'মাকু" গল্পের বইয়ের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণী বাংলা / maku story question answer class 7 bangla - school book solver

Friday, 30 May 2025

'মাকু" গল্পের বইয়ের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণী বাংলা / maku story question answer class 7 bangla

 



সপ্তম শ্রেণী বাংলা
মাকু গল্পে
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর।

১. আম্মা কে ছিলেন?
উঃ । আম্মা ছিলেন সোনা- টিয়া এবং তাদের বাবার মহিমা। তিনি সোনাদের দেখাশোনা করতেন।
২. সং কে? যে বনের মধ্যে की করছিল।
উত্তর- সং হল সার্কাসের জোকার। সে বনের মধ্যে লুকিয়েছিল।

৩. ঘড়িওয়ালার দাদা কে?
উঃ ঘড়িওয়ালার দাদা হল নোটো অধিকারী ।
যাকে গল্প হোটেল ওয়ালা বলে জানি।

৪. সোনা-টিয়া যাকে পেয়াদা ভেবেছিল সে আসলে কে?
উঃ সোনা-টিয়া যাকে পেয়াদা ভেবেছিল সে আসলে পোস্ট মাস্টার ফেলারাম।

৫. যে চাৰি দিনা টিয়া মাকুকে চালু করেছিল সেটা আসলে কী?
উত্তর। যে চাবি দিয়ে টিয়া মাকুকে চালু করেছিল সেটা আসলে ছিল লটারির টিকিট দিয়ে মোড়া তাদের মামনির  সিঁদুর কাঠি।

৬. জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী দিয়েছিল?
উঃ । জাদুকর সোনা-টিয়াকে দুটি খরগোশ দিয়েছিল।

৭. পিসেমশাই কী চাকরি করতেন।
উ। পিসেমশাই ছিলেন পুলিশের বড়োসাহেব।

৮. "স্বর্গের সুরুয়া" কেমন ভাবে রান্না করা হত।
উঃ সুরুয়া রান্না সময় তার মধ্যে হোটেলওয়ালার দাড়ি-গোঁফ ফেলে দেওয়া হতো। তাতে তাতে সুরুয়ার স্বাদ পাল্টে যেত । সবাই খাওয়ার সময় খুব প্রশংসা করত । এইভাবে স্বর্গের সুরুয়া রান্না করা হত।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
১. কালিয়ার বন কোথায়? সেখানে কীভাবে যেতে হায়।
উঃ কালিয়ার বন সোনাদের গ্রামের শেষে।
সেখানে যেতে গেলে প্রথমে গলি দিয়ো বেরিয়ে রাস্তা। তারপর গির্জা, তারপর কবরস্থান পেরিয়ে যেতে হয় শুন শুনির মাঠ। সেই মাঠ পেরিয়ে পরে কালিয়ার বনে পৌঁছানো যায়।

২. ঘড়িওয়ালার হ্যান্ডবিলে কী লেখা ছিল সংক্ষেপে লেখো।
উঃ ঘড়িওয়ালার হ্যান্ডবিলে কলের পুতুল মাকুর কথা লেখা ছিল। "এ এক আশ্চর্য পুতুল। মানুষ নয় অথচ মানুষের মতো সবকিছু করতে পারে।"

৩. মাকুর চানি ঘড়িওয়ালা কতদিনের জন্য দিয়েছিল। তারপর কী হবার কথা?
উঃ মাকুর চাবি ঘড়িওয়ালা এক বছরের জন্য দিয়েছিল। তারপর চাবি ফুরিয়ে মাকুর স্থির হয়ে যাবার কথা।

৪. হোটেলওয়ালাকে কেমন দেখতে? সে সোনা টিয়াকে কীভাবে সাহায্য করেছিল।
উঃ হোটেলওয়ালার মুখে লম্বা লম্বা দাড়ি-গোঁফ ছিল। সে সোনা টিয়াকে সেখানে থাকতে ও খেতে দিয়েছিল।

৫. সং কেন সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যে?
উঃ। সং একটি লটারির টিকিট কেটেছিল। সেই লটারি লাগলে সে বড়োলোক হয়ে যাবে। তাই সেই লটারির খোঁজ নিতে সে সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যেত।

৬.. সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা হোটেলওয়ানা কীভাবে হারিয়েছিল।
উঃ। সং-এর টিকিটের আধখানা সং হোটেলওয়ালাকে রাখতে দিয়েছিল হোটেলওয়ালার কাজকর্মের মধ্যে সেই
টিকিট কোথায় পড়ে গিয়েছিল তার ঠিক ছিল না। সে অনেক খুঁজেও টিকিট পাচ্ছিল না।

৭. বাঘ ধরার বড়ো ফাঁদ কীরকম দেখতে।
উত্তর-। বাঘ ধরার বড়ো ফাঁদ  মাটিতে করা বড়ো গর্ত। সেই গর্তের উপর আগে লতা পাতায়, কাঠকুটো চাপা দেওয়া থাকত। এমন লতা পাতায় ঢেকে যাওয়ায় তা বাইরে থেকে দেখলে কিছু বোঝা যায় না। কিন্তু তার উপর দিয়ে গেলেই হুড়মুড়িয়ে গর্তে পড়ে যাবে।

৮. হোটেল ওয়ালা আসলে কে?
উঃ। হোটেলওয়ালা আসলে ছিল সার্কাসের মালিক নোটো অধিকারী। অনেকের থেকে টাকা ধার করে সে ফেরার হয়েছিল। এখানে সে হোটেলওয়ালা সেজে লুয়িছিল।

৯. মাকুকে কে দম দিয়ে আবার চালু করল। কীভাবে?
উত্তর । মাতৃকে টিয়া দম দিয়ে আবার চালু করল। সে তার মায়ের রূপোর সিঁদুর কাঠির উপরে লটারির টিকিট জড়িয়ে চাৰি বানিয়ে মাকুকে চালু করল।

১০. সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল?
উঃ। টিয়া যে চাবি তৈরি করেছিল তাতে সে লটারির টিকিটের আদখানা জড়িয়েছিল। তার রং ছিল গোলাপি।
সোনা দেখে সং-এর পকেট থেকে যে টিকিটের অংশ দেখা যাচ্ছে তার রং গোলাপি। আর টিয়ার চাপির রং-গোলাপি। তাই সে ব্যাপারটা বুঝে তা খুঁজে বার করে।

● নিজের ভাষায় উত্তর দাও :পূর্ণমান-৫
(শব্দসংখ্যা ৭৫ - ২০০-এর মধ্যে)
১. মাকু কে? সে কেন ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছিল?
উঃ মাকু হল কলের পুতুল। সে মানুষের মতো সবকিছুই করতে পারত। কেবল হাসতে বা কাঁদতে পারত না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে বলেছিল
হাসি ও কান্নার কল বসিয়ে দিতে। কিন্তু মাকুকে হাসানো বা কাঁদানো ছিল ঘড়িওয়ালার সাধ্যের বাইরে। তাই সে মার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আর মাকু তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।

২. নদীতে জানোয়ারদের স্নান করার যে দৃশ্য সোনা-টিয়া দেখেছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। সোনা-টিয়া নদীর ধারে বসে দেখল দুটো টুপি পরা বাঁদর দুটো ঘোড়াকে তাড়িয়ে জল খেতে নিয়ে আসছে। তাদের পেছনে আসছে গলায় ঘণ্টা বাঁধা একটা ছাগল আর ছাগলটির পেছনে দুটো ভালুক। ভালুক দুটোর পেছনে আসছে ছটা কোঁকড়ানো লোমওয়ালা কুকুর। আর এদেরকে নিয়ে এসেছে একটা সং। সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটা টুং টুং, কিচিমিচি, ঘেউ ঘেউ, ঘোঁত ঘোঁত শব্দে একেবারে ভরে গেল। নদীর কিনারা ধরে জানোয়ারেরা অনেকক্ষণ জল খেল। একটি সুন্দর চকর-বকর, গবর-গবর শব্দ হচ্ছিল।

৩. 'হোটেল বলে হোটেল! সে এক এলাহি ব্যাপার'—বনের মধ্যে কে এই হোটেল চালাত ? তার কীর্তিকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উঃ। বনের মধ্যে নোটো অধিকারী ওরফে মালিক এই হোটেল চালাত। সে ছিল সার্কাস দলের অধিকারী। অনেক লোকের পয়সা নিয়ে সে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। তারপর সে হোটেলওয়ালার ছদ্মবেশে বনে থাকত। সেখানে একটা বিরাট বটগাছের তলায় ছিল তার হোটেল। তিনটে পাথর সাজিয়ে তার উপর রান্না হত। গাছের ডাল থেকে বড়ো লণ্ঠন বুলত। গুঁড়ির উপরে কাঁচা কাঠ পেতে লোকে টেবিল বানিয়ে খেতে বসত। সে একটা খুব সুন্দর সুরুয়া রাঁধত। যার মূলে ছিল তার নিজের মাথার নকল চুল-দাড়ি-গোঁফ। এইভাবে সে পয়সা জমাচ্ছিল তার দেনা মিটিয়ে আবার সার্কাসের দল চালু করার জন্য।

৪. সার্কাসের লোকেরা বনের মধ্যে কেন ছিল? হোটেলওয়ালা সোনা-টিয়াকে কী ব্যাখ্যা দিয়েছিল?
উঃ। সার্কাসের লোকেরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার থেকে বাঁচবার জন্য বনের মধ্যে ছিল।
হোটেলওয়ালা সোনা-টিয়াকে বলেছিল যে সার্কাসের অধিকারী সবার জন্য নতুন কাপড় বানিয়ে, সার্কাসের বায়না।নিয়ে, তারপর কারোর টাকা দিয়ে ফেরার হয়ে গেছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। সে নিখোঁজ। এখন সার্কাসের বাকি
লোকেদের নামে হুলিয়া বেরিয়েছে। তাদেরকে পেলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করবে। তাই তারা বনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।

৫. ঘড়িওয়ালা বনের মধ্যে লুকিয়ে বেড়াত কেন ?
উঃ। ঘড়িওয়ালা মাকুকে বানানোর জন্য বিদেশি ঘড়ির অনেক  তাদের কারখানা থেকে নিয়েছিল। সেই কলকব্জা সে মাকুর পেটের মধ্যে ঢুকিয়েছিল। এই কলকব্জাগুলির বর্তমান দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। ঘড়িওয়ালা এইসব কলকব্জা না-বলে নিয়েছিল। তাই সেই কোম্পানি ঘড়িওয়ালার নামে থানায় নালিশ করেছিল। সেই কারণে তার নামে হুলিয়া বেরোয় এবং পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে। তাই পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে ঘড়িওয়ালা বনের মধ্যে লুকিয়ে বেড়াত।

৬. বনের মধ্যে সোনা-টিয়া কী কী জন্তুজানোয়ার দেখেছিল নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। বানের মধ্যে সোনা-টিয়া প্রথমে সার্কাসের ঘোড়া, বাঁদর, ভালুক ও কুকুর দেখেছিল। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন  সময়ে খুঁড়োর মতো একটা জন্তু, ব্যাং, সাপ, খরগোশ। তা ছাড়া তারা প্রজাপতি, গিরগিটি, মালা এবং বেজির মতো  একটা জন্তুও জঙ্গলে দেখেছিল।

৭. হোটেলওয়ালার জন্মদিনের উৎসব কেমন হয়েছিল লেখো।
উঃ। হোটেনাওয়ালা তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাত্রিবেলা সবাইকে বিনেপয়সায় ভুনি পিছুড়ি, হরিণের মাংসে আর পায়েস খাওয়াবে বলেছিল। সেই উৎসব উপলক্ষ্যে সে-দিন জালের মধ্যে সার্কাসের আয়োজন করা হয়েছিল।
আশপাশের গ্রামের লোকেরা সেই সার্কাস দেখতে এসেছিল। সার্কাসে জাদুকরের পরিদের রানিকে আনা, সোনা-টিচার নাচ, মাকুর খেলা দেখানো এবং মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হয়। তারপর পাওয়ার জায়গায় গিয়ে দেখা
যায় সেখানে সোনা ও টিয়ার মা-বাবা, ঠাম্মি, আম্মা, নকল মাকুবেশি পিসেমশাই, পিসিমা, পিসিমার ছেলে বোঙ্গা এবং কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত। সেইখানে তখন হোটেলওয়ালার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকালে নিলে খাওয়া দাওয়া করা
৮. কেমন করে বোঝা গেল যে হোটেলওয়ালাই নোটো অধিকারী ?
উঃ মাকুর ইচ্ছা মতন সোনা মাকুর মাথার কাদার কল বসিয়ে দেয়। সেই কান্নার কল পেয়ে মাকু এতই খুশি হয়।
যে উঠে দাঁড়াবার সময় হোটেল ওয়ালার দাড়ি ধরে উঠতে যায়। দাড়ি ধরে উঠতে যাওয়াতে হোটেল ওয়ালার নকল দাড়ি-গোঁফ খুলে যায়। তখন তার আসল চেহারা সবার সামনে বেরিয়ে পড়ে। তখন সবাই দেখতে পায় যে হোটেল ওয়ালাই আসলে নোটো অধিকারী।
৯. সোনা-টিয়া কীভাবে তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ঘরে ফিরতে পারল?
উঃ। সোনা-টিয়া বাড়ি থেকে জঙ্গলে চলে যাওয়ার পর তাদের পিসেমশাই মাকুর ছদ্মবেশে তাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রতিটা মুহূর্তে তাদের নজরে রাখতেন। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে যখন সবাই সার্কাসের আনন্দ উপভোগ করছিল, তখন তার দেওয়া খবর মতো সোনা-টিয়ার বাবা-মা, আম্মা, ঠাম্মি সবাই হোটেলে গিয়ে অপেক্ষা করছিল।
তারপর সার্কাস শেষে যখন সবাই হোটেলে যায় তখন সোনা-টিরা সেখানে তাদের পরিবারকে দেখতে পায়। তারপর সবাই মিলে একসাথে যাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফিরে আসে।

১০. মাতৃ কীভাবে কাঁদতে পারল ?
উঃ। সোনা মান্ডুর মাথার মধ্যে একটি জ্যামের টিন বসাল। তার সাথে জুড়ে দিল একটা রবারের নল। সেই নলটিকে রাখল মাকুর ঠিক দুটো চোখের মাঝখানে। জ্যামের কৌটো আর রবারের নলের মধ্যে লাগিয়ে দিল একটা ফোদল।
এবার সে জানের টিনে জল ঢালল, সেই জল তেলের কোঁদল এবং রবারের নলের মধ্যে দিয়ে এসে মাকুর চোখের থেকে বাইরে বেরোল। সঙ্গে সঙ্গে নাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল।
১১. 'মাতৃ' পড়ে তোমার কেমন লাগল সেটা সংক্ষেপে লেখো। কোন্ চরিত্রকে সব থেকে ভালো লাগল লেখো
উঃ। মাতৃ পড়ে আমার খুব ভালো লাগল। দুটি সাক্ষী মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বনে চলে গেল এবং সেখানে তারা দুটি দিন বেশ অ্যাডভেপারের মধ্যে কাটাল। তাদের এই অ্যাডভেঞ্চার নির্মল আনন্দ দেয়।
মাকুর গল্পে আমার সবচেয়ে ভালো লাগল ঘুরবেশি মাকু অর্থাৎ সোনা-টিয়ার পিসেমশাই-এর চরিত্রটি। ভদ্রলোক একজন পুলিশ অফিসার হওয়া সত্ত্বেও সোনা-টিয়ার সাথে সুন্দর বন্ধুর মতো ব্যবহার করেছেন। হোটেলওয়ালার
আছে চাকরের কাজ করেছেন। কিন্তু একবারের জন্যও কেউ বুঝতে পারেনি যে তিনি একজন বড়ো অফিসার।
১২. 'মাতৃ' বইয়ের নাম কি 'সোনা-টিয়ার অ্যাডডোর' হলে বেশি ভালো হত? তোমার কী মনে হয় ? এ বিষয়ে তোমার মতামত লেখো।
উত্তর- 'সোনা-টিয়ার অ্যাডভেন্যান' -এর চেয়ে 'মাকু' নামটাই বেশি যুক্তিসংগত। কারণ "মা"
করে পুরো গল্প আবর্তিত হয়েছে। 'মাতৃ' চরিত্রটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় । সবাই মাকুর নাম শুনেছে, কিন্তু যজ্ঞে কেটিই তার সম্পর্কে খুব বেশি আনে না। মানব, কিন্তু সে মানুষের মতোই সব কাজ করতে পারে। তাকে পরে আনেকগুলি চরিত্র খুঁজে বেড়া। এমনও সময় আসে, যখন একমাত্র মাকুই পারত সার্কাস পার্টিকে বিপদ থেকে উপায় করতে। গল্পের পাতায় পাতায় মাকু এসেছে। তাকে চিনতে তার গল্পের নাম সঠিক হয়েছে ও তার সম্বন্ধে জানতে পাঠকদের একটা কৌতূহল সঙ্গে তৈরি হয়েছে।

আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পর্ব
প্রশ্ন -নতুন খেলনা গুলোকে আম্মা কোথায় তুলে রেখেছিল?
উত্তর --আলমারি মাথায় তুলে রেখেছিল ‌
প্রশ্ন - কালিয়ার বনে কাকে পুজো দিতে হয়?
উত্তর -দেউকে।
প্রশ্ন -পানুয়া কে ?
উত্তর -তোতাদের বাড়ির আয়ার ছোট ভাই।
প্রশ্ন -পানুয়া কতদিন আগে বনে হারিয়ে গেছিল?
উত্তর-  ১৫ বছর।
প্রশ্ন - সোনা টিয়ার চাইতে কত বছরে বড়?
উত্তর- এক বছরে বড়।
প্রশ্ন -সোনা ছোটবেলায় আম্মা কে কি বলতো??
উত্তর- আইমা ।
প্রশ্ন -সোনা ছোটবেলায় লজেন্স কে কি বলতো?
উত্তর- দাদুচ।
প্রশ্ন -আম্মা কি দিয়ে নারকেল কুচুতে লাগলো? 

উত্তর- সুপারি কুচনোর জাঁতি দিয়ে।

প্রশ্ন- সোনাটিয়া যেদিন কালিয়ার বনে যাত্রা করে সেদিন বাড়িতে কিসের উৎসব ছিল?
উত্তর- পিসির ছেলে জন্মদিন।
প্রশ্ন- পিসির ছেলের জন্মদিনে কি কি খাবার আয়োজন ছিল?
উত্তর -মিষ্টি, নারকেল চিড়ে ,ইঁচামুড়ো,  এবং ঘন ক্ষীর।
প্রশ্ন- কালিয়ার বনে কিসের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়ে?
উত্তর -ভয়ংকরে গা থেকে ।।
প্রশ্ন- সোনাটিয়া কালিয়া বনে গিয়েছিল কেন?
উত্তর - প্যাঁ।প‍্যাঁ পুতুল কিনতে ‌
প্রশ্ন -কালিয়ার বনে যাওয়ার রাস্তাটা কেমন ছিল? উত্তর -প্রথমে গলি রাস্তা, তারপরে বড় রাস্তা। তারপর গির্জে।তারপর গোরস্থান এরপর শুনশুনির মাঠ । তারপরে ঘন নীল কালিয়ার বন‌।

প্রশ্ন -কালিয়ার বন সম্পর্কে তোতা কি বলেছিল? 

উত্তর -তোতা বলেছিল বিশুদাকে, কারা নাকি সুরে ডেকেছিল। সে ফিরেও তাকায়নি বলে বড় বাঁচা বেঁচে ছিল।
প্রশ্ন -"তুমি ছেলে ধরা নও""- তো কথাটি কে কাকে বলেছিল?
উত্তর -সোনা ঘড়িওয়ালা কে বলেছিল।
প্রশ্ন- ঘড়িওয়ালা মাকুকে কত বছর ধরে তৈরি করেছিল ?
উত্তর - ১৭ বছর ধরে।
প্রশ্ন -মাকু কি কি কাজ করতে পারে?
উত্তর -মাকু কথা বলে, গান গায়, নাচে, অংক করে, হাতুড়ি পেটে, দড়ির জট খোলে পেরেক ঠোকে, স্ত্রী চালায়, রান্না করে, কাপড় কাচে, সেলাই কল চালায়।
প্রশ্ন -মাকু কি কি করতে পারে না?
উত্তর- হাসতে পারেনা আর কানতে পারেনা ।

প্রশ্ন- মাকু দেখতে কেমন?
উত্তর- মাকু দেখতে যন্ত্র মানবের মতো।
প্রশ্ন -মাকুকে কতদিনের জন্য চাবি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর- এক বছরের জন‍্য চাবি দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন -মাকুর চাবি ফুরতে  আর কতদিন দেরি ছিল?
উত্তর -১৫ দিন ।
প্রশ্ন -ঘড়িওয়ালা মাকুকে খুঁজছিল কেন?
উত্তর- তাকে এক বছরের জন্য চাবি দেওয়া হয়েছিল। চাবি শেষ হয়ে গেলে সে আর কোন কাজ করতে পারবেনা। সে অকেজো হয়ে যাবে। সাড়ে ১১ মাস পার হয়ে গেছিল। আর মাত্র ১৫ দিন বাকি ছিল ‌ তাই ঘড়িওয়ালা মাকুকে খুঁজছিল‌।