' মাস্টারদা' পঞ্চম শ্রেণি বাংলা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Master da class 5 bangla question answee
![]() |
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
■ মাস্টারদা ■
অশোককুমার মুখোপাধ্যায়
★ লেখক অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ে পরিচিতি :-
অশোককুমার মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল করেন। তার জন্মস্থান কলকাতায় । তাঁর পিতার নাম দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। এবং মাতার নাম মীরা দেবী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনংসযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লেখক অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের রচিত প্রবন্ধগুলির মধ্যে চেনা মানুষ', ' ‘টেগার্টের আন্দামান ডায়েরি’, ‘চেনা পড়া’, ‘অগ্নিপুরুষ, , 'প্রথম দিনের রবি’, ‘কিশোর সাহিত্য’, ‘সূর্য সেন' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
★ মাস্টারদা গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা ::-
‘মাস্টারদার নির্দেশেই চট্টগ্রাম শহরের কমবয়সি বেশ কিছু ছেলে ইংরেজ পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটি দখল করে নেয়।। আগুন লাগিয়ে দেয় টেলিফোন, টেলিগ্রাফের অফিস।ট্রেনলাইন ভেঙে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয। পুলিশের ঘাঁটিতে যে পতাকা উড়ছিল তা নামিয়ে সেখানে
ভারতের পতাকা টাঙিয়ে দেয়। ভারতবর্ষকে যে-কোনো ভাবেই ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পক্ষে যোগ্য করে তুলতে যার অবদান একেবারে ভোলা যায় না। তিনি হলেন মাস্টারদা অর্থাৎ সূর্যসেন। তিনি উমা তারা স্কুলের একজন অংকের শিক্ষক
খুব কম কথা বলেন, বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তিনি একজন এত বড়ো দেশনেতা। বাঙালির ধুতি পাঞ্জাবি বা শার্ট পরা একেবারে সাধারণ মানুষ। এরকম একটি সাধারণ মানুষের মনেও যে স্বাধীনতার ভয়ংকর আগুন আছে তা কেউ না দেখলে বুঝবে না। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ ছিলেন তাঁর আদর্শ পুরুষ। সকল ছাত্রদের তিনি এই দুই মনীষীর ভক্তি-ত্যাগ ও তেজস্বিতার আদর্শে গড়তে চেয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড়ো কবি, তাই রবীন্দ্রনাথকে তিনি কবিসম্রাট বলতেন। তিনি জেলে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ইত্যাদি আবৃত্তি করতেন। তাঁর মতে রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকলের জীবনে এক মস্ত বড়ো সম্পদ। বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথের আদর্শে তিনি দেশকে ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য আমরণ চেষ্টা চালিয়ে যান।
মাস্টারদা গল্পের নামকরণ সার্থকতা ::-
এই গল্পে দেখা যায় মাস্টারদা ছেলেদের ভারতবর্ষকে স্বাধীনতার কাজে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ছেলেদের শিখিয়েছিলেন দেশ হল মা, এই মাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে যে-কোনো ভাবে মুক্ত করতে হবে। মাস্টারদা ছিলেন প্রকৃত দেশনেতা। খুবই সাদাসিধা, রোগা, দুতি-পাঞ্জাবি পরা এই মানুষটি জীবনপণ সংগ্রাম করে ভারতবর্ষকে ইংরেজদের হাত থেকে যে-কোনো মূল্যে মুক্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হয়েছিলেন। সমগ্র গল্পে মাস্টারদা এবং তার জীবনের বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাই আমার মতে মাস্টারদা নামকরণটি যথার্থ হয়েছে বলে মনে হয়।
উৎস-সংকেত। পাঠ্যাংশটি লেখকের 'সূর্য সেন' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. নিজে নিজে লেখো :
১.১ আমাদের দেশের নাম কী ?
উত্তর : আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।
১.২ আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস কোন দিনটিতে পালিত হয়ে থাকে ?
উত্তর : আমাদের দেশে ১৫ আগস্ট দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
১.৩ আমাদের দেশ কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে।
১.৪ স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম লেখো।
উত্তর : স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপ্লবীর নাম সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত সিং, মাস্টারদা সূর্য সেন।
১.৫ চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে কোন্ দেশে অবস্থিত ?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত।
২. নীচের এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে লেখো :
মু ন স শাক্ত-শাসনমুক্ত।
ক না অ র ম – অন্যরকম।
তা ভা র মা ত—ভারতমাতা।
র কু ড় পা পুপুকুরপাড়।
টি পু লি ঘাঁ শ–পুলিশঘাঁটি।
রু বা গোদ লা—গোলাবারুদ।
৩. অর্থ লেখো :
স্বাধীন, সাথি, সম্মান, সাদাসিধে, স্তোত্র ।
উত্তর : স্বাধীন—মুক্ত।
সাথি—সঙ্গী।
সম্মান-মর্যাদা।
সাদাসিধে—অতিসাধারণ।
স্তোত্র—স্তব, স্তুতি।
৪. নীচের শব্দগুলির যা অর্থ, সেই একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে রয়েছে, বুঝে নিয়ে শব্দগুলো লেখোঃ
উত্তর : দৈত্য - দানব।
ভয়ংকর কাণ্ড সাংঘাতিক।
নগর - শহর।
যুদ্ধ-- লড়াই।
যোগ্য - উপযুক্ত।
অবাক -- আশ্চর্য।
ঐশ্বর্য -সম্পদ।
কমবয়স - যার অল্পবয়সি।
৫. বাক্যরচনা করো :
পতাকা, মা, দেশ, মুক্তি, ব্যায়াম।
উত্তর : পতাকা- আমাদের জাতীয় পতাকায় তিনটি রং আছে।
মা-বিমলা তার মায়ের কোনো কথা অবজ্ঞা করে না।
দেশ – সুরেশবাবু দেশ থেকে কাল ফিরেছেন।
মুক্তি—পাখিরা খাঁচা থেকে সর্বদাই মুক্তি চায়।
ব্যায়াম—প্রতিদিন সকালবেলা ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে।
৬. একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, ছয়টি শব্দের বাক্য 'মাস্টারদা' রচনাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো ঃ
উত্তর :সাংঘাতিক কান্ড। (দুটি শব্দের বাক্য)
দেশ আমাদের মা। (তিনটি শব্দের বাকা )
কেমন মানুষ এই মাস্টারদা? ((চারটি শব্দের বাক্য)
আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও। (ছয়টি শব্দের বাক্য)
তাঁর প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (পাঁচটি শব্দের বাক্য)্
রাশভারী। (একটি শব্দের বাক্য)
৭. চট্টগ্রামের ছেলেরা আগুন লাগিয়েছিল টেলিফোন টেলিগ্রাফের অফিসে।
কথা বলবার সময় নীচে দাগ দেওয়া শব্দগুলোর মতো এমন অনেক বিদেশি শব্দই আমরা ব্যবহার করি। একেবারেই
ইংরেজি শব্দ বলে চিনতে পারছ, এমন আর কী কী শব্দ খুঁজে পাও মাস্টারদার কাহিনিতে?
উত্তর ঃ মাস্টারদার কাহিনিতে যে যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি হল—ট্রেন, ইউনিয়ান জ্যাক, নোটিশ।
৮. ‘মাস্টারদা' শব্দটার মধ্যে একটা বিদেশি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটা বাংলা শব্দ ঃ
মাস্টার + দা (দা) = মাস্টারদা।
এইরকমই আর একটি শব্দ, ধরো মাস্টার + মশাই (মশাই) = মাস্টার মশাই।
এইরকম শব্দ তুমি আর কটি লিখতে পারবে?
উত্তর : ইউনিয়ান + বাজি (বাজি) = ইউনিয়ান বাজি।ক্লাব + ঘর (ঘর) = ক্লাবঘর।
বিদেশি শব্দের সঙ্গে বাংলা শব্দ যুক্ত হয়নি, কিন্তু দুটো শব্দ মিলেমিশে একটাই কথা তৈরি করেছে, এমন কিছু কথা রয়েছে নীচে, এইসব কথাগুলো থেকে শব্দ দুটোকে আলাদা করে লেখো :
গোলাবারুদ
ভারতমাতা
খেলাধুলো
শাসনমুক্ত
রাজ্যপাট
ইংরেজদানব
উত্তর : গোলাবারুদ > গোলা, বারুদ।
খেলাধুলো > খেলা, ধুলো।
রাজ্যপাট > রাজ্য, পাট।
ভারতমাতা > ভারত, মাতা।
শাসনমুক্ত > শাসন, মুক্ত।
ইংরেজদানব > ইংরেজ, দানব।
১০. ‘মরণপণ’ কথাটার মধ্যে যে দুটো শব্দ আছে, তার শেষের শব্দ ‘পণ’।
ছোটো দলে আগে নিজেরা আলোচনা করে দেখো, শেষে ‘পণ’ যোগ করে আর কী কী শব্দ লিখতে পারবে?
উত্তর : শব্দের শেষে ‘পণ’ যোগ করে শব্দ তৈরি—একপণ , জীবনপণ, বরপণ, প্রাণপণ।
১১. ‘খেলাধুলো’ ‘নরম-সরম’ এইরকম শব্দ রয়েছে ‘মাস্টারদা'র গল্পে। এখানে একটা শব্দেই জড়ানো রয়েছে দুটো শব্দ, প্রথম শব্দটার মানেই যেখানে আসল, আর তার সঙ্গে মিলিয়ে এসেছে দ্বিতীয় শব্দটা, সব সময় যার তেমন
মানে নেই। এই ধরনের আর ক-টি শব্দ মাস্টারদার কাহিনিতে খুঁজে পাও, নিজেরা বার করো।
কোনো কোনো সময় আবার এইরকম দুটো শব্দের মানেই এক, ‘হাঁটা-চলা' বা 'রাইফেল-বন্দুক' যেমন। এরকম কয়েকটি শব্দ নিজে লেখো।
উত্তর ঃ হাসিখুশি, যেখানে-সেখানে, নিয়মকানুন, মাঠ-ময়দান, গোলাবারুদ, খাবার-দাবার, সাদাসিধে',রকম-সকম।
১২. মাস্টারদা হাসিমুখে মেলামেশা করতেন ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে।
এইরকম জোড়া শব্দ, যার একটির মানে অন্যটির বিপরীত, কয়েকটি লেখো :
উত্তর ঃ ভালো-মন্দ, যাওয়া-আসা, উঁচু-নীচু, রাত-দিন, সাদা-কালো, ঠিক-বেঠিক, করা-না করা।
১৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলি থেকে কোনটা বিশেষ্য কোটা বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখো।
শক্তিশালী, সম্পদ, উদ্ধৃত, রাশভারী, শক্তি, সম্মান, স্বাধীন, অত্যাচার, শাসন, অনুরোধ।
উত্তর : বিশেষ্য-সম্পদ, শক্তি, সম্মান, অত্যাচার, অনুরোধ, শাসন।
বিশেষণ —শক্তিশালী, স্বাধীন, উদ্ধৃত, রাশভারী।
১৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলি বিশেষণে বদলে ফেলো। বিশেষণ শব্দগুলো পাবে শব্দঝুড়িতে। খুঁজে নিয়ে ঠিক শব্দের পাশে বসাও
[ স্পর্ধিত, মুক্ত, শাসিত, সুখী, প্রতিবাদী, ভক্ত, সম্মানিত, ত্যক্ত,তেজস্বী, ঘোষিত।]
উত্তর :
বিশেষ্য > বিশেষণ
স্পর্ধা > স্পর্ধিত
মুক্তি > মুক্ত
ভক্তি > ভক্ত
সুখ > সুখী
অত্যাচার > অত্যাচারিত
শাসন > শাসিত
সম্মান > সম্মানিত
ঘোষণা > ঘোষিত
তেজস্বিতা > তেজস্বী
প্রতিবাদ > প্রতিবাদী
ত্যাগ > ত্যক্ত
১৫. নীচের বিশেষণ শব্দগুলি বিশেষ্যে বদলাও। বিশেষ্য শব্দগুলি পাবে শব্দঝুড়িতে। খুঁজে নিয়ে ঠিক শব্দের পাশে বসাওঃ
[ :রং, উদ্ধৃতি, গাম্ভীর্য, বিদেশ, মনীষা।]
বিশেষণ > বিশেষ্য
গম্ভীর > গাম্ভীর্য
রঙিন > রং
উদ্ধৃত > উদ্ধৃতি
বিদেশি > বিদেশ
মনীষী > মনীষা
১৬. নীচের বাক্যগুলির দিকে তাকিয়ে দেখো তো কোন্ কোন্ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে, আর কোন্ কোন্ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ এখনো শেষ হয়নি, সেগুলো আলাদা করে লেখো :
১৬.১ এদেশে রাজত্ব করতে তাদের স্পর্ধা একেবারে আকাশ ছুঁয়েছে।
উত্তর ঃ ছুঁয়েছে—কাজ শেষ হয়ে গেছে।
১৬.২ উমাতারা স্কুলের ছাত্ররা সেদিন অঙ্কের শিক্ষককে ... অন্য নজরে দেখলেও, বুঝতেই পারেনি এই মানুষটি...ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বেন।
উত্তর : লড়বেন—কাজ এখনও শেষ হয়নি।
১৬.৩ তাদের মনে হয়েছে, ভারতবর্ষের একটা জায়গায় যুদ্ধ করে যদি ইংরেজদের তাড়ানো যায়, সারা দেশ জেগে উঠবে।
উত্তর : উঠবে—কাজ এখনও শেষ হয়নি।
১৭. উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষককে তোমার কেমন লাগল, এইভাবে লেখো :-
উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকের নাম........ .......। সাদাসিধে মানুষটিকে দেখে সব সময়ে বোঝা যেত না তিনি কতখানি ........। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে ....… ........ .......। তিনি ভালোবাসতেন.......। তিনি চেয়েছিলেন. ...... .... ....... ...... ।এই মানুষটিকে আমার .... ....... ...... ।
উত্তর : উনাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকের নাম সূর্য সেন। সাদাসিধে মানুষটিকে দেখে সব সময়ে বোঝা যেত না তিনি কতখানি গম্ভীর। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে মাস্টারদা বলে ডাকে। তিনি ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা। তিনি চেয়েছিলেন ভারতমাতাকে ইংরেজ কবল থেকে মুক্ত করতে। এই মানুষটিকে আমার প্রণাম জানাই।
৮. উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকটির প্রিয় কবি কে ছিলেন? এ গল্প থেকে তা কেমন করে জানতে পারো ?
উত্তর ঃ উমাতারা হাইস্কুলে অঙ্ক শিক্ষক মাস্টারদা সূর্য সেন। তার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথকে তিনি ‘কবিসম্রাট” বলতেন। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা তাঁর মুখস্থ ছিল। জালালাবাদের পাহাড়ে লড়াইয়ের আগেও তিনি রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা শুনেছেন। জেলের মধ্যে বসে তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তেন। চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লাইন উদ্ধৃত করতেন। সঙ্গীসাথিদের সকলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়তে অনুরোধ করতেন। এক কথায় তাঁর মতে রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ। এ থেকেই বোঝা যায় মাস্টারদার কাছে প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯. কোন কবির কবিতা পড়তে তোমার খুব ভালো লাগে? তাঁর যে কবিতাটি তোমার সবচেয়ে পছন্দ, সেটির দুটি লাইন লিখতে পারো
উত্তর ঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
২০. পাঠ্য অংশটি পড়ে নিজে লেখো
দেবতা বিদায়
'দেবতা মন্দির মাঝে ভকত প্রবীণ,
জপিতেছে জপমালা বসি নিশিদিন।'
২০ ১ আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও। কারা এমন করেছিল? কেন করেছিল?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে আগুন লাগিয়েছিল।
তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভরতকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করা। আর এই কাজে তাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন মাস্টারদা। সর্বপ্রথম তারা চট্টগ্রামে ইংরেজদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটি দখল করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
২০.২ ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে কোন্ পতাকা উড়ত? তার বদলে বিপ্লবীরা কেমন পতাকা ওড়ালেন ?
উত্তর : ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ পতাকা—ইউনিয়ন জ্যাক উড়ত।
তার বদলে বিপ্লবীরা সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা ওড়ালেন।
২০.৪ ইংরেজ আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত?
উত্তর : ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা খুব অন্যায় অত্যাচার করত। প্রতিবাদ করলেই অকথ্য অত্যাচার করত। কোনো কোনো
প্রতিষ্ঠানে সাদা চামড়ার লোক ছাড়া কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। রেস্তোরাঁর গায়ে নোটিশ ঝোলানো থাকত। তাতে লেখা থাকত কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ।
২০.৫ ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল ?
উত্তর ঃ
উমাতারা হাইস্কুলে অঙ্ক শিক্ষক মাস্টারদা সূর্য সেন। মাস্টারদার কথামতো ছেলেরা চট্টগ্রামের অস্ত্রাগারে, টেলিফোন এবং টেলিগ্রাফের অফিসে আগুন লাগিয়েছে, রেলের লাইন ভেঙে দিয়েছে, মালগাড়ি উলটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এভাবে ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
২০.৬ মহান বিপ্লবীদের ছবি সংগ্রহ করো, খাতায় লাগাও, সেখানে তাঁদের জীবনকথা জেনে নিয়ে সংক্ষেপে লিখে রাখো।
উত্তর : নিজেরা করো।
■ হাতে কলমের বাইরে কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
এক কথায় উত্তর দাও :
★ চট্টগ্রাম শহরের ছেলের দল কী ঘোষণা করেছে?
উত্তর : চট্টগ্রাম ইংরেজ-শাসন থেকে মুক্ত, এমন এক ঘোষণা করেছে সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটানো সেই ছেলের দল।
★ ইউনিয়ান জ্যাক কাকে বলা হত ?
উত্তর : ব্রিটিশ অর্থাৎ এদেশ শাসনকারী বণিক ইংরেজদের দেশের জাতীয় পতাকাকে বলা হত ইউনিয়ান জ্যাক।
★ ছেলেরা কী পুড়িয়ে দিয়েছে ?
উত্তর : ছেলেরা ইংরেজ পুলিশের ঘাঁটিতে উড়তে থাকা ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ান জ্যাক পুড়িয়ে দিয়েছে।
★ কাহিনিটিতে 'মা' কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে ?
★ মাস্টারদার প্রকৃত নাম কী ?
উত্তরঃ কাহিনিটিতে 'মা' দেশকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
উত্তর : সূর্যকুমার সেন।
★ চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে কী সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটিয়েছে?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে এক মাস্টারদাদার বুদ্ধিমতো ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে লড়ে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটিকে দখল করে নিয়েছে।
★ তারা কোথায় কী ভেঙে ফেলেছে?
উত্তর ঃ তারা দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছে।
★ রেস্তোরাঁয় কীসের নোটিশ ঝুলছে?
উত্তর ঃ রেস্তোরাঁর গায়ে নোটিশ ঝুলছে—কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ।
★ এমন অন্যায় বেশিদিন চললে কী ঘটে ?
উত্তর ঃ এমন অন্যায় বেশিদিন চললে প্রতিবাদ হবেই আর প্রতিরোধ গড়ে উঠবেই।
★ অঙ্কের শিক্ষককে মাস্টারদা বলে কারা ডাকে?
উত্তর : চট্টগ্রামের যেসব সাংঘাতিক ছেলের দল ইংরেজদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটি দখল করে নিয়েছে।
★ ইংরেজরা ভারতবর্ষ শাসন করতে এসে এতদিন কী করেছে?
উত্তর : ভারতবর্ষ শাসন করতে এসে ইংরেজরা এতদিন মনের সুখে রাজ্যপাট চালিয়েছে।
★ কোথাও কোথাও 'কাদের কোনো অনুমতি নেই?
উত্তর ঃ কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সাদা চামড়ার লোক ছাড়া কোনো ভারতবাসীর ঢোকার অনুমতি নেই।
★ মাস্টারদার পোশাক-আশাক কীরকম ছিল ?
উত্তর ঃ মাস্টারদার পোশাক খুবই সাদাসিধে। বাঙালির ধুতি-পাঞ্জাবি বা ধুতি-শার্ট, রঙিন জামা পরেন না।
★★ সূর্যকুমার সেন কোন স্কুলে কীসের শিক্ষক ছিলেন?
উত্তরঃ সূর্যকুমার সেন ছিলেন উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক।
★ মাস্টারদার কথামতো তাঁর ছাত্ররা ভোর চারটের সময় কী করত?
উত্তর ঃ মাস্টারদার কথামতো তাঁর ছাত্ররা প্রতিদিন ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে ময়দানে গিয়ে ব্যায়াম করত।
★ সূর্য সেনের আদর্শ পুরুষ কে ছিলেন?
উত্তর ঃ রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দই মাস্টারদা সূর্য সেনের আদর্শ পুরুষ।
★ সূর্য সেন তাঁর ছাত্রদেরকে কোন্ আদর্শে গড়তে চেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ সূর্য সেন তাঁর ছাত্রদেরকে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ভক্তি-ত্যাগ তেজস্বিতার আদর্শে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
★ মাস্টারদার প্রিয় কবি কে ছিলেন?
উত্তর : মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
★ রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মাস্টারদা বলতেন 'কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ।' এ থেকে তাঁর কোন মনোভাবের পরিচয় পাও।
উত্তর : মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ।
★ মাস্টারদার কী মুখস্থ ছিল?
উত্তর ঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য কবিতা মাস্টারদার মুখস্থ ছিল।
★ উমাতারা স্কুলের ছাত্ররা সেদিন অঙ্কের শিক্ষক সূর্যকুমার সেন সম্পর্কে কী বুঝতে পারেনি?
উত্তর : উমাতারা স্কুলের শিক্ষক সূর্যকুমার সেন সম্পর্কে ছাত্রদের অস্পষ্ট ধারণা ছিল। কিন্তু তারা অবাক হয়ে দেখল এই মাস্টারমশাই বন্ধুর মতো হাসিমুখে ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে মেলামেশা করছেন।
★ মাস্টারদা কোন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
উত্তর : মাস্টারদা বাংলাদেশের অন্তর্গত চট্টগ্রামের উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন।
★ মাস্টারদার একজন আদর্শ পুরুষের নাম করো।
উত্তর : শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ও স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন মাস্টারদার একজন আদর্শ পুরুষ।
★ “প্রদেশে রাজত্ব করতে এসে তাদের স্পর্ধা একেবারে আকাশ ছুঁয়েছে।”—এখানে কাদের স্পর্ধার কথা বলা হয়েছে। তাদের স্পর্ধার নমুনা দাও।
উত্তর : এখানে ইংরেজদের স্পর্ধার কথা বলা হয়েছে।
ভারতবাসী দিনের পর দিন খেটে গেছে আর সেই খাটুনির ফল ভোগ করেছে সাদা চামড়ার ইংরেজ। প্রতিবাদ করতে গেলেই এদেশের মানুষের কপালে জুটেছে অত্যাচার।
★ রবীন্দ্রনাথকে মাস্টারদা কেমন চোখে দেখতেন ?
উত্তর: মাস্টারদার প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু কবি নন, তিনি রবীন্দ্রনাথকে ‘কবিসম্রাট' বলে আখ্যা দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, গান তিনি শুনতেন এবং মুখস্থ করতেন। জালালাবাদ পাহাড়ে লড়াইয়ের আগে তিনি রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা শুনেছেন। জেলের ভিতর তিনি যে সমস্ত চিঠি লিখতেন তাতে রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন উদ্ধৃত করতেন। তিনি বলতেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ।
★ ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে কোন্ পতাকা উড়ত? ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে কার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল?
উত্তর : ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে ইউনিয়ান জ্যাক পতাকা উড়ত।
ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ মাস্টারদা অর্থাৎ সূর্য সেনের নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ছেলের দল ইংরেজদের অস্ত্রাগার দখল করে আগুন লাগিয়েছে। টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের অফিসেও আগুন লাগিয়েছে। দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছে তারা। ভারতবাসী দিনের পর দিন খেটে গেছে আর সেই খাটুনির ফল ভোগ করেছে সাদা চামড়ার ইংরেজ। রূপকথার রাজপুত্রদের মতো লড়াই করে দেশ থেকে দানবদের
তাড়াতে চেয়েছে চট্টগ্রামের এই ছেলের দল। এই ছেলের দলকে দেশের কথা বলে, খেলাধুলো, বন্দুক-চালানো শিখি য়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বার উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছেন এক অঙ্কের শিক্ষক, মাস্টারদা।
★ উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক”–লাইনটি কোন্ গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে? লেখকের নাম কী?
অঙ্কের শিক্ষকের নাম কী ? পাঠ্যাংশে অঙ্ক শিক্ষকের চরিত্রের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়?
উত্তর : উক্ত লাইনটি ‘মাস্টারদা' গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
লেখকের নাম অশোককুমার মুখোপাধ্যায়।
অঙ্কের শিক্ষকের নাম সূর্যকুমার সেন বা মাস্টারদা।
অঙ্ক শিক্ষক সূর্যকুমার সেন ছিলেন রোগা, সাধারণ চেহারার, ধুতি-পরা মানুষ। তিনি কি গম্ভীর, রাশভারী, অঙ্ক ভুল হলে কড়া শাস্তি দেন বা একটু নরম-সরম, হাসিখুশি? ছেলেরা অবাক হয়ে দেখল, এই মাস্টারমশাই বন্ধুর মতো হাসিমুখে ছোটো-বড়ো সবার সঙ্গে মেলামেশা করছেন। তাঁর চোখের দিকে তাকালে কিছু লুকোনো যায় না। তাঁর আদর্শ পুরুষ ছিলেন রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ। আর তাঁর প্রিয় কবি ছিলেন ‘কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ’। ছাত্ররা একটু অন্য নজরে
দেখলেও বুঝতেই পারেনি এই মানুষটি একদিন শক্তিশালী ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বেন। তিনি বাস্তবে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের টনক নাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
★ চট্টগ্রাম শহরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ চট্টগ্রাম শহরে মাস্টারদা পরিচালিত বিপ্লবী দলের সঙ্গে ইংরেজ পুলিশের সংঘর্ষে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের অফিসে আগুন লেগেছিল। দু-জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে দিয়েছিল। সেই কারণে চট্টগ্রাম শহরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
★ মাস্টারদার ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর ঃ মাস্টারদার ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল – ইংরেজদের ভারতবর্ষ থেকে চিরদিনের মতো বিদায় করা। তাঁর উদ্দেশ্য স্বাধীন ভারতবর্ষের উজ্জ্বল মুখ দেখা।
★ মাস্টারদা কীভাবে ছেলেদের দেশ সম্পর্কে উজ্জীবিত করেছিলেন?
উত্তর : মাস্টারদা ছিলেন প্রকৃতই এক দেশপ্রেমিক। ছেলেদের তিনি বলতেন, দেশ আমাদের মা। সেই মাকে আমাদের যে-কোনো প্রকারে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য তিনি দেশ সম্পর্কে নানান কথা, খেলাধুলো, বন্দুক চালানো ইত্যাদি সবকিছুই ছেলেদের উজ্জীবিত করেছেন। তাঁর প্রেরণায় সেই ছেলেরা একদিন সত্যিসত্যিই ব্রিটিশদের তাড়ানোর জন্য নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে।
★ রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ।”— সাথিদের একথা বলতেন মাস্টারদা সূর্য সেন।
কাব্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান সম্পর্কে বন্ধুদের কী বলবে, সে সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর : মাস্টারদা অর্থাৎ, সূর্য সেনের মতো আমরা বলি যে রবীন্দ্রনাথ ভারতমাতার শ্রেষ্ঠ সন্তান। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন কবি, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সুরকার, গীতিকার ও দেশপ্রেমী। বহুবিধ সম্মানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে 'নোবেল পুরস্কার' লাভ করেন। প্রতিভাবান এই মনীষীর কাব্যরচনার সূত্রপাত খুব অল্প ব্যাস থেকেই। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ‘শৈশব গীত', 'বনফুল', 'ভানুসিংহের পদাবলী', 'কবি-কাহিনী' প্রভৃতি রচনা করেন। তাঁর রচিত প্রথম মুদ্রিত কবিতাটির নাম 'হিন্দুমেলার উপহার। তাঁর ভাষাজ্ঞান অতুলনীয়, তাঁর সৃষ্টি চিরস্মরণীয়। 'জ্ঞানাঙ্কুর' পত্রিকায় 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা' নামে তাঁর রচিত প্রথম গদ্য প্রবন্ধটি ছাপা
হয়। রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জাতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর সাহিত্যকীর্তি অন্য মাত্রার যা একজীবনে পড়ে ফেলা অসম্ভব। আমরা সাহিত্যের ক্ষেত্রে যদি কোনো মানুষকে দেবতার স্থান দিই, তা নিঃসন্দেহে আমাদের প্রিয় রবিঠাকুর।
★চট্টগ্রামকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করার জন্য ছেলের দল কার নেতৃত্বে, কী কী কাণ্ড করেছিল— 'মাস্টারদা' গল্প অবলম্বনে লেখো।
উত্তর ঃ চট্টগ্রামকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করার জন্য ছেলের দল মাস্টারদা অর্থাৎ, সূর্য সেনের বুদ্ধিমতো অনেক কাণ্ড করেছিল।
চট্টগ্রাম শহরের অল্পবয়সি কিছু ছেলে মাস্টারদার বুদ্ধিমতো ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে লড়ে তাদের গোলাবারুদের ভাণ্ডারটিকে দখল করে নিয়েছিল, আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সেই অস্ত্রাগারে। এ ছাড়া টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও আগুন লাগিয়েছে। দু-জায়গায় তারা রেলের লাইন ভেঙে ফেলেছে। সেখানে মালগাড়ি উল্টে ট্রেন চলাচল বন্ধ। ট্রেনে করে যে শহরে আসবে তারও উপায় নেই। চট্টগ্রাম ইংরেজ-শাসনমুক্ত, এমন এক ঘোষণা করেছে ছেলের দল। ওরা পুড়িয়ে দিয়েছে ইংরেজ পুলিশঘাঁটিতে উড়তে
থাকা ব্রিটিশ পতাকা—ইউনিয়ান জ্যাক। ওই পতাকা নামিয়ে সেখানে তারা তুলেছে স্বাধীন ভারতের পতাকা।
ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
★ ট্রেন চনচল বন্ধ হওয়ার কারণ – (ক) ট্রেন উল্টেছে, (খ) লাইনে ধস নেমেছে, (গ) মালগাড়ি উল্টেছে, (
উত্তর : ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণ মালগাড়ি উল্টেছে।
★ মাস্টারদার আদর্শ পুরুষ ছিলেন—(ক) বিদ্যাসাগর, (খ) রবীন্দ্রনাথ, (গ) রামকুয়-বিবেকানন্দ, (ঘ) গান্ধিজি।
উত্তর : মাস্টারদার আদর্শ পুরুষ ছিলেন রামকৃয়-বিবেকানন্দ
★ মাস্টাররা ভোরে কবিতা পড়তেন – (ক) নজরুল, (খ) রবীন্দ্রনাথ, (গ) সুকুমার রায়, (ঘ) শঙ্খ ঘোষ-এর কবিতা।
উত্তর : মাস্টার জালে কবিতা পড়তেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা।
★ মাস্টারার কোন স্কুলে পড়াতেন? (খড়িবাড়ি/তারণচন্দ্র/উমাতারা) হাইস্কুলে।
উত্তর : মাস্টারদা উমাতারা হাইস্কুলে পড়াতেন।
★ মাস্টারন কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন – (ক) বিজ্ঞান, (খ) বাংলা, (গ) অঙ্ক, (ঘ) ভূগোল ।
উত্তুর : মাস্টারদা অঙ্ক বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।