নদীর তীরে একা একা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণী / Nadir tire aa aka question answer
![]() |
তৃতীয় শ্রেণি বাংলা
প্রবন্ধ : নদীর তীরে একা
লেখক : জীবন সর্দার
লেখক জীবন সর্দারের পরিচিতি : জীবন সর্দার হল লেখকের ছদ্মনাম। তাঁর আসল নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৩৫ সালে তার তিনি প্রকৃতির শিক্ষা নিতে থাকেন। তার সাথে ছোটোদের জন্য লেখালেখি শুরু করেন। সত্যজিৎ রায়ের কথায় তিনি জীবন সর্দার নামে 'সন্দেশ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেন 'প্রকৃতি পড়ুয়ার দপ্তর'। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল 'পাখি সব’, ‘পাখির কাহিনি', 'প্রাণী ও প্রকৃতি' এবং 'প্রকৃতির আঙিনায়'। তিনি রাজ্য সরকারের দেওয়া
“গোপাল ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার' পেয়েছেন।
রচনা পরিচয় : রচনাটির বিষয়বস্তু নদী। লেখক নদীর তীরে এক মাঝির নৌকোতে বসে মাঝির সাথে সেই নদীর বিষয়ে কথা বলেছেন। নদী সম্পর্কে আলোচনার সহটাই প্রায় হয়েছে নদীর তীরে বসেই। তাই রচনাটির 'নদীর তীরে একা' নামকরণ সার্থক।
সারাংশ : লেখক নদী ভালোবাসেন। সময় পেলেই ছুটে যান নদীর প্রকৃতি সম্বন্ধে জানতে। এবারও সেই একই টানে গেছেন দামোদরের তীরে। সেখানে গিয়ে পুরোনো পরিচিত এক মাঝির সাথে দেখা। তার নৌকোয় বসে নদী, জোয়ার-ভাটা এবং নদী তীরে গাছের ডালে বসে থাকা নানারকম পাখি সম্পর্কে আলোচনা চলতে থাকে। এইরূপ আলোচনা চলতে চলতে হঠাৎই সেই মাঝি তার নৌকো ছেড়ে দেয়। নৌকো এবার নদীর টানে এগিয়ে চলে। মাঝি এবং লেখক দুজনেই চুপ করে যান। এবার আর কোনো কথা নয়। খালি তীরের গাছপালা, পলির স্তর, শামুক-গেঁড়ি- গুগলির খোলস, পাখি, প্রজাপতি প্রভৃতিকে খালি চোখ ভরে দেখার সময়।
শব্দার্থ : তীর—সমুদ্র, নদী প্রভৃতির পাড়, কূল। পড়ুয়া - যে পড়াশোনা করে। ফুরসত - অবসর সময়। বাঁধ-বন্যা রোধের জন্য মানুষের তৈরি উঁচু পাড়। কিনারা ধার, কোনো কিছুর ঠিক পার্শ্ববর্তী স্থান।
ডিঙি—ছোটো নৌকো।
মাঝি-—যে নৌকো চালায়। কাল সময়। পুল—ব্রীজ, সেতু। দশা—অবস্থা।
কমতি হওয়া—কম হওয়া। ঢিল - আলগা,
শিথিল। মাছরাঙা—একধরনের মাছ-শিকারি পাখি। হাজির-উপস্থিত। চড়া—নদীর মধ্যে থাকা স্থান।
প্রকৃতি— আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি, পশুপাখি, পাহাড়, নদী সব কিছুকে একসঙ্গে বলে পরিবেশ বা প্রকৃতি।
প্রকৃতি পড়ুয়া—প্রকৃতিকে চিনতে, বুঝতে, জানতে ও আপন করে নিতে ভালোবাসে যারা। জোয়ার-ভাটা—নদীর জল
চাঁদের অবস্থানের জন্য বেড়ে গেলে হয় জোয়ার আর কমলে হয় ভাটা। সরাল–বকের মতো একধরনের পাখি।
খোলস – খোলা। কেরামতি-কায়দা, বাহাদুরি। অভিজ্ঞতা—জ্ঞান। স্তর—আস্তরণ, প্রলেপ। চলাচল —যাওয়া আসা।
● হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১.১। প্রকৃতি বলতে কী বোঝো?
উঃ। আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি, পশুপাখি, মানুষজন, পাহাড়, নদীনালা, খাল-বিল, এই সমস্তকে আমাদের
পরিবেশ বা প্রকৃতি বলে।
১.২। প্রকৃতি যে উপাদান বা জিনিসগুলি নিয়ে গড়ে ওঠে তার কয়েকটি নীচে দেওয়া হলো। কয়েকটি নিজে লেখো। একজন প্রকৃতি পড়ুয়া হিসেবে তুমি এর কোন্ কোন্ উপাদান পর্যবেক্ষন করে কী কী জেনেছ আর শিখেছ, তা লেখো-
উঃ। উপাদান ★ গাছপালা:-
কী কী জানি আর শিখি-
★গাছপালা থেকে ওষুধ, জ্বালানি, আসবাবপত্রের কাঠ পাওয়া যায়। গাছকে আশ্রয় করে নানা রকম কীটপতঙ্গ আমরা গাছের পাতা, ফুল, ফল, কান্ড থেকে খাবার পাই। গাছপালা ভূমিক্ষ্যা রোধ করে। গাছপালা ও প্রাণীরা বেঁচে থাকে। গাছ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।
উপাদান ★বাতাস
কী কী জানি আর শিখি
★বাতাস বা হাওয়া ছাড়া কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। বাতাস চোখে দেখা যায় না, অনুভব করা যায়। বাতাসের প্রবাহ হঠাৎ জোরে বইলে তাকে আমরা ঝড় বলি। বাতাসে গাছের ডালপালা নড়ে আবার ভেঙেও পড়ে। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ দিক থেকে এবং শীতকালে উত্তর দিক থেকে বাতাস বইতে থাকে।
উপাদান ★মাটি
কী কী জানি আর শিখি
★মাটি থেকে উঁচু স্থানকে পাহাড় বলে, পাহাড়ের থেকে উঁচু স্থানকে বলে পর্বত। এইগুলি মূলত পাথর পাহাড়-পর্বত দিয়ে তৈরি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর উপর জঙ্গল থাকে। আর প্রায় সব নদীই পাহাড়-পর্বতের উপর থেকে নির্গত হয়।
উপাদান ★নদী
কী কী জানি আর শিখি
°★ নদী থেকে আমরা সাধারণত জল, মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি পেয়ে থাকি। নদীতে শামুক, গুগলি প্রভৃতি দেখতে পাই। নদীর চড়া, তীর, প্রভৃতি স্থানে নানারকম পাখি দেখি। এ ছাড়াও নদীতে জোয়ার ভাটা, পলির স্তর প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে পারি।
উপাদান ★খোলা মাঠ
কী কী জানি আর শিখি
★খোলা মাঠে দেখা যায় গোরু, মোষ, ছাগল চরছে আর নানা ধরনের পোকামাকড়, কেঁচো, কেন্নো, খোলা মাঠ নানা পাখি, মাঠে থাকা ছোটো বড়ো ঘাস। সেই ঘাসকে আশ্রয় করে থাকে পোকার বাসা। মাঠের মধ্যে গর্ত করে থাকা ইঁদুর, ছুঁচো প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। কোথাও কোথাও মাঠে খরগোশ, শিয়াল প্রভৃতির বাসাও থাকে। মাঠের মধ্যে সাপের গর্তও লক্ষ করা যায় ।
২. আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু আছে। প্রতিটি ঋতুর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নীচের বাক্স থেকে সেগুলি বেছে নিয়ে ঠিক ঋতুর পাশে বসাও : গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত, হেমন্ত, বসন্ত ।
উঃ। গ্রীষ্ম : চাতকপাখি ডাকছে 'ফটিক জল'। নদীনালার জল শুকিয়ে গেছে।
বর্ষা : ঝমঝম করে বৃষ্টি এলো। পথে-ঘাটে খুব কাদা জমেছে।
শরৎ : সাদা সাদা কাশফুলে মাঠ ভরে গেছে। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ দেখা যাচ্ছে।
হেমন্ত : এখন ঠাণ্ডা পড়তে আর অল্পই দেরি। চারদিকের আবহাওয়া খুব মনোরম।
শীত : গাছের সব পাতা ঝরে যাচ্ছে। আজ সোয়েটার গায়ে দিতেই হবে।
বসন্ত : ক-দিন থেকে গুটিবসন্তের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাইরে ফুরফুরে দখিনা হাওয়া বইছে।
৩. বাক্যরচনা করো :
হাজির- অংকের ক্লাসে আমার বন্ধু হারিয়ে ছিল না।
চওড়া— স্কুলের সামনে রাস্তাটা খুব চওড়া।
নৌকো— নৌকা চড়ে নদী পার হওয়া যায়।
রং— আকাশের রং নীল।
প্রজাপতি— প্রজাপতি থেকে শুঁপোকার জন্ম হয়।
৪. তোমার যে গদ্যটি পাঠ করলে, তাতে কিছু নদী এবং পাখির নাম পেয়েছ। সেগুলো খুঁজে বের করে নীচের তালিকায় লেখো :
উঃ
নদী:-
অজয় ময়ুরাক্ষী দামোদর ইছামতী, রূপনারায়ণ, গঙ্গা।
পাখি;-
কাদাখোঁচা, বালিহাঁস, সরাল,
চখা, বড়ো জাতের হাঁস, মেছো বক।
৫. তুমি প্রকৃতির কোলে পুরো একটা দিন কাটানোর সুযোগ পেলে কোন জায়গাটি বেছে নেবে ? তোমার পছন্দের জায়গায় (√) দাও :
গভীর জঙ্গল [ ] নদীর ধার [ ] ফুল-ফুলের বাগান [ √ ] পাহাড়ের কোল [ ]
উঃ। ফুল-ফুলের বাগান
★ সেখানে সারাদিন কীভাবে কাটাবে ছয়টি বাক্যে লেখো।
উঃ। খুব সকালে উঠে গিয়ে ফুলের বাগানে ধারে বসবো। সুন্দর দৃশ্য দেখব পূজার জন্য অনেকে ফুল তুলতে আসবে, তাদের সঙ্গে কথা বলব । গল্প করব। আমি দুটো ফুল নেব তাদের কাছে থেকে চেয়ে নেব। বাড়িতে এসে সেই ফুলগুলো মাকে দেবো। মা সেই ফুলগুলো নিয়ে পূজা দেবে। ফুলে সুন্দর প্রজাপতি এসে বসবে সেগুলো দেখব । ঘুরে ঘুরে সমস্ত ভুল গুলোকে মন ভরে দেখবো। ছবি তুলব।
৬. ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসাও :
৬.১ নৌকোয় বসে দেখি মাঠে গোরু-......আর ছেলেরা গাছে......(চরছে/চড়ছে)।
উঃ। নৌকোয় বসে দেখি মাঠে গোরু চরছে আর ছেলেরা গাছে চড়ছে।
৬.২ প্রতিদিন ......…নদীর ধারে যাই জোয়ারের জল আসা দেখব বলে। (আসা/আশা)
উঃ। প্রতিদিন আশা করে নদীর ধারে যাই জোয়ারের জল......দেখব বলে
৬.৩ আমিও দমবার পাত্র........ মনু ও........।(নয়/নই)
উঃ। আমিও দমবার পাত্র নই মনু ও নয়।
৬.৪ বহুদিন পরে.......… ফিরে........জুড়িয়ে গেল। (গাঁ/গা) ।
উঃ। বহুদিন পরে গাঁ ফিরে গা .জুড়িয়ে গেল।
৬.৫ কোনো ......না মেনে.....পাখিটিকে উড়িয়ে দিয়েছি। (বাঁধা /বাধা)
উঃ। কোনো বাধা না মেনে বাঁধা পাখিটিকে উড়িয়ে দিয়েছি।
৬.৬ সোনার চুড়ির আওয়াজ..........গেল। (শোনা/ সোনা)
উঃ।সোনার চুড়ির আওয়াজ শোনা গেল।
৭. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
সেতু—পুল।
ছোটো নৌকা — ডিঙি।
বদলে—পালটে।
তীর—কিনারা।
নির্মোক—খোলস।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে কাজ, ব্যক্তি, বস্তু, গুণ আলাদা করে লেখো :
৮.১ যেখানে মেন মাটি তেমন তার দশা।
উঃ। কাজ—হয় (উহ্য)। ব্যক্তি — .... । বস্তু—মাটি। গুণ—দশা।
৮.২ আমি ফুরসত পেলে, একটা না-একটা নদীর তীরে যাই।
উঃ। কাজ—যাই। ব্যক্তি—আমি। বস্তু—
৮.৩ সেগুলো হয়তো শীত পড়তে না-পড়তেই হাজির হবে।
উঃ। কাজ—হাজির হবে। ব্যক্তি—সেগুলো। বস্তু-
.....। গুণ — '
৮.৪ তার চড়ার চখা দেখেছি, কাদাখোঁজা দেখেছি।
উঃ। কাজ— দেখেছি। ব্যক্তি—আমি (উদ্য)। বস্তু—চড়ায়। গুণ— ......
৮.৫ দামোদরে এখন জোয়ার-ভাটা খেলে না। উঃ। কাজ—খেলে না। ব্যক্তি—জোয়ার-ভাটা। বস্তু—দামোদরে। গুণ.....
৯। বর্ণ বিশ্লেষণ করো : গরু—গ্ + অ + র্ + উ। সরাল - স্ + অ + র্ + আ + ল।
ইষ্টিশন— ই + স + ট্ + ই + শ্ + অ +ন।
প্রজাপতি—প+র্+জ্ + আ + প + ত্ +ই।
চৈত্র- চ্+ঐ+ত+র্+ অ।
১০. এলোমেলো বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
দা খোঁ কা চা > কাদাখোঁচা
সা কা দা লো > সাদাকালো
য থা ম বা ন হি > মহিষবাথান
ঠা না ও মা > ওঠানাম
রা তি কে ম > কেরামতি
১১. বাক্য বাড়াও
১১.১ সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা। (কীসের খোঁজ?)
উঃ। ওই নদীতে কেমন নদী, সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা ।
১১.২ দুজনে নদীর কথা বলি। (কোন্ কোন্ নদী ?)
উঃ। দুজনে দামোদর, রূপনারায়ণ, ইছামতী নদীর কথা বলি।
১১.৩ খণ্ডন আসবে। (কখন ?
উঃ। শীতের সময় খঞ্জন আসবে।
১১.৪ চরে না গেলে দেখা যাবে না। (কী)
উঃ। চখা কিংবা বড়ো জাতের হাঁস চরে না গেলে দেখা যাবে না।
১১.৫ চলাচল দেখতে পাব। (কাদের ?)
উঃ। এবারে ওপারের পাখির, প্রজাপতির চলাচল দেখতে পাব।
১২. বাক্য সাজিয়ে লেখো :
১২.১ সেই মাঝির ডিঙি খুব চিনি আমি ভালো। উঃ। সেই মাঝির ডিঙি আমি খুব ভালো চিনি।
১২.২ সাদাকালো নজরে আমার একটা মাছরাঙা পড়ল।
উঃ । আমার নজরে একটা সাদাকালো মাঝরাঙা পড়ল।
১২.৩ আমার সেখানে কঠিন নয় পক্ষে পৌঁছে যাওয়া।
উঃ। আমার পক্ষে সেখানে পৌঁছে যাওয়া কঠিন নয়।
১২.৪ প্রজাপতির পাব দেখতে চলাচল।
উঃ। প্রজাপতির চলাচল দেখতে পাব।
১২.৫ জল নেই তবে, খুব চওড়া নদীতে বটে।
উঃ। খুব চওড়া বটে, তবে নদীতে জল নেই।
১৩. দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১৩.১ লেখকের প্রিয় তিনটি নদী কী কী?
উঃ । লেখকের প্রিয় তিনটি নদী হল-দামোদর, রূপনারায়ন, ইছামতী।
১৩.২ এখানে তাঁর প্রিয় ঘাটের কথাও রয়েছে। —ঘাটটির নাম কী?
উঃ। তাঁর প্রিয় ঘাটটির নাম হল 'খাদিনান'।
১৩.৩ লেখক কার নৌকোয় উঠলেন?
উঃ। লেখক মনু নামে এক মাঝির নৌকোয় উঠলেন।
১৩. জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝো?
উঃ- নদীর জল চাঁদের অবস্থানের জন্য বেড়ে গেলে হয় জোয়ার আর কমলে হয় ভাটা।
১৩.৫ লেখক কেন দামোদরের তীরে এসেছেন?
উঃ। লেখক ভরা বর্ষায় নদীর অবস্থা কেমন হয় তা দেখার জন্য দামোদরের তীরে এসেছেন।
পাঠ মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর ●
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
★ লেখক নদীর তীরে একা যেতেন কেন?
উঃ। লেখক প্রকৃতি পড়ুয়া হতে চান তাই তিনি নদীর ধারে একাই যেতেন।
★ কোন নদীর তীরে লেখকের বসার সুযোগ ছিল না?
উঃ। লেখকের ইছামতীর তীরে বসার সুযোগ ছিল না।
★ নদীরা কখন রং পালটে নিল?
উঃ। শরতে পরপর ক-দিন ঝমঝম করে বৃষ্টির ফলে নদীরা রং পালটে নিল।
★ লেখক কোন্ পথে এবং কীভাবে যেতে ভালোবাসেন?
উঃ। লেখক জলের কিনারা ধরে এবং হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।
★লেখক কোন ঘাটের পথে পাড়ি দিলেন?
উঃ । লেখক পশ্চিমে দামোদরের তীরে খাদিনান ঘাটের পথে পাড়ি দিলেন।
★ লেখক কোন ঘাটে ডিঙি পেয়ে গেলেন?
উঃ। লেখক মহিষরেখা ঘাটে একটা ডিঙি পেয়ে গেলেন।
★কোন্ দুটি নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়?
উঃ। রূপনারায়ন ও ইছামতী নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়।
★ লেখক প্রথম কোন্ পাখি দেখতে পান? তার রং কেমন?
উঃ। লেখক প্রথম মাছরাঙা (ফটকা) দেখতে পান। পাখিটার রং সাদাকালো।
★ শীতকালে কোন্ পাখি দেখা যাবে?
উঃ। শীতকালে খঞ্জন পাখি দেখা যাবে।
★ রূপনারায়নের চড়ায় লেখক কখন কী পাখি দেখেছেন?
উঃ। রূপনারায়নের চড়ায় লেখক কার্তিক মাসে সরাল দেখেছেন।
★ নদীর চরে না গেলে কোন্ কোন্ পাখি দেখা পাওয়া যাবে না ?
উঃ। নদীর চরে না গেলে চখা কিংবা বড়ো জাতের হাঁসের দেখা পাওয়া যাবে না।
★দামোদরের তীরে কী দেখার মতো?
উঃ। দামোদরের তীর ধরে সবজি ফসল ছিল দেখার মতো।
★ মহিষবাথান কোথায় অবস্থিত?
উঃ। দামোদরের উপর বম্বে রোডের পুলের কাছে মহিষবাথান অবস্থিত।
★গল্পে দেওয়া নদীগুলির নাম ছাড়া আরও দুটি নদীর নাম লেখো।
উঃ। আরও দুটি নদী হলো- তিস্তা ব্রহ্মনি।
★ নদীর মুখের গেট দিয়ে কী হয়? উঃ। নদীর মুখের গেট দিয়ে গঙ্গার জল আসা যাওয়া ঠিক হয়।
★আমার প্রিয় ঘাট 'খাদিনানের' পথে পাড়ি দিলাম।'—লাইনটি কোন গল্পের অংশ? লেখক কেন সেই পথে পাড়ি দিলেন? লেখক কীভাবে খাদিনানের পথে পাড়ি দিলেন?
উঃ। লাইনটি 'নদীর তীরে' গল্পের অংশ।
লেখক নদী দেখতে ভালোবাসেন, তাই নদী দেখতে গিয়ে তিনি ইচ্ছামতীর তীরে বসার সুযোগ না পেয়ে পশ্চিমে দামোদরের তীরে তাঁর প্রিয় ঘাট – 'খাদিনামের' পথে পাড়ি দিয়েছিলেন।
সেই ঘাটে যাবার দুটি পথ, একটি বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে এবং অন্যটি নৌকায় চড়ে। লেখক জলের কিনারা ধরে ইটিতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেদিন তিনি এক চেনা মাঝির ডিঙিতে চড়ে গিয়েছিলেন।
★ লেখক কেন নদীর তীরে একা যেতেন ? সেখানে গিয়ে তিনি কী করতেন?
উঃ। লেখক প্রকৃতি পড়ুয়া হতে চান তাই তিনি নদীর তীরে একাই যেতেন।
নদীর তীরে গিয়ে লেখক শুধুই বসে থাকেননি বা শুধুই ঢেউয়ের ওঠানামা দেখেননি। সেই নদীটি কেমন নদী তাঁর খোঁজ নেওয়া ছিল লেখকের প্রিয় খেলা। তাই লেখক বলেছেন এখনও ফুরসত পেলে তিনি একটা না একটা নদীর তীরে যান।।
★ গল্পে কোন্ কোন্ ঋতুর উল্লেখ আছে?
উঃ। গল্পে বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত ও শীত ঋতুর উল্লেখ আছে।
★ বাংলার ছ'টি ঋতুর নাম লেখো।
উঃ। বাংলার ছ'টি ঋতুর নাম হল —গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
■ 'জোয়ারের জল' কী দেখাতে পারে না? এর কারণ কী।
উঃ। জোয়ারের জল কেরামতি দেখাতে পারে না।
কারণ নদীর মুখে গেট রয়েছে। ওই গেট দিয়েই গঙ্গানদীর জল আসা যাওয়া ঠিক হয়।
★ মনু কখন সরাল ও কাদাখোঁচা দেখা যাবে বলে বলেছে?
উঃ। মন বলছে সরাল দেখা যাবে রাতে তখন তারা ঝাঁক বেঁধে যায়, আর কাদাখোঁচা শীত না পড়তেই তাদের দেখা যাবে।
★ নৌকো খুলে দেবার পর লেখক কী কী দেখতে পাবেন বলে আসা করেছেন?
উঃ লেখক তীরের গাছপালা, মাটির রং, বছর বছর জমা পলির স্তর, নদীর তীরে আটকে থাকা শামুক-গেঁড়ি গুগলির খোলস, পাখি, প্রজাপতি প্রভৃতি দেখতে পাবেন বলে আশা করেছেন।
★. সমার্থক শব্দ লেখো : নদী, বর্ষা, মাছ, রাত, নৌকা।
নদী—তটিনী,স্রোতস্বিনী।
বর্ষা-বাদল।
মাছ-মীন, মৎস।
রাত–নিশি, রজনী।
নৌকা — ডিঙি।
★ বিপরীত শব্দ লেখো :
প্রিয়-অপ্রিয়।
ভরা-খালি।
শুকনো—ভিজে।
উত্তর-প্রশ্ন।
ভিন্ন—অভিন্ন।
অসুবিধা — সুবিধা।
কমতি—বাড়তি।
উলটো—সিধে।
অভিজ্ঞতা – অনভিজ্ঞতা।
চওড়া-লম্বা।
★ নদীর তীরে গদ্যটিতে কোন্ কোন্ বাংলা মাসের নাম রয়েছে?
উঃ । চৈত্র, কার্তিক।