'ঢেউয়ের তালে তালে' হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর তৃতীয় শ্রেণি / dheuer tale tale class 3 bangla wbbse
![]() |
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
ভ্রমণ কাহিনি : ঢেউয়ের তালেতালে
লেখক : পিনাকীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
নামকরণের সার্থকতা লেখ : আলোচ্য পাঠ্যাংশে লেখক এবং ডিউকের আন্দামান যাত্রার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
ঢেউয়ের তালেতালে লেখক এবং তাঁর সঙ্গীর দুঃসাহসিক আন্দামান যাত্রার বর্ণনা পুরো গল্পটি জুড়ে রয়েছে। তাই গল্পের নামকরণ সার্থক হয়েছে।
সারাংশ : ঢেউয়ের তালেতালে লেখক এবং তার সঙ্গী ‘আংরে'-তে করে এগিয়ে চলেছেন আন্দামানের পথে।
ভারত মহাসাগর দিয়ে এগিয়ে চলেছে তাঁদের ‘আংরে’। তাঁদের নৌকার পিছনে একটা (বিরাট) কচ্ছপ চলেছে কিন্তু তবুও তাঁদের দুজনের মন খারাপ, কারণ ছোট্ট পাখিটা আজ আসেনি। ডিউক সেক্সটান্ট বের করে দেখলেন তাঁরা ঠিক পথেই চলেছেন। মন ভালো করার জন্য লেখক তারপর গলা ছেড়ে বেসুরো গলায় গান করলেন এবং এরপর তাঁরা দুজন রসগোল্লা খেলেন। দুপুরের ভরা পেট খাওয়ার পর তাঁদের আংরের দাঁড় টানা চলল হু-হু করে।..... ঘুম থেকে উঠে লেখককে আবার অসহ্য কাজ করতে হত রান্না। নৌকার অবস্থা খুবই অগোছালো। তাঁরা
কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর আবার একটা কচ্ছপের সাথে তাঁদের দেখা, সে আংরের পিছনে পিছনে ধীরে সুস্থে চলেছে। সত্যি আজ
যেন আহরের চারধারে চিড়িয়াখানা বসেছে। নানা রঙের মাছেরা আংরের চারপাশে ভীড় করেছে। তাঁরা দুজনে শত চেষ্টা করেও একটাও মাছ ধরতে পারলেন না। এরপর দুজনে স্নান করেন। নৌকার চারপাশে হাঙর তাড়াবার কালি ছিটোলেন। হঠাৎ ডিউকের ধাক্কায় লেখক ঘুম ভেঙে উঠে দেখলেন বিরাট একটা মাছ আর কচ্ছপের লড়াই চলছে। তাঁরা দ্রুত আংরেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেলেন।
অভিযান প্রসঙ্গ ঃ ১৯৬৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লেখক পিনাকীরঞ্জন, অ্যালবার্ট জর্জ ডিউক-এর সাথে 'কনৌজি। আংরে" নামক একটা ডিঙি নৌকায় কলকাতা থেকে আন্দামান যাত্রা করেন। ৩৩ দিন পর ৫ মার্চ তিনি আন্দামান পৌঁছান।
এই পুরুসাহসিক সমুদ্রযাত্রার জন্য তিনি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
শব্দার্থ : আহরে-ছোটো ডিঙি নৌকা বিশেষ। ভাব-সখ্য।
উত্তেজনা - অস্থিরতা।
খটকা — খুঁতখুঁতে ভাব।
অকারণে- কোনো কারণ ছাড়াই।
হেলান -ঠেস দেওয়া।
দর্শনীয় -দেখার মতো জিনিস।
অনুকূল – সহায়, সাহায্য করে
এমন। শোভা-প্রবাহ।
সাংঘাতিক – ভয়ানক।
বিপর্যস্ত - বিশৃঙ্খল অবস্থা।
আবেগ—মনের বিশেষ ভাব ।
দাঁড়-নৌকার একটি বিশেষ অংশ, যা টেনে নৌকা এগোতে হয়।
অগোছালো এলোমেলো।
কেলেঙ্কারি – অনৈতিক বা বাজে কোনো কাজ। দর্শনীয় দর্শনের যোগ্য এমন।
১. এককথায় উত্তর দাও :
১.১ অভিযানে লেখকের সঙ্গীর নাম কি?
উঃ। অভিযানে লেখকের সঙ্গীর নাম অ্যালবার্ট জর্জ ডিউক।
১.২ অভিযানের নৌকাটির নাম কী?
উঃ। অভিযানের নৌকোটির নাম 'কনৌজ আংরে’।
১.৪ লেখকের অভিযানের গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল?
উঃ। লেখকের অভিযানের গন্তব্যস্থল ছিল আন্দামান।
১.৩ নৌকোটি কোন্ মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ?
উঃ । নৌকোটি ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
১.৫ ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিল কেন?
উঃ । ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিল কারণ, লেখক যখন কচ্ছপটাকে ব্যাটারি ছুঁড়ে মেরেছিলেন, তখন সে আদর করছে ভেবে তার দিকে এগিয়ে এসেছিল।
১.৬ দুপুরবেলায় মাছের সঙ্গে কার লড়াই চলছিল ?
উঃ। দুপুরবেলায় মাছের সাথে ডিউক এবং লেখকের লড়াই চলছিল।
১.৭ আংরের চারধারে যে চিড়িয়াখানা তৈরি হয়েছিল তাতে কারা ছিল সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু?
উঃ। আংরের চারধারে যে চিড়িয়াখানা তৈরি হয়েছিল তাতে সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু ছিল নানা রঙের মাছেরা।
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ জল কেটে এগিয়ে চলেছে.......।
উত্তর- আংরে
২.২ আজ সকাল থেকে একটা..………চলেছে আমাদের পেছনে পেছনে।
উত্তর-কচ্ছপ
২.৩ আবার .......….নিয়ে বসেছে ডিউক ।
উত্তর-সেক্সটান্ট
২.৪ ..........খাওয়া যাক।
উত্তর-রসগোল্লা
২.৫ পিঁপড়েকে এখানে আসতে হলে প্রায়......….মাইল সাঁতরে আসতে হবে।
উত্তর-২০০
২.৬ চারধারে.........ফুঁসছে।
উত্তর- জল
২.৭ হঠাৎ আওয়াজ করে........ ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে।
উত্তর-ডিউক
৩. টীকা লেখো :
উঃ। সেক্সটান্ট ঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের কৌণিক উচ্চতা মাপা হয়, তার নাম সেক্সটান্ট।
কনৌজি আংরে : ১৯৬৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লেখক এবং ডিউক যে ডিঙি নৌকা করে আন্দামানের অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন, তার নাম ছিল কনৌজি আংরে।
চিড়িয়াখানা : চিড়িয়াখানা হল সেই জায়গা সেখানে বিভিন্ন পশু, পাখিদের রাখা হয়। এখানে বাঘ, সিংহের মতো বিশেষ ভাবে রাখা হয়।
রসগোল্লা ঃ রসগোল্লা একধরনের মিষ্টি। এটি ছানা দিয়ে তৈরি হয়। এটি আকৃতিতে গোলাকার।
অভিযান ঃ অভিযান বলতে বোঝায় কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। যেমন—দেশ জয়, আবিষ্কার করা।
৪. বাক্য তৈরি করো :
সমুদ্র—আমাদের দেশের দক্ষিণ দিকে সমুদ্র আছে।
কচ্ছপ-কচ্ছপ হল জলের জীব।
নৌকো- নদী পর হতে নৌকো লাগে।
পিঁপড়ে-পিঁপড়ে গর্তের ভিতরে বাস করে।।
সাঁতার -- আমি নদীতে সাঁতার কাটি।
ঘুড়ি-নদী মেলায় অনেক ঘুড়ি উড়ে।
৫. বিপরীতার্থক শব্দটি লেখো
বিরাট -ক্ষুদ্র।
পেছনে সামনে।
বন্ধ - খোলা।
ঠিক-ভুল।
দিন-রাত।
৬. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও ঃ
৬.১ মনে করো, নৌকো চেপে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছ—যাওয়ার সময় যা যা দেখতে পাবে না লেখো।
উঃ। নৌকা করে বেড়াতে গেলে জলের মাছ, পানকৌড়ি, বক দেখতে পাব। এছাড়া নদীর বুকে অনেক ডিঙ্গি,নৌকা দেখতে পাব। তাছাড়া নদীতীরের গাছপালা, পরিবেশ এসবই দেখতে পাব। অনেক জেলে দেখতে পাব।
৬.২ ভারতবর্ষের মানচিত্রে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, কলকাতা, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণভাগে অবস্থিত। এছাড়া ভারতবর্ষের পূর্বদিকে বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণদিকে ভারত মহাসাগর
উঃ। ভারতবর্ষের পূর্বদিকে বঙ্গোপসাগরে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। কলকাতা ভারতবর্ষের পূর্বদিকে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত
৬.৩ অভিযান কাকে বলে? শিক্ষিকা/শিক্ষক মহাশয়ের কাছ থেকে যে-কোনো একটি পর্বতশৃঙ্গে অভিযান বা একটি মহাকাশ অভিযানের গল্প জেনে নিয়ে, সে সম্পর্কে চার-পাঁচটি বাক্য লেখো।
উঃ। অভিযান হল অজানা বা দুর্গম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রোমাঞ্চকর যাত্রা। এই অভিযানে এক বা একাধিক মানুষ থাকতে পারেন। এটা সাধারণত দীর্ঘদিনের হয়।
প্রথম চন্দ্র অভিযান : নীল আর্মস্ট্রং প্রথম ব্যক্তি যিনি চাঁদের মাটিতে পা দিয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ‘কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র’ থেকে ‘অ্যাপেলো-১১' নামে চন্দ্রযান চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিল।
এরপর ২০ জুলাই ১৯৬৯ সালে ওই চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা দেয়। নীল আর্মস্ট্রং প্রথম ব্যক্তি হিসাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিলেন। এই অভিযানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডুইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। এই অবিশ্বাস্য অভিযান পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
৬.৪ পাঁচটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখো।
উঃ। পাঁচটি সামুদ্রিক প্রাণী হলো : হাঙর, নীল তিমি, শুশুক, জেলিফিশ এবং অক্টোপাস।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ‘পিঁপড়েদের নৌকায় আসতে হলে কত মাইল সাঁতরাতে হবে?
উঃ। পিঁপড়েদের নৌকায় আসতে হলে ২০০ মাইল সাঁতরাতে হবে।
প্রশ্ন- ‘রান্না করা লেখকের কাছে কেমন ব্যাপারটা ছিল?
উঃ। লেখকের কাছে রান্না করা ছিল এক অসহ্য ব্যাপার।
প্রশ্ন- ‘আংরের চারধারে কেমন ঢেউ ছিল?
উঃ। আংরের চারধারে পাহাড়ের মতন ঢেউ ছিল।
প্রশ্ন- ‘লেখকের বমি হওয়ার উপক্রম কেন হয়েছিল ?
উঃ। লেখক সমুদ্রের জল দিয়ে চা বানিয়েছিল। সেই চা খেয়ে লেখকের বমি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
প্রশ্ন- ‘ঢেউ-এর তালে তালে' কার লেখা?
উঃ। পিনাকীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
প্রশ্ন- ‘লেখকদের নৌকার পিছনে কোন প্রাণী চলেছিল ?
উঃ। লেখকদের নৌকার পিছনে একটা বিরাট কচ্ছপ চলেছিল।
প্রশ্ন- ‘কে গলা ছেড়ে গান গেয়েছিলেন?
উঃ । লেখক গলা ছেড়ে গান গেয়েছিলেন।
প্রশ্ন- ‘গল্পে উল্লিখিত পাঁচটি প্রাণীর নাম লেখো।
উঃ। গল্পে উল্লিখিত পাঁচটি প্রাণী হল কচ্ছপ, হাঙর, শুশুক, পিঁপড়ে এবং পাখি।
প্রশ্ন- ‘কী খুঁজতে লেখকের আধখণ্টা লেগেছিল ?
উঃ। একটা জমানো দুধের ক্যান খুঁজতে লেখকের আধঘণ্টা লেগেছিল।
প্রশ্ন- ‘লেখক কী ছুঁড়ে কচ্ছপকে মেরেছিলেন?
উঃ। একটা টর্চের ব্যাটারি ছুঁড়ে লেখক কচ্ছপকে মেরেছিলেন।
প্রশ্ন- ‘ হাঙড় তাড়াতে লেখক ও তার সঙ্গীর অস্ত্র কী ছিল?
উঃ। হাঙর তাড়াতে ‘হাঙর তাড়ানোর কালি' ছিল লেখকদের অস্ত্র।
প্রশ্ন- লেখকের কী ভাবতে ভালো লাগছিল ? এরপর তিনি কী করলেন?
উঃ। লেখকের ভাবতে ভীষণ ভালো লাগছিলো যে অনেকদিন ধরে বিপর্যস্ত হবার পর আজ তারা ঠিক পথ পেয়েছেন
প্রশ্ন- ‘গল্পে উল্লিখিত তিনটি খাদ্যবস্তুর নাম লেখো।
উঃ। গল্পে উল্লিখিত তিনটি খাদ্যবস্তু হল চা, দুধ এবং রসগোল্লা।
প্রশ্ন- ‘লেখক কী খাচ্ছিলেন?
উঃ । লেখক টিনে ভরা রসগোল্লা খাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন- ‘লেখকের সঙ্গী ডিউক কেন হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিল?
উঃ। লেখক ও তার সঙ্গী ডিউক টিনে ভরা রসগোল্লা খাওয়ার পর লেখক টিনটাকে জলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং।সেই সময় দু-এক ফোঁটা রস লেখকের গায়ে পড়ল। গায়ে পিঁপড়ে উঠবে ভেবে অভ্যাসমত লেখক তাড়াতাড়ি সমুদ্রের জল দিয়ে রস ধুয়ে ফেললেন দেখে ডিউক হেসে গড়িয়ে পড়েছিল। সে হাসছিল কারণ তারা ছিল সমুদ্রের মাঝে নৌকায় ৷
সেখানে আসতে হলে পিঁপড়েকে ২০০ মাইল পথ সাঁতরে আসতে হবে, যা কখনোই সম্ভব নয়।
প্রশ্ন- ‘দুপুরে কী সাংঘাতিক কাণ্ড হল ?
উঃ। দুপুরের দিকে লেখকের একটু ঢুলুনি এসেছে, এমন সময় ডিউকের ধাক্কায় লেখকের ঘুম ভেঙে গেল। তিনি দেখলেন সমুদ্রের জলে এক সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটেছে, বিরাট বড়ো একটি মাছ ও একটি কচ্ছপের লড়াই চলেছে সমুদ্রের জলে।
প্রশ্ন- ‘ 'আজকে ঠিক করা হলো ধরা হবে'—কী ধরা হবে ঠিক হলো? কীভাবে ধরা বন্ধ হল।
উঃ। লেখকের নৌকা আংরের চলার পথে সবচেয়ে বড়ো দর্শনীয় বস্তু ছিল নানা রঙের মাছেরা। তাই লেখক ঠিক করেছিলেন যে মাছ ধরা হবে।কিন্তু মাছ ধরতে গিয়ে লেখক বোকা বনে গিয়েছিলেন। একটা মাছকে ধরতে গিয়েই লেখককে দুপুর অবধি পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছিল। তারপর হঠাৎ আওয়াজ করে ডিউক জলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তা দেখে লেখকের মাছ ধরা বন্ধ হল।
প্রশ্ন- ‘‘ঢেউয়ের তালে তালে' গল্পে সমুদ্রে লেখকদের সঙ্গে কচ্ছপ ছাড়া আর কার সঙ্গে ভাব জমে উঠেছিল? তার জন্য লেখকের মন খারাপ কেন ?
উঃ। ছোট্ট পাখিটার সঙ্গে ভাব জমে উঠেছিল।
লেখকের মন খারাপ কারণ সে অর্থাৎ ছোট্ট পাখিটা আর আসছে না।
প্রশ্ন। বাক্য রচনা করো :
দাঁড়—নৌকার দাঁড় টানতে টানতে রামের হাত ব্যথা হয়ে গেছিল।
ঘুম—লোডশেডিংয়ের জন্য কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি।
চিড়িয়াখানা—কলকাতার আলিপুরে একটা বড়ো চিড়িয়াখানা আছে।
দর্শনীয়—কালীঘাট মন্দির তীর্থযাত্রীদের কাছে দর্শনীয় স্থান।
কেলেঙ্কারি –রমেন বিরাট কেলেঙ্কারির দায়ে জেলে গেছে।
প্রশ্ন/বিপরীত শব্দ ঃ
বিরাট - ক্ষুদ্র
হেসে- কেঁদে
আস্তে-জোরে।
ধরা—ছাড়া।
ভয়- সাহস।
অনুকুল—প্রতিকুল।
আগোছালো — ছিমছাম।
আদর–অনাদর।
ঠিক-বেঠিক।
প্রশ্ন- সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) গল্পটি একটি (সমুদ্রাভিযান/মহাকাশ অভিযান/জঙ্গলাভিযান)।
উঃ। সমুদ্রাভিযান
(খ) গল্পে লেখকের সঙ্গীর নাম (মুউক/লিউক/
ডিউক)।
উঃ। ডিউক
(গ) লেখকরা (আন্দামানের / ভারতে/ মিজোরামে) উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।
উঃ। আন্দামানের
(ঘ) লেখক ও তাঁর সঙ্গী (রসগোল্লা/ রাজভোগ/সন্দেশ) খেয়েছিলেন।
উঃ। রসগোল্লা
(ঙ) লেখক এবং ডিউক (সাপ/পাখি/মাছ) ধরবেন ঠিক করেছিলেন।
উঃ। মাছ
(গ) লেখক পিনাকীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত-( সাঁতারু/ গায়ক /শিল্পী)
উত্তর-সাঁতারু
লেখক পরিচয় : পিনাকীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাঁতার ও দুঃসাহসিক নৌ-অভিযাত্রী। ১৯৪৬।সালে তাঁর জন্ম হয়। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজির (প্রাণী ও উদ্ভিদবর্গের জীবন-ধারা সংক্রান্ত বিজ্ঞান) অধ্যাপক ছিলেন। এর সাথে সাথে তিনি খেলাধূলার সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি পরপর দু-বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ব্লু’(পণ্ডিত) ছিলেন। তিনি এক্সপ্লোরার্স ক্লাবের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। পাঠ্যাংশটি তাঁর 'আন্দামান অভিযান' বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৩ সালেল তাঁর জীবনাবসান হয়।