এতোয়া মুন্ডার কাহিনী হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণী /Atoya munder kahaini - school book solver

Pages

Sunday, 2 February 2025

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণী /Atoya munder kahaini

 


পঞ্চম শ্রেণির বাংলা
এতোয়া মুন্ডার কাহিনি
মহাশ্বেতা দেবী

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল (শালগাড়া/হাতিঘর/হাতিবাড়ি/শালগেড়িয়া)।
উত্তর ঃ  শালগেড়িয়া

১.২ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের (আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/মাস্টার)।
উত্তর : জমিদার

১.৩ এতোয়া' শব্দটির অর্থ (রবিবার/সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন)।
উত্তর ঃ ‘রবিবার

১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন (সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী)।
উত্তর : আদিবাসী রাজা।

১.৫  ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের/ঝর্নার/নদীর/গাছের)।
উত্তর :  নদীর


২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো :

২.১ আর হাতিশালাটা ছিল.....।
উত্তর ঃ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।

২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল.......গ্রাম।
উত্তর : এতোয়ার দাদু বলে এক সময় একটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গায়ের বুড়ো সর্দার..... .নাতিটার দিকে তাকায় ।
উত্তর : গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায় ।

২.৪ তবে জঙ্গল তো ......।
উত্তর ঃ তবে জঙ্গল তো মা।

২.৫ .......স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
উত্তর ঃ প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।

৩. অর্থ লেখো :

গর্জন-উচ্চ গম্ভীর আওয়াজ।
বাগাল-রাখাল।
গুঞ্জন—গুনগুন শব্দ।
দুলন্ত—দুলছে যা।
গোড়া-মূল।

. বিপরীতার্থক লেখো ঃ
পূর্বপুরুষ—উত্তরপুরুষ।
আদি-অন্ত।
কচি—পুরুষ্ট।
শুকনো—ভিজে।
বিশ্বাস-অবিশ্বাস।

৫. সমার্থক শব্দ লেখো ঃ
জল-সলিল, বারি, নীর,
নদী—স্রোতস্বিনী, তটিনী।
সমুদ্দুর—জলধি, বারিধি, সিন্ধু।
জঙ্গল—বন,অরণ্য, বিটপী।
উলগুলান—বিদ্রোহ, যুদ্ধ।

৬. ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও ঃ
৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
উত্তর : সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে ?
উত্তর ঃ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?

৬.৩ ছোটোনাগপুর ছাড়লাম।
উত্তর : ছোটোনাগপুর ছাড়লাম।

৬.৪ জল নষ্ট করি নাই।
উত্তর : জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?
উত্তর : যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?

৭. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
৭.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায় ৷
উত্তর : গাঁয়ের বুড়ো সর্দারের নাম মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।

৭.২ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর
উত্তর :এখন হাতিশালাটায় দেয়াল তোলা হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর হয়েছে।

৭.৩ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উত্তর : আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে যেতে হত। চার মাইল গেলে তবে পাঠশালা।

৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!
উত্তর : এখন ও লাফায়। নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!

৭.৫ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তর ঃ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। ওরা বয়ে যায়।

৮. বাক্যরচনা করো ঃ
পাঁচিল- ইটের পাঁচিল খুব শক্তপোক্ত হয়।
চাঁদ— পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হলো চাঁদ।
দেশ— ভারতবর্ষ আমাদের দেশ।
মানুষ— আদিম মানুষ গাছে ফলমূল খেত।
জঙ্গল - জঙ্গল পশু পাখিদের বাসস্থান।

৯. কোনটি কোন ধরনের বাক্য লেখো :

৯.১ স্রোত কী জোরালো!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।

৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উত্তর : না বাচক বাক্য।

৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
উত্তর : হ্যাঁ বাচক বাক্য।

৯.৪, নামটা বদলে গেল কেন গো?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য।

৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।

১০. কোনটি কোন্ শব্দ, ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো :
উত্তর :
বিশেষ্য -বিশেষণ- সর্বনাম-অব্যয়-ক্ৰিয়া
লড়াই -    মস্ত-- আমাদের। - ও    .......
শিকার   - বুড়ো -    তুই।      .......  চরায়
.......       ভীষণ
........    ছোট্টো
.......     ঝাঁকড়া
.........  ধারালো
  ......      সরু


১১. নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখো : (একটি করে দেওয়া হল)
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো ! -
উত্তর-দাদু আজ এমন গল্প বলল ,যে সবাই শুনছিল গো!
১১.২  এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তর ঃ  তুই বড্ড ভালো ছেলে এতোয়া।

১১:৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তর : তার বাপেরও সাহস হত না এতোয়ার মতো এত কথা শুধাবার ।

১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তর : বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।

১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তর ঃ আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।

১২. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো ঃ

দিস আবা—আদিবাসী
ব খা।রে।র্ণ।সু—সুবর্ণরেখা
গা ংগ ড়া র দ –দরংগাড়া
টি।ড়া পো মা —পোড়ামাটি
য পু দি রুআ –আদিপুরুষ।

১৩ .এলেমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো ঃ
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তর ঃ ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।

১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
উত্তর : তারা তখন শনশন তির ছোঁড়ে।

১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তর : হাজার হাজার চাঁদ আগে।

১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তর : আর ছিল পাথরের হাতিশালাটা।

১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উত্তর : গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।

১৪.লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উত্তর ঃ মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি অধ্যাপিকাও করেছেন।

১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’।

১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম 'গল্পের গোরু ন্যাদোশ'।

১৫.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১৫.১ 'সেও এক ভীষণ যুদ্ধ’– কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : সিধু কানু যখন সাঁওতালদের নিয়ে ১৮৫৫ সালে সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে নামল, সেটা ছিল ভীষণ যুদ্ধ। সেইযুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে।

১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উত্তর : মোতিবাবুর পূর্বপুরুষ মস্ত বড়ো জমিদার ছিলেন। তাঁদের হাতি ছিল, হাতিশালাটা পাথরের তৈরি ছিল। তখন থেকেই গ্রামটির নাম হাতিঘর ছিল।

১৫.৩ উজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত ?
উত্তর ঃ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে বাছা বলত ।

১৫.৪। হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর ঃ হাতিঘর যেতে হলে হাওড়া থেকে  খড়্গপুরে নেমে ,তারপর বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরে বড়াম দেবীর মন্দিরের কাছে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে রোহিণীতে নামতে হবে। রোহিণী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সাত-আট মাইল হাঁটলে হাতিঘরে পৌঁছোনো যায় ।

১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
উত্তর ঃ এতোয়া নামটি রবিবারে জন্মানোর জন্য হয়েছিল। ঠাকুর্দা নামটি রেখেছিলেন।

১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তর ঃ এতোয়া রোজ গোরু, ছাগল, মোষ চরায়। তার প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে সে গেরুয়া সমুদ্র পেরিয়ে চলে যায়। সে যেন এক দুরন্ত বাচ্চা ঘোড়া। ঠাকুরদার জন্য সে শুকনো ডাল, শুকনো পাতা, জ্বালানি ধরাবে বলে কুড়িয়ে আনে। প্রতি সপ্তাহে হাটের দোকানে ঝাঁটপাট দেয়। আম বাগানে বাবুর গোরু চরাতে চরাতে টোকো আম, মেটে আলু, শুকনো কাঠ কুড়িয়ে নেয়। ঘন সবুজ ঘাসবনে গোরু মোষ ছেড়ে দিয়ে ডুলং নদীর ধারে বসে। নিজের বাঁশে বোনা জালটা সুবর্ণরেখা নদীতে ফেলে মাছ ধরে।

১৫.৭ এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু...'—বক্তা কে? আগে কী ছিল?
উত্তর ঃ বক্তা হলেন সাঁওতাল মাস্টার। আগেকার দিনে ইস্কুল যেতে হলে জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত, তবে পাঠশালায় যেতে পারত। কারণ তখন ধারেকাছে কোনো ইস্কুল ছিল না।

১৬. বাঁদিকের শব্দের সঙ্গে মিল আছে এমন ডানদিকের শব্দ খোঁজো :

উত্তর-
বাঁদিক  > ডানদিক
হাতি   >  শুঁড়
চাল   >  ধান
গ্রাম  >   পল্লি
চাঁদ  >  জ্যোৎস্না
পাতা   >   গাছ

১৭. সংকেতটি অনুসরণ করে একটি গল্প বানাও ঃ
উত্তর ঃ নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব ইস্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে বিষ্ণুপুর যাব ঠিক করেছি।
শ্যাম বলল, বিষ্ণুপুরে আমার মামার বাড়ি। আমি খুব ছোটোবেলায় গিয়েছি। একটা সাঁকো পার হতে হয়। সাঁকোর গায়ে যে বাঁধ রয়েছে তার নাম লালবাঁধ। শোনা যায়, সেই লালবাঁধে বর্গিদের তাড়াতে গিয়ে দলমাদল কামান ব্যবহার করেছিলেন মন্দিরের দেবতা মদনমোহন। বিশাল সেই কামান দেখে বর্গিরা ভয়ে পালিয়ে যায়। ঠাকুর মদনমোহন তারপর সেই দলমাদল কামানটি লালবাঁধে ফেলে রেখে মন্দিরে চলে যান। সেই দলমাদল কামানটা এখন সরকার তুলে সংরক্ষণ করে রেখেছে। খুব বড়ো কামান। আমরা সেটা গিয়ে দেখব।
সমর বলল, আমি একবার টুরিস্টদের সঙ্গে বিষ্ণুপুর গিয়েছিলাম। বিষ্ণুপুরে রাসমঞ্চ এখনও অনেকে দেখতে যায়।
প্রাচীন লোকে বিষ্ণুপুরকে গুপ্ত বৃন্দাবন বলে। বিষ্ণুপুরের মদনমোহন ঠাকুরের মন্দির দেখতে খুব সুন্দর। পোড়ামাটির কাজ
বিষ্ণুপুরের মতো সুন্দর অন্য কোথাও নেই। মহিমা চেঁচিয়ে সকলকে বলল, আমিও যাব। পুজোর ছুটিটা আমরা সকলে ওখানে গিয়ে কাটিয়ে আসব।

অন্য  আর ও প্রশ্ন

★কে কাকে পাত্তা দেয় না?
উত্তর : গোরুর বাগাল আদিবাসী ছেলে এতোয়া মুন্ডাকে ঘাস, ফুল, নদী কেউ পাত্তা দেয় না।

★ ঝড় বাদলের রাতে কী শোনা যায়?
উত্তর : ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে আদিবাসী রাজা শূরবীর জল থেকে উঠে গর্জন করে তার মনের কথা বলতে থাকে আর ঘণ্টা বাজাতে থাকে।
★ডুলং নদীতে আদিবাসী রাজা শূরবীর কেন ঝাঁপ দিল ?
উত্তর : বাইরের মানুষ যখন তার রাজ্যপাট কেড়ে নিল তখন আদিবাসী রাজা শূরবীর তার তামার ঘণ্টা আর তিরধনুক নিয়ে ভুলং নদীতে ঝাঁপ দিল।

■ ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

★শূরবীর ছিলেন একজন – (সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী)।
উত্তর : শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা।
★ ডুলুং নদীর আদিবাসী নাম ছিল—(সুবর্ণরেখা/দরংগাড়া/শালগেড়িয়া/গেরুয়া সমুদ্দুর)।
উত্তর ঃ ডুলুং নদীর আদিবাসী নাম ছিল দরংগাড়া।
★ হুল উৎসব পালন করে—(মুন্ডা/সাঁওতাল/ লোধা/লেপচা)
উত্তর : হুল উৎসব পালন করে সাঁওতালগণ।
★ এতোয়া যাত্রা দেখেছে—(বিনপুরে/লোধাশুলিতে/জামশেদপুরে/রোহিনীতে)।
উত্তর : এতোয়া যাত্রা দেখেছে রোহিনীতে।
★ এতোয়া মুন্ডার কাহিনি গল্পে গ্রাম দেবতা হল—(বড়াম/গড়াম/ঘড়াম)।
উত্তর ঃ এতোয়া মুন্ডার কাহিনি গল্পে গ্রাম দেবতা হল গড়াম।

★'এতোয়া ওর প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে চলে যায় গেরুয়া সমুদ্দুর পেরিয়ে কত সময়!' —'গেরুয়া সমুদ্দুর হল—(ডুলুং/সুবর্ণরেখা/ডুলুং এবং সুবর্ণরেখা যেখানে মিশেছে/কংসাবতী)।
উত্তর ঃ গেরুয়া সমুদ্দুরটি হল ডুলুং এবং সুবর্ণরেখা যেখানে মিশেছে।দু-এক কথায় উত্তর দাও :
★ শালগেড়িয়া গ্রামকে কারা পাহারা দিত?
উত্তর : শালগেড়িয়া গ্রামটাকে সাবু আর শালগাছের পাঁচিল পাহারা দিত।
★ হাতিশালায় কটা ঘর রয়েছে?

উত্তর : হাতিশালায় পাথরের বাড়িতে তিরিশটা ঘর রয়েছে।

★ হুল বিদ্রোহ কাকে বলে ?
উত্তর : সাঁওতালদের সঙ্গে সাহেবদের বিদ্রোহকে হুল বিদ্রোহ বলে।

★ বনজীবী মানুষ কারা ?
উত্তর : লোধা আদিবাসীরা আগে ছিল বনজীবী মানুষ
★ জঙ্গল থেকে কী কী সংগ্রহ করা হত?
উত্তর : জঙ্গল থেকে কন্দ, মূল, ফল, পাতা, খরগোশ, সজারু, পাখি সংগ্রহ করা হত।

★ ধান রাখার গোলাঘর কীভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তর : মোতিবাবুদের হাতিশালটায় দেয়াল তুলে সেটা এখন ধান রাখার গোলাঘর হয়েছে।

★এতোয়াদের গ্রামের বর্তমান নাম কী? পূর্বে এই গ্রামের নাম কী ছিল?
উত্তর : এতোয়ার দাদু মঙ্গল মুন্ডা বলে একসময়ে এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম। গ্রামটার নাম ছিল শালগেড়িয়া।

★ শালগেড়িয়া গ্রামকে আগে কে পাহারা দিত?
উত্তর : আগে সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত শালগেড়িয়া গ্রামকে।

★সাহেবদের সঙ্গে কারা যুদ্ধে নেমেছিল ?
উত্তর : আদিবাসীদের আদি পুরুষ সিধু কানু সাঁওতালদের নিয়ে সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছিল।
★ কেন এতোয়া স্কুলে যায় না?
উত্তর : পেটের জ্বালায় এতোয়া স্কুলে যায় না।

★ সাহেবদের কাছে যুদ্ধে হেরে গিয়ে মুন্ডারা বাতাসের মুখে পাতার মতো কোন্ কোন্ জায়গায় চলে গেল?
উত্তর ঃ যুদ্ধে হেরে গিয়ে মুন্ডারা বাংলা, ওডিশা, বিহার, অসম ইত্যাদি জায়গায় ছড়িয়ে চলে গেল।

★ সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে সাঁওতাল ও মুন্ডারা কী করেছিল?
উত্তর ঃ সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে সাঁওতালরা করেছিল ‘হুল’, মুন্ডারা করেছিল ‘উলগুলান’।

★ গ্রামের লোধা আদিবাসীদেরকে মঙ্গল মুন্ডা কী নাম দিয়েছিল?
উত্তর : মঙ্গল মুন্ডা বলেছিল, লোধা আদিবাসীরা বনজীবী মানুষ, বনের সন্তান।

★ বাঘ যাতে গোরু না খায় সেজন্য কারা কী পূজা করবে?
উত্তর : বাঘ যাতে গোরু না খায় সেজন্য লোধা আদিবাসীরা বাঘুৎ দেবতার পূজা করবে, বড়াম মায়ের পূজা দেবে।

★জঙ্গল থেকে কী কী পাওয়া যায় ?
উত্তর : জঙ্গল থেকে কন্দ, মূল, ফল, পাতা, জ্বালানি, খরগোশ, শজারু, পাখি ইত্যাদি পাওয়া যায়।
★ প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোণে পথ দিয়ে যেতে যেতে সাঁওতাল মাস্টারের কোন্ কথাটুকু শুধু এতোয়া শুনতে পায় ?
উত্তর : সাঁওতাল মাস্টারের গল্প এতোয়া শুধু শুনতে পায়, ‘তখন তারা তির ছোড়ে শনশন। তিরে তিরে আকাশে আঁধার।
সে যে কী ভীষণ যুদ্ধ তার আর কি বলি!'

★ছোট্ট এতোয়া কার কী কাজ করে?
উত্তর : গ্রামের ঠাকুর-দেবতা মোতিবাবুর গোরু-ছাগল চরায় ছোট্ট এতোয়া।

★বড়াম-মা কী করেন?
উত্তর ঃ তিনি দেবী, তিনি সকলকে রক্ষা করেন।

★ হাতিঘরে যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে খড়গপুর গিয়ে তারপর কী করতে হবে?
উত্তর : খড়গপুর থেকে বাসে চড়ে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে নামতে হবে। সেখানেই বড়াম মায়ের মন্দির, যিনি সকলরে রক্ষা করেন।
★বড়াম-মায়ের পুজো কে করে?
উত্তর : বড়াম-মায়ের পুজো করে লোধা পুরোহিত।

★ বড়াম-মায়ের মন্দিরে কারা প্রণামি দেয়?
উত্তর : বম্বে রোডে যত বাস-ট্রাক চলে, সবাই গুপ্তমণির বড়াম মায়ের মন্দিরে প্রণামি দেয়।
এ গুপ্তমণি থেকে রোহিণী নামক জায়গায় যাওয়া যায় কীভাবে ?
উত্তর : গুপ্তমণি থেকে রোহিণী বাস যাবে কিনা বলা যায় না, তবে সেখান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সাত মাইল হাঁটলেই হবে।
★এতোয়া কী জেনে ফেলেছে?
উত্তর : যাত্রা দেখে রামায়ণ, মহাভারতের কথা এতোয়া জেনে ফেলেছে।

★এতোয়া কী করে?
উত্তর ঃ এতোয়া গোরু, ছাগল, মোষ চরায় আর প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে অনেকসময় চলে যায় গেরুয়া জলের সমুদ্র পেরিয়ে। এ ছাড়া মাছ ধরে।

★ ডুলং নদী কোথায় ?
উত্তর : লোধা আদিবাসীরা আগে ছিল বনজীবী মানুষ
★ হাতিঘরের দুটো গাছের নাম লেখো।
উত্তর ঃ একটা শালগাছ আর একটা অর্জুন গাছ।

★আদিবাসীদের নাম কীভাবে দেওয়া হয় ?
উত্তর ঃ জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে আদিবাসীদের নাম দেওয়া হয়।

★এতোয়ার নাম কে রেখেছিল?
উত্তর : ঠাকুরদা মঙ্গল মুন্ডা।

১৬ কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম বলো।
উত্তর ঃ সাঁওতাল, লোধা, মুন্ডা এরা হল আদিবাসী।

১৭ আদিবাসীরা কোন্ ভাষায় কথা বলে?
উত্তর : আদিবাসীরা বাংলা ভাষায় এবং সাঁওতালি ভাষায় কথা বলতে পারে।

★ সিপাহি যুদ্ধ কবেকার কথা?
উত্তর : ১৮৫৭-১৮৫৮ সালের কথা।

★এতোয়া যুদ্ধের কথা কার কাছ থেকে শোনে?
উত্তর : এতোয়া যুদ্ধের কথা গ্রামের মাস্টারের কাছ থেকে শোনে।

★ভজন ভুক্তা কে?
উত্তর : ভজন ভুক্তা একজন বুড়ো অন্ধ মানুষ। সে প্রতি হাটবারে হাটতলায় বসে গল্প বলে, গান গায়।

★এখন কোথায় হাতি নেই?
উত্তর : হাতিশাল গ্রামে এখন আর হাতি নেই।

★ হাতিশাল গ্রামে কাদের হাতি ছিল?
উত্তর : হাতিশাল গ্রামের মোতিবাবুর পূর্বপুরুষেরা যখন মস্ত জমিদার ছিলেন তখন তাঁদের হাতি ছিল।

★মোতিবাবুর পূর্বপুরুষদের হাতিশালটা কীসের ছিল?
উত্তরঃ মোতিবাবুর পূর্বপুরুষদের হাতিশালটা ছিল পাথরের।

★কে নেচে নেচে চলেছে?
উত্তর : ভুলং নদী নেচে নেচে চলেছে, যে নদীর আদিবাসী নাম দরংগাড়া।

★আকাশছোঁয়া একটি শাল আর একটি অর্জুন গাছের নীচে কী আছে?
উত্তর : শাল আর অর্জুন গাছ দুটির গোড়ায় আছে পোড়ামাটির মস্ত হাতি, মস্ত ঘোড়া।

★ যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর' কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : ভূলং নদী হাতিঘর গ্রামের সামান্য দূরে যেখানে সুবর্ণরেখা নদীতে মিশেছে সেটাই যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।

 

★ডুলং নদীর গেরুয়া জলের সমুদ্দুরে সাহসে স্নান করা যায় কেন ?
উত্তর : ভূলং নদীর গেরুয়া জলের সমুদ্দুরে স্রোত জোরালো থাকলেও কোমর অবধি জল থাকার জন্য ডুবে যাবার ভয় নেই।

★ এতোয়া কার পিঠে চেপে অনেকসময় কোথায় যায়?
উত্তর : এতোয়া তার প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে অনেকসময় চলে যায় গেরুয়া জলের সমুদ্দুর পেরিয়ে।
★কারা বাংলা বলে এবং নিজেদের ভাষাও বলে?
উত্তর : এ রাজ্যে মুন্ডা, সাঁওতাল, লোধা সকলেই বাংলাও বলে, আবার নিজেদের ভাষাও বলে।
★ এতোয়াকে দেখলে কী মনে হয়?
উত্তর ঃ এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত একটা বাচ্চা ঘোড়া।

★ এতোয়া কী পরে থাকে?
উত্তর ঃ এতোয়া সব সময়ে পরে থাকে একটা খাকি হাফপ্যান্ট।

★ জ্বালানির জন্য এতোয়া কী কুড়িয়ে আনে ?
উত্তর ;- জ্বালানির জন্য এতোয়া একটা শুকনো ডাল, কয়েকটা শুকনো পাতা—যা চোখে পড়ে সবই কুড়িয়ে আনে।

★এতোয়ার সঙ্গের বস্তাটি সে কোথা থেকে পেয়েছে?
উত্তর : এতোয়া তার সঙ্গের বস্তাটি এনেছে হাটের দোকানির দোকান ঝাঁটপাট দিয়ে।

★টোকো আম আর শুকনো কাঠ এতোয়া কীভাবে নিয়ে আসে?
উত্তর : মোতিবাবুর গোরু চরাতে চরাতে এতোয়া তার সঙ্গের বস্তায় টোকো আম আর শুকনো কাঠ কুড়িয়ে আনে।

★এতোয়া নিজেকেই কী বলে?
উত্তর : সুবর্ণরেখা নদীর চরে মাছ ধরে এতোয়া নিজেকেই বলে, মাছ পেলে মাছ খাব, শাক তো খাবই।

★ মেটে আলুটা এতোয়া কাকে দেবে?
উত্তর : মেটে আলুটা নিয়ে যদি মুদিদাদা নুন-তেল-মশলা দেয় তাহলে তাকেই সেটা দেবে এতোয়া।

★অন্ধ ভজন ভুক্তা বড়ো দুঃখ করে এতোয়াকে কী বলেছিল?
উত্তর : অন্ধ ভজন ভুত্তা এতোয়াকে বলেছিল, 'এতোয়া রে। ছেলে তুই বড্ড ভালো। ইস্কুলে যাস না এই বড়ো দুঃখ।

★ ইস্কুলে না গিয়ে আদিবাসী ছেলেমেয়ে কী করে?
উত্তর : ইস্কুলে না গিয়ে আদিবাসী ছেলেমেয়ে বাবুর বাড়ি গাই চরায়, বন থেকে কাঠ আনে।

★এখন গ্রামের টুস্কুলের সাঁওতাল মাস্টারটা কী করে ?
উত্তর : গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে সাঁওতাল মাস্টারটা বলে, 'ছেলেমেয়েদেরকে ইস্কুলে পাঠাও। আমাদের ঘরের ছেলেমেয়ে
পড়তে শিখবে না?'

★হাতিশাল গ্রামের ছেলেমেয়েদের কারা কেন ইস্কুলে পাঠায় না?
উত্তর : হাতিশাল গ্রামের মা-বাবারাই পেটের জ্বালায় তাদের ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে পাঠায় না।
★অন্ধ ভজন ভুক্তাদের কালে পড়াশোনা করতে গেলে কী করতে হত?
উত্তর : জালের পথ দিয়ে চার মাইল হেঁটে তবে পাঠশালা যেতে হত।

★হাতিঘর যাওয়ার পথে বাস থেকে কোন্ মন্দিরের সামনে নামতে হবে?
উত্তর : বাস থেকে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে নামতে হবে।

★সাঁওতালদের নিয়ে কারা সাহেবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল ?
উঃ সিধু ও কানু সাঁওতালদের নিয়ে সাহেবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল।

★ডুলুং নদীর আদিবাসী নাম কী?
উত্তর : ডুলুং নদীর আদিবাসী নাম দরংগাড়া।

★এতোয়া' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : 'এতোয়া' শব্দের অর্থ রবিবার।

★এতোয়ার ঠাকুর্দার নাম কী ছিল?
উত্তর ঃ গ্রামের সর্দার মঙ্গল মুন্ডা।

★ এতোয়া খিদে ভুলে যায় কী করে?
উত্তর : কী খাব কী খাব ভাবতে ভাবতেই খিদে ভুলে যায় এতোয়া।
★ছোট্ট এতোয়া যে এক ভীষণ যুদ্ধের কথা বলে তা কারা জানে না?
উত্তর ঃ আকাশ, ঘাস, বনে গুনগুন গুঞ্জন করা উড়ন্ত পতঙ্গ, বাতাসে দুলন্ত-হাসন্ত বুনোফুল, গোরুর পাল, কেউ জানে না ছোট্ট এতোয়া যে যুদ্ধের কথা বলে।

★  সুবর্ণরেখা নদী সম্পর্কে লোকে কী বলে?
উত্তর : লোকে বলে, সুবর্ণরেখা নদীর জলে এখনো নাকি সোনার রেণু পাওয়া যায়।

★শূরবীর এক আদিবাসী রাজা কী করেছিল?
উত্তর : বাইরের মানুষ এসে যখন তার রাজ্যপাট কেড়ে নিল, তখন তামার ঘণ্টা আর তিরধুনক নিয়ে শূরবীর আদিবাসী রাজা ভুলং নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল।

★আদিবাসী রাজাকে ভক্তিভরে ডাকলে সে কীভাবে আসবে?
উত্তর : আদিবাসী রাজা প্রথমে সে ঢং ঢং ঘণ্টা বাজাবে তারপর হাতি চেপে ধনুক হাতে জল থেকে উঠে আসবে।

★ভজন ভুক্তা হাটবারে কোথায় বসে কী করে? (
উত্তর : অন্ধ ভজন ভুক্তা হাটবারে হাটতলায় গল্প বলে আর গান গায়।
★ অন্ধ ভজন ভুক্তাকে এতোয়া অনেকবার ঘরে পৌঁছে দিয়ে কী বলেছে?
উত্তর : অন্ধ ভজন ভুক্তাকে অনেকবার ঘরে পৌঁছে দিয়ে এতোয়া বলেছে, 'কী গল্পই আজ বললে দাদু। সবাই শুনছিল গো! দ্যাখো, কতগুলো দশ পয়সা পেয়েছ!"

★  'উলগুলান' শব্দটি কারা ব্যবহার করত?
উত্তর ঃ বিরসা মুন্ডা মুন্ডাদের নিয়ে সাহেবদের উৎখাত করবে বলে যে ভীষণ যুদ্ধ করেছিল তাই হল উলগুলান।

★ হাতিশালার একতলার ঘরে কী থাকে?
উত্তর : হাতিশালার একতলার ঘরে চাল, ডাল, গম ইত্যাদি থাকে। আর রয়েছে ধান ★ চাঁদ কী?

★চাঁদ দিয়ে কারা কবে কী হিসাব করত?

উত্তর : এতোয়ার দাদু চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করত।

★ সাহেবদের সঙ্গে কাদের কী যুদ্ধ হয়েছিল ?
উত্তর : বছর হিসাব করার একটা প্রাচীন একক।

প্রশ্ন- উলগুলান কি?
উত্তর ঃ সাহেবদের সঙ্গে মুন্ডাদের যুদ্ধ হয়েছিল। তাদের সেই যুদ্ধ বা বিদ্রোহকে উলগুলান বলে।