তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা জুঁই ফুলের রুমাল হাতে-কলমে অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর / juyphuler rumal class 3 question answer
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য
গল্প : জুঁইফুলের রুমাল
লেখক : কার্তিক ঘোষ
নামকরণের সার্থকতা ঃ জুঁইফুলের রুমাল গল্পটি মধ্য দিয়ে লেখক গাছের গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন এবং গাছ লাগাতে উৎসাহ দান করেছেন। এবং গাছ কাটতে বারণ করেছেন। লিপি অসীম সাহসের সাথে মল্লিকদের বাগান বাঁচিয়েছিল এবং তার পুরস্কার হিসাবে 'জুঁইফুলের রুমাল' পেয়েছিল। তাই আমার মনে হয় গল্পের নামকরণ সার্থক।
সারাংশ : গল্পে লিপি ছিল একটি সাহসী মেয়ে। সে গাছ খুব ভালোবাসে। গাছ তার কাছে প্রাণীর সমান। পাখিরা, গাছেরা তাকেও খুব ভালোবাসে। সে বাড়ির উঠানে, পুকুরধারে, রাস্তার ধারে যেখানেই জায়গা পায়, সেখানেই গাছ লাগায়। কিন্তু সে হঠাৎ জানতে পারে মল্লিকবাবূদের বাগানে বড়ো বড়ো বাড়ি উঠবে। সব গাছ কাটা হবে। তখন সে মনে মনে খুব কষ্ট পায়।
সে ভাবলো মল্লিকদের বাগানের সব গাছ কাটা হয়ে গেলে বাগানে কিছুই থাকবে না এবং প্রচুর পাখিরা বাসা হারাবে। তখন লিপি তার বন্ধু বিটু, লুসি, টুসি, পল্টন, সুধাদিদিদের নিয়ে চুপিচুপি পরামর্শ করে। কিন্তু যেদিন কাঠুরেরা বাগানের গাছ কাটাতে এসেছিল, সেদিন লিপিরা সবাই একটা করে গাছকে জড়িয়ে ধরে প্রতিবাদ শুরু করে। তারা সরকারের লোকজনদের গাছ কাটতে বাধা দেয়। ওদিকে মল্লিকবাবুর বড়ো ছেলে পুলিশে খবর পাঠায়। কিন্তু বড়ো দারোগা উলটে লিপিদেরই সাহায্য করেন। তিনি গাছ কাটতে বাধা দেন এবং লিপিদের সবাইকে চকোলেট দেন। অন্যদিকে পাখিরা নিজেদের বাসা ফিরে পায়। বাবুইগিন্নি লিপিদের প্রত্যেকের জন্য একটা করে জুঁইফুলের রুমাল বুনে তাদের উপহার দেয়।
শব্দার্থ : ডগমগ—মাতোয়ারা।
কাঁচামিঠে—কাঁচা হলেও স্বাদে মিঠে।
বিদঘুটে—বদখত, ছন্নছাড়া।
মুড়িয়ে দেওয়া -ন্যাড়া করা।
ড্রয়িং খাতা – ছবি আঁকার খাতা।
নেমন্তন্ন—আমন্ত্রণ, দাওয়াত।
বড়ো দারোগা — থানার বড়োবাবু।
ঝাপসা — অস্পষ্ট।
গিন্নি—গৃহিণী, বউ।
মুচকি—মৃদু।
বাবুই পাখি : ছোটো একধরনের পাখি। এরা ভালো বাসা বানাতে পারে, তাই এদের শিল্পী পাখি বলে।
চিপকো আন্দোলন : লিপিরা গাছকে জড়িয়ে ধরে গাছ কাটা আটকে ছিল। ঠিক এভাবেই ১৭৩১ সালে রাজস্থানের যোধপুরের কাছে খেজারলি গ্রামে বিশনোই সম্পদায়ের ৩৬৫ জন মানুষ অমৃতা দেবীর নেতৃত্বে এভাবেই গাছ কাটায় বাধা দেন। আবার ১৯৭৪ সালে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল অঞ্চলের চামোলি জেলায় রেনী গ্রামের মানুষরা এভাবেই আন্দোলন করে গাছ বাঁচিয়েছিল। “চিপকো' কথার অর্থ ‘জড়িয়ে ধরা’। তাই একে চিপকো আন্দোলন বলা হয়।
হাতে কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ লিপিকে দেখলে কারা খুশি হয়?
উঃ। লিপিকে দেখলে গাছেরা এবং পাখিরা খুশি হয়।
১.২ খুশি হয়ে তারা কী করে?
উঃ। খুশি হয়ে তারা গাছেরা পাতায় পাতায় হাততালি দিয়ে, ডাল দুলিয়ে, ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করে এবং পাখিরা নানারকম শব্দ করে আনন্দ করে।
১.৩ লিপিদের বাড়ি কোথায়?
উঃ। লিপিদের বাড়ি এগরায়।
১.৪ বাড়ির পাশের বাগানটা কাদের?
উঃ। বাড়ির পাশের বাগানটা মল্লিকবাবুদের।
১.৫ লিপি কখন বাগানে যায় ?
উঃ ইস্কুল ছুটি হলেই লিপি বাগানে চলে যায়।
১.৬ তার সঙ্গে কে কে থাকে?
উঃ। তার সঙ্গে কখনও টুলি বা দোলন আবার কখনও সুধাদিদি বা বিষ্ণু থাকে।
১.৭ চারাগাছ কোথায় খুশিতে হিলহিলিয়ে ওঠে?
উঃ। যেখানে ভালো জল, হাওয়া, আলো সেখানেই চারাগাছ খুশিতে হিলহিলিয়ে ওঠে।
১.৮ লিপি কোথায় কোথায় লুকিয়ে লুকিয়ে গাছ বসায় ?
উঃ। লিপি কারও উঠোনে, পুকুরের ধারে, রাস্তার পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে গাছ বসায়।
১.৯ মাঝিপাড়ার ছাগল তিনটে বিদঘুটে কেন?
উঃ। মাঝিপাড়ার ছাগল তিনটে বিদঘুটে কারণ, এরা গাছের চারা দেখলেই মুড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ খেয়ে ফেলে।
১.১০ বাগানের খরগোশ দুটো কেমন?
উঃ। বাগানের খরগোশ দুটো খুব ভালো কিন্তু ভীতু।
১,১১ ড্রয়িং খাতায় লিপি কী-সব ছবি এঁকেছে।
উঃ। ড্রয়িং খাতায় লিপি অনেকরকম রংবেরঙের গাছের সব ছবি এঁকেছে।
১.১২ কাঠবেড়ালি বউ কোথা থেকে কী শুনেছিল?
উঃ। কাঠবেড়ালি বউ শানুদের বাড়ি থেকে শুনেছিল যে মল্লিকদের বাগানে আকাশছোঁয়া বাড়ি উঠবে, সব শহর হয়ে যাবে।
১.১৩ শানুর বাবা কী বলেছিলেন ?
উঃ। শানুর বাবা বলেছিলেন মল্লিকবাবুদের বাগানে আকাশছোঁয়া বাড়ি উঠবে। গাছপালা, পুকুর আর কিছু থাকবে না, সব শহর হয়ে যাবে।
১.১৪ কাদের দেখে পাখিরা চেঁচিয়েমেচিয়ে উঠল।
উঃ। শহুরে মানুষদের দেখে পাখিরা চেঁচিয়েমেচিয়ে উঠল।
১.১৫ লিপি কাদের কানে কানে কথা বলেছিল?
উঃ। লিপি সুধাদিদি, লুসি, টুপাই আর টুসিকে কানে কানে কথা বলেছিল।
১.১৬ কাঠুরেরা এলে লিপিরা কী করল?
উঃ। কাঠুরেরা এলে লিপিরা সবাই একটা একটা করে গাছকে জড়িয়ে ধরে কাঠুরেদের গাছ কাটার বাধা দিল।
১.১৭ কে পুলিসে খবর দিল?
উঃ। মল্লিকবাবুর বড়ো ছেলে পুলিশে খবর দিল।
১.১৮ কে লিপিদের উপহার দিতে চাইল?
উঃ। প্রথমে পুলিশ এবং তারপর টিয়া, বাবুই লিপিদের উপহার দিতে চাইল।
১.১৯ বাবুইগিন্নি কী উপহার দিয়েছিল?
উঃ বাবুইগিন্নি প্রত্যেককে একটা করে জুঁইফুলের রুমাল বনে দিয়েছিল।
১.২০ জুঁইফুল কোন্ ঋতুতে ফোটে?
উঃ। জুঁইফুল গ্রীষ্মকালে ফোটে।
১. নীচের শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে ঠিক স্তম্ভে বসাও :
শব্দঝুড়ি
শাল, শালিক, বাবুই, কদম, ছাতারে, বেনেবউ, আকাশমণি, কৃষ্ণচূড়া, জামরুল, সেগুন,
টিয়া, কৃষ্ণচূড়া, জামরুল, চন্দনা, কামরাঙা, জাম, বকুল, চাঁপা, সেগুন, জাম, টুনটুনি, বকুল, কামরাঙা, আম।
উঃ ।
গাছ
শাল, কদম, আকাশমণি,কৃষ্ণচূড়া, জামরুল, সেগুন, কামরাঙা, জাম, বকুল, চাঁপা, আম।
কামরাঙা, আম।
পাখি:-
শালিক, বাবুই, ছাতারে,
বেনেবউ, টিয়া, চন্দনা, টুনটনি।
২. গাছ কাটার ব্যাপারে লিপি আর বিট্টু তাদের বন্ধুদের আগেই কানে কানে কিছু কথা বলে এসেছিল। কে কাকে বলেছিল মনে রেখে নির্দিষ্ট খোপে তাদের নাম বসাও।
সুধাদিদি টুসি
\ /
লিপি
/ \
লুসি টুপাই
পিকুদিদি দোলন
/
/ বাচ্চুদাদা
বিট
পম্পি "/ \ পল্টন
\ টাবলু
/ \ গাবলু
লুসি |ছোটন
৩. এই গল্পে মোট চারটি পশুর নাম আছে, কাঠবেড়ালি, ছাগল, খরগোশ আর পুষি বেড়াল। এদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে একটি করে বাক্য লেখো।
উঃ। কাঠবেড়ালি-কাঠবেড়ালি গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। গাছের ফল খায়।।
ছাগল-ছাগল গৃহপালিত পশু। এরা ঘাসপাতা খায়। মানুষ মানুষের জন্য ছাগল প্রতিপালন করে।
খরগোশ—খরগোশ খুব দ্রুত চলাফেরা করতে পারে। সাধারণ দেখতে হয়।
পুষি বেড়াল—পুষি বেড়াল ঘরে পোষা হয়, এরা দুধভাত, মাছ খায়। এরা মুখে মিউ শব্দ করে।
৪. এই গল্পে যে সব গাছ আর পাখির নাম আছে, তাদের নিয়েও একটি করে বাক্য লেখো। এছাড়াও তোমার জানা আরও কিছু গাছ আর পাখির নাম লেখো।
উঃ। পাখি :
চুড়ুই-এই পাখি খুব ছোট্ট হয় । ঘরের আনাচে-কানাচে বাস করে।
পায়রা- এই পাখি মাঝারি সাইজের হয় । এরা ঘরের ফোকরে বাস করে।
শালিক—শালিক পাখি আকারে ছোটো। এদের প্রায় জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায় ।
বাবুই—বাবুই খুব ভালো বাসা বানায়, তাই এদের শিল্পী পাখি বলে।
বেনেবউ—বেনেবউ পাখি খুব সুন্দর ডাকতে পারে।
টিয়া—সবুজ রঙের টিয়া খুব সুন্দর দেখতে হয়। এদের ঠোঁট লাল হয়।
চন্দনা –চন্দনা পাখিকে কথা শেখালে কথা বলতে পারে।
টুনটুনি—টুনটুনি পাখি আকারে খুব ছোটো হয়।
ছাতারে—এরা চড়ুই জাতীয় কিন্তু আকারে একটু বড়ো ও ধূসর রঙের পাখি বিশেষ।
[ গাছ : শাল—শাল গাছে পচা ফুল ফল সবই খুব মূল্যবান।
সেগুন—সেগুন গাছের কাঠ ঘরের আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
কদম—কদম গাছে বর্ষাকালে বলের মতো দেখতে হলদে ফুল হয়।
কৃষ্ণচূড়া – কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল রঙের সুন্দর ফুল হয়।
আকাশমণি—আকাশমণি গাছের পাতাগুলো লম্বাটে ধরনের হয়।
জামরুল— জামরুল গাছে সাদা জামরুল ফুল হয়।
জাম—জামগাছে ছোটো ছোটো কালো রঙের রসালো ফল হয়।
বকুল-বকুল গাছের ফলের বীজ দিয়ে ভালো শীষ বাজানো যায়।
চাঁপা-চাপাগাছে সুগন্ধী ফুল হয়।
কামরাঙা- কামরাঙা গাছে টক ফল হয়।
আম—আমগাছ খুবই পরিচিত। আম ভারতের জাতীয় ফল। এটি খুব সুমিষ্ট ও রসালো। এছাড়া
আরও কয়েকটি গাছের নাম হলো—কলাগাছ, বটগাছ, অশ্বত্থ গাছ, অর্জুন গাছ, পেয়ারা গাছ, আপেল গাছ, শিশুগাছ, মেহগনি গাছ ইত্যাদি। ।
আরও কয়েকটি পাখির নাম হলো—কাকাতুয়া, চড়াই, কাক, পায়রা, চিল, বাজ, মাছরাঙা, ঘুঘু পাখি, দোয়েল, শ্যামা,ফিঙে, কোকিল, ময়ূর ইত্যাদি।
৫. এই গল্প পড়ে লিপিকে তোমার কেমন লেগেছে? যদি ভালো লাগে তবে কেন ভালো লেগেছে বুঝিয়ে বলো।
উঃ। এই গল্পে লিপির চরিত্রটাই প্রধান। গল্পটি লিপিকেই কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। লিপি খুবই ভালো মেয়ে। সে খুবই সাহসী। সে গাছপালা খুবই ভালোবাসে। গাছপালা, বাগান, পাখিদের নিয়ে তার জীবন। সে অটুট বিশ্বাস এবং সাহসের সাথে তার বন্ধুদের সাথে মিলে মল্লিকবাবুদের বাগান বাঁচিয়েছিল। গাছপালা, পাখিরাও তাদের বাসা ফিরে পেয়েছিল।
৬. বড়ো দারোগাবাবু লোকটা কেমন?
উঃ। বড়ো দারোগাবাবু লোকটা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি লিপিদের সাথে মিলে গাছকাটা বন্ধ করেছিলেন।
লিপিদের পুরস্কার হিসাবে তিনি চকোলেট দিয়েছিলেন।
৭. নীচে এমন কয়েকজনের নাম দেওয়া হলো যারা গাছের বন্ধু, আর কয়েকজনের নাম থাকল যারা গাছের যারা বন্ধু তাদের নাম গাছের আশেপাশে লেখো, আর যারা বন্ধু নয়, তাদের নাম সরিয়ে অন্য একদিকে লেখো।
★ লিপি★মল্লিকবাবু ★টুসি ★মাঝিপাড়ার ছাগল★সুধাদিদি★বেনে বউ ★বড়ো দারোগা
★বাবুইগিন্নি★পল্টন
■বিটু
■খরগোশ
■দোলন
■কাঠবেড়ালি
■শানুর বাবা
■কাঠুরে
■গাবলু
■সেপাই
■ মল্লিকবাবুর বড়ো ছেলে
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কে হাঁ হয়ে বারান্দায় বসে থাকে?
উঃ। টুসিদের পুষি বেড়ালটা হাঁ হয়ে বারান্দায় বসে থাকে।
প্রশ্ন: এগরায় লিপিদের বাড়ির কাছে কী ছিল?
উঃ। এগরায় লিপিদের বাড়ির কাছেই মল্লিকবাবুদের পুরোনো একটি বাগান ছিল।
প্রশ্ন: গল্পে বাচ্চাদের দলের প্রধান কে?
উঃ। গল্পে বাচ্চাদের দলের প্রধান হল লিপি।
প্রশ্ন: টিয়া ও কাঠবেড়ালি কোথায় বাস করত?
উঃ। ‘টিয়া’ কদমগাছে ও কাঠবেড়ালি জামরুল গাছে বাস করত।
প্রশ্ন: মল্লিকদের বাগানে কোন্ কোন্ গাছে ভর্তি ছিল ?
উঃ। মল্লিকদের বাগানে শাল, সেগুন, আকাশমণি, আম, জাম, জামরুল, কদম, চাঁপা, কৃষ্ণচূড়া, বকুল গাছে ভর্তি ছিল।
প্রশ্ন: বাগানের কারা জানে লিপি তাদের বন্ধু?
উঃ। বাগানের বড়ো গাছ, মেজো গাছ সেজো গাছ, ছোটো গাছেদের বউ, ছেলেমেয়ে, নাতিপুতি মানে ছোটো ছোটো গাছের চারারাও জানে লিপি তাদের বন্ধু।
প্রশ্ন: লিপি তার বন্ধুদের কী দেয় ?
উঃ। লিপি তার বন্ধুদের কাউকে দেয় কৃষ্ণচূড়ার চারা, কাউকে দেয় বকুল বিচি।
প্রশ্ন: লিপির বাবা কোথায় কাজ করে?
উঃ। লিপির বাবা চাষের জমিতে কাজ করে।
প্রশ্ন: বিট্টুকে দেখে কারা ছুটে পালায়?
উঃ। খরগোশগুলো বিটুকে দেখে ছুটে পালায়।
প্রশ্ন: . পুলিশ দারোগা লিপিদের কী উপহার দিয়েছিল?
উঃ। পুলিশ দারোগা লিপিদের দুটো করে চকোলেট উপহার দিয়েছিল।
প্রশ্ন: দারোগা লিপিকে কী বলেছিলেন ?
উঃ। বড়ো দারোগা লিপির দু-কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন আমার হুকুমে কেউ এখান থেকে তোমার একটা গাছও কাটতে পারবে না।
প্রশ্ন: খরগোশ দুটো কী দেখেছিল ?
উঃ। খরগোশ দুটো দেখেছিল অচেনা দুটো লোক গাছেদের গায়ে চকখড়ি দিয়ে কী যেন লিখছে।
প্রশ্ন: মল্লিকবাবুদের বাড়ি কী জানত?
উঃ। মল্লিকাবাবুদের বাড়ি শুধু জানতে শহর থেকে কাঠুরেরা কবে আসবে।
প্রশ্ন: জুই ফুলের রুমাল পল্পটি কার লেখা?
উঃ । জুই ফুলের রুমাল গল্পটি কার্তিক ঘোষের লেখা।
প্রশ্ন: তারপর এদিক থেকে খবরটা ওদিকেও ছড়িয়ে পড়ল হঠাৎ।-- কোন খবর কীভাবে ছরিয়ে পড়ল তা লেখো।
উঃ। মল্লিকবাবুদের বাগানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি উঠবে এই কথাটি ছিল খবর। এই কথাটি প্রথম কদমগাছের টিয়া আর জামরুল গাছের কাঠবেড়ালি বউ শুনে এল শানুদের বাড়ি থেকে। শানুর বাবা বলছিলেন কথাটা। পরেরদিন ঘাস
খেতে বেরিয়ে খরগোশ দুটোও দেখল অচেনা কটা লোক গাছেদের গায়ে চকখড়ি দিয়ে কী যেন সব লিখছে। টিয়া।সবাইকে খবরটা শোনাল। কাঠবেড়ালি বউ আসল কথাটা বলতে গিয়ে চিকচিক করে কেঁদে ফেলল। তারপরই খবরটা এদিক থেকে ওদিকে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ল।
প্রশ্ন: বড়ো দারোগা এসে কী করলেন?
উঃ। শহর থেকে কাঠুরেরা গাছ কাটতে এলে লিপি, টুসি, বিট্টুরা একটা করে গাছকে জড়িয়ে ধরে সবাই দাঁড়িয়ে পড়ল। তা দেখে মল্লিকবাবুর বড়ো ছেলে পুলিশে খবর পাঠাল। খবর শুনে বড়ো দারোগা নিজেই এলেন। বাগান জুড়ে ছোটোদের দেখে তিনি হো হো করে হেসে ফেললেন এবং বললেন যে না, তিনি তাদের ধরতে আসেননি। লিপির কাঁধে হাত রেখে তিনি বললেন আমার হুকুম কেউ তোমাদের একটা গাছও কাটতে পারবে না। এরপর বড়ো দারোগা একজন সেপাইকে ডেকে সবার জন্য দুটো করে চকলেট নিয়ে আসতে বললেন।
প্রশ্ন: পাখিরা শেষে কী করল ?
উঃ। পাখিরা গাছের ডালে ডালে বসে ছিল। তারা গাছ কাটা বন্ধ হলো দেখে আনন্দ পেল। টিয়া প্রশ্ন করল আমরা ওদের কিছু দেব না? বাবুই গিন্নি মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ দেব। যাও তোমার যে যত পারো জুঁইফুল তুলে নিয়ে এসো। বেনেবউ প্রশ্ন করল অত ফুল দিয়ে কী হবে? বাবুইগিন্নি মুখের ভাবখানা বড়ো দারোগার মতো করে বললে ওদের জন্য ছোটো ছোটো রুমাল বুনে দেব।
বিষয়ক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: বিপরীত শব্দ :
বন্ধু—শত্রু।
কষ্ট—আরাম।
খুশি—অখুশি।
ভালো-মন্দ।
ভীতু—সাহসী।
শহর-গ্রাম।
আচেনা চেনা।
ঝাপসা – স্পষ্ট।
প্রশ্ন: এলোমেলো শব্দগুলো সাজিয়ে লেখো :
খগোরশ, গাদারো, মরাকাঙা, ঘুবিদটে, লরুমা, চিকিচিমি, বিকালড়াঠ, লিততাহা, নিটুটুন।
উঃ। খরগোশ, দারোগা, কামরাঙা, বিদঘুটে, রমাল, কিচিমিচি, কাঠবিড়াল, হাততালি, টুনটুনি।
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ লেখো : পাখি, বন্ধু, খরগোশ, বাড়ি, চোখ, ফুল।
উঃ। পাখি—বিহঙ্গ। বন্ধু—মিত্র, সখা। খরগোশ—শশক। বাড়ি—আলয়, নিবাস। ফুল— পুষ্প, প্রসূণ, কুসুম।
প্রশ্ন: ঠিক উত্তরের পাশে (√) এবং ভুলের পাশে (x) চিহ্ন দাও
(ক) লিপি ও তার বন্ধুরা গাছ কেটে ফেলত। (খ) মল্লিকবাবুদের বাগানে শহর হবে, বাড়ি হবে।
(গ) লিপিরা গাছগুলোকে জড়িয়ে ধরেছিল।
(খ) দারোগা গাছকাটার নির্দেশ দিয়েছিল।
(ঙ) মাঝিপাড়ার ছাগলগুলো বিদঘুটে ছিল।
উঃ। (ক) X (খ) / (গ) √(ঘ) X (3) £