একলা কবিতার হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা / Akla poem question answer clasSs 5 bangla
![]() |
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
একলা ■ শঙ্খ ঘোষ
কবি পরিচিতিঃ
কবি শঙ্খ ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালের ৫ ফ্রেব্রুয়ারি।।তাঁর জন্মস্থান বর্তমান বাংলাদেশের চাঁদপুর অঞ্চলে। পিতার নাম মণীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতার নাম অমলা ঘোষ। তাঁর ছদ্মনাম কুম্ভক, শুভময় রায় এবং পোশাকি নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। কবি প্রথম জীবনে পাবনা জেলার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠে এবং পরবর্তীকালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন।। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক কবি
শঙ্খ ঘোষ রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হল—‘আমনধানের ছড়া’, ‘সকালবেলার আলো’, ‘সুপুরি বনের সারি’, ‘শব্দ নিয়ে খেলা’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘ওকাম্পোয় রবীন্দ্রনাথ’, ‘উর্বশীর হাসি’, ‘নির্মাণ ও সৃষ্টি’, ‘শব্দ আর সত্য’, ‘ঐতিহ্যের
বিস্তার' প্রভৃতি।
উৎস-সংকেত -পাঠ্য কবিতাটি কবির ‘আমায় তুমি লক্ষ্মী বলো' কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
একলা কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা ::-
কবি শঙ্খ ঘোষ ‘একলা’ ‘কবিতায় প্রকৃতির বুকে গাছপালা, পথ, পশুপাখিকে আপনজন করে নিয়েছেন। কবি কোনো সময়েই একা নন। সবুজ গাছপালার ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া পথ কবির ডাকে সাড়া দেয়। কাঠবেড়ালি কবির খুবই প্রিয়। কাঠবেড়ালি খুব চঞ্চল জীব। এরা কোথাও এক মুহূর্ত স্থির হয়ে বসতে পারে না। কাঠবেড়ালি খুব অল্প সময়ে মানুষের সঙ্গী হয়ে যায়। মানুষের হাত থেকে এরা টুকরো টুকরো খাবার খেতে খুব ভালোবাসে। এরা খুব দ্রুত
দৌড়ায়। এক দৌড়ে যে কোথায় চলে যায় আর দেখাই যায় না। সবুজ বনের পথ দিয়ে একলা যাওয়ার সময় গাছ থেকে ঝরা পাতা যেন কবির মাথায় আশীর্বাদস্বরূপ এসে পড়ে বলে কবির মনে হয়। শালবনে বা তাল সুপুরির বনে কবির নিজেকে কখনও একলা বলে মনে হয় না। ঘরে-বাইরে কবির কাছে একই রকম মনে হয়। কবি যখন চুপ করে। থাকেন তখন তাঁর মনে হয় মনের কোণে কে যেন একভাবে বাজনা বাজিয়ে চলেছে।
একলা কবিতার নামকরণ সার্থকতা :
প্রকৃতিপ্রেমী কবি যখন মানুষজনের থেকে দূরে নির্জন পথে ঘুরে বেড়ান তখন তাঁর সঙ্গে প্রকৃতির গাছপালা, পথ, কাঠবেড়ালি ইত্যাদি থাকে। কবি কখনোই একলা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেননি। তাঁর মতে, কেউ না কেউ সবসময়েই তাঁর সঙ্গে থাকে এবং কবি তা সবসময় অনুভব করেন। কবিতাটির নামকরণ এক্ষেত্রে ব্যঞ্জনাধর্মী হলেও যথার্থ বলা যায়।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ তুমি কখন একলা থাকো?
উত্তর ঃ আমি সকালবেলাএকলা থাকি।
১.২ সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ তুমি কোথায় দেখেছ? সে পথে চলতে তোমার কেমন লেগেছে?
উত্তর : সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ আমি দেখেছি ধুপগুড়ি এলাকায়। সেই পথে চলতে আমার খুব ভালো লেগেছে প্রকৃতির সৌভাগ্য সুন্দর লাগছিল। এবং সেখানকার আবহাওয়া খুব শান্ত বিরাজ করছিল।
১.৩ কত রঙের, কত রকমের পাথর তুমি দেখেছ?
উত্তর ঃ লাল, নীল, সাদা, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি রঙের আর পোখরাজ, পান্না, নীলা, মুক্তো ইত্যাদি রকমের পাথর আমি দেখেছি।
১.৪ গাছের থেকে কোন্ ঋতুতে পাতা ঝরে? কোন্ কোন্ গাছ থেকে পাতা ঝরতে তুমি দেখেছ?
উত্তরঃ গাছের থেকে হেমন্ত ঋতুতে পাতা ঝরে। , বেলগাছ, জবাগাছ, থেকে পাতা ঝরতে আমি দেখেছি। এবং বসন্ত ঋতুতে ও বটগাছ থেকে পাতা ঝরতে আমি দেখেছি।
১.৫ গাছ আমাদের কী কী দেয় তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর ঃ গাছ আমাদের ঔষধ প্রদান করে। গাছ আমাদের ফল, ফুল, শাকসবজি দিয়ে থাকে। আসবাবপত্র তৈরির জন্য এবং জ্বালানিরয়জন্য কাঠ দেয়। গাছ আমাদের বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয়। গাছ শীতল ছায়া দান করে।
১.৬ পশ্চিমবঙ্গের কোন্ জেলায় ‘শালবন’ রয়েছে? শালপাতাকে মানুষ কী কী ভাবে ব্যবহার করে?
উত্তর ঃ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় শালবন আছে।
শালপাতাকে মানুষ নানাভাবে ব্যবহার করে। যেমন—শালপাতায় খাবার খাওয়া, ফুল, মিষ্টি বিক্রির জন্য গ্রামাঞ্চলে শালপাতা মোড়ক করে ব্যবহৃত হয়। অনেক জায়গায় শালপাতা দিয়ে ঘরের ওপরের অংশ ঢাকা দেওয়া হয়।
১.৭ ‘বাজনা’ শব্দটা শুনলে তোমার চোখে কোন্ কোন্ ছবি ভেসে ওঠে? কোন্ কোন্ বাজনার নাম তুমি জানো?
কোন্ কোন্ বাজনা বাজতে দেখেছ তুমি?
উত্তর : ‘বাজনা’ শব্দটা শুনলে আমার প্রথমে ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে মা কালী আরতির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
হারামোনিয়াম, ঢোল, তবলা, গিটার, পিয়ানো, বাঁশি, বেহালা ইত্যাদির নাম আমি জানি।
এগুলির সবই বাজনা বাজতে দেখেছি।
২. নীচের কথাগুলো তুমি মুখে বললে যেভাবে বলতে, সেইভাবে সাজিয়ে লেখো :
২.১ ভুলিয়ে দেয় সব হিসাব ও
উত্তর : সব হিসাব ও ভুলিয়ে দেয়।
২.২ থাকে না আর দুঃখ কোনোই
উত্তর ঃ আর কোনোই দুঃখ থাকে না।
২.৩ ঠিক যদি দিই সাড়া
উত্তর : যদি ঠিক সাড়া দিই।
৩. নীচের এলোমেলো শব্দগুলো সাজিয়ে দেখো চেনা চেহারা পায় কিনা :
পুরি তা সু ল—তালসুপুরি
লা পা ছ গা—গাছপালা
লি ড়া কা বে ঠ—কাঠবেড়ালি
ত ত স্ত ই–ইতস্তত।
৪. ‘এদিক-ওদিক’—এই কথাটায় এক ধরনের শব্দেরা যেমন পাশাপাশি বসে আছে, সেইরকম পাশাপাশি বসে-থাকা শব্দ পারলে নিজেই লেখো, নয়তো খুঁজে নাও শব্দঝুড়ি থেকে ঃ
এপার-ওপার।
এখানে-ওখানে।
একাল-সেকাল।
এরকম— সেরকম।
শব্দঝুড়ি ঃ ওখানে, সেরকম,
৫. ‘ঘর-বার’ এইরকম পাশাপাশি বসে থাকা উলটো কথা তুমি ক-টা জানো লেখো।
উত্তর ঃ উঠা-বসা
চলা-ফেরা
আশ-পাশ
দিন–রাত
কেনা–বেচা
দিন-ক্ষণ।
সেকাল, ওপার
৬. শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে বার করো নীচের কোন শব্দটার সঙ্গে কোন্ শব্দটার বিপরীত সম্পর্ক আছে ঃ শব্দঝুড়ি ঃ অভিশাপ,
ছোট্ট, সুখ
মস্ত—ছোট্ট।
দুঃখ-সুখ।
আশীর্বাদ—অভিশাপ।
৭. নীচের দাগ দেওয়া শব্দগুলো দেখে বিশেষ্য বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
৭.১ আমি যখন একলা থাকি ......... বিশেষণ
৭.২ থাকে সবুজ গাছপালা ............. বিশেষণ
৭.৩ মস্ত আশীর্বাদের মতো মাথার উপর ইতস্তত........ বিশেষ্য
৭.৪ গাছের থেকে ঝরতে থাকে পাতা.......... বিশেষ্য
৮. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলোকে বিশেষণে বদলালে কী হবে :
[ শব্দঝুড়ি ঃ গেছো, বুনো,
দুঃখী/দুঃখিত, পাথুরে, মেটে]
উত্তর-
বিশেষ্য - বিশেষণ
গাছ—গেছো।
বন-বুনো।
পাথর-পাথুরে।
মাটি—মেটে।
দুঃখ–দুঃখী/দুঃিখত
৯.১ তুমি যখন একলা থাকো, তখন তোমার কেমন লাগে? মন খারাপ লাগে/ভয় করে/ ডালোই লাগে/ ইচ্ছে করে অন্তত একজন-দুজন প্রিয়বন্ধু সঙ্গে থাকুক।
এই গুলোর কোনোটা যদি তোমার মনে হয়, তবে সেই কথাটাই নীচের বাক্যে লেখো, কিংবা এগুলো ছাড়া আরও অন্য কোনো কথাই যদি মনে আসে, তবে লেখো সেই কথাটাই :
উত্তর : আমি যখন একলা থাকি, তখন আমার ভালোই লাগে।
৯.২ কোন্ গাছ তোমার সবচেয়ে পছন্দের ?
উত্তর :জামগাছ।
সে গাছ কি তুমি দেখেছে?
উত্তর ঃ হ্যাঁ দেখেছি।
কেন ওই গাছকেই সবচেয়ে ভালো লাগে তোমার ?
উত্তর ঃ জাম গাছটাকেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কারণ আমি। জাম খেতে খুব ভালোবাসি ।
৯.৩ কেমন বন্ধু তোমার ভালো লাগে ?
উত্তর ঃ আমার ভলো লাগবে যদি আমার বন্ধু হয় একজন ফুটবলপ্রেমী। তাহলে ছুটির শেষে আমরা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে পারি।
১০.১ কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতার বই কোনটি?
উত্তর ঃ কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতার বই ‘দিনগুলি রাতগুলি’।
১০.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম (১)‘ছোট্ট একটা ইস্কুল’, (২)“শব্দ নিয়ে খেলা’।
১০.৩ ‘একলা’ কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : ‘একলা’ কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আমায় তুমি লক্ষ্মী বলো' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১১. নিজের ভাষায় লেখো :
১১.১ কবি যখন একলা থাকেন, তখন তাঁর সঙ্গে কারা থাকে?
উত্তর : কবি যখন একলা তখন তাঁর সঙ্গে সবুজ গাছপালা, চলাচলের পথ এবং কাঠবেড়ালি থাকে।
১১.২ কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি সফল হন কি?
উত্তর : ‘একলা’ কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি শঙ্খ ঘোষ সফল হননি। কাঠবেড়ালি অতিশয় চঞ্চল প্রাণী। এরা এক জায়গায় এক মুহূর্ত স্থির থাকে না। ধরতে গেলে এরা কোথায় যে হঠাৎ পালিয়ে যায় দেখা যায় না।
১১.৩ কবি কোন্ বিষয়কে ‘মস্ত আশীর্বাদ’ বলেছেন ?
উত্তর : কবি কাঠবেড়ালিকে বনের পথে ধরতে ছুটে ছুটে যখন বিফল হন তখন গাছ থেকে ঝরা পাতা কবির মাথায় এসে পড়ে। কবির এক্ষেত্রে মাথার ওপর ঝরে পড়া পাতাকে মস্ত আশীর্বাদ বলে মনে হয়।
১১.৪ কবির মনে কখন আর কোনো দুঃখই থাকে না।
উত্তর : কবি শঙ্খ ঘোষ যখন একলা শালবনে বা তালসুপুরির বনে উপস্থিত হন তখন তাঁর জীবনে কোনো দুঃখ নেই।বলে মনে হয়।
১১.৫ চুপ-থাকাটাও কীভাবে কবির মনে বাজনা বাজায় ?
উত্তর ঃ প্রকৃতিপ্রেমী কবি শঙ্খ ঘোষের কাছে ঘর-বাহির সবই একরকম লাগে। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য কবি খুঁজে পান না। তাই কবি যখন চুপ করে থাকেন তখন তাঁর মনে হয় মনের কোণে কে যেন বাজনা বাজিয়ে চলেছে।
১১.৬ মনে করো একদিন তুমি বাড়িতে একলা ছিল। সারাদিন তুমি যা যা করেছ দিনলিপির আকারে লেখো।
উত্তর ঃ দিনলিপি তাং ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ঃ এই দিনটিতে আমি বাড়িতে একলা ছিলাম। একলা থাকলেই আমি আমার পড়ার ঘরের জানলার কাছে বসে বসে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি।
১১.৭ পরিবারে কে কে তোমার সঙ্গে থাকেন ?
উত্তর ঃ পরিবারে বাবা, মা, দাদা, দিদি, কাকা, কাকিমা, ঠাকুমা এবং ঠাকুরদাদা আমার সঙ্গে থাকেন।
১১.৮ স্বাধীনভাবে তোমাকে ছুটে যেতে দেওয়া হলে তুমি কোথায় যেতে চাইবে?
উত্তর ঃ স্বাধীনভাবে ছুটে যেতে দেওয়া হলে আমি আমাদের বাড়ির সামনে নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠে যেতে চাইব। খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে সীমাহীন নীল আকাশের বুকে অস্তগামী সূর্যের রূপ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
১১.৯ ‘কাঠবেড়ালি’ নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুব সুন্দর একটা ছড়া আছে। শিক্ষকের থেকে শুনে
নিয়ে খাতায় লিখে রাখো।
উত্তর :
খুকি ও কাঠবেড়ালি
—কাজী নজরুল ইসলাম
কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও
ডাইনি তুমি হোঁতকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস্ চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও !
১১.১০ জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের শিখিয়েছেন যে, ‘গাছেরও প্রাণ আছে।’—তুমি একথা কীভাবে বুঝতে পারো?
উত্তর : একটি ছোটো শিশু যেমন আস্তে আস্তে কথা বলতে শেখে, ইশারায় সব কথা বোঝাতে শেখে, হাঁটতে শেখে ও শেষে একটি পরিণত মানুষে পরিণত হয় তেমনি একটি ছোটো চারাগাছও আস্তে আস্তে বড়ো হয়ে বিশালাকার রূপ ধারণ করে। মানুষের যেমন প্রাণ আছে, একটি গাছেরও তেমনি প্রাণ আছে। মানুষের হাঁটাচলা, কথাবার্তা বলা ইত্যাদি
প্রত্যক্ষ করা যায়, কিন্তু একটি গাছের কিছুই প্রত্যক্ষ করা যায় না, সবই অনুভূতির দ্বারা বুঝতে হয়।
১১.১১. তোমার পরিবেশে তুমি কোন্ কোন্ কীটপতঙ্গ/পশু/পাখি নজর করেছ?
উত্তর ঃ আমার পরিবেশে আমি নানান কীটপতঙ্গ, পশু, পাখি দেখেছি। সেগুলি হল—
কীটপতঙ্গ ঃ কালো এবং লাল পিঁপড়ে, মশা, মাছি, আরশোলা, ফড়িং, মৌমাছি, শুঁয়োপোকা।
পশু ঃ গোরু, কুকুর, বিড়াল, ছাগল ইত্যাদি।
পাখি : টিয়া, শালিক, কাক, পায়রা, চড়াই, বক, চিল, হাঁস, মুরগি, শকুন ইত্যাদি।
১১.১২ তোমার প্রতিদিনের চলার পথটি কেমন? সে পথের দু-পাশে তুমি রোজ কী কী দেখো তা বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করো। খাতায় দুজনের কথাবার্তার আদলে লেখো।
উত্তর ঃ আমার প্রতিদিনের চলার পথটি ভালো। সেই পথের দু-পাশে আমি রোজ যা যা দেখি তা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা-
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
এককথায় উত্তর দাও :
★ ‘যেই না তাকে ধরতে যাব'—এখানে কে কাকে ধরতে যাবে? ধরতে গেলে কী হয় ?
উত্তর ঃ ‘একলা’ কবিতার রচয়িতা কবি শঙ্খ ঘোষ কাঠবেড়ালিকে ধরতে যাওয়ার কথা বলেছেন।
কাঠবেড়ালি খুব চঞ্চল প্রাণী। কবি যতবারই এই প্রাণীটিকে ধরতে যান সেটি ততবারই ছুটে পালিয়ে যায়।
★ কোন্ প্রাণীটি কবির দিকে বারবার তাকায় ?
উত্তর ঃ কাঠবেড়ালি।
★ একজন প্রকৃতিপ্রেমী কবির নাম করো।
উত্তর : শঙ্খ ঘোষ।
★ আশীর্বাদ/আশীর্বাদ—কোন্ বানানটি ঠিক?
উত্তর : আশীর্বাদ।
★ '‘জানো তখন সঙ্গে থাকে কারা'—এখানে 'কারা' বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর ঃ এখানে ‘কারা’ বলতে সবুজ গাছপালা, চলাচলের পথ এবং কাঠবেড়ালিকে বোঝানো হয়েছে।
★ একলা কবির সঙ্গে কোন প্রাণীটি সঙ্গ দেয় ?
উত্তর : কাঠবেড়ালি।
★ সাধারণত গাছপালার রং কীরকম হয় ?
উত্তর : সবুজ।
★ কাঠবেড়ালিটা কবিকে কী করে ?
উত্তর : কবির দিকে কাঠবেড়ালিটা খালি তাকায়, আর তাঁকে এদিক-ওদিক টানতে থাকে।
★ কবি কাঠবেড়ালিটাকে ধরতে গেলে কী হয় ?
উত্তর : কাঠবেড়ালিটা কবির সব হিসাব ভুলিয়ে দেয় এবং এমনই ছুট দেয় যে তাকে থামানো যায় না।
★ সবুজ গাছপালার যে-কোনো তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর : সবুজ গাছপালার তিনটি বৈশিষ্ট্য—
(ক) গাছগুলি নিজেরা নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারে।
(খ) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে না।
(গ) কোনোরকম শব্দ বা আওয়াজ করতে পারে না।
★ কবি কীভাবে কাঠবেড়ালির পিছনে ছোটেন ?
উত্তর ঃ এই মাটিতে এই পাথরে কবি এমনই কাঠবেড়ালিটার পিছনে কদ্দূর যে ছোটেন তা কেউ জানতে পারে না।
★ ‘সেই ছুটে ছুট লাগাই জোরে’—পক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি কী বুঝিয়েছেন নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : ‘একলা’ কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ বলছেন যে, তিনি কোনো সময়েই একলা থাকেন না। তাঁর সঙ্গে যখন কোনো মানুষজন থাকে না তখন প্রকৃতির সবুজ গাছপালা, চলাচলের পথ এবং একটি কাঠবেড়ালি তাঁর সঙ্গী হয়।
কাঠবেড়ালি এতই দুরন্ত এবং চঞ্চল যে এদের কোনোমতেই ধরা যায় না। ধরতে গেলেই ছুটে অনেক দূরে পালিয়ে যায়। এখানে কবি বলছেন কাঠবেড়ালিকে ধরতে গিয়ে যেদিকে কাঠবেড়ালিটি ছুটছে সেইদিক লক্ষ করে কবিও জোরে ছুটেছেন, কিন্তু বারবারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।