা পাওয়া গেল এবং কাদের তা খাওয়ানো হলো?
উঃ। সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল। রুমাল বের করার জন্য সং যেই পকেটে হাত দিয়েছে তখনি পকেট থেকে সে সবুজ রংয়ের কৌটো খুঁজে পেল। ওষুধটি আর কিছুই নয়, সেটি ভিটামিন বড়ি। একটুকরো গুড়ের সঙ্গে একটি করে বড়ি জানোয়ারদের মুখে ফেলে দেওয়া হল। তাই খেয়ে তারা মাথা নাড়িয়ে পেজ দুলিয়ে আহ্লাদ করতে লাগল।
প্রশ্ন:- সে-দিন সার্কাসের জন্তুদের সাজের বিবরণ দাও।
উঃ। জানোয়ারদের পায়ে পালিশ লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকে চান করেছে, গায়ে মাথায় বুরুশ করেছে। তাদের গলার ঘণ্টি আর কলার আজ সব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝাকঝকে করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন:-পরিদের রানির কী কী সাজ দেখা গিয়েছিল তার বিবরণ দাও।
উঃ। তারা দেখল পরিদের রানির পোশাক ঘাসের উপর শুকোতে দেওয়া আছে। সেই পোশাকের সর্বাঙ্গে ছোটো ছোটো রূপালি বুটি। পাশে রুপালি ডানা জোড়াও রয়েছে। তার পাশে কাগজের বাক্সে রানির মাথার তারা দেওয়া মুকুট, হাতের চাঁদ-বসানো রাজদণ্ড, গলার সীতাহার, হাতের তাগা, কানের ঝুমকো রাখা আছে। গয়নার সঙ্গে বসেছে রূপালি পাড় দেওয়া সাদা রেশমি রুমাল।
প্রশ্ন:- বিকেলে সার্কাসে কী কী খেলা হবে? কোন্ খেলা কেন জমাতে হবে?
উঃ। সার্কাসে প্রথমে হবে দড়াবাজির খেলা। তারপর কুকুরদের খেলা শেষে জাদুর খেলা হবে। জাদুকর পরিদের রানিকে নামাবে। দড়াবাজির খেলা প্রথমেই জমাতে হবে। কারণ দড়াবাজির মতো খেলা হয় না, সে খেলা গোড়াতে না জমলে লোকে শেষ অবধি বসে থাকবে না।
সাত পর্ব
প্রশ্ন:- সোনা-টিয়ার সামনে দিয়ে কী উড়ে যায়?
উঃ। একটি বড়ো প্রজাপতি উড়ে যায়।
প্রশ্ন:- প্রজাপতির পা কীসে জড়িয়ে যায় ?
উঃ। করমচা ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জানে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন:- সং জানোয়ারদের কী খাইয়ে দিয়েছিল?
উঃ। সং জানোয়ারদের ভিটামিনের বদলে ভুল করে কড়া জোলাপ খাইয়ে দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- মাকু কোন্ বাজনা বাজাতে পারে।
উঃ। মাকু কলের মানুষ হলেও ক্ল্যারিওনেট বাজাতে পারে।
প্রশ্ন:- মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
উঃ। মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন:- কে মাকুকে কাদার কল দেবে বলল।
উঃ। সোনা মাকুকে কাদার কল দেবে বলল।
প্রশ্ন:- সং কী করছে?
উঃ সং মনের দুঃখে বুক চাপড়াচ্ছে।
প্রশ্ন:- কী খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল।
উঃ। মায়ের হাতের মোচার ঘণ্ট খাওয়ার জন্য খড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল।
প্রশ্ন:- কত লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে?
উঃ। তিন গাঁয়ের লোক খেলা দেখার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছে।
প্রশ্ন:- সোনা বুক ফুলিয়ে কী কী জানার কথা বলেছিল ?
উ। সোনা বুক ফুলিয়ে বলেছিল সে যোগ-বিয়োগ, ছোটো নদী, দিনরাত এইসব জানে।
প্রশ্ন:- পেয়াদা আসতে পারবে না কেন?
উঃ। পেয়াদা এখন বাঘের গর্তের ফাঁদে পড়ে চেঁচাচ্ছে, তাই সে আসতে পারবে না।
প্রশ্ন:-বাঘের ফাঁদের গর্ত থেকে কীসের আওয়াজ আসছিল?
উঃ। বাঘের ফাঁদের গর্ত থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।
প্রশ্ন:- দুটো করমচা গাছের মাঝখানে কী ছিল?
উঃ। দুটো করমচা গাছের মাঝখানে মাকড়সার জাল ছিল।
প্রশ্ন:- কতক্ষণ বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখাবার কথা ?
উঃ । পাঁচ ঘণ্টা বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা।
প্রশ্ন:- সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা কী খোঁজে ?
উঃ। সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে হোটেলওয়ালা টিকিটের আধখানা খুঁজতে থাকে।
প্রশ্ন:-সোনা-টিয়ার দেখা প্রজাপতিটি কেমন ছিল?
উঃ। সোনা-টিয়ার নাকের সামনে দিয়ে প্রকাণ্ড বড়ো একটি প্রজাপতি উড়ে যায়। প্রজাপতিটি আকারে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয় তার চেয়েও বড়ো। তার গায়ে নীল, সবুজ, সাদা-কালো বর্ডার।দেওয়া রঙের বাহার। আর লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো।
প্রশ্ন:-প্রজাপতির পিছনে সোনা-টিয়ার দৌড়োনোর ঘটনাটি বলো।
উঃ। সোনা-টিয়া একটা প্রজাপতি দেখতে পায়। সেটি এত বড়ো যে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়েও অত বড়ো হবে না। তার গায়ে নানা রং। প্রজাপতি একবার গাছের গোড়ায় ভুইচাপা ফুলে বসে মধু খায় আবার উড়ে পালায়। আবার উঁচুতে বসে নীচে পড়ে, রোদে বসে ডানা কাঁপায় আর তাদের সাড়া পেলেই উড়ে যায়। তারপর একসময় মাকড়সার জালে পা ঝড়িয়ে যায়। সোনা জাল ছিঁড়ে দিয়ে প্রজাপতিকে উড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন:- আম্মা প্রজাপতিদের সম্বন্ধে কী বলেছেন?
উঃ। আম্মা বলেছেন প্রজাপতিদের ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে প্রজাপতিরা আর উড়তে পারে না, মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কাকেরা ওদের ঠোকরায়। মাকড়সারা চুষে খেয়ে ফেলে। এতে প্রজাপতিরা মরে যায়।
প্রশ্ন:- হোটেলের মালিক জাদুকরকে নষ্টের গোড়া বলেছিল কেন?
উঃ। জাদুকরের দেখানো পরির রানির খেলা দেখেই মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চায়। তখন সবাই তাকে বলে যে সে কলের পুতুল হাসতে কাঁদতে পারে না, তার আবার বিয়ে হবে কীভাবে? তখন মাকু ঘড়িওয়ালার কাছে কাঁদার কল চায়। এদিকে দাড়িওয়ালার বিদ্যে ফুরিয়ে যাওয়ায় সে পালায়। তাই মাকু তাকে খুঁজতে গেছে। তাই নাকুর পালানোর জন্য জাদুকরই দায়ী।
প্রশ্ন:-মাকুর পালানোর কারণ জেনে জাদুকর কী বলেছিল?
উঃ। জাদুকর মাকুর পালানোর এই কারণ শুনে বললো যে এই সামান্য কারণে সে পালালো কেন? আগে জানলে মাকুর সঙ্গে রোজ পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হতো। কালের মানুষের সঙ্গে পরির রানির বিয়ে দেখতে রোজ প্রচুর লোক আসত, প্রচুর টাকা হতো। এর শুধু ঘড়িওয়ালা নয়, সার্কাস পার্টিরও ধার শোধ হয়ে যেতো।
তৃতীয় পরীক্ষা মাকু গল্পে প্রশ্নের উত্তর দেখুন