'কার দৌড় কদ্দুর' সপ্তম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর KAR DOUR KDDUR class 7 bangla - school book solver

Pages

Wednesday, 26 March 2025

'কার দৌড় কদ্দুর' সপ্তম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর KAR DOUR KDDUR class 7 bangla

 

 


সপ্তম শ্রেণি বাংলা

প্রবন্ধ : কার দৌড় কদ্দুর

লেখক : শিবতোষ মুখোপাধ্যায়


লেখক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় পরিচিতি : - শিবতোষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রাণীবিজ্ঞানী । শিবতোষ মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালে । কলকাতার প্রেসিডেন্সিতে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। জীববিদ্যায় উন্নয়নমূলক গবেষণার জন্য অনেক স্বীকৃতি ও সম্মান পেয়েছেন। জয়গোবিন্দ স্বর্ণপদক এর মধ্যে অন্যতম।

বিজ্ঞানভিত্তিক  তাঁর  জনপ্রিয় লেখা গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘অনুর উত্তরায়ণ’, ‘লাবণ্যের অ্যানাটমি’, ‘দিকবিদিক’, ‘মানহাটান' ও 'মার্টিনি’, ‘আসা যাওয়ার পথের ধারে' ইত্যাদি। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন।



কার দৌড় কদ্দুর নামকরণ সার্থকতা :

 লেখক তাঁর রচনাটিতে মানুষ থেকে শুরু করে অ্যামিবা, চিতা, হাতি ইত্যাদি সকল প্রাণীর দৌড় সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি তিনি আলোর গতিকেও এখানে দেখিয়েছেন। দৌড়ের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। তাই লেখাটির ‘কার দৌড় কদ্দুর' নামকরণ সার্থক হয়েছে বলে আমার মনে হয়‌


কার দৌড় কদ্দুর গল্পের সারসংক্ষেপ : পৃথিবীতে গাছ ছাড়া আর সবাই দৌড়াচ্ছে। এককোষী প্রাণী অ্যামিবা থেকে হাতি। আকাশে চড়াই থেকে

ঈগল পাখি সবাই ছুটছে। আমাদের শরীরের ভেতরকার কিছু কিছু কোশও ছুটছে। প্রাণীর খাদ্য প্রয়োজন তাই তারা ছুটছে। তবে এক এক প্রাণীর ছোটার গতি এক এক রকম। চিতা ঘণ্টায় প্রায় ৭০ মাইল বেগে দৌড়ায়।। আমাদের পৃথিবীও ছুটে চলেছে। কারণ থামা মানে জীবনের শেষ। যতদিন থাকা ততদিনই চলতে হবে। শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে চলতেই হবে।


শব্দার্থ :  

পাউন্ড—ওজনের পরিমাপক। 

মাইল—দৈর্ঘ্যের পরিমাপক। 

অ্যামিবা—এককোশি প্রাণী। 

মুহুর্মুহু—ক্ষণে ক্ষণে।

 গোবি মরুভূমি— মঙ্গোলিয়ার মরুভূমি।নারাজ–রাজি নয়। 

ভিয়েন—রান্নাঘর। 

স্বরা—তাড়াহুড়ো। 

শ্বাশত—চিরকালীন। 

চলৎশক্তি—চলার ক্ষমতা। 

অবাধ-বাধাহীন।

স্থানু—স্থির। 

অতিক্রম—পেরোনো।

তারতম্য— পার্থক্য। 

পদব্রজে — পায়ে হেঁটে। 

উৎসুক—ব্যগ্র, কৌতুহলী।



হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

১। ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :


১.১ উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি' শব্দের অর্থ (যাত্রা থামাও এগিয়ে যাও/দাঁড়িও না)।

 উঃ। এগিয়ে যাও।

১.২ পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন (গ্যালিলিও/কোপারনিকাস/সক্রেটিস)।

উঃ। কোপারনিকাস।


১.৩ ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন (মার্কিন/পোর্তুগিজ/গ্রিক)।

উঃ। পোর্তুগিজ।


১.৪ যে বৈজ্ঞানিক কারণে ‘আপেল দৌড়ায় মাটির দিকে' সেটি হলো (মাধ্যাকর্ষণ/প্লবতা/সম্ভরণ-নিয়ম)।

উঃ। মাধ্যাকর্ষণ।


১.৫ আইনস্টাইন ছিলেন (সপ্তদশ/অষ্টাদশ/ঊনবিংশ) শতাব্দীর মানুষ।

 উঃ। ঊনবিংশ।



ঠিক আছে




২. শূন্যস্থান পূরণ করো :

২.১ এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ডে

উঃ। চারশো।

বার ডানা নাড়ায়।



হিসাব করে।

২.২ গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময়ে

উঃ। দৈহিক ওজনের পরিমাপ।

২.৩ গোবি মরুভূমিতে ——— নামক এক হরিণ আছে। 

উঃ। গ্যাজেলি।

টারসন প্রতি বছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার ফিরে যায়।

উঃ। মেরুপ্রদেশের।

২.৫ ATP-র পুরো কথাটি হলো ―111

উঃ। এডিনোসসিন ট্রাইফসফেট।



৩. অতি-সংক্ষিপ্ত আকারে নীচের প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দাও ঃ

৩.১ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।

উঃ। অ্যামিবা ও প্যারামোসিয়াম।


৩.২ ‘শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন'—সেটি আসলে কী ?

উঃ।শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন'— সেটি আসলে তার দেহ থেকে নিঃসৃত একপ্রকার তরল পদার্থ।


৩.৩ ‘আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেল আছে।'— সেলটিকে 'ভবঘুরে' বলা হয়েছে কেন ?

উঃ। সেলটিকে 'ভবঘুরে' বলা হয়েছে,কারণ আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যের সেলটি সর্বত্র বিচরণ করে । সেলটি যেখানে প্রয়োজন হয় সেখানেই পৌঁছে যায়।


৩.৪ ‘নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়'—কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো।

উঃ। কয়েকটি খরগোশের জাতি হল-  ইতালিয়ান খরগোশ. বেলজিয়াম খরগোশ ইত্যাদি।


৩.৫ ‘কোনো কোনো পতঙ্গ উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড জোরে নাড়ে’– তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখো। তাদের ছবি সংগ্রহ করে লাগাও।

উঃ। আমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গ হল বোলতা ভিমরুল,মাছি, মশা, মৌমাছি ইত্যাদি। ছবি নিজে লাগিয়ে নাও।


৩.৬ ‘কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না’—কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখো।

উঃ। কয়েকটি সামুদ্রিক জীব হল— মাছ, কুমির, হাঙর, তিমি, অক্টোপাস ইত্যাদি।


৩.৭ ‘রক্ষে এই যে..........– লেখক কোন্ বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন।

এবং কেন?

উঃ। অ্যামিবার না-থামার কারণটাকে লেখক সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন। এবং না-থামার কারণে প্রোটোপ্লাজমের চলন আজ অবধি থেমে যায়নি।


৩.৮ প্যারামোসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে?

উঃ প্যারামেসিয়াম সিলিয়ার সাহায্যে চলাফেরা করে ।প্যারামোসিয়াম-এর সেলের চারিদিকে ছোটো ছোটো চুলের মতো বহিরাংশ আছে।

তাদের সিলিয়া বলা হয়। এইসব সিলিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্যারামোসিয়াম জলে হাজার দাঁড় টানা নৌকার মতো এগোতে বা পিছোতে পারে। এবং একসঙ্গে কেউ অন্য স্থানে যেতে পারে।


৩.৯ প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম লেখো। 

উঃ। হাইড্রা এবং অ্যামিবা ।


৩.১০ ‘তার চলাফেরার ভঙ্গিটি ভারি মজার’—কার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? তা ‘মজার’ কীভাবে?

উঃ। মজার চলার ভঙ্গি বলতে এখানে অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।

অ্যামিবার মজার চলার ভঙ্গিটি হল, সে তার দেহের একটি অংশকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয় তারপর সেলের প্রোটোপ্লাজমকে তার মধ্যে ঠেলে দিয়ে সে এগিয়ে যায়। এইভাবে সে চলাফেরা করে।


৩.১১ গমনে সক্ষম আছে ও গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখো।

উঃ। গমনে সক্ষম গাছ হল লাউ, কুমড়ো এবং একটি গমনে অক্ষম প্রাণী হাইড্রা।


৩.১২ কয়েকটি 'হক' জাতীয় পাখির নাম লেখো।

উঃ। কয়েকটি 'হক' জাতীয় পাখি হল বাজ, ঈগল।


৩.১৩ আফ্রিকার কী জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?

উঃ। আফ্রিকার ইন জাতীয় পাখি।



৩.১৪ ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের কোন্ পরিবর্তন হয়েছে?

উঃ। ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার পায়ের আঙুলে পরিবর্তিত হয়ে খুর রূপান্তরিত হয়েছে।


৩.১৫ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণীর নাম লেখো।

উঃ। নিশাচর প্রাণী হল নেকড়ে।


৪. টীকা লেখো ঃ হিউয়েন সাঙ, শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর, ভাস্কো-ডা-গামা, শঙ্করাচার্য।


উঃ। হিউয়েন সাঙ—হিউয়েন সাঙ ছিলেন চিনা পরিব্রাজক। সম্রাট হর্ষবর্ধনের সময় তিনি ভারত পরিক্রমায় আসেন। তিনি ভারতের কথা অনেক লিখে রেখেছেন।


শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর—শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর ছিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি বিক্রমশীল মহাবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে যান। তিব্বতে লাসায় তিনি দেহত্যাগ করেন।


ভাস্কো-ডা-গামা— ইনি একজন পোর্তুগিজ নাবিক ছিলেন। তিনি ১৪৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপ থেকে কালিকট বন্দরে তিনি প্রথম জাহাজ নোঙর করেন।


শঙ্করাচার্য—বিখ্যাত হিন্দুসাধক। পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। ভারতবর্ষকে আবিষ্কার করার ইচ্ছা নিয়ে হিন্দুধর্ম প্রচারে তাঁর অবদান অসীম। 





৫। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৫.১ প্রাণী মাত্রকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়—গাছ কীভাবে না-দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে?

উঃ। গাছ না-দৌড়েও মাটি থেকে জল ও খনিজ পদার্থ পাতার ক্লোরোফিল ও সূর্যালোকের সাহায্যে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে।



৫.২ প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন যে খাবার সংগ্রহের কারণেই ‘প্রাণীরা এক জায়গায় স্থাণু না-হয়ে থেকে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে।' তুমি কি এই মতটাকে সমর্থন করো? তোমার স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

উঃ। অবশ্যই আমি লেখকের মতকে সমর্থন করি।-

প্রাণীমাত্রেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়। কারণ প্রাণীদের নিজেদের এক জায়গায় বসে খাবার তৈরি করার উপকরণ জোগাড় করার মতো ক্ষমতা নেই। প্রাণকে উদ্ভিদ বা অন্য কিছু খাওয়া নির্ভর করতে হয়। তাই এখন থেকে অন্য স্থানে যেতেই হয়।। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে না গিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে পারবে না। তাই খাবার সংগ্রহের কারণেই ‘প্রাণীরা এক জায়গায় স্থাণু না-হয়ে থেকে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে।'


 


৫.৩ ‘গমনাগমনের মাধুর্যটা আমাদের চোখে পড়ে সাধারণত উচ্চতর প্রাণীর মধ্যে।'-পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমনের মাধুর্য কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আলোচনা করো।

উঃ।  উচ্চতর জীবদের মধ্যে গমনশক্তির অনেক বৈচিত্র দেখা যায়। পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণী যেমন চিতাবাঘ, হাতি, গ্যাজোলি, হরিণ, শেয়াল, নেকড়ে ইত্যাদির দৌড়ের গতি ও তাদের দেহের ওজন নিয়ে আলোচনা করে লেখক জানিয়েছেন গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময় দৈহিক ওজনের পরিমাপ হিসেব করে। কত ভারী জন্তু কত ওজন নিয়ে কত সময় কত দূর গেছে

সেটাই বিবেচনার বিষয়। একশ তিরিশ পাউন্ড ওজন নিয়ে চিতা ঘণ্টায় ৭০ মাইল

বেগে দৌড়াতে পারে। নেকড়ে সেই ওজনের হলেও চলে ঘন্টায় ৩৬ মাইল মাত্র।

আবার হিপো আঠাশশো পাউন্ড ওজন নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ২০/৩০ মাইল চলতে পারে। ৫ পাউন্ড ওজনের খরগোশের গতিবেগ ৪৫ মাইল/ঘণ্টা। প্রায় মোটর গাড়ির সমান দৌড়াতে পারে। আবার

৭০০০ পাউন্ড ওজনের হাতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে চলতে পারে। এইভাবে নানা প্রাণীর উদাহরণ দিয়ে তাদের গমনাগমনের মাধুর্য প্রতিফলিত হয়েছে এই গল্পে।



৫.৪ ‘এ পথে আমি যে’—রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গটি পাঠ্যাংশে কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে?

উঃ।  শামুকের চলা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ শামুকরা তাদের একখানি পুরু মাংসের পা দিয়ে চলে যাবার সময় জলীয় চিহ্ন রেখে যায়। যা দেখে বলা যেতে পারে যে সে এপথ দিয়ে গেছে। শামুকের গতিবিধি সহজে জানা যায়।


৫.৫ ‘এ রকম মনে করলে ভুল হবে।'—কোন্ দুটি বিষয়ের ভুল সাপেক্ষে এমন মন্তব্য করা হয়েছে?

উঃ। প্রথম বিষয় হইল- হালকা কোনো পাখির তিরের মতো ছুটে চলা। দ্বিতীয় বিষয় হইল- প্রচুর ওজন নিয়ে একটি হিপোর থপথপে পায়ে আস্তে আস্তে ছোটা একইরকম, এটা মনে করলে ভুল হবে বলে লেখক এই দুটি বিষয় মন্তব্য করেছেন।


৫.৬ উচ্চতর জীবদের পেশি কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে শক্তি উৎপাদিত হয়?

উঃ। উচ্চতর জীবরা পেশির সঞ্চালনের সাহায্যে পা নাড়ায়। উচ্চতর জীবদের পেশি যখন কাজ করে তখন এডিনোসসিন ট্রাই ফসফেট (ATP) নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়ার ফলে শক্তি উৎপাদিত হয়।


৫.৭ ‘ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়’–এ প্রসঙ্গে লেখক কোন্ তথ্যের অবতারণা করেছেন ?

উঃ। ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায় ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের এখনকার ঘোড়ার মতো পায়ে খুর ছিল না। তারা হাতে পায়ে পাঁচ আঙুল বিশিষ্ট জীব ছিল। ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় তাদের আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে শুধু মাঝের আঙুলটি থেকে যায়। যাকে আমরা খুর বলি।


৫.৮ ‘মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন' এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন।

উঃ। শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন এমন কয়েকজন মানুষ হলেন স্টিফেন হকিং,  মাসুদুর রহমান, স্টিভ জোবস, প্রমুখ।


৫.৯ ‘মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়’—নিজের চলা ছাড়া বর্তমান মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম?

উঃ। নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ বাস, ট্রেন, জাহাজ, উড়োজাহাজ  রকেট ইত্যাদি চালাতে সক্ষম।

৫.১০ ‘এখন মানুষ আকাশটাকে ঘোড়াদৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।'—মানুষের মহাকাশ- অভিযানের সাম্প্রতিকতম সাফল্য নিয়ে বন্ধুকে একটা চিঠি লেখো।

উঃ। প্রিয় কাজল, অনেকদিন তোর কোনো চিঠি পাইনি, আশা করি ঈশ্বরই কৃপায় ভালোই আছিস।

এ বছর আমাদের স্কুলে প্রতি বছরের মতো বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমাদের শ্রেণির তরফে আমরা একটি প্রদর্শনী আয়োজন করেছি কিভাবে মহাকাশ এ দীর্ঘদিন থাকা যায় সেটা আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। তুই জানিস রাকেশ শর্মা, সুনিতা উইলিয়ামস মহাকাশে কতদিন আকাশে মধ্যে ছিল°। আমাদের এতে গর্ব বোধ হয় সেই ধরনের অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করেছি । তুই যদি আসিস তাহলে খুব আনন্দিত হইবে আশা করি তুই আসবি। ২৫ শে বৈশাখ এই অনুষ্ঠানটি হইবে। তুই আগের দিন চলে আসবে। ইতি তোর বন্ধু -স্বপন।



৫.১১ ‘এ যাত্রা তোমার থামাও'—লেখক কাকে এ কথা বলেছেন? এর কোন উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছেন?

উঃ। লেখক পৃথিবীকে এ কথা বলেছিলেন। এর উত্তরে তিনি শুনেছেন (যে থামার অর্থ হল জীবনের শেষ। যতদিন জীবিত আছো থেমো না। শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে চলো। হঠাৎ এগিয়ে চলায় জীবন। আর পিছিয়ে যাওয়া মানে মৃত্যু।



ঠিক আছে


  অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর 



■  পৃথিবীটা কেমনভাবে ছুটছে বলে লেখক জানিয়েছেন ?

উঃ। লেখক জানিয়েছেন পৃথিবীটাও পাগলের মতো হনহন করে ছুটে চলেছে।


■ মেরুপ্রদেশের টারনস-এর ওড়ার বর্ণনা দাও।

উঃ। মেরুপ্রদেশের টারনস প্রতি বছর এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।

■ মনের দৌড়ে কে চ্যাম্পিয়ান? উঃ। মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ান।


■ মানুষের মনের গতিবেগ কত? উঃ। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিসম্পন্ন, ঘন্টায় ১৮৬০০০ মাইল।


■ জন্ম ও মৃত্যুর কার কোন্ দিকে দৌড় বলে লেখক বলেছেন?

উঃ। লেখক বলেছেন জন্মের দৌড় মৃত্যুর দিকে আর মৃত্যুর দৌড় জন্মের দিকে।

■ এফিড কীভাবে ডানা নাড়ায়। আর কতটা পথ একনাগাড়ে উড়তে পারে ?

উঃ। এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ডে চারশোবার ডানা নাড়ায়। আর একনাগাড়ে আট মাইল পথ উড়তে পারে ।


■ হাতির ওজন ও চলনের কথা লেখক কী বলেছেন ?

উঃ। লেখক বলেছেন হাতির বিরাট বপুর ওজন ৭০০০ পাউন্ড কিন্তু তাই নিয়ে সে মাত্র ঘন্টায় ২৫ মাইল বেগে ছোটে।


■ গ্রে-হাউন্ডের ওজন ও চলনশক্তির বেগ কেমন?

উঃ। গ্রে-হাউন্ডের দেহের ওজন মাত্র ২২ পাউন্ড কিন্তু তার চলনশক্তির বেগ ঘন্টায় ৩৬ মাইল।


■  এখন মানুষ আকাশটাকে কী করেছে? উঃ। এখন মানুষ আকাশটাকে ঘোড়দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।


■ ক্যাঙারু আর ইমুর চলন ও দেহের ওজন কীরূপ?

উঃ। ক্যাঙারু আর ইমুর চলন প্রায় একই। এদের দেহের ওজন ১৩০ পাউন্ড আর গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ মাইল।




■ তার কোথায় যেতে নেই মানা'—কার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে চলে?

উঃ। এখানে মানুষের মনের কথা বলা হয়েছে। লেখক বলেছেন মানুষের সত্যিকারের চলা হল তার নিজের মনের মাঝে চলা। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিসম্পন্ন, ঘণ্টায় ১৮৬০০ মাইল। সে সব জায়গায় যেতে পারে, মানুষ

তার ক্রমবিকাশের কঠিন পথকে পেরিয়ে এমন মন ও তাকে চালনা করার ক্ষমতা পেয়েছে। মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন।

এই মনকে সঙ্গে নিয়েই মানুষ যুগে যুগে দিকে দিকে ঘুরে বেরিয়েছে। এই মনকে সঙ্গে নিয়েই হিউ-য়েন সাঙ এসেছেন।সুদূর চিন থেকে। ভাস্কো-দা-গামা তুমুল সমুদ্র পেরিয়ে এসেছেন ভারতবর্ষে। শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর গেছেন তিব্বতে। শঙ্করাচার্য পদব্রজে সারা ভারত ঘুরেছেন। কলম্বাস নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করছেন এই মনকে সঙ্গে নিয়েই। তাই লেখক বলেছেন

মানুষের মন তার রথ এবং তার গতিও অবাধ ।


■ গাছ মাত্রই দৌড়াতে নারাজ’– কেন গাছেরা দৌড়তে নারাজ? আর প্রাণীরা কেন দৌড়ায় ?

উঃ। গাছেরা দৌড়ায় না এর সবচেয়ে বড়ো কারণ তারা এক জায়গায় বসে বসেই খাবার তৈরি করতে সক্ষম। সমস্ত প্রাণীরা চলতে সক্ষম কারণ এক জায়গায় বসে খাবার তৈরি করার মতো কোনো ব্যবস্থা প্রাণীদের শরীরে নেই। তাই

তাদের খাবার সংগ্রহের জন্য দিকে দিকে ঘুরতে হয়।


■ এরা শরীরের সৈন্য সামন্ত’– লেখক কাদের কথা বলেছেন?

উঃ। লেখক বলেছেন আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যেও একপ্রকার ভবঘুরে সেল আছে যারা অ্যামিবার মতো এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে পারে। তারা আমাদের দেহের সৈন্যসামন্ত। এরা দেহের মাঝে বাইরের শত্রুকে

ধ্বংস করতে ছুটে যায়।




■  পদ পরিবর্তন করো : সুখ, বিস্ময়, অতিক্রম, চিহ্ন, দেহ, বিচার।

উঃ। ।

 চিহ্ন—চিহ্নিত। 

সুখ—সুখী।

 বিস্ময়—বিস্মিত।

অতিক্রম—অতিক্রান্ত

দেহ—দৈহিক।

 বিচার—বিচার্য।


◆ সমার্থক শব্দ লেখো :

উঃ।পৃথিবী—বসুধা, ধরণী, বিশ্ব। 

ঘোড়া—ঘোটক।

হাওয়া—বাতাস, পবন।

 খরগোশ—শশক, শশ।

 হরিণ—মৃগ। 

সমুদ্র—জলধি, অর্ণব, পারাপার।

 


★ বিপরীত শব্দ :  

উৎপন্ন—বিনষ্ট। 

অদৃশ্য—দৃশ্য। 

ত্বরা—বীর। 

শাশ্বত—অনিত্য।

নারাজ-রাজি। 

স্থানু—চলমান।

 বিচার-অবিচার। 

অত্যধিক—অনধিক।

সক্ষম—অক্ষম।

 অতিক্রম —অনতিক্রম।