তৃতীয় শ্রেণি বাংলা দেশের মাটি কবিতা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Desher mati poem question answer class 3
![]() |
তৃতীয় শ্রেণি বাংলা
কবিতা : দেশের মাটি
কবি : সত্যেন্দ্রনাাথ দত্ত
কবি পরিচিতি : সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ১৮৮২ সালে জন্মহয়। করেন। তিনি সকলের কাছে ‘ছন্দের জাদুকর’নামে পরিচিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলির মধ্যে অন্যতম হলো—‘সবিতা’,‘সন্ধিক্ষণ’,‘হোমশিখা’, ‘ফুলের ফসল, ‘কুহু ও কেকা’, ‘তুলির লিখন’, ‘অভ্র-আবীর’ প্রভৃতি। তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি ও অন্যান্য কোনো কোনো বিদেশি ভাষার ছন্দ বাংলায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশের জীবন এবং গ্রাম আর প্রকৃতির নিবিড় পরিচয় তাঁর কবিতার জগৎকে তুলেছে। ১৯২২ সালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
দেশের মাটি কবিতা সারাংশ ঃ কবি দেশের মাটি কবিতার মধ্য দিয়ে কবি তাঁর দেশমাতৃকার রূপ ও সৌন্দর্য্যের বর্ণনা করেছেন।
কবি কবিতার মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন যে আমার দেশের মাটি ও ধুলো মধুর চেয়েও মধুর । আর খাঁটি সোনার থেকেও যেন খাঁটি। সেই মাটির মধ্যে ভরে রয়েছে চন্দনের গন্ধ, শীতল করা বাতাস যা ক্লান্তিকে দূর করে অঙ্গকে স্নিগ্ধ করছে। প্রতিদিন মাথার দিকে সোনালি সূর্যের কিরণ যেন সোনার কাঠি ছুঁয়ে দেশকে জাগিয়ে তোলে।আর রাতে শুভ্র চাঁদের কিরণ রূপোর কাঠি পায়ে বুলিয়ে ঘুম পাড়ায়। বহিঃশত্রুর হাত থেকে পাহাড় দেশকে রক্ষা করছে। সাগর তার জলরাশি দিয়ে যেন ভারতমাতার পা ধুয়ে দিচ্ছে। বিলাস বাসনে মাথায় মহুয়া ফুলের মালা আর পদ্মফুলের গন্ধ আর পদ্মফুলের গন্ধ যেন মাতিয়ে তুলেছে। নূপুরে তার লবঙ্গ ফুল আর অঙ্গে বকুল ও দোপাটি ফুল শোভা পাচ্ছে। নারকেলের জল ও শাঁস আর মাঠের কোলে ভরা সোনার মতো ধান খাদ্য ও পানীয় জোগাচ্ছে। নীলপদ্মের মতো আঁখির নীলকণ্ঠ পাখি যেন প্রাণের কান্না-কাটি ঘুচিয়ে সুখের বার্তা বহন করে আনে।
শব্দার্থঃ
মাল্য – মালা।
খাঁটি — বিশুদ্ধ।
শীতল পার্টি—তাল কিংবা খেজুর পাতার তৈরি মাদুর বিশেষ।
শীতল—ঠান্ডা।
পাঁয়জোর—নূপুর।
নাগ—সাপ।
আঁখি — চোখ।
ঘুচায়—মিটিয়ে দেয়।
নাগ – সাপ।
ক্লান্তিহরা- —যা ক্লান্তি দূর করে। ঠান্ডা।
নাগ – সাপ।
ক্লান্তিহরা- —যা ক্লান্তি দূর করে। কমল—পদ্মফুল।
অঙ্গ—শরীর।
বদল – পরিবর্তন।
শিয়র—মাথা।
কনক—সোনা।
নিদ-মহল—ঘুমের প্রাসাদ।
অন্নপানি—খাবার ও জল।
গোপন কোশ – লুকানো আবরণ।
নিতি—রোজ। রোজ।
বার্তা—খবর।
মধুর—মিষ্টি।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
হাতে-কলমে
১. নীচের প্রশ্নগুলির দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১.১ তোমার দেশ কোনটি?
উঃ । আমার দেশ টি হলো ভারতবর্ষ।
১.২ সেই দেশটি কেমন ?
উঃ। সেই দেশটি সৌন্দর্যের রূপে ও গুণে অতুলনীয়। এত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর কোনো দেশে দেখা যায় না।
১.৩ দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে ?
উঃ। দেশে থাকতে কবির খুব ভালো লাগে। কবির মতে এদেশের মাটি মধুর। আর এদেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি।
১.৪ এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে খাবার এবং জল—দুটোই থাকে। কোন ফল তা লেখো ?
উঃ । ফলটি হলো" নারকেল"।
১.৫ ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন ?
উঃ। পাকা ধান সোনালি রঙের মতো দেখায়। সোনার রং সোনালি। রঙের ধরন হিসাবে তাই ধানকে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
১.৬ কবিতায় কবি কোন্ পাহাড়ের কথা বলতে চেয়েছেন, যা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে?
উঃ। কবি যে পর্বতের কথা বলতে চেয়েছেন তা হলো হিমালয় পর্বত । বই পর্বত আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে।
২. দেশের মাটি কবিতাটি কার লেখা? এই কবির লেখা 'বাংলাদেশ' আর কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা 'সকল দেশের সেরা' কবিতা দুটি শিক্ষকের থেকে শুনে নাও ।
উঃ। কবিতাটি কবি তথা ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর লেখা। বাকি প্রশ্নের উত্তরটি শিক্ষকের কাছে জানার চেষ্টা করুন।
৩. ঠিক শব্দটির উপরে ‘/' চিহ্ন বসাও ঃ
৩.১ মাথায় সূর্য এসে (সোনার/ রূপোর/তামার) কাঠি ছোঁয়ায়।
উঃ। সোনার
৩.২ (পাহাড়/বন/সাগর) সে তার ধোয়ায় পাটি।
উঃ। সাগর
৩.৩ দেশের কোল ভরে আছে (কনক/আমন/রঙিন) ধান।
উঃ। কনক
৩.৪ গন্ধে মাতায় (লীলা / নীল / লাল) কমল।
উঃ। লীলা
৪. নীচের কতকগুলি পক্তি দেওয়া হলো সেগুলি পদ্যে লেখা। এগুলোকে গদ্য ভাষায় লেখো :
৪.১ ‘পাহাড় তাকে আড়াল করে, সাগর সে তার ধোয়ায় পা’টি।'
উঃ। পাহাড় তাকে আড়াল করে, সাগর তার পা ধুয়ে দেয়।
৪.২ ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।'
উঃ। আমার দেশের পথের ধুলো হলো খাঁটি সোনার থেকেও খাঁটি।
৪.৩ ‘সে যে গো নীল পদ্ম আঁখি সেই তো রে নীলকণ্ঠ পাখি।'
উঃ। নীলকণ্ঠ পাখির চোখটা নীল পদ্মের মতো হ্য়।
৫. কবিতাটির প্রতিটি পঙ্ক্তির শেষে যে শব্দগুলি কবি ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এই মিলে যাওয়া শব্দগুলিকে খুঁজে বের করে লেখো : (যেমন : মাটি এবং খাঁটি, ভরা ও হরা।)
উঃ। মাথায় ও মাতায়।
দোপাটি ও আঁটি।
এসে এবং হেসে।
পা'টি ও কাঠি।
আঁখি ও পাখি।
৬. নীচে দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে মিলিয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করো :
নীল- দিল,শিল,কিল, খিল, গিল।
মনে- বনে, মনে, কোনে, পানে, পানে, দিনে।
যায়- পায়,কায়, গায় ,নায়, দায়, চায়, চায়।
সোনা- মনা ,গোনা ,দেনা ,দেনা ,সোনা, কান্না।
পানি - মানি, সামি, কানি,দানি ,ঘুনি, ঝানি।
৭. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
উঃ ।
ধোয়া- জল দিয়ে কিছু পরিষ্কার করা
ধোঁয়া -- আগুনের পুরনো ফলে যে গ্যাস বের হয়।
পাটি - পাতা তৈরি বসার আসন।
পা টি - পা।
খাটি - কাজের মধ্যে পরিশ্রম করা।
খাঁটি - আসল, বিশুদ্ধ।
ধোয়া- পরিষ্কার করা।
ধোঁয়া-ধম, কোনো কিছু আগুন পোড়ানোর ফলে যে গ্যাস বের হয়।
পাটি-বসার জায়গা ।
পাটি পা।
৮. যুক্তাক্ষর রয়েছে, এমন পাঁচটি শব্দ কবিতাটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ । জ্যোৎস্না ,ক্লান্তি, লবঙ্গ ,অঙ্গ, , গন্ধে, ।
৯. কে কোন্ কাজটি করে লেখো : সূর্য, পাহাড়, সাগর, নাগ, বাঘ, নীলকণ্ঠ পাখি।
উঃ সূর্য- সোনার কাঠি ছোঁয়ায়।
পাহাড়- শত্রুর হাত থেকে করে।
সাগর - তার জলে পা ধুয়ে দেয়।
নাগ -পাহারা দেয়।
বাঘ-পাহারা দেয়।
নীলকণ্ঠ পাখি— মনের দুঃখ বেদনা দূর করে সুখের বার্তা বয়ে আনে।
১০. নিজের ভাষায় নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো ।
১০.১ কবিতাটিতে দেশের রূপ বর্ণনায় কবি কোন্ কোন্ ফুলের নাম করেছেন?
উঃ।কবি দেশের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে যেসব ফুলের কথা বলেছেন সেগুলি হল -দোপাটি,মউল (মহুয়া), বকুল, কমল (পদ্ম), লবঙ্গ প্রভৃতি ।
১০.২ সেইসব ফুল দেশকে কীভাবে সাজিয়েছে?
উঃ। মউল ও কমল ফুল দেশকে গন্ধে মাতিয়ে রাখে। বকুল ও দোপাটি ফুল ভারতমাতার অঙ্গ কে সাজিয়ে রাখে।। লবঙ্গ ফুল ভারতমাতার পায়ের নূপুর পড়িয়ে রাখে।
১০.৩ দেশের প্রতি তোমার অনুভূতির কথা চার-পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উঃ। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ পৃথিবীর কাছে উন্নত সভ্যতার একটি উজ্জ্বলতম নিদর্শন। শস্য- শ্যামলা আমাদের ভরা এই দেশ ভারতবর্ষ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এখানে আনন্দে বাস করেন। এই ভারতবর্ষে একাধিক সভ্যতা দেখা যায়। কোভিদ কাছেই তার দেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ।
হাতে - কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- দেশের মাটি কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর -সত্যেন্দ্রনাথ নাথ দত্ত।
প্রশ্ন -সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম কত সালে?
উত্তর- ১৮৮২ সালে।
প্রশ্ন- এদেশের কোল ভরা কী রয়েছে?
উঃ । এদেশের কোল ভরা রয়েছে আটটি শিষে আঁটি বাঁধা কনক ধানে।
প্রশ্ন- কবি দেশের মাটির যেখানেই অঙ্গ ছোঁয়ান তার সেখানটা কেমন মনে হয়?
উঃ। কবির মনে হয় সেখানটাতেই যেন শীতল পাটি অর্থাৎ বসার আসন বা মাদুর পাতা রয়েছে প্রশ্ন- কে কোথায় রূপার কাঠি বুলায়? উঃ। নিদ্-মহলের জ্যোৎস্না প্রতিদিন পায়ে রূপার কাঠি বোলায়।
প্রশ্ন- কে কীসের দ্বারা অর্ধপানি জোগায়?
উঃ। দেশের মাটি নারিকেলের গোপন কোলে অন্নপানি অর্থাৎ খাদ্য জোগায়।
প্রশ্ন- আমার দেশের পথের ধূলা কেমন ?
উঃ । কবির কাছে দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। চন্দনের
গন্ধে ভরা আর শীতল ও ক্লান্তি হরণ করা।
প্রশ্ন- শিয়রে কে এসে কী ছোঁয়ায়? উঃ । শিয়রে সূর্য এসে সোনার কাঠি ছোঁয়ায়।
প্রশ্ন- পাহাড় ও সাগর কী করে? উঃ। পাহাড় এদেশের মাটিকে বাইরের শত্রুদের থেকে আড়াল করে রাখে এবং সাগর এসেই দেশের মাটির পা ধুইয়ে দেয়।
প্রশ্ন- দেশের মাটি কবিতায় কোন্ কোন্ ফুলের নাম করেছেন?
উঃ। কমল, বকুল ও দোপাটি।
প্রশ্ন- ছন্দের জাদুকর কোন কবিকে বলা হয়?
উঃ। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে।
উঃ। এই অংশটি কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের রচিত 'দেশের মাটি' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। মধু হল পুজোর সামগ্রী
প্রশ্ন- ‘শিয়রে তার সূর্য এসে
সাগর সে তার ধোয়ায় পা'টি'। বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উঃ। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘দেশের মাটি' কবিতার অংশ। রূপকথার গল্পে আছে রাক্ষস সোনার কাঠি ছুঁইয়ে রাজকন্যাকে জাগিয়ে তুলত আর রুপোর কাঠি ছুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিত। তাই কবি এখানে বলেছেন প্রতিদিন সকালে উঠে সোনালি সূর্যকিরণও যেন মানুষকে জাগিয়ে তুলছে আর রাতের বেলা চাঁদের রজতশুভ্র কিরণ যেন মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। সাপ ও বাঘ হল হিংস্র প্রাণী। এদের মতো বহিঃশত্রুরা যে কোনো সময় আমাদের দেশকে আক্রমণ করতে পারে। তাই হিমালয় পর্বত এদের হাত থেকে আড়াল করে দেশকে রক্ষা করছে। সাগর অর্থাৎ আমাদের দেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর যেন ভারতমাতার পা ধুয়ে দিচ্ছে অর্থাৎ সব কিছু আবর্জনা ধুয়ে মুছে সাফ করে সাগরে গিয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন- মিউল ফুলের মাল্য মাথায়। ঘুচায় প্রাণের কান্নাকাটি'। এই পংক্তিটিতে কবি কী বোঝাতে
চেয়েছেন?
উঃ। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘দেশের মাটি’কবিতার অংশ। কবি এই অংশে বলেছেন বিলাস-ব্যসন ও আচার-অনুষ্ঠানে মাথায় বাঁধা মহুয়া ফুলের মালা ও পদ্মফুলের গন্ধ সারা দেশকে মাতিয়ে তোলে। আর নূপুরে তার লবঙ্গ ফুলের ঝারি আর সারা অঙ্গ বকুল আর দোপাটি ফুলে সজ্জিত অর্থাৎ দেশের সৌন্দর্যকে বাড়িয়েছে। নারকেলের শক্ত আবরণের মধ্যে থাকা শাঁস ও জল ও মাঠ ভরা যে সোনালি ধান যার শিষ কেটে আঁটি বেঁধে তুলে নিয়ে আসা হয় এর খাদ্য ও পানীয় জোগায়। প্রচলিত আছে দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর দিন নীলপদ্মের মতো চোখ বিশিষ্ট নীলকণ্ঠ পাখি আকাশে ওড়ালে নাকি সেই মুক্ত পাখি সুখের বার্তা বহন করে নিয়ে এসে মনের দুঃখ বেদনা দূর করে।
প্রশ্ন- কবি কেন আমাদের দেশের মাটিকে মধুর চেয়ে মিষ্টি আর সোনার চেয়ে খাঁটি বলেছেন ?
অর্থাৎ পবিত্র এবং অতি মিষ্টি বস্তু আর সোনা হল মূল্যবান বস্তু। কবি বোঝাতে চেয়েছেন এদের চেয়ে আরও পবিত্র ও মূল্যবান জিনিস হল আমাদের দেশের মাটি ও পথের ধুলো, কারণ, এই দেশের মাটিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা জন্মেছেন
আর তাঁদের পায়ের ধূলো আমাদের দেশের পথে ঘাটে মিশে আছে। এদেশের আবহাওয়া খুবই মনোরম। আর চন্দন গাছের গন্ধ সারা দেশকে ভরিয়ে তোলে। এই মনোরম শীতল আবহাওয়া ক্লান্তি দূর করে। মনে হয় শীতল পাটি রয়েছে অর্থাৎ দেশমাতা যেন তার সন্তানের জন্য মাদুর বিছিয়ে রেখেছেন।
প্রশ্ন- বিপরীত শব্দ লেখো :
দিন-রাত
আলো -অন্ধকার
খাঁটি—নকল।
শীতল—গরম
ক্লান্তি —অনবসন্ন
জ্যোৎস্না – রৌদ্র
গোপন—প্রকাশ।