বোকা কুমিরের কথা হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি / boka minister katha class 5 bangla
![]() |
বোকা কুমিরের কথা ■
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পরিচিতি :
বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ময়মনসিংহের মসুয়া গ্রামে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ব নাম ছিল কামদারঞ্জন। তাঁর পিতার নাম কালীনাথ রায়চৌধুরী। তাঁর রচিত ‘ছেলেদের রামায়ণ’, ‘ছেলেদের মহাভারত’, ‘সেকালের কথা’, ‘টুনটুনির বই’, ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন', প্রভৃতি গ্রন্থে নানা বিচিত্র চরিত্রের সমাবেশ লক্ষ করা যায়। ছোটোদের জন্য পুরাণ ও রূপকথার অনেক গল্প কাহিনি তিনি রচনা করেন। তিনি ‘সন্দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কৌতুকরসে তরুণচিত্তে এক নতুন জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ডিসেম্বর জীবনাবসান ঘটে।
বোকা কুমিরের কথা গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা :
বোকা কুমির আর ধূর্ত শিয়াল দুজনে ঠিক করল কৃষিকাজ করবে। প্রথমে তারা আলু চাষের সিদ্ধান্ত নিল। গাছের ওপরের অংশ থেকে ফসল পাওয়া যাবে ভেবে বোকা কুমির আলু গাছের ওপরের অংশ নেওয়ার কথা বলল। গাছের নীচের অংশ শিয়ালের ভাগে পড়ল। গাছ বড়ো হলে গাছের ওপরের অংশ কেটে কুমির বাড়ি গিয়ে দেখল তাতে একটিও আলু নেই। অপর দিকে গাছের নীচের অংশ শিয়ালের ভাগে থাকায় সে মাটি খুঁড়ে সমস্ত আলু ঘরে
নিয়ে গেল। এবার ধান চাষ করা হলো। গতবারের লোকসানের কথা মনে রেখে বোকা কুমির গাছের নীচের অংশ নেবে জানিয়ে দিলে। ধূর্ত শিয়াল রাজি হল। যথাসময়ে ধান পাকলে শিয়াল ধান ভরতি গাছের আগা ঘরে তুলল। অপরদিকে মাটি খুঁড়ে সব ধান সব নিয়ে যাবে ভেবে মাটি খুঁড়তেই কুমির চরম ঠকে গেল।
এবার দুই বন্ধুতে আখের চাষ করবে মনস্থির করে গাছের ওপরের অংশ অর্থাৎ আগা অংশ নেবে কুমির অনেক আগে থেকে স্থির করল। এবারেও আখ গাছের নোনতা আগা অংশ নিয়ে কুমির ঠকে গেল।
বোকা কুমিরের কথা গল্পের নামকরণ সার্থকতা :
নামকরণের মাধ্যমে কবি বা লেখক গল্পের মূল ভাবনাটিকে ব্যক্ত করেন। আলোচ্য গল্পে কুমির এবং শিয়ালের মধ্যে কুমিরটি খুবই বোকা প্রকৃতির। অথচ কুমির নিজেকে খুব চালাক ভেবে প্রতিটি কাজেই শিয়ালকে ঠকাতে চেয়েছে এবং প্রতিবারেই নিজে চরম ঠকেছে। গল্পের এই সূত্র ধরেই গল্পকার নামকরণ করেছেন ‘বোকা কুমিরের গল্প। এক্ষেত্রে নামকরণ যথার্থ সার্থক বলা যেতে পারে।
উৎস ■ বোকা কুমিরের কথা গল্পটি ‘টুনটুনির বই' থেকে নেওয়া হয়েছে।
হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ তোমার জানা কয়েকটি উভচর প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর : আমার জানা কয়েকটি উভচর প্রাণীর নাম ব্যাং, কচ্ছপ।
১.২ তোমার জানা কয়েকটি সরীসৃপের নাম লেখো।
উত্তর ঃ কুমির, সাপ ও টিকটিকি।
১.৩ ছোটোদের জন্য লেখা পশুপাখির গল্পে সবচেয়ে চালাক প্রাণী বলতে আমরা কাকে বুঝি?
উত্তর : সবচেয়ে চালাক প্রাণী বলতে আমরা শিয়ালকে বুঝি।
১.৪ মাটির নীচে হয় এমন কয়েকটি ফসলের নাম লেখো।
উত্তর : মাটির নীচে হয় এমন কয়েকটি ফসল হল আলু, গাজর, মুলো, ওল, আদা ইত্যাদি।
১.৫ ধানগাছ থেকে আমরা কী কী পাই?
উত্তর : আমরা ধান, খড়, তুষ পাই।
১.৬ কুমির ও শিয়ালকে নিয়ে লেখা অন্য কোনো গল্প পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর ঃ কুমির তার সাতটি ছানাকে সঙ্গে নিয়ে শিয়াল পণ্ডিতের বাড়ি এসে তাকে বললে, ‘আমি এই ছানাদের নিয়ে তোমার কছে এসেছি লেখাপড়া শেখানোর জন্য'। শিয়াল খুব খুশি হয়ে বলল, ‘আমার কাছে রেখে যাও, আমি অল্পদিনের মধ্যেই ওদের পণ্ডিত করে দেব'।
শিয়াল ছানাগুলিকে নিজের কাছে রেখে প্রতিদিন একটি করে খেয়ে ফেলে আর কুমির এলে তাকে ছানাদের ছয়টিকে ছয়বার দেখিয়ে শেষের দিকে একটিকেই দুবার দেখায়। বোকা কুমির কিছুই বুঝতে পারে না। শেষে যখন একটি ছানা রইল তখন সেটিকেই সাতবার দেখিয়ে পরের দিন সেই ছানাটিকেও খেয়ে ফেলল এবং শিয়ালনিকে সঙ্গে নিয়ে বহুদুরে নদীর ওপারে চলে গেল।
২. 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভের মিলিয়ে লেখো :
উত্তর :
ক'স্তম্ভ খ'স্তম্ভ
কুমির > নদী
শিয়াল > জঙ্গল
আলু > ক্ষেত
আখ > চিনি
গোরু > খড়
৩. গল্পের ঘটনাক্রমে সাজিয়ে লেখো :
৩.১ কুমির শিয়ালকে ঠকাবার জন্য বললে—গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।
৩.২ কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল... আলুর চাষ।
৩.৩ সেবার হলো আখের চাষ। কুমির আগাগুলো নিয়ে চিবিয়ে দেখল ভীষণ নোনতা।
৩.৪ তারপরের বার হলো ধানের চাষ। কুমির গোড়াগুলো নিয়ে বুঝল সে খুব ঠকেছে।
৩.৫ কুমির শিয়ালকে বলল, না ভাই, তোমার সঙ্গে আর আমি চাষ করতে যাব না, তুমি বড্ড ঠকাও।
উত্তর ঃ ৩.২ কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল...আলুর চাষ।
৩.১ কুমির শিয়ালকে ঠকাবার জন্য বলল—গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।
৩.৪ তারপরের বার হল ধানের চাষ। কুমির গোড়াগুলো নিয়ে বুঝল সে খুব ঠকেছে।
৩.৩ সেবার হল আখের চাষ। কুমির আগাগুলো নিয়ে চিবিয়ে দেখল ভীষণ নোনতা।
৩.৫ কুমির শিয়ালকে বলল, না ভাই, তোমার সঙ্গে আর আমি চাষ করতে যাব না, তুমি বড্ড ঠকাও ।
৪. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৪.১.....আর....... মিলে চাষ করতে গেল।
উত্তর ঃ কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল।
৪.২ সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের.......।
উত্তর ঃ সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল।
৪.৩ শিয়াল সে ধানসুদ্ধ গাছের.......কেটে নিয়ে গেল।
উত্তরঃ শিয়াল সে ধানসুদ্ধ গাছের আগ্রা কেটে নিয়ে গেল।
8.8 সেবার হল......চাষ।
উত্তর ঃ সেবার হল আখের চাষ।
৪.৫ শিয়াল মাটি.......সব আলু তুলে নিয়ে গেছে।
উত্তর : শিয়াল মাটি খুঁড়ে সব আলু তুলে নিয়ে গেছে।
৫. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে নিয়ে একই অর্থের শব্দ পাশাপাশি লেখো :
শব্দঝুড়ি ঃ অগ্রভাগ, কৃষি, মৃত্তিকা, ইক্ষু
চাষ, আখ, আগা, মাটি
উত্তর : চাষ—কৃষি।
আখ—ইক্ষু।
আগা—অগ্রভাগ।
মাটি—মৃত্তিকা।
৬. বাক্য শেষ করো :
৬.১ ‘বোকা কুমিরের কথা' গল্পটি পড়ে কুমিরটিকে আমার মনে হয়েছে সে
উত্তর : ‘বোকা কুমিরের কথা' গল্পটি পড়ে কুমিরটিকে আমার মনে হয়েছে সে বোধা।?
৬.২ গল্পের শিয়ালটি আসলে খুব
উত্তর ঃ গল্পের শিয়ালটি আসলে খুব চালাকা?
৬.৩ কুমির গল্পে মোট যাওয়ার কারণ হল
বার ঠকেছে। প্রথমবার সে ঠকে গেছে, কেননা
। তারপরের বার
.। দ্বিতীয়বার তার ঠকে
না জানার জন্য সে ঠকে গেছে।
উত্তর ঃ কুমির গল্পে মোট তিন বার ঠকেছে। প্রথমবার সে ঠকে গেছে, কেননা আলু থাকে মাটির নীচে। দ্বিতীয়বার তার ঠকে যাওয়ার কারণ হল ধান গাছের গোড়ায় জন্মায় না। তারপরের বার আখ গাছের কোন অংশ আমরা ফসল,
হিসাবে গ্রহণ করি তা না জানার জন্য সে ঠকে গেছে।
৬.৪ শিয়াল বারবার লাভবান হয়েছে, কারণ
উত্তর ঃ শিয়াল বারবার লাভবান হয়েছে, কারণ কুমির ছিল বড্ড বোকা
৭. নীচে দাগ দেওয়া শব্দগুলি কোনটি কী জাতীয় শব্দ লেখো ঃ
৭.১ কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল।
উত্তর : চাষ—বিশেষ্য।
৭.২ সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল।
উত্তর ঃ সে—সর্বনাম।
৭.৩ আচ্ছা আসছে বার দেখব।
উত্তর : দেখব—ক্রিয়াপদ।
৭.৪ ভেবেছে, মাটি খুঁড়ে সব ধান বার করে নেবে।
উত্তর : ধান—বিশেষ্য, নেবে—ক্রিয়াপদ।
৭.৫ এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।
উত্তর : আমাকে—সর্বনাম, গোড়ার—বিশেষণ।
৮. ঠিক বাক্যটির পাশে (√) চিহ্ন দাও আর ভুল বাক্যটির পাশে (x) চিহ্ন দাও :
৮.১ গল্পের কুমিরটি অত্যন্ত চালাক-চতুর ছিল।×
৮.২ কুমিরটি চেয়েছিল শিয়ালকে সে ঠকাবে। √
৮.৩ আলুচাষে গোড়ার দিক পাওয়ায় শিয়াল ঠকে গেল।×
৮.৪ ধানচাষের বেলায় কুমির পেল আগার দিক।×
৮.৫ কুমির আখের গাছগুলো পেয়ে ঘরে বয়ে নিয়ে গিয়ে মজা করে খেতে লাগল।×
৯. বাক্যরচনা করো : আগা, গোড়া, চাষ, আখ, নোনতা ।
উত্তর :
আগা—ধান গাছের আগা ধানে পূর্ণ থাকে।
চাষ—বর্ষাকালে চাষী মাঠে চাষ করে।
নোনতা—নোনতা খাবার দেখলে জীভে জল আসে।
গোড়া—আম গাছের গোড়া মোটা হয়।
আখ—আখে গাছের গোড়া থেকে গুড় তৈরি হয়।
১০. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
লাভ, মিষ্টি, নীচে, কাজ, মজা।
উত্তর ঃ লাভ-লোকসান।
মিষ্টি—টক।
নীচে—ওপরে।
কাজ—অকাজ।
মজা—দুঃখ।
১১.১ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘ছেলেদের মহাভারত’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’।
১১.২ তিনি ছোটোদের জন্য কোন্ পত্রিকা বের করতেন?
উত্তর ঃ তিনি ছোটোদের জন্য ‘সন্দেশ” পত্রিকা বের করতেন।
১১.৩ তাঁর সন্তানদের মধ্যে শিশুসাহিত্যিক হিসেবে কারা অত্যন্ত পরিচিত?
উত্তর ঃ পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও সুকুমার রায়।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো ঃ
১২.১ গল্পে কারা চাষ করতে গেল?
উত্তর ঃ ‘বোকা কুমিরের কথা' গল্পে কুমির ও শিয়াল দুজনে চাষ করতে গেল।
১২.২ কীসের কীসের চাষ তারা করেছিল ?
উত্তর ঃ কুমির ও শিয়াল আলু, ধান এবং আখের চাষ করেছিল।
১২.৩ চাষে কার লাভ এবং কার ক্ষতি হয়েছিল ?
উত্তর : আলু, ধান এবং আখের চাষ করে শিয়ালের লাভ এবং কুমিরের ক্ষতি হয়েছিল।
১২.৪ শিয়ালকে ঠকাতে আখচাষের সময় কুমির কী ফন্দি এঁটেছিল?
উত্তর ঃ শিয়ালকে ঠকাতে আখচাষের সময় কুমির আখের আগা অংশ নেবে বলে ফন্দি এঁটেছিল।
১২.৫ ‘বোকা কুমিরের কথা' গল্পে কুমিরটা শিয়ালকে ‘তুমি বড্ড ঠকাও' বলে দোষ দিলেও, আসলে সে নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্যই বারবার ঠকে গেছে।'—গল্পটি পড়ে তোমার যদি এমন মনে হয়, তবে কেন এমন মনে হল, তা
বোঝাতে গল্প থেকে তিনটি বাক্য খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর : (ক) কুমির ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল।
(২) ভেবেছে, মাটি খুঁড়ে সব ধান বার করে নেবে।
(৩) এবার আর সে আগা না নিয়ে ছাড়বে না।
হাতে কলমে বাইরে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন:-শিয়ালকে ঠকাবার জন্য কুমির কী বলেছিল ?
উত্তর : কুমির শিয়ালকে ঠকাবার জন্য বলেছিল, ‘গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।'
প্রশ্ন:-কুমিরের শর্ত শুনে শিয়াল কী বলেছিল?
উত্তর ঃ কুমিরের শর্ত শুনে শিয়াল হেসে বলেছিল, “আচ্ছা তাই হবে।
প্রশ্ন:-কোন্ দুটি প্রাণী মিলিত হয়ে আলুর চাষ করতে গেল?
উত্তর ঃ কুমির শিয়াল মিলে আলুর চাষ করতে গেল।
প্রশ্ন:-শিয়াল মাটি খুঁড়ে সব আলু তুলে নিয়ে গেছে দেখে কুমির কী ভাবল ?
উত্তর : মাটি খুঁড়ে সব আলু শিয়াল তুলে নিয়ে গেছে দেখে কুমির ভাবল, “তাই তো। এবার বড্ড ঠকে গিয়েছি। আচ্ছা আসছে বার দেখব।'
প্রশ্ন:-আলু চাষের পর কুমির ও শিয়াল কী চাষ করতে গেল ?
উত্তর ঃ কুমির ও শিয়াল দুই বন্ধু এবার মিলিত ভাবে ধানের চাষ করতে গেল।
প্রশ্ন:-“বোকা কুমির সে কথা জানত না।”—কোন্ কথা বোকা কুমির জানত না?
উত্তর : আলু জন্মায় মাটির নীচে আর তার গাছ থাকে মাটির ওপরে, তা দিয়ে যে কোনো কাজ হয় না—একথা বোকা কুমির জানত না।
প্রশ্ন:-আলু সম্পর্কে কুমির কী ভেবেছিল?
উত্তর ঃ বোকা কুমির ভেবেছিল আলু বোধহয় লংকা বেগুনের মতো গাছে ঝোলে।
প্রশ্ন:-যখন আলু হল তখন কুমির কী করল ?
উত্তর ঃ যখন আলু হল তখন কুমির সব গাছের আগা কেটে তার বাড়িতে নিয়ে এলো।
প্রশ্ন:- বাড়িতে আলু গাছে নিয়ে এসে তাতে একটাও আলু নেই দেখে কুমির কী করল ?
উত্তর : গাছে একটাও আলু নেই দেখে কুমির মাঠে গিয়ে দেখল, শিয়াল মাটি খুঁড়ে সব আলু তুলে নিয়ে গেছে।
প্রশ্ন:- দুজনে ধানের চাষ করতে গিয়ে কুমির কী চিন্তা করল?
উত্তর : দুজনে মিলে ধানের চাষ করতে গিয়ে কুমির চিন্তা করল এবার আর সে কিছুতেই ঠকতে যাবে না।
প্রশ্ন:-ধানের চাষ হওয়ার পর কুমির এবারে ভারি খুশি হল কেন?
উত্তর : শিয়াল এবার ধান গাছের আগাগুলো নিয়ে গেছে, তাই দেখে এবার তাকে আর আলু গাছের মতো ঠকতে হবে না ভেবে কুমির ভারি খুশি হল।
প্রশ্ন:-বোকা কুমির রেগে গিয়ে শিয়ালকে কী বলেছিল?
উত্তর : বোকা কুমির নিজে নিজেই শিয়ালের কাছে বারবার প্রতারিত হয়ে শিয়ালকে বলেছিল- 'না ভাই, তোমার সঙ্গে আর চাষ করতে যাব না, তুমি বড্ড ঠকাও।"
প্রশ্ন:-কুমিরকে কেন বোকা বলা হয়েছে?
উত্তর : বোকা কুমির আর ধূর্ত শিয়াল দুজনে ঠিক করল কৃষিকাজ করবে। কিন্তু শিয়াল তিনবারই কুমিরকে ঠকিয়েছে।
কুমির কিন্তু নিজেই শিয়ালের শর্ত মেনে নিয়েছে। তাই কুমিরকে বোকা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন:-কুমির কোন সময় ভারি খুশি হয়েছিল এবং কেন?
উত্তর : ধান চাষের সময় কুমির বলেছিল যে গোড়ার অংশ নেবে। কুমিরের কথা মতো শিয়াল ধানসুদ্ধ গাছের আগা কেটে নিয়ে চলে গেল। বোকা কুমির তো ভারি খুশি। সে ভাবল মাটি খুঁড়ে সমস্ত ধান তুলে নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন:-ধানচাষ করতে গিয়ে কুমির আর ঠকবে না ভেবে আগেভাগেই শিয়ালকে কী বলল?
উত্তর : কুমির শিয়ালকে বলল, ‘ভাই, এবারে কিন্তু আমি আগার দিক নেব না, এবার আমাকে গোড়ার দিকে দিতে হবে।
প্রশ্ন:-ধান চাষের জন্য কুমিরের শর্ত শুনে শিয়াল কী বলল ?
উত্তর : কুমির যখন ধান চাষের শর্ত জানাল তখন শিয়াল হেসে বলল, 'আচ্ছা, তাই হবে।"
প্রশ্ন:-ধান গাছের আগা কে কেটে নিয়েছিল?
উ : এবার যখন ধান হল, তখন শিয়াল সেই ধান শুদ্ধ গাছের আগা কেটে নিয়ে গেল।
প্রশ্ন:-বোকা কুমির আখের আগা অংশ ফেলেছিল কেন?
উত্তর : বোকা কুমির আগের আগা অংশ ঘরে নিয়ে এসে তা চিবিয়ে দেখল, শুধুই নোনতা, তাতে একটুও মিষ্টি নেই। তখন সে রাগ করে আমগাছের আগা অংশ ফেলে দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- কখন কুমির রাগ করে আখের আগাগুলো ফেলে দিয়েছিল?
উত্তর : মিলেমিশে তারা চাষ করবে এই চুক্তি করেছিল শিয়াল আর কুমির। প্রথমে ঠিক হয়েছিল মিলেমিশে আলুচাষ করে কুমির নেবে গাছের আগার দিক। তাতে সে ঠকে গিয়েছিল। তাই পরবর্তী সময়ে দুজনে একসঙ্গে ধান চাষ করতে গিয়ে কুমির বলেছিল সে গোড়ার দিক নেবে। এবারও চাষ করার পর কুমির ঠকে গেল। তৃতীয়বার তারা আবার চাষ যখন করতে গেল তখন বোকা কুমির বলল সে গাছের আগা নেবে। সেবার তারা চাষ করল আখ গাছ। আখ চাষের পর কুমির চুক্তিমতো আখের আগাগুলো ঘরে নিয়ে চিবিয়ে দেখল খালি নোনতা, তাতে একটুও মিষ্টি নেই। তাই সে রাগ করে আখের আগাগুলো ফেলে দিয়েছিল।
প্রশ্ন:-'গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।'
-উদ্ধৃত অংশটির বক্তা কে? কোন্ গাছের কথা বলা হয়েছে? বক্তা কেন গাছের আগার দিক নিতে চেয়েছে?
উত্তর : উদ্ধৃত অংশটির বস্তা বোকা কুমির।
আলু গাছের কথা এখানে বলা হয়েছে।
আলু হয় মাটির নীচে। গাছটি থাকে মাটির ওপরে, তা দিয়ে কোনো কাজ হয় না। বোকা কুমির সে কথা জানত না।
সে জানে আলু গাছের ফল মাটির ওপরেই হয়।
একমাত্র শিয়ালকে ঠকাবার জন্যই বোকা কুমির বলেছিল- 'গাছের আগার দিক কিন্তু আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।'
প্রশ্ন:-কুমির কখন শিয়ালকে বলেছিল, 'এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।'
উত্তর : প্রথমে শিয়াল আর কুমির যুক্তি করে যৌথভাবে চাষ করতে গিয়েছিল। কুমির ভেবেছিল আলু হল গাছের ফল। তাই সে শিয়ালের সলো চুক্তি করেছিল তারা মিলেমিশে চাষ করলে গাছের আগার দিকের অংশ নেবে। কিন্তু আলু চাষ হওয়ার পর সে দেখল ভীষণ ঠকে গেছে। সে বুঝে দেখল আলু হল গাছের গোড়ার দিকের ফল। তাই পরের বার যখনতারা মিলিতভাবে চাষ করতে গিয়ে ধান চাষ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল তখন আগেই শিয়ালকে সে বলল, 'ভাই, এবারে কিন্তু আমি আগার দিকে নেব না, এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।