ঘুম ভাঙানি চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / GHUM BHANANi question answer class 4 - school book solver

Pages

Monday, 31 March 2025

ঘুম ভাঙানি চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / GHUM BHANANi question answer class 4

 



চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
ঘুম ভাঙানি
মোহিতলাল মজুমদার

লেখক মোহিতলাল মজুমদারের পরিচিতি:-
কবি মোহিতলাল মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৮ সালে।তাঁর জন্মস্থান  হুগলি জেলার বলাগড়ে। বলাগড় গ্রামে কবি মোহিতলাল মজুমদারের আদি বাড়ি। তাঁর পিতার নাম নন্দলাল মজুমদার। তাঁর রচিত
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল বিস্মরণী, স্মরগরল, হেমস্ত গোধুলি, ছন্দ চতুর্দশী, স্বপনপসারী ইত্যাদি। তাঁর লেখা প্রবন্ধগুলি হল ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য', 'জীবনজিজ্ঞাসা', 'সাহিত্য বিচার' ইত্যাদি। কবি মোহিতলাল মজুমদার শেষ জীবনে কিছুদিন ‘বঙ্গদর্শন' ও ‘বঙ্গভারতী' নামক সাময়িকপত্র সম্পাদনা করেছিলেন।

ঘুম ভাঙানি কবিতার নামকরণ সার্থকতা:-
কবি ফুটফুটে জোছনারাত্রে বিছানায় শুয়ে ঝিমি ঝিমি ঝুম ঝুম গান শুনছেন। কারা যেন এই গান গাইছে। লক্ষী মেয়ে পিটি পিটি করে চাইছে আর চাঁদ মিটিমিটি চাইছে। তাই বিছানায় শুয়ে না থেকে লক্ষ্মী মেয়ের মতো উঠে পড়ো। আমার মতে ঘুম ভাঙানি নামকরণটি যথার্থ হয়েছে বলে মনে হয়

ঘুম ভাঙানি কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা:-
জোছনা রাতে লেখক বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছেন। তিনি অনুভব করছেন কারা যেন ঝিমি ঝিমি ঝুমঝুম করে গান গাইছে। ছোট্ট লক্ষীমেয়েকে পিটিপিটি করে না চেয়ে উঠে পড়তে বলছেন। বলছেন চাঁদ মিটিমিটি চাইছে, বনভূমি নিঝঝুম হয়ে আছে। ফাল্গুন এলেই পরিরা বনে বনে ফুল বোনে। তোমরা ভাইবোনে এসো। চোখে তোমাদের ঘুম কেন? জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে লেখক দেখছেন জ্যোৎস্নার রাত। পাতাগুলো
যেন স্নান করেছে জ্যোৎস্নার আলোতে। সবুজ পাতা রুপালি হয়ে গেছে। কান পেতে শুনলে মনে হবে যেন আমরা গান গাইছি। ছোটো ছোটো লণ্ঠন গায়ে গায়ে ঠন ঠন করে দুলছে। চারদিকে যেন আলোর রোশনাই লেগেছে। আবছায়া লেখক
ভালোবাসেন ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে গান গাইতে চাইছেন। দিল কখন খুঁশ হয়ে গেছে, হুঁশ নেই। চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে জ্যোৎস্নার আবছা আলোতে জুতো মোজা পায়ে দিয়ে যেই গেছে অমনি কোথা থেকে যেন সব রোশনাই চলে গেল। পরিরা হারিয়ে গেল। গান, সুর কিছুই আর খুঁজে পাওয়া গেল না।  শ্যামাপাখি ডানায় শিশির মেখে ভোরের আলোয় ডাকাডাকি করছে। এদিকে ভোর হয়ে এসেছে আকাশে ৷বাইরেটা পুরো ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে।

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. মোহিত লাল মজুমদারের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ মোহিতলাল মজুমদারের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল— (১) হেমন্ত গোধূলি, (২) স্মরগরল।

২. তাঁর সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম লেখো ।
উঃ তাঁর সম্পাদিত দুটি পত্রিকা হল (১) বঙ্গভারতী (২) বঙ্গদর্শন  ।

৩. পূর্ণিমায় ফুটফুটে জোছনা যেমন, তেমনই....…
অন্ধকার, অমাবস্যায়।

উঃ পূর্ণিমায় ফুটফুটে জোছনা যেমন, তেমনই ঘুটঘুটে অন্ধকার, অমাবস্যায় ।

"৪. ‘পিটিপিটি' ও ‘মিটিমিটি' তাকানোর অর্থ হল
.......ও.........

উঃ ‘পিটিপিটি’ ও ‘মিটিমিটি' তাকানোর অর্থ হল পিটপিট করে চাওয়ামিটমিট করে চাওয়া।

৫. ‘লক্ষ্মীটি' শব্দটি কবিতায় যে অর্থে ব্যবহার হয়েছে কোনো শিশুকন্যার উদ্দেশে।

. কবিতায় কিছু শব্দ উচ্চারণে তার মূল চেহারা থেকে বদলে গেছে। বদলে যাওয়া চেহারার পাশাপাশি মূল শব্দগুলি লেখো :
জোছনা- জ্যোৎস্না।
শ্যামাপাখি—শ্যামাপাখি।
বিছনা—বিছানা।
আবছায়—আবছা ।
নিবে—নিভে।
নিঝঝুম—নিঃঝুম।


৭. কবিতা থেকে ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে তা দিয়ে স্বাধীন বাক্য রচনা করো :
উঃ ঘুম ঘুম- মা ঘুম ঘুম চোখে টিভি দেখছিল
ছোটো ছোটো -ছোটো ছোটো ছেলেরা সারাদিন খেলতে চায়
গায়ে গায়ে— শহরে অনেকবারই গায়ে গায়ে লেগে থাকে
চুপি চুপি - চুপি চুপি আসে।
ভয়ে ভয়ে - ভয়ে ভয়ে আম বাগানটি পার হলাম ।
ফুটফুটে— ফুটফুটে চাঁদের আলো সকলের কাছে প্রিয়।।
ঝুম ঝুম - পায়ে নূপুর পড়লে হাঁটার সময় ঝুমঝুম শব্দ হয়।
বনে বনে— শিকারিরা সারাদিন বনে বনে ঘুরে বেড়ায়।

ঝিমিঝিমি- সকালে বৃষ্টি না হলে দিদির মাথাটা ঝামঝিম করে।

 ★+ বিপরীত শব্দ ঃ অল্পবয়সি বেশি বয়সি। দখল-বেদখল। 

শহরে- গ্রামে। উপায় — নিরুপায়। ভেঙে—গড়ে। বন্ধ খোলা ।

মুক্ত—বন্ধ। স্বাধীন-পরাধীন। কম-বেশি। সুখে-দুঃখে। সাদা-কালো। আকাশ-পাতাল। প্রবেশ—বাহির।

* বাক্যরচনা : সাংঘাতিক—রহিম একেবারেই ভূতের গল্প শুনে ভয় পায় না কারণ তার সাংঘাতিক সাহস।

শহর-শহরের নানান কোলাহল গ্রামের মানুষেরা বেশিদিন সহ্য করতে পারে না।

ঠনঠন- কালিবাড়িতে ঠনঠন শব্দ করে বাজনা বাজে।
মিটি মিটি—তারারা মিটি মিটি আলো দেয় ।

৮। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও ঃ
৮.১. কবিতায় কোন্ ঋতুর কথা রয়েছে।
উঃ কবিতায় বসন্ত ঋতুর কথা বলা হয়েছে।

৮.২. গান গেয়ে কারা ডাকে?
উঃ লণ্ঠনরা গান গেয়ে ডাকে।

৮.৩. জানালায় মুখ বাড়িয়ে বাইরে কী দেখা গেল ?
উঃ জানলায় মুখ বাড়িয়ে বাইরে সাদা জ্যোৎস্না দেখা গেল।

৮.৪. পাতাগুলোকে রূপোলি লাগছে কেন ?
পিটি পিটি-বাঘ পিটি পিটি চায়।
উঃ পাতাগুলির গায়ে জ্যোৎস্নার আলো পড়ে সাদা হয়ে রয়েছে তাই পাতাগুলি রুপালি লাগছে।

৮.৫. 'ওঠো শোনো কান পেতে'—কান পাতলে কী শোনা যাবে ?
উঃ কান পাতলে গান শোনা যাবে।

৮.৬ চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে' কবিতার কথক কোন্ কাজ করতে চায়?
উঃ ‘চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে কথক জোছনার আবছায় বাইরেটা দেখতে চায় ৷

৮.৭. তাঁর উদ্দেশ্য সফল হল কি? উঃ না, তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

৯. ভিজে জবজবে-র মতো আর কোন্ কোন্ শব্দ পাশাপাশি পাতায় লিখতে পারো তা কবিতাটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ ফুটফুটে জোছনায় ৷ চাঁদ চায় মিটিমিটি। ফাল্গুনে বনে বনে। চোখে কেন ঘুম ঘুম । গায়ে ঠন ঠন। চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে ।
শোনা যায় ফুর ফুর। বাতাসের ঝুর ঝুর। করছিল ডাকাডাকি।
জঙ্গল— গভীর জঙ্গলে বাঘ, সিংহ থাকে।

১০. নীচের পঙক্তিগুলিতে ‘বনে’, ‘বোনে’, ‘বোনে' শব্দ তিনটি উচ্চারণে এক হলেও অর্থে আলাদা। এই তিনটি শব্দের অর্থ লেখো এবং তা দিয়ে বাক্যরচনা করো।
ফাল্গুনে বনে বনে— এখানে বনের অর্থ হল জঙ্গলে।
পরিরা যে ফুল বোনে—এখানে বোনে মানে তৈরি করে।
চলে এসো ভাই বোনে—এখানে বোনে মানে ভগিনী।



১১. গায়, চায়, বাসি, নায়, ঘোর, সুর— এই শব্দগুলিকে।দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা আলাদা বাক্য লেখো।
গায়- পুজোয় ছেলেটির গায় নতুন জামা ।
গায় — ট্রেনে একতারা বাজিয়ে মানুষকে ভালো গান গায় ।
বাসি – বাসি খাবার খেলে পেটের গোলমাল হয়।
বাসি - আমি মাকে খুব ভালোবাসি ।

চায়—মেয়েটি স্কুলে প্রথম হতে চায় চায়।
চায়— চাঁদ পিটি পিটি চায়।

নায়—মাঝিরা নায় নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
নায়—ছেলে মেয়েরা পুকুরে নায় ।

ঘোর- নেশার ঘরে এসে রাস্তায় পড়ে গেল।
ঘোর- পাহাড়ের ঘোর ঘোর পথ খুব ভয়ানক ।।

সুর- গানের সুর তাল বজায় রাখা দরকার।
সুর—মেয়েটির গলায় গানের সুর আছে।

১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১২.১. কবিতার কথক রাত জেগে বাইরে কী দেখে?
উঃ কবিতায় কথক রাত জেগে বাইরে দেখে জোছনার রুপোলি আলোয় গাছের পাতা রুপালি হয়ে গেছে।
১২.২. কবিতায় বর্ণিত বনভূমি নিঝঝুম কেন?

উঃ রাত তখন অনেক। জ্যোৎস্না রাতে চাদ মিটি মিটি চাইছে।  সবাই ঘুমোচ্ছে। বনভূমিও ঘুমোচ্ছে। তাই বনভূমি নিঝঝুম।

১২.৩. ‘মোরা আছি গানে মেতে'—এখানে 'মোরা' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা গান গেয়ে কী বলছিল?
উঃ এখানে ‘মোরা” বলতে লণ্ঠনদের কথা বলা হয়েছে।
তারা গান গেয়ে  বলছিল ঝকঝকে পল্টন, আমোদের রোশাই।

১২.৪. কথক চুপি চুপি জুতোমোজা পায়ে দিয়ে বাইরে যেতে কী ঘটনা ঘটল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ কথক চুপি চুপি জুতো মোজা পায়ে দিয়ে বাইরে যেতে তিনি দেখলেন  আলোদের রোশনাই নিবে গেছে, পরিদের কোনো খোঁজ নেই। কোথাও সুর নেই, গান নেই। শোনা যাচ্ছে বাতাসের ফুরফুর শব্দ।  শ্যামা পাখি ভোর হয়েছে জানান দিচ্ছে।আকাশটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

১২. ৫. এমনই কোনো এক জ্যোৎস্না রাতে জানালা দিয়ে চাঁদের আলো এসে তোমার বিছানায় পড়ছে। তোমার ঘুম আসছে না। এই জ্যোৎস্না রাতে তোমার নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তুমি কয়েকটি বাক্য লেখো
উঃ  আমি বিছানায় একদিন শুয়ে আছি। জানলা দিয়ে চাঁদের আলো আমার বিছানার ওপর এসে পড়েছে। আমি আপন মনে চাঁদের শোভা জানলা দিয়ে উপভোগ করছিলাম‌ আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল একটা বাগান। সেই বাগানে আম গাছের উপর সুন্দর চাঁদের আলো এসে পড়েছিল। যেন দিনের মতো দেখাচ্ছিল খুব ভালো লাগছিল আমার। আর ছিল ছোট্ট একটা পুকুর। পুকুরে জলের উপর চাঁদ যেন খেলা করছিল। কেঁপে কেঁপে উঠছিল তার আলোটা। অনেক রাত পর্যন্ত আমি এই সুন্দর দৃশ্য দেখছিলাম। তারপর চাঁদ আস্তে আস্তে জানলার থেকে সরে গেল ।আর চাঁদের আলো কমে এলো। আমি আর তখন মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়লাম।



হাতে কলমের বাইরে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর

★ লণ্ঠন কারা ব্যবহার করে?
উত্তর : পাহারাদাররা লণ্ঠন ব্যবহার করে।
★ কে আবছায়া ভালোবাসে ?
উত্তর : কথক আবছায়া ভালোবাসেন।

★ কথক বাইরে এসে কী দেখলেন?
উত্তর ঃ কথক বাইরে এসে দেখলেন কই গান? কই সুর? শুধু শোনা যাচ্ছে বাতাসের ফুর ফুর শব্দ। বাইরেটা একদম ফ্যাকাশে।
★  কোন্ মাসে পরিরা ফুল বোনে?
উত্তর ঃ ফাল্গুন মাসে পরিরা ফুল বোনে।

★ ডানায় শিশির মেখে কে ডাকাডাকি করছে?
উত্তর ঃ শ্যামাপাখি ডানায় শিশির মেখে ডাকাডাকি করছে।

★ পাতাগুলো রুপালি মনে হচ্ছে কেন?
উত্তর : রাতটা ছিল জ্যোৎস্নার রাত। জ্যোৎস্নার আলো এসে পড়েছে সবুজ পাতার ওপর। তাই সবুজ পাতাগুলো রুপালির মতো চক চক করছে।
:

★  কবি কী সত্যিই জেগে জেগে এসব দেখেছিলেন? নাকি স্বপ্ন দেখেছিলেন তা লেখো।
উত্তর ঃ কবি জোছনার রাতে শুয়েছিলেন বিছানায়। প্রথমে তিনি জেগেই ছিলেন আর জ্যোৎস্নামুখর রাতকে খুব ভালোভাবে উপভোগ করছিলেন। কখন যে তাঁর চোখ লেগে গেল তা তিনি নিজেই জানেন না। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কবি জ্যোৎস্না রাতের অনেককিছুই দেখলেন, শুনলেন। বাইরেটা এসে দেখারও চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি যখন বাইরে এলেন, দেখলেন বাইরেটা
ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে। চাঁদের জোছনাও আর নেই। ভোর হয়ে আকাশ সাদা হয়ে গেছে। শ্যামা পাখি গাছে গাছে ডাকছে।

★ রাতটা কেমন ছিল?
উত্তর : রাতটা ছিল জোছনার রাত।
★ শ্যামা পাখি কী করছিল?
উত্তর ঃ শ্যামা পাখি ডানায় শিশির মেখে ডাকাডাকি করছিল। কারণ আকাশে ভোর হয়ে এসেছে। ভোরের আকাশেই শ্যামাপাখি ডাকাডাকি করে।

★ কবি ঘুমভাঙানি কবিতায় কী কী অনুভব করলেন ?
উত্তর ঃ কবি ঘুমভাঙানি কবিতায় জোছনার রাতকে অনুভব করলেন। তিনি অনুভব করলেন বনে যেন কারা গান গাইছে, বনভূমিটা নিঝঝুম হয়ে আছে। চাঁদ মিটিমিটি করে চাইছে। পরিরা ফাল্গুন মাসে বনে বনে ফুল বোনে। কবি আরও দেখলেন পাতাগুলো সব রুপালি হয়ে গেছে। লণ্ঠনরা গায়ে গায়ে ঠন ঠন করে আওয়াজ করছে। কান পেতে শুনলে মনে হবে ওরা বলছে আমরা গানে মেতে আছি।