ঝড় কবিতা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা / jhar poem question answer about class 5 bangla
![]() |
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
★ঝড়★
■ মৈত্রেয়ী দেবী■
কবি মৈত্রেয়ী দেবীর পরিচিতি:-
১৯১৪ সালে মৈত্রেয়ী দেবীর জন্ম হয় ।তাঁর জন্মস্থান এই বাংলার মাটিতে। তাঁর রচিত প্রথম কবিতার বইটি হল ‘উদিতা”। ১৯৭৭ সালে এই লেখিকা ‘পদ্মশ্রী' উপাধিতে ভূষিতা হন। তিনি একজন সমাজসেবিকা ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই সাহিত্য জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মৈত্রেয়ী দেবী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল—'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ, ‘স্বর্গের কাছাকাছি’, ‘ন হন্যতে' ইত্যাদি। ১৯৯০ সালে এই স্বনামধন্য লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঝড় কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা :
বড়' কবিতায় কবি মৈত্রেয়ী দেবী ছেলেবেলায় দেখা কালবৈশাখী ঝড়ের অভিজ্ঞতার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। একদিন কবি হাটবারের দুপুরবেলা মাঠে খেলা করতে গেছেন। কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস এসে সমস্ত আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে ফেলল। কালো মেঘে সূর্য ঢেকে চারদিকে অন্ধকার নেমে এল। কবির ছোটো ছোটো বন্ধুরা ঝড় উঠতেই যে যার ঘরে ছুটে পালিয়েছে। চারদিকের প্রকৃতি অন্ধকারে ঢেকে যেতে দেখে কবির মন আনন্দে ভরে গেল। কবি
দেখলেন বকুলগাছের তলা, চাঁপার বন, নদীর জল কালো বর্ণ ধারণ করেছে। ঝড়ের ভয়ে মাঝি সেই কালো জলে তাড়াতাড়ি নৌকা বেয়ে নদীর পাড়ে এল। শিশুকবি তার মাকে জিজ্ঞাসা করছে ঝড় কাকে বলে? শিশুকবির মনে হয় হঠাৎ যেন কোনো ছোটো ছেলে কালি দোয়াত উপুড় করে মাটিতে ঢেলে দিয়েছে। এখানে কবি অন্ধকার আকাশের সঙ্গে দোয়াতের কালো কালির তুলনা
করেছেন। ঝড়ের হাওয়া যেন তার কোমল ঠোঁটে মৃদু হেসে আকাশে ভীষণ আগুন জ্বেলে ঘুরে ঘুরে সাত সাগরের তীরে পালিয়ে গেল।
ঝড় কবিতার নামকরণ সার্থকতা :
আলোচ্য কবিতায় কবি শৈশবকালে কোনো এক হাটবারের দুপুরবেলা কালবৈশাখী ঝড়ে প্রকৃতির রূপ দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। কবি এই কবিতার ঝড়ের সেই বিবরণ দিয়েছেন। সেই ঝড়ের ঘটনাই আলোচ্য কবিতায় মূলভাব বলা
যায়। কাজেই এক্ষেত্রে কবিতাটির নামকরণ 'বড়' সার্থক বলা যেতে পারে।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়—(গ্রীষ্ম /বর্ষা/ শরৎ/ শীত)।
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।
১.২ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে—(সকাল/দুপুর/বিকেল/রাত)।
উত্তর : বিকাল বেলা কালবৈশাখী ঝড় আসে ।
২. ৩ - যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে.... (কালো/লাল/ নীল / সাদা)।
উত্তর : যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে কালো।
১.৪ গ্রীষ্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/গন্ধরাজ/চাপা/পদ্ম)।
উত্তর :গ্রীষ্মের একটি ফুল হল চাঁপা।
২. ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর :
ক' স্তম্ভ > খ'স্তম্ভ
মাঝি > নাইয়া
ঝড় > প্রবল হাওয়া
সাগর > সমুদ্র
চাঁপা > চম্পক
এলোমেলো > অগোছালো
৩. চেয়ে' ও 'ভারী' শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহার করো :
উত্তর : চেয়ে-শোভা গণিতে সবিতার চেয়ে কয়েক নম্বর বেশি পেয়েছে।
চেয়ে—মাঠে গোরুগুলো কেমন রাখালের দিকে চেয়ে আছে।
তারি—মেয়েটির গানের সুর ভারি মিষ্টি।
ভারী—বয়স হতে দিদিমার শরীরটা ভারী হয়ে গেছে।
৪. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
এলোমেলো বাতাস, চাঁপার বন, কালো জল, কালির দোয়াত, কোমল ঠোঁট।
উত্তর :
বিশেষ্য : - বাতাস, জল, ঠোঁট, বন ,দোয়াত।
বিশেষণ :- এলোমেলো, কালো, কোমল, চাঁপার, কালি।
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫..১ কোথা থেকে বাতাস এল।
উত্তর : কোথা থেকে বাতাস এল।
৫.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
উত্তর : আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৫.৩ দিতে আমি তোমার মেঝের ওপর ঢালি।
উত্তর : আমি তোমার মেঝের ওপর ঢালি।
৫..৪ পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
উত্তর : পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
৫.৫ চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
উত্তর : চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৬.. কোনটি বেমানান, তার নীচে দাগ দাও :
৬.১ হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
উত্তর ঃ হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
৬.২ কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।
উত্তর : কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।
৬.৩ ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
উত্তর : ছোলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
৬.৪ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।
উত্তরঃ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।
৬.৫ ভূরু বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।
উত্তর : বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।
৭. অন্ধকার' শব্দটির মতো 'ন্ধ' এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তর : বন্ধন ,অরুন্ধন, বন্ধ, সন্ধান, সন্ধ্যা, প্রবন্ধ, ধান্ধা
৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
লো লো এ মে > এলোমেলো।
ড়া ড়ি তা তা > -তাড়াতাড়ি।
লা কু তৰল > বকুলতলা।
কা আ শ বা না > আকাশখানা।
কে কে বা এ > একেবারে।
৯ শূন্যস্থান পূরণ করো :
৯.১ আকাশখানা ........ কালো।
উত্তর : আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৯.২ আসলো মাঝি .......
উত্তর ঃ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৯.৩ আমার যেন লাগল ....... ভালো।
উত্তর ঃ আমার যেন প্রাথল ভারী ভালো।
৯.৪ হাসল ....... ঠোঁট মেলে।
উত্তর ঃ হাসল কোমল ঠোঁট মেলে।
৯.৫ কালির দোয়াত কেমন করে ....।।
উত্তর ঃ কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ।
১০. বাক্যরচনা করো :
হাট, ভালো, সময়, পাড়ি, ভীষণ ।
উত্তর : হাট— সাধারণত চার পাঁচটি গাঁয়ের মাঝে একটি হাট বসে।
ভালো— মেয়েটির গানের গলা খুব ভালো।
সময় – সময় কাহার ও জন্য থেমে থাকে না।
পাড়ি— বর কনে নদীপথে পাড়ি দিল।
ভীষণ— আমার দাদু ভীষণ মিছে কথা বলে।
১১ বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ঃ
এলোমেলো, তাড়াতাড়ি, কোমল, জ্বেলে, দূরে।
উত্তর ঃ এলোমেলো- পরিপাটি, গোছানো। তাড়াতাড়ি — ধীরে।
কোমল – কঠিন।
জ্বেলে—নিভিয়ে।
দূরে-কাছে।
১২) প্রদত্ত সূত্র অনুসারে একটি গল্প তৈরি করো :
তুমি একা- -বিরাট মাঠ-।-আকাশে ঘন মেঘ- -গাছের পাতা নড়ছে না- -ঝড় এল- -প্রবল বৃষ্টি- -কোথাও আশ্রয় নিলে-ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলে।
উত্তর--আমি একা পাশের গ্রাম করিমপুরে মাসির বাড়ি বিরাট মাঠ পেরিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি বিকেলবেলায় আকাশে ঘন মেঘ উঠে আকাশটাকে কালো করে ফেলল বাতাস বন্ধ হয়ে গেল গাছের পাতা একদম হচ্ছে না গুমোড আবহাওয়া হঠাৎ দেখছি কোথা থেকে এক প্রবল বাতাস এসে সব উলটপালট করে দিতে থাকলো ঝড় উঠলো, ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হল সামনে একটি প্রাইমারি স্কুল ছিল সেখানে আমি কোন মতে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে ঝড়ে হাত থেকে রক্ষা করলাম। অনেকক্ষণ পর ঝড় থামল ঝড় থামলে অনেক রাত্রে আমি নিজের বাড়িতেই ফিরে এলাম।
১৩.'কোমল' ও 'কমল' শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : আমার মায়ের মন খুব কোমল (নরম) হয়।
আমাদের জাতীয় ফুল হল কমল (পদ্ম ) ।
১৪. কোনটি কোন শ্রেণির বাক্য লেখো :
১৪. ১ এই এসেছে ঝড়!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
১৪.২ ঝড় কারে মা কয়?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাকা।
১৪.৩ কেমন জানি করল আমার মন।
উত্তর : জটিল বাক্য।
১৪.৪ চেয়ে দেখি আকাশখানা একেবারে কালো।
উত্তর : যৌগিক বাক্য।
১৪. ৫ পালিয়ে গেল অনেক দূরে-সাত সাগরের পারে।
উত্তর : সরল বাক্য।
১৫.১ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়োর নাম 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ', 'ন হন্যতে'।
১৫.২ তিনি কত সালে 'পদ্মশ্রী' উপাধি পান?
উত্তর ঃ তিনি ১৯৭৭ সালে 'পদ্মশ্রী' উপাধি পান।
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১ কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ কালবৈশাখীর সময় দুপুরবেলা হঠাৎ সমস্ত আকাশ ঘন কালো অন্ধকার করে ঝড় আসতেই শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল।
১৬.২ দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন?
উত্তর : দুপুরবেলা হঠাৎ কালো মেঘে সারা আকাশ ভরিয়ে দিল। কালো মেঘ সূর্য কি ঢেকে দিল এবং চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল।
১৬.৩ পালিয়ে গেল অনেক দূরে'-কে পালিয়ে গেল? পালিয়ে সে কোথায় গেল?
উত্তর : ঝোড়ো হাওয়া পালিয়ে গেল।
ঝোড়ো হাওয়া সাত সাগরের পারে পালিয়ে গেল ।
১৬.৪ ঝাড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে?
উত্তর : ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কালির দোয়াতের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে।
১৬.৫ ফড়'-এর বর্ণনা দিতে "মেঘ করে আসা আর বিদ্যুৎ চমকানোরর কথা কবিতায় কোন কোন পদ্ধতিতে ফুটে উঠেছে?
উত্তর:-এর বর্ণনা দিতে 'এমন সময় এলোমেলো কোথা থেকে বাতাস এলো হঠাৎ থেকে থেকে পঙক্তিটি মেঘ করে আসা এবং হাসল কোমল ঠোঁটটি মেলে ভীষণ কেমন আগুন জ্বেলে আকাশ বারে বারে পক্তির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চমকানোর কথা ফুটে উঠেছে।
১৬.৭ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর-সময় নদী বা সমুদ্রের জল উত্তাল হয়ে ওঠে। এই সময় জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৬.৮ সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে খাতায় লেখো।
উত্তর : ভূমধ্যসাগর , ক্যারিবিয়ান সাগর আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, লোহিত সাগর, মরু সাগর, পীত সাগর, কাস্পিয়ান সাগর, বিস্কে উপসাগর।
১৪ কোনো একটি দিনে তোমার ঝড় দেখার কথা বন্ধুকে একটি চিঠি লিখে জানাও।
উত্তর: একটি দিনের বড় দেখার কথা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি :
উত্তর-নিজে কর
১৬.৯ ঝড়ের প্রকৃতির একটি ছবি আঁকো ।
উত্তর-নিজে আঁকার চেষ্টা করো
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
এক কথায় উত্তর দাও :
★ দিয়ে ওরা, ছুটে পালাই ঘর’-ওরা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : 'ওরা' বলতে এখানে কবির সঙ্গীসাথিদের কথা বলা হয়েছে।
★ কবিতার বক্তা বালিকাটি কী বার কোন সময়ে খেলতে গিয়েছিল ?
উত্তর : সেদিন হাটের বারে কবিতার বক্তা বালিকাটি দুপুরবেলা মাঠের ধারে খেলতে গিয়েছিল।
★ কবি দুপুরবেলা কোথায় খেলতে গিয়েছিলেন।
উত্তর : কবি দুপুরবেলা মাঠের ধারে খেলতে গিয়েছিলেন।
★ ঝড়' কবিতাটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর : 'ঝড়' কবিতাটি মৈত্রেয়ী দেবী রচনা করেছেন।
★ কবিতায় কবি কোন ফুলগাছের কথা বলেছেন?
উত্তর : কবিতায় কবি চাপাগাছ এবং বকুলগাছের কথা বলেছেন।
★ কালবৈশাখী ঝড় আসার পূর্বমুহূর্তে নদীর জল কোন্ বর্ণ ধারণ করেছে?
উত্তর : কালবৈশাখী ঝড় আসার পূর্বমুহূর্তে নদীর জল কালো বর্ণ ধারণ করেছে।
★ বড় কারে মা কয়?' বলে কবিতার বালিকাটি কী ব্যাখ্যা দিয়েছিল ?
উত্তর ; ঝড় দেখে কবিতার বালিকাটির মনে হল কাদের যেন ছেলে কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ ফেলে দিল।
★ কবিতার মায়ের উদ্দেশে বালিকা কোন্ কথা স্বীকার করেছে?
উত্তর : কবিতার বালিকাটি বলেছে, সে নিজে যেমন করে মায়ের মেঝের ওপর কালি ঢেলে দেয় তেমনি করে আকাশ ঝালো হয়ে তার চারদিক কালো করে ঝড় দেখা দিয়েছে।
★ কোথায় কেমন আগুন জ্বলে উঠল?
উত্তর : আকাশ বারবার কেমন ভীষণ আগুন জ্বেলে দিল।
★ কোমল ঠোঁটটি মেলে কে কেন হাসল ?
উত্তর ঃ আকাশ বারেবারে আগুন ভীষণ আগুন জ্বালল দেখে দুপুরবেলা খেলতে যাওয়া মেয়েটি কোমল ঠোঁট মেলে হাসল।
★ মাঠের ধারে দুপুরবেলা আচমকা কী ঘটল ?
উত্তর : আচমকা সেদিন হাটের বারে দুপুরবেলা কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস এলো তা বোঝা যায়নি।
★ হঠাৎ থেকে থেকে কী শুরু হল ?
উত্তর : হঠাৎ থেকে থেকে এলোমেলো বাতাস আর অন্ধকারে সমস্ত দিক ঢেকে দিল।
★ কবিতার বক্তা বালিকাটির এই দৃশ্য কেমন লাগল ?
উত্তর ঃ আকাশখানা এক্কেবারে কালো দেখে আর ঝড় এসেছে দেখে কবিতার বক্তা বালিকাটির ভীষণ ভালো লাগল।
★ কী কী কালো হয়ে যেতে দেখে মাঝি তাড়াতাড়ি হাজির হল ?
উত্তর : কাড় এসে গিয়ে বকুলতলা কালো হল, চাপার বন কালো হল দেখে কালো জলে পাড়ি দিয়ে মাঝি হাজির হল তাড়াতাড়ি।
★ কে কোথায় পালিয়ে গেল?
উত্তর ঃ আকাশ বারে বারে আগুন জ্বালিয়ে ঘুরেফিরে ঝড় অনেক দূরে সাত সাগরের পারে পালিয়ে গেল।
★ কবিতাটির ভেতরে 'ছেলে' আর 'ফেলে' শব্দদুটি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে দেখাও।
উত্তর : 'কাদের যেন ছেলে', 'কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ দিল ফেলে -- পরপর এই দুটি বাক্য কবিতাটির ভেতরে করা হয়েছে।
★ পশ্চিমবঙ্গে কোন ঋতুতে কালবৈশাখী ঝড় হয়?
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গে গ্ৰীস্ম ঋতুতে কালবৈশাখী ঝড় হয়।
★ অন্ধকারে সমস্ত দিক কেমনে দিল ঢেকে”– কোন সময়ে অন্ধকার সমস্ত দিক ঢেকে দেখ?
উত্তর : কালবৈশাখী ঝড়ের সময় দুপুরবেলায় হঠাৎ কোথা থেকে এলেমেলো হাওয়া এসে সারা আকাশ অন্ধকার কালো মেষে থেকে দিয়ে প্রবল
★ উপমা সহযোগে কবি মৈত্রেয়ী দেবী কীভাবে ঝড়ের বর্ণনা দিয়েছেন লেখো।
উত্তর : একটি ছোটো হঠাৎ কালির দোয়াত হাত থেকে ফেলে দিলে ঘরের মেঝে কালিতে যে রূপ ধারণ করে, কালবৈশাখী আছে ঠিক সেইরকম সারা আকাশখানা একেবারে কালো বর্ণ ধারণ করেছে। এখানে কবি অন্ধকার আকাশের পরিচয়
দিতে গিয়ে দোয়াতের কালির উপমাটি দিয়েছেন।
★ কেমন জানি করল আমার মন'
প্রসল্য উল্লেখ করে কবির অনুভূতির কথা ব্যক্ত করো।
উত্তর : লুপুরবেলা হঠাৎ সমস্ত আকাশ অন্ধকার করে এলো। এলোমেলো বাতাসে প্রকৃতি এক অন্য রূপ নিয়ে কবির চোখে ধরা দিয়েছে। সমস্ত আকাশ কালো, কালো চাপার বন, বকুলতলা এমনকি নদীর জল পর্যন্ত কালো বর্ণ ধারণ
করেছে দেখে কবি অভিভূত হলেন। কবি দেখলেন, কালো জলে ভরা নদী পার হয়ে মাঝি তাড়াতাড়ি ফিরে এলো।
প্রকৃতির এই রূপ দেখে কবি একটুও ভীত হলেন না বরং তিনি মনে মনে এক অব্যক্ত আনন্দ অনুভব করলেন।
★ পালিয়ে গেল অনেক দূরে—' কে পালিয়ে গেল এবং কেন?
উত্তর : কালবৈশাখী ঝড় পালিয়ে গেল।
চৈত্র-বৈশাখ মাসে দুপুরবেলা হঠাৎ সারা আকাশ কালো করে ধুলো উড়িয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের আবির্ভাব হয়। এই যত বেশিক্ষণ ধরে স্থায়ী হয় না। হঠাৎ ঘূর্ণিপাকের মতো ঝোড়ো হাওয়া এসে বিদ্যুৎ চমকিয়ে অনেক দূরে চলে যায়।
★ ও এই এসেছে ঝড়—এখানে কোন্ ঝড়ের কথা বলা হয়েছে? এই ঝড়ের আগমনে প্রকৃতি কী রূপ ধারণ করে?
উত্তর : এখানে কালবৈশাখী ঝড়ের কথা বলা হয়েছে।
এই ঝড় তাপিত পৃথিবীর বুকে বয়ে নিয়ে আসে শান্তির বাণী। প্রথমে দেয় শীতল বাতাস, তারপর ভারী বর্ষণে প্রকৃতি তথা জীবকূলের দহন জ্বালা জুড়িয়ে দেয়।
★ পালিয়ে গেল অনেক দূরে—সাত সাগরের পারে।’
—আলোচ্য পঙক্তিটি কোন্ কবিতার অংশ? সাত সাগরের পারে কে পালিয়ে গেল? সে চলে যাবার পর প্রকৃতি রূপ ধারণ করে?
উত্তর : আলোচ্য পত্তিটি ঝড়' কবিতার অংশ।
সাত সাগরের পারে 'বড়' পালিয়ে গেল।
. ঝড় অনেক দূরে সাত সাগরের পারে চলে গেলে প্রকৃতি পুনরায় আগের মতো হয়ে ওঠে। কালবৈশাখীর ঝড় কোনো কিছু ধ্বংসে করে চলে যায় না। তাপদগ্ধ প্রকৃতির বুকে বয়ে নিয়ে আসে পরম শান্তির বাণী। প্রকৃতির মঙ্গলদায়িনী ৰূপ দেখে পৃথিবী আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।
★ আকাশ যে বারে বারে আগুন জ্বালল তা থেকে কী বোঝা যায় ?
উত্তর : আকাশ যে বারে বারে আগুন জ্বালল তার কারণ আকাশে হঠাৎ ঘন কালো বাদল মেঘ জমে গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগলে বিদ্যুতের আলো চমকে দেয়।
★ ওই এসেছে ঝড় বলে কে কী বলেছিল?
উত্তর : দুপুরবেলা হাটের বারে হাটে যারা বেচাকেনা করতে এসেছিল তারা 'ওই এসেছে ঝড় ছুটে পালাই' বলেছিল।
★ মেয়েটির কী ভারি ভালো লাগল ?
উত্তর : আকাশখানা একেবারে কালো দেখে মেয়েটির ভারি ভালো লাগল।
★ কবিতায় 'পাড়ি' আর 'তাড়াতাড়ি' শব্দদুটি দিয়ে কীভাবে ছন্দ মেলানো হয়েছে?
উত্তর : 'কালো জলে দিয়ে পাড়ি', 'আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি' এই দুটি বাক্য দিয়ে 'পাড়ি' আর 'তাড়াতাড়ি' শব্দদুটিতে কবিতায় ছন্দ মেলানো হয়েছে।
★ শব্দার্থ : কয় - বলে।
দোয়াত -যে কাচের শিশিতে লেখার জন্য তরল কালি থাকে।
কোমল নরম।
সাগর-সমুদ্র।
ঠোঁট ওষ্ঠ।
ভীষণ - আদের।
★ বিপরীত শব্দ :
ওপর-নীচ।
হাসল বাদল।
কোমল কঠোর।
দূরে - কাছে।
★ সমার্থক শব্দ ।
মা > জননী, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, মাতা।
ছেলে> পুত্র, তনয়, নন্দন, কুমার, সুত।
ঠোঁট > এই, চল< অধর।
আগুন > বহ্নি, অনল, সর্বভুক, পারক।