আরাম কবিতা তৃতীয় শ্রেণি হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Aram poem question answer class 3 bamgla
![]() |
তৃতীয় শ্রেণি বাংলা
কবিতা : আরাম
কবি : শঙ্খ ঘোষ
কবি শঙ্খ ঘোষের পরিচিতি :-কবি শঙ্খ ঘোষ জন্ম গ্ৰহণ করেন ১৯৩২ সালে। তিনি একদিকে কবি অন্যদিকে অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ''দিনগুলি রাতগুলি'। এছাড়া উল্লেখযোগ্য লেখা গুলোহলো—'নিহিত পাতাল ছায়া, ‘বাবরের প্রার্থনা', ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ' ইত্যাদি। এছাড়াও ছোটোদের জন্য লিখেছেন——ছোট্ট একটা ইস্কুল’, ‘অল্পবয়স কল্পবয়স, ‘শব্দ নিয়ে খেলা’, ‘সকালবেলার আলো', 'সুপুরি বনের সারি" ইত্যাদি।
আরাম কবিতা নামকরণের সার্থকতা : কবিতায় একটি শিশু ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে তার কাঙ্খিত সব জিনিস যা তাকে আনন্দ দিতে পারে সে সেটাই পাচ্ছে। সেই সমস্ত কিছু পেয়ে সে খুব আরাম অনুভব করছে। তাই কবিতাটির নাম 'আরাম' খুব সুন্দরভাবে মিলেছে।
সারমর্ম : একটি শিশু পাখির ডাকে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখছে যে সেদিন তার বাবা-মা দুজনেই দুই পাশে রয়েছে। পাশের ঘরে তার জিজি বেহুঁশ অবস্থায় ঘুমোচ্ছে। ঘরের পুতুলেরা টুংটাং শব্দ করছে। একদিকে আজানের ডাক শোনা যাচ্ছে আর অন্য দিকে সিয়ারাম অর্থাৎ সীতারামের নাম গান শোনা যাচ্ছে। এই সব শিশুটি মনে করছে দেখে তার মনে হচ্ছে আজকের দিনটা খুবই আরামের।
শব্দার্থ : আরাম - স্বিশ্রাম।
আজান-নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান ধ্বনি।
ঠিকঠাক–একইরকম।
বেঘোর—বেহুঁশ বা অচেতন।
টুংটাং—এখানে রাজনার শব্দ বোঝাচ্ছে।
ভেঙে—উঠে জেগে।
কুজন—পাখির ডাক।
জিজি—দিদি।
সিয়ারাম—সীতারাম শব্দ থেকে এসেছে।
★ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. এককথায় উত্তর দাও :
১.১ কুজন কাকে বলা হয়?
উঃ। পাখির ডাককে কুজন বলা হয়।
১.২ কীভাবে ঘুম ভাঙল ?
উঃ । পাখির ডাকে অর্থাৎ পাখির কুজনে ঘুম ভাঙল।
১.৩ ঘুম ভেঙে কী দেখা গেল?
উঃ। ঘুম ভেঙে দেখা গেল বাবা-মা দুজনেই দুপাশে আছে।
১.৪ ভিজি আর পুতুলেরা কী করছে?
উঃ । জিজি ঘুমোচ্ছে আর পুতুলেরা টুংটাং শব্দ করছে।
১.৫ কী আরাম কখন এমন মনে হলো?
উঃ। যখন মনের মতো সব কিছু পাওয়া গেল।
১.৬ সব কিছু ঠিকঠাক মনে হলো কখন?
উঃ। প্রতিদিনের কাজ ঠিক সময়ে হচ্ছে দেখে, মনে হলো সব কিছু ঠিকঠাক ।
২. যে ঠিক সেটি বেছে নিয়ে দেখো ও
4.5 করিয়ারিতে (ভোরবেলার রাত্রিবেলার কথা বলা হয়েছে।
র ওপরে নেচে উঠেছে।
6. সম্পূর্ণ করো।
ঘুম ভেঙে দেখি।
উঃ। ভোরবেলার
উঃ। এঘরে
উঃ । আজ
উঃ । আজ ঘুম ভেঙে দেখি বাবা আছে, মা-ও আছে, দুই পাশে দুই জনে।
নেচে ওঠে বদরে। উঃ। পুতুলেরা টুংটাং শব্দে নেচে ওঠে এঘরে।
। ওই দিকে শোনা যায় সিয়ারা।
ঘুমায়। উঃ। এই ঘরে জিজি ৰেঘোৱে ঘুমায়।
৪. শব্দগুলো দিয়ে বাক্যরচনা করো :
কুজন - ভোরের বেলায় পাখির কুজনে ঘুম ভাঙ্গে।
বেঘোরে- দাদু বিয়ে বাড়ি থেকে এসে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।
টুংটাং - বৃষ্টি পড়লেই পাশের ঘর থেকে টুংটাং শব্দ শুনা যায়।
আরাম -গরম কালে ঠান্ডা জলে স্নান করতে আরাম লাগে।
৫. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
ঘুম জাগা।
ভেঙে-গড়ে।
ঘরে-বাইরে।
আজ—কাল।
ওঠে—নামে।
৬. শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও ঃ[আরাম, ভাঙে, ভালোবাসেন, নেচে]
৬.১ রোজ সকালে আমাদের ঘুম ......।
উত্তর-রোজ সকালে আমাদের ঘুম ভাঙে।
৬.২ বাবা-মা আমাদের ........।
উত্তর-বাবা-মা আমাদের ভালোবাসেন।
৬.৩ আনন্দে মন ...…. ওঠে.।
উত্তর-আনন্দে মন নেচে ওঠে।
৬.৪ প্রচন্ড গরমে .......নেই।
উত্তর-প্রচন্ড গরমে আরাম নেই।
৭. কোন্ কোন্ পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙে?
উই। মোরগ,কাক, পায়রা, শালিক পাখির ডাকে আমাদের ঘুন ভাঙে।
৮. সকালে উঠে কীভাবে তুমি দিন শুরু করো, চার-পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উঃ। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি মুখ পরিষ্কার করি তারপর ভালো করে ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজি তারপর মায়ের সঙ্গে হালকা টিফিন করি তারপর প্রাইভেট যাই । প্রাইভেট থেকে এসে ভাইয়ের সঙ্গে স্নান করে, ভাত খেয়ে স্কুলে যাই।
হাতে কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
★প্রশ্ন- বিপরীত শব্দ লেখো : ঘরে, নেচে, আরাম, আছে, আজ, ঠিকঠাক, বেঘোর।
ঘরে—বাইরে।
নেচে—গেয়ে।
আরাম–কষ্ট।
আছে—নেই।
আজ-কাল।
ঠিকঠাক ভুলভাল।
বেঘোরে - ঘোরে।
★প্রশ্ন- সঠিক বানানটি লেখো :
সীয়ারাম, সিয়ারাম; আযান, আজান; জিজি, জিযি; কুজন, কৃজন; বেঘরে, বেঘোরে।
উঃ। সিয়ারাম, আজান, জিজি, কূজন, বেঘোরে।
★প্রশ্ন- কীসের শব্দে শিশুটির ঘুম ভাঙল?
উঃ। পাখিদের কূজনে শিশুটির ঘুম ভাঙল।
প্রশ্ন- খোকার দুই পাশে কারা কারা আছে। উঃ। খোকার দুই পাশে বাবা ও মা আছে।
★প্রশ্ন- জিজি কোন ঘরে আছে? জিজি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ। জিভি পাশের ঘরে আছে। জিজি বলতে দিদিকে বোঝানো হয়েছে।
★প্রশ্ন- পুতুলেরা কোন্ ঘরে আছে? উঃ। পুতুলেরা এ ঘরে অর্থাৎ শিশুটির ঘরে আছে।
★প্রশ্ন- পাখিদের কৃজন বলতে কী বোঝে?
উঃ। ভোরবেলা সূর্যোদয়ের আগে পাখিরা কিচির মিচির শব্দ করে জেগে ওঠে। একেই কূজন বলে। তারই শব্দে সবাই ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
★প্রশ্ন- দুই পাশে দুজনে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর । সাধারণত বাচ্চা শিশুরা রাত্রিতে বাবা মায়ের মাঝে শুয়ে থাকে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সে দেখতে পায় তার দুই পাশে সুজন শুয়ে আছে। তাই এ কথাটি বলা হয়েছে।
প্রশ্ন- কে কীভাবে নেচে ওঠে?
উঃ। পুতুলেরা টুংটাং শব্দে নেচে ওঠে।
★প্রশ্ন- একদিকে কী শোনা যায়? উঃ। একদিকে আজানের ডাক শোনা যায়।
★ প্রশ্ন- অন্যদিকে কী শোনা যায়? উঃ। অন্যদিকে সিয়ারামের গান শোনা যায়।
★ প্রশ্ন- মানুষ কখন আরাম বোধ করে?
উত্তর। মানুষেরা ভাবনা অনুযায়ী কোনো কিছু নিরাপদে সম্পন্ন হলে, মানুষ নিশ্চিন্ত হয়। তখন সে আরাম বা স্মৃতি বোধ করে।
★প্রশ্ন- এই ঘরে ঘুমভারে/ভিজি আছে বেঘোরে—কথাটিতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উঃ জিজি অর্থাৎ শিশুটির নিনিকে বোঝানো হয়েছে। দিদি ভাইয়ের চেয়ে বড়ো। তার ছোটো ভাই বাবা মায়ের পাশে ঘুমিয়েছে। আর তিনি পাশের ঘরে শুয়েছে। সাধারণত শিশুরা যখন একটু বড়ো হয়, তখন তারা সাধারণত ভোরবেলা।
ঘুম থেকে উঠতে চায় না। তারা বেঘোরে অর্থাৎ বেহুঁশ হয়ে ঘুমোতে থাকে।
★ প্রশ্ন- পুরুষেরা টুংটাং শব্দে কীভাবে নেচে ওঠে?
উঃ ব্যাটারি কিংবা স্প্রিং ভরা পুতুলে দম দেওয়া থাকলে, সেটা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে টুংটাং শব্দে নাচতে থাকে।
★ 'প্রশ্ন- এদিকে আজান আর ওইদিকে সিয়ারাম'—কোন কবিতার অংশ এটি ? এই লাইনটিতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছিল নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর। 'আরাম' কবিতার অংশ। নামাজ পড়ার জন্য যে আহ্বান ধ্বনি দেওয়া হয় তাকে আজান বলে। সাধারণত রাতের শেষ প্রহরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এর ডাক শোনা যায়।.
ভোরবেলায় সাধারণত অবাঙালিরা ঘুম থেকে উঠে সীতারামের গুণ কীর্তন করে গান গায়। এঁরা সীতারামকে সিয়ারাম বলে উচ্চারণ করেন।
★ প্রশ্ন- সব কিছু ঠিকঠাক কখন বলা হয়?
উঠ। সময়ের কাজ ঠিক সময়ে হলে তখন তাকে ঠিকঠাক চলছে বলা হয়।
★প্রশ্ন- কবি কবিতাটিতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উঃ। কবি কবিতাটিতে প্রতিদিনের প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাজকর্মের কথাটি উল্লেখ করেছেন। এই নিয়ম অনুযারী প্রতিটি কাজ সময়মতো চলছে বলে কবি সব কিছু ঠিকঠাক বলেছেন এবং মনে মনে আরাম বোধ করছেন।
★ প্রশ্ন- সিয়ারাম শব্দটির সঙ্গে মিল রেকে আরো দু-তিনটি শব্দ লেখো।
উঃ। হরেরাম, রামরাম,রামনাম।
★প্রশ্ন- সমার্থক শব্দ লেখো :
পুতুল, নাচ,ঘুম, পাখি, বাবা, মা, ।
উঃ।পুতুল পুত্তলি,গুড়িয়া।
নাচ—নৃত্য।
ঘুম—নিদ্রা, তন্দ্রা।
পাখি—বিহঙ্গ, বিহগ, পক্ষী।
বাবা—পিতা, জনক।
মা–মাতা, জননী।