ছেলেবেলা পঞ্চম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের / chhelebla class 5 bangla question answer - school book solver

Pages

Thursday, 27 March 2025

ছেলেবেলা পঞ্চম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের / chhelebla class 5 bangla question answer

 



পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
     ★ ছেলেবেলা ★
■ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিচিতি :--
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতার নাম  সারদাদেবী। তিনি আমাদের কাছে ‘বিশ্বকবি' নামে খ্যাত ।শিক্ষা , সংগীত, অঙ্কনেও তিনি ছেলেবেলা থেকে যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন। বোলপুর শান্তিনিকেতনে ‘রত্নচর্য আশ্রম’ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। সেই রত্নচর্য আশ্রমই এখন ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়' নামে পরিচিত।
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে "নোবেল পুরস্কার' লাভ করেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টরেট' উপাধি পান। রবীন্দ্রনাথ রচিত অন্যান্য রচনা হল 'নৌকাডুবি', 'ডাকঘর', 'বিদায় অভিশাপ', 'গোরা' প্রভৃতি। তিনি অসংখ্য সংগীত রচনা করেন ও তাতে সুর দেন। তাঁর রচিত সংগীতগুলি 'রবীন্দ্রসংগীত' নামে পরিচিত।  ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ) তিনি পরলোক গমন করেন।


ছেলেবেলা গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা :-
ছেলেবেলা গল্পে ছোট্ট রবি বাড়ির তিনতলার ছাদকেই প্রধান ছুটির দেশ মনে করতেন। কবির পিতা যখন পাহাড়-পর্বতে মাঝেমধ্যে যেতেন, তখন কবি তিন তলায় উঠতেন এবং সেখান থেকে নীল আকাশ, সবুজ পৃথিবী, নানা ধরনের বাড়ি দেখতেন। দুপুরবেলা তিনতলার ঘরে রেলিঙে খড়খড়ির ফাঁকে ছিটকিনি খুলে সোফায় বসতেন।
সামনের গলি দিয়ে চুড়িওয়ালা হেঁকে যেত। তার ডাক বাড়ির মধ্যে ভেসে আসত। বাড়ির দাসী তাকে ভিতরে ডেকে নিয়ে আসত। সে বউদের চুড়ি পরাত। কবি দেখতেন কীভাবে জল ধরে রাখা হচ্ছে। বিকালে সেই জলে গা ধুতেন। জল ধরার কাজটিকে বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। নীচের দেউড়ির ঘণ্টায় যখন চারটে বেজে উঠত তখন চৌকিদার খোঁজ লাগাত তাঁকে ধরে আনতে। কবি দেখতেন ঘোড়ায় টানা গাড়ি নিয়ে সইস যাত্রীদের নেওয়ার জন্য হাঁক দিচ্ছে।

ছেলেবেলা গল্পের নামকরণ সার্থকতা :-
ছেলেবেলা গল্পে  রবীন্দ্রনাথ নিজের ছেলেবেলার কথা আলোচনা দিয়েছেন। সমগ্ৰ গল্লে লেখকের ছেলেবেলার দিনগুলি কেমন ছিল তারই কথা এখানে বলা হয়েছে। কবির পিতার কথা, জোড়াসাঁকো, ঠাকুরবাড়ির ছাদের কথা, সামনের গলি দিয়ে হেঁকে যাওয়া চুড়িওয়ালার কথা এই গল্পে রয়েছে। ছেলেবেলায় কবি ছুটির দিনে  কেমন ভাবে দুপুরবেলা কাটাতেন সেকথা যেমন লেখক বলেছন। দিনের আলো ফিকে হয়ে এলে কবি দেখতেন সামনের পুকুর, বটগাছের ছায়া, সইসের হাঁকডাক ইত্যাদি। ফলে গদ্যাংশটির নামকরণ ‘ছেলেবেলা সার্থক হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

উৎস-ছেলেবেলা গল্প পাঠ্যাংশটি কবির ‘ছেলেবেলা' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।


হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো-
১.১  চিলেকোঠা হল কাঠের ঘর (তেতলার ঘর/ ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর /বসবার ঘর)।
উত্তর -চিলেকোঠা হল ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর

১.২ ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমিটি হল (গোবি/সাহারা/থর)।
উত্তর ঃ ভারতবর্ষের বিখ্যাত মমিটি এমন।

১.৩ লিভিংস্টন ছিলেন (ইতালি/জার্মানি/ইংল্যান্ড/স্কটল্যান্ড) দেশের মানুষ।
উত্তর : লিভিংস্টন ছিলেন ইংল্যান্ড দেশের মানুষ।

১.৪ জুড়িগাড়ি হল (ঘোড়ায় টানা/হাতিতে টানা/যন্ত্রচালিত/গরুতে টানা) গাড়ি।
উত্তর : জুড়িগাড়ি হল ঘোড়ায় টানা গাড়ি।

২. 'ক' স্তম্ভের 'খ'স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর-
ক'স্তম্ভ           খ'স্তম্ভ
কেতাব     >       বই
মরুভূমি    >       শুষ্ক জলহীন স্থান
ওয়েসিস    >       মরুদ্যান
সইস    >       ঘোড়াকে দেখাশোনা করার লোক
চৌকিদার    >       পাহারাদার

৩. কোনটি বেমানান খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তর :
৩.১ পুকুরের পাতিহাঁস, ঘাটে লোকজনের আনাগোনা, অর্ধেক পুকুর ,জোড়া বট গাছের ছায়া, জুড়িগাড়ির সইস।
উত্তর : জুড়িগাড়ির সইস।

৩.২ তেতালা ঘর, সাত সমুদ্দুর, সেকেন্ড ক্লাস, পিপেগাড়ি।
উত্তর : সাত সমুদ্দুর

৩.৩ চুড়িওয়ালা, ফেরিওয়ালা, সইস, বালক সন্ন্যাসী।
উত্তর : বালক সন্ন্যাসী।

৩.৪ পিপেগাড়ি, জুড়িগাড়ি, রিক্শা, গাড়িবারান্দা।
উত্তর : গাড়িবারান্দা।

৩.৫ চিল, রোদ্দুর, দুপুর, লোকবসতি।
উত্তর : লোকবসতি।

৪. তোমার পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন পাঁচটা ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তর : সোফা, সেকেন্ড, ক্লাস, ওয়েসিস, লিভিংস্টন।


৫. 'চুড়িওয়ালা' (চুড়ি + ওয়ালা), ‘ফেরিওয়ালা' (ফেরি + ওয়ালা) এরকম শব্দের শেষে ‘ওয়ালা' যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
উত্তর : দুধ+ওয়ালা= দুধওয়ালা ।
বাসন + ওয়ালা = বাসনওয়ালা। ।
মাছ+ওয়ালা = মাছওয়ালা
ঝাঁকা+ ওয়ালা = ঝাঁকাওয়ালা 
বাড়ি+ওয়ালা =বাড়িওয়ালা
সবজি + ওয়ালা = সবজিওয়ালা।
ছাতা + ওয়ালা = ছাতাওয়ালা।

৬. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৬.১ রাঙা হয়ে আসত ......চিল ডেকে যেত.......
উত্তর ঃ রাঙা হয়ে আসত রোদ্দুর, চিল ডেকে যেত আকাশে

৬.২ আমার জীবনে বাইরের------ছাদ ছিল প্রধান....দেশ।
উত্তর : আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাঁদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ।

৬.৩........ তাকে যেন বাংলাদেশের .....এইমাত্র খুঁজে বের করল।
উত্তর : লুকিয়ে-ঢোকা নাবার ঘর তাকে যেন বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টোন এইমাত্র খুঁজে বের করল।
৬.৪ এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ......দেখা দিয়েছিল।
উত্তর ঃ এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল।

৬.৫ নীচের.......বাজল চারটে।
উত্তর : নীচের দেউড়ির ঘণ্টায় বাজল চারটে।

৭. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
বেলোয়ারি, চুড়ি, মাদুর, ঝাঁকড়া, বিবাগি, গড়ন, দামি, নীল, গরম, ঘোলা, পুকুর, লোকজন।

উত্তর :
বিশেষ্য:- চুরি, নীল, পুকুর, মাদুর, গরন ,লোকজন।

বিশেষণ: - বেলোয়ারি, বিবাগী, গরম ,ঝাঁকড়া, দামি, ঘোলা।

৮. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও
৬.১ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছত।
উত্তর : হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছত

৮.২ সেইখানে অত্যন্ত একলা হয়ে বসতুম।
উত্তর : সেইখানে প্রত্যন্ত একলা হয়ে বমতুম

৮.৬ হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি দিতুম খুলে।
উত্তর : হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি দিতুম খুলে।

৮.৪ ধারাজল পড়ত সকল গায়ে।
উত্তর : ধারাজল পড়ত সকল গায়ে।

৮.৫ পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে।
উত্তর : পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে

৯. বাক্যরচনা করো :
প্রধান, দেশ, বালিশ, মরুভূমি, ধুলো।
উত্তর :- পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ফসল হলো ধান।
বালিশ — তুলো দিয়ে বালিশ তৈরি হয়।
ধুলো- মাটির রাস্তায় ধুলোয় ভর্তি থাকে।
দেশ— ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলা দেশ
মরুভূমি — ভারতে একটি মরুভূমি আছে।


১০. 'গ্রহণ' শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো।
উত্তর : গ্রহণ—(কোনো কিছু নেওয়া) – তপনের কাছ থেকে আমি পুরনো বইগুলো গ্রহণ করলাম।
গ্রহণ (গ্রাস করা)– প্রতি পূর্ণিমার চন্দ্রগ্রহণ হয় না।

১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
আড়াল, চুপ, আনন্দ, গলি, ফিকে

উত্তর : আড়াল—প্রকাশ্য।
চুপ—মুখর।
আনন্দ—নিরানন্দ।
গলি — রাজপথ।
ফিকে—স্বচ্ছ।

১২. অর্থ লেখো :
মূর্তি, পিলপেগাড়ি, বিবাগি, নাগাল, দেউড়ি।
উত্তরঃ মূর্তি—বিগ্রহ।
পিপেগাড়ি — হাতিতে টানা গাড়ি।
বিবাগি —সংসার ত্যাগী।
নাগাল —হস্তগত।
দেউড়ি—সদর দরজা।

১৩. প্রতিশব্দ লেখো :
পৃথিবী, পাহাড়, আকাশ, জল, গাছ।
উত্তর : পৃথিবী— বসুধা, ধরণি, ভুবন, বসুমতী, ধরিত্রী।
আকাশ—অম্বর, গগন, নভঃ, অম্বর, অভ্র, নীলিমা। ।
গাছ—তরু,বৃক্ষ,  পাদপ, দ্রুম, শাখী, বিটপী।
পাহাড়—গিরি, শৈল, অচল, অদ্রি, ভুধর।
জল—বারি, সলিল, নীর, অপ, উদক।

১৪. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
১৪.১ আমার পিতা যখন বাড়ি থাকতেন তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘরে।
উত্তর : আমার পিতা মাঝে মধ্যে বাড়িতে থাকতেন।
বাড়িতে তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘর।

১৪.২ আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম প্রায়ই দুপুর বেলায়।
উত্তর : প্রায়ই আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম। আমি ছাদে উঠতুম দুপুর বেলায়।

১৪.৩ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছোত, যেখানে বালিশের ওপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ
উত্তর ঃ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছোেত বাড়ির বউ-এর কাছে। বাড়ির বউ তখন বালিশের ওপর খোলাচুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত।

১৪.৪ বিছানার একখানা চাদর নিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।
উত্তর : বিছানার একখানা চাদর নিয়ে আমি গা মুছতাম। গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।

১৪.৫ গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে।
উত্তর : গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। বাতাস ধুলো উড়িয়ে যাচ্ছে।

১৫.৬ কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি কী নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত?
উত্তর : কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি 'জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি' নামে পরিচিত।

১৫.২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন এমন দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন (i)শিশু ভোলানাথ (ii)সহজপাঠ',।

১৫.৩ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন দুটি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন ?
উত্তর ঃ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী' এবং 'বালক পত্রিকার তিনি নিয়মিত লিখতেন।।

১৬ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১ বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল?
উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল তেতলার বাইরের খোলা ছাদ।

২৬.২ তার বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত?
উত্তর : তার বাড়ির নীচতলার বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক চলাচল দেখা যেত।

১৬.৩ পাঠ্যাংশে 'ওয়েসিস'-এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে?
উত্তর : 'ওয়েসিস' শব্দের অর্থ মরুদ্যান। কবি ছাদটাকে মরুভূমি মনে করেছেন। কলের ধারাজল বসাতে ছাদেতে যে জলাধার রাখা হয়েছিল সেটাকেই কবি ওয়েসিস বা মরুদ্যান মনে করে ওয়েসিস'-এর প্রসঙ্গ এনেছেন।

১৬.৪ পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতার সম্পর্কে কী জানতে পারো ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের পিতা যখন বাড়িতে থাকতেন তখন তিনি তেতলার ঘরে থাকতেন। মাঝেমধ্যে তিনি অনেক দিনের জন্য পাহাড়ে-পর্বতে চলে যেতেন। চিলোকোঠার আড়াল দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দেখতেন ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগে তাঁর পিতা সাদা পাথরের মূর্তির মতো ছাদে   চুপ করে ধ্যানে বসে আছেন। কোলে দুটি হাত জোড়-করা।

১৬.৬  পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবির আকর্ষণের কথা কীভাবে জানা গেল?
উত্তর : পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবিঠাকুরের আকর্ষণ ছিল। তিনি বিকেলবেলায় ওই কলের ধারাজলে গা ধুয়ে নিতেন। বিছানার একটা চাদর দিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতেন।


১৬.৬ ছুটির শেষের দিকে এসে পৌঁছলে রবির মনের ভাব কেমন হতো ?
উত্তর :ছুটির শেষের দিকে এসে পৌঁছলে রবির মনে হতো,  সোমবার থেকেই আবার কাজের তাড়া আসবে। আবার দেউড়ির ঘণ্টা বাজলেই ছুটতে হবে।

১৬.৭ পাঠ্যাংশে কাকে, কেন বাংলাদেশের 'শিশু লিভিংস্টন' বলা হয়েছে?
উত্তর : ছোট্ট রবিকে বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টন মনে হত।
ইংল্যান্ড দেশের পাশেই ছোটো একটা দেশ স্কটল্যান্ডের লোক ছিলেন ডেভিড লিভিংস্টন। তিনিই প্রথম দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকার অনেকটা অংশে অভিযান করেছেন। নীলনদের উৎসস্থল টাঙ্গানিকা হ্রদ আর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত অবধি
পৌঁছোনোর কৃতিত্ব তাঁরই। জাম্বেসি ও কঙ্গো নদীপথ ধরে তাঁর অভিযান পৃথিবীর অভিযাত্রার ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে। ছোটবেলাকার ঘটনার সঙ্গে কবির ছোটবেলাকার ঘটনা কিছু মিল থাকার জন্য লিভিংস্টনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১৬, তুমি যখন আরও ছোটো ছিলে তখন তোমার দিন কীভাবে কাটত, তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন ছিল তা লেখো
উত্তর- আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দাদুর হাত ধরে কাকুর হাত ধরে বেড়াতে ভালবাসতাম পড়তে বা স্কুলে যেতে আমার মন চাইত না‌। কাকুর সঙ্গে নদীর ধারে বেড়াতে যেতে মন হত তখনও পিসির বাড়ি মাসির বাড়ি যেতে মন হত আমি ওদেরকে আবদার করে বলতাম আমাকে বেড়াতে নিয়ে চলো। নদীর ধারে গাছপালা আমার খুব ভালো লাগতো। নদীর স্রোত দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো । আমার মা আমাকে সঙ্গে করে মাঝে মাঝে নদীতে স্নান করতে নিয়ে যেত। তখন খুব আমি মজা পেতাম। তারপর মোবাইল দেখতে খুব ভালো লাগলো। দিদির সঙ্গে বসে বসে মোবাইল দেখতাম রাগ পড়াশোনা কথা বললে শরীর খারাপের ভান করতাম। তখন আমাকে স্কুল বা প্রাইভেট যেতে হতো না। বসে বসে মায়ের সঙ্গে টিভি দেখতাম। মা আদর করে অনেক কিছু খেতে দিতো।


হাতে কলমের বাইরে আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর

এক কথায় উত্তর দাও :

★ পিলপেগাড়ি কাকে বলে?
উত্তর : হাতিতে টানা গাড়িকে পিপেগাড়ি বলে
★ লেখক কখন ছাদে উঠতেন?
উত্তর ঃ প্রায়ই দুপুরবেলা লেখক  ছাদে উঠতেন।

★লেখকের মন কে ভুলিয়ে দিত?
উত্তর : দুপুরবেলাটা লেখকের মন ভুলিয়ে দিত।

★ ঘরের সামনে কী ছিল ?
উত্তর : ঘরের সামনে একটা সোফা ছিল।

★বেলোয়ারি কথাটির অর্থ কী?
উত্তর ঃ কাচের তৈরি জিনিসকে বেলোয়ারি বলে।

★পাঠ্যাংশে কার ছেলেবেলায় কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলেবেলার কথা বলা হয়েছে।

★রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার কোথায় জায়গা ছিল?
উত্তর : তেতলার ঘরে থাকতেন।
★ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মাঝে মাঝে কোথায় চলে গেতেন?
উত্তর : পাহাড়ে-পর্বতে চলে যেতেন।

★ ওয়েসিস কথার অর্থ কী?
উত্তর ঃ ওয়েসিস কথার অর্থ মরুদ্যান।

★ কোথা দিয়ে লেখক রাস্তার লোক চলাচল দেখতেন?
উত্তর : বারান্দায় বসে বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে লেখক রাস্তার লোক চলাচল দেখতেন।

★ ছোটো থেকে বড়ো বয়স পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের দিনগুলি কীভাবে কেটেছে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ছোটো থেকে বড়ো বয়স পর্যন্ত নানা রকমের দিন ওই খোলা ছাদে নানাভাবে বয়ে চলেছে।
★ চিলেকোঠার আড়ালে দাঁড়িয়ে তিনি কী দেখতেন ?
উত্তর ঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁদের খোলা ছাদের চিলেকোঠার আড়ালে দাঁড়িয়ে দূর থেকে কতদিন দেখেছেন, সূর্য ওঠার আগে তাঁর পিতা সাদা পাথরের মূর্তির মতো চুপ করে বসে আছেন, কোলে দুটি হাত জোড় করা।

★'সাত-সমুদ্দুর-পারে যাওয়ার আনন্দ' রবীন্দ্রনাথ কখন উপভোগ করতেন?
উত্তর : মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের পিতা অনেক দিনের জন্য চলে যেতেন পাহাড়ে পর্বতে, তখন তাঁদের বাড়ির ওই খোলা ছাদে যাওয়া ছিল তাঁর সাত সমুদ্দুর পারে যাওয়ার আনন্দ।

★ ঘরের ছিটকিনি ছোটো রবি কীভাবে খুলতেন ?
উত্তর ঃ খড়খড়ির ভিতর দিয়ে হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি ছোটো রবি খুলতেন।

★রবিবারের বিকেলবেলাটা লেখকের কেমন লাগত?
উত্তর ঃ রবিবারের বিকেল বেলা লেখকের কাছে খারাপ লাগত। মনে হত আকাশটা বিশ্রী রকম মুখ বিগড়ে রয়েছে।

★ ‘ছেলেবেলা' গল্পে কার, কোথায় প্রধান ছুটির দেশ ছিল?
উত্তর : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'ছেলেবেলা' গল্পে তাঁদের বাড়ির বাইরের খোলা ছাদটা ছিল তাঁর শৈশব জীবনে প্রধান ছুটির দেশ।

★বারান্দায় বসে বসে রবীন্দ্রনাথ কী দেখতেন ?
উত্তর ঃ ছেলেবেলায় চিরদিন নীচের তলায় বারান্দায় বসে বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দেখে এসেছেন রাস্তার লোক চলাচল।

★ ছাদের ওপর যাওয়া লোকবসতির পিপেগাড়ি পেরিয়ে গেলে রবীন্দ্রনাথের কী মনে হয় ?
উত্তর ঃ ওখানে গেলে কলকাতার মাথার ওপর দিয়ে পা ফেলে রবীন্দ্রনাথের মন চলে যায় – যেখানে আকাশের শেষ নীল মিশে গেছে পৃথিবীর শেষ সবুজে।

★  বিকেলে রোদ্দুর রাঙা হয়ে এলে চুড়িওয়ালা কী করত?
উত্তর ঃ যখন বিকেলে রোদ্দুর রাঙা হয়ে আসত তখন চুড়িওয়ালা সামনের গলি দিয়ে হেঁকে যেত।

★ অনেক বড়ো হয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলাকার ওই চুপচাপ দুপুরের কথা ভেবে কী বলেছেন?
উত্তর : বড়ো হয়ে রবীন্দ্রনাথ দুঃখ করে বলেছেন, সেদিনের দুপুরবেলাকার সেই চুপচাপ বেলা আজ আর নেই, আর নেই সেই চুপচাপ বেলার ফেরিওয়ালা।
★ রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলাকার চুপচাপ দুপুরে শোনা চুড়িওয়ালার হাঁক কতদূর গিয়ে পৌঁছোত?
উত্তর ঃ চুপচাপ দুপুরে চুড়িওয়ালাদের হাঁক পৌঁছোত, যেখানে বালিশের ওপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ।

★ দাসী কাকে, কোথায় ডেকে নিয়ে আসত ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার চুপচাপ দুপুরের হাঁক দিয়ে যাওয়া চুড়িওয়ালাকে তাঁদের বাড়ির দাসী ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে আসত।

★ ১২টা প্রায়ই দুপুরবেলায় রবীন্দ্রনাথ লুকিয়ে ছাদে উঠে কী দেখতেন?
উত্তর : নানা বাড়ির নানা গড়নের উঁচুনীচু ছাদ দেখতেন, মধ্যে মধ্যে লক্ষ করতেন গাছের ঝাঁকড়া মাথা।

★  বালক রবীন্দ্রনাথের বরাবর দুপুরবেলাটা কীভাবে মন ভুলিয়ে নিয়েছে?
উত্তর ঃ রবীন্দ্রনাথের কাছে সেটা যেন দিনের বেলাকার রাত্তির, বালক সন্ন্যাসীর বিবাগি হয়ে যাওয়ার সময়।

★ শিশু রবি দরজার ছিটকিনি কীভাবে খুলতেন ?
উত্তর ঃ খড়খড়ির ভিতর দিয়ে হাত গলিয়ে বালক রবীন্দ্রনাথ দরজার ছিটকিনি খুলে দিতেন।

★  দুপুরে ঘরের ছিটকিনি খুলে রবীন্দ্রনাথ কী করতেন?
উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথ দুপুরে ঘরের ছিটকিনি খুলে সামনে রাখা একটা সোফায় অত্যন্ত একলা হয়ে বসতেন।
বালক রবীন্দ্রনাথকে দুপুরে পাকড়াও করবার চৌকিদাররা কীভাবে সময় কাটাত?



উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথকে পাকড়াও করবার চৌকিদারদের দুপুরে পেট ভরে ভাত খেয়ে ঝিমুনি আসত। তারা গা মোড়া দিতে, দিতে মাদুর জুড়ে শুয়ে পড়ত।

★ আকাশে কখন চিল ডেকে যেত?
উত্তর ঃ দুপুর পেরিয়ে গেলে রোদ্দুর যখন রাঙা হয়ে আসত তখন চিল আকাশে ডেকে যেত।

★  বুড়ো চুড়িওয়ালাকে রাস্তা থেকে দাসী ঘরের ভিতরে ডেকে আনলে সে কী করত?
উত্তর : বুড়ো চুড়িওয়ালা ঘরের ভিতরে এসে বাড়ির বউয়ের কচি হাত টিপে টিপে পরিয়ে দিত পছন্দমতো বেলোয়ারি চুড়ি।

★ বালক রবীন্দ্রনাথের বাড়ির তখনকার ছাদটা কেমন ছিল ?
উত্তর ঃ বালক রবীন্দ্রনাথের তখনকার চুপচাপ দুপুরের ছাদটা ছিল তাঁর কেতাবে-পড়া মরুভূমি, ধু-ধু করছে চারদিক।

★ রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার কেতাবে পড়া মরুভূমিতে গরম বাতাস এখন কী করছে?
উত্তর ঃ রবীন্দ্রনাথের বড়ো বয়সের অনুভবে তাঁর ছেলেবেলাকার কেতাবে-পড়া মরুভূমির গরম বাতাস এখন হু-হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে, আকাশের নীল রং এসেছে ফিকে হয়ে।

★ রবীন্দ্রনাথের দেখা ছেলেবেলার চুড়িওয়ালা এখন কী করছে?
উত্তর ঃ বালক রবীন্দ্রনাথের ধারণা তাঁর দেখা চুপচাপ দুপুরের চুড়িওয়ালা হয়তো এখন সেই গলিতেই রিক্শ ঠেলে বেড়াচ্ছে।

★  রবীন্দ্রনাথের বালক বয়সের বাড়ির চুড়ি পরা বউ আজকের দিনে কী করছে?
উত্তর : আজকের দিনে রবীন্দ্রনাথের বালক বয়সের বউ সেকেন্ড ক্লাসে পড়া মুখস্থ করছে।

★  ওয়েসিস কথার প্রকৃত অর্থ কী?
উত্তর ঃ মরুভূমিতে যে বাগান দেখা যায় তাকে বলে ওয়েসিস বা মরূদ্যান।

'ছেলেবেলা' গল্পে শিশুটির কাছে 'ওয়েসিস কোনটি?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার নিজেদের বাড়ির ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল।

  তাঁর ছেলেবেলার ছুটির দিন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলার কথা শোনাতে গিয়ে লিখেছেন তাঁর ছুটির দিনটা দেখতে দেখতে শেষের দিকে এসে পৌঁছোল।

★  ছুটির দিনটা শেষের দিকে এসে পৌঁছোলে কী ঘটনা ঘটল ?
উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথের ছুটির দিনটা দেখতে দেখতে শেষের দিকে এসে পৌঁছোলে নীচের দেউড়ির ঘণ্টায় বাজল চারটে।

দেউড়ি বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর ঃ ধনী ব্যক্তিদের ঘিরে যে উঁচু প্রাচীর তার অনেকগুলি ঘর লম্বা-চওড়া প্রধান দরজাকে বলে দেউড়ি বা তোরণ বা ফটক।

★  রবীন্দ্রনাথের বড়ো বয়সে তাঁদের বাড়ির ওপরের তলায় কী নেই?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলায় তাঁদের ওপরতলায় যে কলে জল ছিল, তাঁর বড়ো বয়সে সেই কলে জলের নাগাল ছিল না।

★  ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথ তাঁদের স্নানের ঘরে কল খুলে দিলে কী হত?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলায় তাঁদের ওপরতলায় স্নানের ঘরে কল খুলে দিলে ধারাজল পড়ত তাঁর সকল গায়ে।

ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথ ওপরতলায় কলে গোপনে নিজের মতো করে ধারাস্নান করার পর কী করতেন?
উত্তর : ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথ কল খুলে দিয়ে গোপনে নিজের মতো করে ধারাস্নান সেরে বিছানার একখানা চাদর
নিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতেন।

★  কোথায় চারটে বাজল ?
উত্তর ঃ 'ছেলেবেলা' গল্পে রবীন্দ্রনাথের বাড়ির নীচের দেউড়ির ঘণ্টায় চারটে বাজল।
উত্তর : রবিবারের বিকেলবেলায় আকাশটা বিশ্রী রকমের মুখ বিগড়ে আছে।
★  রবিবারের বিকেলবেলায় আকাশটা কী কারণে বিশ্রী রকমের মুখ বিগড়ে রেখেছে?


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার জায়গা ছিল – (একতলার ঘরে/দোতলার ঘরে/তেতলার ঘরে/চিলেকোঠায়)
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার জায়গা ছিল তেতলার ঘরে।

★  রবিবারের বিকেলে দিনের আলো ঘোলা হয়ে এলে বালক রবীন্দ্রনাথ তাঁদের বাড়ির ছাদের নীচে কী দেখতে পেলেন?
উত্তর : ছাদের ওপর থেকে নীচে তাকিয়ে বিকেলের রবীন্দ্রনাথ দেখালেন পুকুর থেকে পাতিবাসগুলো উঠে গিয়েছে।

★  মুখ বিগড়ে আছে কে?
উত্তর ঃ আসছে-সোমবারের হাঁ-করা মুখের গ্রহণ-লাগানো ছায়া রবিবারের বিকেলকে গিলতে শুরু করেছে বলে আকাশটা
বিশ্রী রকমের মুখ বিগড়ে রেখেছে।

★ 'একবার ছাদটা ঘুরে আসা গেল, – কে কীভাবে ছাদটা ঘুরে এলেন?
উত্তর : বালক রবীন্দ্রনাথ তাঁর রবিবারের বিকেলে মন-খারাপ নিয়ে একবার ছাদটা ঘুরে এলেন।

লোকজনের আনাগোনা আরম্ভ হয়েছে কোন মাটে?
উত্তর : 'ছেলেবেলা' গল্পে রবীন্দ্রনাথের বাড়ির নীচে যে পুকুর আছে সেই খাটে রবিবারের বিকেল গড়িয়ে গেলে স্নানের জন্য লোকজনের আনাগোনা আরও হয়েছে।

বালক রবীন্দ্রনাথ তেতলার ঘরে কী খুঁজে পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ তেতলার ঘরে লুকিয়ে-ঢোকা নাবার ঘরে অর্থাৎ, শিশু লিভিংস্টোনকে খুঁজে বের করলেন।

★ 'মাঝে মাঝে তিনি অনেকদিনের জন্য চলে যেতেন পাহাড়ে পর্বতে'— এখানে কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তর ঃ এখানে রবীন্দ্রনাথের পিতৃদেব মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে।

★  বিকেলে কীসের ছায়া কোথায় পড়েছে?
উত্তর : 'ছেলেবেলা' গল্পে বিকেলে বালক রবীন্দ্রনাথের বাড়ির পুকুরে বটগাছের ছায়া পড়েছে অর্ধেক পুকুর জুড়ে।

★  রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলায় কোনো এক রবিবারের পড়ন্ত বিকেলে তাঁদের ছাদে দাঁড়িয়ে কী শুনলেন?
উত্তর : রাস্তা থেকে জুড়িগাড়ির সইসের হাঁক শুনতে পেলেন।

★  সইস কাকে বলে ?
উত্তর : যারা ঘোড়ার দেখাশোনা করে অর্থাৎ, তত্ত্বাবধায়ক তাদের বলা হয় সাইন।

জুড়িগাড়ি কোন্ পশুতে টানে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার শহর কলকাতায় দুই ঘোড়ায় টানা যে গাড়ি চলত তাকে বলা হয় জুড়িগাড়ি।

★  চিলেকোঠা শব্দটির মানে কী ?
উত্তর : দু-তিনতলা বাড়ি বা তার চেয়েও বেশি উঁচু বাড়িগুলির ছাদের ওপর সিঁড়ির ঘরকে বলা হয় চিলেকোঠা।

★  পিলপেগাড়ি বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর : ছোট্ট রবির কলকাতা শহরের রাস্তায় যেসব গাড়ি হাতি টেনে নিয়ে যেত সেগুলিকে বলা হত পিল্‌পেগাড়ি।

★  চৌকিদার কাকে বলা হয়?
উত্তর : যে ব্যক্তি পাহারা দেয় তাকে বলা হয় চৌকিদার।

★  ‘ছেলেবেলা' কী ধরনের রচনা?
উত্তর : ‘ছেলেবেলা’ আত্মজীবনীমূলক রচনা।

★  ‘যেন দিনের বেলাকার রাত্তির'–কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? সেই সময়টি কীসের সময়?
উত্তর ঃ এখানে দুপুরবেলার কথা বলা হয়েছে। সেই সময়টি বিবাগি হয়ে যাওয়ার সময়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে, কোন্ বই-এর জন্য নোবেল পুরষ্কার পান?
উত্তর : ১৯১৩ সালে 'Songs Offerings'-এর জন্য (‘গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান।

বালক সন্ন্যাসীর বিরাগি হয়ে যাবার সময়’—এখানে 'বালক' কে? কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? বিবাগি হয়ে যাওয়ার অর্থ কী?
উত্তর : এখানে 'বালক' হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দুপুরবেলার কথা বলা হয়েছে। বিবাগি হয়ে যাওয়ার অর্থ সংসার ত্যাগী হওয়া। কারণ দুপুরবেলা লেখকের মন উদাস হয়ে যেত। সংসারের কথা তিনি ভুলে যেতেন।

  যখন লেখক সোফার বসতেন তখন চৌকিদাররা কী করত?
উত্তর : যখন লেখক সোফায় বসতেন তখন চৌকিদার যারা ছিল, তারা লেখকের খোঁজ রাখত না। খেয়েদেয়ে তাদের ঝিমুনি আসত। তখন তারা গা মোড়া দিতে দিতে মাদুর পেতে শুয়ে পড়ত।

বালক রবীন্দ্রনাথের বাড়ির দুপুরের পরিবেশটি বর্ণনা করো।
উত্তর ঃ দুপুরে সূর্যের রোদ রাঙা হয়ে আসত। আকাশে চিল ডেকে যেত। ছাদটাকে মনে হত মরুভূমি। সামনের গলি দিয়ে চুড়িওয়ালা হেঁকে যেত। তাদের হাঁক পৌঁছোেত বাড়ির বউদের কাছে। দাসী তাদের ডেকে আনত।

★  চুড়িওয়ালা কীভাবে চুড়ি পরাত?
উত্তর : বুড়ো চুড়িওয়ালার কাছে পছন্দমতো খেলোয়ারি চুড়ি থাকত। বাড়ির বউদের কচি হাত টিপে টিপে পছন্দমতে চুড়ি বেলোয়ারি পরিয়ে দিত।

ছোট্ট রবির ছাদ থেকে বিকেলে দেখার অনুভূতি কেমন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের কাছে তাঁর বাল্যকালে বইতে পড়া মরুভূমি মনে হত ছাদটাকে। চারদিক ধু ধু করছে। দুপুরের আবাদ বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। বিকেল হতেই আকাশের নীল রং ফিকে হয়ে আসত।
রবীন্দ্রনাথের বাড়ির রেলিং-এর ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ চিরদিনের নীচের তলায় বারান্দায় বসে বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে দেখে এসেছেন রাস্তার লোক-চলাচল। আর দেখতেন হাতিতে টানা পিলপেগাড়ি।

★ “এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল”– কেন লেখক একথা বলেছেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তেতলার ঘরের পাশে ছিল বাইরের খোলা ছাদ। ছাদটা ছিল লেখকের কেতাবে পড়া মরুভূমি, ধূ ধূ করছে চারদিক। গরম বাতাস হু-হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে।

কবি রবীন্দ্রনাথের 'ছেলেবেলা'-র কথা তোমার পড়েছ। তুমি যদি সেই একই পরিবেশে বড়ো হতে, তাহলে তোমার মনের অবস্থা কেমন হত, তা কল্পনা করে কয়েকটি বাক্য লেখো।
উত্তর : আমি যদি রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার পরিবেশে বড়ো হতাম, তাহলে আমিও রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক-চলাচল দেখতাম। আবার, কখনো ছাদের চিলেকোঠার আড়ালে দাঁড়িয়ে দূর থেকে সূর্যোদয় দেখতাম। কখনো
চলে যেতাম পাহাড়-পর্বতে। ছাদে গিয়ে সাত সমুদ্দুর পারে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতাম। দুপুরবেলায় ছাদে উঠে মন ভোলাতাম। সামনের গলি দিয়ে চুড়িওয়ালা হেঁকে যেত। রবিবারের বিকেলবেলাটা এমন মুখ বিগড়ে থাকে যে
আসছে-সোমবারের হাঁ-করা মুখের গ্রহণ-লাগানো ছায়া আমাকে গিলতে শুরু করবে।

★  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিস্টাব্দে, কোন্ কাব্যগ্রন্থের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান 'নোবেল' পুরস্কার লাভ করেছিলেন ?
তিনি কোন্ আদর্শে বোলপুর শান্তিনিকেতন গড়ে তুলেছিলেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে 'Song Offerings' ('গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ) এর জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান 'নোবেল' পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে আসেন। এখানে দেবেন্দ্রনাথ
ঠাকুর ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। আশ্রমের আয়কর উদ্যানে ১৯০১ সালে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন 'ব্রহ্মবিদ্যালয়'। এখানে পরে তিনি 'পাঠভবন' নামে একটা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যা বাকি সব
বিদ্যালয়ের থেকে বেশ আলাদা ছিল। কারণ সেই বিদ্যালয় ছিল সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নীচে গাছের তলায়। এরপর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই বিদ্যালয়কে 'বিশ্বভারতী' বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেন। তিনি চিরাচরিত শিক্ষাব্যবস্থাকে একদম তুচ্ছ মনে করতেন। প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি তাঁর বিরূপ ধারণা থেকেই শান্তিনিকেতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

★  দিনের আলো শেষে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাল্য বয়সের ঘটনা কীভাবে বর্ণনা করেছেন?
উত্তর : বিকেল হতেই দিনের আলো ঘোলা হয়ে আসছে। মন খারাপ নিয়ে লেখক ছাদ থেকে ঘুরে এলেন। নীচের দিকে তাকালেন। পুকুরের দিকে দেখলেন। প্রায় সন্ধে হয়ে আসতেই পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে। ঘাটে
লোকজনেরা আনাগোনা শুরু করেছে। পুকুরের জলে বট গাছের ছায়া পড়েছে। জুড়িগাড়ি নিয়ে সহিস হাঁকতে শুরু করেছে।

★ 'আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ'—এখানে 'প্রধান ছুটির দেশ' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : কল্পনাবিলাসী বালক রবীন্দ্রনাথ শৈশব থেকেই নানারকম বিষয় মনের মণিকোঠায় স্থান দিতেন। আলোচ্য অংশে দেখা যায়, তিনি নীচের তলায় রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক-চলাচল, হাতিতে টানা পিল্‌পেগাড়ি দেখতেন। ছাদে উঠে তিনি আকাশ দেখতেন। নানা বাড়ির নানা ধরনের উঁচুনীচু ছাদ দেখতেন। দুপুরবেলাটা কোনো বালক সন্ন্যাসীর
বিবাগি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা তাঁর মন ভুলিয়ে দিত। তেতলার ঘরে ছিটকিনি খুলে দিয়ে একলা সোফাটায় বসতেন। দুপুরবেলা সামনের গলি দিয়ে চুড়িওয়ালা হেঁকে যেত। ছাদটা এখন মরুভূমি মনে হয়েছে লেখকের। বাতাসে ধুলো উড়ছে। তেতলার কলের ভরে রাখা কলের জলে লেখকের গা-ধোওয়া হত। এরপর গা মুছে সহজ হয়ে বসতেন। দিনের আলো ঘোলা হয়ে এসেছে। ছাদটা ঘুরে নীচের দিকে তাকিয়ে তিনি দেখলেন, পাতিহাঁসগুলি পুকুর থেকে উঠে গিয়েছে। আর লোকজনেরা ঘাটে আসতে শুরু করেছে, বটগাছের ছায়া অর্ধেক জলে পড়েছে। ঘোড়ার গাড়ির সহিসের ডাক শোনা যাচ্ছে।