তৃতীয় শ্রেণি বাংলা গাছেরা কেন চলাফেরা করে না হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / gachera keno chala fhera kare na class 3 bangla
![]() |
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
প্রচলিত গল্প : গাছেরা কেন চলাফেরা করে না
কবি : অজ্ঞাত (অজানা)
নামকরণের সার্থকতা: এই প্রচলিত গল্পটিতে গাছেদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গল্পে বলা হয়েছে গাছেরা আগে চলাফেরা করতে পারত। কিন্তু পরবর্তীকালে কিছু মানুষের ঠাট্টা সহ্য করতে না পেরে তারা চলাফেরা করা
বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই গল্পটি পড়লে আমরা জানতে পারব গাছেরা কী কারণে আর চলাফেরা করে না। তাই আমার মনে হয় গাছের চলাফেরা বিষয়ে জানার কৌতূহলকে অনুসরণ করে গল্পের নামকরণটি সার্থক হয়েছে।
সারাংশ : প্রাচীনকালে গাছেরা চলাফেরা করতে পারত। সে সময় পৃথিবী অনেক সবুজ ও সুন্দর ছিল। সেসময় গাছ ও মানুষ একে অপরের বন্ধু ছিল। তখন যানবাহন ছিল না। মানুষেরা পায়ে হেঁটে চলাফেরা করত। তখন মানুষেরা তাদের , পোশাক-আশাক, মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখত। এমনকি মানুষেরা যদি চাইতো গাছেরা তাদের মালপত্র গম্ভব্যে পৌঁছেও দিত। এছাড়া, বুড়ো লোকেদের গাছেরা নিজেদের ডালে চড়িয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিত।
সেসব দিন খুবই সুন্দর ছিল। এমন আশ্চর্য ভ্রমণ কে কবে দেখেছে? কিন্তু মানুষেরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনল। একবার একদল লোক জঙ্গলে গিয়ে ফেরার সময় ক্লান্ত হয়ে নিজেদের ভারী মালপত্র গাছেদের ডালে ঝুলিয়ে রাখল। কিন্তু এত ওজন গাছের ডালগুলো সামলাতে না পেরে নুয়ে পড়েছিল। এই অবস্থা দেখে লোকগুলি সমবেদনার বদলে খুব হাসিঠাট্টা করেছিল। এমন কুৎসিত উপহাস গাছেদের সহ্য হল না। তারা চলাফেরা বন্ধ করে দিল। এরপর
থেকে মানুষকে নিজেদের বোঝা নিজেদেরই বইতে হত। যদিও গাছেরা ফুল, ফল, অক্সিজেন দিয়ে মানুষদের উপকার করতে লাগল। এতে তাদের একটাই দুঃখ তারা আর চলতে পারে না। কারণটা আর বোঝাতে হবে না মনে হয় ।
শব্দার্থ ঃ
শেকড়-বাকড়—গাছের মূল।
পৃথিবী—জগৎ, দুনিয়া।
চলাফেরা—হাঁটা-চলা, যাতায়াত।
উপকারী—যে উপকার করে।
শাখাপ্রশাখা-ডালপালা ।
পোশাক-আশাক—কাপড়-চোপড়।
নির্দেশ—আদেশ।
সহানুভূতি—অপরের দুঃখে দুঃখবোধ, সমবেদনা। সাথি—সঙ্গী, বন্ধু।
দূর-দূরান্তরে—অনেক দূরে।
পালন করা — মেনে চলা।
বাকসো- প্যাঁটরা—মালপত্র।
থলি-থলে বা ঝোলা।
নিরাপদ—যেখানে বিপদ নেই।
স্থান—জায়গা।
আশ্চর্য—অবাক
করা, অদ্ভুত।
ভ্রমণ—ঘুরে বেড়ানো।
ক্লান্ত-শ্রান্ত, অবসন্ন।
করুণা—দয়া, মায়া।
অক্সিজেন—শ্বাসবায়ু, একটি গ্যাস বিশেষ।
পাড়—নদীর তীর।
গাছগাছালি – নানা রকম গাছ।
কুৎসিত—বিশ্রী, ।
অপমানিত—যাকে অপমান করা হয়েছে।
সহযোগিতা— সাহায্য। শ্বাসপ্রশ্বাস—শ্বাস নেওয়া আর ছাড়া।
হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ কোন সময়ের কথা গল্পটিতে বলা হয়েছে?
উঃ। অনেক বছর আগে যখন গাছেরা চলাফেরা করত তখনকার সময়ের কথা গল্পে বলা হয়েছে।
১.২ একসময়ে গাছেরা কীভাবে চলাফেরা করত ?
উঃ। গাছেরা তাদের শেকড়বাকড় মাটির নীচে চালাচালি করে চলাফেরা করত।
১.৩ তখন পৃথিবী কেমন ছিল?
উঃ । তখন পৃথিবী ছিল খুব সবুজ এবং সুন্দর।
১.৪ মানুষ আর গাছের সম্পর্ক তখন কেমন ছিল?
উঃ। মানুষ এবং গাছ তখন ভালো বন্ধু ছিল। তারা একে অপরকে উপকারী সাথি বলে মনে করত।
১.৫ মানুষ কীভাবে তখন যাতায়াত করত?
উঃ। মানুষ তখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করত। বুড়ো লোকেদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিরাপদে গাছেরাই পৌঁছে দিত।
১.৬ গাছেরা তখন কোন্ দায়িত্ব পালত করত।
উঃ। গাছেরা তখন মানুষের ভারী ভারী মালপত্র বাকসো-প্যাঁটরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিত।
১.৭ মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় কী কী ঝুলিয়ে রাখত?
উঃ। মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় পোশাক-আশাক, বাক্সো-প্যাটরা, মালপত্র ঝুলিয়ে রাখত।
১.৮ গাছেরা কীভাবে বুড়ো লোকেদের উপকারে আসত?
উঃ। গাছের ডালে বুড়ো লোকেরা চড়ে বসলে, গাছেরা তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দিত।
১.৯ জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক কী করল ?
উঃ। জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক তাদের ভারী মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
১.১০ ডালগুলো কাত হয়ে নীচে ঝুঁকে পড়ল কেন ?
উঃ। ডালগুলো ভারী মালপত্রের ভার সহ্য করতে না পেরে কাত হয়ে ঝুঁকে পড়েছিল।
১.১১ ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষেরা কী করল?
উঃ। ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষেরা সমবেদনার বদলে কুৎসিত হাসাহাসি করতে থাকে। এমনকি তারা সকলে মিলে হাততালি দিতে থাকে।
১.১২ গাছেরা অপমানিত বোধ করল কেন?-
উঃ। মালের ভারে গাছেদের করুণ অবস্থা দেখে মানুষেরা সহানুভূতির বদলে কুৎসিত ভাবে হাততালি দিয়ে আনন্দ করেছিল। গাছেরা সেই উপহাস সহ্য করতে পারেনি। গাছেরা অপমানিত বোধ করেছিল।
১.১৩ তখন তারা কী ঠিক করল?
উঃ। মানুষের এই ব্যবহার দেখে গাছেরা ঠিক করল তারা আর চলাফেরা করবে না।
১.১৪ তারপর থেকে কী হয়?
উঃ। তারপর থেকে মানুষদের নিজেদের মালপত্র নিজেদেরই বইতে হয়।
১.১৫ গাছেরা আজও মানুষের কী কী উপকার করে?
উঃ। গাছেরা মানুষদের ফল-ফুল দিয়ে খাদ্যের, শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান দেয়। রোদ, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচায়। নদীর পাড়ের ভাঙন রোধ করে। গাছগাছালি থেকে ওষুধ তৈরি হয়। নানারকম কীটপতঙ্গ গাছে বাসা বাঁধে।
২. বন্ধনীর মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে লেখো :
২.১ (শেকড়বাকড়/শাখাপ্রশাখা) মাটির নিচে চালাচালি করে দিব্যি তারা ঘুরে বেড়াত।
উঃ। শেকড়বাকড়।
২.২ মানুষকে (ট্রেনে-বাসে/হেঁটে হেঁটেই) দূর-দূরান্তরে যেতে হত।
উঃ। হেঁটে হেঁটেই।
২.৩ একবার একদল লোক (জঙ্গলে/বন্দরে) গিয়েছিল।
উঃ। জঙ্গলে।
২.৪ সকলে মিলে (দুঃখে/আনন্দে) হাততালি দিল।
উঃ। আনন্দে।
৩. বাক্য বাড়াও :
৩.১ মানুষকে হেঁটে হেঁটেই যেতে হতো। (কোথায়?
উঃ। মানুষকে হেঁটে হেঁটে দূর-দূরান্তরে যেতে হতো।
৩.২ মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় ঝুলিয়ে রাখত। (কী ?)
উঃ। মানুষেরা গাছের শাখাপ্রশাখায় পোশাক-আশাক, বাসো, মালপত্র ঝুলিয়ে রাখত।
৩.৩ ফিরে আসার পর সকলেই ক্লান্ত। (কেমন?
উঃ। ফিরে আসার পর সকলেই ভীষণ ক্লান্ত ছিল।
৩.৪ ডালগুলি সব কাত হয়ে ঝুঁকে পড়ল নীচে। (কেন ?)
উঃ। ডালগুলি ভারী জিনিসপত্রের ওজন সহ্য করতে না-পেরে কাত হয়ে ঝুঁকে পড়ল নীচে।
৩.৫ মানুষের জিনিসপত্র ভারী হলেও মানুষকেই বইতে হয়। (কখন ?)
উঃ। জঙ্গল থেকে ফেরা একদল মানুষের উপহাস সহ্য করতে না পেরে গাছেরা ঠিক করেছিল তারা আর চলাফেরা করবে না। এরপর থেকে মানুষের জিনিসপত্র ভারী হলেও মানুষকে বইতে হয়।
৪. বাক্যরচনা করো :
গাছগাছালি–বিভিন্ন গাছগাছালি থেকে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পায়।
সহযোগিতা—সবদা একে অপরকে সহযোগিতা করতে হয়।
অক্সিজেন—কোনো প্রাণী অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না।
বাসো-পাঁটিরা—গোপালবাবু প্রচুর বাসো-প্যাঁটরা নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়েছেন।
ভ্রমণ – ভ্রমণ হলো শিক্ষার একটি অঙ্গ।
৫. শূন্যস্থানে ঠিক শব্দ বসাও :
৫.১ একসময়ে পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফেরা (করতাম/করতে/করত)।
উঃ। করত
৫.২। কোনো যানবাহন (ছিল না/ছিলে না/ছিলাম না)।
উঃ। ছিল না।
৫.৩ তোমরাও (দেখিনি/দেখেনি/দেখোনি)।
উঃ। দেখোনি
৫.৪ তারা অপমানিত বোধ করলে/করল/করলাম)।
উঃ। করল
৫.৫ কত পাখি গাছে বাসা (বাঁধে/বাঁধো/বাঁধি)।
উঃ। বাঁধে।
৬. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
লিডালগু—ডালগুলি।
লারাফেচ -চলাফেরা।
খাপ্রশাশাখা—শাকাপ্রশাখা।
রীপউকা—উপকারী।
সজিপনিত্র – জিনিসপত্র
৭. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
উঃ। নির্দেশ–ন্ + ই + র্ + দ্ + এ + শ।
ভাঙন—ভ্ + আ + ও +ন।
ভীষণ—ভ্ + ঈ + ষ + ণ।
দেখেনি—দ্ + এ + খ্ + এ + ন্ + ই।
আনন্দ—আ + ন্ + অ + ন্ + দ্ + অ।
৮. নীচের ছবি অনুযায়ী পরে লেখা কথাগুলি মিলিয়ে লেখো :
৮.১ এক সময় পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফেরা
৮.২ মানুষকে হেঁটে হেঁটেই দূর-দূরান্তরে যেতেহতো। কোনো যানবাহন ছিল না।
৮.৩ মানুষ তাদের পোশাক-আশাক, বাসো-প্যাঁটরা,থলি গাছের শাখা-প্রশাখায় ঝোলাত"।
৮.৪ এত ওজন গাছের ডাল সহ্য করতে পারল না,
ডালগুলি কাত হয়ে ঝুলে পড়ল নীচে।
৮.৫ এমন উপহাস গাছেদের সহ্য হলো না। তারা
অপমানিত বোধ করল।
৮.৬ তারপর থেকে ভ্রমণের সময় মানুষের
জিনিসপত্র ভারী হলেও মানুষকেই বইতে হয়।
• মানুষ তাদের পোশাক-আশাক, বাক্সো-প্যাঁটরা, থলি গাছের শাখাপ্রশাখায় ঝোলাত।
• এমন উপহাস গাছেদের সহ্য হলো না। তারা অপমানিত বোধ করল।
• তারপর থেকে ভ্রমণের সময় মানুষের জিনিসপত্র ভারী হলেও মানুষকেই বইতে হয়।
• এত ওজন গাছের ডাল সহ্য করতে পারল না, ডালগুলি কাত হয়ে ঝুলে পড়ল নীচে।
• মানুষকে হেঁটে হেঁটেই দূর-দূরান্তরে যেতে হতো। কোনো যানবাহন ছিল না।
• একসময়ে পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফরা করতে পারত।
৯. শব্দগুলি ব্যবহার করে নীচের খেলাটি খেলো :
উত্তরসহ দেখানো হল :
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
সূত্র ঃ ১. গাছের মূল। ২. উপকার করে যে। ৩. যা চড়ে আমরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাহ। ৪. নানারকম বাসো। ৫. ডালপালা। ৬. সমবেদনা, ৭. শ্বাসবায়ু। ৮. তামাশা। ৯. বেড়াতে যাওয়া। ১০. নানারকম গাছ।
সমাধান : ১. শেকড়বাকড় ২. উপকারী ৩. যানবাহন ৪. বাসো-প্যাঁটরা
৫. শাখাপ্রশাখা ৬. সহানুভূতি ৭. অক্সিজেন ৮. উপহাস ৯. ভ্রমণ ১০. গাছগাছালি।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-গাছেদের কী সহ্য হলো না?
উঃ জঙ্গল থেকে ফিরে আসা লোকেদের উপহাস গাছেদের সহ্য হলো না।
প্রশ্ন-নির্দেশ দিলে গাছেরা কী করত?
উঃ। নির্দেশ দিলে উপকারী গাছেরা জিনিসপত্র ঠিক ঠিক লোকের বাড়িতে পৌঁছে দিত।
প্রশ্ন- কেমন আশ্চর্য ভ্রমণ কে আর কবে দেখেছে?
উঃ। গাছেরা বুড়োদের ডালে বসিয়ে তাদের গ্রামে পৌঁছে দিত। এইরকম আশ্চর্য ভ্রমণই কে আর কবে দেখেছে।
প্রশ্ন-গাছেদের দুঃখ একটাই। দুঃখটা কীসের?
উঃ। গাছেদের একটাই দুঃখ তারা এখন আর চলাফেরা করতে পারে
প্রশ্ন-আমরা কোথা থেকে অকসিজেন পাই?
উঃ। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন পাই।
প্রশ্ন-নদীর ভাঙন থেকে কে আমাদের রক্ষা করে?
উঃ। গাছ নদীর ভাঙন থেকে আমাদের রক্ষা করে।
প্রশ্ন-এই গল্পটির একটি অন্য নাম দাও।
উঃ। 'সচল গাছ অচল হলো'।
প্রশ্ন-সে সময় কারা কারা বন্ধু ছিল?
উঃ। সে সময় গাছ ও মানুষ দুজনে ছিল বন্ধু।
প্রশ্ন-জঙ্গলে যাওয়া লোকেরা কী করেছিল ?
উঃ। জঙ্গলে যাওয়া লোকেরা কাঁধে রাখা বোঝার ওজন কমাতে তাদের ভারী জিনিসপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে। দিয়েছিল।
প্রশ্ন-গাছ কেন সহযোগিতা করে না।
উঃ। গাছ আর চলাফেরা করে না বলেই সে আর মানুষের সঙ্গে সহযোগিতা করে না।
প্রশ্ন-তোমার জানা পাঁচটি করে ফুলের গাছ, ফলের গাছ এবং ঔষধি গাছের নাম লেখো।
উঃ। পাঁচটি ফুলের গাছ হল—জবাগাছ, গোলাপ গাছ, শিউলি গাছ, জুঁইগাছ, টগর গাছ।
পাঁচটি ফলের গাছ হল – আমগাছ, কলাগাছ, জামগাছ, লিচুগাছ, পেয়ারাগাছ।
পাঁচটি 'ঔষধি গাছ হল—নিমগাছ, বাসক গাছ, কালমেঘ গাছ, তুলসী গাছ সর্পগন্ধা গাছ।
প্রশ্ন-গাছেরা আগেকার দিনে কীভাবে মানুষকে উপকার করত এবং কীভাবে উপকার করে তার মধে পার্থক্য দেখাও।
উঃ। গাছেরা আগেকার দিনে মানুষের মালপত্র বইত। তারা গ্রামে মানুষের মালপত্র পৌঁছে দিত। এছাড়া বুড়ো লোকেদের নিজেদের ডালে বসিয়ে নিরাপদে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কাজও গাছেরা করত। কিন্তু এখনকার দিনে গাছেরা চলাফেরা করে না। তার বদলে তারা ফুল, ফল দেয়, মানুষকে অক্সিজেন দেয়, নদীর ভাঙন আটকায়, পাখিদের আশ্রয় দেয়, মানুষকে ছায়া দেয়।
প্রশ্ন-উপকারী গাছের কীভাবে জিনিস পৌঁছে দিত?
উঃ। মানুষ চাইলে উপকারী গাছেরা তার জিনিস তার গ্রামে পৌঁছে দেবার কাজও করত। গাছেদের ডালে ঠিকমতো জিনিস রেখে তাদের নির্দেশ দিলেই গাছ হেঁটে গিয়ে সেই জিনিসপত্র সঠিকভাবে লোকের বাড়িতে পৌঁছে দিত।
প্রশ্ন- অনেক বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল? সে সময় কারা কীভাবে চলাফেরা করত ?
উঃ। অনেক বছর আগে পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ ও সুন্দর। সেই সময় পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফেরা করতে পারত। মাটির নীচে শেকড় বাকড় চলাচলি করে তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াতো।
প্রশ্ন-বিপরীত শব্দ লেখো :
আলো- অন্ধকার
মানুষ—অমানুষ
উপকারী—অপকারী
দুঃখ—সুখ
সহ্য— অসহ্
বন্ধু—শত্রু,
বুড়ো—ছোকরা
ভারী—হালকা।
কুৎসিত—সুন্দর।
সহযোগিতা—অসহযোগিতা।
আশা-নিরাশা।
প্রশ্ন-সঠিকভাবে বাক্য সাজিয়ে লেখো :
(ক) লোকেদের বুড়ো আসত গাছেরা এমনকি উপকারেও।
উঃ। এমনকি বুড়ো লোকেদের উপকারেও আসত গাছেরা।
(খ) পৃথিবী সুন্দর অনেক ছিল অনেক সবুজ, তখন।
উঃ। তখন পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ, অনেক সুন্দর।
(গ) দুঃখ চলাফেরা এখন গাছেদের তারা একটাই করে না আর।
উঃ। গাছেদের দুঃখ একটাই তারা এখন আর চলাফেরা করে না।
।