তৃতীয় শ্রেণি বাংলা নৌকাযাত্রা কবিতার হাতে কলমে প্রশ্ন উত্তর | Nouka jatra class 3 bangla question answer
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য
পঞ্চম পাঠ
কবিতা : নৌকাযাত্রা
কবি : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নামকরণের সার্থকতা ঃ কবিতায় একটি শিশু একটি নৌকা নিয়ে সাত সমুদ্র এবং তেরো নদী পেরিয়ে যেতে চায়। সে তার নৌকাটি নিজের মতো করে সাজিয়ে পছন্দের লোকজনকে সে সাথে নিতে চায়। সে দূর দেশে নৌকাটি চড়ে যাত্রা করা। কবিতাটিতে নৌকা চড়ে শিশুটি কোথায় যেতে চায় এবং সেই সময়ের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তাই কবিতাটির নাম ‘নৌকাযাত্রা সার্থক।
সারমর্ম: মধু মাঝির পাট বোঝাই করা নৌকাটি রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে দেখে কবিতায় শিশুটি ভাবছে, যদি ওই নৌকাটি সে পেতো তাহলে নৌকাটি নিয়ে তাতে একশোটা দাঁড় আর পাঁচ-ছটা পাল লাগিয়ে সে দূর দেশে যাত্রা করতো। শিশুটি তাঁর মাকে কাঁদতে বারণ করছে কারণ, সে তো আর রামচন্দ্রের মতো চোদ্দো বছরের জন্য বনবাসে যাচ্ছে না, সে রাজপুত্রের মতো নৌকা ভরা সোনামানিক আর সাথে আশু এবং শ্যামকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে চাইছে। ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে দিয়ে সারাদিন সে তিরপূর্ণির ঘাট, তেপান্তরের মাঠ, নতুন রাজার দেশ সব ঘুরে সন্ধের সময় ফিরে এসে মার কোলে বসে শিশুটি সেইসব গল্প শোনাতো।। আর তার একটাই ইচ্ছা, সে একটিবার সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যাবে।
শব্দার্থ : বোঝাই করা—ভরতি করা। মিথ্যে–মিছিমিছি।
দাঁড়—যা দিয়ে নৌকা চালানো হয়।
পাল—বাতাসের সাহায্যে নৌকাতে দিয়ে নিয়ে যাওয়া বড় কাপড়ের পর্দা।
হাট— নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা-বেচার স্থান।
তেপান্তরের মাঠ—লোককথায় কথিত মাঠ বিশেষ।
রাজপুত্র-রাজার পুত্র।
তিরপূর্ণির ঘাট—একটি ঘাটের নাম।
হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ ‘নৌকাযাত্রা' কবিতাটি কার লেখা?
উঃ। ‘নৌকাযাত্রা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
১.২ কবিতাটি তাঁর কোন্ বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উঃ। কবিতাটি তাঁর ‘শিশু’ নামক বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.৩ নৌকাটি কোথায় বাঁধা আছে?
উঃ। নৌকাটি রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।
১.৪ নৌকাটিতে কী রয়েছে?
উঃ। নৌকাটিতে পাট বোঝাই করা রয়েছে।
১.৫ কবিতার শিশুটি ওই নৌকা পেলে কটি পাল ও দাঁড় জুড়ে নেবে?
উঃ। কবিতার শিশুটি ওই নৌকা পেলে পাঁচ-ছটি পাল ও একশোটি দাঁড় জুড়ে নেবে।
১.৬ পাল ও দাঁড় নৌকায় কী কী কাজে লাগে?
উঃ। পাল ও দাঁড় নৌকাতে চালাতে ও গতি বাড়াতে সাহায্য করে।,
১.৭ হাট বলতে কী বোঝো?
উঃ। নির্দিষ্ট স্থানে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বসে এমন গ্রামীণ বাজারকে হাট বলে।
১.৮ শিশুটি কার নৌকা পেতে চায়?
উঃ। শিশুটি মধু মাঝির নৌকা পেতে চায়।
১.৯ সে নৌকা করে কোথায় যাবে?
উঃ। সে নৌকা করে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে যাবে।
১.১০ সে সঙ্গে কাকে কাকে নেবে?
উঃ। সে সঙ্গে আশু আর শ্যামকে নেবে।
১.১১ সে তার মাকে কাঁদতে বারণ করেছে কেন?
উঃ। কারণ, সে রামচন্দ্রের মতো চোদ্দো বছর বনবাসে যাচ্ছে না তাই।
১.১২ রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল কেন ?
উঃ। পিতৃ সত্য পালনের জন্য রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল।
১.১৩ রামচন্দ্রের কাহিনি কোন বই পড়লে জানা যায়?
উঃ। রামায়ণ বই পড়লে রামচন্দ্রের কাহিনি জানা যায়
১.১৪ রাজপুত্র, সোনামানিকের কথা কোন ধরনের বইয়ে থাকে?
উঃ। রূপকথার গল্পের বইতে রাজপুত্র সোনা মানিকের কথা থাকে।
১.১৫ শিশুটি কী কী নিয়ে যাবে?
উঃ। শিশুটি নৌকা ভরা সোনা মানিক নিয়ে যাবে।
১.১৬ সে কখন নৌকা ছেড়ে দেবে?
উঃ। সে ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে দেবে।
১.১৭ দুপরবেলায় তার মা কোথায় থাকবেন ?
উঃ । দুপুরবেলায় তার মা পুকুর ঘাটে থাকবেন।
১.১৮ তখন সে কোথায় থাকবে?
উঃ । সে তখন নতুন রাজার দেশে থাকবে।
১.১৯ কোন্ কোন্ জায়গা পেরিয়ে শিশুটি যাবে ?
উঃ । শিশুটি তিরপূর্ণির ঘাট আর তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে যাবে।
১.২০ সে কখন ফিরে আসবে?
উঃ । সে সন্ধের সময় ফিরে আসবে।
১.২১ নতুন জায়গা ঘুরে আসার গল্প মাকে কীভাবে শোনাবে সে?
উঃ। মায়ের কোলে বসে সে মাকে নতুন জায়গার গল্প শোনাবে।
২. বাক্য রচনা করো :
বাঁধা— ডিঙি হলো ছোট নৌকা।
নৌকা- নদীর ধরে অনেক নৌকা বন্ধ থাকে। সমুদ্র- দীঘায় সমুদ্র দেখা যায়।
গল্প— ভূতের গল্প শুনলে আমার ভয় লাগে ।
মাঝি - মাঝি নৌকার দাঁড় টানে।
৩. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
রাজপুত্র–র্ + আ + জ +প +উ +ত +র+অ
রাজগঞ্জ—র্ + আ + জ + গ + ঞ + জ।
তেপান্তর—ত্ + এ+ প্ + আ + ন্ + ত্ + র।
পুকুর-ঘাট—প্ + উ + ক্ + উ + র + ঘ + আ + ট।
দুপুরবেলা–দ্ + উ + প + উ +র+র্+এ+ল্+অ
৫. বিপরীত শব্দ লেখো :
বাঁধা ছাড়া।
বোঝাই—খালি।
মিথ্যে—সত্যি।
সন্ধে-সকাল।
দেশে-বিদেশে।
৫. অর্থ লেখো ঃ দাঁড়—নৌকা চালানোর জিনিস। পার—পেরিয়ে যাওয়া।
পাল – কাপড়ের তৈরি পর্দা বিশেষ, এটি
টাঙিয়ে হাওয়ার সাহায্যে নৌকা চালানো হয়। কোণে—সেখানে দুটি দেয়াল একত্রিত হয়। মানিক- মূল্যবান রত্ন বিশেষ।
৩. সমার্থক শব্দ লেখো :
সোনা—স্বর্ণ, কনক, কান ।
সমুদ্র— জলধি, সাগর, অর্নব।
নৌকা—তরি, তরনী, খেয়া।
নদী—তটিনী, তরঙ্গিণী।
মাঠ-ময়দান, প্রান্তর।
৭. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
জুপুজরা—রাজপুত্র।
রলাদুপুে—দুপুরবেলা।
টির এবাক—একটিবার।
পাতেরন্ত- তেপান্তর।
জরাঞ্জগ—রাজগঞ্জ ।
৮. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
বাধা-প্রতিরোধ।
কোণে-প্রান্তে।
দেশ—রাষ্ট্র।
বাঁধা — বাঁধন।
কনে—বিয়ের পাত্রী, নববধু।
দ্বেষ-ঘৃণা।
পার-পেরোনো।
ছ'টা —সময়।
পাড়-কিনারা ।
ছটা—শোভা।
৯. 'পার্টে' শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে দুটি আলাদা বাক্য রচনা করো।
উঃ। (ক) সূর্য গেল পাটে। (অস্ত যাওয়া)
(খ) পাটের আঁশ থেকে কার্পেট তৈরি হয়। (ফসল বোঝাচ্ছে)
(গ) কাপড়গুলি পাট করে সাজিয়ে রাখো। (ভাঁজ করা)
১০. মুখে বললে কথাগুলি কীভাবে বলবে?
১০.১ আমি কেবল যাব একটি বার
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।
উঃ। আমি সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে শুধু একবার যাব।
১০.২ তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন বসে বসে একলা ঘরের কোণে।
উঃ। মা,তখন তুমি যেন একা একা ঘরের কোণে বসে বসে কেঁদো না।
১০.৩ ভোরের বেলা দেব নৌকা ছেড়ে দেখতে দেখতে কোথায় যাব ভেসে।
উঃ। নৌকা ভোরের বেলা ছেড়ে দিয়ে দেখতে দেখতে কোথায় ভেসে যাব।
১. ঠিক উত্তরটির নীচে দাগ দাও ঃ
১.১ নৌকার মালিকের নাম (আশু/মধু/শ্যাম)
উঃ। মধু।
১.২ কবিতার শিশুটি যাবে (নৌকায়/বজরায়/জাহাজে চড়ে।
উঃ। নৌকায়।
১.৩ তার সঙ্গে যাবে (মাঝি/বন্ধু/মা)।
উঃ। বন্ধু।
১১.৪ সে যাবে (একদিনের/তিনমাসের /চোদ্দো বছরের) জন্য।
উঃ। একদিনের।
১১.৫ সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে (তেপান্তরের মাঠ/তিরপূর্ণির ঘাট/নতুন রাজার দেশ) আছে।
উঃ। নতুন রাজার দেশ।
১২. নীচের বাক্যগুলির ভাব বোঝাতে কবিতায় কীভাবে লেখা হয়েছে পাশে পাশে লেখো।
১২.১ মধু মাঝির নৌকাখানি দূরে রয়েছে। উঃ। মধু মাঝির ওই যে নৌকাখানি ।
১২.২ শিশুটি হাটে ঘুরে বেড়িয়ে সময় নষ্ট করবে না।
উঃ। মিথ্যে ঘুরে বেড়াই নাকো হাটে।
১২.৩ শিশুটির ভয় তার মায়ের মন খারাপ হতে পারে।
উঃ। তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন। বসে বসে একলা ঘরের কোণে।
১২.৪ শিশুটি কিন্তু একা যাবে না। উঃ। আশুকে আর শ্যামকে নেব সাথে, আমরা শুধু যাব মা, তিন জনে।
১২.৫ সেদিনই তারা সন্ধ্যার পরে ফিরে আসবে। উঃ। ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে।
১৩. ঘটনার ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখো :
১৩.১ শিশুটির মনে সাতসমুদ্র তেরো নদীর পেরিয়ে যাওয়ার সাধ জাগে।
১৩.২ নৌকাটি পেলে সে তাতে একশোটা দাঁড় এঁটে, চারটে পাঁচটা-ছটা পাল তুলে দেবে।
১৩.৩ ফিরে এসে সে তার মাকে গল্প শোনাবে।
১৩.৪ মধুমাঝির নৌকাখানি পাটে বোঝাই হয়ে রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।
১৩.৫ ভোরের বেলা সে তার নৌকা ছেড়ে দেবে।
উঃ। ১৩.৪। মধুমাঝির নৌকাখানি পাটে বোঝাই হয়ে রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।
১৩:২ নৌকাটি পেলে সে তাতে একশোটা দাঁড় এঁটে, চারটে পাঁচটা-ছটা পাল তুলে দেবে।
১৩.১ শিশুটির মনে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পেরিয়ে যাওয়ার সাধ জাগে।
১৩.৫ ভোরের বেলায় সে তার নৌকা ছেড়ে দেবে।
১৩.৩ ফিরে এসে সে তার মাকে গল্প শোনাবে।
১৪. বাক্য বাড়াও :
১৪.১ মধু মাঝির নৌকা। (কেমন নৌকা ?)
উঃ। যে নৌকাটি রাজগঞ্জের ঘাটে পাট বোঝাই করে বাঁধা আছে।
১৪.২ পাল তুলে দিই। (কীসে? ক-টা?)
উঃ। নৌকাতে। চারটে পাঁচটা-ছটা পাল তুলে দিই।
১৪.৩ আমি যাব। (কোথায়? কীভাবে?)
উঃ। আমি সাতসমুদ্র তেরো নদীর পারে নৌকা চেপে যাব।
১৪.৪ ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে। (কোথা থেকে?
উঃ। নতুন রাজার দেশ থেকে ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে।
১৪.৫ গল্প বলব। (কীসের গল্প?
উঃ। ফিরে এসে নতুন দেশের গল্প বলব।
১৫. কবিতার শিশুটিকে মধু মাঝির নৌকাটি দেওয়া হলে সে কী করবে তা কবিতাটি পড়ে তোমার নিজের ভাষায় আট-দশটি বাক্যে লেখো।
উঃ। কথক নৌকাটি পেলে প্রথমে তাতে একশোটা দাঁড় আঁটবে আর চারটে পাঁচটা-ছটা পাল তুলে দেবে। তারপর সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে যাবে। মাকে কাঁদতে বারণ করবে কারণ, সে রামচন্দ্রের মতো চোদ্দো বছরের বনবাসে যাচ্ছে না। সে রাজপুত্রের মতো সোনামানিক নিয়ে যাবে। বন্ধু আশু আর শ্যামকে সাথে নেবে। ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে দেে যাতে অনেক দূরে যেতে পারে, নতুন রাজার দেশে যাবে। তিরপূর্ণির ঘাট, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে যাবে। তারপ
সন্ধে পার করে ঘরে ফিরবে। ঘরে ফিরে মার কোলে বসে মাকে সারা দিনের গল্প শোনাবে।
১৬......অভিভাবক/অভিভাবিকাকে কীভাবে জানাবে, তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উঃ। আমার অভিভাবক হলেন বাবা তুমি বাবাকে বললাম বাবা আমি প্রচুর ছুটিতে মাসির বাড়ি বেড়াতে যাব এখানে পাহাড় দেখব আমার পাহাড় দেখার খুব মন তুমি যদি সঙ্গে যাও খুব ভালো হয় আর যদি না যেতে পারো তাহলে মাকে সঙ্গে করে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিও।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন-রাজগঞ্জের ঘাটে কার নৌকা বাঁধা আছে?
উঃ। মধু মাঝির নৌকা বাঁধা আছে।
প্রশ্ন-কে কাকে কাঁদতে বারণ করেছে?
উঃ। শিশুটি তাঁর মাকে কাঁদতে বারণ করেছে।
প্রশ্ন-কবিতায় শিশুটি কার মতো বনে যাচ্ছে না?
উঃ। শিশুটি রামচন্দ্রের মতো বনে যাচ্ছে না।
.প্রশ্ন- শিশুটি দুপুরবেলা কোথায় পৌঁছে যাবে?
উঃ। শিশুটি দুপুরবেলা নতুন রাজার দেশে পৌঁছে যাবে।
প্রশ্ন- কবিতায় শিশুটি কোথায় মিথ্যে ঘুরে বেড়াবে না?
উঃ। শিশুটি হাটে মিথ্যে ঘুরে বেড়াবে না।
প্রশ্ন- রামচন্দ্রকে কত বছরের জন্য বনে যেতে হয়েছিল ?
উঃ । রামচন্দ্রকে চোদ্দো বছরের জন্য বনে যেতে হয়েছিল।
প্রশ্ন-তারা কজন মিলে যাবে ?
উঃ। আশু, শ্যাম ও শিশুটি তিনজন মিলে যাবে।
প্রশ্ন-শিশুটি নৌকায় করে কী বয়ে নিয়ে যাবে?
উঃ। শিশুটি নৌকায় করে সোনামানিক বয়ে নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন-শিশুটি কার মতো যাবে?
উঃ। শিশুটি নৌকায় করে রাজপুত্রের মতো যাবে।
প্রশ্ন-দুপুরবেলা পুকুর ঘাটে কে থাকবে?
উঃ। দুপুরবেলা পুকুর ঘাটে তার মা থাকবে।
প্রশ্ন-‘নৌকাযাত্রা' কবিতায় শিশুটি নৌকাটি পেলে কী করতে চায়?
উঃ। রাজগঞ্জের ঘাটে পাট বোঝাই করা মধু মাঝির নৌকাটি কবিতার শিশুটি যদি পায় তাহলে সে নৌকাটিতে একশোটা দাঁড় এঁটে চারটে পাঁচটা-ছটা পাল তুলে দিয়ে একটিবারের জন্য সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে যেতে চায়। নৌকা ভর সোনামানিক বয়ে রাজপুত্র হয়ে শিশুটি আশু আর শ্যামকে নিয়ে শুধু সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে যেতে চায়।
প্রশ্ন-নৌকাযাত্রা কবিতায় শিশুর দেখা নৌকাটি কোথায় কীভাবে রয়েছে?
উঃ। কবিতায় শিশুর দেখা নৌকাটি মধু মাঝির। সেটি রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে। সেই নৌকাটিতে পাট বোঝাই করা আছে। শিশুটির মনে হয়েছে সেটি কারো কোনো কাজে লাগছে না।
প্রশ্ন-শিশুটি কীভাবে কাকে নিয়ে নৌকায় করে কোথায় যাবে?
উঃ। শিশুটি রাজপুত্র হয়ে নৌকা ভরা সোনা-মানিক বয়ে নিয়ে যাবে। সে সঙ্গে নেবে আশু আর শ্যামকে। শিশুটি একটিবারের জন্য সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে যাবে।
প্রশ্ন-শিশুটি কখন যাবে? পথে কোথায় কোথায় সে যাবে?
উঃ। শিশুটি ভোরের বেলা নৌকা ছেড়ে দিয়ে ভেসে চলবে। দুপুরবেলা সে পৌঁছে যাবে নতুন রাজার দেশে। তিরপূর্ণির ঘাট ও তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে গিয়ে শিশুটির ফিরে আসতে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে।
প্রশ্ন-'পালা' ও 'বেলা' শব্দ দুটির ভিন্নার্থক অর্থে দুটি বাক্য গঠন করো।
পাল (দল)-রাখাল গোরুর পাল নিয়ে মাঠে যাচ্ছে।
পাল (রক্ষক)–রাজ্য প্রশাসনের সব থেকে উপরে আছেন রাজ্যপাল।
বেলা (সময়) - বেলা বারোটা বাজে।
বেলা (বয়স) – ছেলেবেলায় ঈশ্বরচন্দ্র খুব দুরন্ত ছিলেন।
প্রশ্ন-বিপরীত শব্দ : বাঁধা-খোলা। নতুন-পুরাতন। সন্ধ্যে-সকাল। তুলে নামিয়ে। যাচ্ছি-আসছি।
প্রথ্য-সত্যি। বোঝাই-খালি। আমার তোমার। আঁটি খুলি। রাজপুত্র-রাজকন্যা।
প্রশ্ন-সমার্থক শব্দ লেখো :
সমুদ্র- অর্নব, জলধি।
বন-জঙ্গল, অরণ্য।
রাজা-নরপতি, রাজন।
গল্প-কাহিনি, কথা।
মা–মাতা, জননী।