প্রাথমিক শেষ পরীক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা চতুর্থ শ্রেণি বাংলা ২০২৩ প্রশ্নের সমাধান /class 4 britti examination about bangla ২০২৩
![]() |
![]() |
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ, পঃ বঃ পরিচালিত
প্রাথমিক শেষ পরীক্ষা (বৃত্তি পরীক্ষা)
পূর্ণমান - ১০০
বিষয় : বাংলা। ২০২৩
সময় : ২ ঘন্টা ৩০ মিঃ
১। যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) “ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই মামাদের সঙ্গে জ্যোতি যার কুস্তির আখড়ায়।” – উদ্ধৃত অংশটি কোন্ রচনার অংশ? লেখক কে? জ্যোতির মায়ের নাম কী? মা জ্যোতিকে কোন্ নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন? জ্যোতির ন’-মামার নাম কী? কুস্তির আখড়ায় কোথা থেকে কে এসে তালিম দিত? জ্যোতির আসল নাম কী?
উত্তর-
■ উদ্ধৃত অংশটি বাঘাযতীন রচনার অংশ। লেখক হলেন পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
■ জ্যোতির মায়ের নাম -'শরৎ শশী'।
■ মা জ্যোতিকে 'গড়ূই'নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন।
■ জ্যোতির ন’-মামার নাম :অনাথ'।
■ কুস্তির আখড়ায় 'গট্টিয়া' থেকে 'যাদুমাল' এসে তালিম দিত।
■ জ্যোতির আসল নাম 'যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়' (বাঘাযতীন)।
(খ) “ধলেশ্বরী আইলো নাকি ও-ও মাঝি ভাই?” – কোন্ রচনার অংশ? লেখক কে? নৌকায় কী কী রান্না হয়েছিল। ধলেশ্বরীর ঢেউ কোথায় আছড়ে পড়ে? ধলেশ্বরীকে খ্যাপা নদী বলা হয়েছে কেন ?
১+১+২+১+৩ = ৮
উত্তর-
■ 'আমার মা-র বাপের বাড়ি' রচনার অংশ।
■ লেখক হলেন 'রানী চন্দ'।
■ নৌকায় লাল 'লাল মোটা চালে ভাত এবং ইলিশ মাছের ঝোল' রান্না হয়েছিল।
■ ধলেশ্বরীর ঢেউ নৌকার গায়ে আছড়ে পড়ে?
■ ধলেশ্বরী নদী তালে- বেতালে চলে। সে তার চলার তাল ঠিক রাখতে জানে না । তাই ধলেশ্বরীকে খ্যাপা নদী বলা হয়েছে ।
(গ) “আমি নিজেও বোতোকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলাম। - বক্তা কে? কার লেখা? কোন্ রচনার অংশ? বোতো কে? তার সম্বন্ধে প্রচলিত বিশ্বাসটি কী? বক্তার চোখে দেখা বোতোর শারীরিক গঠনের পরিচয় দাও।
উত্তর-
■ বক্তা বক্তা হলেন লেখক নিজে অর্থাৎ লেখক অমরেন্দ্র চক্রবর্তী।
■ গল্পটি অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা লেখা।
■ গল্পটি আমাজনের জঙ্গলে রচনার অংশ।
■ বোতো হল আমাজন নদীর একটি জলজ গোলাপি রঙের প্রাণী । যাকে সেখানকার আমাজনের মানুষ দেবতা বলে মানে।
■ 'বোতোর' সম্বন্ধে প্রচলিত বিশ্বাসটি হল, আমাজন নদীতে ওই জলজ জীবটি দর্শন পাওয়া সব সময় ভালো। এছাড়া নৌকা উৎসবের দিনে বোতোর দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের লক্ষণ। আমাজনে বিপদে আপদে মানুষকে রক্ষা করে। জলের তলায় তার মস্ত শহর । সেখানে রঙিন পাথরে তৈরি একটা বিরাট প্রাসাদ আছে।
■ বক্তার চোখে দেখা বোতোর শারীরিক গঠনের পরিচয় হল- খুব লম্বা মত একটা প্রাণী। তার নাক বা ঠোঁট খুব সরু। লম্বায় প্রায় এক - দের হাত। মস্ত বড় মাথা । এর মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে বড় হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই ।এর লেজটা শরীরের শেষ প্রান্ত থেকে দুদিকে ভাগ হয়ে ভারী সুন্দর দেখায় ।
(ঘ) “এবার ফেরবার পালা।” - কার লেখা? কোন্ রচনার অংশ? বক্তা কে? তাঁর পূর্বপুরুষেরা কোথায় চাকরি করতেন? ফেরবার পথে কী কী বিপদ ঘটেছিল? শুভ্র তুষার কার মৃতদেহের উপর কবর রচনা করল?
উত্তর-
■ নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
■ দক্ষিণ মেরু অভিযান রচনার অংশ।
■বক্তা হলেন ক্যাপ্টেন স্কট।
■ তাঁর পূর্বপুরুষেরা সামুদ্রিক বিভাগে চাকরি করতেন।
■ ফেরবার পথে ক্যাপ্টেন্স স্কট কে ভয়াবহ বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।হাওয়া আর বয় না । শুধু জমাট বরফের কণা বইতে থাকে। দিনের পর দিন শুধু বরফের বৃষ্টি ছাড়া আকাশ পৃথিবী কিছুই দেখা যায় না। প্রায় শ্বাস বন্ধ হতে যাওয়ার উপক্রম। ভীষণ বরফ পড়ার জন্য তারা কিছু দেখতে না পেয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন। তাদের শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে। স্কটের এক সঙ্গী ইভানস বরফ চাপাব করে মারা যান। বরফ পড়া বন্ধ হলো না ।অবশেষে স্কট তার অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে একটি ডিপোতে এসে হাজির হন। সেখানে একে একে সকলে বরফের নীচে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েন।
■ শুভ্র তুষার 'ইভানসের' মৃতদেহের উপর কবর রচনা করল।
(ঙ) “সুতরাং ঠিক হলো আমাদের দলটা এবার ছোট পিসিমার বাড়ি হয়ে সেজ পিসিমার
বাড়ি যাবে।” - কাদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল? ছোট পিসিমার বাড়ি যেতে কোন্ বিখ্যাত মানুষের গ্রাম পেরোতে হয়? তাঁর পরিচয় দাও। ছোট পিসিমা কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন? সেজ পিসিমার গ্রামের নাম কী?
২+১+২+২+১ = ৮
উত্তর-
■ ছোট পিসিমা আর সেজ পিসিমা চার ছেলেমেয়ে সঙ্গে লেখকে নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল।
■ ছোট পিসিমার বাড়ি যেতে বিখ্যাত মানুষ অশ্বিনী কুমার দত্তের বাটাজোড় গ্রাম পেরোতে হয়।।
■ অশ্বিনী কুমার দত্ত ছিলেন একজন বহু ভাষাবিদ সু পন্ডিত এছাড়াও তিনি 'বরিশালে্য গান্ধী" নামে খ্যাত ছিলেন ।
■ ছোট পিসিমার প্রাণশক্তি ছিল প্রচুর। দিনে খলবল করে কাজ করেন। রাতে লন্ঠন জ্বালিয়ে পাহারা দেন। চোর ডাকাত প্রতিবেশী এবং সন্তানেরা কেউ তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না।
■ সেজ পিসিমার গ্রামের নাম ' চন্দ্রহার'।
২।যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪×৪=১৬
(ক) “মানুষ হইতে হবে, মানুষ যখন।” – কবি কে? তিনি কোন্ বিখ্যাত কবির মা? এই কবিতায় কবি আমাদের দেশের ছেলেদের কাছে কী প্রত্যাশা করেন?
উত্তর-
■ কবি হলেন কুসুমকুমারী দাশ।
■ তিনি বিখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাশের মা।
■ কবি কুসুমকুমারী দাশ এদেশের ছেলেদের কাছে অনেক আশা রাখেন । যেমন তারা কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হবে। মুখে হাসি বুকে বল আর তেজে ভরা মন নিয়ে তারা মানুষ হওয়ার প্রতিজ্ঞায় অটল থাকবে। নির্ভয়ে বিপদে এগিয়ে যাবে। চাষীর ছেলে থেকে রাজার ছেলে সবাই নিজের সর্বশক্তি দিয়ে দেশের উন্নতি করবে।
(খ) “চৌপর দিন-ভোর
দ্যায় দূর - পান্না।” – কবি কে? কে দূর পাল্লা দেয়? ‘চৌপর' শব্দের অর্থ কী? নৌকাতে কতজন মাঝি ছিল?
উত্তর-
■ কবি হলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
■ মাল্লা দূর পাল্লা দেয়।
■ ‘চৌপর' শব্দের অর্থ সমস্ত দিন বা রাত।
■ নৌকাতে তিনজন জন মাঝি ছিল।
(গ) “আল্লা মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই
-এই কবিতার কবি কে?
কারা কেন এই প্রার্থনা করেছে?
উত্তর-
■ এই কবিতার কবি হলেন জসীমউদ্দীন
■ গ্রামবাসীরা এই প্রার্থনা করেছে।
কারণ প্রখর তাপে খরা দেখা দিয়েছিল। দুপুরবেলায় বালুচরের মধ্যে পিপাসায় কলিজা অর্থাৎ হৃদপিণ্ড টা ফেটে যাচ্ছিল। আকাশটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা হয়ে গিয়েছিল । আর মাটি জমি সব ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য গ্রামবাসীরা এই প্রার্থনা করেছেন।
(ঘ) “ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো।” ‘নেয়ে’ শব্দের অর্থ কী? কোন্ অবস্থায় নাওখানি বাওয়া হচ্ছে? কবি নেয়েকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন? তিনি নিজে কী সহায়ত। করবেন বলে জানাচ্ছেন ?
উত্তর-
■ নেয়ে’ শব্দের অর্থ নৌকার মাঝি
■ যখন বাতাস তীব্র গতিতে বইছে চারিদিক আকাশ মেঘে ছায়া আছে তখন নাওখানি বাওয়া হচ্ছে।।
■ কবি নেয়েকে নির্দেশ দিচ্ছেন তুমি শব্দ করে হালটা ধরো ।
■ তিনি নিজে নৌকার পালটা তুলে বেঁধে সহায়ত করবেন বলে জানাচ্ছেন ।
(ঙ) “যত দূরে-ই যেখানে যাই নাকো সারা লাইন শুধু আমার একার।” – কবি কে? কোন্ কবিতার অংশ? এর মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর-
■ কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র।
■ মালগাড়ি কবিতার অংশ।
■ এর মধ্য দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি স্বাধীনভাবে একা একা চলতে চান যেখানেই তিনি যান না কেন সেখানে কোন পিছুটান নেই। কোন নিয়ম বাঁধা নেই। অর্থাৎ তিনি মুক্ত জীবন পছন্দ করেন।
৩। কবিতা ও কবির নাম উল্লেখ করে শূন্যস্থানগুলি পূরণ করো :
“বহু-- ধরে বহু ক্রোশ---
-- ব্যয় করি বহু-- ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি -----
---• গিয়েছি সিন্ধু।”
উত্তর-
“বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।”
৪। (ক) অর্থ লেখো ঃ (যে কোন ৬টি)
রসদ, আস্তানা, আমন্ত্রণ, নীর, খটকা, সাফ, হোঁচট।
উত্তর-
রসদ - যুদ্ধের মাল- মসলা।
আস্তানা- ঠিকানা, আশ্রয় স্থল।
আমন্ত্রণ- নিমন্ত্রণ।
নীর- জল , বারি।
খটকা- সন্দেহ।
সাফ- পরিষ্কার।
হোঁচট- চলার পথে পায়ে আঘাত।
(খ) বাক্য রচনা করো ঃ (যে কোন ৩টি)
গৌরব, আবিষ্কার, ছিপছিপে, দিলখোলা, অবসন্ন।
উত্তর-
গৌরব- লতা মঙ্গেশকর অনেক গৌরব অর্জন করেছেন।
আবিষ্কার- খুব দ্রুত করোনার ঔষধ আবিষ্কার হয়েছিল।
ছিপছিপে- ছেলেটি্য ছিপ ছিপে গঠন।
দিলখোলা- আমার দাদুর মন খুব দিলখোলা
অবসন্ন- ছেলেটি পরীক্ষার সময় অনেক রাত পর্যন্ত পরে অবসন্ন হয়ে পড়েছে।
(গ) বর্ণ বিশ্লেষণ করো ঃ (যে কোন ৩টি)
লাজুক, ব্যস্ত, মোমবাতি, কোর্মা, বাগিচা।
উত্তর--
লাজুক-- ল+ আ+আ +জ +উ +ক
ব্যস্ত- ব +য +স+ ত +অ
মোমবাতি- ম +ও+ ম +ব +আ +ত+ ই
কোর্মা - ক +ও+ য +ম +আ
বাগিচা- ব +আ+ গ +ই +চ+ আ
(ঘ) বিপরীত শব্দ লেখো ঃ (যে কোন ৬টি)
ভয়, ঊষা, স্বাধীন, দুরন্ত, প্রকাণ্ড, মৌন, ভালো।
উত্তর-
ভয়- সাহস
ঊষা- গোধূলি
স্বাধীন- পরাধীন
দুরন্ত- শান্ত
প্রকাণ্ড- খাটো
মৌন- বাচাল
ভালো- খারাপ
৫।(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ করো : (যে কোন ৪টি)
হিমালয়, বনৌষধি, রবীন্দ্র, নয়ন, পরীক্ষা।
উত্তর-
হিমালয়- হিম+ আলোয়
বনৌষধি- বন+ ঔষধি
রবীন্দ্র-- রবি +ইন্দ্র
নয়ন- নে+ অন্
পরীক্ষা- পরি + ইক্ষা
(খ) বিপরীত লিঙ্গের শব্দ লেখো ঃ (যে কোন ৪টি)
গোয়ালিনী, সাহেব, জ্যেঠামশাই, সিংহিনী, ছেলে।
উত্তর:-
গোয়ালিনী- গোয়ালা।
সাহেব- বিবি
জ্যেঠামশাই- জেঠুমা
সিংহিনী- সিংহ
ছেলে- মেয়ে
(গ) এক কথায় প্রকাশ করো : (যে কোন ৪টি)
যে ফেরি করে বেড়ায়, যিনি চিকিৎসা করেন, ভিজে মাটির গন্ধ, নতুন আবিষ্কারের জন্য যাত্রা, যে সবকিছু খায়, অন্যের উপর নির্ভরশীল গাছ।
উত্তর--
যে ফেরি করে বেড়ায়>> ফেরিওয়ালা।
যিনি চিকিৎসা করেন>> চিকিৎসক।
ভিজে মাটির গন্ধ>> সোঁদা গন্ধ।
নতুন আবিষ্কারের জন্য যাত্রা>> অভিযান।
যে সবকিছু খায় >> সর্বভুক।
অন্যের উপর নির্ভরশীল গাছ>> পরগাছা।
৬। যে কোন একটি বিষয়ে অনুচ্ছেদ রচনা করো ঃ (১৫টি বাক্যের মধ্যে) ৮×১ = ৮
ক) তোমার প্রিয় মনীষী খ) তোমার একটি পোষা প্রাণী গ) বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব।
উত্তর-ক) তোমার প্রিয় মনীষী
রাজা রামমোহন রায়
ভূমিকা : আমাদের দেশে যখন ধর্মের নামে নানারকম কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল, তখন রামমোহনের আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি দেশ ও জাতিকে নতুন পথ দেখিয়েছিলেন।
জন্ম ও বংশ-পরিচয় ঃ হুগলি জেলার রাধানগরে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ মে রামমোহনের জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম রামকান্ত রায়। মায়ের নাম তারিণী দেবী।
শিক্ষা : গ্রামের পাঠশালাতে রামমোহনের শিক্ষা শুরু হয়। কাশী গিয়ে তিনি সংস্কৃত শিক্ষা লাভ করেন। এছাড়া আরবি, ফারসি, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষায় যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তাঁর ছিল অসাধারণ বুদ্ধি।
কর্মজীবন ও কৃতিত্ব : ছোটোবেলা থেকেই রামমোহন ছিলেন বিদ্রোহী । তিনি প্রথম জীবনে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরে তা ছেড়ে দেন। সমাজের অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার, অসত্য এসবের বিরুদ্ধে তিনি সারাজীবন লড়াই করে গেছেন। সতীদাহ প্রথা,
জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি অন্যায় ও কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করেছেন। ইংরেজি শিক্ষা এবং স্ত্রীশিক্ষার প্রবর্তনে তাঁর অবদান অসামান্য। রামমোহন ব্রাহ্ম
ধর্ম ও ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে তিনি প্রথম তাঁর মত প্রকাশ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যও তাঁর কাছে বিশেষভাবে ঋণী। তিনি বাংলায় বত্রিশখানা এবং ইংরেজিতে আটত্রিশখানা বই লিখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘ভারত পথিক' উপাধি দিয়েছিলেন। ইংরেজ সরকার তাঁকে ‘রজা” উপাধি দিয়েছিলেন।
উপসংহার : এই দেশপ্রেমিকের মৃত্যু হয় বিদেশের মাটিতে। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিস্কুল শহরে তাঁর মৃত্যু হয়। চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদিতে তিনি ছিলেন অসাধারণ।
খ) তোমার একটি পোষা প্রাণী
গ) বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব।