'মনকেমনের গল্প হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণীর / Monkemaner golpo class 3 wbbse - school book solver

Pages

Saturday, 15 February 2025

'মনকেমনের গল্প হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণীর / Monkemaner golpo class 3 wbbse




 তৃতীয় শ্রেণি বাংলা

প্রবন্ধঃ মনকেমনের গল্প

লেখিকা : নবনীতা দেবসেন


লেখিকা পরিচিতি : নবনীতা দেবসেন-এর জন্ম ১৯৩৮ সালে। তার পিতার নাম  নরেন্দ্র দেব । মাতার নাম রাধারাণা দেবী । তার লেখা বই গুলি হলো প্রথম প্রত্যুষ', 'স্বাগত দেবদূত', 'আমি অনুপম', ‘করুণা তোমার কোন পথ দিয়ে' ইত্যাদি।।

সারাংশঃ- বৃষ্টির দিনে  মেঘলা আকাশ আমাদের সকলের ভালো লাগে। রুবাইয়ের সময়ের সাথে সাথে বৃষ্টির রূপ ও মনের পরিবর্তন মনকে যেন স্নিগ্ধ ও আনন্দময় করে তোলে। এইরকম একটি বৃষ্টির  দিনে তার কোনো কাজে মন লাগে না। আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন মনকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। আর ১৫ আগস্ট-এর মতো দিনে তাই রুবাইয়ের মনটাও ছুটি আর ছুটি, খেলা আর খেলা করে উঠে।



শব্দার্থ : টিফিন—এটি ইংরেজি শব্দ জলখাবার।

ক্লাসরুম—শ্রেণিকক্ষ।

 ভীষণ—খুব, দারুণ। 

অ্যান্টি–স্কুলের বড়দিমণি।

বিষ্টি—বৃষ্টি। 

রেডি—প্রস্তুত। 

কাকলি — পাখির ডাক। 

সজল — জলপূর্ণ। 

সজল বায়ে-রং ভরা বাতাসে। 

বলাকা-সাদা পাখির (বকের ঝাঁক। ক্লোরোফিল-গাছের পাতায় এই উপাদান ।

জরুরি—দরকারি। 

ফ্ল্যাগ—পতাকা। 

দিম্মা-দিদিমা ।

 স্যালুট করা—অভিবাদন জানানো। 

 কুজন—পাখির ডাক। 

মেঘছায়ে — মেঘ করে আসে।




হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও :

১.১ বৃষ্টির দিনগুলো রুবাইয়ের এত ভালো লাগে কেন ?

উঃ।  বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রকৃতি যেন এক সুন্দর সাজে সেজে ওঠত।আর চারিদিক থেকে জলভরা শীতল বাতাস এসে মনকে ভরিয়ে তুলতো। তাই বৃষ্টির দিনগুলো রুবাইয়ের ভালো লাগত


১.২ আমাদের জাতীয় সংগীত কোনটি?

উঃ। আমাদের জাতীয় সংগীত হলো— রবীন্দ্রনাথের জনগণমন অধিনায়ক'।


১.৩  ১৫ আগস্ট দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা তোলা হয় কেন? 

উঃ। ১৫ আগস্ট দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা তোলা হয় ।

কারণ, ঐ দিন ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল।


১.৪ ইসকুল রুবাইয়ের কেমন লাগে

উঃ। ইসকুল রুবাইয়ের তেমন একটা ভালো লাগে না। বদ্ধ ঘরে তার মন বসে না।


১.৫ ‘বলাকা' বলতে কী বোঝো?

 উঃ। সাদা বকের ঝাঁককে 'বলাকা' বলা হয়।



১.৬ শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে কে বলে দিতেন ?

উঃ। শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে তার দিম্মা বলে দিতেন।


১.৭ রুবাইয়ের লেখার খাতা কে দিয়েছিলেন? খাতাটি কেমন?

উঃ। রুবাইয়ের লেখার খাতা দিয়েছিলেন তার ছোটোমামা ।

খাতাটি ছিল সুন্দর বাঁধানো।


১.৮ লেখার খাতায় রুবাই কোন দিনের কথা লিখেছিল ?

উঃ। লেখার খাতায় রুবাই ১৫ আগস্ট ছুটির দিনের কথা লিখেছিল।


১.৯ আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় কটি রং আছে? সেগুলি কী কী ?

উঃ । আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় রং তিনটি।

রং গুলি হল- গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ


১.১০ রুবাই খাতায় যা লিখেছিল, তা তুমি নিজের ভাষায় লেখো।

উঃ। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনটি আমাদের সকলের কাছে একটি ছুটির দিন হিসাবে পরিচিত। ওই দিনটিতে সকালবেলার ইস্কুলে জাতীয় পতাকা তোলা হয়। আমরা সবাই ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে 'জনগণমন' গান গাই। ঠিক তেমনই রুবাই স্কুলে গিয়ে পতাকা তুলেছিল তারপর জাতীয় সংগীত গেয়েছিল। সে তখনই দেখল বিরাট একঝাক ধবধবে সাদা

পাখি আকাশে ফ্ল্যাগের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যেন পতাকাকে অভিবাদন করে গেল। এই দৃশ্যটিকে দেখতে রুবাইয়ের খুবই সন্দর লেগেছিল এবং তাদের কিচির মিচির আওয়াজ এত উপর থেকেও শোনা যাচ্ছিল।


২. নির্দেশ অনুসারে লেখো :

উঃ। রুবাই বৃষ্টির দিনে যা যা করতে চায়

১. রুবাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে চায়।

২. স্কুলে গিয়ে খেলার মাঠে ছুটে বেড়াতে চায়।

৩. রুবাই সারাক্ষণ ছাদে দৌড়াদৌড়ি করতে চায়। 

৪. রুবাই পথ হারিয়ে অজানা জায়গায় চলে যেতে ইচ্ছা করে।

৫. মায়ের শেখানো নাচ ও গান করতে চায়।

৬. রুবাই ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে চোখ ডানা মেলে আকাশে উড়ে যেতে চায়।



৩. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

উঃ। র চি মি চি কি র > কিচির মিচির।

লো ধা আঁ রি আ > আলো-আঁধারি।

দ বৃ বা ষ্টি লা > বৃষ্টি বাদলা।

ক ন কূ লি কা জ > কাকলিকুজন।

রল মগ কা > গরমকাল।-



৪। বর্ণ বিশ্লেষণ করো :

উঃ। বিষ্টি—ব + ই + ষ + ট + ই।

আশ্চর্য—আ + শ + চ + র + য + অ।

সুন্দর—স + উ + ন + দ + র।

ক্লোরোফিল ক + ল + ও + র + ও + ফ + ই + ল।

সারাক্ষণ – স + আ + র + আ + ক + ষ + ণ।



৫. বাক্যরচনা করো :

অন্ধকার—অন্ধকার রাতে আকাশে অনেক নক্ষত্র দেখা যায়। 

রোদ্দুর—কয়েকদিন বৃষ্টির পর আজ রোদ্দুর উঠেছে।

মেঘলা—গত কয়েকদিন ধরে আকাশটা মেঘলা করে আছে। 

বনজঙ্গল — বনজঙ্গল পশুপাখিদের বাসস্থান।

সাদা - আকাশে উড়তে সাদা বক ডানা মেলে উড়তে দেখা  যায়।


তুমি বৃষ্টির দিনে যা যা করতে চাও

১.আমি বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে লুডু খেলতে  চাই।

২. আমি বৃষ্টির দিনে মায়ের কোলে বসে গল্প শুনতে চাই।

৩.আমি বৃষ্টির দিনে টিভিতে গান শুনতে চাই।

৪.আমি বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর বেগুন ভাজা খেতে চাই।

৫. আমি বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।

৬. আমি বৃষ্টির দিনে কাগজের নৌকা ভাসাতে চাই।




৬. ‘অল্প’–এই শব্দটিতে যেমন ‘ল্প' আছে, এরকম তিনটি শব্দ লেখো যেখানে ‘ল্প' রয়েছে।

উঃ। ১। গল্প, ২। খল্পা ৩। শিল্প ৪। শিল্পী


৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

৭.১ এই গল্পে ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে' গানটির নাচ রুবাই শিখেছে। গানটি কার লেখা?

উঃ। 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে' গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।


৭.২ বৃষ্টির সময় চারিদিকের পরিবেশ কেমন হয়ে যায় কয়েকটা বাক্যে লেখো।

উঃ। বৃষ্টির সময় চারিদিকটা প্রায় ধোঁয়ার মতো আবছা হয়ে যায়। সেই সময় শুধু বৃষ্টি পড়ার শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। গাছ-পালাগুলো যেন বৃষ্টিতে ভিজে আনন্দে নাচতে থাকে। আশপাশের সমস্ত জায়গা বৃষ্টির জলে ভরে ওঠে।


৭.৩ তোমরা তোমাদের স্কুলে স্বাধীনতা দিবস কেমন করে পালন করো? কী কী অনুষ্ঠান হয়? সকলে মিলে কোন গান গাও? 

উঃ। ১৫ আগস্টের দিন সকালে স্কুলে যাই। সেখানে প্রধান শিক্ষক মহাশয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আমরা পতাকা তলে  দাঁড়িয়ে অভিবাদন করি এবং এরপর তিনি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে শিক্ষক  মহাশয়েরা বক্তব্য রাখেন । আমরা আবৃত্তি করি। নাটক করে। সকলে নিলে সমবেত সুরে জাতীয় সংগীত 'জনগণমন' গানটি গাই।অনুষ্ঠান শেষ হলে আমাদেরকে টিফিন দেন 


৭.৪ বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেদের খুশি খুশি দেখায় কেন?

উঃ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে গাছপালাগুলো ধুলোভরা ক্লান্তিতে মনমরা হয়ে পড়ে। গ্রীষ্মে সব কিছুই যেন শুকিয়ে আসে। মাটি থেকেও তারা প্রয়োজন মতো রসও শোষণ করতে পারে না। কিন্তু বৃষ্টির দিনে তারা বৃষ্টির জল পেয়ে সতেজ

হয়ে ওঠে। তাই তাদের খুশি খুশি দেখায়।


৭.৫ এমন একটা দিনের কথা লেখো যে দিন খুব বৃষ্টির জন্য তোমার স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

উঃ। গত কয়েকদিন আগে স্কুল শুরু হবার একটু আগে থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আমরা ও শিক্ষিকা-শিক্ষকরা প্রায় সকলেই বেশ ভালোই ভিজে গিয়েছিলাম। তাই প্রধান শিক্ষক মহাশয় প্রথম পিরিয়ডের পর ছুটি ঘোষণা করে দেন। তারপর আমি আমার বন্ধুদের সাথে স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরেছিলাম।


৮. বৃষ্টি নিয়ে লেখা তোমার জানা কোনো ছড়া বা কবিতা লেখো।

উঃ। নিজে করো।



হাতে কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর



প্রশ্ন:-বিপরীত শব্দ লেখো : 

ভালো- খারাপ ।

আকাশ-পাতাল।

বিষ্টি-রোদ।

অল্প বেশি।

 ভারী—হালকা।

অন্ধকার আলো।


প্রশ্ন:-. সমার্থক শব্দ লেখো ও বাতাস, আকাশ, পাখি ।

বাতাস—বয়ু,হাওয়া, পবন। 

আকাশ — গগন, অম্বর, নভঃ। 

পাখি বিহঙ্গ, খেচর, খগ। 

বাবা –পিতা, জনক, জন্মদাতা।



 প্রশ্ন:-কাকলি-কুজন কাকে বলে?

 উঃ। পাখির কিচির-মিচিরকেই বলে কাকলি- কূজন।


প্রশ্ন:-রুবাইদের ইসকুলে কী হয়?

 উঃ। বুবাইদের ইসকুলে কেবল খেলা আর গান আর টিফিন খাওয়া হয়।


 প্রশ্ন:-‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে— গানটির সঙ্গে রুবাইকে কে কী শিখিয়েছিলেন ?

উঃ। ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে'—গানটির সঙ্গে রুবাইয়ের মা তাকে নাচ শিখিয়েছিলেন।


প্রশ্ন:- এই ছায়াঘন, আলো আঁধারির দিনে ক্লাসের ঘরে কী করতে হয়?

উঃ। দিনের বেলাতেই ক্লাসের ঘরে আলো জ্বালাতে হয়।


প্রশ্ন:- মা কী বললেন?

 উঃ। মা বললেন দূরে কোথাও বৃষ্টি পড়ছে।


প্রশ্ন:-লেখিকার মতে কোন্ সময় গাছেরা ক্লোরোফিল তৈরি করে নেয়?

উঃ। লেখিকার মতে ভোরের নরম আলোতেই গাছেরা সব জরুরি ক্লোরোফিল তৈরি করে নেয়।



প্রশ্ন:-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৃষ্টির দিনের একটি গানের নাম লেখো। 

উঃ। রিম ঝিম ঘন ঘন রে'।


প্রশ্ন:-লেখিকা নবনীতা দেবসেনের লেখা কোন গল্প তোমার পাঠ্য বইতে আছে?

 উঃ। মনকেমনের গল্পে।


প্রশ্ন:-বৃষ্টির দিনে আকাশের আলোর বর্ণনা রুবাই কীভাবে দিয়েছে লেখো

উঃ। বৃষ্টির দিনটিতে সকাল থেকেই আকাশ আঁধার করে আছে। তার ভেতর থেকে ফুটে বেরুচ্ছে একটু আলোর ছটা। সেটি আলো কিন্তু রোদ নয়।


প্রশ্ন:-পাখির ঝাঁকটা আকাশে উড়ে যেতে দেখে লেখিকার কী মনে হয়েছিল?

উঃ। পাখির ঝাঁকটাকে আকাশে উড়ে যেতে দেখে লেখিকার মনে হয়েছিল যে পতাকা ওড়ানোটাকে যেন তারা স্যালুট করে গেল।


প্রশ্ন:-'সে দিনটাও খুব আনন্দের'—কোন দিনটার কথা বলা হয়েছে? এই দিনটির কথা বলতে গিয়ে লেখিকা কোন গানটির কথা লিখেছেন?

উঃ। অনেকদিন যখন বৃষ্টিবাদলার পর প্রথম দিন রোদের মুখ দেখা যায় সেদিনটা খুব আনন্দের হয়। এখানে সেই দিনটার কথা বলা হয়েছে। এই দিনটির কথা বলতে গিয়ে লেখিকা 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টাট গানটির কথা লিখেছেন।


প্রশ্ন:-“গাছগুলো সব কান খাড়া করে রেডি হয়ে আছে বিষ্টির পায়ের শব্দ শুনবে বলে” – লেখক এই বাক্যটিতে কী বোঝাতে চেয়েছেন ? 

উঃ । আমাদের যেমন কোনো প্রিয়জন আসার খবর থাকলে কখন আসবে তার আসার অপেক্ষায় সজাগ হয়ে থাকি। তেমন গাছগুলোও গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে মনমরা হয়ে থাকে। তাই তারাও যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় কান খাড়া (সজাগ) করে রেডি হয়ে থাকে।


প্রশ্ন:- ‘সজলবায়ে' বলতে কী বোঝো? 

উঃ। সজল অর্থাৎ জল ভরা, বায়ে অর্থাৎ বাতাসে। বৃষ্টিকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে বাতাসকে সজলবায়ে বলা হয়েছে।


প্রশ্ন:-ক্লোরোফিল কী?  কী কীজে লাগে?

উঃ। ক্লোরোফিল একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ। এটি গাছের পাতায় থাকে। যার ফলে গাছের পাতা সবুজ হয়। 

 গাছ এই পাতার ক্লোরোফিলের সাহায্যে বাতাস' থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে নিজের খাদ্য তৈরি করে।




প্রশ্ন:-গল্পটিতে কয়েকটি জোড়া শব্দ আছে। এইরকম আর কয়েকটি জোড়া শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো। যেমন—বিষ্টি

পছন্দ-অপছন্দ, 

ইচ্ছে-অনিচ্ছে,

 সুন্দর-কুৎসিত।

গরমকাল—শীতকাল, 

আনন্দ-দুঃখ, 

উলটো সোজা,