মালগাড়ি কবিতার হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Magari poem question answer class 4
![]() |
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
মালগাড়ি
প্রেমেন্দ্র মিত্র
লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র পরিচিতি:-
প্রেমেন্দ্র মিত্র ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্র। কাশীতে প্রেমেন্দ্র মিত্র জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তিনি মাতৃহারা হন ।তিনি মাতামহের কাছে মির্জাপুরে তিনি পালিত হন। কবিতা, গল্প, রহস্য গল্প, গোয়েন্দা কাহিনি, উপন্যাস,
প্রবন্ধ রচনায় তুমি পারদর্শী ছিলেন।কিশোর সাহিত্যেও তিনি অসাধারণ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তাঁর ‘ঘনাদা’ চরিত্রটি একটি অমর সৃষ্টি। ১৯২৪ খ্রিঃ 'প্রবাসী' পত্রিকায় তাঁর
. প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘শুধু কেরানি' তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। প্রেমেন্দ্র মিত্র বাংলা গান রচনা করেও খুব খ্যাতি অর্জন করেন। দীনেশচন্দ্র সেনের সংস্পর্শে এসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
‘রামতনু লাহিড়ী গবেষক’ হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সুভাষচন্দ্র বসুর 'বাংলার কথা' ও 'ফরোয়ার্ড' পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের কপি লেখক হিসেবে কাজ করেন। চলচ্চিত্রের জন্য তিনি চিত্রনাট্য রচনাও কিছুকাল পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি 'সমাধান' ১৯৪৩ খ্রিঃ মুক্তিলাভ করে। তিনি মোট ১৪টি ছবির পরিচালক ছিলেন। ১৯৮৮ খ্রিঃ ৩ মে কলকাতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
মালগাড়ি কবিতার নামকরণ সার্থকতা:-
কোন কবিতা বা গল্পের নামকরণে যথেষ্ট তাৎপর্য আছে। কবিতা বা রচনার নাম দেওয়া হয় শুধু রচনাটিকে চিহ্নিত করার জন্য নয়। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘মালগাড়ি' কবিতাটিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে উদ্বেগহীন শান্ত সুন্দর জীবনযাপনের ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে। এখানে একটি মালগাড়ি যাতায়াতের সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। কবিতাটি সমগ্র অংশ মালগাড়ি এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন কে কেন্দ্র করে লেখা ।তাই কবিতাটির' মাল গাড়ি' নামকরণ যথার্থ হয়েছে বলে আমার মনে হয় ।
মালগাড়ি বিষয়বস্তু আলোচনা
কবিতার কথক এক্সপ্রেস ট্রেন কিংবা মেল ট্রেন হতে চান না। তিনি শুধু চান মালগাড়ি হতে। কারণ মালগাড়ির কোনো তাড়াহুড়ো নেই।
সে দিনরাত্রি ঘটর ঘটর করে চলে। নদীর ভাটা যেমন ধীরে সুস্থে চলে সেই রকম ভাবে কথক শাস্ত মনে এগিয়ে যেতে চান।
তিনি যদি তাঁর জন্মদিনে একটা মিষ্টি পরিকে আসতে দেখেন তো তার কাছে তিনি মালগাড়ি হওয়ার বর চেয়ে নেবেন। প্যাসেঞ্জার ট্রেন কিংবা মেল ট্রেন শুধু অতিরিক্ত কাজের ব্যস্ততা নিয়ে স্টেশনে যাত্রী ওঠায় আর নামায়। পাছে লেট হয়ে
যায় এই ভয়ে তারা প্রত্যেক স্টেশনে থেমেই আবার তাড়াহুড়ো ছুটতে শুরু করে। কবিতার কথকের ওইরকম তাড়াহুড়ো জীবন মোটেই পছন্দ নয় । তিনি মালগাড়ির মতো সবলাইন অধিকার করে যেমন খুশি যেখানে খুশি যেতে পারেন। মেল ট্রেনগুলো একটা বাঁধাধরা লাইনেই ছুটে বেড়াতে হয়। কিন্তু মালগাড়ির জন্য সব লাইনই খোলা। ওরা শুধু হাঁসফাস করে ছুটে পৌঁছোতে চায়। কিন্তু মালগাড়ি যাচ্ছি যাব করতে করতে এগিয়ে চলে। তাই কবি পিছুটানহীন ঝামেলা হীন দূর থেকে দূরের পথ চলার সুখ ভোগ করতে মালগাড়ি হতে চান ।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন্ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ?
উঃ। প্রেমেন্দ্র মিত্র ‘কালিকলম’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন
২. তাঁর সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্রের নাম লেখো।
উঃ তাঁর সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্রের নাম হলো ঘনাদা।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১. ‘মালগাড়ি’-র চলাকে কবিতায় কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উঃ। মালগাড়ি’-র চলাকে কবিতায় নদীর ভাটার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৩.২. কথকের জীবনে কোন্ বিশেষ দিনটিতে পরির সঙ্গে তাঁর দেখা হতে পারে ?
উঃ কথকের জীবনে কথকের জন্মদিনে বিশেষ দিনটিতে পরির সঙ্গে তাঁর দেখা হতে পারে ।
৩.৩. প্যাসেঞ্জার ট্রেন কোন্ কাজের ধান্দা নিয়ে থাকে?
উঃ প্যাসেঞ্জার ট্রেন স্টেশন পেলেই যাত্রী ওঠানো-নামানোর ধান্দায় থাকে।
৩.৪. ‘মালগাড়ি’ কোন্ কাজে ব্যবহৃত হয়?
উঃ মালগাড়ি আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করতে, পাথর বহন করতে , কয়লা বহন করতে ব্যবহৃত হয়।
৩.৫. সত্যিই কি মালগাড়ির টাইমটেবিল অনুযায়ী চলার প্রয়োজন নেই ?
উঃ মালগাড়ির টাইমটেবিল অনুযায়ী চলার প্রয়োজন নিশ্চয়ই আছে। কারণ ট্রেনটি কত সময়ের মধ্যে কোথায় পৌঁছাতে পারে তার হিসাব রাখা প্রয়োজন। কিন্তু তার পিছনে প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেন এসে গেলে তাকে কিছু সময় নষ্ট করে অন্য লাইনে সরে গিয়ে পথ ছেড়ে দিতে হয়।
৩.৬. প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনের তুলনায় মালগাড়ির ধীরগামী হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উঃ আমার মনে হয় প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনের তুলনায় মালগাড়ি অনেক বড়ো এবং ভারী মাল বহনের কারণে ধীরগামী হয়।
৩.৭. আপ ট্রেন আর ডাউন ট্রেন বলতে কী বোঝায় ?
উঃ আপ ট্রেন-যে ট্রেনআপ ট্রেন: যে ট্রেন তার সদর দপ্তর বা বিভাগীয় সদর দপ্তরের দিকে যায়, তাকে আপ ট্রেন বলা হয়।
ডাউন ট্রেন: যে ট্রেন তার সদর দপ্তর বা বিভাগীয় সদর দপ্তর থেকে ছেড়ে দূরে যায়, তাকে ডাউন ট্রেন বলা হয়।
৩.৮. তোমার জানা এমন কয়েকটি যানবাহনের নাম লেখো যেগুলি যাত্রী পরিবহণ করে না।
উঃ ডাম্পার,লরী, টেম্পো, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি যাত্রী পরিবহণ করে না।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১. জোয়ার আর ভাঁটায় নদীর চেহারা কেমন হয় ?
উঃ জোয়ারের সময় নদীর জল ক্রমাগত ঊর্ধ্বপথে বেড়ে উঠতে থাকে। আবার ভাটার সময় সেই জল নীচেরদিকে নামতে থাকে।
৪.২. এই কবিতায় পরিদের প্রসঙ্গ কীভাবে এসেছে? পরির প্রসঙ্গ তুমি এর আগে কোন্ কোন্ গদ্য, কবিতায় পড়েছ।
উঃ কবিতার কথক বলেছেন, তাঁর জন্মদিন প্রসঙ্গে যদি কোনো পরি এসে যায় তাই আশা করছেন কবি। এর আগে আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘কোথাও আমায় হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা' কবিতায় পরির কথা পড়েছি।
৪.৩. মালগাড়ি হয়ে কবিতার কথক কোন্ সুখ অনুভব করতে চায়?
উঃ মালগাড়ি হয়ে কবিতার কথক কোনো টাইমটেবিল না দেখে খুশিমতো চলতে চায়। যে-কোনো লাইনে সে মালগাড়ির মতো খুশিমতে যেতে চায়। সে যাচ্ছি যাব করে চলতে চায়। দূর দূরান্তে চলতে পারার সুখ অনুভব করতে চায়।
৪.৪. কবিতায় ‘ঘটর ঘটর' শব্দটি মালগাড়ির শব্দ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তুমি এমন কিছু শব্দ লেখো যা দিয়ে যন্ত্র বা যানবাহনের শব্দকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
উঃ বিয়ে বাড়িতে জেনারেটর চললে ধক ধক করে শব্দ করে। কলকাতায় হাতে টানা রিক্সা চলে ঠকাং ঠকাং শব্দ করে। কলকাতার বুকে ট্রামগাড়ি চলে ঠংঠং শব্দ করে। তাঁতি তাঁত বোনে ঠকাঠাক ঠকাঠাক শব্দ করে। বাস গাড়ি চললে গোঁ গোঁ শব্দ হয়।
৫. গদ্যরূপ লেখো :
৫.১. মালগাড়ি হই একটি শুধু যদি ঘটর ঘটর দিনরাত্তির চলি।
উঃ যদি শুধু একটি মালগাড়ি হই (তবে) দিনরাত্রি ঘটর ঘটর চলব।
৫.২. চেয়ে নেব একটি শুধু বর।
উঃ শুধু একটি বর চেয়ে নেব।
৫.৩. ভাবনা শুধু লেট হয়ে যায় পাছে।
উঃ শুধু ভাবনা পাছে লেট হয়ে যায়।
৫.৪. যত দূরেই যেখানে যাই নাকো সারা লাইন শুধু আমার একার ।
উঃ যেখানে যত দূরেই (আমি) যাই শুধু আমার একার সারা লাইন।
৫.৫. যাচ্ছি যাব করেই আমার যাওয়া।
উঃ আমার যাওয়া যাচ্ছি সব করে ।
৬. প্রতিটি শব্দের সমার্থক শব্দ লেখো ও সেগুলি বাক্যে ব্যবহার করো :
বাড়ি—(গৃহ) রাত্রি হলে মানুষ গৃহে বিশ্রাম করে।
নদী— (তটিনী) তটিনী তিনি সাগরে মিশে।
ভাবনা—(চিন্তা) সকল কাজে ভাবনা-চিন্তা করে এগোতে হয়।
খুশি—(সন্তুষ্ট) আমি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেলে খুশি হই।
ধান্দা (ফিকির)— ফিকির বাজি লোককে বিশ্বাস করতে নেই।
তুফান (ঝড়)— কালবৈশাখী ঝড় গরম কালে দেখা যায়।
রাস্তা (পথ)— গ্রামের পথগুলি বর্ষায় কাদা হয়।
৭. ‘ভালো-মন্দ’-এর মতো বিপরীত অর্থের শব্দ পাশাপাশি আছে এমন তিনজোড়া শব্দ কবিতা থেকে বের করে লেখো।
উঃ দিনরাত্তির। ওঠায় নামায়। যাওয়া-আসার।
৮. ছক করে নীচের শব্দগুলি থেকে ঘোষবর্ণ ও অঘোষবর্ণ আলাদা করে বসাও
উঃ তুফান, দেখা, ছুটে, কাজ, মিষ্টি, যাত্রী।
শব্দ:- ঘোষবর্ণ :- অঘোষবর্ণ :-
তুফান- ন তু, ফা
দেখা। - দে খা
ছুটে - ছু, টে
কাজ - জ কা
মিষ্টি মি, ষ্ টি
যাত্রী- যা, ত্ রী
৯. কবিতাটিতে যে-কটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি হল –মেলট্রেন, প্যাসেঞ্জার, স্টেশন, লেট, লাইন, টাইমটেবিল। শব্দগুলি প্রতিটিই রেলগাড়ি সংক্রান্ত। এবার তুমি বাস ও সেই সংক্রান্ত ইংরেজি শব্দগুলির একটি তালিকা তৈরি করো।
উঃ বাস সংক্রান্ত ইংরেজি শব্দ হল—স্ট্যান্ড, ড্রাইভার, হেল্পার, টিকিট, সিট, লেডিজ, স্টপেজ, ব্রেক, সিগন্যাল, ট্রাফিক, জ্যাম, রুট, কন্ডাক্টর।
১০. তুমি একটি মালগাড়ি দেখতে পেলে। মালগাড়ি সম্বন্ধে তোমার মনে কী কী প্রশ্ন জেগেছে? তার অন্তত পাঁচটি প্রশ্ন খাতায় লেখো।
উঃ (১) মালগাড়িকে ইংরেজিতে কী বলে?
(২) মালগাড়ি কোথা থেকে কোথায় যায়?
(৩) মালগাড়িতে কোন্ কোন্ মাল নেওয়া হয়?
(৪) মালগাড়িতে মাল ভরে দেয় কে?
(৫) মালগাড়িতে কি শুধু একইরকম মাল বওয়া হয়?
১১. নীচে একটি টাইমটেবিলের অংশ (নমুনা হিসেবে) তোমাদের জন্য দেওয়া রইল। সেখান থেকে বিভিন্ন ট্রেনের নম্বর, কোথা থেকে ছাড়ছে, গন্তব্যস্থলটি কোথায়, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের পৌঁছোনোর সময় ইত্যাদি তোমার খাতায় নথিভুক্ত করো।
উঃ নিজে করো।
আর ও প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
প্রশ্ন-মালগাড়ির দায় নেই—(টাইম টেবিল দেখার/সিনেমা দেখার)।
উত্তর : টাইম টেবিল দেখার।
প্রশ্ন-ওরা যখন—(হাঁসফাঁসিয়ে/ঘেমে নেয়ে/কেঁদে কেটে মরে)।
উত্তর : হাঁসফাঁসিয়ে।
প্রশ্ন- প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনের ভাবনা হয়—(লেট হয়ে যাওয়ায়/তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়ায়)
উত্তর : লেট হয়ে যাওয়ায়।
প্রশ্ন-লেখক চান—(মালগাড়ি / তুফান 'মেল/ ট্রেন হতে।
উত্তর ঃ মালগাড়ি ট্রেন হতে।
প্রশ্ন-মালগাড়ি হল – (জোয়ারে নদীর/ভাটার নদীর) মতো।
উত্তর : ভাটার নদী মতো।
প্রশ্ন-জন্মদিনে লেখকের বাড়িতে আসবে – (পরি/দেবতা/বন্ধু)।
উত্তর : পরি।
প্রশ্ন-সত্য মিথ্যা নির্ণয় করো :
প্রশ্ন-পরির কাছে লেখক বর চেয়ে নেবেন।
উত্তর ঃ সত্য।
প্রশ্ন-মালগাড়ির সুখ তার না চলার মধ্যে।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন- প্যাসেঞ্জার বা মেল ট্রেনগুলি যেন ভাটার নদীর মতো।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন-মালগাড়ির টাইমটেবিল দেখার দায় নেই।
উত্তরঃ সত্য।প্রশ্ন-লেখক তুফান বা মেল ট্রেন হতে চান।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন-অক্ষরগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
ড়িলগামা, ত্তিনররাদি, টারভা, রসেঙ্গাপ্যা, বিটেলমইটা।
উত্তর ঃ
ড়িলগামা > মালগাড়ি
ত্তিনররাদি > দিনরাত্তির
টারভা > ভাটার
রসেঙ্গাপ্যা > প্যাসেঞ্জার
বিটেলমইটা > টাইমটেবিল।
প্রশ্ন-এলোমেলো শব্দ সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো :
প্রশ্ন-হাঁসফাঁসিয়ে যখন মরে ওরা।
উত্তর ঃ ওরা যখন হাঁসফাঁসিয়ে মরে।
প্রশ্ন- একার সারা আমার শুধু লাইন।
উত্তর ঃ সারা লাইন শুধু আমার একার।
প্রশ্ন-পাওয়া চলতে তো সুখ অশেষ আমার।
উত্তর : আমার সুখ তো অশেষ চলতে পাওয়া।
প্রশ্ন-মানা কোথাও যেতে থামতে নেই।
উত্তর : থামতে যেতে কোথাও নেই মানা।
প্রশ্ন-চলা আমার খুশির শুধু নিজের।
উত্তর ঃ আমার শুধু নিজের খুশির চলা।
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন-ভাটার নদীর কী নেই?
উত্তর : তাড়া নেই।
প্রশ্ন-পরি কার বাড়ি আসতে পারে?
উত্তর : কবিতার কথকের বাড়ি।
প্রশ্ন- কে মালগাড়ি হতে চান ?
উত্তর ঃ কবিতার কথক মালগাড়ি হতে চান।
প্রশ্ন-মালগাড়ির কী সুখ?
উত্তর : অশেষ চলতে পাওয়ার সুখ।
প্রশ্ন-স্টেশনে কারা যাত্রী ওঠায়-নামায় ?
উত্তর : প্যাসেঞ্জার কিংবা মেল ট্রেন।
প্রশ্ন:- কবিতায় কথকের ইচ্ছা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর : কবিতার কথক তুফান কিংবা মেলট্রেন হতে চান না। তিনি চান মালগাড়ি হয়ে ভাটার নদীর মতো ঘটর ঘটর দিন-রাত চলতে । তিনি চান কোনো টাইমটেবিলের পরোয়া না করে যে-কোনো লাইনে যখন খুশি যেমন খুশি যেতে তাঁর কোথাও থামতেও মানা নেই। তাঁর সুখ অশেষ চলতে পাওয়ায় ।
প্রশ্ন-পরি সম্পর্কে কবিতার কথক কী বলেছে?
উত্তর ঃ কথকের জন্মদিনে যদি মিষ্টি একটা পরি আসে তাহলে তার কাছে সে একটা বর চেয়ে নেবে। বলবে আমায় মালগাড়ি করে দাও।
প্রশ্ন- অনেক দূরে গেলেও মালগাড়ির কোনো চিন্তা নেই কেন?
উত্তর : মালগাড়ি জানে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় দেওয়া নেই। যে-কোনো পথে তার যেতেও বাধা নেই, পৌঁছলেই হল। সে জানে সারা লাইন তার একার।