পঞ্চম শ্রেণি বাংলা তালনবমী হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর Tal Nobami question answer class 5 - school book solver

Pages

Tuesday, 25 March 2025

পঞ্চম শ্রেণি বাংলা তালনবমী হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর Tal Nobami question answer class 5

 


পঞ্চম শ্রেণি বাংলা

তালনবমীবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

লেখক পরিচিতি :
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বসিরহাটের এক গ্রামে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় শ্রেষ্ঠ রচনা ‘পথের পাঁচালি’। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলায় তুমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । তার মৃত্যুর পর ১৯৫১ সালে তাঁকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।  তিনি গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও সামাজিক জীবনযাত্রাকে লেখক খুব ভালোবাসতেন। তাই তিনি গ্রামবাংলার দুঃখ, দারিদ্র্য,  প্রকৃতি ও অরণ্যের প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপে তাঁর লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।

তালনবমী গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা :
ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের অবস্থা ভালো ছিল না দারিদ্রতা তাকে গ্রাস করেছিল ।তার দুটি পুত্র—বারো বছরের নেপাল ও দশ বছরের গোপাল। ভাদ্র মাসে এক বর্ষার দিনে পরপর দুদিন আহার জোটেনি তাদের। ক্ষুধার্ত নেপাল ও গোপাল গ্রামের এক সম্পন্ন গৃহস্থের সন্তান চুনির কাছ থেেকে জানতে পেরেছিল যে পাড়ার বড়লোক জটি পিসির বাড়িতে ডাল ভাঙা হচ্ছে। ক-দিন বাদে মঙ্গলবার লোকজনে নেমন্তন্ন করা হবে তালনবমী ব্রতে তালের বড়া খাওয়ার জন্য। তালের বড়া খেতে পাওয়ার লোভে দুই ভাই গোপনে ঠি
করে যে দিঘির পাড় থেকে তাল কুড়িয়ে জটি পিসিকে দিয়ে আসবে। তাহলে অবশ্যই জটি পিসি তাদের নিমন্ত্রণ করবে এই আশায় ভোর রাতে সাপের ভয় না করে গোপাল ভারী দুটি তাল কুড়িয়ে জটি পিসির কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়।
জটি পিসি আগ্রহের সঙ্গে তাল দুটি নিলেন ঠিকই, কিন্তু দরিদ্র বালকটিকে নিমন্ত্রণ করার প্রয়োজন বোধ করলেন না আশা ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে মঙ্গলবার এসে পড়ল। পাড়ার সকলেই যাচ্ছে জটি পিসির বাড়ি দীনু ভট্টাচার্যের ছেলে কুড়োরাম যখন গোপালকে বলল যে, জটি পিসি বেছে বেছে লোক নেমন্তন্ন করেছে তখন হঠাৎ রাগে ফেটে পড়ে গোপাল বলল যে জটি পিসি তাদেরও বলেছে। সজল চোখে তারা দুইভাই তাকিয়ে দেখল পাড়ার সবাই চলে যাচ্ছে তাদের সামনে দিয়ে জটি পিসির বাড়ি। তাই দেখি গোপালের মন খুব খারাপ হয়।

তালনবমী গল্পের নামকরণ সার্থকতা :-
তালনবমী ব্রতে গ্রামের সমস্ত মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হলেও ক্ষুদিরামের বাড়িতে কোনো নিমন্ত্রণ আসেনি। গল্পের আলোচ্য অংশটি মাধ্যমে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন সমাজের অর্থে মূল্য অনেক যে ব্যক্তির অর্থ নেই সমাজে তার কোন সম্মান নেই। ভাদ্র মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে তালনবমী  ব্রত কে কেন্দ্র করে যেহেতু গল্পটি রচিত হয়েছে তাই আমার মতে তাল নবমী নামকরণটি সঠিক হয়েছে বলে মনে হয় ।

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. জেনে নিয়ে নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ কোন মাসে তাল পাকে?
উত্তর : ভাদ্র মাসে তাল পাকে।

১.২ আউশ ধান কোন ঋতুতে ঘরে ওঠে?
উত্তর : আউশ ধান শরৎ ঋতুতে ঘরে ওঠে।

১.৩ গ্রাম জীবনে পালিত হয়, এমন দুটি ব্রত, পরব বা অনুষ্ঠানের নাম লেখো।
উত্তর : গ্রাম জীবনে পালিত হয় এমন দুটি ব্রতের নাম ইতু পূজা, রামনবমী।
দুটি উৎসবের নাম পরবের নাম নবান্ন, পিঠে পুলি।

১.৪ বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয় কেন ?
উত্তর : বর্ষাকালে চলাফেরার পথে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। কারণ বর্ষাকালে সাপেদের গর্ত সব জলে ভরে থাকে।  সাপেরা তাদের থাকার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। সেইজন্য বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয়।

১.৫ তাল থেকে তৈরি কোন্ কোন্ খাবার তোমার প্রিয় ?
উত্তর : তাল থেকে তৈরি তালের বড়া, তালের রুটিতালের ফুলুরি আমার প্রিয়।

২. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলো সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
হু দু র ব র্তী র—বহুদূরবর্তী
অম স্ক ন ন্য- অন্যমনস্ক,
লা বা রম-মঙ্গলবার।
র পা ত্ত উ ড়া—উত্তরপাড়া,
ল পি তি লি টু–তিলপিটুলি,
কু ঠা খো র কা—খোকাঠাকুর।

৩. অর্থ না বদলে নীচের বাক্যগুলো শব্দঝুড়ির সাহায্য নিয়ে অন্যভাবে লেখো (একটা তোমার জন্য করে দেওয়া হল):
[বৃষ্টির/বর্ষার, খিদে পেয়েছে, সাহস হয় না, রাত কাটবে,হেলে পড়ছে।]

৩.১ ক্ষুদিরাম ভট্টচার্যের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
উত্তর : যেমন—ক্ষুদিরাম ভচার্যের বাড়ি দুদিন  হয়নি।

৩.২ কতক্ষণে যে রাত পোহাবে।
উত্তর : কতক্ষণে যে রাত কাটবে

৩.৩ কিন্তু সাহসে কুলোয় না তার।
উত্তর : কিন্তু সাহস হয় না তার।

৩.৪ আমারও পেট চুই চুই করছে।
উত্তর : আমারও খুব খিদে পেয়েছে

৩.৫ বাঁশঝাড় নুয়ে পড়চে বাদলার হাওয়ায়।
উত্তর : বাঁশঝাড় হেলে পড়ছে বাদলার হাওয়ায়।

৪. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে লেখো :
৪.১ ঘুমের মধ্যে ওসব কী হিজিবিজি স্বপ্ন সে দেখছিল।
৪.২ ক্ষুদিরাম ভট্‌ট্চাজের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
৪.৩ গোপাল একছুটে চলে গেল গ্রামের পাশে সেই তালদিঘির ধারে। গোপাল একছুটে চলে গেল গ্রামের পাশে সেই তালদিঘির ধারে।
8.8 গোপাল বললে 'কোথায় যাচ্ছিস তোরা?
৪.৫ ‘ওরা নেমন্তন্ন করবে, দেখিস দাদা, কাল তো তালনবমী।'
উত্তর : ৪.২ ক্ষুদিরাম ভট্‌ট্চাজের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
৪.৫ ‘ওরা নেমন্তন্ন করবে, দেখিস দাদা, কাল তো তালনবমী।'
৪.১ ঘুমের মধ্যে ওসব কী হিজিবিজি স্বপ্ন সে দেখছিল।
৪.৪ গোপাল বললে, ‘কোথায় যাচ্ছিস তোরা?’

৫. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৫.১ গল্পের নানান জায়গায় খুঁজে দেখো ‘তাল' নামে ফলটার অনেক ধরনের বিশেষণ খুঁজে পাবে। সবগুলো লেখো।
উত্তর ঃ গোটা-তিনেক ছোটো তাল, কালো হেঁড়ে তাল, ভালো তাল, মিশকালো তাল, বড়ো আর কালো কুচকুচে তাল।

৫.২ ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ' কথাটার অর্থ মেঘে ভরা আকাশ। ঠিক এই অর্থটাই বোঝায় এমন আর একটা বিশেষণ গল্পেই আছে। খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর : মেঘ-জমকালো আকাশ।

৬. শব্দঝুড়ি থেকে কোটি কী ধরনের শব্দ, খুঁজে নিয়ে লেখো ঃ
[ তার, নেমন্তন্ন, বোকা,দিয়েছিল, মঙ্গলবার, 
আকাশ, ঝমঝম, চলাফেরা, প্রকাণ্ড, তিনি, মিশকালো, চুঁই ছুঁই।]

উত্তর :
বিশেষ্য  > নেমন্তন্ন মঙ্গলবার আকাশ
বিশেষণ > বোকা, ঝমঝম, মিশকালো, প্রকাণ্ড, চুই চুই।
সর্বনাম > তার, তিনি।
অব্যয় > চলাফেরা
ক্রিয়া > দিয়েছিল


৭. নীচের বাক্যগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখো কোন্ কোন্ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে, আর কোন্ কোন্ শব্দ মনে হচ্ছে কাজ এখনও শেষ হয়নি, সেগুলো আলাদা করে লেখো :

৭.১ কদিন ধরে পেট ভরে না খেতে পেরে ওরা দুই ভায়েই সংসারের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠেছে।
উত্তর : কাজ এখনও শেষ হয়নি।

৭.২ জটি পিসিমা আর কিছু না বলে তাল দুটো হাতে করে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন।
উত্তর : কাজ শেষ হয়েছে।

৭.৩ রেগে দাঁড়িয়ে উঠে বললে, 'কেন করবে না আমাদের নেমন্তন্ন ?”
উত্তর : কাজ এখনও শেষ হয়নি।

৭.৪ খুব ভোরবেলা উঠে গোপাল দেখলে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে।
উত্তর : কাজ শেষ হয়েছে।

৮. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৮.১ ‘সদর দোর’ কথাটার মানে জেনে নাও, শব্দটা নিজে কোনো বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তর : ‘সদর দোর'—প্রধান ফটক। রাত্রি আটটা বাজলে মন্দিরের সদর দোর বন্ধ হয়ে যায়।

৮.২ ‘কপাট’ শব্দটির অর্থ লেখো। এই শব্দটা ব্যবহার করে নিজে একটি বাক্য লেখো।
উত্তর : কপাট—দরজা। কপাট ভেঙে চোর ঘরে ঢুকেছিল।

৯. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : সলজ্জ, সুখাদ্য, অন্ধকার, সাধ্য, আগ্রহ।
উত্তর : সলজ্জ—নির্লজ্জ।
সুখাদ্য—কুখাদ্য।
অন্ধকার—আলো।
সাধ্য—অসাধ্য।
আগ্রহ—অনাগ্রহ।

১০. বাক্যরচনা করো : গৃহস্থ, পিঠে, আশ্চর্য, জোনাকি, তালনবমী
গৃহস্থ—গৃহস্থ বাড়িতে সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
পিঠে— পৌষ মাসে পিঠে পরব উৎসব হয়।
আশ্চর্য— মেলায় অনেক আশ্চর্য রকমের খেলা দেখানো হয়।
জোনাকি— বর্ষাকালে রাত্রে জোনাকি পোকারা ঘুরে বেড়ায়।
তালনবমী— অনেকে ভাদ্র মাসে তালনবমী ব্রত করে।

১১. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১১.১ এ গল্পে বৃষ্টির দুরকম ছবি আছে। ঝমঝম্ আর টিপটিপ্। এই শব্দ দুটো ছাড়া কেবল ধ্বনি থেকেই বুঝে নেওয়া যায়, এমন কতকগুলো শব্দ লেখো।
উত্তর :গরগর, ঝরঝর, ঝিরঝির, টাপুর-টুপুর, টপটপ, ঢিবঢিব, গুড়গুড় ইত্যাদি।

১১.২ হাওয়ার শব্দ বোঝাচ্ছে এমন দুটি শব্দ গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর ঃহু হু,   শোঁ শোঁ।

১১.৩ গল্পে ‘বাঁড়ুজ্যে, ভট্‌চাজ'—এগুলি কোন্ কোন্ পদবি থেকে এসেছে? এরকম আরও তিনটি লেখো।
উত্তর : বাঁড়ুজ্যে—বন্দ্যোপাধ্যায়,
ভট্টচাজ—ভট্টচার্য, এইরকম আরও তিনটি পদবি—
গাঙ্গুলি—গঙ্গোপাধ্যায় ৷,চাটুজ্জে—চট্টোপাধ্যায়, মুখুজ্যে—মুখোপাধ্যায়।

১১.৪ পড়েছে, খেয়েচে—এই শব্দগুলি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে এসে এরকম চেহারা পেয়েছে?
উত্তর ঃ পড়েছে, খেয়েছে শব্দ থেকে পড়েছে, খেয়েচে এসেছে।

১২. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও ঃ
১২.১ এই গল্পটা কোন্ ঋতুর তা বোঝবার অনেকগুলো সূত্র গল্পটার মধ্যে ছড়ানো আছে। আছে মাসের নাম, ব্রতের নাম ইত্যাদি। এ ছাড়াও কোন্ কোন্ সূত্র তুমি নিজে খুঁজে পাও লেখো।
উত্তর ঃ গোপাল তালনবমীর দিন ঘুম থেকে উঠে বর্ষার মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। শুধুমাত্র এই নয় নারকেল গাছের পাতা থেকে জল পড়া, বকুল গাছের তলা থেকে ব্যাঙের ডাক, বাদলা হাওয়া এই সবই বর্ষা ঋতুর বার্তাবহ। বর্ষার আগমনেই মাঠ ঘাট কাদাজলে পূর্ণ হয়ে যায় এবং গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গোপাল তালনবমী নিমন্ত্রণের ভাগীদার
হওয়ার জন্য ওই কাদাজল অতিক্রম করে পুকুর পাড়ে তালের সন্ধানে রওনা দেয়। ওইসব দৃষ্টান্ত থেকে বোঝা যায় — বিভূতিভূষণের লেখা এই গল্পটি বর্ষা ঋতুর পরিচায়ক।
এ ছাড়াও গল্পে কয়েকটি উক্তির মধ্য দিয়ে বর্ষাকালীন ঘটনার পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন—জটি পিসিমা নেপাল ও গোপালকে বলেছেন, 'আচ্ছা এসো গে বাবা, সন্ধে হয়ে গেল, অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয় বর্ষাকালে।'
গ্রামের উত্তরপাড়ার গণেশ কাওরা গোপালকে দেখে বলে, ‘বড্ড সাপের ভয় খোকাঠাকুর, বর্ষাকালে ওখানে যেও না একা-একা'

১২.২ এ গল্পে দাদা একসময়ে ছোটো ভাইকে বলেছে, ‘একটা বোকা!' তোমার কি সত্যি মনে হচ্ছে ভাইটা বোকামিই করেছে? ছোটো ভাই, যার নাম গোপাল, সে যদি তোমার বন্ধু হত, তবে তুমি তাকে কী করতে বলতে?
উত্তর : আমার মতে তালনবমী গল্পে ছোটোভাই গোপাল মোটেই বোকা নয় বরং সে সাহসী। এবং খুব দয়ালু ।চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকো সত্বেও একমাত্র নিমন্ত্রণের আশায় জটি পিসির কাছে তালের বিনিময়ে গোপাল মূল্য নিতে চায়নি।
ছোটো ভাই গোপাল যদি আমার বন্ধু হত তবে আমি তাকে বলতাম মানুষ কেবলমাত্র অর্থকেই ভালোবাসে। তার গুরুত্ব বোঝে। প্রকৃত মানুষের গুরুত্ব তারা বোঝে না। তোর দাম নেওয়া উচিত ছিল তাতে তোর এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা হতো।

১২.৩ কী ধরনের বৃষ্টি তোমার পছন্দ এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর ঃ ব্যক্তিগতভাবে আমার ঝিমঝিমি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিই বেশি পছন্দ। সারাদিন ধরে ঝিমঝিমি বৃষ্টিতে যে শুধুমাত্র আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় তাই নয়, রাস্তাঘাট ঝাপসা দেখায়।
  গাছের পাতার ধূলিকণা বৃষ্টির ধারায় ধুয়ে যায় এবং প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়। বড়োরা চাষের কাজে মন দেয়।

১৩.১ ‘পথের পাঁচালী' বইটির লেখক কে?
উত্তর ঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৩.২ তাঁর লেখা ছোটোদের দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ তাঁর লেখা ছোটোদের দুটি বইয়ের নাম ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘তালনবমী'।

১৩.৩ কত সালে তাঁকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার' প্রদান করা হয়?
উত্তর : ১৯৫১ সালে।

১৪. পাঠ্য অংশটি পড়ে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১৪.১ গল্পে মোট ক-টি শিশুচরিত্রের কথা আছে? তাদের নাম পরিচয় লিখে তাদের স্বভাব বিষয়ে দুটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর ঃ তালনবমী গল্পে চারটি শিশুচরিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
(১) 
চুনি—গ্রামের শিবু বাঁড়ুজ্যের ছেলে চুনি।

জটি পিসির বাড়ি তালনবমী ব্রতের কথা চুনি গোপাল ও নেপালকে জানিয়েছে।

(২) নেপাল— নেপাল ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের বড় ছেলে ।তার বয়স ১২ বছর। গোপালের থেকে দু-বছরের বড়ো ভাই নেপাল বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন ছিল। সে জটি পিসিকে বিনা পয়সায় তাল বিক্রি করতে রাজি ছিল না। তার বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল অনেক।
(৩) কুড়োরাম—গ্রামের দীনু ভট্‌ট্চাজের ছেলে কুড়োরাম।জটি পিসির বাড়ি তালনবমী ব্রতে আমন্ত্রিতদের মধ্যে কুড়োরাম ছিল।

(৪) গোপাল— গোপাল ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের ছোট ছেলে তার বয়স দশ বছর । সে খুব সাহসী। দরিদ্র পরিবারের ছেলে হলেও তার মনে খুব দয়ালু ভাবছিল ।

১৪.২ ভরা বর্ষায় ক্ষুদিরাম ভট্চাজের দিন কীভাবে কাটে?
উত্তর ঃ ভরা বর্ষার ক্ষুদিরাম ভট্চাজের ঘরে দুদিন হাঁড়ি চড়েনি, তাদের অনাহারে দিন কাটে।

১৪.৩ চুনির মা জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ চুনির মা ডাল ভেঙে দিতে জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল।

১৪.৪ জটি পিসিমার বাড়িতে কী বারে, কেন তালের প্রয়োজন হয়েছিল ?
উত্তর : জটি পিসিমার বাড়িতে মঙ্গলবারে তালের প্রয়োজন হয়েছিল কারণ তালনবমী ব্রত উপলক্ষ্যে তালের প্রয়োজন ছিল।

১৪.৫ কে, কীভাবে জটি পিসিমাকে তাল জোগাড় করে এনে দিয়েছিল ?
উত্তর : গোপাল ভোরবেলা জলের ধার থেকে দুটি তাল কুড়িয়ে জটি পিসিমাকে এনে দিয়েছিল।

১৪.৬ জটি পিসিমার ভালো নামটি কী?
উত্তর ঃ জটি পিসিমার ভালো নাম হরিমতী।

১৪.৭ বর্ষারাতে গোপালের দেখা স্বপ্ন কীভাবে মিথ্যা হয়ে গেল, তা গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তর ঃ ক্ষুদিরাম ভট্চাজের দশ বছরের ছেলে গোপাল বিনা পয়সায় দুটি পাকা তাল জটি পিসির
বাড়ি তালনবমী উপলক্ষ্যে দিয়ে এসেছিল। তার ধারণা ছিল জটি পিসি মাকে তাল দুটি বিনা পয়সায় দিলে তাদের দুই ভাইয়ের ব্রত উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ করা হবে।  ভোররাতে উত্তেজনায় গোপালের ঘুম হচ্ছিল না। সে শুয়ে শুয়ে নিমন্ত্রণের স্বপ্ন দেখছিল। সে দেখছিল ভালো ভালো খাবার, নিমন্ত্রণ বাড়িতে মানুষের আতিথেয়তা। হঠাৎ সকালবেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙে গেল এবং গোপাল বুঝতে পারল যে, মানুষ কেবল অর্থকেই মূল্য দেয়—দুঃখী মানুষের দুঃখকে হৃদয়ে অনুভব করার শক্তি তাদের নেই। তারা গরীবকে কোন মূল্য দেয় না ।আর গরিবের ভালোবাসার কোন দাম দেয় না।

হাতে কলমের বাইরে কিছু প্রশ্নের উত্তর

★ গণেশ কাওড়া  কে ছিলেন ?
উত্তর-একজন চাষী ছিলেন

★ বিভূতিভূষণের লেখা ‘তালনবমী’ গল্পটি কোন্ বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : পাঠ্য ‘তালনবমী' গল্পটি তাঁর ‘তালনবমী' বই থেকেই নেওয়া হয়েছে।

★  আজ পনেরো দিন ধরে কী চলছে?
উত্তর ঃ আজ পনেরো দিন ধরে বর্ষা নেমেছে, তার আর বিরামও নেই, বিশ্রামও নেই।

★  ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের সংসার কীভাবে চলে?
উত্তর ঃ সামান্য আয়ের গৃহস্থ ব্রাক্ষ্মণ ক্ষুদিরামের সংসার চলে জমিজমার সামান্য কিছু আয় এবং দু-চার ঘর শিষ্য-যজমানের বাড়ি ঘুরে ঘুরে অতি কষ্টে।

ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

★ তালনবমীর ব্রত ছিল—(ক) সোমবার, (খ) মঙ্গলবার, (গ) বুধবার, (ঘ) রবিবার।
উত্তর : তালনবমীর ব্রত ছিল মঙ্গলবার।

★ ‘তালনবমী' গল্পে—(আষাঢ়/শ্রাবণ/ভাদ্র/আশ্বিন) মাসের উল্লেখ আছে
উত্তর : ‘তালনবমী' গল্পে ভাদ্র মাসের উল্লেখ আছে।

★  গোপাল জটি পিসিমাকে পয়সায়—(একটি/দুটি/তিনটি/চারটি) তাল দিয়েছিল।
উত্তর : গোপাল জটি পিসিমাকে পয়সায় তিনটি তাল দিয়েছিল।

★ জটি পিসিমার ভালো নাম—(হীরামোতি/হরিমতী/ময়নামতী/শিলাবতী)।
উত্তর : জটি পিসিমার ভালো নাম হরিমতী।

★  জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম—(লাবর্ণ/যোগমায়া/হরিমতী)।
উত্তর : জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম লাবণ্য।

এক কথায় উত্তর দাও :
★ চুনি কে ছিল ?
উত্তর ঃ গ্রামের এক সম্পন্ন গৃহস্থ শিবু বাঁড়ুজ্যের ছেলে হল চুনি।

★ কোন্ ব্রতে তালের বড়া ভাজা হয়?
উত্তর ঃ তালনবমী ব্রতে তালের বড়া ভাজা হয়।

★  ভাদ্র মাসে কতদিন ধরে বর্ষা নেমেছে?
উত্তর : ভাদ্র মাসে প্রায় পনেরো দিন ধরে বর্ষা নেমেছে।

★ 'এখানে বসে কেন রে ? যাবিনে ?’–বক্তা কে?

উত্তর ঃ ‘এখানে বসে কেন রে যাবিনে ?’–এখানে বক্তা হল কুড়োরাম ।

★  ‘তালনবমী' গল্পটি কে লিখেছেন

উত্তর ঃ প্রকৃতিপ্রেমিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘তালনবমী' গল্পটি রচনা করেছেন।

★ ‘ক্ষুদিরাম তো সামান্য গৃহস্থ মাত্র!'—এই কথাগুলি বলার পিছনে কোন্ যুক্তি আছে?
উত্তর ঃ এই ভীষণ বর্ষায় গ্রামের কত গৃহস্থের বাড়িতেই পুত্র-কন্যা না-খেয়ে আছে—সুতরাং ক্ষুদিরাম শুধু একা নয়, বাক্যটিতে এই যুক্তিই দেখানো হয়েছে।

★ কে, কীভাবে জটি পিসিমাকে তাল জোগাড় করে এনে দিয়েছিল?
উত্তর : জটি পিসিমা তালনবমীর ব্রত পালন করবেন বলে গোপাল তাল এনে দিয়েছিল। সে তালদিঘির ধারে তালের বনে ঢুকে ভোরবেলায় দুটি তাল এনে দিয়েছিল।

★ গোপালকে কে ভোরবেলা তালদিঘির ধারে দেখেছিল?
উত্তর : গ্রামের উত্তরপাড়ার গণেশ কাওরা গোপালকে ভোরবেলা তালদিঘির ধারে দেখেছিল।
★  ভাদ্রের শেষে চাষিদের ঘরে কোন্ ধান উঠবে?
উত্তর ঃ ভাদ্রের শেষে চাষিদের ঘরে আউশ ধান উঠবে।

★  “...গোপালের চোখে জল এসে পড়ল—বোধহয় সংসারের অবিচার দেখেই।”—এখানে কোন্ অবিচারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উত্তর ঃ সমাজে যার অর্থ নেই তার কোনো সম্মান নেই বলেই এটি অবিচার হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

★  আউশ ধান কোন্ সময়ে উৎপন্ন হয়?
উত্তর ঃ আউশ ধান গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে লাগানো হয় এবং ভাদ্রের শেষে ধান কাটা হয়।

★  চুনির মা জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ চুনির মা ডাল ভাঙতে জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল।

★  “সবাইকে যখন নেমন্তন্ন করবে, তোদের কি বাদ দেবে ?”—কথাটা কে বলেছে।
উত্তর : পাড়ার শিবু বাঁড়ুজ্যের ছেলে চুনি কথাটা বলেছে।
★  ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের কয় ছেলে ও তাদের নাম কী?
উত্তর : ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের দুই ছেলে ও তাদের নাম নেপাল ও গোপাল।

★  জটি পিসিমার বাড়িতে কী বারে, কেন তালের প্রয়োজন হয়েছিল?
উত্তর ঃ জটি পিসিমার বাড়িতে মঙ্গলবারে তালের প্রয়োজন হয়েছিল।
জটি পিসিমা তালনবমীর ব্রত পালন করবেন ও লোকজন খাবে বলে তালের প্রয়োজন হয়েছিল।

★ গোপাল জটি পিসিমার বাড়ি নিমন্ত্রণে কাদের যেতে দেখল?
উত্তর : গোপাল জটি পিসিমার বাড়ি নিমন্ত্রণে গ্রামের অনেককেই যেতে দেখেছিল। তার মধ্যে জগবন্ধু চক্কোত্তি ও তাঁর ছেলেমেয়েরা, রাখাল রায় ও তাঁর ছেলে মানু, কালীবর বাঁড়ুজ্যের বড়ো ছেলে পাঁচু আর ও পাড়ার হরেন। এ ছাড়াও
গিয়েছিল একপাল ছেলেমেয়ে নিয়ে বৃদ্ধ নবীন ভট্‌ট্চাজ ও তার ছোটো ভাই দীনু ও তাঁর ছেলে কুড়োরাম।

★ নেপাল ও গোপালের বাড়ির অবস্থা কেমন ছিল ?
উত্তর ঃ নেপাল ও গোপালের বাবা ক্ষুদিরামের পারিবারিক অবস্থা ছিল খুবই টানাটানি। সে ছিল সামান্য আয়ের গৃহস্থ। জমিজমার সামান্য কিছু আয় এবং দু-চারজন শিষ্যযজমানের দয়া ও প্রণামিতে তাদের কায়ক্লেশে দিন কাটত। যজমান বাড়ি থেকে ক্ষুদিরামের যে-কটি ধান এসেছিল তা ফুরিয়ে গিয়েছে।

★  “ঘুমের মধ্যে ওসব কী হিজিবিজি স্বপ্ন সে দেখছিল!”—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? তার দেখা স্বপ্নকে সে নিজেই ‘হিজিবিজি’ বলেছে কেন বলে তুমি মনে করো? 
উত্তর : এখানে গোপালের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার তালনবমী ব্রত পালন করবেন জটি পিসি। নেপাল ও গোপাল আশা করেছিল জটিপিসি তাদের নেমন্তন্ন করবেন। কিন্তু গোপাল রাতে এর ঠিক বিপরীত ভাবনায় যে স্বপ্ন দেখে তাকেই সে ‘হিজিবিজি' অর্থাৎ, অবাস্তব বলেছে।

★ ‘তালনবমী' গল্পে বর্ষারাতে গোপাল কী স্বপ্ন দেখেছিল এবং কীভাবে তা মিথ্যা হয়ে গেল তা গল্প অনুসরণে লেখো।
অথবা, বর্ষারাতে গোপালের দেখা স্বপ্ন কীভাবে মিথ্যে হয়ে গেল, তা গল্প অনুসরণ করে লেখো।
উত্তর : ‘তালনবমী' গল্পে বর্ষারাতে গোপাল যে স্বপ্ন দেখেছিল তা হল, জটিপিসি ওকে কাঁকুড়ের ডালনা, মুগের ডাল, লাবণ্যদি তিলপিটুলির থালা উপুর করে দিয়েছিল। জটিপিসি আবার আনলেন পায়েস আর তালের বড়া।
গোপাল রাতে জটিপিসি ও লাবণ্যদির দেওয়া খাবারের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু ভোরবেলায় মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে দেখে যে সে বিছানায় শুয়ে আছে তাদের বাড়িতে। তার হিজিবিজি স্বপ্ন যে মিথ্যা হয়ে গেল তা বুঝতে না পেরে বোকার মতো ফ্যালফ্যাল করে মায়ের মুখের দিকে চেয়ে রইল।

★ “কী খোকাঠাকুর, যাচ্ছ কনে এত ভোরে ?’–উদ্ধৃতিটি কোন্ পর্বের অংশ ? লেখকের নাম লেখো। খোকাঠাকুর বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? খোকাঠাকুর ভোরবেলা কোথায় যাচ্ছে?
উত্তর : উদ্ধৃতিটি ‘তালনবমী’ পাঠের অংশ।
লেখকের নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
খোকাঠাকুর বলতে দশ বছরের গোপালকে বোঝানো হয়েছে। খোকাঠাকুর ভোরবেলা গ্রামের পাশে তালদিঘির ধারে তালের বনে যাচ্ছে। প্রায়ই তাল পড়ে থাকে সেখানে।
★  “আজ কী বার রে”—কোন্ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে? গল্পে উক্তিটি কার? বক্তার কাছে কোন্ বারের গুরুত্ব খুব বেশি ছিল এবং কেন?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি ‘তালনবমী’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পে উক্তিটি নেপালের।
বক্তার কাছে মঙ্গলবারের গুরুত্ব খুব বেশি ছিল। কারণ তালনবমী ব্রত পালন করবেন জটি পিসি মঙ্গলবার।
★ ‘হঠাৎ গোপাল চোখ চেয়ে দেখলে'—লাইনটি কোন্ গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে? লেখকের নাম কী? গোপাল চোখ চেয়ে কী দেখল? পরে তার মনের প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?
উত্তর : উদ্ধৃত লাইনটি ‘তালনবমী’ গদ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
লেখকের নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোপাল চোখ চেয়ে দেখল—জানালার পাশে বর্ষার জলে ভেজা ঝোপঝাড়, ওদের সেই আতা গাছটা আর সে শুয়ে। আছে ওদেরই বাড়িতে। মার হাতের মৃদু ঠেলায় তার ঘুম ভেঙেছে।
গোপাল ওইদিন রাতে যে হিজিবিজি স্বপ্ন দেখেছিল, তার সঙ্গে বাস্তবের যে কোনো সম্পর্কই নেই, এবার তা বুঝতে পারল। তাই সে বোকার মতো ফ্যালফ্যাল করে মায়ের মুখের দিকে চেয়ে রইল।
★  জটি পিসিমার বাড়িতে কী বারে তালের প্রয়োজন হয়েছিল? গোপাল কীভাবে জটি পিসিমাকে তাল জোগাড় করে এনে দিয়েছিল? ভরা বর্ষায় ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের দিন কীভাবে কাটে?
উত্তর : মঙ্গলবারে জটি পিসিমার বাড়িতে তালের প্রয়োজন হয়েছিল।
গোপাল খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে একছুটে গ্রামের পাশে তালদিঘির ধারে চলে যায়। তালপুকুরের তালের বনে ঢুকে একটা বড়ো আর কালো কুচকুচে তাল সে পায়। ফিরে আসার পথে আরও একটা তাল এনেছিল।
ভরা বর্ষায় ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি। জমিজমার সামান্য কিছু আছ এবং দু-চার ঘর শিষ্যযজমানের বাড়ি ঘুরে-ঘুরে কায়ক্লেশে তার সংসার চলে।


শব্দার্থ : দিশেহারা—দিগ্‌ভ্রান্ত।
ঝাপসা—অস্পষ্ট।
তাল-ফল বিশেষ
মুড়ি—মাটির খোলায় ভাজা চাল।
সদর -বাড়ির বাইরের দিক। দোর-দরজা। উত্তেজনা-চিত্ত
জোনাকি—ঝিকিমিকি আলো দেয় এমন পতা। সুগন্ধ—সুন্দর গন্ধ।

 মৃদু- অল্প।

মেঘাচ্ছন্ন  মেঘে ঢাকা।

বিপরীত শব্দ : পেছনে—সামনে।
বেলা-অবেলা।
নবীন-প্রবীণ।
যাব—আসব।
অবিচার-বিচার।

★সমার্থক শব্দ ঃ জল—বারি, অম্বু, পানি।

দরজা–দ্বার, দুয়ার, কপাট, দোর।
বোকা—নির্বোধ, মূর্খ, বুদ্ধিহীন, বোধ নেই এমন।
চোখ—চক্ষু, নয়ন, আঁখি, অক্ষি।

|