ফণীমনসা ও বনের পরি হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি / phani manasa question answer - school book solver

Pages

Monday, 3 February 2025

ফণীমনসা ও বনের পরি হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি / phani manasa question answer

 



পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
ফণীমনসা ও বনের পরি
বীরু চট্টোপাধ্যায়

বীরু চট্টোপাধ্যায় পরিচিতি :-
বীরু চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১৯১৭ সালে। পাঠকদের জন্য তিনি একজন জনপ্রিয় লেখক ও নাট্যকার। ১৯৮৪ সালে বাংলার এই স্বনামধন্য লেখকের জীবনাবসান ঘটে।

ফণীমনসা ও বনের পরি গল্পের নামকরণের সার্থকতা :
আলোচ্য নাট্যাংশে ফণীমনসা গাছটি নিজের কাঁটা ভরা পাতায় সন্তুষ্ট নয় জেনে বনের পরি তাকে নানাভাবে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করল। কিন্তু কিন্তু ফনিমনসা গাছ এটা ওটা আবদার করে চাইতে লাগলো । শেষ পর্যন্ত ফণীমনসার গাছ বুঝতে পারল যে কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতা তার কাছে  ভালো।
সে ভালো করে বুঝতে পারল, ঈশ্বর যেটা যাকে ডেকে দিয়েছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ভালো।

বিষয়বস্তু আলোচনা :
বনের ভিতর ছোট্ট ফণীমনসা গাছ বড়োই দুঃখী। সে তার বিচ্ছিরি আর ছুঁচোলো পাতার কথা ভেবে সে মন খারাপ করে কেঁদে কেঁদে বেড়ায়। একদিন বনের পরিকে নিজের দুঃখের কাহিনি জানিয়ে সে বলল, তার  বিতিকিচ্ছিরি পাতাগুলি পছন্দ নয়। এই তার কাঁটাওয়ালা পাতাগুলো পালটে সোনার পাতা  করে দিতে অনুরোধ করল। বনের পরি ফণীমনসার কাঁটাভরা পাতাবদলে দিয়ে ঝলমলে সোনার পাতায় করে দিদ। হঠাৎ একদিন ডাকাতের দল সমস্ত সোনার পাতা তুলে নিয়ে চলে গেল। ফণীমনসা গাছ আবার দুঃখে ভেঙে পড়ল। বনের পরির কাছে এবার সে কাচের পাতা আবদার করে বসলো। ফণীমনসা গাছের সারা অঙ্গ কাচের ছোটো ছোটো পাতায় ভরিয়ে দিল। কাচের পাতা রোদে ঝিকমিক করে, বাতাসের দোলা লেগে টুং টাং শব্দ হয়। কিন্তু হঠাৎ ঝড় এসে  সমস্ত কাচের ছোটো ছোটো পাতা ভেঙে চুরমার করে দিল।
ঝড় থামার পর ফণীমনসার গাছে কান্না শোনা গেল। ফণীমনসার দুঃখ দেখে বনের পরি তাকে জিজ্ঞাসা করে জানল। তুমি কেমন কথা চাও? ফোনে গাছ বলল  এবার সে পালং শাকের মতো সুন্দর সবুজ কচি পাতা চায়। কাচের পাতার বদলে পরি সবুজ কচি পাতায় ফণীমনসা গাছ ভরিয়ে দিল। মৃদুমন্দ বাতাসে গাছের শোভা দেখার মতো। কিন্তু এই কচি পাতায় ভরা ফণীমনসা গাছের আনন্দ কোথা থেকে একটা ছাগল এসে খেয়ে শেষ করে দিল। গাছের সমস্ত কচি পাতা কচকচ করে ছাগলটা খেয়ে নিলে
* ফণীমনসা এবার বনের পরিকে স্মরণ করে বলল, অনেক শিক্ষা হয়েছে তার। নিজের অবস্থা আর নিজের চেহারানিয়ে যে সন্তুষ্ট না থাকে তার কপালে দুঃখ থাকে। এরপর বনের পরির করুণায় কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতায় ফণি মনসার গা ভরে গেল।

হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

১ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ ফণীমনসা তুমি দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর : হ্যাঁ, দেখেছি। মাঝ মাঠে ডাঙ্গা জায়গায়।

১.২ আর কোন্ কোন্ গাছ তুমি দেখেছ যাদের কাঁটা আছে?
উত্তর : বাবলা, খেজুর,লেবু, বেলগাছ দেখেছি, যাদের কাঁটা আছে।

১.৩ গাছের কাঁটা কীভাবে তাকে বাঁচায়?
উত্তর : গাছের কাঁটা কোনো কিছুর বাইরের আঘাত থেকে গাছকে বাঁচায়।

১.৪ পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ?
উত্তর : পরির গল্প আমি রূপকথার গল্পে পড়েছি।

১.৫ সোনার মতো দামি আর কোন্ ধাতুর কথা তুমি জানো?
উত্তর : platinum সোনার মতো দামি একটি ধাতু।

২.নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো ঃ

ল ত কা ডা দ—ডাকাতদল
ন ণী ফ সা ম—ফণীমনসা
রি বি চ্ছি তি কি—বিতিকিচ্ছিরি
কং পাশা ল- পালংশাক।

৩. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে ঠিক বাক্যটি লেখো :
৩.১ বলো চাও কীরকম তুমি পাতা।
উত্তর : কীরকম পাতা চাও তুমি বলো।

৩.২ হয়েছে তো সুবুদ্ধি তোমার এই।
উত্তর : এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার

৩.৩ না আর পাতা চাই সোনার।
উত্তর : সোনার পাতা আর চাই না।

৪. নীচের শব্দগুলোর একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। নাটক থেকে খুঁজে নিয়ে যে শব্দটি, নীচের যে শব্দটির সঙ্গে মানায়
উত্তর :
বিশ্রী—বিতিকিচ্ছিরি।
বল্লম-বর্ণা।
হঠাৎ- সহসা।
সমস্ত—সব।
তবে তাই হোক—তথাস্তু।
অনেক- অজস্র।
ভাগ্য—বরাত।
ভীষণ—খুব।
আবদার—বায়নাক্কা।
কঙ্কালসার—হাড় জিরজিরে।
অবস্থা-হাল।
গর্ব—দৰ্প।
প্রতিজ্ঞা-পণ।
শরীর—অঙ্গ।

৫. নীচের বাক্যগুলির দাগ-দেওয়া প্রতিটি অংশই কোনো না কোনো আওয়াজ বোঝায়। এমন অনেক শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। খুঁজে বের করে লেখো (দুটি করে দেওয়া হল) :
ছাগল কচকচ করে পাতা খেল।
পত পত পত ওড়াই পাতা ।

ভন্ ভন্ করে মাছি উড়ছে। ঝড়ের শোঁ শোঁ শব্দ। সরাৎ সরাৎ করাত। মট মট মট ভাঙি মাথা।

৬. মুখে বললে, নীচের দাগ-দেওয়া শব্দগুলো কীভাবে বলবে, লেখো ঃ
তোমায় স্মরি—মনে করি। করুণা করি বাঁচাও করে।

৭. দাগ-দেওয়া অংশে সমার্থক শব্দ বসিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো। শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো ঃ[অবিরাম, অবস্থা, গগন, যন্ত্রণা, চারাগাছ, প্রবল, আরম্ভ]
৭.১ আহা-হা ব্যথায় মরি।
উত্তর : আহা-হা যন্ত্রণায় মরি।

৭.২ শুরু হলো কচি গাছের অঝোর কান্না।
উত্তর : আরম্ভ হলো চারাগাছের অবিরাম কান্না।

৭.৩ ডাকাতেরা আমার কী হাল করে রেখে গেছে।
উত্তর : ডাকাতেরা আমার কী অবস্থা করে রেখে গেছে।

৭..৪ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়।
উত্তর : গগন দিয়ে ধেয়ে এলো প্রবল ঝড়।

৮..নীচের বাক্যগুলিতে দাগ-দেওয়া অংশগুলি আর কীভাবে লিখতে পারো? বাক্য যদি বদলে যায়, বদলেই লেখো।
শব্দঝুড়ি থেকে সাহায্য নিতে পারো ঃ
[গর্বে বুক ভরে ওঠে,
লোভ জাগছে,
মাফ করে দাও,
হিংসায় জ্বলে ওঠে]
৮.১ মর্ম তার রি রি করে ওঠে।
উত্তর ঃ মন তার হিংসায় জ্বলে ওঠে।
৬.২ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না।
উত্তর ঃ ছোট্ট গাছটির এবার গর্বে বুক ভরে ওঠে।
৮.৩ জিভে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো।
উত্তর : লোভ জাগছে তোরে পেয়ে গো।
৮.৪ ফুটি হয়েছে কানে ধরি।
উত্তর : মাফ করে দাও কানে ধরি।

৯. কচি ফাচ আর চাই না।—
এই বাক্যে পর পর দুটো শব্দ বসেছে, যেখানে দ্বিতীয় শব্দটির তেমন কোনো মানে নেই। আরো একটা শব্দ তোমার জন্য দেওয়া হলো, কাপড়-চোপড়। এরকম শব্দ তুমি আর কটা লিখতে পারো, লেখো ঃ

উত্তর : কানাঘষা, আশেপাশে, ঝলমল। গোবর টবোর, আলু খালু।

১০. ছাগল খেয়ে ফেলেছিল কচি কচি পালং পাতা।দাগ দেওয়া অংশে একটা শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়েই একটার জায়গায় অনেকগুলো পাতা বোঝাচ্ছে। এইরকম আর কটা শব্দ পরপর দুবার ব্যবহার করে একের জায়গায় অনেক বোঝাতে পারবে? নাটকে এমন কটি শব্দ খুঁজে পাও, তাও দেখো :
উত্তর : হায় হায়। ব্যা ব্যা।সুন্দর সুন্দর পাতা। কেঁদে কেঁদে। ছি ছি।  দ্যাখো দ্যাখো। কচ কচ। ছোটো ছোটো। শোঁ শোঁ। কচি কচি। ঝন ঝন। গুঁড়ো গুঁড়ো। ছিঁড়ে ছিঁড়ে।

১১. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দগুলি নাটকেই আছে। শব্দগুলি খুঁজে বার করো। সেই সকল শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করো :
দুর্বুদ্ধি—সুবুদ্ধি— আমার ভাইয়ের এতদিনে সুবুদ্ধি হয়েছে।
অসন্তুষ্ট—সন্তুষ্ট— কোন কিছুতেই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
অসুন্দর—সুন্দর— আমাদের স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ডটা খুব সুন্দর।
দুঃখ—খুশি— বাচ্চারা কুরকুরে খেতে গেলেই খুশি হয়।
অল্প-বেশি— পরীক্ষায় স্বপন অজয়ের চেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছে
বুড়ো-বাচ্চা- রাস্তায় অনেক কুকুরের বাচ্চা দেখা যায়।

২.১২ ‘মৃদুমন্দ বাতাস' শব্দটির মানে ‘হালকা হাওয়া’ আর ‘মন্দ’ কথাটা সাধারণত আমরা ব্যবহার করি ‘খারাপ’/ ‘ভালো নয়’ অর্থে। দুটো অর্থেই দুটো বাক্য লেখো :
মন্দ– বন্ধুদের কাছে ছেলেটি মন্দ কথা বলে।
মন্দ— সেই বাউল গান মন্দ গান গায় না।

১৩. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য লেখো : ওলটপালট, দুর্দান্ত, ঝিকিমিক, স্বচক্ষে, দুর্দশা।
ওলটপালট—কালবৈশাখীর ঝড়ে বাড়িঘর সব উলটপালট হয়ে গেছে।
দুর্দান্ত— আজ খেলার মাঠে দুর্দান্ত খেলা হবে।
ঝিকিমিকি— অন্ধকার রাতে আকাশে তারা ঝিকিমিকি করে।
স্বচক্ষে— সে দোকানদারকে স্বচক্ষে কম মাল দিতে দেকেছে।
দুর্দশা— এবার বন্যার সময় লোকেদের দুর্দশা বেশি বেড়ে গিয়েছিল।

১৪. কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :
১৪.১ আট কি শান্তি ।
উত্তর : হর্ষসূচক বাক্য

১৪.২ পাতা পালটাতে চাও?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য

১৪.৩ সোনার পাতা আর চাই না।
উত্তর : না-বাচক বাক্য

২৪.৪ বেশ তাই হোক! তথাস্তু!
উত্তর : সম্মতিসূচক বাক্য

২৪.৫ এবার তুমি আমায় কাচের পাতা দাও।
উত্তর : আদেশমূলক বাক্য

১৫. ছোটো ছোটো বাক্যে ভেঙে লেখো :
১৫.১ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।
উত্তর ঃ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ল।
সূর্যের কিরণে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।

১৫.২ পরি অদৃশ্য হতেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।
উত্তর ঃ পরি অদৃশ্য হয়ে গেল।
ফণীমনসার গা ভরে কচি নরম পাতা দেখা দিল।

১৫.৩ ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বেঁধে ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।
উত্তর : ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে পোঁটলা বেঁধে নিয়ে গেল। ডাকাতরা গাছটা একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।

১৫.৪ ভয়ানক ঝড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।
উত্তর : ভয়ানক ঝড় হল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।

১৬. পাশাপাশি ছোটো ছোটো বাক্যগুলি যোগ করে একটি বাক্য তৈরি করো ঃ
১৬.১ একসময় ঝড় থামল। আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।
উত্তর : ঝড় থামলে বাচ্চা গাছের অঝোরে কান্না শুরু হল।

১৬.২ এমন সময়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল সে।
উত্তর : এমন সময় বনের পরি পথ দিয়ে যেতে যেতে ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল।

১৬.৩ গভীর বন। তার ভেতরে ছোট্ট একটি ফণীমনসা গাছ। গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শাস্তি নেই।
উত্তর : গভীর বনে থাকা ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।
১৬.৪ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না। মৃদুমন্দ বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল সে মজা করে।
উত্তর : মৃদুমন্দ বাতাসে হেলেদুলে ছোট্ট গাছটির দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না।

১৭.আরও বিশেষণ যোগ করতে পারো? একটা তোমার জন্যে করা রইল :
১৭.১ কচি নরম সবুজ পাতা
উত্তর : কচি নরম সবুজ পাতা
১৭.২ .....  ..........ছোট্ট গাছ
উত্তর : কাঁটা ভরতি ছোট্ট গাছ

১৭.৩........  .........ন্যাড়া চেহারা
উত্তর : লম্বা রোগা ন্যাড়া চেহারা

১৭.৪ .....  ............জোয়ান ডাকাত
উত্তর : দলে দলে জোয়ান ডাকাত

১৭-৫ ....   ----.ছোট্ট মেয়ে

উত্তর ঃ সুন্দর ফুটফুটে ছোট্ট মেয়ে

১৮ পাশে যেভাবে বলা আছে, সেই অনুযায়ী নীচের বাক্যগুলি বদলে আবার লেখো :

১৮.১ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়। (ঝড় আগামীকাল এলে কী লিখবে?)
উত্তর : আকাশ দিয়ে ধেয়ে আসবে দুর্দান্ত ঝড়।

১৮.২ বলতে দেরি আছে কিন্তু নিতে দেরি নেই। (কথাগুলো গতকাল হয়েছে বলতে হলে যেভাবে লিখবে)
উত্তর ঃ বলতে দেরি হয়েছিল কিন্তু নিতে দেরি হয়নি।

১৮.৩ সে-পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। (কথাগুলো এখনই বলা হচ্ছে, এমন হলে কী লিখবে?)
উত্তর ঃ সেই পথ দিয়ে বনের পরি যাচ্ছে।

১৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৯.১ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন?
উত্তর : ছোট্ট ফণীমনসা গাছের কাঁটাভরা করাতের মতো ছুঁচোলো পাতা ফণীমনসা গাছের একদম পছন্দ হত না সেই কারণে তার এক ফোঁটাও শান্তি ছিল না।

১৯.২ ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলো পাতা কেমন ছিল?
উত্তর : ফণীমনসা গাছের আশে পাশের গাছগুলোর পাতা অজস্র সবুজ নরম সুন্দর  ছিল।

১৯.৩ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন কার কাছে করছিল?
উত্তর : ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার জন্য পরির কাছে আবেদন  করছিল।

১৯.৪ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল ?
উত্তর ঃ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে সোনার পাতা তৈরি ঝলমলে হয়েছিল।

১৯.৫ সে সব পাতা ফণীমনসা হারালো কী করে?
উত্তর : সেসব পাতা ডাকাতদল এসে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল।

১৯.৬ ডাকাতদলকে দেখতে কেমন?
উত্তর ঃ ডাকাতদলকে দেখতে বাবরিওয়ালা জোয়ানের মতো ।কানে জবাফুল গোঁজা ।

১৯.৭ ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হলো?
উত্তর : ভয়ানক ঝড়ে ফণীমনসা গাছের সব কাচের পাতা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল।

১৯.৮ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন?
উত্তর : পালং-এর মতো কচি নরম সবুজ পাতায় ফণীমনসা গাছটি ভরে উঠেছিল তাই তার দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না।

১৯.৯ সেই দেমাক তার ভেঙে গেল কীভাবে ?
উত্তর ঃ ফণীমনসা গাছের কচি কচি নরম সবুজ পালং শাকের মতো পাতাগুলি ছাগল এসে কচকচ করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলল।তখন ফণীমনসার দেমাক ভেঙে গেল।

১৯.১০ শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য?
উত্তর ঃ বনের পরির সহায়তায় সোনার পাতা, কাচের পাতা, পালং-এর পাতার রূপ গ্রহণের উপযুক্ত শিক্ষা পেয়ে ফণীমনসা নিজের প্রথম কার কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতা চাইল।

২০ .সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২০.১ বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ'।—এত আনন্দ কখন হল বাচ্চা গাছের ?
উত্তর ঃ ফণীমনসা গাছের নিজের পাতাগুলি পছন্দ নয়। সেগুলি খুব বিচ্ছিরি আর ছুঁচোলো বলে সবসময় দুঃখ। বনের পরির কাছে সে নিজের পাতাগুলি বদলে সুন্দর সোনার পাতা করে দিতে বলেছিল। কথামতো বনের পরির দয়ায় নিজের অজস্র ঝলমলে সুন্দর সোনার পাতা দেখে বাচ্চা ফণীমনসা গাছটির খুব আনন্দ হল।

২০.২ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল ?
উত্তর ঃ ছোটো ছোটো কাচের পাতায় ঝলমলিয়ে উঠল ফণীমনসা গাছের সারা অঙ্গ। সেই কাচের পাতার ওপর সূর্যের আলো পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং টাং শব্দ হতে লাগল।
২০.৩ মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল ?
উত্তর ঃ মৃদুমন্দ বাতাসে ফণীমনসা গাছটি আনন্দে দুলছে। এমন সময় একটি ছাগল উপস্থিত হয়ে সমস্ত কচি কচি সবুজ নরম পাতাগুলি কচকচ করে খেয়ে ফেলে গাছটাকে একেবারে ফাঁকা করে দিল।

২০,৪ ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার? কেমন সে শিক্ষা ?
উত্তর : ছোট্ট ফণীমনসা গাছটি বনের পরির দয়ায় বারবার নিজের চেহারা পরিবর্তন করে বুঝতে পারল যে, নিজের অবস্থা আর নিজের চেহারা নিয়ে যে সন্তুষ্ট না থাকে তার দুর্দশার শেষ হয় না।
নিজের কাঁটাভরা ছুঁচলো পাতা শতগুণে ভালো। নিজের জিনিস ফেলে কখনোই মিথ্যা আবদার করা উচিত নয়।
২১. বিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে নাটকটির অভিনয় করো। (শ্রেণিকক্ষে শ্রুতি-অভিনয়ও করতে পারো।
উত্তর ঃ শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্যে নিজেরা দলবদ্ধভাবে করো।

হাতে কলমের বাইরে প্রশ্নোত্তর
দু-এক কথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন- সবসময়ই ফণীমনসা কেঁদে কেঁদে আপশোশ করে কেন?
উত্তর : ফণীমনসা তার বিচ্ছিরি আর ছুঁচোলো পাতার কথা ভেবে সবসময় কেঁদে কেঁদে আপশোশ করে।

প্রশ্ন- সুর করে ফণীমনসা আক্ষেপের সঙ্গে কবিতায় দ্বিতীয় কলিতে কী বলছিল ?
উত্তর : ‘উহুহু বর্ণা-ফলক খোঁচা দেয়, রক্ত ঝলক পলক পলক মনটা কেমন করে।'

প্রশ্ন- ঝড়ে সমস্ত কাচের পাতা নষ্ট হলে ফণীমনসা কী করল ?
উত্তর : ঝড়ে সমস্ত কাচের পাতা নষ্ট হলে ফণীমনসা অঝোরে কান্না শুরু করল।

প্রশ্ন- ডাকাতদল ফণীমনসার কী অবস্থা করেছিল? তখন বনের পরির কাছে সে কী প্রার্থনা করেছিল?
উত্তর ঃ ডাকাতদল ফণীমনসার সমস্ত সোনার পাতা তুলে নিয়ে চলে গেল।
তখন সে বনের পরির কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বলে এবার তাকে কাচের পাতা দিক।

প্রশ্ন- ‘সোনার পাতা! বেশ! তথাস্তু!'—বক্তা কে?
উত্তর ঃ এখানে বক্তা হল বনের পরি।

প্রশ্ন-  ফর্ণীমনসা গাছে রামধনু রং কখন ঝিকিমিকি করে উঠল?
উত্তর ঃ ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার ওপর রোদের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি করে উঠল।
প্রশ্ন-  গভীর বনে কার মনে একফোঁটাও শাস্তি নেই?
উত্তর ঃ গভীর বনে ছোট্ট একটি যে ফণীমনসা গাছ আছে তার মনে এক ফোঁটাও শাস্তি নেই।

প্রশ্ন-  ফণীমনসার মন রি-রি করে ওঠে কেন?
উত্তর ঃ ফণীমনসার আশপাশে গাছেদের সুন্দর সুন্দর পাতা দেখে তার মন রাগে দুঃখে রি-রি করে ওঠে।

প্রশ্ন- কার কাছে ফণীমনসা সুর করে কী করুণা প্রার্থনা করেছিল?
উত্তর ঃ হায় গো বনের পরি নিয়ত তোমায় স্মরি করুণা করো বাচ্চা গাছের 'পরে।

প্রশ্ন- বনের পরি ফণীমনসাকে কী প্রশ্ন করল?
উত্তর : ‘কী হয়েছে গো আমার ছোট্ট ফণীমনসা গাছ? কাঁদছ কেন?'

প্রশ্ন- বনের পরির প্রশ্ন শুনে ফণীমনসা কী বলল?
উত্তর : তুমি এসেছ বনের পরি? তোমার পায়ে পড়ি আমার এই বিতিকিচ্ছিরি পাতাগুলি তুমি পালটে দাও।

প্রশ্ন- “গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।”—এখানে যে গাছটির কথা বলা হয়েছে, সেই গাছটির নাম কী? গাছটির মনে শান্তি নেই কেন?
উত্তর : সেই গাছটির নাম ফণীমনসা।
আশেপাশে গাছেদের সুন্দর সুন্দর পাতা দেখে সে রাগে-দুঃখে ফেটে পড়ে। মন রি-রি করে ওঠে।

প্রশ্ন-  সোনার পাতা বাদ দিয়ে এবার ফণীমনসা পরির কাছে কী প্রার্থনা করল ?
উত্তর : সোনার পাতা বাদ দিয়ে ফণীমনসা এবার পরির কাছে কাচের পাতা চাইল।

প্রশ্ন- কাঁচের পাতা সব ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গেলে ফণীমনসা আবার বনপরির কাছে কী চাইল?
উত্তর ঃ কাচের পাতা নষ্ট হয়ে গেলে ফণীমনসা এবার পালং শাকের মতো সুন্দর সবুজ কচি কচি পাতা চেয়ে নিল।

প্রশ্ন- ফণীমনসার গা ভরে নরম সবুজ পাতা দেখা দিলে তার মনের অবস্থা কী হল?
উত্তর : পালং-এর মতো সবুজ কচি পাতায় ফণীমনসার গা ভরে গেলে দেমাকে যেন তার আর মাটিতে পা পড়তে চাইল না।

প্রশ্ন-  আর কখনও সে মিছে বায়নাক্কা করেনি!'
-কাকে উদ্দেশ্য করে উদ্ধৃত উক্তিটি করা হয়েছে? সে আর কখনও মিছে বায়নাক্কা করেনি কেন ?

উত্তর ঃ ফণীমনসা গাছকে উদ্দেশ্য করে উদ্ধৃতিটি করা হয়েছে।
ফণীমনসা গাছের নিজের কাঁটাভরা করাতের মতো ছুঁচোলো পাতা মোটেই পছন্দ ছিল না। নিজের অপছন্দের কথা বনের পরিকে জানিয়ে ফণীমনসা নানান ঝলমলে বায়না করেছিল। বনের পরি প্রথমে সোনার পাতায় ফণীমনসা গাছটি ভরিয়ে দিল। ডাকাতদল এসে সমস্ত সোনার পাতা নিয়ে নিলে বনের পরি ফণীমনসার কথায় এবার কাচের পাতা ও পরে
পালংশাকের মতো সবুজ কচি পাতায় গাছটি ভরিয়ে দিল। কিন্তু বারবারই তা নষ্ট হয়ে গেলে ফণীমনসা বুঝতে পারল যে, যা কিছু নিজের তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়। মিথ্যে বায়না করে কেউ কখনও সন্তুষ্ট হতে পারে না।

প্রশ্ন- কাচ ফাচ আর চাই না'—উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে তুমি কী বুঝলে?
উত্তর : ‘কাচ ফাচ’ মানে কাচের অনেক পাতা। ফণীমনসা গাছের পাতাগুলি বনের পরি কাচের করে দিয়েছিল। ঝড়ের দাপটে সব কাচের পাতা ঝুরঝুর করে ভেঙে গেছে। তাই ফণীমনসা গাছ বলছে তার আর কাচের পাতা লাগবে না।

প্রশ্ন-  ওলটপালট করি যে মোরা এই তো মোদের পণ’
—এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা তাদের পণ কীভাবে রক্ষা করে?

উত্তর ঃ এখানে পবনদেবের দুষ্টু ছেলেদের কথা বলা হয়েছে।
কবিতায় পবন বলতে বাতাসকে বোঝানো হয়েছে। ঝোড়ো বাতাস হু-হু শোঁ-শোঁ শব্দে ছোটো ছোটো গাছপালার ওপর ছুটে এসে আগাগোড়া সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। যেমন ফণীমনসা গাছের কাচের সমস্ত পাতা ভয়ানক ঝড়ের ধাক্কা লেগে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবেই প্রকৃতির সবকিছু ভেঙেচুরে ওলটপালট করে 
বাতাস তার পণ রক্ষা করে।

প্রশ্ন-  দেরি আছে কিন্তু নিতে দেরি নেই'—কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : বনের পরির দয়ায় ফণীমনসা গাছ সোনার পাতায় ঝলমল করে উঠল। নিমেষের মধ্যে ডাকাতের দল এসে সোনার পাতা ছিঁড়ে পোঁটলা বেঁধে গাছটাকে একেবারে ন্যাড়া করে চলে গেল। ডাকাত দল সোনার পাতার কথা বলতে বলতে তুলে নিয়ে চলে গেল, তাদের একটুও দেরি হল না।