ধরাতল কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা - school book solver

Wednesday, 28 May 2025

ধরাতল কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা

 





ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা
ধরাতল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সারসংক্ষেপ : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন সায়াহ্নে স্মৃতি মুখরিত দিনগুলি মনে উদ্ভাসিত হয়। কবি জীবন নদীতে নৌকা বেয়ে চলেছেন। যেতে যেতে চারিপাশের ছোটো ছোটো বস্তু চোখে পড়ছে। নদীর কূলে দেখতে পান সবুজ পৃথিবী। সেগুলিকে ক্ষণকাল দেখলেও খুব ভালোবেসে দেখেন। কিন্তু সেই সময় নদীর তীর থেকে জীবনের প্রধান দুই উপাদান দুঃখ এবং সুখ দুই ভাইবোন কবির মুখপানে চেয়ে থাকে করুণ নয়নে। নদীর তীরের ছায়া বের হয়ে গ্রামগুলিকে কত প্রেম ঘিরে রয়েছে। উৎসাহী দৃষ্টি নিয়ে কবি যখন পৃথিবীর দিকেতাকান তাঁর মনে হয় এই পৃথিবীতে ভালোমন্দ, সুখ-দুঃখ, আলো -অন্ধকারের অস্তিত্ব সর্বদাই পাশাপাশি বিরাজ করছে। আর বিপরীতধর্মী এই সব বিষয় পরস্পর অবস্থান করার কারণেই পৃথিবীকে এত সুন্দর লাগে।

হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১.১ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।
উত্তর। কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম 'চণ্ডালিকা'।

১.২ তোমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তর। আমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর 'চৈতালি' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
২.১ কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে?
উত্তর। কবির মনে আজ ছোটো ছোটো গীত ও কথার ভাবনা এসেছে।

২.২ যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে কোন্ দৃশ্য ধরা পড়েছে?
উত্তর। যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে সবুজ পৃথিবীর দৃশ্য ধরা পড়েছে।

২.৩ সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে?
উত্তর। সবাই প্রতি মুহূর্তে 'যাই যাই' বলে যাচ্ছে।

২.৪ যা কিছু দেখেন তাকেই কবি ভালোবাসেন কেন?
উত্তর। নদীপথে যেতে যেতে ক্ষণকালের জন্য সব কিছু দেখেন বলে কবি যা দেখেন, তাকেই ভালোবাসেন।

২.৫ কবি কাদের ভাই বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর। কবি সুখ-দুঃখকে ভাই বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.৬ গ্রামগুলি দেখে কবির কী মনে হয়েছে?
উত্তর। গ্রামগুলিকে দেখে কবির মনে হয়েছে সেখানে কত প্রেম তাদেরকে ঘিরে রয়েছে।

২.৭ পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কী মনে হয়?
উত্তর। পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির মনে হয়, ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আলো-অন্ধকার নিয়েই এই পৃথিবী ভালো।

৩. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
শ্যামল, দুঃখ, সুখ, করুণ, ছায়াময়, গ্রাম, উৎসুক, আলো।
উত্তর।
বিশেষণ > বিশেষ্য
শ্যামলিমা > শ্যামল
দুঃখিত > দুঃখ

বিশেষ্য > বিশেষণ
সুখ > সুখী
কারুণ্য > করুণ
ছায়া > ছায়াময়
গ্রাম > গ্রাম্য
উৎসুক > উৎসুক্য
আলো > আলোকিত

৪. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :বেয়ে, প্রাণ, আমার, হেরি
উত্তর।
বাহিয়া > বেয়ে, মোর > আমার।
হেরি > দেখি, প্রাণ > পরাণ।

৫. দুটি বিপরীতার্থক শব্দ যুক্ত হয়ে একটি শব্দ পরিণত হওয়া শব্দগুলি কবিতা থেকে খুঁজে বের করো। ওই শব্দগুলি দিয়ে একটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর। ভালোমন্দ— ভালো মন্দ নিয়ে মানুষের জীবন গড়া।
অন্ধকার আলো—পৃথিবীতে অন্ধকার আলো পাশাপাশি অবস্থান করছে।
দুঃখসুখ— মানব জীবনে সুখ দুঃখ একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
ভাইবোন— পুজোর ছুটিতে ভাই বোন মিলে দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলাম।

৬. নীচের বাক্যগুলির রেখাঙ্কিত অংশে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৬.১ চোখে পড়ে যাহা কিছু হেরি চারিপাশে।
উত্তর। বহুবচন।
৬.২ কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণি।
উত্তর। বহুবচন।
৬.৩ ক্ষণকাল দেখি বলে দেখি ভালোবেসে।
উত্তর। একবচন।
৬.৪ সবি বলে, 'যাই যাহ' নিমেষে নিমেষে
উত্তর। বহুবচন।
৬.৫ যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে।
উত্তর। একবচন।
৭. নীচের কবিতাংশটি ভেঙে পৃথক পৃথক বাক্যে লেখো :
যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়নে
আমার পরাণ হতে ধরার পরাণে—
ভালোমন্দ দুঃখ সুখ অন্ধকার-আলো
মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভালো।

উত্তর। (১) আমি ডৎসুক নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখি আমার পরাণ থেকে ধরার পরাণকে।
(২) এ যরণি ভালোমন্দ, দুঃখসুখ, অন্ধকার-আলো এসব নিয়েই মনে হয় ভালো।

৮.  নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

৮.১ 'আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরুণী'—এখানে 'যেন' শব্দটি কেন ব্যবহার হয়েছে লেখো।
উত্তর। কবি কল্পনা করছেন যে তিনি নৌকো বেয়ে চলেছেন। কিন্তু বাস্তবে কবি নৌকো বেয়ে যাননি, তাই এখানে "'যেন' শব্দটি ব্যবহার করেছেন কবি।

৮.২ কবির কল্পনার নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি দেখেছেন?
উত্তর। কবির কল্পনায় নৌকাযাত্রায় তিনি নদীর কূলে কূলে সবুজ ধরণি দেখেছেন। ছায়াময় গ্রামগুলিকে কীভাবে প্রেম ঘিরে রেখেছে তা দেখেছেন। সবকিছুই ক্ষণকালের দৃষ্টিতে ধরা দেয় বলে তিনি ভালোবেসে ছোটো ছোটো
জিনিসগুলিকে প্রত্যক্ষ করেন।

৮.৩ সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন ?
উত্তর। এই বাস্তব পৃথিবীতে ভাইবোন মিলেমিশে পাশাপাশি বাস করে। সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। এই দুইজন এই পৃথিবীতে মানুষের জীবনে আসে যায়। সুখ-দুঃখ পৃথিবীর দুটি ভিন্ন উপাদান হলেও এরা পাশাপাশি অবস্থান করে।
কোনো মানুষই এককভাবে সুখ বা দুঃখ ভোগ করে না। সুখ-দুঃখের মিলনেই জীবন পরিপূর্ণ, আনন্দময়। তাই সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে।
৮.৪ ‘মনে হয় সব নিয়ে এ ধরণী ভালো'—কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয় ? এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর। সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। এরা পরস্পর একে অপরের পাশে অবস্থান করে আমরা যখন সুখের ন্যায় দুঃখকে জীবনের অপরিহার্য পরিণতি বলে মেনে নিতে পারব তখনই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে।
বাস্তব পৃথিবীর মানুষ সুখকে যতটা সহজে মেনে নিতে পারে দুঃখকে জীবনে বরণ করে নিতে দ্বিধাবোধ করে।
সুখের আশাতেই মানুষ বুকে বল বাঁধে, বেঁচে থাকে। কিন্তু সুখ-দুঃখ মানুষের জীবনে চাকার মতো ঘুরে আসে। যেমন , সুখ জীবনে আসে তেমন দুঃখও জীবনে আসে। এই সত্যটিকে মেনে নিয়ে মানুষ জীবনপথে এগিয়ে গেলে অবশ্যই
এই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে।

★ সেথায় যেতে যে চায়★
বন্দে আলী মিয়া

সারাংশ : কবি বন্দে আলী মিয়া নদীতীরের প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে মধুমতীর চরে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জেলে ডিঙির সঙ্গে বাঁধা জালে মাছেরা লাফিয়ে পড়ে। সেখানে একজন শক্ত করে লাঠি ধরে পাহারা দেবে। নদীর তীরে বসে চিল মাছেদের দিকে তাকায় এবং গাঙচিল ওই মাছ চুরির আশায় আকাশে উড়তে থাকে। মধুমতীর চরে রাত্রিবেলা উজ্জ্বল জ্যোৎস্না ধারা ঝরে পড়ে। দিনেরবেলা সূর্যের আলোয় নদীকূল বিচিত্র বর্ণ ধারণ করে । এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য কবি সেখানে সারা বেলা কাটিয়ে দিতে চান।
শব্দার্থ : ডিঙি- ছোটো নৌকা।
বাগিয়ে - কায়দা করে।
বিহান-সকাল।
সাধ— ইচ্ছা।
গাঙচিল -এক ধরনের শিকারি পাখি।
নিশাপ - অন্ধকার।
ঝরে- খসে পড়ে।
সাঁঝ সন্ধ্যা।
গাঙ নদী।
১. একটিমাত্র বাক্যে উত্তর দাও :
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

★  কবি কোথায় বেলা কাটাতে চায়?
উত্তর। কবি মনুমতীর চরে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে বেলা কাটাতে চায়।
★ এই কবিতায় কোন নদীর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর। এই কবিতায় মধুমতী নদীর কথা বলা হয়েছে।

  ডিঙির পরে কারা লাফিয়ে পড়ে?
উত্তর। ডিঙির পরে মাছেরা লাফিয়ে পড়ে

★ গাঙচিলেরা কীসের সন্ধানে উড়বে?
উত্তর। গাঙচিলেরা মাছের সন্ধানে উড়বে।

★ নিশীথ রাতে চাঁদ কী হয়ে যাবে?
উত্তর- নিশীথ রাতে চাঁদ জ‍্যোৎনা হয়ে ঝরে।