'কীসের থেকে কি যে হয়' অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণি / kiser theke ki je hoy class 3 bangla question answer
![]() |
প্রচলিত গল্প :
কীসের থেকে কী যে হয়
লেখক : অজ্ঞাত (অজানা)
সারাংশ : অনেক আগের কথা। একটি গ্রামের এক কিশোরী মেয়ে সকালে কাটারি নিয়ে বনে শুকনো কাঠ জোগাড় করতে বের হয়।। বনে একটি গাছের শুকনো ডাল ভাঙতে গিয়ে তার ডান হাতে একটি কাঠপিঁপড়ে কামড়ে দেয়। সে তখন তার বাম হাত দিয়ে ডান হাতটা ধরে বসে পড়ে। আর বাম হাতের কাটারিটা নীচে ঝোপের মধ্যে থাকা একটি কাঠবেড়ালির লেজের ওপর পড়ে ।তার ফলে কাঠবিড়ালির লেজ কেটে যায়। সে তখন রাগে দৌড়ে গিয়ে একটি গাছে ওঠে, একটি বড়ো ফলে কামড় দেয়। বোঁটা থেকে ফলটা ছিঁড়ে গিয়ে গাছের তলায় শুয়ে থাকা একটি হরিণের মাথায় পড়ে। সে ভয় পেয়ে জোরে দৌড়তে থাকে। ছোটার পথে ঝুরো মাটির মধ্যে কিছু ছোটো ছোটো পাখির বাসা ভেঙে যায়। এরপর ওই ছোটো ছোটো পাখিরা দিশেহারা হয়ে বনের মধ্যে উড়তে থাকে। একটি ছোট্ট পাখি হাতির কানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ভয় পেয়ে হাতি ছুটতে ছুটতে চাষির ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে। শেষে চাষি সব শুনে কাঠপিঁপড়েটিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শাস্তি হিসাবে মেয়েটি কাঠপিঁপড়েটি কে কোমরে দড়ি বেঁধে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে। সেদিন থেকে কাঠপিঁপড়ের মাঝখানের পেটটা অমন সরু হয়ে গেল। এথেকে বোঝা গেল কীসের থেকে কী যে হয়।
শব্দার্থঃ
ছটফট -অস্থিরতা।
ক্ষতি – অপকার।
অভাব-অনটন।
তরতর-তাড়াতাড়ি দৌড়ানো।
তিরবেগে তিরের মতো দ্রুত বেগে।
বোধহয় — মনে হয়।
দিশেহারা-বিস্মিত।
প্রকান্ত—বড়ো।
শাস্তি – সাজা।
নষ্ট – অপচয়।
খেয়াল – হুঁশ।
বেজায়—খুব, অত্যন্ত।
গোদা — মোটা এবং বড়ো।
সোনালি – সোনার মতো রং যার।
ঘুরপাক। —গোল করে ঘোরা।
ব্যথা-যন্ত্রণা।
দোষ-অপরাধ।
গৃহস্থ—গৃহে বাস করে যে।
কিশোরী – অল্পবয়স্কা।
কাটারি - দা।
★ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১ একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ কিশোরী মেয়ে বনে কী করতে যায় ?
উঃ কিশোরী মেয়ে বনে যায় কাঠ কাটতে ।
১.২ কার লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল?
উঃ। কাঠবেড়ালির কাটারির আঘাতে লেজ কেটে গিয়েছিল।
১.৩ কিশোরী মেয়ে কোন হাতে কাটারি ধরেছিল?
উঃ কিশোরী মেয়েটি বাম হাতে কাটারি ধরেছিল।
১.৪ ছোটো পাখি কার কানে ঢুকে পড়েছিল ?
উ-- ছোটো পাখি হাতির কানে ঢুকে পড়েছিল।
২. তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ কিশোরী মেয়েরা কীসের জন্য বনে যেত?
উঠা কিশোরী মেয়েরা উনুন জ্বালাবার জন্য শুকনো কাঠ সংগ্রহ করার জন্য বনে যেত।
২. কাঠবেড়ালি রেগে গিয়েছিল কেন? রেগে গিয়ে সে কী করেছিল ?
উত্তর--কাঠবেড়ালি রেগে গিয়েছিল কারণ, বনে কাঠ কাটতে আসা মেয়েটির হাত থেকে কাটারি পড়ে গিয়ে তার ছোট্ট লেজটা কেটে গিয়েছিল। রেগে গিয়ে সে একটি গাছের উঁচু ডালে উঠে গিয়ে একটি বড়ো ফলে কামড় দিয়েছিল।
১.৩ হরিণ ভয় পেয়েছিল কেন? ভয় পেয়ে সে পাখির কী ক্ষতি করেছিল?
উঃ হরিণ ভয় পেয়েছিল কারণ, সে যে গাছের নীচে শুয়েছিল, তার মাথার উপর গাছ থেকে আচমকা বড়ো একটি ফল পড়েছিল। তাই সে ভয় পেয়েছিল।দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঝুরো মাটিতে ছোটো পাখিদের বাসা তার পায়ের চাপে ভেঙে গিয়েছিল।
২. হাতি কেন চাষির ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল?
উর। হঠাৎ করে একটি ছোটো পাখি হাতির কানের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। তখন তার কানে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল । তাই সে যন্ত্রণায় ও ভয়ে দৌড়োদৌড়ি শুরু করেছিল। তার ফলে চাষীর ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
3. কোন প্রাণী কি খায় তা মিলিয়ে লেখো
উত্তর - কাঠবেড়ালি > বাদাম
পিঁপড়ে > চিনির দানা
হাতি > কলাগাছ
পাখি > পোকা-মাকড়
হরিণ > ঘাস
৪. কাদের সম্পর্কে বলা মিলিয়ে লেখো :
৪.১. কাঠপিঁপড়ে কিশোরী মেয়েটির (বাঁ হাতে ডান হাতে) কামড়ে দিয়েছিল।
উঃ। ডান হাতে।
৪.২. হাতি (ধানের ক্ষেত, আখের ক্ষেত) নষ্ট করে নিয়েছিল।
উঃ। ধানের ক্ষেত।
৪.৩ হরিণের (পায়ের চাপে, শিল্পের চাপে) পাখির বাসা ভেঙে গিয়েছিল।
উ। পায়ের চাপে।
৪.৪ কিশোরী মেয়েটি কাঠ পিঁপড়ের( কোমরে/পায়ে) সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছিল।
উঃ। কোমরে
৫. বাঁদিকের সঙ্গে ডানদিকের তালিকা মেলাও :-
উত্তর- পাখির > বাসা
গাছের > ডাল
ফসলের > ক্ষেত
হাতির > শুঁড়
হাতের > তালু
৬ . নীচে গল্পের ঘটনাগুলো এলোমেলো করে দেওয়া হলো। তোমরা ঘটনা অনুযায়ী পরপর সাজিয়ে লেখো।
৬.১ কাঠবিড়ালি রেগে উঁচু গাছের করল হরিণের মাথায় ফেলে দিল
৬.২ কাটারির আঘাতে কাঠবেড়ালির লেজ কেটে গেল।
৬.৩ হরিণের পায়ের চাপে পাখির বাসা ভেঙে গেল।
৬.৪ ছোট পাখি ভয় পেয়ে হাতির কানে ঢুকে পড়ল।
৬.৫ কাঠ পিঁপড়ের এর কামড় খেয়ে কিশোরী মেয়ের হাত থেকে আটারি পড়ে গেল।
৬.৬ হাতির পায়ের চাপে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল।
৬.৭ হরিণ ভয় পেয়ে ছুটে পালালো।
৬.৮ হাতি কানের ব্যথায় পাগল হয়ে চাষী ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ল।
উত্তর:- ৬.৫ কাঠ পিঁপড়ের এর কামড় খেয়ে কিশোরী মেয়ের হাত থেকে আটারি পড়ে গেল।
৬.২ কাটারির আঘাতে কাঠবেড়ালির লেজ কেটে গেল।
৬.১ কাঠবিড়ালি রেগে উঁচু গাছের করল হরিণের মাথায় ফেলে দিল
৬.৭ হরিণ ভয় পেয়ে ছুটে পালালো।
৬.৪ ছোট পাখি ভয় পেয়ে হাতির কানে ঢুকে পড়ল।
৬.৮ হাতি কানের ব্যথায় পাগল হয়ে চাষী ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ল।
৬.৬ হাতির পায়ের চাপে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল।
৭. নীচে যে শব্দগুলি দেওয়া আছে, সেগুলি প্রাণী, ব্যক্তি বা বস্তু বা কাজের নাম, নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দ, মনের ভাব বা কাজকেই বোঝাচ্ছে। তোমরা সেগুলো আলাদা করে, নীচের তালিকাটি সম্পূর্ণ করো ঃ
কাঠপিঁপড়ে, রাগ, কাটারি, সে সব, দৌড়, হাতি, লাপিয়ে উঠল, ভয়, সে, ঘুমোচ্ছিল, তার, ভেঙে দিল, ঝুলিয়ে রাখল।
উত্তর:-
ব্যক্তি/বস্তু/প্রাণীরনাম: -
কাঠ পিঁপড়ে ,কাটারি, হাতি।
নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দ - সেসব, সে, তার।
মনের ভাব:- রাগ, ভয়।
কাজের নাম:- দৌড় ঘুমাচ্ছিল
কোন কাজ:- লাফিয়ে উঠলো, ভেঙে দিল, ঝুলিয়ে রাখলো।
৮. নীচে যে শব্দগুলি আছে তাদের অন্য অর্থ পাশের বাক্সের মধ্যে রয়েছে। সেগুলি খুঁজে নিয়ে শব্দের পাশে পাশে লেখো : গাঁ, অরণ্য, পক্ষী, শাখা, দা, যন্ত্রণা, কৃষক, কন্যা।
উঃ মেয়ে-কন্যা।
পাখি-পক্ষী।
কাটারি—দা।
ব্যথা-যন্ত্রণা।
গ্রাম—গাঁ।
ডাল—শাখা।
চাষি-কৃষক।
বন—অরণ্য।
৯. নীচে যে প্রাণীদের নাম দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো :
হরিণ, কাঠবেড়ালি, কাঠপিঁপড়ে, হাতি, পাখি।
উঃ। হরিণ- (১) হরিণ ঘাস খায় (২) হরিণের লম্বা লম্বা শিং আছে।
কাঠবেড়ালি – (১) কাঠবেড়ালি গাছের ফলমূল খায়। (২) কাঠবেড়ালি বিড়াল কে ভয় পায়।
কাঠপিঁপড়ে—(১) কাঠপিঁপড়ে লাল এবং কালো রঙের হয় (২) কাঠপিঁপড়ে থাকে।
(১) হাতির লম্বা লম্বা দাঁত থাকে। (২) হাতি গাছের ডাল-পালা খায়।
পাখি-(১) পাখি দুটি ডানা আছে (২) পাখি ঠোঁট দিয়ে খায়।
১০। নীচের ছকে ঠিক মতো '√' বা 'x' চিহ্ন দাও :
উত্তর -(এগুলি নিচে রাইট চিহ্ন দিয়ে দাও)
চারটি পা আছে- হাতি, হরিণ , পাখি , কাঠবিড়ালি।
লেজ আছে- হাতি, হরিণ, কাঠবিড়ালি।
ঘাস খায়-হাতি, হরিণ ।
পালক আছে- পাখি।
শিং আছে- হরিণ।
১১. নীচের ছবিগুলির তলায় গল্প থেকে ঠিক বাক্য খুঁজে নিয়ে লিখে কাহিনিটি সম্পূর্ণ করো :
১১.১ কোমরে সুতো বেঁধে একটি
পাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
১১.২ মেয়েটির ডান হাতে কাঠপিঁপড়ে কামড়ানোয় বাম হাত থেকে কাটারিটি পড়ে গেল।
১১.৩ কাটারি পড়ে কাঠবেড়ালির লেজ কেটে গেল।
১১.৫ হরিণের দৌড়াদৌড়িতে পাখির বাসা ও ডিমগুলো ভেঙে গেল।
১১.৪ কাঠবেড়ালি গাছ থেকে ফল
হরিণের মাথায় ফেলেছিল।
১১.৬ হাতি তার শুঁড় দিয়ে গাছের
ডাল-পা ভেঙে খাচ্ছিল। ছোটো পাখিটা তার কানের মধ্যে ঢুকে পড়ল।
১১.৭ হাতিটি ধানের ক্ষেতে
দৌড়াদৌড়ি করছিল।
হাতে কলমের বাইরে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর ●
প্রশ্ন:- পাহাড়ি নদীটি কখন এবং কীভাবে বয়ে চলে?
উঃ। বর্ষায় তিরতির করে পাহাড়ি নদীটি বয়ে চলে।
প্রশ্ন:- নদীটির জ্বলে কী ছিল?
উঃ। নদীটির জলে ছোটো ছোটো মাছ ছিল।
প্রশ্ন:- কিশোরী মেয়েটিকে কে কামড়ে দিয়েছিল?
উঃ। একটি কাঠপিঁপড়ে কিশোরী মেয়েটাকে কামড়ে দিয়েছিল।
প্রশ্ন:- কীসের আঘাতে কাঠবেড়ালির লেজ কেটে গিয়েছিল?
উঃ। কাটারির আঘাতে কাঠবেড়ালির লেজ কেটে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- গ্রামগুলি কোথায় ছিল?
উঃ। বনের মধ্যে এদিকে-ওদিকে গ্রামগুলি ছিল।
প্রশ্ন:- গ্রামে কারা থাকত?
উঃ । গৃহস্থ মানুষরা গ্রামে থাকত।
প্রশ্ন:- ছোটো ছোটো পাখির বাসাগুলি কোথায় ছিল?
উত্তর-ছোটো ছোটো পাখির বাসাগুলি ছিল ঝুরো মাটির মধ্যে।
প্রশ্ন:- কে কী দিয়ে গাছের ডালপালা ভেঙে খাচ্ছিল?
উঃ- হাতি তার প্রকাণ্ড শুঁড় দিয়ে গাছের ডালপালা ভেঙে খাচ্ছিল।
প্রশ্ন:- ছোটো পাখি কার কানে ঢুকে পড়েছিল।?
উত্তর- ছোটো পাখি হাজির কানে ঢুকে পড়েছিল।
প্রশ্ন:- হাতিটি ফুটতে ফুটতে কোথায় এসে থেমেছিল।
উঃ। এক চাষির ফসলের ক্ষেতে এসে থেমেছিল।
প্রশ্ন:- কে কী দিয়ে কাঠপিঁপড়ের কোমর বেঁধেছিল?
উত্তর; কিশোরীটি একটি সুতো নিয়ে কাঠপিঁপড়ের কোমর বেঁধেছিল।
প্রশ্ন:- সব নষ্টের গোড়ায় কে ছিল?
উত্তর-কাঠপিঁপড়ে।
প্রশ্ন:- গ্রামের গৃহস্থ মানুষদের কীভাবে দিন চলত?
উত্তর- বনের মধু খেয়ে, কাঠ কেটে গ্রামের গৃহস্থ মানুষদের দিন চলত।
প্রশ্ন:- কীভাবে ছোটো পাখির বাসা ভেঙে গেল?
উত্তর- হরিণ ছুটে যাবার সময় পায়ের চাপে ভেঙে গেল।
প্রশ্ন:- কুরো মাটির মধ্যে ছোটো ছোটো পাখির বাসা ছিল। হরিণের ছুটে যাবার সময় পায়ের চাপে
ভেঙে গেল।
প্রশ্ন:- কিশোরীটির হাত থেকে কাটারিটি পড়ে গিয়েছিল কেন?
ইয়। বাঁ হাতে কাটারি ধরে ডান হাত দিয়ে কিশোরীটি গাছের শুকনো ডাল ভাঙছিল। সেই সময় কাঠপিঁপড়েটি তার হাতে কামড়ে দিয়েছিল। তখন যন্ত্রণা হওয়ায় তার হাত থেকে কাটারিটা পড়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- কাঠপিঁপড়েকে ঝুলিয়ে রাখার ফলে কী হয়েছিল?
উঃ। কোমরে সূতো বেঁধে কাঠপিঁপড়েকে ঝুলিয়ে রাখার ফলে সেদিন থেকে কাঠপিঁপড়ের মাঝখানের পেটটা সরু হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:- বিপরীত শব্দ লেখো :
উঃ। ছোট্ট- বড়ো
শুকনো- ভিজে
সুন্দর - কুৎসিত
সুখে- দূঃখে
ক্ষতি - লাভ
গ্রাম- শহর।