"কুতুব মিনারের কথা' হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা/ kutub monster katha question answer class 7 bangla
![]() |
সপ্তম শ্রেণির বাংলা
★প্রবন্ধ ঃ কুতুব মিনারের কথা★
লেখক ঃ সৈয়দ মুজতবা আলি
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলির পরিচিতি : সৈয়দ মুজতবা আলির জন্ম হয় ১৯০৪ সালে শ্রীহট্টের করিমগঞ্জে তাঁর পিতার নাম সৈয়দ সিকন্দর আলি। মুজতবা আলি মহাত্মা গান্ধির ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি স্কুল ছাড়েন। তিনি আরবি, ফারসি, জার্মান সহ মোট ১৫টি ভাষা জানতেন। প্রবন্ধ,ভ্রমণকাহিনি ও রম্যরচনায় তাঁর অসামান্য দক্ষতা ছিল। ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘দেশে-বিদেশে',
‘চাচাকাহিনি’, ‘ময়ূরকণ্ঠী’, ‘শবনম’, ‘ধূপছায়া’, ‘টুনিমেম’, ‘হিটলার' প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তিনি ‘নরসিংহদাস পুরস্কারে' সম্মানিত। ১৯৭৪ সালে সৈয়দ মুজতবা আলির জীবনাবসান ঘটে।
;কতুব মিনারের কথা-রচনা সারংশ : রচনাটিতে কুতুব মিনারের স্থাপত্যকৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। তার স্থাপত্য, বিভিন্ন ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে আসা ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে। লেখক রচনাটিতে কুতুব মিনারের উৎপত্তি ও তার পরবর্তীকালের ইতিহাস খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। তাই প্রবন্ধটির নাম ‘কুতুব মিনারের কথা' যথার্থ হয়েছে। কুতুব মিনার ভারত তথা বিশ্বের মিনারের ইতিহাসে এক ও অদ্বিতীয় স্থাপত্য। স্থাপত্যের এইরূপ নিদর্শন ভারতে তো নেই এমনকি বিশ্বের কোথাও নেই। পাঁচতলা মিনারটিতে এক একটি তলায় এক একটি জিনিসের।স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি বাজ পড়ে ভেঙে যাওয়ায় ও পরবর্তীকালে নির্মিত হওয়ায় সেইখানে কী ছিল তা সঠিক ভাবে জানার উপায় নেই। কার্নিংহাম, ফার্গুসন, কার স্টিফেন, স্যার সৈয়দ আহমেদ এর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার।করে নিয়েছেন। হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্য একসাথে এই মিনারে অপূর্বভাবে ফুটে উঠেছে। ইংরেজরাও খুব ভালোভাবেয়জানতেন কুতুব মিনারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কোনো স্থপতির কর্ম নয় ৷
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১.১ কোন্ সম্রাট ‘অশোক স্তম্ভ'কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন?
উঃ। সম্রাট ফিরোজ তুঘলক ‘অশোক স্তম্ভ’ কে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিলেন।
১.২ কুতুব মিনার নামটি কার নামানুসারে রাখা হয়েছে এবং কেন?
উঃ। কুতুব মিনার নামটি কুতুবউদ্দিন আইবকের নামানুসারে রাখা হয়েছে।
কারণ,দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক এই স্তম্ভটি নির্মাণ করিয়েছিলেন বলে এর নাম কুতুবমিনার রাখা হয়েছে।
১.৩ কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর কে মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন?
উঃ। কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন।
১.৪ মিনারেট বা মিনারিকা কী? মিনারের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায় ?
উঃ। আপন মহিমায় নিজস্ব ক্ষমতায় যে স্তম্ভ দাঁড়ায় তার নাম মিনার।
মসজিদ, সমাধি কিংবা অন্য কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে যে মিনার কখনও থাকে বা কখনও থাকে না, তার নাম মিনারেট বা মিনারিকা।
১.৫. আহমদাবাদ শহরটি কোন্ রাজার নামানুসারে হয়েছে? এই শহরটি কোন রাজ্যের রাজধানী ?
উঃ। আহমদাবাদ শহরটি রাজা আহমেদের নামানুসারে হয়েছে। এই শহরটি গুজরাত রাজ্যের রাজধানী।
২. নীচে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ঃ কার্নিংহাম, ফার্গুসন, সৈয়দ আহমদ।
উঃ কার্নিংহাম –বিখ্যাত ঐতিহাসিক। ইংল্যান্ডের লোক। তিনি ভারতের ইতিহাসের ওপর বহু গবেষণার কাজ করেছিলেন।
ফার্গুসন—স্যার ফার্গুসন প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক। ভারতের সুলতানি যুগের ইতিহাসের উপর অসামান্য কাজ করেছেন।
সৈয়দ আহমেদ –সৈয়দ আহমেদ একজন শিক্ষাবিদ। তিনি আলিগড় আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই | ভারতীয় মুসলমানগণ পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি আলিগড়ে মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপন করেন। তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু-মুসলমানের মিলন ঘটানো ।
৩. কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১. ‘কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার'—এই উদ্ধৃতিটির আলোকে মিনারটির পাঁচটি বিশিষ্টতা উল্লেখ করো।
উঃ। কুতুব মিনারের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হল— (১) কুতুব পাঁচতলার মিনার। (২) প্রথম তলায় বাঁশি ও কোণের পর পর সাজানো নকশা। (৩) প্রদর্শন বা সঙ্গতির এরকম চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে নেই। (৪) এর গায়ের অদ্ভুত কারুকার্য। মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতা-পাতা-ফুলের মালা, চক্রের নকশা এবং এক সারি অন্তর অন্তর আরবি লেখার সারি।
(৫) মিনারটি হিন্দু-মুসলমান উভয়ের মিলিত শিল্পের সাফল্যের এক অদ্ভুত নিদর্শন।
৩.২. মিনারটির গঠনে হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারাটি কীভাবে ধরা পড়েছে তা লেখো।
উঃ। কুতুব মিনার পৃথিবীর একটি সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার। এর নির্মাণে হিন্দু ও মুসলমান সাংস্কৃতিক মিলনের এক অসামান্য নিদর্শন দেখা যায়। সমস্ত মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতা-পাতা-ফুলের মালা, চক্রের নকশা।
এই নকশাগুলো জাতে হিন্দু এবং এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এক সারি অন্তর অন্তর আরবি লেখার সার। সে নকশাগুলি জাতে মুসলমান। গোটা মিনারটির পরিকল্পনা করেছেন মুসলমান আর যাবতীয় কারুশিল্প করেছে হিন্দু। ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান মিলে গিয়ে এক অদ্ভুত সাফল্য দেখিয়েছিল এই কুতুব মিনার নির্মাণে।
৩.৩ কুরুক মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক আর কোন্ কোন্ স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন?
উঃ কুরুক মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক অশোকর, নিক্ষিতে সেক্রেটারিয়েট, কলকাতার রাজভবন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রভৃতি স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন।
৩.৪. আলাউদ্দিন খিলজি চেষ্টা করেও কুতুব মিনারের চেয়েও মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি কেন?
উঃ। আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন একজন দুঃসাহসিক সুলতান। তিনি চেয়েছিলেন কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার দ্বিগুণ আরেকটি মিনার গড়তে যেটি কুতুবের চেয়ে দ্বিগুণ উঁচু হবে। কিন্তু ইমারত মাত্রেরই একটা অপটিমাম সাইজ আছে, অর্থাৎ যার চেয়ে বড়ো হলে ইমারত খারাপ দেখায়, ছোটো হলেও খারাপ দেখায়। সর্বকলাতেই এই সূত্র প্রযোজ্য।
কিছু স্থাপত্যের বেলা এটাই অন্যতম মূলসূত্র। তাই আলাউদ্দিনের মিনার ডবল হলে কী ফল তা বলা কঠিন। তা ছাড়া মিনারের কাঠামোর কিছুটা শেষ হতে না-হতেই আলাউদ্দিন খিলজি মারা যান।তাই আমি আলাউদ্দিন খিলজি চেষ্টা করেও কুতুব মিনারের চেয়েও মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
★ কীসের সম্বন্ধে রসিকজনের কৌতূহলের অন্ত নেই বলে লেখক বলেছেন?
উঃ। লেখক বলেছেন কুতুব মিনারের মুকুটে অর্থাৎ সর্বশেষে যেখানে এখন আলো জ্বালানো হয় যেখানে আগে কী ছিল তা জানার জন্য রসিকজনের কৌতূহলের অন্তত নেই।
★ কুতুবের পূর্ববর্তী নিদর্শন কোথায় নেই বলে লেখক বলেছেন?
উঃ। কুতুবের পূর্ববর্তী নিদর্শন এদেশে নেই এমনকি ইরান-তুরানেও নেই বলে লেখক বলেছেন।
★ কুতুব মিনার সম্পর্কে কোন্ কোন্ গুণীজনের বিস্ময়ের কথা লেখক তাঁর রচনায় উল্লেখ করেছেন?
উঃ। লেখক তাঁর রচনায় কুতুব মিনার সম্পর্কে কানিংহাম, ফার্গুসন, কার স্টিফেন, স্যার সৈয়দ আহমেদ প্রমুখ গুণীজনের বিস্ময়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
★ পৃথিবীর আর কোনো মিনারে কী পাওয়া যায় না?
উঃ। প্রদর্শনের এমন চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে পাওয়া যায় না।
★ কেন এবং কাকে লেখক 'ঘোড়েল' বলেছেন?
উঃ। হুমায়ুনের সমাধি নির্মাতাকে লেখক ঘোড়েল বলেছেন। কারন তিনি সমাধির ইমারতটি গড়েছেন মিনারিকা-কে সম্পূর্ণ বর্জন করে।
★ কোন সম্রাট কুতুব মিনারের কোন্ কোন্ তলা কীভাবে মেরামত করে দেন?
উঃ। সম্রাট ফিরোজ তুঘলক কুতুব মিনারের চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি মার্বেল পাথর দিয়ে মেরামত করে দেন।
★ কুতুবের প্রথম তলাতে কী আছে?
উঃ কুতুবের প্রথম তলাতে আছে বাঁশি ও কোণে'র পর-পর সাজানো নকশা।
★ কার মিনারিকা ভুবনবিখ্যাত? তার কটি মিনারিকা দেখা যায়?
উঃ। তাজের মিনারিকা ভুবনবিখ্যাত। তাজের চারটি মিনারিকা দেখা যায়।
★ ফিরোজ তুঘলকের কোন্ গুণের কথা লেখক স্মরণ করেছেন ?
উঃ। লেখক ফিরোজ তুঘলকের কথা স্মরণ করে বলেছেন তিনি অকাতরে অন্যের ইমারত মেরামত করে দিতেন। দিল্লির অতি অল্প রাজার মধ্যে এই গুণটি পাওয়া যায়।
★ ইংরেজরা কী জানত?
উঃ। ইংরেজরা বিলক্ষণ জানত কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কোনো স্থপতির কর্ম নয়।
★ .‘প্রপর্শনের’এমন চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে পাওয়া যায় না’।— সেই নিদর্শনগুলির বর্ণনা দাও।
উঃ। কুতুর মিনারের নির্মাণ প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন যে ইমারত তৈরি করা অনেক সহজ। সেখানে গম্বুজ, থাম, আর্চ, ছত্রি, ছজ্জা, কার্নিস ইত্যাদি বসিয়ে কারিগর তার গুণের প্রকাশ ঘটাতে পারেন, কিন্তু একটা সোজা খাড়া স্তম্ভে সৌন্দর্য আনা অনেক শক্ত। এখানেই কুতুব মিনারের শিল্পী সফল হয়েছেন শুধুমাত্র মিনারটিকে কয়েকটি তলাতে বিভক্ত করে। সামগ্ধস্য রেখে প্রতি তলায় তাকে একটু ছোটো করে, কয়েকটি ব্যালকনি লাগিয়ে দিয়ে এবং মিনারের গায়ে কখনো ‘বাঁশি’
যা কখনো ‘কোণের’ নকশা কেটে। তাই লেখক বলেছেন প্রপর্শনের এরকম চূড়ান্ত নিদর্শন পৃথিবীর আর কোনো মিনারে পাওয়া যায় না।
★ “ইংরেজ পর্যন্ত একথা স্বীকার করেছে।' কোন্ কথা ইংরেজরা স্বীকার করেছে। কথাটি
আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উঃ। কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার একথা ইংরেজরাও স্বীকার করেছেন। তবুও তাকে আশ্চর্য মনে হয় এই জন্য যে কুতুবের নির্মাণের আগে এরকম নিদর্শন এদেশ কেন ইরান-তুরানেও নেই। বহু স্থপতির বহু এক্সপেরিমেন্টের ফলস্বরূপ তাজমহল নির্মিত হয়। কিন্তু মিনার তৈরির ক্ষেত্রে কুতুব হল প্রথম এবং শেষ এক্সপেরিমেন্ট। এই ধরনের বিজয়স্তম্ভ আগেও কেউ নির্মাণ করেননি। তাই এর স্থপতি কোন শক্তি ও সাহসে এই ধরনের নির্মাণকার্য করেছিলেন তা নিয়ে গুণীজনদের বিস্ময়ের সীমা নেই। অনেকে ভেবে চিন্তে ও এর কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
★ ‘ঠিক সেই কারণেই তার নিজস্ব মূল্য আছে'— কার নিজস্ব মূল্য আছে বলে লেখক মনে করেছেন ?
উঃ। দিল্লি আগ্রার বহু দূরে কুতুবের আওতার বাইরে গুজরাতের রাজধানী আহমদাবাদে লেখক একটি মিনারিকা দেখেছেন যার সঙ্গে কুতুবের কোনো মিল নেই। এটি রাজা আহমেদ তাঁর বেগম রানি সিপ্রির মসজিদে নির্মাণ করেছেন। এর নির্মাণকার্য এতই মধুর ও রমনীয় যে এটিকে দেখে লেখকের মনে হয়েছে গুজরাত এবং রাজপুতানার মেয়েরা তাদের মনিবন্ধে যে বিচিত্র দর্শনের বলয় কঙ্কন পরে এটি যেন সেইরকমই। তার আরও মনে হয়েছে রানি সিপ্রি যেন তাঁরই অনুপম হাতখানি আকাশের দিকে তুলে ধরেছেন ঈশ্বরের কপালে তিলক পরাবেন বলে। তাই লেখকের মনে হয়েছে এই মিনারিকাটির নিজস্ব মূল্য রয়েছে।
★ ‘আজও সেটি অটুট আছে'—কোন জিনিস আজও অটুট আছে বুঝিয়ে দাও।
উঃ। কুতুব মিনার নির্মাণের পুরো পরিকল্পনাটি করেছেন মুসলমান এবং এর যাবতীয় কারুশিল্প করেছে হিন্দু। এর নির্মাণ হিন্দু-মুসলমানের মিলিত সাফল্য। আটশত বছর একসঙ্গে থেকেও হিন্দু-মুসলমান চিন্তার ক্ষেত্রে, রাজনীতির জগতে এক হতে পারেনি। কিন্তু শিল্পকলার প্রাঙ্গণে বলা যেতে পারে যে স্থাপত্য সংগীত ও নৃত্যে প্রথম দিনেই তাদের মধ্যে যে মিলন হয়েছিল তা আজও অটুট রয়েছে।
★ পদ পরিবর্তন করো ঃ স্বীকার, নির্মিত, সফল, শিল্পী, লজ্জা, বর্জন।
উঃ। স্বীকার—স্বীকৃত।
সফল—সাফল্য,
নির্মিত—নির্মাণ।
শিল্পী—শিল্প।
লজ্জা–লজ্জিত।
বর্জন—বর্জিত।
শব্দার্থ : এক্সপেরিমেন্ট—পরীক্ষানিরীক্ষা।
সিক্রি—এখানে ফতেহপুর সিক্রি।
বিজয়স্তম্ভ—জয়ের স্মৃতিতে নির্মিত স্তম্ভ।
মিনার—মোচার আকারে বা মতো ঊর্ধ্বমুখী শাখের উন্নত চূড়া।
মোগল কলা—মুঘল আমলের শিল্প সংস্কৃতি।
স্থপতি—সৌধ, প্রাসাদ, ইমারত প্রভৃতি তৈরির কাজে নিযুক্ত।
গুলদত্তাজ—মিনারেট জাতীয় ছোটো চূড়া বা শীর্ষদেশ ।
আর্চ—খিলান।
থাম—স্তম্ভ।
ছত্রি—চাল বা ছাদ।
মিনারেট—মিনারের ছেয়ে ছোটো চূড়া।
ছজ্জা—বৃষ্টির ছাট ঠেকানোর
জন্য দরজা বা জানালার উপরস্থিত ছাদের প্রলম্বিত অঞ্চল।
ব্র্যাকেট—প্রধানত দেয়ালের গায়ে আটকানো তাকের
প্রলম্বিত আলম্ব বা দেয়ালগিরি।
ডোম—গোলাকার গম্বুজ।
জিওমেট্রিক ডিজাইন—জ্যামিতিক বিন্যাস।
দার্ঢ্য—দৃঢ়তা।
প্রপর্শন—সংগতি।
অপটিমাম সাইজ—সামঞ্জস্যপূর্ণ আকার। কারুশিল্প—কারিগরি শিল্প/হাতের কাজ।
ঘোড়েল—ধূর্ত লোক।
স্মরণ করা—মনে করা।
দ্যুলোক—স্বর্গলোক।
নিদর্শন—উদাহরণ, দৃষ্টান্ত।
বর্জন—ত্যাগ, বাদ।
বলয় — কঙ্কন,
হাতের গহনা বিশেষ।
কলার প্রাঙ্গনে—শিল্পের অঙিনায় ।
★ বিপরীত শব্দ : স্বীকার—অস্বীকার।
অন্ত—আদি।
সাফল্য-ব্যর্থতা।
মিলন–বিচ্ছেদ।
বৰ্জন—গ্রহণ।
সম্পূর্ণ—অসম্পূর্ণ।
সোজা—বাঁকা।
সৃষ্টি—ধ্বংস।
লজ্জা—গর্ব।
স্মরণ—বিস্মরণ।
চিহ্ন—নিশ্চিহ্ন।
মূল্য—অমূল্য।
আকর্ষণ—বিকর্ষণ।
।