সপ্তম শ্রেণি বা মেঘ চোর গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Megh chor story question answer class 7 bangla
![]() |
সপ্তম শ্রেণীর
বাংলা সাহিত্য
গল্প : মেঘ চোর
লেখক ঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচিতি : লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস হল ‘আত্মপ্রকাশ' আর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল 'একা এবং কয়েকজন'। কবি হিসেবেও তাঁর খ্যাতি অসামান্য। বড়োদের পাশাপাশি ছোটোদের মহলেও তিনি সমান জনপ্রিয়। তাঁর প্রথম কিশোর-উপন্যাস ‘ভয়ংকর সুন্দর’। ‘নীললোহিত’, ‘সনাতন পাঠক’, ‘নীল উপাধ্যায়’ ইত্যাদি ছদ্মনামে অনেক লেখা তিনি লিখেছেন। ‘আনন্দ পুরস্কার’, ‘বঙ্কিম পুরস্কার’, ‘সাহিত্য একাদেমি' সহ নানা পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘মনের মানুষ’, ‘অর্জুন’, ‘অরণ্যের দিন-রাত্রি’ ছাড়াও দু'শোর বেশি গ্রন্থ তিনি লিখেছেন। তার রচনাগুলি চলচ্চিত্র, বেতার ও টেলিভিশনের পর্দায় রূপায়িত হয়েছে এবং পৃথিবীর নানা ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ২০১২ সালে এই প্রখ্যাত লেখকের জীবনাবসান হয়।
মেঘ চোর রচনা পরিচয় : মেঘ এবং মেঘ থেকে সৃষ্টি হওয়া বৃষ্টি। পৃথিবীতে প্রাণের বেঁচে থাকার অন্যতম শর্ত। আবার এই বৃষ্টি বেশি হলে তা প্রাণহানিরও কারণ হয়ে ওঠে । গল্পটিতে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি ঝরানো। এবং তা নিয়ে নানা দেশের মধ্যে টানাপোড়েন সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে এসেছে। তাই গল্পটির নাম ‘মেঘচোর' প্রাসঙ্গিক।
মেঘ চোর গল্পের সারসংক্ষেপ : পুরন্দর চৌধুরি বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। তিনি সাহারায় এক মাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সোরগোল ফেলেছেন। কিন্তু তাঁর এই কাজের সমালোচনাও হয়েছে। তাঁর এই দক্ষতার ক্ষমতা ধরে রাখতে না-পেরে তিনি যেন ক্রমশ উন্মাদ হয়ে উঠছেন। তিনি অন্যদেশ থেকে মেঘ তাড়িয়ে এনে সাহারায় বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। একে মেঘ চুরি বলা হয়। তাঁর ধারণা তিনি সর্বশক্তিমান। যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। তিনি শ্রেভার লেকের জল শুকিয়ে দিয়ে মেঘ তৈরির পরিকল্পনা করেন। সেই কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত করেন আর-এক বিজ্ঞানী কারপভের মেয়ে অসীমা। সে পৃথিবীর জল পৃথিবীতে ধরে রাখাটাকেই ভালো বলে মনে করে। সে কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে পুরন্দর চৌধুরির
রকেটকে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এনে তাঁর তৈরি নতুন অ্যালয়কে নষ্ট করে দেয়। তার ফলে পৃথিবীর জল বেঁচে যায়।
শব্দার্থ ঃপুরন্দর—ইন্দ্র।
তুষারযুগ—হিমযুগ।
যুগান্তকারী—নতুন যুগ শুরু
দিগবিজয়—সর্বদিক বা নানাদেশ জয়।
এয়ারকন্ডিশনড—শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, বাতানুকূল।
রকেট—পৃথিবীর অভিকর্ষের টান ছাড়িয়ে মহাশূন্যে যাওয়ার দ্রুতগামী যান।
কম্পিউটার—যন্ত্রগণক।
নিশ্চিহ্ন—অদৃশ্য, উধাও।
প্রমাণিত—প্রমানের সাহায্যে যথার্থ বলে জানা। মৌলিক—নিজস্ব।
বেআইনি—আইন সম্মত নয় এমন।
মার্কারি—পারদ।
অ্যালয়—ধাতুসংকর।
এয়ারটাইট—বায়ু নিরোধক।
স্পাই—চর, গোয়েন্দা।
সকেট—কোটর।
অকেজো—অকর্মণ্য, অব্যবহার্য।
নিরুদ্দেশ—নিখোঁজ।
রহস্য—মর্ম/গুপ্ত তথ্য।
ঝুঁকি—বিপদের ভয়।
মহাবিপর্যয়—প্রলয়।
লুপ্ত সভ্যতা—যে সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যায় না।
হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. সন্ধি করো :
বৃষ + তি—বৃষ্টি।
গো + এষণা—গবেষণা।
আবি + কার—আবিষ্কার।
অপ + ইক্ষা—অপেক্ষা।
পরি + ঈক্ষা—পরীক্ষা। কিম্ + তু—কিন্তু।
২। সন্ধিবিচ্ছেদ করো : নিরুদ্দেশ, বিয়োগ, উত্তাপ, নির্জন, যুগান্ত।
উঃ। নিরুদ্দেশ—নিঃ + উদ্দেশ।।
বিয়োগ—বি + যোগ।
উত্তাপ–উৎ + তাপ।
নির্জন–নিঃ + জন।
যুগান্ত—যুগ + অন্ত।
৩। নীচের শব্দগুলোতে ব্যবহৃত নঞর্থক উপসর্গগুলো দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো।
উঃ। উপসর্গ যেমন নতুন শব্দ
অ -অজানা- অতুল, অধৈর্য ,অবুঝ
নি- নির্জ--নিপুন, নিকট ,নিরস,
বি -বিলাস- বিপুল ,বিপদ, বিদেশ ,,বিনয়।
নিঃ- নিঃশ্বাস ,নিস্তব্ধ, নিঃসঙ্গ, নিশ্চিন্ত।
বি-বেচারা- বেসামাল ,বেকার ,বেকার।
৪. নঞর্থক উপসর্গ ছাড়া অন্যান্য উপসর্গের ব্যবহারে তৈরি শব্দও এই গল্পে কম নেই। এখানে সেই ধরনের একটি করে শব্দ দিয়ে দেওয়া হলো। প্রতিটি উপসর্গ দিয়ে তৈরি আরও পাঁচটি করে শব্দ লিখতে হবে তোমাকে।
উত্তর-
উপসর্গ যেমন নতুন শব্দ ।
প্র প্রশংসা - প্রবল, প্রচন্ড, প্রমাদ, প্রমান ।
আ আলপনা-,আসল, আনন্দ, আগমন।
বি বিচলিত-, নির্দেশ, বিজন, বিজ্ঞানী।
প্রাক প্রতিআসিক - প্রাক্তন, প্রাক দৃশ্য, প্রাক বসা।
সম সংক্ষেপ -সংসদ, সংবিধান, সংকলন ।
অধি- অধিকার- অধিবেশন ,অধিগ্রহণ, অধিকৃত। অধিকরণ
৫. ‘অসীমা বলল না তা নয় এক বিশাল মেঘ নিয়ে আকাশে-আকাশে ফেরিওয়ালার মতন ঘুরছেন’ আর “আমি তো মেঘের ব্যবসাদার নই”—উদ্ধৃতাংশটিতে ‘ফেরিওয়ালা’ ও ‘ব্যবসাদার’শব্দ দুটি পাচ্ছি। এই ‘ওয়ালা' এবং 'দার’ অনুসর্গ দুটি ব্যবহার করে অন্তত পাঁচটি করে নতুন শব্দ বানাও।
উঃ।
ওয়ালা-টোটো ওয়ালা,মাছওয়ালা, মাছ ওয়ালা , গানওয়ালা, সবজিওয়ালা, ফুলওয়ালা।
দার— বাজনদার ,জমিদার, মজাদার ,পাহারাদার।
৬. এই গল্পটিতে অজস্র শব্দদ্বৈত ব্যবহৃত হয়েছে। কোটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বুঝে নিয়ে অথবা গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নীচের খোপগুলোতে শব্দবাক্স থেকে শব্দ নিয়ে সঠিক স্থানে বসাও। একটি করে উদাহরণ দিয়ে দেওয়া হলো :
খালবিল, গাছপালা, হইচই, ঠিকঠাক, আত্মীয়স্বজন, জল্পনা-কল্পনা, খোঁড়াখুঁড়ি, ঝকঝক, জীবজন্তু, একটু একটু, হা হা, যোগ বিয়োগ, খোঁজাখুঁজি, নিজে নিজে, মেঘ-মেঘ, চ্যাঁচামেচি, মাঝে মাঝে, কমে বাড়ে, পরে পরে, কোথাও কোথাও, বোমা-টোমা, কিছু কিছু, উড়িয়ে উড়িয়ে, মুচকি মুচকি, সত্যি সত্যি, টলটলে, এদিক ওদিক, জানলাটানলা।
উড়িয়ে উড়িয়ে, পরে পরে, মুচকি মুচকি, সত্যি, সত্যি, নিজে নিজে।
দ্বিরুক্তি-অর্থে--
ঈষদর্থে / সাদৃশ্য-অর্থে-মেঘ-মেঘ, একটু-একটু, কোথাও-কোথাও, কিছু-কিছু,।
প্রকৃত শব্দ বিকৃত শব্দে-হইচই, খোঁড়াখুঁড়ি, খোঁজাখুঁজি, বোমা-টোমা, ঠিকঠাক, জানলা-টানলা, টলটলে, চ্যাঁচামেচি।
জীবজন্তু,আত্মীয় স্বজন, গাছপালা, জল্পনা-কল্পনা, খালবিল।
বিপরীতার্থক শব্দ যুগ্ম- যোগ বিয়োগ, কমে বাড়ে, এদিক ওদিক।
ধ্বন্যাত্মক / অনুকারাত্মক- হা হা, ঝকঝক
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
জব্দ, নিরুদ্দেশ, কারবার, লুপ্ত, নিখুঁত, কৃত্রিম, ধ্বংস, শ্রদ্ধা, অনুগ্রহ, স্থির।
উঃ। জব্দ—শায়েস্তা।
নিরুদ্দেশ—হারিয়ে যাওয়া।
কারবার—ব্যবসা।
লুপ্ত—বিলীন।
নিখুঁত—খুঁতহীন।
কৃত্রিম-নকল।
ধ্বংস—নাশ।
শ্রদ্ধা-সম্মান।
অনুগ্রহ—উপকার ।
স্থির—অনড়।
৮. নীচের শব্দগুলোর দুটি করে পৃথক পৃথক অর্থ জানিয়ে প্রত্যেকটি মানের জন্য আলাদা আলাদা বাক্য লেখো :
উঃ। | কাণ্ড—ঘটনা— আজগুবি কাণ্ডকারখানা অনেকে পছন্দ করেন না।
কাণ্ড—গাছের শরীর— শাল গাছের কান্ড খুব দামি।
বল – গোলক- বল গোল আকৃতি হয়।
বল—শক্তি— বুদ্ধি যার বল তার
যোগ—যুক্ত- আমাদের ক্লাসে একটি ভালো ছেলে যোগ হল।
যোগ—যোগব্যায়াম— বয়স কালে যোগ ব্যায়াম করা ভালো।
আলাপ-পরিচয়- ভাইয়ের বন্ধুর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ হলো।
আলাপ-আলোচনা— পড়াশোনা বিষয় নিয়ে কিছু কোন আলাপ করলাম।
ব্যাপার—(ঘটনা)— মিষ্টির দোকানের সকালে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল।
ব্যাপার—(বিষয়ে)— কালকে স্কুলে কি পড়া হয়েছিল সে ব্যাপারে আমার জানা নেই।
অঙ্ক—(গণিত)— অংক অনেকের কাছে কঠিন বিষয়।
অঙ্ক—(নাটকের পর্ব) – যাত্রা দলের দ্বিতীয় অংক দেখার পর ছেলেটি বাড়ি গেল।
পর—(অন্য)— তপনের সৎ মা তপনকে পর ভাবে।
পর−(কোনো কিছুর শেষে)— ছুটির পর খেলতে যাব।
ধার—(ঋণ)— ব্যাংক টাকা ধার দেয়।
ধার—(তীক্ষ্ণতা)— বটিতে খুব ঘা থাকার জন্য মায়ের হাত কেটে গিয়েছিল।
চেয়ে—(তুলনায়)— আমার ভাই আমার চেয়ে চার বছরের ছোট।
চেয়ে—(তাকিয়ে)— মাছরাঙ্গা জলের দিকে তাকিয়ে থাকে।
জন – (ব্যক্তি) – পুজোয় আমাদের বাড়িতে অনেক জন এসেছিল।
জন—(শ্রমিক, মজুর)— কারখানায় অনেকজন কে কাজ করতে দেখা যায়।
৯. সমোচ্চারিত/প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলোর অর্থ লিখে আলাদা আলাদা বাক্যরচনা করো :
উঃ।
চাপা—(চাপা-পড়া)— কালবৈশাখী ঝরে পড়ার কাকু গাছ চাপা পড়ে গিয়েছিল।
চাঁপা (ফুল বিশেষ)— কাকুর বাগানে অনেক চাপা ফুল ফুটে থাকে।
যোগ (যুক্ত হওয়া)— আমাদের ফুটবল টিমে আরেকজন নতুন খেলোয়াড় যোগ করলো।
যুগ (সময়ের মাপ)— অনেক যুগ আগে পৃথিবীতে বরফ ছিল।
লক্ষ (সংখ্যার একক)— আমার বাবা এক লক্ষ টাকা দিয়ে একটা গাড়ি কিনলো।
লক্ষ্য (নজর করা)— পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে আমাদের দিকে লক্ষ্য রাখেন।
দেশ (নিজের জন্মভূমি)— আমার দেশ আমার কাছে প্রিয়।
দ্বেষ (হিংসা)— ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বেষ করা ভালো নয়।
চুরি (তস্করতা)— চুরি করা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা।
চুড়ি (অলংকার)– দেব দেবীকে অনেকেই অলংকার দান করেন।
কাটা (কেটে ফেলা)— পুকুর পাড়ে তালগাছটা কাটা হলো।
কাঁটা (কণ্টক)— খালি পায়ে হাঁটতে গেলে অনেক সময় পায়ে কাঁটা ঢুকে যায়।
১০. একটি-দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
১০.১. ‘মেঘচোর'-এর মতো তোমার পড়া দু-একটি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের নাম লেখো।
উঃ। পাগলা গণেশ, লাল-নীল মানুষ।
১০.২. এই গল্পে ক-জন চরিত্র? তাদের নাম কী ?
উঃ। এই গল্পে চারজন চরিত্র। তারা হলেন- পুরন্দর, অসীমা, দিক্বিজয় এবং কারপভ।
১০.৩. ‘মেঘচোর’ কাকে বলা হয়েছে?
উঃ। ‘মেঘচোর' বলা হয়েছে পুরন্দর চৌধুরিকে।
১০.৪. পুরন্দরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উঃ। পুরন্দর চৌধুরি ছিলেন একজন নামকরা বৃষ্টিবিজ্ঞানী। অসামান্য প্রতিভাধর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অহংকারী মানুষ।তার মধ্যে অসীম সাহস ছিল।
১০.৫. অসীমা সম্বন্ধে দু-একটি বাক্য লেখো।
উঃ। অসীমা খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে এবং দক্ষ অভিনেত্রী। ইতিহাস, ভূগোল এবং কম্পিউটারেও তার জ্ঞান আছে।
১০.৬. পুরন্দর কী সাংঘাতিক কাণ্ড করেছেন?
উঃ। পুরন্দর অন্য দেশের মেঘ তাড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে একমাসে একশো ইঞ্চি বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। পুরন্দর এটাই সাংঘাতিক কাণ্ড ছিল।
১০.৭. রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ কী দাবি তুলছে?
উঃ। রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন দেশ মেঘ চুরি আইন বন্ধের দাবি তুলছে।
১০.৮. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়?
উঃ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত।
১০.৯. পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল কেন?
উঃ। কারপভের মেয়ে অসীমা কম্পিউটারের প্রোগ্রাম করে রেখে রকেটটিকে বায়ুমণ্ডলের বাইরে নিয়ে এসেছিল। রকেটটি বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে পৃথিবীর অনেক ওপরে চলে এসেছে শুনে পুরন্দরের মুখটা হাঁ হয়ে গেল।
১০.১০. জ্ঞান ফিরে পুরন্দর অবাক হয়েছিলেন কেন?
উঃ। জ্ঞান ফিরে পুরন্দর বিদেশের মাটিতে। একটি বাঙালি মেয়েকে তার সেবা করতে দেখে অবাক হয়েছিলেন।
১০.১১. দিগ্বিজয় কে ছিলেন?
উঃ। দিগবিজয় ছিলেন পুরন্দরের ভাই। ।
১০.১২. গল্পের ঘটনা যখন ঘটছে তখন চরিত্রগুলো কোথায় ছিল?
উঃ। গল্পের ঘটনা যখন ঘটছে তখন চরিত্রগুলো রকেটে আলাস্কার আকাশে ছিল।
১০.১৩. ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন কী দেখা যাচ্ছিল ?
উঃ। ইগলুর পরিবর্তে সেখানে তখন বড়ো বড়ো এয়ারকন্ডিশনড বাড়ি দেখা যাচ্ছিল।
১০.১৪. কেন বলা হয়েছে অসীমা ‘ভূগোলও বেশ ভালো জানে'?
উঃ। অসীমা আকাশ থেকে মেরু অঞ্চলের পাহাড় এবং হ্রদকে নিখুঁতভাবে চিনতে পেরেছিল। তাই বলা হয়েছে অসীমা ভালো ভূগোল জানে।
১০.১৫. কে কোথা থেকে কোথায় মেঘ এনেছিল?
উঃ। পুরন্দর চৌধুরী সাইবেরিয়া থেকে সাহারায় মেঘ এনেছিল।
১০.১৬. তুষার যুগ কাকে বলে?
উঃ। বহু বছর আগে পৃথিবী তুষারে ঢেকে গিয়েছিল একে তুষার যুগ বলে। ।
১০.১৭. পৃথিবী থেকে কত জল সারাবছর বাষ্প হয়ে উড়ে যায়?
উঃ। পৃথিবী থেকে পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল সারাবছর বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।
১০.১৮. মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার কেন?
উঃ। মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাই মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার।
লেখকদের জল্পনা কল্পনা ।
১০.১৯. আটলান্টিস কী?
উঃ। গ্রিক পুরাণে বর্ণিত শহর। সেখানে ছিল এক লুপ্ত সভ্যতা।
১০.২০, পুরন্দরের মতে আটলান্টিসের অবস্থান কোথায়?
উঃ। পুরন্দরের মতে লেক শ্রেভারের নীচে আটলান্টিসের অবস্থান।
১০.২১. সাইবেরিয়া কোথায়?
উঃ। সাইবেরিয়া রাশিয়া মহাদেশে অবস্থিত।
১০.২২. অসীমা কেন পুরন্দরকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে?
উঃ। যেসব দেশে বৃষ্টি কম তাদের কয়েক টুকরো মেঘ বিক্রির কথা পুরন্দর বলায় অসীমা তাকে ফেরিওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করেছে।
১০.২৩. অ্যালয় কী ?
উঃ। অ্যালয় হল পুরন্দরের তৈরি ধাতু সংকর। মার্কারির সঙ্গে আরও এগারোটি ধাতু মিশিয়ে পুরন্দর এই নতুন অ্যালয়টি তৈরি করেছিলেন।
১০.২৪. পুরন্দরের তৈরি গোলকটিতে আছে এমন কোন্ ধাতুর নাম গল্পে পেলে?
উঃ। মার্কারি বা পারদ ।
১০.২৫. পুরন্দরের তৈরি গোলকটি এয়ারটাইট রাখা হয় কেন?
উঃ। বাতাসের জলকণার সংস্পর্শে এলে গোলকটি গরম হয়ে যায়, তাই সেটিকে এয়ারটাইট রাখা হয়।
১০.২৬. ‘প্রকৃতিকে ধ্বংস করা একটি অপরাধ’–কে, কাকে, কখন বলেছে?
উঃ। অসীমা কথাটি পুরন্দরকে বলেছে। যখন পুরন্দর চৌধুরি আলাস্কার শ্রেভার লেকের জলকে মেঘে পরিণত করতে চাইছিল তখন অসীমা এই কথা বলেছিল।
১০.২৭. অসীমার প্রকৃত পরিচয় কী?
উঃ। অসীমা বিজ্ঞানী কারুপভের মেয়ে, তার মা ছিলেন বাঙালি মেয়ে। সে একজন ইতিহাসের ছাত্রী। আমেরিকার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে কম্পিউটার সম্বন্ধেও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
১০.২৮. ‘তাহলে আমরা গুঁড়ো হয়ে যাব’–কে, কাকে, কেন বলেছে?
উঃ। অসীমা পুরন্দরকে বলেছে। কারণ তারা তখন বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাশূন্যে ছিল এবং পুরন্দর রকেটের জানালা খুললে তারা গুঁড়ো হয়ে যেত।
১০.২৯. অসীমার বিশেষ আগ্রহ কোন্ বিষয়ে ?
উঃ। অসীমার বিশেষ আগ্রহ কম্পিউটার বিষয়ে।
১০.৩০. ‘পৃথিবীর জল যেমন আছে তেমনই থাকুক'–কে, কখন এই কথা বলেছে?
উঃ। অসীমা পুরন্দরের হাত থেকে গোলকটিকে মহাশূন্যে ফেলে দিয়ে বলেছিল ওটা মহাশূন্যেই থাক।
১১. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১. এই গল্পে কাকে কেন ‘মেঘচোর' বলা হয়েছে? তার মেঘ-চুরির কৌশলটি সংক্ষেপে লেখো।
উঃ। এই গল্পে বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরিকে মেঘচোর বলা হয়েছে।
তিনি এক দেশশ থেকে মেঘ এনে অন্য দেশে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিলেন বলে তাকে উদ্ধার মেঘচোর বলা হয়েছে। বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি একস্থানে উৎপন্ন মেঘকে বৈজ্ঞানিক কুশলতার সাহায্যে অন্য স্থানে নিয়ে যান। এই পদ্ধতি একমাত্র তিনিই পারতেন। সেই স্থানে নিয়ে গিয়ে তিনি সেখানকার আকাশের উপর মেঘকে রেখে তার আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেন । জলীয়বাষ্প বেশি হয়ে গেলে মেঘ স্বভাবতই বৃষ্টির আকারে সেখানে ঝরে পড়ে। এইভাবে তিনি মেঘ চুরি করেন।
১১.২. “বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অমিতবল, কিন্তু অযোগ্য মানুষের হাতে সেই ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক ও প্রাণঘাতী – পঠিত গল্পটি অবলম্বনে উপরের উদ্ধৃতিটি বিশ্লেষণ করো।
উঃ। বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী। আকাশের মেঘ যেন তাঁর বশীভূত। কিন্তু এই পুরন্দর চৌধুরি ক্ষমতাবলে অন্ধ হয়ে গিয়ে শ্রেভার লেককে শুকিয়ে দিয়ে মেঘে পরিণত করতে চান। তিনি বৃষ্টি দিয়ে সাইবেরিয়ার বরফ বাড়িয়ে দিতে চান। তিনি চান আকাশের সব মেঘকে একত্রিত করে তাঁর কাছে প্রার্থনা করা মানুষদের আবেদন অনুসারে এক এক জায়গায় বৃষ্টিপাত ঘটাতে। এই সকল কাজের ফল প্রকৃতির উপর যে কত বড়ো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন। তাই উক্তিটির সত্যতা এখানে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।
১১.৩. পুরন্দর চৌধুরির চরিত্রটি তোমার কেমন বলে মনে হয়েছে—বিশ্লেষণ করো।
উঃ। পুরন্দর চৌধুরি অসম্ভব প্রতিভাধর। সারা বিশ্ব বৃষ্টিবিজ্ঞানী রূপে তাঁকে এক ডাকে চেনে। তিনি নিজের ইচ্ছামতো মেঘ তৈরি করতে পারেন। নিজের ইচ্ছামতো মেঘকে কোনো দেশের উপর নিয়ে গিয়ে বৃষ্টি ঝরাতে পারেন। কিন্তু এই
পুরন্দর চৌধুরি অত্যন্ত অহংকারী। তিনি অন্যান্য বিজ্ঞানীদের জব্দ করতে চান। তিনি চান মানুষ তাঁর কাছে হাত পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করুক। কোথায় কখন বৃষ্টি হবে তা তিনি ঠিক করতে চান। তিনি চান ভগবানের সমতুল্য স্থানটিই যেন
তাঁর হয়। তাই তিনি আকাশের দেবতা ইন্দ্র হতে চান। কারণ ইন্দ্রের অপর নাম হল পুরন্দর।
১১.৪. গল্পটি অবলম্বনে অসীমা চরিত্রটি সম্বন্ধে তোমার মতামত জানাও।
উঃ। অসীমা সাতাশ বছরের একজন সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী মহিলা। সে বিজ্ঞানী কারুপভের মেয়ে। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছে। সে অত্যন্ত চালাক ও ঠান্ডা মাথার অধিকারী। ভূগোল বিষয়েও তার জ্ঞান আছে । অসাধারণ অভিনেত্রী পুরন্দরকে তাঁর উন্মাদ উদ্দেশ্য থেকে নিবৃত্ত করতে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পুরন্দরকে থামায়। এক কথায় অসীমা চরিত্রটি অনবদ্য।
১১.৫. এই গল্পে পুরন্দর এবং অসীমা আসলে দুটি পৃথক এবং পরস্পরবিরোধী বিজ্ঞান চেতনার প্রতিনিধিত্ব করেছে। কে, কোন্ ধারণার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জানিয়ে তুমি এঁদের মধ্যে কাকে কেন সমর্থন করো বিশদে লেখো।
উঃ। পুরন্দর প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেই শ্রেণির যারা মনে করে বিজ্ঞানের শক্তি দিয়ে তারা পৃথিবীতে যা খুশি করতে পারেন।
অসীমা প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেই শ্রেণির যারা মনে করে বিজ্ঞান দিয়ে প্রকৃতির সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত। নয়তো বিপর্যয় অনিবার্য। আমি অসীমার দর্শনকে সমর্থন করি। কারণ প্রকৃতিকে তছনছ করে, তাকে বিপদগ্রস্ত করে কখনও পৃথিবীর উন্নতি সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে তাকে ফিরিয়ে আনা সহজ ব্যাপার নয়। তখন মহাবিপর্যয় শুরু হয়ে যেতে পারে। তার থেকে ভারসাম্য যাতে নষ্ট না-হয় তাই দেখা উচিত।
১১.৬. গল্পটিতে যতগুলো স্থানের নাম আছে তার একটি তালিকা বানিয়ে প্রত্যেকটি স্থান সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।
উঃ। বোস্টন, সাহারা, আলাস্কা, সাইবেরিয়া, কলকাতা।
বোস্টন—বোস্টন হল ম্যাসাচুসেটসের রাজধানী।
সাহারা—সাহারা হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উম্বু মরুভূমি। এটি আফ্রিকার গোটা উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৯,৪০০,০০০ বর্গকিমি। আলজিরিয়া মিশর, লিবিয়া, মালি, সুদান, তিউনিশিয়া সহ মোট বারোটি দেশ জুড়ে এই মরুভূমি অবস্থিত।
আলাস্কা—আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম প্রদেশ। এর উত্তরে সুমেরু মহাসাগর, পূর্বে কানাডা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর।
সাইবেরিয়া—রাশিয়ার উত্তর অংশ। এখানে সারাবছর তাপমাত্রা শূন্যের নীচে থাকে। পৃথিবীর শীতলতম স্থানগুলোর মধ্যে সাইবেরিয়া অন্যতম।
কলকাতা—ভারতবর্ষের পূর্বে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তথা ভারতের সর্বাপেক্ষা জনঘনত্বযুক্ত শহর।
•অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন:- রাষ্ট্রসংঘের মূল কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
উঃ। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
প্রশ্ন:- এক্সিমোদের প্রধান দুটি ভাগ কী কী?
উঃ। ইউপিক ও ইনুইট।
প্রশ্ন:- পুরন্দর মানে কী? পুরন্দর কী হতে চেয়েছিলেন?
উঃ। পুরন্দর হলো দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের এক নাম। বিজ্ঞানী পুরন্দর আকাশের দেবতা ইন্দ্র হতে চেয়েছিলেন।
প্রশ্ন:- সাহারায় অন্য দেশের মেঘ আনার দরকার নেই কেন?
উঃ। সমুদ্র থেকে খাল কেটে সাহারায় জল আনা হচ্ছে, তাই আর অন্য দেশের মেঘ আনার দরকার নেই ।
প্রশ্ন:- পুরন্দরের তৈরি অ্যালয়টি কোথায় কাজ করে না ?
উঃ। পুরন্দরের তৈরি অ্যালয়টি বায়ুমণ্ডলের বাইরে কোনো কাজ করে না।
প্রশ্ন:- পুরন্দর চৌধুরিকে দেখতে কেমন ?
উঃ। পুরন্দর চৌধুরি খুব ফরসা, গোল চাঁদের মতো মুখ এবং তার চোখের মণিদুটো নীল। তার বয়েস পঞ্চাশের কাছাকাছি।
প্রশ্ন:- লেক শ্রেভার কোন্ পাহাড়ের কাছে অবস্থিত ?
উঃ। লেক শ্রেভার আলাস্কার মাউন্ট চেম্বারলিন পাহাড়ের কাছে অবস্থিত।
প্রশ্ন:- পুরন্দর চৌধুরি হিসেব করে কী দেখেছিলেন?
উঃ। পুরন্দর চৌধুরি হিসেব করে দেখেছিলেন যে শ্রেভার লেকের জল শুকোতে দশ হাজার বছর সময় লাগবে।
প্রশ্ন:- মাউন্ট চেম্বারলিন-এর উচ্চতা কত?
উঃ। মাউন্ট চেম্বারলিন এর উচ্চতা ২৭৪৯ মিটার।
‘প্রশ্ন:- আর একটা ছোট্ট ঘটনা বলি'–এটি কে কেন বলেছিলেন ?
উঃ। বিজ্ঞানী পুরন্দর অসীমাকে পৃথিবীর উত্তাপ বাড়লে বা কমলে কী হতে পারে তা বোঝাতে ঘটনাটি বলেছিলেন।
পৃথিবীর উত্তাপ মাঝে মাঝে কমে-বাড়ে। দশ-পনেরো হাজার বছর পরে পরে। একবার পৃথিবীর উত্তাপ তিন থেকে চার ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং সেলসিয়াসের হিসেবে দুই পয়েন্ট দুই ডিগ্রি কমে গিয়েছিল। এতেই গোটা উত্তর আমেরিকা বরফে ঢেকে গিয়েছিল এবং কোথাও কোথাও এক হাজার ফিট উঁচু বরফ জমে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- ‘এই নাও ধার শোধ'—কীসের ধার? কীভাবে এই ধার শোধ করা হবে ঠিক হয়েছিল ?
উঃ।বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি সাইবেরিয়া থেকে মেঘ উড়িয়ে এনে সাহারা মরুভূমিতে বৃষ্টি ঝরিয়েছেন। এই কারণে কারপভ নামের একজন বিজ্ঞানী বোস্টন শহরের আবহাওয়া বিষয়ের এক আলোচনা সভায় তাঁকে মেঘ-চোর বলে গালাগালি দেন। এই ঘটনাতে পুরন্দর চৌধুরি খুব অপমানিত বোধ করেন এবং মনে করেন সাইবেরিয়ার কাছে তার ধার রয়েছে। তাই পুরন্দর চৌধুরী ঠিক করেছিলেন যে মানুষের ক্ষতি করে নয় শ্রেভার লেকের জল থেকে মেঘ তৈরি করে সেটি সাইবেরিয়াতে পাঠিয়ে দিয়ে ধার শোধ করা হবে।
প্রশ্ন:- মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার'—কেন মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার ?
উঃ। সারা বছর পৃথিবী থেকে পঁচানব্বই হাজার কিউবিক মাইল জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। এর মধ্যে আশি হাজার কিউবিক মাইল সমুদ্র থেকে যায় আবার ততটাই বৃষ্টি হয়ে সমুদ্রে ফিরে আসে। আর মাত্র পনেরো হাজার কিউবিক মাইল বৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ, জীবজন্তু ও গাছপালা বেঁচে থাকে। কিন্তু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় জ্বলের অভাব ঘটতে পারে, তাই মানুষের জন্য বেশি বৃষ্টি দরকার।
★ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
প্রশ্ন:- অনেকগুলি দেশ দাবি তুলেছে যে, (বৃষ্টিচুরি/মেঘচুরি/রোদচুরি) আইন করে বদলানো দরকার।
উঃ। মেঘচুরি
প্রশ্ন:- দেখতে পাচ্ছি কটা (রুপোলি/তামাটে/সোনালি) রঙের পাহাড়।
উঃ। সোনালি
(ঙ) ইতিহাসেও তো (বিজ্ঞান/অঙ্ক/ভুগোল) লাগে।
উঃ। অঙ্ক।
প্রশ্ন:- শেষ (লৌহযুগ/তাম্রযুগ/হিমযুগ) শেষ হয়েছিল তেরো হাজার বছর আগে।
উঃ। হিমযুগ
প্রশ্ন:- মাত্র (পনেরো হাজার/দশ হাজার/কুড়ি হাজার) কিউবিক মাইল বৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীর অত মানুষ জীবজন্তু, গাছপালা সব বেঁচে আছে।
উঃ। পনেরো হাজার।
★ পদ পরিবর্তন করো : উত্তেজিত, নিরুদ্দেশ, কল্পনা, উত্তাপ, আবিষ্কার।
উঃ।উত্তাপ—উত্তপ্ত।
আবিষ্কার—আবিষ্কৃত ৷
উত্তেজিত—উত্তেজনা।
নিরুদ্দেশ—নিরুদ্দিষ্ট।
কল্পনা—কল্পিত।
প্রশ্ন:- বিপরীত শব্দ ঃ দৃশ্য—অদৃশ্য।
বাঙালি—অবাঙালি।
অজ্ঞান—জ্ঞান।
প্রশংসা—নিন্দা।
আইন—বেআইন।
বিশ্বাস—অবিশ্বাস।
ভরাট—ফাঁকা।
মৌলিক—যৌগিক।
শ্রদ্ধা—অশ্রদ্ধা।
আগ্রহ — অনাগ্রহ।
সম্ভব —অসম্ভব।
নিশিহ্ন—চিহ্ন।
নির্জন—জনবহুল।
ধ্বংস —সৃষ্টি।