নোট বই কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণী বাংলা / NOTBOiI poem question answer class 7 bangla - school book solver

Friday, 23 May 2025

নোট বই কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণী বাংলা / NOTBOiI poem question answer class 7 bangla

 




সপ্তম শ্রেণি

কবিতা : নোট বই

কবি : সুকুমার রায়


কবি সুকুমার রায়ের পরিচিতি :-

১৮৮৭ সালে সুকুমার রায় জন্ম গ্ৰহণ  করেন।  সুকুমার রায়ের পিতা ছিলেন  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

 সুকুমার রায়ের রচিত বইগুলি হল 'আবোল তাবোল', 'হযবরল', 'পাগলা দাশু', 'খাই খাই’, ‘অবাক জলপান।', 'লক্ষ্মণের শক্তিশেল' ইত্যাদি। চিত্রশিল্প, ফটোগ্রাফি, সরস ও কৌতুককর কাহিনি এবং ছড়া রচনায় সুকুমার রায় অতুলনীয়। ১৯২৩ সালে সুকুমার রায় পরলোকগমন করেন।



নোট বই কবিতা নামকরণের  সার্থকতা :-


নোট বই কবিতা নামকরণের সার্থকতা -কবিতাটি একটি নোটবইকে নিয়ে লেখা। কোভিদ সকল জানা-অজানা সবকিছু নোট বইয়ে লিখে রাখতে চান ।তাতে দুনিয়ার যাবতীয় সম্ভব ও অসম্ভব প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেওয়া রয়েছে। মনে কোনো প্রশ্ন এলেই তাতে লিখে রাখা হয় এবং পরে উত্তর মেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাই আমার মতে "নোট বই' নামকরণটি যথার্থ হয়েছে।


সারমর্ম: কবিতায় কবি পেনসিল ও নোটবই নিয়ে পৃথিবীর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ান । যেখানে যা শোনেন তাই তিনি চটপটি লিখে ফেলেন। তা সে আরশোলার খাওয়া থেকে গোরুর কাতুকুতু খাওয়া অবধি। মনে কোনো প্রশ্ন এলে তাও তিনি এতে লেখেন এবং বড়োদের কারোর থেকে উত্তর জেনে নেন। তাঁর এই নোটবইতে এমন সব প্রশ্ন-উত্তর আছে যা নোটবই যে পড়েনি সে জানবে না। অনেক প্রশ্নের উত্তর তার তিনি অনেক ভাবে জানতে চান।


হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১.১ নোটবই কী ধরনের লেখাতে ভরা? 

উঃ। নোটবই পৃথিবীর যাবতীয় সম্ভব-অসম্ভব জন অজানা লেখাতে ভরা ।


১.২ কারা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন?

উঃ। বস্তা যেখানে যা শোনেন এবং তাঁর মনে যা আসে তা তিনি নোটবইতে লিখে রাখেন।

২. চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট—এই শব্দগুলো কী ধরনের শব্দ? চটপট আর ছটফট এই দুটি শব্দ দিয়ে দুটি বাক্যরচনা করো। 

উত্তর-  এই ধরনের শব্দগুলো হল ধ্বন্যাত্মক শব্দ।

চটপট চটপট ধান কাটতে লেগে যাও। ছটফট—এত ছটফট করলে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় আছে।।


৩. নীচের বিশেষ্যগুলোর আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাও ঃ লণ্ঠন, লংকা, আঠা।

উত্তর- নাল লংকা। 

চটচটে আঠা।


৪. একই অর্থযুক্ত আর-একটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা।

উঃ। পা-ঠ্যাং। 

উত্তর -জবাব। 

অস্থিরতার ভাব- ছটফট। 

তীক্ষ্ণতা—ঝাঁজ।


৫. শূন্যস্থান পূরণ করো :

উঃ বিশেষ্য     বিশেষণ

আঠা        আঠালো

মन        মানসিক


৬। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :


৬.১ ‘ভালো কথা শুনি যেই চটপট লিখি তায়’– বক্তা কোন্ কোন্ ভালো কথা নোটবইয়ে লিখে রেখেছিলে-

উঃ।বক্তা সম্ভব ও অসম্ভব নানারকম ভালো কথা শুনেছেন আর চটপট লিখে রেখেছেন। যেমন—আঠা লাগলে আঠা কেন চটচট করে, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে, আরশোলা কী খায়, ফড়িঙের ক-টা ঠ্যাং এই সমস্ত ভালো কথা 

নোটবইতে লিখে রেখেছিলেন।


৬.২ ‘কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা'—কাল থেকে মনে কী খটকা লেগেছে? এই খটকা কীভাবে দূর হবে?

উঃ। কাল থেকে কবির মনে ঝোলাগুড় সাবানে দেয় না পটকাতে দেয় ,সেই বিষয়ে খটকা বা সন্দেহ লেগে আছে।

মেজদাকে জিজ্ঞেস করে উত্তর জেনে নিলে কবির মনের সেই খটকা দূর হবে।

৬.৩ ‘বলবে কী, তোমরাও নোটবই পড়োনি’– নোটবই পড়লে আর কী কী জানা যাবে ?

উঃ। কবির মতে নোটবই পড়লে জানা যাবে যে জোয়ানের আরকে ঝাঁজ কেন, পেট কেন কামড়ায়, লংকা ঝাল কেন, তেজপাতাতে কেন তেজ, নাক কেন ডাকে, পিলে চমকায় কেন, দুন্দুভি কী, অরণি কাকে বলে এইসব নানা বিষ

৭. নির্দেশ অনুসারে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

৭.১. ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কী করে?

উঃ। ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি চটপট পেনসিল দিয়ে তার নেটি বইতে সেটি লিখে রাখে।


৭.২. তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উঃ। তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা হল—ফড়িঙের ক-টা ঠ্যাং, কাতুকুতু দিলে গোরু ছটফট করে কেন আরশোলা কী কী খায় ইত্যাদি।


৭.৩. কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন—এগুলো কী ধরনের শব্দ?

 উঃ। এগুলি ধ্বন্যাত্মক শব্দ।


৭.৪. ‘মাথাঘামানো' এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কী?

উঃ। এর অর্থ হলো কোনো বিষয়ে সমাধান বার করার জন্যে চিন্তা করা।


৭.৫. ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলোর উত্তর জেনে নেন ?

উঃ। ভালো কোনো প্রশ্ন মনে এলে বক্তা তাঁর মেজদার সাহায্য নিয়ে সেগুলোর উত্তর জেনে নেন।


৭.৬ মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে তুমি কি জরুরি বলে মনে করো ?

উঃ। হ্যাঁ। কাজের প্রয়োজনে মানুষের কাছে একটা নোট বই থাকা আমি জরুরি বলে মনে করি।


৭.৭. তুমি যদি নোটবই কাছে রাখো তাতে কী ধরনের তথ্য লিখে রাখবে?

উঃ। আমি নোটবই কাছে রাখলে তাতে আমার জানা নতুন কোনো তথ্য লিখে রাখব যা পরে কোনো সময় কাজে লাগে পারে।


৭.৮. ‘জোয়ান’ শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্য লেখো।

উঃ। জোয়ান –ভাত খাওয়ার পরে জোয়ান খেলে হজম হয়।।

জোয়ান—জোয়ান ছেলেরা সকল কাজে এগিয়ে যায়।


৭.৯. ‘আগাগোড়া’ এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশ তৈরি করে পাঁচটি শব্দ লেখো।

উঃ। ‘আগে পিছে’, ‘কম বেশি’, ‘যাওয়াআসা’, ‘আগেপরে’, ‘দিনরাত’।


৭.১০. কবিতাটিতে কোন্ কোন্ পতঙ্গের উল্লেখ রয়েছে?

উঃ। কবিতাটিতে ফড়িং ও আরশোলার উল্লেখ রয়েছে।


৭.১১. কবিতায় উত্থাপিত কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর তুমি জানো?

উঃ। কবিতায় উত্থাপিত ফড়িঙের ক-টা ঠ্যাং, দুন্দুভি কী এবং অরণি কাকে বলে তা আমি জানি।


৭.১২. কোন্ প্রশ্নগুলো পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে?

উঃ। কাতুকুতু খেলে গোরু ছটফট কেন করে, ঝোলাগুড় সাবানে না পটকাতে দেয়, পিলে কেন চমকায় ইত্যাদি। প্রশ্নগুলিকে আমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে।


৮. নীচের শব্দগুলোর গদ্যরূপ লেখো : তায়, মোর, তেজপাতে।

উঃ। তায়—তাহাতে। 

মোর-আমার।

 তেজপাতে—তেজপাতা।


৯. বিশেষ্যগুলোকে বিশেষণে আর বিশেষণগুলোকে বিশেষ্যতে বদলে লেখো : মন, আঠা, চটচট, জবাব, পেট।

উঃ। মন—মানসিক। 

আঠা—আঠালো। 

চটচট—চটচটে। 

জবাব—জবাবি। 

পেটুক—পেট।


১০. নীচের সর্বনামগুলোকে বাক্যে ব্যবহার করো : আমি, মোর, কে, কার, কাকে, তোমরা, নিজে


উঃ। আমি- আমি রাত্রে ঘুমাতে যাই।

মোর— মোর কাছে দুটো বই আছে।

কে— বড় কাকু কে আমার দাদু ডেকেছে।

কাকে— গান শুনতে কাকে কাকে নিয়ে যাবে?

তোমরা— তোমরা খুব ঝগড়া করতে পারো।

নিজে— পরীক্ষার খাতায় রচনাটা আমি নিজে লিখেছি।

১১. নীচের বাক্যগুলোর উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্প্রসারণ করে লেখো :

১১.১ ওরে রামা ছুটে আর নিয়ে আয় লন্ঠন।

উঃ। ওরে রামা তাড়াতাড়ি ছুটে আয় দেখি। লণ্ঠনটাকে নিয়ে আয়, আলো দেখা।

১১.২ এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।

উঃ। এই দেখো সবকিছু ভরে রয়েছে। কিলবিল লেখাতে আমার খাতার পাতাভরা।

১১.৩ জবাবটা জেনে নেবো মেজদাকে খুঁচিয়ে।

উঃ। মেজদাকে খোঁচাবো, জবাবটা জেনে নেবো। তারপর বলবো। যতক্ষণ-না জানবো মেজদাকে খোঁচাবো।

১১.৪. ঝাল কেন লংকায়? 

উঃ। এত ঝাল হয়েছে কেন? লংকায় খুব ঝাল।


১১.৫ বলবে কী তোমরা ও নোটবই পড়োনি।

উঃ। বলবে কী করে, তোমরা জানো না। নোটবই না পড়লে জানবেও না।

 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

★ কীসে ঝাল আর কীসে তেজ রয়েছে? 

উঃ। লংকায় ঝাল আর তেজপাতায় তেজ রয়েছে।

★  কী কটকট আর কী টনটন করে

উঃ। কান কটকট করে, আর ফোঁড়া টনটন করে।

★  গোরু কী করলে ছটফট করে? 

উঃ। কাতুকুতু দিলে গোরু ছটফট করে।

★ লিখে গেছি আমি’—কবি কীভাবে লিখে গেছেন।

উঃ। কবি তার নোট বইতে লেখা প্রত্যেকটি বিষয় দেখে ও শিখে, পড়ে ও শুনে নিয়ে, বসে বসে মাথা ঘামিয়ে আগাগোড়া নিজে নিজে লিখে গেছেন।

★ ‘দুন্দুভি’ ও অরণি কী কাজে ব্যবহার হত?

উঃ। দুন্দুভি হল দামামা জাতীয় প্রাচীন এক বাদ্যযন্ত্র। সাধারণত যুদ্ধের সময় এটি বাজানো হত ।

অরণি” বলা হয় এক ধরনের কাঠকে যা থেকে ঘষা লেগে আগুন জ্বলে। এটি প্রাচীন যুগে যজ্ঞের কাজে বা আগুন জ্বালাতে ব্যবহার করা হত।

★ লেখকের নোট বুক কীসে ভরা

উঃ। লেখকের নোটবুক সব কিলবিল লেখাতে ভরা।

★  কবি কীসে ঝাঁজ আছে বলে প্রশ্ন করেছেন? 

উঃ। কবি জোয়ানের আরকে ঝাঁজ কেন এই প্রশ্ন করেছেন।

★ লেখক কার কাছে কীভাবে জবাব নিতে চান?

উঃ। লেখক মেজদাকে খুঁচিয়ে জবাবটা জেনে নিতে চান।

★ কবি কাকে কী নিয়ে ছুটে আসতে বলছেন? কেনই বা ছুটে আসতে বলছেন?

উঃ। কবি রামা কে লণ্ঠন নিয়ে ছুটে আসতে বলেছেন। কবির কান কটূ কট করছে ও ফোড়া টনটন করছে তাই রামাকে ছুটে আসতে বলছেন।


★  পদ পরিবর্তন করো ঃ আঠা, ছটফট, জবাৰ, তেজ। 

উঃ। আঠা—আঠালো। 

ছটফট—ছটফটে। 

জবাব—জবাবি।

তেজ -তেজালো।


★ বিপরীত শব্দ : 

ভরা- খালি। 

জবাব - প্রশ্ন।

 ঝাল-মিষ্টি। 

ছুটে—থেমে। 

গুছিয়ে -ছড়িয়ে। 

কাল—আজ।

তেজ-নিস্তেজ।


শব্দার্থ : তেজশক্তি,- উগ্রতা। 

কিলবিল – বহুসংখ্যক জীবজন্তুর দলবদ্ধভাবে বিচরণ।

খটকা-সন্দেহ।

শিলে-মীরা। 

দুপুতি-ঢাক।

অরণি-যে কাঠে আগুন জ্বলে বা চকমকি পাথর বা চিত্রক গাছ। 

পটকা—এক প্রকার কাঁজ তীর গল্প বা স্বাদ। 

আরক--নির্বাস, সার বা রস। 

খুঁচিয়ে খোঁচা মেরে।

চটপট তাড়াতাড়ি/দ্রুত। ঠ্যাং-পা। 

চটচট-- আঠালো। 

ছটফট –অস্থিরতার ভাব।