"পাখির কাছে ফুলের কাছে" পঞ্চম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / pakhir kachha chuler kachha class 5 bangla - school book solver

Pages

Tuesday, 15 April 2025

"পাখির কাছে ফুলের কাছে" পঞ্চম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / pakhir kachha chuler kachha class 5 bangla

 



পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা

পাখির কাছে ফুলের কাছে।
কবি:-আল মাহমুদ

কবি আল মাহমুদের পরিচিতি:
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর প্রথম গল্প-কবিতা 'দৈনিক সত্যযুগ' পত্রিকায় ছাপা হয়। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পডেন। দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার তিনি সম্পাদক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। গুলি হলো-'লোক-লোকান্তর, “কলের কলম', 'সোনালি কাবিন' এবং  পাখির কাছে ফুলের কাছে ।


সারংশ:; কবি নারকেল গাছের মাথার ওপরে কবি রাতেরবেলা পূর্ণিমার চাঁদ উঠতে দেখে কবির মন প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরিবেশে উতলা হয়। কবি ঐ রাত্রে একাই দরজা খুলে বের হন। মস্ত শহরটা তখন হিমেল হাওয়ার ধরণার করে কাঁপছে। কবি প্রথমে মিনার,তারপর পাথরঘাটার গির্জা, তারপর দরগাতলা পার হয়ে যখন লালদিঘির পাড়ে এসেছেন তখন দেখেন, জোনাকিরা একত্রে সভা করছে। আর ও দেখেন পাখিরাও সেখানে রয়েছে, ফুল ফুটেছে তারা কলরব করে কবিকে ডেকে কাব্য বলতে বলল। কবি তাদের কথা শুনে তাদের সন্তুষ্ট করতে ছড়ার বই বের করলেন। পাখির কাছে, ফুলের কাছে কবি সেই ছড়ার বই থেকে তাঁর মনের কথা শুনিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করলেন।

★ "পাখির কাছে ফুলের কাছে" কবিতাটির নামকরণ সার্থকতা :
কবিতাটিতে  কবি জোছনা রাতে গোল চাঁদ আকাশে উঠতে কবির মন দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ে দেখলেন শহরটায় তখন ঝিম ধরেছে। মিনার, পাথরঘাটা গির্জা, দরগাতলা সবই কবি দেখলেন।আর ও দেখলেন লালদিঘির পারে জোনাকিরা আসর বসিয়েছে। সেখানে ফুল ফুটেছে, পাখি জেগেছে। কবি পকেট থেকে ছড়ার বই বের করে পাখির কাছে, ফুলের কাছে কবিতা শোনাতে শুরু করেছেন। কাজে কবিতাটির নাম 'পাখির কাছে ফুলের কাছে এই কারণেই সার্থক হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

উৎস★ পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতাটি 'পাখির কাছে ফুলের কাছে কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
.
১. ঠিক শব্দটি/শব্দগুলি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো
১.১ জোনাকি এক ধরনের (পাখি/মাছ/ পোকা/ খেলনা)।
উত্তর : জোনাকি এক ধরনের পোকা।

১.২ মোড়' বলতে বোঝানো হয় (গোল/বার্তা যোগ/চওড়া)।
উত্তর : মোড়' বলতে বোঝানো হয় বাঁক।

১.৩ দরবার' শব্দটির অর্থ হল (দরজা/পত্তা দরগা/ দোকান)।
উত্তর & 'দরবার' শব্দটির অর্থ হল সভা।

১.৪ প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল- (কাব্য হবে। মোড় ফিরেছি/ কালো জল। ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে)।
উত্তর ঃ প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে।

২. 'ক' সঙ্গে '' স্তত্ত মিলিয়ে লেখো :
উত্তর :
ক      >    খ
চাঁদ   >    শশী
ঠান্ডা   >  শীতল
পাহাড়   >  গিরি
জোনাকি  > খদ্যোত
দিঘি। >  জলাশয়/ দীর্ঘিকা
জল    >   নীর
ফুল পুষ্প

৩. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো।
শব্দঝুড়ি:-
ঠান্ডা, চাদ, লাল, শহর, দরগাতলা, জোনাকি, মস্ত, জোনাকি , গোলগাল, উটকো, কলরন

বিশেষা :;- চাঁদ, শহর, দরগাতলা, জোনাকি, কলরব।

বিশেষণ:- ঠান্ডা, লাল , মস্ত, গোলগাল, উটকো।



৪. ঘরঘর' শব্দে 'র' বর্ণটি দু-বার রয়েছে। এরকম 'ল' বর্ণটি দু-বার আছে, এমন পাঁচটি শব্দ লেখো (যেমন টলটল)
উত্তর : গোলগাল, কছলছল, হালচাল, লকলিয়ে,  দলবল।।
(২) কাছে শব্দটিকে 'নিকটে' এবং 'দেখা করা' এই দুই অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো :
উত্তর : কাছে—(নিকটে) –  আমাদের বাড়ির কাছে একটা নদী আছে।
কাছে– (সঙ্গে) – আমি বাবার কাছে আছি।

৫. ক্লিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১  ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।
উত্তর : ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।

৫.২ নারকোলের ওই লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল।
উত্তর ঃ নারকোলের ওই লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল।

৫.৩  এসো, আমরা সবাই না ঘুমানোর দল।
উত্তর ঃ এসো, আমরা সবাই না ঘুমানোর দল।

৫.৪ কাব্য হবে, কাৰ্য্য হবে—জুড়ল কলরব।
উত্তর : কাব্য হবে, কাব্য হবে জুড়ল কলরব।

৫.৫ পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।
উত্তর : পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।

৬. অর্থ লেখো :
মিধরা, উটকো, দরবার, কলরব, মিনার।

উত্তর ঃ ঝিমধরা—অবসন্ন।
উটকো—অচেনা।
দরবার-সভা।
কলরব - সকলে মিলে একসঙ্গে কথা, চিৎকার।
মিনার—সৌধ।

৭.  সমার্থক শব্দ লেখো :
চাঁদ, পাখি, ফুল, গাছ, জোনাকি।
উত্তর : চাঁদ—শশী।
পাখি - খেচর।
ফুল—পুষ্প।
গাছ—তরু।
জোনাকি — খদ্যোত।

৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ঃ
লম্বা, ঠান্ডা, হেসে, পদ্য, মস্ত।
উত্তর : লম্বা—খাটো।
ঠান্ডা-গরম।
হেসে – কেঁদে।
পদ্য-গদ্য।
মস্ত—ছোটো।

৯.১ কবি আল মাহমুদ কোন্ দেশের মানুষ ?
উত্তর : কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশের মানুষ।

৯.২ তিনি কোন্ বিখ্যাত আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন?
উত্তর : তিনি  ভাষা আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।

৯.৩ তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ' পাখির কাছে ফুলের কাছে'।

১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১ কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কেন?
উত্তর : নারকেল গাছের মাথায় চাঁদ উঠতে দেখে কোভিদ খুব ভালো লেগেছিল তিনি ওই রাতের বাইরের দৃশ্যটা প্রাণভরে দেখার জন্য কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন।

১০.২ কবি কেন ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন?
উত্তর : কবি ছিটকিনিটা আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেনকারণ, রাতের বেলা তিনি কাউকে ঘুমের ব্যাঘাত করাতে চাননি।

১০.৩ বাইরে বেরিয়ে এসে কবি শহরকে কেমন অবস্থায় দেখলেন?
উত্তর : বাইরে বেরিয়ে এসে কবি মস্ত শহরটাকে  থরথর করে কাঁপতে দেখলেন।

১০.৪ শহরে নেই, অথচ কবির মনে হয়েছে তিনি দেখছেন, এমন কোন কোন জিনিসে কথা কবিতায় রয়েছে?
উত্তর : পাহাড়, লালদিঘি, পাথরঘাট দরগাতলা ইত্যাদি শহরে নেই, অথচ কবির মনে হয়েছে তিনি দেখছেন।

১০.৫ সেই রাতে জেগে থাকার দলে কারা কারা ছিল? তারা কবির কাছে কী আবদার জানিয়েছিল;
উত্তর : সেই রাতে জেগে থাকার দলে কবির কাছে জোনাকির ছিল, ফুলছিল, পাখিরা ছিল।
তারা  কবিকে কাবা শোনাতে আবদার  জানিয়েছিল বলেছিল।

১০.৬ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি কী করলেন ?
উত্তর : ফুল, পাখিদের আবদার শুনে কবি নিজের লেখা ছড়ার বই পকেট থেকে বের করে পাখির কাছে, ফুলের কাছে পড়ে শোনালেন।

১০.৭ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : রক্তজবার ঝোপের কাছে যে কাব্যের আসর বসেছিল, তারপর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল খুব সুন্দর । আকাশে গোলগাল ডাবের মতো চাঁদ আলো ছিল। পাশে দিঘির জল টলটল করছিল জোনাকিরা ঝিকমিক করছিল। ফুলেদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল।

১০.৮ 'চাঁদ'-কে নিয়ে তোমার পড়া বা শোনা একটি ছড়া লেখো।
উত্তর : চাঁদকে নিয়ে আমার শোনা একটি ছড়া—
চাঁদ উঠেছে মিথ্যে কথা,
ফুল ফুটেছে সত্যি,
কদমতলায় নাচে না হাতি
নেইকো কোনও দত্যি।
ভূত-প্রেত সব মিছে কথা
ভেবে ভেবে ঠকা,
দামাল শিশু শান্ত হবে

হাতে-কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন:  চাঁদের বর্ণনা কবি কিভাবে দিয়েছেন?
উত্তর : ডাবের মতো চাপ নারকোল গাছের লম্বা মাথার ওপর কবি হঠাৎ দেখতে পেয়েছেন। চাদের আলো ঠাণ্ডা এবং চেহারাটা গোলগাল।

◆ কোথায় কাব্য হবে?
উত্তর : রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে।

প্রশ্ন: নারকোলের লম্বা মাথায় হঠাৎ কবি কী দেখলেন?
উত্তর : কবি দেখলেন ঠান্ডা ও গোলগাল ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে নারকোলের লম্বা মাথায়।

◆ পাখির কাছে ফুলের কাছে কে গিয়েছেন?
উত্তর : পাখির কাছে ফুলের কাছে কবি আল মাহমুদ গিয়েছেন।

◆ কবি ঘর থেকে কীভাবে বেরোলেন?
উত্তর : ছিটকিনিটা আস্তে করে খুলে কবি ঘর থেকে বেরোলেন।

● কবি কখন ঘর থেকে বেরিয়েছেন?
উত্তর : কবি রাতেরবেলা ঘর থেকে বেরিয়েছেন।

◆ দিঘির জলের রংটা কীরকম?
উত্তর : রাতেরবেলা দিঘির জলের রং কালো।

প্রশ্ন: কবি কীভাবে ঘর থেকে পেরিয়ে গেলেন?
উত্তর : দরজার ছিটকিনিটা আস্তে খুলে কবি ঘর থেকে পেরিয়ে গেলেন।

প্রশ্ন: 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় কবি চাঁদকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর : কবি চাদকে ঠান্ডা ও গোলাকার ভাবের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন:  উটকো পাহাড়টা কবি কোথায় দেখেছেন?
উত্তর : কবি শহরের দরগাতলা পার হয়ে সেই বায়ে মোড় ফিরেছেন তখনই দেখেছেন এই উটকো পাহাড়।

প্রশ্ন: কবি ঘর থেকে পেরিয়ে যাবার সময় শহরের অবস্থা কী হয়েছিল?
উত্তর : ঘর থেকে পেরিয়ে কবি যাওয়ার সময় ঝিমধরা এই মস্ত শহর থরথর করে কাঁপছিল।

প্রশ্ন: কবি শহরের মিনারটা সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তুর ও ঘর থেকে পেরিয়ে গিয়ে কবি দেখলেন মিনারটা যেন মনে হচ্ছে কোনো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।

প্রশ্ন: পাথরঘাটা সম্পর্কে কী কথা শুনিয়েছেন কবি?
উত্তর : কবির মনে হয়েছে পাথরঘাটার গিলাটা যেন লাল পাথরের ঢেউ।

প্রশ্ন: পাহাড়ের কাছে গিয়ে কবি কী করলেন?

উত্তর পাহাড়টাকে হাত বুলিয়ে কবি লালদিঘিটা পার হয়ে গেলেন।

প্রশ্ন: লালদিঘিটা পার হয়ে কী দেখা গেল?
উত্তর : লালদিঘিটা পার হয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল জোনাকিদের দরবার বসেছে।

প্রশ্ন: না ঘুমোনোর দল' বলে কে, কাকে শুনিয়েছিল ?
উত্তর : কবিকে দেখে দিঘির কালো জল কলকলিয়ো আমরা 'না-ঘুমোনোর দল' বলে শুনিয়েছিল।

প্রশ্ন:  কবিকে দেখে দিঘির কালো জল কী বলল?
উত্তরঃ নিভিন্ন কালো জল কবিকে দেখে বলল, সকলেই আমরা না-ঘুমোনোর দল।

প্রশ্ন: কবিকে কে কী খুলতে বলেছিল?
উত্তর : দিঘির কালো জল কবিকে তাঁর পকেট থেকে পদ্য লেখার ভাঁজ খুলতে বলেছিল।

প্রশ্ন: আজ কোথায় কী হবে?
উত্তর : আজ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে।
প্রশ্ন:  ফুল আর পাখিরা কী করল ?
উত্তর ঃ দিঘির কথা শুনে ফুল আর পাখিরা সব হেসে উঠল।

◆ ফুল আর পাখিরা কী জুড়ে দিল ?
উত্তর : ফুল আর পাখিরা দিঘির কথায় 'কাব্য হবে কাব্য হবে' বলে কলরব জুড়ে দিল।

প্রশ্ন: কাদের কলরব শুনে কবি কোথা থেকে ছড়ার বই খুললেন
উত্তর : ফুল ও পাখিদের 'কাব্য হবে কাব্য হবে' মুখে কলরব শুনে কবি বাধ্য হয়ে পকেট থেকে ছড়ার বই খুললেন।

প্রশ্ন: কবি মনের কথা কাদের কাছে বলতে লাগলেন ?
উত্তর : কবি তাঁর ছড়ার বই খুলে পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা বললেন।

প্রশ্ন: মিনার কাকে বলে?

 উত্তর : মুসলমানদের ধর্মস্থান মসজিদের চার কোণে অনেক উঁচু স্তম্ভ বা থামকে বলে মিনার।

প্রশ্ন:  গির্জে কাকে বলে ?
উত্তর : খ্রিস্টান ধর্মের লোকেরা যেখানে মিলিত হয়ে জিশুখ্রিস্টের উপাসনা ও ভজনা করে তাকে বলে গির্জে বা গির্জা।

প্রশ্ন: দরগাতলা বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর : মুসলমান সাধু বা মহাপুরুষদের যেখানে কবর দেওয়া হয় অর্থাৎ সমাধিস্থ করা হয় সেখানে বানানো স্মৃতিমন্দিরকে বলে দরগাতলা।

প্রশ্ন: দিঘি কাকে বলে ?
উত্তর : মানুষের ব্যবহারের জন্য অনেক লম্বাচওড়া জলাশয়কে বলে দিঘি।

প্রশ্ন: মোড় কাকে বলা হয় ?
উত্তর : এক দিকে বা অনেক দিকে রাস্তা যেখান থেকে বেঁকে গেছে সেই স্থানকে বলে মোড়।

◆ পাথরের ঢেউ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : পাহাড়ের উঁচুনীচু চূড়ার মতো বানানো পাথরঘাটার গির্জাবাড়িটাকে কবি বলেছেন পাথরের ঢেউ।

প্রশ্ন:  দরবার কাকে বলে?
উত্তর : কোনো সমস্যা নিয়ে বা ভালো কিছু করার জন্য অনেকের মিলিত আলোচনা-সভাকে বলে দরবার।

প্রশ্ন:  কাব্য বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর ঃ অনেকগুলি কবিতা নিয়ে লেখা বইকে বলে কাব্য।

প্রশ্ন: চাঁদ দেখতে কেমন তা লেখো।
উত্তর : দেখতে ঠান্ডা ও গোলাকার।

প্রশ্ন: কোথায় কবি মোড় ফিরে কী দেখলেন
উত্তর-  কবি পাহাড়টির গায়ে হাত বুলিয়ে লালদিঘির পাড়ে এসে দেখলে জোনাকিরা দরকার বসিয়েছে

প্রশ্ন: আয় আয় বলে কবিকে কে ডাক দিল?
উত্তর : নারকেল গাছের মাথায় ভালোর দিল ঠাণ্ডা গোলগাল চাঁদ উঠতে দেখে করি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। প্রথমে দেখতে পেলেন মিনারটাকে, তারপর পাথরঘাটার গির্জাকে। হাঁটতে হাঁটতে কবি গির্জার পরে দরগাতলা পার হয়ে এদিকে মোড় নিলেন তখনই দেখলেন একটা উটকো পাহাড় তাকে 'আয় আয়' বলে ডাকছে।

প্রশ্ন: জোনাকিদের দরবার কোথায় বসেছে?
উত্তর : কাল রাতে কবি হঠাৎ নারকেল গাছের মাথায় ডাবের মতো গোলগাল চাঁদ দেখে বিষধর
বেরিয়ে পড়েছিলেন। তারপর একে একে মিনার, পাথরঘাটার গির্জা, দরগাতলা পেরিয়ে একটা উটকো পাহাড়ের কাছে পৌছলেন। সেই পাহাড়টাকে হাত বুলিয়ে লালদিঘিটা পার হয়ে দেখা গেল জোনাকিদের দরবার বসেছে।


প্রশ্ন: কবি কাদের কাছে তাঁর মনের কথা প্রকাশ করেন?
উত্তর : রাতে কবিকে দেখে লালদিঘির জল কলকলিয়ে ডেকে বলেছিল, রাতে সবাই না-ঘুমোনোর দল একসঙ্গে বনে কবির কাব্য শুনতে চাইছে। তার কথা শুনে রক্তজবার ঝোপে থাকা ফুল আর পাখিরা জেগে উঠে আনন্দে তখনই কাব‍্য হবে, কাব্য হবে' বলে কলরব জুড়েছিল। তখন কবি বাধ্য হয়ে তাদের কাছে তাঁর মনের কথা বলেছিলেন।

প্রশ্ন: রাতের পরিবেশ কীরকম হয়ে রয়েছে?
উত্তর : রাতে মস্ত শহর বাতাসে যেন থরথর করে কাঁপছে। দূরের মিনারকে দেখছেন যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে। গির্জাটা যেন লাল পাথরের ঢেউ তুলেছে। দরগাতলা পার হয়ে যখন কবি রাস্তার মোড় ঘুরেছেন তখন যেন মনে হল হঠাৎ একটা পাহাড় তাকে ডাকছে।

প্রশ্ন: দিঘির কালো জল কবিকে কী বলল?
উত্তর : কবি নারকেল গাছের মাথায় চাঁদ দেখে রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে মস্ত শহরের রাস্তার হাঁটতে শুরু করেছিলে শহরের বিখ্যাত অনেক স্থান দেখার পর তিনি একসময় লালদিঘির পারে পৌঁছে জোনাকিদের দরবার বসাতে দেখালেন।
তখনই দিঘির কালো জল কলকলিয়ে কবিকে তাঁর পকেট থেকে পদ্য লেখার ভাঁজ খুলে জেগে থাকা সকলের সঙ্গে রক্তজবার ঝোপে কাব্য করতে বলল।
প্রশ্ন:  কারা কেন কলরব জুড়েছিল?
উত্তর : ফুল, পাখিরা সব ‘কাব্য হবে, কাব্য হবে' বলে কলরব জুড়েছিল। কবি রাতে প্রথমে হঠাৎ চাঁদ দেখে মন্ত শহরের রাস্তার বেরিয়েছিলেন। একসময় তিনি যখন লালদিঘিটার কাছে গেলেন তখন দিঘির কালো জল কলকলিয়ে কবিকে কর
করতে বলল। দিঘির কথা শুনে হেসে উঠে খুব খুশিতে পাখি ও ফুলেরা ‘কাব্য হবে, কাব্য হবে' বলে কলরব জুড়েছিল।