হ য ব র ল ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের / HA JA BA RA LA question answer
![]() |
হ য ব র ল
সপ্তম শ্রেণি বাংলা
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
১.১. কোথায় রুমালটা বেড়াল হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর। রুমালটা গাছতলার ছায়ার মধ্যে বেড়াল হয়ে গিয়েছিল।
১.২ শেষ পর্যন্ত সে কোথায় চলে গেল ?
উত্তর। শেষ পর্যন্ত সে বাগানের বেড়া অতিক্রম করে পালিয়ে গেল।
১.৩ কে চেঁচিয়ে বলেছিল 'মানহানির মোকদ্দমা' ?
উত্তর। একটা তকমা আঁটা পাগড়ি বাঁধা কোলা ব্যাং তার রুল উচিয়ে মানহানির মোকদ্দমা' কথটি বলেছিল।
১.৪ কার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হল ?
উত্তর।'ন্যাড়ার' তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল
১.৫ কাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না যে “মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত"?
উত্তর। হিজি বিজবিজকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না সে "মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচানো ভূত।”
২. নীচের শূন্যস্থান পূরণ করো এবং পূরণ করা শব্দ দিয়ে বাক্যরচনা করো :
২.১ আমার নাম শ্রী ব্যাকরণ শিং, বি. এ. খাদ্যবিশারদ।
খাদ্যবিশারদ : খাবার বিষয়ে রামবাবুর বিরাট অভিজ্ঞতা, তাই তাকে সকলে খাদ্যবিশারদ বলে।
২.২ তার জুতোর নাম ছিল অবিমৃষ্যকারিতা। তার ছাতার নাম ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব তার গাড়ুর নাম ছিল পরমকল্যাণবরেষু কিন্তু যেই তার বাড়ির নাম দিয়েছে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অমনি ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটাড়ি সব পড়ে গিয়েছে।
অবিমৃষ্যকারিতা—আমাদের সমাজে বহু মানুষ অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দেয়।
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব—ছেলেটির প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের জন্য যে সকলের কাছে সমাদৃত।
পরমকল্যাণবরেষু—রবীনবাবু তার পরমকল্যাণবরেষু পুত্রকে সবসময় মাথায় করে রাখেন।
কিংকর্তব্যবিমূঢ়—বিপদের সময় আমাদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে না পড়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করা উচিত।
২.৩ কুমির সেই প্রকান্ড বই দিয়ে তার মাথায় এক থাবড়া মেরে জিজ্ঞাসা করল, “দলিলপত্র, সাক্ষিটাক্ষি কিছু আছে”।
উত্তর। দলিলপত্র – আমাদের বাড়িজমির দলিলপত্র আমার বাবার আলমারিতে থাকে।
সাক্ষিটাক্ষি—চুরির আসামির সপক্ষে কেউ সাক্ষিটাক্ষি দিতে রাজি হল না।
২.৪ মানহানির মোকদ্দমা, চব্বিশ নম্বর।
মোকদ্দমা—আমাদের জমিজমা নিয়ে আদালতে মোকদ্দমা চলছে।
২.৫ আমি বললাম, কই না, কীসের বিজ্ঞাপন।
উত্তর। বিজ্ঞাপন–বর্তমান যুগে বিজ্ঞাপন ব্যাবসা বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
২.৬ পয়সার নামে হিজি বিজবিজ তড়াক করে সাক্ষি দিতে উঠেই ফ্যাকফ্যাক করে হেসে উঠল।
সাক্ষি—একজন নিরপরাধ মাস্টারমশাইকে বাঁচাতে বহু লোক সাক্ষি দিতে এল।
২.৭ মস্ত ছুঁচো একটা বিশ্রী নোংরা হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করতে লাগল।
বিশ্রী—শবদেহের বিশ্রী গন্ধে ঘরে টেকা দায় হয়ে পড়েছে।
২.৮ শজারু ক্যাঙ্গারু দেবদারু সব হতে পারে, মজারু কেন হবে না।
মজারু—আমরা কেউ মজারুর দেশ দেখিনি।
৭.৯ ইমারত খেসারত দলিল দস্তাবেজ।
দলিল—আমাদের বাড়ি এবং জমিজমার দলিলপত্র বাবা যত্ন করে রেখেছেন।
৭.১০ হুজুর তাহলে বাদুড়গোপালকে সাক্ষি মানতে আজ্ঞা হোক।
বাদুড়গোপাল—বাদুড়গোপাল হল এক মজার চরিত্র যে সকলকে আনন্দ দেয়।
৩. বিশদে উত্তর দাও :
৩.১. হিজি বিজ বিজ কে? তার একটি গল্প নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর। হিজি বিজ বিজ হল এক অদ্ভুত প্রাণী যে মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত তা বোঝা যায় না। এ প্রাণীটি কেবলমাত্র অবাস্তব বিষয়ের উল্লেখ করতে সক্ষম এবং হাত-পা ছুঁড়ে হাসতে জানে।
তার একটি গল্প হল যে যদি পৃথিবীটা চ্যাপটা আকৃতির হত তাহলে সব জল গড়িয়ে এসে ডাঙায় পড়ত। তখন ডাঙার সব মাটি খুলিয়ে প্যাচপ্যাচে কাদা হয়ে যেত। আর পৃথিবীর সব লোক সেই কাদায় ধপাধপ কাছাড় খেয়ে পড়ত। এরকম আজগুবি গল্প বলা এবং হাসা তার স্বভাবের বৈশিষ্ট্য।
৩.২ কাক্কেশ্বর কুচকুচে কোথায় থাকে? তার পরিচয় কী?
উত্তর। কাক্কেশ্বর কুচকুচে ৪১নং গেছোবাজার, কাগেয়াপট্টিতে থাকে। সে হিসেবে বেহিসেবি খুচরা ও পাইকারি সবরকম গণনাসংক্রান্ত কাজ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে থাকে। এই গল্পে আমরা তাকে সদাসর্বদা স্লেট পেনসিল নিয়ে হিসাবসংক্রান্ত কাজ করতে দেখি। তার কাছে সময়ের মূল্য খুব বেশি।
৩.৩. উধো আর বুধোর কীর্তিকলাপ নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর। উষো আর বুধো হল হ য ব র ল গল্পের অন্যতম দুটি মজার চরিত্র। তাদের দুজনকে দেখতে প্রায় একইরকম। বুধোকে প্রথমে আমরা দেখি গাছের কোটর থেকে উধোর প্রশ্নের জবাব দিতে। পরে অবশ্য সে উদোর ডাকে কোটর থেকে বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সে এক প্রকাণ্ড বোঁচকার নীচে চাপা পড়ে হাত-পা ছুড়তে থাকে। তখন
বুধো তাকে না তুলে নিজেই বোঁচকার উপর চেপে বসে হুঁকো দিয়ে তাকে মারতে আরম্ভ করে। এর মধ্যে বুধো কোনো রকমে উঠে বসে এবং দুজনে ভীষণ মারপিট করতে লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যে উঠো মাটিতে চিৎপাত হয়ে পড়ে যায় । বুধো যন্ত্রণায় তার টাকে হাত বুলোতে থাকে। পরিশেষে দুই ভাই একে অপরের চিন্তায় কাঁদতে থাকে । এর পর কোলাকুলি করে খুশি মনে গাছের কোটরে ফিরে যায়। এভাবে এই চরিত্র দুটি নির্মল হাস্যরসের সৃষ্টি করে।
৩.৪. হ য ব র ল বইটির নাম এরকম কেন? তোমার কি নামটি ভালো লেগেছে? ভালো বা মন্দ লাগার কারণ জানাও।
উত্তর। গল্পটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোন ধারাবাহিক মিল নেই । মাঝে মাঝে বিভিন্ন চরিত্র এখানে ঢোকানো হয়েছেরে এবং হাসির ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে । তাই গল্পটির নাম হ য ব র ল হয়েছে ।হ য ব র ল একটি বাংলা প্রবচন যার অর্থ হল এলোমলো অর্থহীন কার্যকলাপ।
হাঁ,আমার নামটি খুবই পছন্দ হয়েছে।
গল্পটি আমার ভালো লাগার কারণ, গল্পটি এক নতুন ধরনের স্বাদ এনে দেয়। গল্পটি খুবই মজার কাহিনী দিয়ে তৈরি। গল্পের চরিত্রাবলি, তাদের কার্যকলাপ এবং পোশাক পরিচ্ছদ সবই অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন। সাধারণত স্বপ্নে দেখা বিষয়ের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল দেখা যায় না। গল্পের চরিত্র, কাকেশ্বর, উধো বুধো হিজ বিজ বিজ্, ব্যাকরণ শিং ইত্যাদির নাম ও কাজ অর্থহীন, অসংলগ্ন এবং নির্বোধতুল্য। জীবজন্তুদের কথোপকথন এবং মানুষের মতো আচরণ আমাদের বিস্ময় এবং কৌতুক জাগায়।
৩.৫ হযবরল বইটিতে কোন্ চরিত্রকে তোমার সবথেকে ভালো লগেছে? কেন ভালো লাগল, সে বিষয়ে বলো।
উত্তর। হ য ব র ল গ্রন্থের মজার চরিত্র হিজি বিজ বিজকে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তার শারীরিক গঠন এবং হাস্যরস কথাবার্তার জন্য ।
হিজি বিজবিজকে দেখতে একটা জন্তুর মতো কিন্তু সে মানুষ না বাঁদর। প্যাঁচা না ভূত কিছুই বোঝা যায় না। তার কাজ হল সর্বদা হো হো করে হাসা। সে নানা উদ্ভট কাহিনি কল্পনা করে থাকে। সে শুধু হাত-পা ছুড়ে বলে—‘গেল গেল—নাড়িভুঁড়ি সব ফেটে গেল।” কখনও সে মনে করে পৃথিবী চ্যাপটা হলে সব জল গড়িয়ে ডাঙায়
এসে পড়ত এবং ডাক্তার মাটি কাদায় পরিণত হতে আর সকলে সেখানে আছাড় খেত। সে বলে তার বাড়ির সকলের নাম হিজি বিজ বিজ আবার কখনও সেই নাম বদলে তাই হয়ে যায়। এভাবে অর্থহীন কথা বলে দম ফাটা হাসির ফোয়ারা তোলে এই চরিত্রটি। এসব কারণের জন্য আমার হিজি বিজ বিজ চরিত্রটাকে সবথেকে ভালো লেগেছে।