আশীর্বাদ কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / ASHIRBAD poem question answer class six
![]() |
ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা
★আশীর্বাদ★
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
সারাংশ: বর্ষায় বৃষ্টির জলের থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ছোটো পিঁপড়ে ঘাসের পাতায় আশ্রয় নে
য়। বড়ো বড়ো বৃষ্টি বিন্দুর সাথে কষ্ট করে জল খেয়েও ঘাসের পাতা আঁকড়ে সে বাঁচতে চায়। ঘাসেরা চলাফেরা করতে অক্ষম, তাই হলে তাদের জলের নীচে ডুবে তাকতে হয়। ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে উভয়ের বন্ধুত্ব হয়ে উঠেছে। মাটি পিঁপড়েদের একান্ত আপন কারণ তারা সারাদিন খাদ্যসংগ্রহ করে দিনান্তে মাটির নীচে গর্জে মধ্যে আশ্রয় নেয়। অন্য দিকে গাছ ফুল ফুটিয়ে, খাদ্য তৈরি করে, মানুষকে অক্সিজেন জোগান দিয়ে সমগ্র পৃথিবীতে তাদের আপন করে নেয়। কিছু পিঁপড়ের এই কথা ঘাসের পাতা মানতে পারে না। কারণ মাটিতে সকলের সম অধিকার আর মাটি ব্যতীত বৃষ্টির জল শোষণ করার অধিকার বা ক্ষমতা কারও নেই। এরপর বৃষ্টি আসে এবং সে পিঁপড়েকে জানায় নির্ভীক ঘাসপাতা বন্ধুটির কথা। ঘাসপাতা গ্রীষ্মের রোদে পুড়ে আবার নবরুপে সবুজ আভা গ্রহণ করে। শরৎকালে এই ঘাস থেকেই কাশফুল জন্মায়। অনুরূপভাবে বর্যার
পর প্রভৃতিতে শরতের আবির্ভাব ঘটবে। পিঁপড়ের জীবনে শরৎ আশীর্বাদরূপে দেখা দেবে। তখন আবার এই পৃথিবীতে তাদের অধিকার পুনরায় ফিরে পায়।
হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?
উত্তৱ। রূপকথা, উপকথা এবং লোককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।
১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?
উত্তর। তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়?
উত্তর। বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিক জলে ভরে যায়।
২.২ পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?
উত্তর। পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল।
২.৩ বন্যার সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন?
উত্তর: বন্যার জলের স্রোতে গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে পারছিল না। তাই কাঁপছিল।
২.৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?
উত্তর।পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য গাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ছিল।
২.৫ পিঁপড়ে কখন "বাপ। বাঁচলেন" বলে?
উত্তর। বৃষ্টি একটু কমলে যখন ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়াল। তখন পিঁপড়ে "বাপ বাঁচলেন' বলে।
২.৬ জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?
উত্তর-জল খলখল শব্দ করে হেসে উঠেছিল।
২.৭ "বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।” কেন এমন হল?
উত্তর। পিঁপড়ে জলবৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে। তাই পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
২.৮ "শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে পরুক।”-কে এমনটি কামনা করেছিল?
উত্তর। শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সুর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।
৩. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।
(অসমাপিকা ক্রিয়া)
৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৩ এক টোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার গায়ে পাতাটা বোধ হয় এলিয়ে পড়বে জলে।
(সনাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৫ শিউরে পাতা বললে- ভাই। তেমন কথা বোলো না।
.(সমাপিকা ক্রিয়া)
৪. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো :
৪.১ সারা দিনরাত খাটি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.২ আ, নি, দেখি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৩ খানের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৪ পার হব? (সকর্মক ক্রিয়া)
৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে। (সকর্মক ক্রিয়া)
৫. সন্দি বিচ্ছেদ করো : নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চ্য, আশীর্বাদ।
উত্তর: নিশ্বাস=নিঃ + শ্বাস
নিশ্চয় =-নিঃ + চয়
বৃষ্টি =বৃষ + তি
আশীর্বাদ -=আশিঃ + বাদ।
৬. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করো এবং তা দিয়ো দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো :
বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নিৰ্ভয় ।
উত্তর-
বিদেশ- বি= বি +কার = বিকার ,বি +চার=বিচার
দুর্ভাগ্য = দুঃ + ভাগ্য = দুঃ = দুঃ + আচার = দুরাচার= দুঃ + শাসন = দুঃশাসন
অনাচার=অনা + আবশ্য = অনাবশ্যক
অনাবৃষ্টি = অনা + বৃষ্টি = অনা = অনা + আচার =
সুদিন = সুদিন = সু. + দিন = সু = সু + বিচার = সুবিচার, সু + সময় = সুসময়
নিৰ্ভয় = নিঃ + ভয় = নিঃ = নিঃ + আকার = নিরাকার, নিঃ + বিচার
৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো :
২. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিতে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো:
বিশেষ্য।> বিশেষণ
আশ্রয় > আশ্রিত
শরৎ > শারদীয়
ফুল > ফুলেল
শরীর > শারীরিক
মুখ > মৌখিক
৮. চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো :
উত্তর। চোখ-দর্শনের ইন্দ্রিয়- মানুষ চোখ দিয়ে দেখে
চোখ- নজর- অনেকে চোখের দৃষ্টি ভালো নয়।
৯. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
উদ্দেশ্য > বিধের
৯.১ আমরা > সাঁতার জানি।
৯.২ বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ > শুকিয়ে গেল।
৯.৩ আমরা (উহা) > শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে
৯.৪ জল > খলখল করে হেসে উঠল।
৯.৫ পৃথিবী > সবারই হোক।
১০. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
উত্তর।
১০.১ আমরা সাঁতার এবং ইাঁটা দুটোই জানি।
১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো। তোমরা ফুলটুল ফোটাও।
১০.০ যখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে।
১০.৪ আমরা নড়তেও পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই।
১০.৫ এক টোক জল খেয়ে পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ পাঠাংশে কোন কোন ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিচে নিয়ে লেখ।
উত্তর। আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।
বর্ষা উদাহরণ : বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে যান। জলে দেশ এই এই করছে।
শরৎ ঋতুর উদাহরণ শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।
১১.২ পাতা গাছের প্রয়োজনে লাগে ?
উত্তর। গাছের পাতা খাবার তৈরি করতে কাজে লাগে। পাতা গাছের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ।
১১.৩ পিঁপড়ের নামস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখো।
উত্তর। পিঁপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। সারাদিন ধরে তার কাজ হল খাদ্য সংগ্রহ করা তাই সে।সর্বদা ব্যস্ত। দিনের শেষে তারা তাদের মাটির গর্তে ফিরে যায়। তারা ভাবে মাটিটা তাদের আর বাকি পৃথিবী পৃথিবীটা অন্যদের।
১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে।
উত্তর। বৃষ্টির কাছ পাতা হল বন্ধু। তাই বৃষ্টি পাতাকে তার সবুজ বন্ধু আখ্যায় ভূষিত করেছে।
১১.৫ সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল?
উত্তর। সবার কথা শোনার পর পিঁপড়ের মনে হল পৃথিবী আবার তার হবে এবং পৃথিবী কেবলমাত্র তার প্রকার নয় সে সকলেরই আশ্রয়স্থল।
১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে?
উত্তর। ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই।শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘোষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১২.১ বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো।
উত্তর। বর্ষার সময় প্রকৃতি কালো মেঘে ঢাকা থাকে। বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির সময় কাল। বর্ষার বারিধারায় পুষ্ট হয়ে আমাদের চারিদিকের প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করে। গ্রীষ্মকালের প্রখর দাবদাহে যেসব গাছ মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল তারা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা প্রকৃতি যৌবনবতী হয়ে ওঠে। প্রকৃতি যেন নিজের প্রাণ ফিরে পায়।
১২.২ পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?
উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। বর্ষার ফলশ্রুতিতে পিঁপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল।
আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
১২.৩ পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?
উত্তর। বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। তাই পাতা বন্ধু পিঁপড়েকে জোর করে তার শরীরকে কামড়ে ধরতে বলেছিল।
১২.৪ পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল। 'কাজে আসে না কোনোটাই'— এখানে তার কোন কাজে না আসার আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর। পিঁপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিঁপড়েকে প্রবোধ নিতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিঁপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিঁপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিঁপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
১২.৫ “তাই আজ বেঁচে গেলাম”–বস্তার 'আজ' বেঁচে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর। সওপরে সংকলিত অংশটুকুর বক্তা হল পিঁপড়ে। সেদিনের বর্ষায় সারা পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল। তখন পিঁপড়ে বন্ধু ঘাসের পাতাকে কামড়ে ধরে জলের হাত থেকে অব্যাহতি লাভ করেছিল।
১২.৬ পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কন্ঠের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষা নেমেছে। দেশে বন্যা হবার ফলে সারা দেশে জল থই থই করছে। নিরাশ্রয় পিঁপড়ে প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে একটি ঘাসের পাতাকে অবলম্বন করেছে। হাওয়ার দোলায় দুর্বল ঘাসের পাতা কাঁপছে। হেলছে এবং এলিয়ে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। পিঁপড়ে ঘাসের শিরাটাকে জোরে কামড়ে ধরে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পক্ষান্তরে যান তো চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা খুলে বাঁচতে পারে না। বর্ষার অবসানে নেমে গেলে পিঁপড়ে তার জীবন বা করার জন্য পাতাকে ধন্যবাদ জানায়। পাতা যেহেতু নি, সে চলাফেরা পারে না। তাই তাকে গোয়ে পুড়ে শুকিয়ো গুলো পরিণত হতে হয়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে তারা ম
জীবন লাভ করে। কোনোকিছুতেই তার কোনো তা নেই।
১২.৭ পিঁপড়ের সঙ্গে। গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি করো। শ্রেণিককে অভিনয়ের আয়োজন করে।
উত্তর। শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে নিজেরা করো।
১২.৮ 'মাটি সবারই পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন সভা ফুটে উঠেছে?
উত্তর। পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সম অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর সেখানে আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সকলের সমানাধিকার
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃতি সকলকে তার সম্পদ সমভাবে বণ্টন করে দেয়।
১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল?
উত্তর। বৃষ্টি মেঘের আড়ালে অবস্থান করে পাতা ও পিঁপড়ের কথোপকথন মনোযোগসহকারে শুনছিল। উভয়ের কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিঁপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।
১২.১০ শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটা অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর। ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাস নিয়ে হয় শরৎকাল । এই সময় আকাশ তুলোর মত মেঘ ভাসতে থাকে। প্রকৃতির সবুজ রূপ ধারণ করে। নদী নালাখালভীল জলে ভরে থাকে এই সময় বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতের দিকে শিশির পড়তে শুরু করে।
১২.১১ পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল – তা আলোচনা করো।
উত্তর। ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মতো করে পিঁপড়ের মনে সাহস জোগান দিয়েছিল। পাতা পিঁপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে। বৃষ্টির জল পিঁপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোনো অবস্থাতেই বিপদ পড়লে তা
না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।। তাই ভয়কে জয় করা উচিত।