তৃতীয় শ্রেণি বাংলা আগমনী কবিতা হাতে কলমে অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর / AGAMONI poem question answer
![]() |
তৃতীয় শ্রেণি বাংলা
কবিতা : আগমনী
কবি : প্রেমেন্দ্র মিত্র
কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের পরিচিতিঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র জন্ম গ্রহণ করেন ১৯০৪ সালে।১৯২৬ সালে 'কল্লোল'পত্রিকার কবি হিসাবে তাঁর প্রথম খ্যাতি লাভ করেন তিনি ছোটোদের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন 'ঘনাদা' চরিত্র। বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনি, গোয়েন্দা গল্প এইসব ধরনের রচনাতেই তিনি পারদর্শী ছিলেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ "হরিণ-চিত্রা-চিল' "'সাগর থেকে ফেরা' ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি প্রচুর ছোটোদের উপযোগী গল্প লিখেছেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
★"আগমনী" কবিতার নামকরণের সার্থকতা -
এই কবিতার মধ্য দিয়ে কবি একটি ঋতুর আগমনী বার্তা প্রকাশ করেছেন। এবং তা সুন্দরভাবে প্রকাশ বর্ণনা করেছেন এতে তাতে মনে হয় কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা সঠিক হয়েছে।
সারাংশ:- এই কবিতার একটি ঋতুর আগমনী বার্তা বর্ণনা করা হয়েছে । বর্ষা ঋতু যখন বিদায় নিয়েছে, অন্যদিকে শীতও আসতে দেরি, আকাশে বাতাসে সূর্যের তাপ ক্রমশ কমে এসেছে। আকাশে ভাসমান মেঘের সারি। এরই মধ্য দিয়ে কবি চিরনতুন ঋতু শরৎতে আগমনী কামনা করেছেন।
এবং তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শব্দার্থ : মিঠে—মিষ্টি।
রোদ্দুর—রোদ।
হাঁক—গর্জন, ডাক।
জবর – জোরালো।
ফাঁকি-বঞ্চনা।
আনমনা-অন্যমনস্কা।
ধ্বনি—শব্দ।
অচিন—অচেনা।
আগমনী – আগমন বিষয়ে গান।
★ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ শরৎ ঋতুর আগে কোন্ ঋতু আসে?
উঃ। শরৎ ঋতুর আগে 'বর্ষা' ঋতু আসে।
১.২ শরৎকালে বাঙালিদের কী কী উৎসব হয়?
উঃ। শরৎকালে বাঙালিদের দুর্গাপূজা, কালীপূজা, লক্ষী পূজা ইত্যাদি উৎসব হয়।
২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ শংকালে প্রকৃতির রূপ কেমন থাকে?
উঃ। শরৎকালে নদী, নালা, খাল,বিল জলে ভরে যায়। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে ভেসে বেড়ায়।
মিষ্টি রোদ ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে মাঠে সবুজ ধান মাথা নাড়া দেয়। ভোরের শিশিরে রেখা গাছের আগায় চিকচিক করে। নদীর ধারে কাশফুল ফুটতে দেখা যায়।
২.২ এই শরৎকালে মেঘ দেখতে কেমন হয় ?
উঃ। শরৎকালের মেঘ দেখতে সাদা পেঁজা তুলোর মতো হয়। আকাশের একদিক থেকে অন্য দিকে মেঘগুলি ভেসে বেড়ায়।
২.৩ শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করো (একটা থাকে আকাশে, আর-একটা মাঠে)।
উঃ । আকাশে থাকে সাদা পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ আর মাঠে থাকে সাদা কাশফুল।
৩. বুঝতে-খুঁজতে, আকাশ-বাতাস—এই জোড়া শব্দগুলোর মধ্যে যেমন ছন্দের মিল আছে, তেমনভাবে ছন্দ মিলিয়ে নীচের তালিকাটি সাজাও :
উত্তর-
রোদ্দুর > সমুদ্দুর
প্রাচীন > অচিন
ধ্বনি > আগমনী
বর্ষা °> ভরসা
হাঁক > ডাক
৪. যে শব্দটি বেমানান তাতে গোল দাগ দাও
শীত, বসন্ত, হেমন্ত, বৈশাখ, গ্রীষ্ম ।
উঃ। বৈশাখ
৪.২ মেঘ, আগুন, বৃষ্টি, জল, বজ্রপাত।
উঃ। আগুন
৪.৩ দুর্গা,কাশ, বরফ, শরৎ নীল আকাশ।
উ। বরফ
৫. পাশের শব্দবৃত্তি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শুন্যস্থান পূরণ করো
সাদা ঢাকের, আশ্বিন, নীল, কান, আনন্দে, তুলোয়, কালো, দুর্গাপূজো, ঈদ, পেঁজা
শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় ঋতু । ভাদ্র....... এই দুই মাস শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার......... মেঘ সরে যায় এবং..….... আকাশে ছড়িয়ে থাকে.... রঙের..… তুলোর মত মেঘ। মাঠ ভরে থাকে...….ফুলে।বাতাসে বাতাসে..…..শব্দ। বাঙালির প্রাণের উৎসব...... এবং ....… এই শরৎকালেই হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের-----।
উঃ। শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয়। ভার-আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার কালো মেঘ সরে যায় এবং নীল আকাশে ছড়িয়ে থাকে সাদা রঙের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। মাঠ ভবে থাকে কাশ ফুলে। বাতাসে ভাসে ঢাকের না। বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গা পুজো এবং ঈদ এই শরৎকালেই হয় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে।
৬.নীচের সূত্র গুলি ব্যবহার করে করে সরকার সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো :
নীল আকাশ-সান মোদের ভেলা-কাশফুল----
উঃ। শরৎকালে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের ভেলা চারদিকে ভেসে বেড়ায়। এই সময় মাঠে ঘাটে কাশফুল দেখা যায় শরৎকালে ব দুর্গা পূজা উৎসব পালিত হয়। পুজোর ছুটিতে বেড়াতে বেড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সকলের সকলের মনে খুশির মজা এনে দেয়।
হাতে কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন- আগমনী কথাটির অর্থ কি ?
উত্তর -ধ্বনি
প্রশ্ন- আগমনী কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর - প্রেমেন্দ্র মিত্র
প্রশ্ন -বর্ষা কখন বিদায় নেয় ?
উত্তর- শরৎ কাল আসবার আগে।
প্রশ্ন- কখন আগমনী বার্তা শোনা যায়?
উঃ দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা শোনা যায়।
প্রশ্ন- শরৎকালে থেকে থেকে কী শোনা যায়?
উঃ -শরৎকালে থেকে থেকে মেঘের বুক কাঁপানো ডাক শোনা যায়।
প্রশ্ন-আগমনী কবিতার কোন ঋতুর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর- শরৎ ঋতুর কথা বলা হয়েছে