'যতীনের জুতো' চতুর্থ শ্রেণী বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / JATINER JUTO class 4 bangla question answer
চতুর্থ শ্রেণি বাংলা
যতীনের জুতো
সুকুমার রায়
লেখক সুকুমার রায়ের পরিচিতি ঃ১৮৮৭ সালে সুকুমার রায় জন্ম গ্ৰহণ করেন। সুকুমার রায়ের পিতা ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
সুকুমার রায়ের রচিত বইগুলি হল 'আবোল তাবোল',পাগলা দাশু', 'খাই খাই’,পাগলাদাশু, হ য ব র ল, ‘অবাক জলপান।', 'লক্ষ্মণের শক্তিশেল' ইত্যাদি। চিত্রশিল্প, ফটোগ্রাফি, সরস ও কৌতুককর কাহিনি এবং ছড়া রচনায় সুকুমার রায় অতুলনীয়। ১৯২৩ সালে তাঁর অকালমৃত্যু ঘটে।
-
যতীনের জুতো গল্পের নামকরণ সার্থকতা:-
যতীনের প্রতিমাসে যতীনের একজোড়া করে নতুন জুতো লাগত। বাবার বকুনি খাওয়ায় সে জুতো পড়ে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে লাগল। শুধু জুতো কেন নতুন ধুতি কাপড়ও তার দুদিন যেত না, ছিঁড়ে ফেলত। দুদিন যেতে না যেতেই নতুন জুতোটাও ছিঁড়ে ফেলল। একদিন ওই ছেঁড়া চটিটা পড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তিনটে সিঁড়ি লাফিয়ে নামতে গেল। কিন্তু তার মনে হল চটিটা তাকে নিয়ে সাঁই সাঁই করে মহাশূন্যে ছুটতে ছুটতে এক অজানা দেশে এসে পড়ল। সেখানে সে অনেক মুচি আর দরজি দেখতে পেল। মুচিরা যতীনকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যতীনকে দিয়ে জোর করে জুতো সেলাই করালো। দরজিরাও যতীনকে দিয়ে কাপড় সেলাই করালো। যে জিনিসটি সে খুব ভালো যত্ন করতো সেটা হল ঘুড়ি। তাই ওই বিপদের সময় যতীনকে সাহায্য করতে এলো ঘুড়ি। ঘুড়ি যতীনকে নিয়ে উড়ে চলল আকাশে। কিন্তু দরজিরা কাঁচি দিয়ে সেই সুতো কেটে দিল। তখন যতীন আর ঘুড়ি একসঙ্গে এসে জড়াজড়ি করে মাটিতে এসে পড়ল। এই জুতোর জন্যই যতীন ভালো ছেলে হয়ে গেল। এই হাসির গল্পটি সমগ্র অংশটাই যতীনের জুতো কে কেন্দ্র করে লেখা। তাই আমার মতে যতীনের জুতো নামকরণ যথার্থ হয়েছে বলে মনে ।
যতীনের জুতো গল্পের সারাংশ :-
যতীন এতটাই দুষ্টু ও বাচাল যে তাকে যতই তার বাবা নতুন জুতো কিনে এনে দেন ততই সে ছিঁড়ে ফেলে। একটা মাসও যায় না। সেদিনও তার বাবা তাকে একজোড়া নতুন জুতো এনে দেন আর বলেন যে এই জুতো জোড়া ছিঁড়ে গেলে তিনি আর নতুন জুতো এনে দেবেন না। শুধুমাত্র ঘুড়ি ছাড়া তার কোনো জিনিসেরই যত্ন ছিল না। যতীন যেন একটু সাবধানেই সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ওঠা-নামা করতে লাগল। লাফালাফি কম করল। কিন্তু কদিন পর সে আবার সেই দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি আরম্ভ করল। জুতোটা ক্রমশ বেশ বড়ো সড়ো হাতে পরিণত হল। একদিন ওই ছেঁড়া জুতো পড়েই সে তিনটি সিঁড়ি লাফিয়ে নামতে গেল। কিন্তু নীচের মাটিতে পা পেল না। সাঁই সাঁই করে শূন্যে ঘুরতে ঘুরতে সে এসে পড়ল এক অজানা দেশে। সেখানে মুচি তাকে উচিত শিক্ষা দিল। যতীনকে দিয়ে সে জুতো সেলাই করালো। গাছে উঠতে গিয়ে সে নতুন ধুতি ছিঁড়ে ফেলেছিল। ওই অজানা দেশের
দরজিরাও এসে যতীনকে দিয়ে যতীনের নিজের ধুতি সেলাই করালো। যতীন তো কেঁদে কেটে, খিদের জ্বালায় অস্থির। এমনসময় আকাশে কীসের যেন একটা শব্দ হল বোঁ বোঁ করে। দেখল একটা ঘুড়ি এসে যতীনের কোলের ওপর পড়ল। ঘুড়িটা ফিস্ ফিস্ করে যতীনকে বলল “তুমি আমার যত্ন করো, তাই তোমাকে আমি সাহায্য করতে এসেছি।' যতীন তাড়াতাড়ি ঘুড়ির লেজ ধরল। ঘুড়ি অমনি যতীনকে নিয়ে আকাশে উড়ে গেল। দরজিরা তখন তাড়াতাড়ি কাঁচি নিয়ে সুতো কেটে দিল। তখন যতীন আর ঘুড়ি জড়াজড়ি করে মাটিতে পড়ে গেল। মাটিতে পড়েই যতীনের মাথায় বেশ জোরে আঘাত লাগল। বেশ কিছুদিন সে ভুগলো। সে এখন আর লাফিয়ে, ঝাঁপিয়ে চলে না, মনে যেন সেই স্ফুর্তি নেই। ধীর স্থির হয়ে গেছে সে। যতীন এখন ভালো ছেলে হয়ে গেছে।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১। আবোল তাবোল বইটি কার লেখা?
উঃ আবোল তাবোল বইটি সুকুমার রায়ের লেখা।
২। তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম লেখো।
উঃ অবাক জলপান, লক্ষ্মণের শক্তিশেল।
৩। একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ নতুন জুতো কিনে এনে যতীনের বাবা তাকে কী বলেছিলেন?
উঃ যতীনের বাবা যতীনকে জুতো এনে দিয়ে বলেছিলেন যে, এবার যদি আবার সে জুতো নষ্ট করে তবে ওই ছেঁড়া জুতোই সে পরে থাকবে।
৩.২ যতীনের প্লেট পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো কেন?
উঃ প্লেটের পেনসিলগুলো সর্বদাই যতীনের হাত থেকে পড়ে যেত। তাই পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো।
৩.৩ যতীন কোন্ জিনিসটি যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত?
উঃ যতীন তাঁর ঘুড়িগুলোকে যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত।
৩.৪ যতীন কখন রান্নাঘরে গিয়ে উৎপাত করত?
উঃ যতীনের যখন ঘুড়ি ছিঁড়ে যেত, তখন যতীন রান্নাঘরে গিয়ে আঠার জন্য উৎপাত করত।
৩.৫ খেলার সময়টা সে কীভাবে কাটাতে ভালোবাসত?
উঃ খেলার সময়টা যতীন ঘুড়ি উড়িয়ে কাটাতে ভালোবাসত।
৩.৬ যতীন কোথায় দরজিদের দেখা পেয়েছিল ?
উঃ অজানা দেশের এক খালি মাঠে যতীন দরজিদের দেখা পেয়েছিল।
৩.৭ দরজিরা যতীনকে কী খেতে পরামর্শ দিয়েছিল ?
উঃ দরজিরা যতীনকে পেনসিল চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ নিয়েছিল।
৩.৮ অসহায় যতীনকে সাহায্যের জন্য শেষে কে এগিয়ে এসেছিল?
উঃ অসহায় যতীনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছিল তাঁর যত্ন করা ঘুড়ি।
৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ যতীন শেষ তিনটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়ায় কী হয়েছিল?
উঃ যতীন শেষ তিনটি সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়ায় মাটিটা তার পায়ের নীচ থেকে সুস্থৎ করে সরে গেল। আর ছেঁড়া চটি তাকে নিয়ে সাঁই সাঁই করে শূন্যের ওপর দিয়ে কোথায় যে ছুটে চলল কোনো অজানা জায়গায়।
৪.২ চটি যতীনকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল কেন?
উঃ যতীন যে চটিদের এপর অত্যাচার করে সেটা তাকে বোঝাবার জন্য বা শিক্ষা দেওয়ার জন্য চটি যতীনকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। অজানা দেশে যে মুচিরা থাকতো তারা মনে করত চটিদের প্রাণ আছে। জোড়ে হাঁটলে তাদের লাগে।
৪.৩ মনে থাকে যেন, একটুও লাফাবে না, একটাও সিঁড়ি ডিঙাবে না'—কারা যতীনকে এই কথা বলেছিল? কখন বলেছিল ?
উঃ অজানা দেশের মুচিরা যতীনকে এই কথা বলেছিল।
যতীনের জুতোটা যখন সেলাই করা হয়ে গেল তখন মুচিরা যতীনকে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলা পর্যন্ত উঠে যেতে বলল, আবার নেমে আসতে বলল। কিন্তু যতীন যখন পাঁচতলা থেকে নীচে নেমে এলো মুচিরা বলল হয়নি। তুমি তিনবার দুটো
সিঁড়ি একসঙ্গে উঠেছো, পাঁচবার লাফিয়েছো, দুবার তিনটে করে সিঁড়ি ডিঙিয়েছো। আবার ওঠো।তখন বলেছিল মনে থাকে যেন, একটুও লাফাবে না, একটাও সিঁড়ি ডিঙাবে না'।
৫। 'আহা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে, এই ভোগানিতে বাছা আমার বড়ো দুর্বল হয়ে গেছে।'—যতীনের মায়ের এই ভাবনা যদি সত্যিও হয়, তবু যতীনের লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে না চলার কারণ তোমার যা মনে হয় – পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উঃ যতীন একেবারে নীচে লাফ দেবে বলে তিনটি সিঁড়ির ওপর থেকেই লাফ মেরেছিল। তখন যতীন পড়ে যায়। মাথায় খুব জোরে আঘাতও পায়। চোট পেয়ে সে নিজেও খুব দুর্বল হয়ে যায়। চোট পেয়ে যতীন অজ্ঞান হয়ে যায় আর অজানা দেশের স্বপ্ন দেখতে থাকে। ওই স্বপ্ন এতটাই
যতীনের কাছে ভয়ঙ্কর ছিল যে সে লাফালাফি, ঝাপাঝাপি করা বন্ধই করে দিয়েছিল প্রায়।
৬। কে কোন্ কথাটি বলেছে তা মিলিয়ে লেখো :
উঃ ১। ঘুড়ি— তুমি আমাকে যত্ন করেছো, তাই আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।
২। দরজি—বড়ো অন্যায় বড়ো অন্যায়। শিগগির সেলাই করো।
৩। বাবা—এবার যদি অমন করে জুতো নষ্ট করো তবে ওই ছেঁড়া জুতোই পরে থাকবে।
৪। মা—ওরে, এই বেলা মুচি ডেকে সেলাই করা।
৫। মাস্টারমশাই—তুমি কি বাড়িতে ভাত খেতে পাওনা?
৭। গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি ঘটনা খুঁজে নাও এবং সেইসব ঘটনার কারণ পাশাপাশি লেখো :
(ক) যতীন একদিন তিনটি সিঁড়ি
ভিভিয়ে লাফিয়ে নামতে গোল। > সে তাড়াতাড়ি একলাফে মাটিতে নামাবে।
(খ) জুতোটি যতীনকে নিয়ে সাই সাই
করে শুন্যের ওপর দিয়ে কোথায়
যেন ছুটে চলল।> চটি যতীনকে অজানা দেশে
নিয়ে যাবে বলে।
(গ) যতীনের জুতো যতীনকে অজানা
দেশে মুচিদের কাছে এনে ফেলল। > মুচিকে দিয়ে যতীনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
(খ) যতীন একদিন নতুন ধুতি কাপড়
ছিঁড়ে ফেলল। > সে গাছে চড়তে গিয়েছিল।
(ঙ) ঘুড়ি এসেছিল যতীনকে সাহায্য করতে > যতীন ঘুড়িটার খুব যত্ন
৮। একই শব্দ পাশাপাশি বসেছে—এরকম যতগুলি পারো শব্দজোড়া গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ কাঁদতে কাঁদতে। জোড়া তাড়া। ভয়ে ভয়ে। বড়ো অন্যায়, বড়ো অন্যায়। খোলো খোলো। বোঁ বোঁ। বড়ো বড়ো। টুকরো টুকরো। চিবিয়ে চিবিয়ে। আস্তে আস্তে। দুড় দুড়। সাঁই সাঁই। ছুটতে ছুটতে। জোরে জোরে। মচ মচ।
৯। নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো।
উঃ সাহস- (ভীতু)- ভীতু লোকেরা কোন কিছু জয় করতে পারে না।
দুষ্টু (শান্ত)- শান্ত মনের মানুষরা সবকিছু বুঝিয়ে বলতে পারে।
যত্ন - অযত্ন - স্কুলের বইগুলি অযত্ন করে রাখা উচিত নয়।
নামা- (ওঠা)- মেলায় নাগরদোলা ঠিক খুব দ্রুত উঠানামা করছিল ।
আরম্ভ-(শেষ)— ডিসেম্বরে আমাদের পরীক্ষা শেষ হবে।
সম্ভব-(অসম্ভব)— আমার পক্ষে তিন ফুট লাফানো অসম্ভব।
কষ্ট—(সুখ)— সবার কপালে সুখ সয়না।
মন্দ - (ভালো)- তখন ভালো অংক করতে পারে বলেই মনে হয়।
দুর্বল – (সবল) – সবল ব্যক্তি কে অনেকে ভরসা করে।
১০। বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
সেলাই- স্+এ+ ল্ + আ + ই
চৌকাঠ -:চ +ঔ+ ক্ +আ+ ট+ অ
সমন্ত- স্ + অ +ম্ +অ+ স্+ অ +ত্+ অ
মাতব্বর -ম্ +অ +ত্ +অ+ ব্+ অ+ র্ +অ
মুশকিল- ম্+উ+ শ+ অ + কৃ + ই + ল্ + অ
১১। 'স্বতীনের জুতো' গল্পে যে-কোনো একটি অংশ বেছে নিয়ে সেটির ছবি আঁকো।
উঃ নিজেরা করো।
১২। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ সংগ্রহ করে শূন্যস্থান পুরণ করো :-
১২.১ .......জোরে কখনোই এ বিদ্রোহ দমন করা যায় না।
উঃ গায়ের।
১২.২ আমরা গত ছুটিতে সবুজ..
পিকনিক করতে গিয়েছিলাম।
উঃ দ্বীপে।
১২.৩ ....…না করলে অন্যায় করা বেড়ে যায়।
উঃ সাবধান।
১২.৪ গ্রীষ্মের দুপুরে রঙিন,.......চোখে দিলে আরাম বোধহয়।
উঃ চশমা।
১২.৫...... দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে।
উঃ শান্ত
১৩. 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে সংগতি রেখে 'খ' অস্তে বাক্য লেখো :
উত্তর-
ক' স্তম্ভ খ' স্তম্ভ
১। দূর দূর > সুর সুর
২।সাঁইসাঁই > পাই পাই
৩।বোঁ বোঁ > ভোঁ ভোঁ।
৪। মচ মচ > ফচ ফচ
৫। টন টন > কনকন
৬। ফিসফিস > টিসটিস
১৪. নীচের শব্দগুলো থেকে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ আলাদা করো ঃ
ধুতি। অল্পপ্রাণ > মহাপ্রাণ
১। ধুতি > তি > ধু
২। খুব > ব > খু
৩। ছোটো > টো > ছো
৪। কাজে > কা > জে
১৫। গল্পটি পড়ে আমরা যা শিখলাম তার অন্তত তিনটি বিষয় তোমার নিজের ভাষায় লেখো ঃ
উঃ নিজে পড়ো
১৬। নীচের সূত্র অনুযায়ী শব্দছকটি পূরণ করো :
উত্তর-
১৭। ঘুড়ির সাহায্য না পেলে যতীন কোন্ পথে বাড়ি ফিরত—সেই পথটি বের করো ঃ
উত্তর-
![]() |
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
★ অক্ষর সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
বর্তীনের, তোজু, , রকঠো।
উত্তর :
বর্তীনের> যতীনের
তোজু > জুতো
রকঠো >ঠোকর
এক কথায় উত্তর দাও
★ যতীন কী পোশাক পরত?
উত্তর -যতীন ধুতি পরত।
★ যতীনের ধুতি কদিন যেত?
উত্তর যতীনের ধুতি দুদিন যেতে না যেতে ছিঁড়ে যেত।
★ যতীন প্রতি মাসে কেমন জুতো পড়ত?
উত্তর : যতীন প্রতি মাসে নতুন জুতো পরত।
★ যতীনের নতুন জুতোর মেয়াদ কত?
উত্তর : তার নতুন জুতোর মেয়াদ একমাস।
★ কে হাঁ করে রইল?
উত্তর- এক পার্টি জুতো ছেড়ে দিয়ে হাঁ করে রইল।
★ যতীন রান্নাঘরে কী চাইতে যেত?
উত্তর- যতীন রান্নাঘরে আঠা চাইতে যেত।
★ কে দাঁত বের করে ভেংচাতে লাগল ?
উত্তর- চটি দাঁত বের করে ভেংচাতে লাগল
★ কে যতীনকে নতুন জুতো এনে দিত?
উত্তর : যতীনের বাবা যতীনকে নতুন জুতো এনে দিত।
★ যতীনের মন্দ অভ্যাস কী ছিল?
উত্তর : যতীনের মন্দ অভ্যাস ছিল পেনসিলের গোড়া চিবনো।
★ মাস্টারমশাই কী বলতেন?
উত্তর : মাস্টারমশাই বলতেন “বাড়িতে ভাত থেকে পাওনা?
★ কারা ছেঁড়া চটিজোড়া খুলে নিয়ে সেগুলোকে যত্ন করে ঝাড়তে লাগল?
উত্তর : অজানা দেশের মুচিরা ছেঁড়া চটিজোড়া খুলে নিয়ে সেগুলোকে যত্ন করে ঝাড়তে লাগল।
★ যতীনকে কী সেলাই করতে হয়েছিল?
উত্তর : যতীনকে জুতো সেলাই করতে হয়েছিল।
★ কোন জিনিস যতীন যত্ন করত?
উত্তর- যতীন ঘুড়িটাকে খুব যত্ন করত।
★ জুতো ছাড়া যতীন আর কী ছিঁড়েছিল।
উত্তর : জুতো ছাড়া যতীন নতুন ধুতি ছিঁড়েছিল।
★ নতুন চটি পায়ে দিয়ে প্রথম দিন যতীন কেমন সাবধানতা অবলম্বন করল?
উত্তর : নতুন চটি পায়ে দিয়ে প্রথম দিন যতীন খুব সাবধানে রইল, পাছে ছিঁড়ে যায়। সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নামে, চৌকাঠ ডিঙোবার সময় সাবধানে থাকে, যাতে ঠোক্কর না খায়।
★ জুতোটা একটু হাঁ হতে মা কী বললেন?
উত্তর : যতীনের জুতোটা যখন একটুখানি হাঁ হল তখন তার মা তাকে বললেন, “ওরে এইবেলা মুচি ডেকে সেলাই করা; না হলে একেবারে যাবে।”
★ ঘুড়ি ছিঁড়ে গেলে যতীন কী কী উৎপাত করত ?
উত্তর : ঘুড়ি ছিঁড়ে গেলে যতীন রান্নাঘরে গিয়ে উৎপাত করতো। মায়ের কাছে আঠা চাইত। কাঁচি খুঁজতে গিয়ে মায়ের সেলাইয়ের বাক্স ঘেঁটে ঘণ্ট দিত। খাওয়া দাওয়া না করে ঘুড়ি ওড়াত আর মাকে জ্বালাতন করত।
★ মুক্তি কারা যতীনকে দিয়ে সেলাই করিয়েছিল?
উত্তর : ধুতি নাজিরা বর্তীনকে দিয়ে সেলাই করিয়েছিল।
★ যতীনের পা টনটন করছিল কেন ?
উত্তর : সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করার ফলে যতীনের পা দুটো টনটন করছিল।
★ ঘুড়িটা ফিসফিস্ করে কী বলল ?
উত্তর : ঘুড়িটা ফিসফিস করে বলল, “তুমি আমাকে যত্ন করেছ, তাই আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি।”
★ কার মাথায় ভয়ানক বেদনা হয়েছে?
উত্তর ঃ যতীনের মাথায় ভয়ানক বেদনা হয়েছে।
اد
★ “অমন করে জুতো নষ্ট করো না”–একথা কে বলেছিল? কাকে, কেন বলেছিল?
উত্তর : একথা যতীনের বাবা বলেছিল।
যতীনকে বলেছিল। কারণ যতীন নতুন জুতো দুদিনেই ছিঁড়ে ফেলে।
★ যতীনের অযত্ন জিনিসগুলো কেমন ?
উত্তর : যতীনের অযত্ন জিনিসগুলো হল বইগুলোর মলাট ছেঁড়া, কোণ দুমড়ানো, স্লেটটা ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত ফাটা। প্লেটের পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো। লেড-পেনসিলের গোড়া চিবানো।
★ যতীনকে কে বাঁচিয়েছিল ? কেন বাঁচিয়েছিল ?
উত্তর : একটা ঘুড়ি যতীনকে বাঁচিয়েছিল।
কারণ যতীন কোনোদিন কোনো কিছু যত্ন করতো না। বইপত্র, খাতা পেনসিল, জুতো কাপড় কিছুই না। শুধুমাত্র যত্ন করত ঘুড়িটার। তাই ঘড়িটা যতীনকে বাঁচাবার জন্য গেছিল।
★ মাটিতে পড়তে পড়তে যতীনের কী হল ?
উত্তর : মাটিতে পড়তে পড়তে যতীনের মাথায় আঘাত লাগল, অমনি সে চমকে উঠল। মাথায় ভয়ানক যন্ত্রণা হল। দুর্বল হয়ে পড়ল। আর সে লাফালাফি, ঝাঁপাঝাঁপি করে না। একমাসে আর জুতোও ছেঁড়ে না।
★ অজানা দেশে গিয়ে যতীনের কী শিক্ষা হল ?
উত্তর : অজানা দেশে গিয়ে যতীন দেখল চারদিকে অনেক মুচি আর দরজিরা বসে আছে। মুচিরা তার ছেঁড়া চটিটা হাতে নিয়ে যত্ন করে ঝাড়তে লাগল। একজন মাতব্বর গোছের লোক যতীনকে খুব বকাবকি করল। বলল জুতোরও নাকি প্রাণ আছে। জোরে জোরে হাঁটলে জুতোদের লাগে। তাই দরজিরা আর মুচিরা মিলে যতীনকে সেলাই করালো, খেতে দিল না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করাতে করাতে যতীনের পা টনটন করে উঠল। যতীন ক্লান্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে শুয়ে পড়ল।