আঁকা লেখা || সপ্তম শ্রেণী || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Amka lekha poem question answer class 7 bangla - school book solver

Saturday, 31 May 2025

আঁকা লেখা || সপ্তম শ্রেণী || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Amka lekha poem question answer class 7 bangla

 



সপ্তম শ্রেণি বাংলা
বাংলা সাহিত্য
কবিতা : আঁকা-লেখা
কবি ঃ মৃদুল দাশগুপ্ত

কবি  মৃদুল দাশগুপ্তের পরিচিতি ঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ১৯৫৫ সালে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। জীববিজ্ঞান নিয়ে তিনি উত্তরপাড়া কলেজে লেখাপড়া করেছেন। তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ—‘জলপাই কাঠের এসরাজ'। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত ‘এভাবে কাঁদে না’, ‘গোপনে হিংসার কথাবলি’, ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ” ইত্যাদি। ছোটোদের জন্য ছড়ার বই—‘ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি’, ‘আমপাতা জামপাতা', ‘ছড়া ৫০' ইত্যাদি। কবি বর্তমানে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন।

কবিতা পরিচয় ঃ কবি যখন ছবি আঁকেন এবং যখন তিনি লেখেন তখন প্রকৃতি এবং জীবজগৎ
কীভাবে তাঁর কাছে ধরা দেয় তা তিনি কবিতায় বর্ণনা করেছেন। তিনি একাধারে আঁকার এবং একাধারে লেখার সময় কবি ও চিত্রশিল্পীর মনের কল্পনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই কবিতাটির নাম ‘আঁকা-লেখা সার্থক।

সারমর্ম ঃ নিজের খেয়াল খুশিতে রং ছড়িয়ে যখন কবি ছবি আঁকতে যান তখন শালিক পাখিরা ঝগড়া থামায়, চড়ুই পাখি অবাক ভাবে তাকায়, মাছরাঙা কবিকে তার নীল রং ধার দিতে চায়, ইঁদুর তার গর্ত থেকে পিটপিটে চোখে তাকায়। কবিকে পেয়ে রং-তুলিরা বেজায় খুশি হয়ে ওঠে। মাঠের মাঝে চাঁদের দুধের সর যখন জমে যায়, বাতাস যখন ঈষৎ কাঁপন ধরায়, তখন কবির ছড়া লেখা শুরু হয়। এবার তারার মালা যেন গোপনে তার কাছে নামে। জোনাকিরা বকুল গাছে ‘অ’, ‘আ’লেখে। এই ছড়াই কবিকে পাঠকের কাছে নিয়ে যায় এবং সেটিই তার পরম পুরস্কার পাওয়া বলে কবি মনে করেন।

হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. ‘পিটপিটে চোখ” শব্দটির মানে ‘যে চোখ পিটপিট করে তাকায়’। এইরকম আরও পাঁচটি শব্দ তৈরি করো।
একটি করে দেওয়া হলো—কুড়মুড়ে চানাচুর।
উঃ। ঝকঝকে আকাশ, মুচমুচে মাছভাজা, চকচকে সোনা, টকটকে লাল, ঝিরঝিরে বৃষ্টি।

২. ঠিক উত্তরটি বেছে নাও :
২.১ মৎস্য/মৎস/মৎশ্য।
উঃ।মৎস্য।
২.২ দুধের স্বর/দুধের সর/ দুধের শর
উঃ। দুধের সর।
২.৩ কাপন/কাপন/কাপণ।
উঃ। কাঁপন।
২.৪ ঈশৎ /ইষৎ/ঈষৎ।
উঃ। ঈষৎ।

৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখোসামান্য, আনন্দ, মীন, নক্ষত্র, মূষিক।
উঃ। সামান্য—ঈষৎ, অল্প।
আনন্দ—পুলক।
নক্ষত্র—তারা।
মীন—মাছ, মৎস্য।
মূষিক—ইঁদুর।

৪. 'কম্পন' শব্দ থেকে এসেছে কাঁপন শব্দটি, অর্থাৎ ‘ম্প’যুক্তাক্ষরটি ভেঙে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া ‘ম’আগের ধ্বনিটি-েঅনুনাসিক করে তুলেছে এবং একটি নতুন ‘আ’ ধ্বনি চলে আসছে। এই নিয়মটি মনে রেখে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো।
চম্পা → চাঁপা।
ঝম্প → ঝাঁপ।
যণ্ড → ষাঁড়।
উঃ। চন্দ্ৰ → চাঁদ।
অঙ্ক → আঁক।

৫. একসঙ্গে অনেক প্রজাপতি থাকলে আমরা বলি ‘প্রজাপতির ঝাঁক’। এইভাবে আর কী কী শব্দ তৈরি করা যায় শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করে দেখো দেখি। সারি, যূথ, ঝাঁক, দল, বহর, পাল।
উঃ। ৫.১ ভেড়ার পাল।৫.২ হস্তী যূথ। ৫.৩ সুপুরি গাছের সারি। ৫.৪ কইমাছের ঝাঁক। ৫.৫ নৌকার বহু ৫.৬ ছাত্রদের দল।

৬. নীচের বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ লেখো : রং, চিত্র, নীল, লেখা, পুলক।
উঃ। রং—রঙিন।
চিত্র—চিত্রিত।
নীল—নীলাভ।
লেখা—লিখিত।
পুলক—পুলকিত।

৭. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্যরচনা করো ঃ
৭.১ ঈষৎ = ঈষৎ কম্পন।
৭.২ বেজায় = বেজায় গরম।
৭.৩ পিটপিটে = পিটপিটে চোখ।
৭.৪ পরম = পরম ধর্ম।
৭.৫ নীল = নীল আকাশ।
৭.৬ গোপন = গোপন কথা।

উঃ। ৭.১ ঈষৎ কম্পন—ভূমিকম্পে ঈষৎ কম্পন হবার জন্য কোন ক্ষতি হয়নি।
৭.২ বেজায় গরম—আজ সকালে বেজায় গরম পড়েছে।

৭.৩ পিটপিটে চোখ— মেয়েটি পিটপিটে চোখে দেখতে লাগল।
৭.৪ পরম ধর্ম— জীব সেবা পরম ধর্ম।
৭.৫ নীল আকাশ—- শরৎকালে নীল আকাশ দেখা যায় ।
৭.৬ গোপন কথা— গোপন কথা প্রকাশ করতে নেই।

৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া।
উঃ। গোপন—প্রকাশ।
ঈষৎ—বৃহৎ অধিক।
খুশি—দুঃখী।
পুরু—সরু, পাতলা।
ঝগড়া—ভাব, সদ্ভাব।

৯. নিম্নরেখ অংশগুলির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো :
৯.১ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
উঃ। ঝগড়া – কর্মকারকে শূন্য’ বিভক্তি।
৯.২ গর্ত থেকে ইঁদুর, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।
উঃ। গর্ত থেকে – অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৯.৩ প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায়
উঃ। আঁকায় অধিকরণ কারকে শূন্য’ বিভক্তি।

৯.৪ এবার যেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে।
উঃ। তারার মালা কর্মকারকে শূন্য’ বিভক্তি

।উঃ। তারার মালা কর্মকারকে শূন্য’ বিভক্তি।

৯.৫ সেই তো আমার পদক পাওয়া।
উঃ। পদক কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

১০. বাক্য বাড়াও ঃ
১০.১ আমি যখন আঁকি। (কী? কীভাবে?)
উঃ। আমি যখন খেয়াল-খুশি মতো ছবি আঁকি ।

১০.২ চাঁদের দুধের সর জমে যায়। (কোথায়? কেমন?)
উঃ। মাঠে পুরু চাঁদের দুধের সব জমে যায়।

১০.৩ পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে। (কে? কোথা থেকে?)
উঃ। ইঁদুরটা গর্ত থেকে পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে ।

১০.৪ ছড়া লেখার শুরু। (কার? কখন?)
উঃ। বাতাসে ঈষৎ কাঁপন দিতেই আমার সন্ধেবেলা ছড়া লেখার শু

১০.৫ ‘অ’ লিখছে ‘আ’ লিখছে। (কারা? কোথায়?)
উঃ। দশ জোনাকি অ লিখছে আ লিখছে বকুল গাছে।

১১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ কবি কখন ছবি আঁকেন ?
উঃ। কবি দুপুরবেলায় ছবি আঁকেন ৷

১১.২ কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু ?
উঃ। বাতাসে ঈষৎ কাঁপন দিলে তাঁর ছড়া লেখার শুরু।

১১.৩ তিনটি শালিক কী করে?
উঃ। তিনটে শালিক ঝগড়া থামায়।

১১.৪ কে অবাক তাকায় ?
উঃ। অবাক হয়ে তাকায় চড়ুই পাখি ।

১১.৫ মাছরাঙা কী চায় ?
উঃ। মাছরাঙা নীল রংটি ধার দিতে চায়।

১১.৬ প্রজাপতির ইচ্ছা কী ?
উঃ। প্রজাপতির কবির আঁকায় থাকার ইচ্ছা ৷

১১.৭ গর্তে কে থাকে?
উঃ। গর্তে ইঁদুর থাকে।

১১.৮ চাঁদের পুরু দুধের সর কোথায় জমে?
উঃ। চাঁদের পুরু দুধের সর মাঠে জমে।

১১.৯ কারা, কোথায় অ-আ লিখছে?
উঃ। দশ জোনাকি বকুল গাছে অ-আ লিখছে।

১১.১০ কবি কোন বিষয়কে পদক পাওয়া মনে করেছেন?
উঃ। ছড়া লেখার মধ্য দিয়েই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাওয়াকে কবি পদক পাওয়া মনে করেছেন।।

১২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও।
১২.১ কৰি কখন ছড়া লিখতে শুরু করেন?

উঃ। কবি রাতে ছড়া লিখতে শুরু করেন। তখন মাঠে চাদের আলোর জ্যোৎস্নাকে দুধের সরের মতো পুরু ও সাদা হয়ে উঠতে দেখা যায়। বাতাস তখন ঈষৎ কেঁপে ওঠে। আকাশের তারারা যেন থালার মতো কবির কাছে নেমে আসে।

১২.২ কবি যখন ছবি আঁখ ी ঘটনা ঘটে?
উঃ। কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক পাড়া থামায়, চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায়, মাছধরা ভুলে গিয়ে বোকা পাখিটি তার নীল রংটি কবিকে ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক রং-এর খাতায় তাদের রেখে দিতে চায়, আর ইঁদুর গর্ভ থেকে বেরিয়ে পিটপিট করে কবিকে চেয়ে দেখে।

১২.৩ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়'- কোন কবির কোন কবিতায় এমন তিন শালিকের
রাজা অন্যভাবে আছে?

উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সহজপাঠ গ্রন্থে একটি কবিতায় তিনটি শালিকের প্রসঙ্গ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কবিতাটিতে বলা হয়েছে তিনটি শালিক রান্নাঘরের চালে ঝগড়া করে।

১২.৪ মাছরায়া পাখি কেমন দেখতে? সে মৎস্য ভুলে যায় কেন?
উঃ। মাছরাঙা পাখি নীল রঙের দেখতে। সে কবির ছবি আঁকা দেখে মাছ ধরা ভুলে যায় এবং কবিকে তার নীল রংটি এর নিতে চায়।

১২.৫ 'রং-তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে – কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী?
উঃ। কবি সবসময় ছবি আঁকেন না। তিনি সেদিন নিজের ঘুশখেয়ালে দুপুরবেলায় ছবি আঁকছেন এবং কবিকে পেয়ে। রং-তুলিরা খেয়ালখুশিমতো রং করতে পারছে, তাই তারা বেজায় খুশি বলে কবির মনে হয়েছে।

১২.৬ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে-কারা কীভাবে এমন লিখছে? তাদের দেখে কী মনে হচ্ছে?
উঃ। দশটি জোনাকি বকুল গাছে 'অ' 'আ' লিখছে। জোনাকিগুলি উড়ছে এবং তাদের পাখায় যে আলোর ফুলকি তা চারধারে ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে তারা যেন আলো দিয়েই লিখছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে খুব গোপনে যেন এক তারার মালা কাছে নেমে আসছে।

১৩. অনধিক দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৩.১ 'এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনল হাওয়া'—কাকে উদ্দেশ্য করে কবি এ কথা বলেছেন ?
কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো।
উঃ। কবি কথাটি পাঠককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
কবির আঁকা এবং লেখা সবই পাঠকের জন্য। পাঠকই একজন কবিকে কবি করে তোলে। একজন চিত্রশিল্পীও ঠিক তেমনই তাঁর দর্শকদের প্রশংসাতেই আনন্দ পান। তাই কবি এবং চিত্রশিল্পী দুজনের ক্ষেত্রেই তাদের গুণগ্রাহীর প্রয়োজন। কবিতা লেখার সময় বা ছবি আঁকার সময় সশরীরে যদি কেউ উপস্থিত নাও থাকে তা হলেও কবি বা চিত্রশিল্পীর কাছে তার গুরুত্ব অপরিসীম।

১৩.২ এই কবিতায় যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। একজন চিত্রশিল্পী যখন ছবি আঁকেন তখন তার প্রয়োজন হয় রং এবং আঁকার বিষয়বস্তু। এখানে কবি তাঁর কথার মাধ্যমে ছবি আঁকছেন। তিনি ছবি আঁকার সময় শালিক পাখিরা ঝগড়া থামিয়ে দেখে। মাছরাঙা তার গায়ের নীল রংটি
আঁকার জন্য কবিকে ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তিনি যেন তাদের আঁকার মধ্যে রাখেন। কবির চোখে এসবই শিল্পীর কল্পনা কিন্তু তা বাস্তবতার সাথে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। চাঁদের আলোর কল্পনা কবির কাছে চাঁদের দুধ। এইভাবে কবির ব্যবহৃত উপমা ও তুলনা সার্থকতা লাভ করেছে।

১৩.৩ ছবি আঁকা/ছড়া/কবিতা লেখার মধ্যে তুমি কোনটি পছন্দ করো লেখো।
উঃ। ছবি আঁকা/ছড়া/কবিতা লেখার মধ্যে আমার কবিতা লেখাই বেশি পছন্দ। লেখাতে ব্যবহৃত হয় শব্দ। আর শব্দ পৃথিবীর যে-কোনো জিনিসের মধ্যে প্রাণ দিতে পারে। আমার লেখায় আমি যে-কোনো জিনিসকে সজীব করে তুলতে
পারি। সূর্যকে গামলার সাথে তুলনা করতে পারি। প্রকৃতির প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে শব্দের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলতে পারি। শব্দের ক্ষমতা অনেক। তাই আমার আঁকার বদলে লেখালেখি বেশি পছন্দ করি।

১৩.৪ তোমার নিজের লেখা ছড়া/কবিতা, নিজের আঁকা ছবিতে ভরিয়ে চার পাতার একটি হাতে লেখা পত্রিকা তৈরি করো। পত্রিকার একটি নাম দাও ও তারপর শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেখিয়ে তাঁর মতামত জেনে নাও।
উঃ। নিজে সাজিয়ে নিয়ে করো।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর •

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
■ এবার যেন তারার মালা খুব (নীরবে/ধীরে/গোপনে) নামছে কাছে
উঃ।গোপনে
■ সেই তো আমার (প্রাইজ/পদক/মেডেল) পাওয়া ।
উঃ।  পদক।
■ (পা/রং/খাতা) ছড়িয়ে খুশ-খেয়ালে আমি যখন চিত্র আঁকি
উঃ।রং
■  (মাছরাঙার/প্রজাপতির/শালিকের ঝাঁক চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায় ।
উঃ।প্রজাপতির
■ ওই যে (পার্কে/মাঠে/দুরে) চাঁদের দুধের সব জমে যায় যখন পুরু।
উঃ।মাঠে

★ কবি কোন্ সময় ছড়া লিখতে শুরু করেন? তা কীভাবে কবিতায় ধরা পড়েছে?
উঃ। কবি সন্ধ্যেবেলায় ছড়া লিখতে শুরু করেন।
মাঠে চাঁদ উঠেছে এবং তার জ্যোৎস্না চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাতাস শরীরে একটা মৃদু কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। এসবই প্রমাণ করে সময়টি সন্ধেবেলা।

★ কবি ‘তারার মালা’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উঃ। অন্ধকার নেমে আসার পর জোনাকির দল উড়ে উড়ে যে আলোর ঝাঁক তৈরি করছে তাকেই কবি তারার মালা বলেছেন এবং কবির মনে হয়েছে তা যেন মাটির খুব কাছে নেমে আসছে।

★ ‘সেই তো আমার পুলক'—কবির পরম পুলক হয় কীসে?
উঃ। কবি যে ছড়া লেখেন, সেই ছড়ার মধ্যে দিয়ে তিনি তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। সেই পৌঁছে যাওয়াই কবির কাছে পরম পুলক। এতেই কবি নিজের পদক বা পুরস্কার পেয়েছেন বলে মনে করেন।

★ মাছরাঙা পাখি কী করে? সে কোন্ কাজটি ভুলে কোন্ কাজ করতে চায় ?
উঃ। মাছরাঙা পাখি মাছ ধরে খায়।
কবি যখন খেয়াল খুশিমতো ছবি আঁকতে বসেন তখন সে মাছধরা ভুলে গিয়ে তার গায়ের নীল রংটি কবিকে ছবি আঁকার প্রয়োজনে ধার দিতে চায়।
★ কবি কীভাবে ছবি আঁকেন? তখন কোন্ কোন্ প্রাণীরা তাকে দেখতে থাকে?
উঃ। কবি নিজের খেয়াল খুশি মতো রং ছড়িয়ে ছবি আঁকেন।
তিনি যখন ছবি আঁকেন তখন শালিখ, চড়ুই, মাছরাঙা, ইঁদুর, প্রজাপতি প্রভৃতি প্রাণীরা তাকে দেখতে থাকে।

২. সমার্থক শব্দ লেখো :চাঁদ, পাখি, গাছ। , চিত্র, ঝগড়া,।
উঃ।চাঁদ-শশী, চন্দ্র, নিশিপতি।
পাখি—বিহগ, খগ।
গাছ—বৃক্ষ, তরু,
চিত্র—ছবি, পট।
ঝগড়া-কলহ, বিবাদ।

৩. কবিতায় বলা হয়েছে মাছরাঙা নীল রঙের পাখি। এইরকম একটি সবুজ ও একটি হলুদ পাখির নাম লেখো।
সবুজ পাখি—টিয়া। হলুদ পাখি—বেনেবউ।

শব্দার্থ : পুরু—পাতলা।
শুরু—শেষ।
গোপনে—প্রকাশ্যে।
কাছে—দূরে।
চিত্র—ছবি, আলেখ্য, প্রতিলিপি। খুশখেয়াল-খামখেয়াল, মরজি।
ঈষৎ—অল্প, কিঞ্চিৎ।
কাঁপন—কম্পন, স্পন্দন।
মৎস্য—মাছ, মীন।
পুলক—রোমাঞ, আনন্দ।
সর–দুধ, দই প্রভৃতির উপরের ঘন নরম আবরণ। পদক—কণ্ঠভূষণ লকেট।
পিটপিটে—মিটমিটে, আধচোখে দেখা।
পরম—চরম, অত্যন্ত।
পুরু—মোটা, স্থূল।
বেজায়—অত্যন্ত, খুব।

বিপরীত শব্দ ঃ চিত্র-বিচিত্র।
ধার—শোধ।