মায়াদ্বীপ গল্পের হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর চতুর্থ শ্রেণি বাংলা / Mayadip question answer class 4 bangla - school book solver

Pages

Thursday, 17 April 2025

মায়াদ্বীপ গল্পের হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর চতুর্থ শ্রেণি বাংলা / Mayadip question answer class 4 bangla

 



চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
মায়াদ্বীপ
সুনীল  গঙ্গোপাধ্যায়


লেখক সুনীল  গঙ্গোপাধ্যায় পরিচিতি :-   সুনীল  গঙ্গোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে । তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার। তিনি অনেক ছোটোবেলায় তিনি কলকাতায় চলে আসেন। 'নীললোহিত' ছদ্মনামে তাঁর বেশকিছু লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি 'কৃত্তিবাস' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ।। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হইল - কাকাবাবু সমগ্র, কিশোর অমনিবাস, সপ্তম অভিযান ইত্যাদি। উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ সাহিত্যের সকল দিকেই তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল । ২০১২ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

মায়াদ্বীপ গল্পের নামকরণের সার্থকতা:-
গল্পে উল্লিখিত আছে একটি দ্বীপ, যার নাম মায়াদ্বীপ। নামকরণে রয়েছে দুটি দিক। একদিকে দ্বীপটি  বছরে কিছুটা সময় জলের নীচে থাকে। আবার যখন নদীতে জলের পরিমাণ কমে যায় তখন দ্বীপটি দৃশ্যগোচর হয়। অন্যদিকে এই দ্বীপটি কিশোর লেখকের মনে এক মায়ারূপের সৃষ্টি করেছিল। তাই দুই দিক থেকেই গল্পটির নামকরণ "মায়াদ্বীপ" যথার্থ হয়েছে বলেই আমার মনে হয়।

মায়াদ্বীপ গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা:-
লেখক এর নৌকো চেপে মামাবাড়ি বেড়াতে যাওয়া ছিল খুবই আনন্দের। যাওয়ার পথে বাতাসি, পিংলা নদী এবং নদীর বিচিত্র শোভা লেখককে মুগ্ধ করে দেয়। লেখকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে একটি দ্বীপ। যার নাম  মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপটি সারাবছর দেখা যায় না। নদীতে যখন জল বেশি থাকে তখন দ্বীপটি অদৃশ্য হয়ে যায়। আর যখন জল কম থাকে তখন দৃশ্যগোচর হয়। শুধু তাই নয়, এই দ্বীপ কিশোর বয়সে লেখকের মানে এক মায়াবী আবেশ সৃষ্টি করে। সে সেই দ্বীপে একটি ফুটফুটে মেয়েকে দেখতে পায়। কিন্তু অন্য সকলে তার কথা বিশ্বাস করে চায় না। কিন্তু তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সে যে একটি 'জলকন্যা' দেখেছিল।

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট কাকাবাবু চরিত্রটির আসল নাম কী?
উঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট কাকাবাবু চরিত্রটির আসল নাম-রাজা রায়চৌধুরী।

২. পাঠ্যরচনাটি তাঁর কোন বই থেকে নেওয়া?
উঃ পাঠ্যরচনাটি তাঁর ''বড়োরা যখন ছোটো ছিল'' গ্রন্থ থেকে নেওয়া।

৩. সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :
৩.১. 'মায়াদ্বীপ' গল্পের কথকের নাম কী ?
উত্তর- মায়াদ্বীপ গল্পের কথকের নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।। যাকে বাড়ির সকলের নীলু বললে ডাকে।

৩.২. কোন্ ঋতুতে তার মামাবাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা গল্পে রয়েছে?
উত্তর; বর্ষা ঋতুতে তার মামাবাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা গল্পে রয়েছে।

৩.৩. কথকের মামাবাড়ি যেতে হলে কোন্ কোন্ নদী পেরিয়ে যেতে হবে?
উত্তর- কথকের মামাবাড়ি যেতে হলে বাতাসি ও পিংলা নামক দুটি নদী পেরিয়ে যেতে হবে।

৩.৪. গল্পে উল্লিখিত বানভাসি দ্বীপটির নাম কী ছিল ?
উত্তর- গল্পে উল্লিখিত বানভাসি দ্বীপটির নাম ছিল মায়াদ্বীপ।

৩.৫. কথকের মায়ের অনেক শুশুক দেখা হয়ে ওঠে না কেন?
উত্তর- কথকের মা সঠিক সময়ে তাঁর চশমাটি খুঁজে পেতেন না। শুকক যখন বের হতো তখন চশমার অভাবে শুকক দেখা হতো না। তাই তাঁর অনেক শুশুক দেখা হয়ে উঠত না।

৩.৬. নাদের আলির চেহারার কীরূপ বিবরণ গল্পে রয়েছে?
উত্তর- নাদের আলি সবসময় হাসিখুশি থাকতেন। তার মাথায় ঝাঁকড়া-ঝাঁকড়া চুল, গালে কাঁচাপাকা দাড়ি ছিল।

৩.৭. পিংলা নদীর মাঝের সেই দ্বীপে সবচেয়ে লম্বা গাছটি কী ছিল ?
উত্তর- পিংলা নদীর মাঝের সেই দ্বীপের সবচেয়ে লম্বা গাছটি ছিল 'শিমুল'।

৩.৮. ছোটোকাকা কথককে মারমেডদের সম্পর্কে কী জানিয়েছিল ?
উত্তর-কথক তাঁর ছোটোকাকার কাছ থেকে মারমেড বা জলকন্যা সম্পর্কে জেনেছিল। তাদের চেনার বৈশিষ্ট্য হল কোমরের নীচ থেকে দেখা যায় না, আর মানুষের দৃষ্টি এদের সহ্য হয় না।

৩.৯. কথকের মামাবাড়িতে পৌঁছে ছোটোকাকা অম্লান বদনে কী বলেছিলেন ?
উত্তর- মামাবাড়ি পৌঁছে ছোটোকাকা অম্লানবদনে বলেছিল- কথকের দেখা জলকন্যা বা মারমেড তিনি দেখেননি এবং মারমেড বলে কিছু হয় না।

৩.১০. মায়াদ্বীপের বর্তমান কোন পরিস্থিতির কথা গল্পে রয়েছে?
উত্তর- গল্পে মায়াদ্বীপটি এখন একেবারেই জলের তলায় চলে গেছে। শিমুল গাছটিও আর নেই।

৩.১১. এই গল্পে কী কী গাছের নাম পেয়েছ তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর- এই গল্পে উল্লিখিত গাছগুলি হল— শিমুল গাছ, কলাগাছ।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৪.১. গল্পকথকের কাছে গাড়ি, ট্রেন বা এরোপ্লেনের চেয়েও নৌকোয় যাওয়া অনেক আরামের মনে হয়েছে কেন ?
উত্তর- নৌকো করে যাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে, জলের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। এ ছাড়া নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়— যা ট্রেন, গাড়ি বা এরোপ্লেনে এসব কিছু অনুভব করা যায় না। তাছাড়া বড্ড একঘেয়েমি লাগে। তাই নৌকায় যাওয়া অনেক আরামের মনে হয়েছে।

৪.২. 'প্রত্যেক বাড়িতে থাকত নিজস্ব নৌকো।'— এমন বন্দোবস্তের কারণ কী ছিল?
উত্তর- বাংলাদেশ মূলত নদীপ্রধান; তাই যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল নৌকো। এখানে ট্রেনবাসের কোন যোগাযোগ ছিল না। এই কারণে প্রত্যেক বাড়িতে নিজস্ব নৌকো থাকত।

৪.৩. 'সেখানে সবসময় অনেক নৌকোর ভিড়।'— কোন্ স্থানের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর;- কথকের বাড়ির কাছের ছোটো নদীটির ঘাটের পাশে বাজার থাকায় সেখানে সবসময় অনেক নৌকো ভিড় করে থাকত।

৪.৪. গল্পকথকের মামাবাড়ি থেকে যে নৌকো তাঁদের নিতে আসত, সেটির কথা তিনি কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর- কথকের মামাবাড়ি থেকে আসা নৌকোটি ছিল আকারে বাড়া, হলুদ রঙের পাল। তিনজন মাঝি, তার মধ্যে প্রধান মাঝির নাম নাদের আলি।

৪.৫. 'বাতাসি' নদীতে নৌকো চড়ে যেতে যেতে আশপাশের কীরূপ দৃশ্য দেখা যেত?
উত্তর - ‘বাতাসি' নদীর নামের মধ্যেই রয়েছে মিষ্টিভাব। এর দুই পাড়ের ছবিও মনোরম। অচেনা মানুষজন। বিচিত্র ধরনের পুরোনো গাছ, মন্দির, মসজিদ, জমিদারবাড়ি এমনকি শ্মশান, বাঁধানোঘাট  কথকের চোখে পড়েছে।

৪.৬. 'কতক্ষণে পিংলা নদী আসবে তার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম।'— এমনভাবে অপেক্ষা করার কারণ কী?
উত্তর- পিংলা নদীতে অনেক শুশুক দেখা যেত, তাই কথকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত পিংলা নদীতে শুশুক দেখার জন্য।

৪.৭. 'এই নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো।'–কোন্ প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর- প্রত্যেকে ক টা শুশুক দেখেছে তা গণনা করার  প্রতিযোগিতা চলতো। সেই  প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

৪.৮. লোকমুখে কোন্ দ্বীপটি 'মায়াদ্বীপ' নামে পরিচিত? তার এমন নামকরণের সম্ভাব্য কারণ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর- পিংলা নদীটি যেখানে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে সেইখানে ঘরবাড়িহীন, গাছগাছালিতে ভরপুর একটি দ্বীপ চোখে পড়ে। এই দ্বীপটি লোকমুখে 'মায়াদ্বীপ' নামে পরিচিত।
এই দ্বীপটি সবসময় লক্ষিত হয় না। যখন নদীতে জল বেশি থাকে অর্থাৎ বন্যা হয় তখন দ্বীপটি জলের তলায় চলে যায়, অদৃশ্য হয়ে যায়। আবার জল কমলে জেগে ওঠে। তাই দ্বীপটির নামকরণ  মায়াদ্বীপ হয়েছে।

৪.৯. 'মায়াদ্বীপে ওনারা থাকেন।'-কাদের প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?
উত্তর-এখানে ‘ওনারা” বলতে অশরীরী আত্মাদের বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে যারা ‘ভূত' আত্মা বা পেত্নী নামেই পরিচিত হয়ে আছে।

৪.১০. ‘আমার আজ দৃঢ় বিশ্বাস'- কোন্ দৃঢ় বিশ্বাসের কথা কথক শুনিয়েছেন? ঘটনার এত বছর পরেও কোন ছবি তিনি ভুলতে পারেননি ?
উত্তর- কথকের আজও দৃঢ় বিশ্বাস যে তিনি একটি জলকন্যাকে দেখেছিলেন এবং জলকন্যাটি কথকের দিকে তাকিয়েছিল।

ঘটনার এত বছর পরেও  জলকন্যার হিরের মতো জ্বলজ্বলে চোখদুটি ভুলতে  পারেননি কথক।

৪.১১. এই গল্পে কতজন মানুষের চরিত্র রয়েছে এবং গল্পে তারা কে কোন্ ভূমিকা পালন করেছেন তা পৃথক পৃথক অনুচ্ছেদে লেখো।
উত্তর-এই গল্পে কথক ছাড়াও কথকের মা, ছোটোকাকা, নাদের আলি, রাঙামাসির উল্লেখ আছে। গল্পে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—
কথক : কথকের মুখ থেকে আমরা ‘মায়াদ্বীপ' গল্পটি শুনি এবং অন্যান্য চরিত্রগুলির সঙ্গে পরিচিত হই।

ছোটোকাকা ঃ ছোটোকাকা এই গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র। তাঁর সঙ্গে কথকের খুনসুটি লেগেই থাকত। সে কিছুতেই হার মানত না। কথক পাঁচটা শুশুক দেখলে সে দেখত এগারোটা। স্বভাবতই কথকের সন্দেহ থাকত তাকে ঘিরে। তিনিই
কথককে মারমেড বা জলকন্যার সম্পর্কে পরিচিত করিয়ে তিনিই সকলের সামনে জলকন্যার অস্তিত্ব বিষয়ে অস্বীকার করে
কথকের কাছে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেন। বলা যায় ছোটোকাকাই শিশুমনে যে-কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে ভুলতে পারতেন।

রাঙামাসি ঃ রাঙামাসি কথকের জলকন্যা দেখাকে গুল বলেছিলেন, এবং কথক যে নীলু নামে পরিচিত তাও রাঙামাসির মুখ থেকে জানতে পারি। রাঙামাসির জন্যই ছোটোকাকার বিশ্বাসঘাতক রুপটি কথকের সামনে ধরা পড়ে।

কথকের মা ঃ কথকের মা গল্পে তেমন কোনো ভূমিকা পালন না করলেও তিনি মাঝে মাঝে বিশেষত প্রয়োজনের সময় চশমা হারিয়ে ফেলতেন। তার ফলে কথকের দেখা দৃশ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারতেন না।

নাদের আলি : নাদের আলি 'মায়াদ্বীপ' গল্পের প্রধান পার্শ্বচরিত্র। তিনি বড়ো নৌকোর হেড বা প্রধান মাঝি। তাঁর কোঁকড়ানো চুল, মুখ কাঁচাপাকা দাড়িতে ভরপুর। কিন্তু স্বভাবে সে সর্বদা হাসিখুশি।বাচ্চাদের মজার গল্প শোনাতে সে ওস্তাদ। তার মধ্যে সংস্কার পূর্ণমাত্রায় বিরাজমান। তাই সে ভুত-প্রেতে বিশ্বাসী ।

৪.১২. এই গল্পে মানুষ ছাড়া যে সকল প্রাণীর কথা রয়েছে তাদের নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর- গল্পে যে যে প্রাণীর নাম রয়েছে, সেগুলি হল—সাপ, কুমির,শুশুক।

সাপ ঃ  সাপ দড়ির মতো লম্বা। বনে জঙ্গলে, ঝোপে লুকিয়ে থাকে। সাপ সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী।কীটপতঙ্গ ,ইঁদুর এদের খাদ্য।
সাপ দুই প্রকার। বিষধর এবং বিষহীন। মেটেলি সাপ, লাউডগা ইত্যাদি হল বিষহীন সাপ। শাঁকামুঠি, শঙ্খচূড় ইত্যাদি মারাত্মক বিষধর সাপ।

কুমির :  সাধারমত এরা থাকে নোনাজলের নদীতে। পশ্চিমবাংলার সুন্দরবনের নদীগুলিতে প্রচুর কুমির আছে। এরা সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। বুকটা চওড়া এরা ডিম পাড়ে। কিন্তু মাংসাশী প্রাণী। এরা নদীর জালে মরার মতো পড়ে থাকে।কুমির একটি জলজ প্রাণী।

শুশুক : একপ্রকার জলজ প্রাণী। সাধারণত নদীর জলে দেখা যায়। নদীর জলের উপরে মাঝে মাঝে হঠাৎ মুখ তুলে মুহূর্তে আবার এরা গভীর জলে ডুবে যাব।এই প্রাণী দেখতে অনেকটা শুয়োরের মতো।

৫. নীচের শব্দগুলির বর্ণবিশ্লেষণ করে ব্যঞ্জনবর্ণগুলি কোনটি কোন্ বর্গের— তা ছক করে তার ঠিক ঠিক পরে বসাও :
বর্ণবিশ্লেষণ
নদী–ন্ + অ + দ্ + ঈ
মাথা-ম্ + আ + থ্ + আ
মতন—ম্ + অ + ত্ + অ + ন্ + অ
অনেক—অ + ন্ + এ + ক্ + অ
ছোটোকাকা—চ্ + ও + + ও + ক্ + আ + ক্ + আ
ডানদিক—ড্ + আ + ন্ + অ + দ্ + ই + ক্ + অ

৬. তুমি কিছুটা রেলপথে, কিছুটা জলপথে এবং কিছুটা হাঁটাপথে কোথাও বেড়াতে গিয়েছিলে। এই বেড়ানো। তোমার কেমন লেগেছে তা তোমার ডায়ারির পাতায় দিনলিপির আকারে লেখো।
উঃ আমি পুজোর ছুটিতে মামার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলাম মায়ের সঙ্গে। প্রথমে আল পথে হেঁটে কিছুদূর যাওয়ার পর বড় রাস্তায় হাজির হলাম। রাস্তা তারপর একটু পাকা রাস্তায় গিয়ে টোটো চাললাম। সেখান থেকে বাস বাস ধরে স্টেশনে নামলাম। অনেকক্ষণ পর ট্রেন এলো। ট্রেনে চেপে আমি আমার মামার বাড়ি গ্রামের স্টেশন গোপীনাথপুরে নামলাম। সেখান থেকে আবার টোটো করে মামার বাড়ি মুখে যাত্রা শুরু করলাম ।আমার খুব ভালো লাগছিল যখন টোটো করে আসলাম । দুই পাশে সবুজ ধান ক্ষেত এবং নদী নালা গুলো দেখতে পারছিলাম । সেখান থেকে ফেরার পথে আমার খুব মজা লাগছিল। রাস্তার ধারে ধারে কত গাছ, কত টোটো কত মানুষ, আমার খুব ভালো লাগছিল।

. দুটি করে বাক্যে যুক্ত হয়ে বাক্যগুলি তৈরি হয়েছে। তুমি বাক্যদুটিকে আলাদা করে লেখো

৭.১হঠাৎ হঠাৎ হুস করে মাথা তুলেই আবার ডুবে যায় জলে।
উঃ হঠাৎ হঠাৎ হুস করে মাথা তোলে। আবার জলে ডুবে যায়।

৭.২ নদীর মধ্যেও যে দ্বীপ থাকে, তা অনেকেই জানে না।
উঃ নদীর মধ্যে দ্বীপ থাকে। তা অনেকেই জানে না।

৭.৩. নাদের আলি আবার চোখ খোলার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম।
উঃ।নাদের আলি আবার চোখ খুলল। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম।

৮. 'মারমেড'-এর মতো অলৌকিক কিংবা বাস্তবে যাঁদের অস্তিত্ব নেই— যারা থাকে শুধু কল্পনায় এমন কিছু। উদাহরণ তুমি সংগ্রহ করে লেখো।
উঃ সন্ধ্যে হলে আমাদের বাড়ির সামনে গাছটা ভাল্লুক হয়ে যায় আর আজ চাঁদনী রাতে মনে হয় কে যেন জোনাকি আলোর মালা পরিয়ে দিয়েছে।

৯. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ও তা দিয়ে বাক্যরচনা করো :
(ঘুম, ভিড়, অধীর, হিংস্র, প্রবল, স্পষ্ট, দৃঢ়)

ঘুম- (জাগা)  পরীক্ষার সময় বেশি রাত জাগা উচিত নয়।
ভির (ফাঁকা) এবার দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ফাঁকা ছিল ।
অধীর-(স্থির/ শান্ত)। পশ্চিম পাড়ার ছেলেরা খুব শান্ত।
হিংস্র-( নিরীহ) নিরীহ জীবকে হত্যা করতে নেই
প্রবল- (সামান্) এবার কালবৈশাখী ঝড়ে সামান্য ক্ষতি হয়েছে
স্পষ্ট -( অস্পষ্ট)- শীতের ভরে কুয়াশা এলে সবই অস্পষ্ট দেখা যায়।
দৃঢ়- (ভঙ্গুর) -  ঝড়ে আম গাছটার গাছটার শিকড়টা ভঙ্গুর হয়ে গেছে।

১০. সর্বনামের প্রয়োগ রয়েছে এমন পাঁচটি বাক্য গল্পটি থেকে খুঁজে নিয়ো লেখো।
উত্তর- (১) সে নদীটার নাম ও খুব মিষ্টি,বাতাসি
(২) সে কতরকমের গল্প শোনাও আমাে।
(৩)সে নদীটা ছোট কিন্তু ঘাটের পাশে বাজার  বলে সেখানে সব সময় অনেক নৌকার ভিড়। (৩)
(৪)সে নৌকায় বড় নদীতে যাওয়া যায় না ।
(৫) তুমি ছোটোকাকাকে জিজ্ঞেস করো।
(৬) আমরা বলি মায়ায়ী।

১১. 'হেড় মাঝি'- শব্দবখটিতে ইংরেজি ও বাংলা শব্দের সমন্বয় ঘটেছে। এমন পাঁচটি শব্দ তুমি তৈরি করো।
উঃ হেডমাস্টার, হেড-মিস্ত্রী। হেড পণ্ডিত। হেড ক্লার্ক। হেড লাইট।

১২. নীচের বাক্যগুলিতে বিশেষণ চিহ্নিত করো :
১২১, আমাদের জন্য মামাবাড়ি থেকে আসত একটা বড়ো নৌকো।
উত্তর-.আমাদের জন্য মামাবাড়ি থেকে আসত একটা বড়ো নৌকো।

১২.২. সবচেয়ে কম দেখতে পান মা।
উত্তর- সবচেয়ে কম দেখতে পান মা।

১২.৩. ভালো নাম দিয়েছে।
উত্তর- ভালো নাম দিয়েছে।

১২.৪. প্রচুর সাগ, একেবারে কিলবিল করছে।
উত্তর- প্রচুর সাগ, একেবারে কিলবিল করছে।

১২.৫. শুধু মাথা উঁচু করে থাকে শিমুল গাছটা।
উত্তর- শুধু মাথা উঁচু করে থাকে শিমুল গাছটা।

১২.৬. আমার আজও দৃঢ় বিশ্বাস আমি একটি জলকন্যাকেই দেখেছি।
উত্তর- আমার আজও দৃঢ় বিশ্বাস আমি একটি জলকন্যাকেই দেখেছি।

১৩. ঘটনাগুলির পাশাপাশি কারণ খুঁজে নিয়ে লেখো :
১৩.১. মামাবাড়ি থেকে আসত একটা বড়ো নৌকো।> কারণ কথকদের নিজস্ব নৌকোটি ছিল ছোটো।
১৩.২. ছোটোকাকার কথায় আমাদের সবসময় সন্দেহ থেকে যেত। > কারণ ছোটোকাকা সবসময় বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলত। কথকরা পাঁচ টা
শুশুক দেখলে ছোটোকাকা বলত সে দেখেছে এগারোটা।

১৩.৩. ছোটোকাকা বলল, 'না না, ওখানে নামা যাবে না। > কারণ ওখানে প্রচুর সাপ কিनবি করছে।
১৩.৪. নাদের আলিকে জিজ্ঞেস করলাম, 'সত্যিই ওখানে সাপ আছে?' >কারণ  ছোটোকাকা সবসময় একটু বাড়িয়ে বলে।

১৩.৫. অন্য দুজন মাঝিও চোখ বুজে ফেলেছে। > কারণ জলকন্যাদের দেখতে নেই।

১৪. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
উঃ দ্বীপ-চারদিকে জলবেষ্টিত স্থলভাগ।
দীপ- প্রদীপ।

অন্য - ভিন্ন।
অন্ন-চাল / ভাত।

বান-বন্যা
বাণ-তির/শর।

কাচা-কাপড়চোপড় পিটিয়ে পরিষ্কার করে
কাঁচা -পাকানো এমন। অপক্ষ।

ভাল - কপাল
ভালো - উত্তম

সাপ - সর্প
শাপ- কুপ্রার্থনা/ অভিশাপ।

১৫. 'রাস্তা-টাস্তা' শব্দবন্দে প্রথম অংশে যেমন নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে, পরের অংশের তা নেই। তুমি এমন পাঁচটি শব্দবন্ধ তৈরি করো।
উঃ মুড়ি-টুরি / শাড়ি-টাড়ি/ মিষ্টি-টিষ্টি / ঘুম-টুম/  জল -টল।

১৬. 'পাল' ও 'ঘাট' এই শব্দদুটিকে পৃথক অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো ?
উঃ পাল–দূর থেকে জমিদারি নৌকোর মস্ত বড়ো লালরঙের পাল দেখা যাচ্ছে।
ঘাট গ্রামের মধ্যে ঘোষালদের পুকুরের বাধানো ঘাট সবচেয়ে বড়ো।

১৭. নীচের কোন্ বাক্যে কোন্ ভাব প্রকাশ পেয়েছে লেখো :

১৭.১. কী যে ভালো লাগত।
উত্তর-  (বিস্ময়)

১৭.২. সে নদীটার নামও খুব মিষ্টি, বাতাসি। উত্তর- (প্রশংসা)

১৭.৩. অনেকটা যেন মানুষের মতো।
উত্তর- (সংশয়)

১৭.৪, যা চশমাটা কোথায় গেল?
উত্তর-  (প্রশ্ন)

১৭.৫, না, না, ওখানে নামা যাবে না।
উত্তর-  (নিষেধ)

১৮. নীচের চারটি ছবি আছে। এই চারটি ছবিকে নিয়ে তুমি নিজের ভাষার একটি অনুচ্ছেদ লেখো :
উঃ একটি নদীতে পাল তুলে নৌকো যাচ্ছে। আর একটা ছই দিয়ে ঘেরা একটি নৌকো যাচ্ছে। নৌকোতে যাত্রীরা বসে/এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলেছে। নদীর আরেক তিরে একটি বড়ো গাছের ও ঝোপের পিছনে একটি মেয়েকে দেখা যাচ্ছে।
গাছে অনেক পাখি আছে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর :
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :

★  নৌকার মাঝি ছিল – (একজন/তিনজন/দুইজন )।
উত্তর ঃ তিনজন।
★ পিংলা নদীতে দেখা যেত— (কুমির মাছ/শুশুক)।
উত্তর : শুশুক।
★  ছেলেবেলায় নীলু মামারবাড়ি যেত (নৌকা/বাস/ট্রোপে) চেপে।
উত্তর : নৌকা।উত্তর : নৌকা।
★ নদীর ঘাটের পাশে – (ইস্কুল/বাজার/দোকান) বলে নৌকার ভিড়।
উত্তর : বাজার।

★ ‘মায়াদ্বীপ' দ্বীপটির নাম বলেছিল – (ছোটোকাকু/নাদের আলি/নীলু)।
উত্তর : নাদের আলি ।

★  মায়াদ্বীপে (জলকন্যা/মাছ/পরি) দেখতে পেল।
উত্তর : জলকন্যা।

★  (রাঙামাসি/মামা/ ছোটোকাকা) – বলল নীলু গুল ঝাড়ছে।
উত্তর : রাঙামাসি।

★  জলকন্যার চোখদুটি – (সোনা / রূপো / হিরের) মতো উজ্জ্বল করছিল।
উত্তর : হিরের।
★ মায়াদ্বীপে প্রচুর—(ফুল/সাপ/মাছ) কিলবিল করছে।
উত্তর : সাপ।

★ মারাদ্বীপে– (শিউলি/চাঁপা / শিমুল) গাছ আছে।
উত্তর ঃ শিমুল।
এক কথার উত্তর দাও :

★ কথকরা সবমিলিয়ে কটা শুশুক ও কুমির দেখেছিল ?
উত্তর : কথকরা সবমিলিয়ে সাতটা শুশুক ও একটি কুমির দেখেছিল।

★  কথকের রাঙামাসি কথককে কী বলে ডাকত?
উত্তর : কথকের রাঙামাসি কথককে 'নীলু' বলে ডাকত।

★ গল্পটির নাম 'মায়াদ্বীপ' কেন? পাঠ্যাংশ অবলম্বনে লেখো নামকরণ দেখো
উত্তর : 
গল্পে উল্লিখিত আছে একটি দ্বীপ, যার নাম মায়াদ্বীপ। নামকরণে রয়েছে দুটি দিক। একদিকে দ্বীপটি  বছরে কিছুটা সময় জলের নীচে থাকে। আবার যখন নদীতে জলের পরিমাণ কমে যায় তখন দ্বীপটি দৃশ্যগোচর হয়। অন্যদিকে এই দ্বীপটি কিশোর লেখকের মনে এক মায়ারূপের সৃষ্টি করেছিল। সেজন্য গল্পটির নাম 'মায়াদ্বীপ হয়েছে।

★ মায়াদ্বীপ থেকে কথকের মামাবাড়ি কতদূরে অবস্থিত?
উত্তর : মায়াদ্বীপ থেকে কথকের মামাবাড়ি দেড়ঘণ্টার পথ।