দেওয়ালের ছবি হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণি / deoyler chhabi class 3 bangla
![]() |
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য
দ্বিতীয় পাঠ
প্রচলিত গল্প : দেয়ালের ছবি
লেখক : অজ্ঞাত (অজানা)
নামকরণ সার্থকতা;-এই গল্পে একটা বাঘ আর একটা শিকারির মধ্যে বন্ধুত্ব হয়েছিল। এরপর একদিন শিকারি বাঘকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে। এখানে এসে বাঘ শিকারির বাড়ির দেয়ালে একটা ছবি দেখে জানতে পারে শিকারির ঠাকুরদা মস্ত বড়ো শিকারি ছিলেন এবং বাঘ মেরে পায়ের তলায় রেখে দিয়েছিলেন, আর ছবিটা শিকারির বাবা এঁকেছিলেন। তখন বাঘ বলেছিল ছবিটা একটা বাঘ আঁকলে অন্যরমক হত। যেহেতু দেয়ালের ছবিকে কেন্দ্র
করে গল্পটা এগিয়েছে, তাই গল্পের নামকরণ সার্থক হয়ে উঠেছে।
সারাংশ : অনেকদিন আগের কথা, তখন আমরা বনের ধারে একটা গাঁয়ে থাকতাম। সেই গাঁয়ে একটা শিকারিও থাকত। সে তির-ধনুক দিয়ে শিকার করত। সে গাছের ফল, পাখির মাংস খেত। এভাবে একদিন বনে একটা বাঘের সাথে তার বন্ধুত্ব হল। এরপর একদিন শিকারি ওই বাঘকে তার বাড়িতে নিয়ে গেল। বন পেরিয়ে,
ফসল ভরা মাঠ পেরিয়ে শিকারির বাড়িতে বাঘ পৌঁছোল। সেখানে বাগ জল খেল। এরপর বাঘ ঘরের দেয়ালে একটা হাতে-আঁকা ছবি দেখতে পেল। ছবিতে একজন শিকারি হাতে তির-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর মাটিতে পড়ে আছে একটা বড়ো বাঘ। বাঘ জানতে পারল ছবির শিকারিটা তার বন্ধুর ঠাকুরদা আর ছবিটা এঁকেছেন তাঁর বন্ধুর বাবা। ছবিটা দেখে বাঘ মুচকি হেসে বলল, ‘ছবিটা যদি কোনো বাঘ আঁকত তাহলে অন্যরমক হত।'
শব্দার্থ ঃ বন–জঙ্গল।
গাঁয়ে—গ্রামে।
সুখ-আনন্দ।
শিকারি—যারা তিন-ধনুক বা অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে পশু, পাখি মারে, ব্যাধ।
আঁধার—অন্ধকার।
আপত্তি—অমত, অসম্মতি।
ছিমছাম – সাজানো, গোছানো।
ডাগর—বড়ো, প্রকাণ্ড।
মস্ত—প্রখ্যাত, নামি।
দাওয়া—ঘরের সামনের দিকের অংশ, বারান্দা। লোটা—ঘটির মতো একধরনের পাত্র।
মুচকি হেসে—ঠোঁট বন্ধ করে হাসা।
গুলতি—গুলি ছোঁড়ার ধনুক।
তির—বাণ, শর।
ভাব—মিল।
★ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. এক বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ দেয়ালে আঁকা ছবি তুমি কোথায় কোথায় দেখেছ?
উঃ। দেয়ালে আঁকা ছবি আমি আমার পাড়ার কোনো কোনো বাড়ি দেয়ালে এবং মেট্রো রেলস্টেশনের দেয়ালে দেখেছি।
১.২ অনেক অনেক দিন আগে মানুষ কোথায় বাস করত?
উঃ। অনেক অনেক দিন আগে মানুষ বনের ধারে গাঁয়ে বাস করত।
১.৩ তখন তাদের কী ভাবে দিন কাটত?
উঃ। তখন চাষ করে, শিকার করে তাদের দিন কাটত।
২. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো :
ম ব স য় স > সবসময়
ন ক নে দি অ > অনেকদিন
ল দে য়া > দেয়াল
র অ ম ক না > অন্যরকম
ম ম ছা ছি > ছিমছাম
৩. শূন্যস্থান পূরণ করো :
উঃ । ৩.১। সে ছিল বড়ো... দিন।
উঃ । সুখের
৩.২। এমন করে একদিন এ.....সঙ্গে তার দেখা হলো।
উঃ । সুখের
৩.৩। বাঘ বলল, এ আর.....কী।
উঃ । এমন
৩.৪। বলল, আমার .......মস্ত শিকারি ছিলেন।
উঃ। ঠাকুরদা
৩.৫। আমার......... তিনি,মানুষ ছাড়া আর কী হবেন?
উঃ। বাবা।
৪. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো :
৪.১ দেয়ালের ছবিটি এঁকেছিল (শিকারি/শিকারির বাবা/শিকারির ঠাকুরদা/বাঘ)।
উঃ। দেয়ালের ছবিটি এঁকেছিল শিকারির বাবা।
৪.২ অনেক অনেক দিন আগে আমাদের দেশে ছিল ( ঘন বন/ মরুভূমি/ বড়ো বড়ো পাহাড়/বিশাল সমুদ্দুর)।
উঃ। অনেক অনেক দিন আগে আমাদের দেশে ছিল ঘন বন।
৪.৩ বনের পশুপাখিরা শিকারিকে (ভালোবাসত/ঘৃণা করত/ভয় পেত/উপহাস করত)।
উঃ। বনের পশুপাখিরা শিকারিকে ভয় পেত।
৪.৫ গল্পের বাঘটি ভালো (গান গাইত/গল্প করত/ছবি আঁকত/কথা বলত।
উঃ। গল্পের বাঘটি ভালো কথা বলত।
৪.৫ শিকারি বাঘকে খেতে দিয়েছিল (গরম দুধ/মাংস/ঠাণ্ডা জল/চা)।
উঃ। শিকারি বাঘকে খেতে দিয়েছিল ঠাণ্ডা জল।
৫. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
উঃ। অনেকক্ষণ—অ + ন + এ + ক + ক্ + ষ্ + ণ।
পরিষ্কার- প + র + ই + ষ্ + ক + আ + র।
কথাবার্তা—ক + থ + আ + ব + আ + র + ত্ + আ। অন্যরকম—অ + ন + য + র + ক + ম।
নেকড়ে—ন + এ + ক্ + ড় + এ।
৬. অর্থ লেখো ঃ আঁধার—অন্ধকার।
আপত্তি—অসম্মতি।
দাওয়া—বাড়ির সামনের অংশ, বারান্দা।
লোটা—ঘটির মতো একপ্রকার পাত্র।
ডাগর-বড়ো বড়ো।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো ঃ
বিশাল – বড়ো, প্রকাণ্ড।
বাঘ—ব্যাঘ্র, শার্দুল।
মজা—আনন্দ, তামাশা।
ছবি—চিত্র, পট।
বাবা—পিতা, জনক।
জল – বারি, নীর।
বন্ধু—সখা, মিতা।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ঃ
অনেক—সামান্য।
দিন–রাত।
ঘন—পাতলা, তরল।
সুখ–দুঃখ।
ঠাণ্ডা — গরম।
মস্ত—ক্ষুদ্র।
৯. গল্পটিতে কয়েকটি জোড়া শব্দ আছে। একটি যেমন—বনে বনে। এরকম আরও দুটি জোড়া শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ। ভূয়-ডর, বড়ো বড়ো।
১৩. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও ঃ
উঃ। গাঁ - গ্রাম
গা — শরীর
তির -বাণ
তীর-নদীর ধার
বাড়ি- ঘর
বারি- জল
জিভ-জিহ্বা
জীব- প্রাণী
হতো - হওয়া
হত - মৃত
১১. 'চোখ' শব্দটিকে পাঁচটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো।
উঃ। ★ মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। (চক্ষু)
★ চোখ থাকতেছে চোখের মূল্য বোঝেনা। (মূল্যবান বস্তু)
★ দুজন পুলিশ চোখে চোখে কথা বলল। (ইশারা)
★লোকটার চোখাচোখি হতেই সে লজ্জা তুলল (সামনাসামনি)
★ মূল্যবান জিনিস দেখেই তার চোখ ট্যারা হয়ে গেল। (অবাক)
১২. বাক্যরচনা করো ঃ
চাষ— বর্ষাকালে চাষিরা মাঠে চাষ করে।
মেঝে- প্রতিদিন সকালে মা জল দিয়ে ঘরের মেঝে পরিষ্কার করে।
আঁকা— প্রতিবছর ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা হয়। বিরাট— কালী মন্দিরে পাশে একটি বিরাট বটগাছ আছে।
দেওয়াল- মাটির দেয়ার জল ফেলে নষ্ট হয়ে যায়।
১৩. বাক্য বাড়াও
১৩.১ শিকারি জল এনে দিল। (কোথা থেকে, কেমন জল?)
উঃ। শিকারি পুকুর থেকে ঠাণ্ডা জল এনে দিল।
১৩.২ দুজনে রওনা দিল। (কোথায় ?)
উঃ। দুজনে রওনা দিল বনের পথে।
১৩.৩ সকালে বেরিয়ে যায়। (কোথা থেকে?
উঃ। সকালে গাঁয়ের ঘর থেরে বেরিয়ে যায়।
১৩.৪ বাঘ হাসল। (কেমন করে?
উঃ। বাঘ গোঁফের ফাঁক দিয়ে মুচকি হাসল।
১৩.৫ দুজনেই বন্ধু হয়ে গেল। (কেমন বন্ধু?
উঃ। দুজনেই খুব বন্ধু হয়ে গেল।
১৪. গল্পের ঘটনাগুলি ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখো :
১৪.১ শিকারি খুব মজা পেয়েছে।
১৪.২ বাঘ হঠাৎ চোখ ফিরিয়ে ঘরের দেয়ালে একটা হাতে আঁকা ছবি দেখতে পেল।
১৪.৩ বাঘ বলল, বন্ধুর বাড়ি যাব তাতে আর অপত্তি কী।
১৪.৪ বাঘ ঘরে ঢুকে মাটির ঠাণ্ডা মেঝেয় বসে পড়ল।
১৪.৫ বাঘ বলল, .....তা এটা কি মানুষের আঁকা ?
উঃ। ১৪.১ বাঘ বলল,....বন্ধুর বাড়ি যাব তাতে আর আপত্তি কী। [৩]
১৪.২ বাঘ ঘরে ঢুকে মাটির ঠাণ্ডা মেঝেয় বসে পড়ল। [৪]
১৪.৩ বাঘ হঠাৎ চোখ ফিরিয়ে ঘরের দেয়ালে একটা হাতে আঁকা ছবি দেখতে পেল। [২]
১৪.৪ শিকারি খুব মজা পেয়েছে। [১]
১৪.৫ বাঘ বলল, ........ তা এটা কী মানুষের আঁকা? [৫]
১৫. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১৫.১ গল্পের শিকারিটি কীভাবে তার দিন কাটাত ?
উঃ। গল্পে শিকারিটি সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বনে বনে শিকারের জন্য ঘুরত। সে তির-ধনুক-গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করত। বনেই রান্না করে খেত, এছাড়া গাছ থেকে ফল পেড়ে খেত। এভাবে আনন্দেই তার দিন কাটত।
১৫.২ বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটি কে? তাকে সে একদিন কী প্রস্তাব দিল ?
উঃ। বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটি হলো একটি বাঘ। বাঘকে শিকারি একদিন তার বাড়ি যাওয়ার প্রস্তাব দিল।
১৫.৩ উত্তরে তার বন্ধ তাকে কী বলল ?
উঃ। উত্তরে বাঘ বলেছিল তার বাড়ি যাওয়াই যেতে পারে। বন্ধুর বাড়ি যেতে তার আপত্তি কী।
১৫.৪ গল্পে শিকারির বাড়িটি কোথায়?
উঃ। গল্পে শিকারির বাড়িটি বনের ওপারে ফসল ভরা মাঠের পাশে।
১৫.৫ তার ঘরবাড়ির চেহারা কেমন?
উঃ। শিকারির ঘরবাড়ি খুব পরিষ্কার ও সাজানো-গোছানো ছিল। ঘরের সামনে ছোটো দাওয়া ছিল। তার ঘরের মেঝে খুব ঠাণ্ডা ছিল।
১৫.৬ শিকারি তার বাড়িতে প্রিয় বন্ধুর যত্ন কীভাবে করেছিল?
উঃ। শিকারি তার বন্ধুকে ঘরের ঠাণ্ডা মেঝেয় বসতে দিয়েছিল এবং লোটায় করে পুকুরের ঠাণ্ডা জল খেতে দিয়েছিল।
১৫.৭ বাঘ হঠাৎ দেয়ালে কীসের ছবি দেখল ?
উঃ । বাঘ হঠাৎ দেখল দেয়ালে একজন মানুষের ছবি সে তীর-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পায়ের কাছে একটা বড়ো বাঘ পড়ে আছে।
১৫.৮ শিকারির মজা পাওয়ার কারণ কী?
উঃ। শিকারীর ঠাকুরদা একজন মস্ত বড়ো নাম করা শিকারি ছিলেন।
তিনি একটি মস্ত বড়ো বাঘ মেরেছিলেন। এই ছবিটা বাঘকে দেখাতে পেরে শিকারি খুব মজা পেয়েছিল।
১৫.৯ নিজের ঠাকুরদা সম্পর্কে শিকারি কোন্ কথা বাঘকে বলল?
উঃ। শিকারির ঠাকুরদা একজন নাম করা শিকারি ছিলেন এবং তিনি বাঘ-নেকড়ে-চিতা কাউকেই ভয় পেতেন না।
১৫.১০ সে-ব্যাপারে বাঘ আগ্রহ দেখাল না কেন ?
উঃ। বাঘ শিকারির কথা খুব একটা বিশ্বাস করেনি বলে সে-ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।
১৫.১১ বাঘের কোন্ কথা শুনে শিকারি অবাক হয়েছিল ?
উঃ। বাঘ যখন জানতে চাইল এই ছবিটা কোনো মানুষে এঁকেছে কি না। তখন শিকারি বাঘের কথা শুনে অবাক হয়েছিল।
১৫.১২ দেয়ালের ছবিটির বিষয় কী ছিল ? ছবিটি কোনো বাঘ আঁকলে তার বিষয় কী হত?
উঃ। দেয়ালের ছবির বিষয় ছিল এক শিকারি একটা মস্ত বাঘ মেরে দাঁড়িয়ে আছে। ছবিটা কোনো বাঘ আঁকলে অন্যরকম হত, তখন একটা বাঘ একটা শিকারিকে মেরেছে, এমন দৃশ্য দেখা যেত।
কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্ন:- এই গল্পে কার সাথে কার বন্ধুত্ব হয়েছিল?
উঃ। এই গল্পে এক শিকারির সাথে এক বাঘের বন্ধুত্ব হয়েছিল।
প্রশ্ন:- বাঘ কীভাবে জল খেয়েছিল?
উঃ। বাঘ জিভ দিয়ে চেটে চেটে জল খেয়েছিল।
প্রশ্ন:- শিকারি কী দিয়ে শিকার করত।
উঃ। শিকারি তিন-ধনুক-গুলতি দিয়ে শিকার করত।
প্রশ্ন:- বাঘ গোঁফের ফাঁকে মুচকি হেসে কী বলল ?
উঃ । বাঘ গোঁফের ফাঁকে মুচকি হেসে
বলল, ছবিটা যদি কোনো বাঘ আঁকত তাহলে অন্যরকম হতো।
প্রশ্ন:- দেওয়ালের ছবিটা কে এঁকেছিল।
উঃ। শিকারির বাবা দেয়ালের ছবিটে এঁকেছিল।
প্রশ্ন:- শিকারীকে বনের পশুপাখিরা কেন ভয় করত?
উঃ। শিকারী হাতে তীর-ধনুক গুলতি নিয়ে বনে ঘুরত। এমনকি রাতে শোয়ার সময়েও তার বিছানার পাশে থাকত তির-ধনুক-গুলতি। তাই পশুপাখিরা শিকারীকে ভয় পেত।
প্রশ্ন:- আগেকার দিন কেমন ছিল?
উঃ। আগেকার দিনে দেশে ঘন বন ছিল, বনের ধারে গ্রাম ছিল। মানুষ চাষ করে ও বনে শিকার করে দিন কাটাত। তখনকার দিনে খুব সুখের ছিল।
প্রশ্ন:- শিকারিটি কেমন ছিল?
উঃ। শিকারিটি সবসময় বনে বনে ঘুরত। তার কোনো ভয়ডর ছিল না। হাতে তির ধনুক ও গুলতি নিয়ে সে ঘুরতো, এমনকি রাতে শোওয়ার সময়ও বিছানার পাশে সে তির ধনুক ও গুলতি রাখতো।
উঃ। শিকারির বাড়িটা ছিল একটা ফসলের জমির পাশে। ওই জমির পাশে ছিল মাঠ এবং ঘন বন পেরিয়ে ওই মাঠে যেতে হত।
প্রশ্ন:- শিকারির বাড়ির চারপাশের বর্ণনা দাও।
প্রশ্ন:- শিকারি আর বাঘের কীভাবে বন্ধুত্ব হয়েছিল ?
উঃ। শিকারি সারাদিন বনে বনে ঘুরে শিকার করত। এমন করে একদিন বনে ঘুরতে ঘুরতে এক বাঘের সাথে তার দেখা হয়েছিল। অনেকক্ষণ কথাবার্তা হওয়ার পরে তাদের দুজনেই খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- শিকারির বাড়ি ও তার চারপাশের বর্ণনা দাও।
উঃ। একটি ফসলের জমির পাশে ছিল শিকারির বাড়ি। ওই জমির পাশে ছিল মাঠ ও ঘন বন পেরিয়ে ওই মাঠে যেতে হত। শিকারির বাড়িতে ছোটো একটি দাওয়া পেরিয়ে ছিল তার ঘর। ঠাণ্ডা মেঝে ও ছিমছাম পরিষ্কার সুন্দর ঘরটি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
‘প্রশ্ন:- বাঘ হাই তুলে বলল’– বাঘ হাই তুলে কাকে কী বলল? এর উত্তরে সে কী বলেছিল ?
উঃ। বাঘ হাই তুলে শিকারির ঘরের দেয়ালে একটা হাতে আঁকা ছবি দেখে শিকারিকে বলল, ছবিটা এঁকেছে কে?
এর উত্তরে শিকারি বলল এটি শিকারির বাবা এঁকেছেন। তিনি শুধু মস্ত শিকারিই ছিলেন না, তিনি খুব ভালো আঁকতেও পারতেন।
‘প্রশ্ন:- তা এটা কি মানুষের আঁকা? কে কাকে এই প্রশ্ন করেছিল? এর উত্তরে সে কী বলেছিল? বাঘ কেন এই প্রশ্ন করেছিল বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। বাঘ এই প্রশ্নটি তার বন্ধু শিকারিকে করেছিল। এর উত্তরে শিকারি অবাক হয়ে বলেছিল কী যে বলো বন্ধু আমার
বাবা তো মানুষ ছিলেন। শিকারি যেহেতু মানুষ তাই তার বাবা মানুষ ছাড়া আর কী হবেন।
বাঘ এই প্রশ্ন করেছিল কারণ বাঘ একটি শক্তিশালী প্রাণী। তাকে কোনো অস্ত্র ছাড়া মানুষ মারতে পারবে না। আর শক্তিতে তার সঙ্গে পেরেও উঠবে না। মানুষ আড়াল থেকে অস্ত্র দিয়ে বাঘকে মেরে নিজের শক্তি জাহির করে এটা বাঘ জানত।
তাই মানুষের এই বীরত্ব দেখিয়ে আঁকা এই ছবিটাকে দেখে বাঘ উপহাসের ছলে এই প্রশ্ন করেছিল বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন:- বাক্যরচনা করো ঃ পুকুর—আমাদের বাড়ির পাশে একটা বড়ো পুকুর আছে। লোটা—ঘরের কোণে লোটায জল আছে। শিকারি—জিম করবেট একজন বিখ্যাত শিকারি ছিলেন। বন—আমাদের দেশে ঘন বন খুবই কমে যাচ্ছে।
কমল—মাঠ ভরা সবুজ ফসল দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
প্রশ্ন:- বিপরীত শব্দ ঃ
ঘন-তরল। ভয়-সাহস।
আগের -পরের।
আঁধার-আলো।
বন্ধু-শত্রু।
আপত্তি-সম্মতি।
আরাম—কষ্ট।
মানুষ—অমানুষ।
বিশাল — ক্ষুদ্র।
সুন্দর—কুৎসিত।
পরিষ্কার—অপরিষ্কার।
ভালো-মন্দ। দেশ-বিদেশ।
প্রশ্ন:- সঠিক, বাক্যের পাশে (√) এবং ভুলের পাশে (x) দাও :
উঃ। (ক) শিকারির শত্রু ছিল বাঘ। (x)
(গ) শিকারির অস্ত্র ছিল বন্ধুক। (x)
(ঙ) আগেকার দিন খুব সুখের ছিল। (√)
(ছ) শিকারি নেকড়ে-বাঘ মারত। (x)
(ঝ) ফসলের জমিটা মাঠের পাশে ছিল। (√)
(খ) শিকারি খুব সাহসী ছিল। (√)
(ঘ) শিকারি বাঘকে দুধ খেতে দিয়েছিল। (x)
(চ) বাঘের ঠাকুরদা ছবি আঁকত। (x)
(জ) শিকারির বাড়িটা খুব পরিষ্কার ছিল। (√°)
(ঞ) শিকারির ছবি দেখে মুচকি মুচকি হেসেছিল। (x)
প্রশ্ন:- এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে সঠিকভাবে লেখো :
কা শি রি> শিকারি
খ সু > সুখ
তি গু ল,> গুলতি
ফগোঁ > গোঁফ
ষ নুমা > মানুষ
দ কু র ঠ > ঠাকুরদা
ত আঁ ব > আঁকত
স্ত ম, > মস্ত
ঠা ९ হ > হঠৎ
প্রশ্ন:- সমার্থক সব্দ লেখো ঃ পাখি, মাটি, শিকারি, ঠাকুরদা, মানুষ।
উঃ। পাখি-পক্ষী, বিহঙ্গ;
মাটি—মৃত্তিকা, ভূমি;
শিকারি—ব্যাধ,
ঠাকুরদা-দাদু পিতামহ,
মানুষ—নর, মনুষ্য।
৪. প্রশ্ন:- শূন্যস্থান পূরণ করো ঃ