চতুর্থ শ্রেণি বাংলা বনভোজন হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর /bnobhjon story question answer
![]() |
চতুর্থ শ্রেণীর রাংলা
বনভোজন
গোলাম মোস্তাফা
কবি গোলাম মোস্তাফার পরিচিতি:-
কবি গোলাম মোস্তাফার ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে জন্ম হয়। কবি গোলাম মোস্তাফা বর্তমান বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় মনোহরপুকুর গ্রামে উচ্চশিক্ষিত পরিবারে তাঁর জন্ম। গোলাম মোস্তাফা প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম ‘রূপের নেশা’। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতা গ্রন্থ ‘রক্তরাগ' প্রকাশিত হয়। । তিনি অনেকগুলি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল হাস্নাহেনা, ভাঙা বুক। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
★ বনভোজন কবিতার নামকরণ সার্থকতা
বনভোজন কবিতায় নূরু, পুষি, আয়ষা, শফি নামে খুদে মেয়েরা বোশেখ মাসের দুপুরে বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়লে আমবাগিচার তলায় বনভোজনের আয়োজন করেছে। আঁচলভরা আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, চৈত পুজোয় কেনা রঙিন খুরি, ছোট্ট বটি, ছুরি ইত্যাদি যে-যার মতো জোগাড় করেছে। কেউ হলুদ বাটল, কেউ বিনা আগুনে রান্না করে হাত পোড়াল। অবশেষে ধুলোবালির কোর্মা পোলাও আর কাদার পিঠে খেয়ে বেজায় মিঠে বলে হেসে মজা পেল। কবিতাটি সমগ্র অংশ বনভোজন কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। তাই আমার কাছে 'বনভোজন' কবিতাটির নামকরণ যথার্থ হয়েছে বলে মনে হয়।
"★ বিষয়বস্তু আলোচনা
নূর, পুরি, আরবা, শক্তি নামে ছোট্ট মেয়েরা বোশেখ মাসের দুপুরে আমবাগিচার তলায় বনভোজনের আয়োজন করেছে।
মা-বাবা ঘুমোচ্ছে। তাদের আয়োজনের কম কিছু নেই। আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন ঘুরি, ছুরি, বটি ইত্যাদি এনেছে তারা। ভাত রাঁধা, হলদি বাটা সবই হল। বিনা আগুনে হাত পুড়ল, আবার মিছিমিছি ধোঁয়াতে সকলের চোখ দিয়ে জল এলো। নূরু গিন্নি সেজে ধুলোবালির কোর্মা পোলাও আর কাদার পিঠে পরিবেশন করল। তাই খেয়ে সকালে 'বেজায় নিঠো' বলে উঠল। আর সেইসময় কবিতায় কথক তথা কবি এসে পড়লে মিষ্টি মেয়েগুলো খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়ে গোলা।
* সারমর্ম : ছোটো ছোটো মেয়েগুলি বোশেখমাসের দুপুরে আমবাগিচার তলায় মিলিত হয়েছে বনভোজন করবে বলে।
মা-বাবা ঘুমিয়েছে বলে তাদের সুবিধা হয়েছে। আঁচল ভরে আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি সবই আয়োজন করেছে তারা। তাদের ভোজের নিমন্ত্রণে আজ সকলেই ব্যস্ত।ভাত রাঁধা, হলদি বাটা সবই হল। বিনা আগুনে হাত পুড়ল, আবার মিছিমিছি ধোঁয়াতে সকলের চোখ দিয়ে জল এলো। নূরু গিন্নি সেজে ধুলোবালির কোর্মা পোলাও আর কাদার পিঠে পরিবেশন করল। তাই খেয়ে সকালে 'বেজায় নিঠো' বলে উঠল। আর সেইসময় কবিতায় কথক তথা কবি এসে পড়লে মিষ্টি মেয়েগুলো খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়ে গোলা।
হাতে-কলমে প্রশ্নের উত্তর
১. গোলাম মোস্তাফা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উঃ বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে ।
২. তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উঃ-গোলাম মোস্তাফার লেখা দুটি কবিতার বই হলো- ভাঙাবুক, বুলবুলিস্তান ।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
৩.১. কবিতাটিতে কারা খেলতে এসেছিল ?
উঃ নূরু, পুষি, আয়ষা, সফি—এই চারজন মেয়ে খেলতে এসেছিল।
৩.২. ‘বাগিচা' শব্দের অর্থ কী?
উঃবাগিচা' শব্দের অর্থ বাগান ৷
৩.৩. বান্নার জন্য তারা কী কী সঙ্গে এনেছিল?
উঃ বান্নার জন্য তারা আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, বঁটি আর ছুরি এনেছিল।
৩.৪. কবিতায় কে মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল ?
উঃ কবিতায় নুরু মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল।
৩.৫. মিছিমিছি কী কী খাবার রাঁধা হয়েছিল ?
উঃ মিছিমিছি ধুলোবালির কোর্মা-পোলাও, কাদার পিঠে ইত্যাদি খাবার রাঁধা হয়েছিল।
৩.৬. কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কে এসে পড়েছিল?
উঃ কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কবি এসে পড়েছিলেন।
৪. যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :
৪.১. কবিতাটিতে (৪/৩/৫)টি মেয়ের কথা বলা হয়েছে।
উঃ ৪টি।
৪.২. বিনা (আগুন/জল/কাদা) দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা।
উঃ আগুন।
৪.৩. (আম/জাম/চা) বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।
উঃ আম।
৫. শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও :
শব্দঝুড়ি ঃ হাঁড়ি, বোশেখ, ছুরি, আমি, বিপুল
৫.১ ......মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।
উঃ বোশেখ
৫.২. নারিকেলের মালার........কেউ এনেছে দুটি।
উঃ হাঁড়ি
৫.৩. কেউ এনেছে ছোট্ট বঁটি,কেউ এনেছে.....।
উঃ ছুরি
৫.৪. বসে গেছে সবাই আজি....... আয়োজনে।
উঃ বিপুল
৫.৫. এমন সময় হঠাৎ.…..... .পড়েছি যেই এসে।
উঃ আমি।
৬. 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।
উত্তর:-
ক"স্তম্ভ খ' স্তম্ভ
নুন > লবণ
ধোঁয়া > ধুম
বিপুল। > বড়ো
আগুন > অগ্নি
ঘুমম > নিদ্রা
বাগিচা > বাগান
৭. নীচের বর্ণগুলি যোগ করে শব্দ তৈরি করো :
স্ + অ + ব্ + আ + ই
উঃ সবাই।
র্+ আ + ধ + উ + ন্ + ই =
উঃ রাধুনি।
ব্ + আ + গ্ + ই + চ্ + আ =
উঃ বাগিচা।
ব্ + ষ্ + অ + স্ + ত্ + অ =
উঃ ব্যস্ত।
প্ + উ + ষ্ + ট্ + উ
উঃ দুষ্টু।
৮. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
লে রি না কে > নারিকেল
ন ভো ন ব জ > বনভোজন
র কা অ ণে > অকারণে
ন য়ো জ আ > আয়োজন
ণমন্ত্রি > নিমন্ত্রণ।
১. বর্ণবিশ্লেষণ করো : গিন্নি, আঁচল, নিমন্ত্রণ, কোর্মা, রঙিন।
উঃ গিন্নি—গ্ + ই + ন্ + ন্ + ই।
আঁচল—আঁ + চ্ + অ + ল।
নিমন্ত্রণ–ন্ + ই + ম্ + অ + ন্ + ত্ + র্ +অ+ন।
কোর্মা—ক্ + ও + র্ + ম্ + আ।
রঙিন— র্ + অ + ঙ্ + ই + ন।
১০. কবিতাটিতে অন্তমিল আছে, এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো : যেমন- ধুম / ঘুম।
উঃ খুরি-ছুরি। গুটি-সুটি। ভাত-হাত। নুন-খুন। রাঁধা-কাঁদা।
১১. কবিতায় ধুলোবালি দিয়ে কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে তৈরির কথা বলা হয়েছে। মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলায় আর কী কী রান্না ধুলো-বালি, কাদা দিয়ে তৈরি করতে পারো লিখে জানাও।
উঃ ধুলোবালি দিয়ে ভাত রাঁধা যায়, পায়স রাঁধা যায়, খিঁচুড়ি রাঁধা যায়। কাদা দিয়ে রুটি, লুচি, পরটা ইত্যাদি বানানো যায় ।
১২- বাক্যরচনা করো : বনভোজন, মিছিমিছি, বাগিচা, আঁচল, ছুরি, নিমন্ত্রণ।
উঃ বনভোজন— শীতকালে নদীর ধারে অনেককে বনভোজন করতে দেখা যায়।
মিছিমিছি— বাবা আমাকে মিছিমিছি কথা বলে মেলায় নিয়ে গিয়েছিল।
বাগিচা— চায়ের বাগানকে বাগিচা বলে
আঁচল— ছেলেটি মায়ের আঁচলের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল।
ছুরি- শসা বিক্রেতা ছুরি দিয়ে শসা ছাড়িয়ে দিচ্ছিল ।
নিমন্ত্রণ— কাল দুপুরে কাকুর বাড়িতে আমার নিমন্ত্রণ ছিল।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১. নূরু, শফিরা দুপুরবেলা ঘুমোয়নি কেন ?
উঃ দুপুরবেলা মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে দেখে নুরু, শফিরা আম-বাগিচার তলায় আয়ষা ও সফির সঙ্গে বনভোজন করছিল।
১৩.২. কবি এসে পড়ায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিল কেন?
উঃ এখানে 'সবাই' বলতে খুদে চারটি মেয়ের কথা বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে একটু লাজুক প্রকৃতির হয়। তারা চার বন্ধু মিলে যা রান্না করছিল তা যে হাস্যকর এটা সেই মেয়েগুলি নিজেরাও জানে। তাই কবি এসে পড়ায় তারা লজ্জায় খিলখিলিয়ে হোসে পালিয়েছিল।
১৩.৩. বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বনভোজনে গিয়ে থাকলে সেই অভিজ্ঞতার কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উঃ গত পৌষ মাসে আমি আমার বাবা-মা কাকুদের সঙ্গে নদী মেলায় নদীর ধারে বনভোজন গিয়েছিলাম। নদীতে নাম খড়ি নদী । খুব ছোট নদী অল্প জল ছিল নদীতে। নদীর পাশে একটা ছোট বন ছিল । পাড়ার দাদারা আমাদের সঙ্গে গিয়েছিল।। তারা খুব আনন্দ করে মাইকে গান বাজাতে বাজাতে আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নদীর ধারে পৌঁছালো । খুব ভালো একটা জায়গা দেখে আমরা বনভোজনের আয়োজন করে ফেললাম। কাকিমারা তাড়াতাড়ি রান্নার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল আমি দাদাদের সঙ্গে মাইকে গান শুনতে ব্যস্ত ছিলাম। কাকিমারা আমাদের টিফিন করালো, পাউরুটি ,কেক ,ঘুগনি ইত্যাদি খাইইয়ে। তারপর মাছের ঝোল ভাত রান্না করে আনন্দে খেলাম সন্ধ্যের কোলে কোলে আমরা মেলায় গিয়ে পৌঁছালাম। মেলা দেখে আনন্দ করে অনেক রাত্রে বাড়ি ফিরলাম।
১৩.৪ বৈশাখ মাসের দুপুরে নূরু, পুঁথি, আয়না, শক্ষিা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলা খেলছিল। তুমি গরমের ছুটিতে দুপুরবেলাগুলো কেমন করে কাটাও সে বিষয়ে লেখো।
উত্তর বৈশাখ মাসে দুপুরবেলায় আমাদের বাড়ির সামনে একটি আম গাছ আছে সেখানে আমি কাকু দাদা দিদি দুপুরের সময় বসি। যখন গরমে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন ওই গাছ তোলে আমাকে খুব আরাম দেয়। আমাদের কেউ বকাঝকা করে না। দিদি একটু সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ ওই সময় গাছে আম ঝোলে। দিদি একটা দুটো আম পেড়ে আমাদেরকে নুন মাখিয়ে দেয়। আমরা সেটা আনন্দ করে খাই। সেই রোদ কমলে আমরা বিকালে বাড়ি আসি ।
১৪. গদ্যপ লেখো : বোশেখ, চৈত, হলদি, মিঠে।
উঃ বোশেখ—বৈশাখ।
চৈত—চৈত্র।
হলদি—হলুদ।
মিঠে—মিষ্টি।
১৫. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : ইচ্ছা, বাগান, চড়ুইভাতি, নিদ্রা।
উঃ ইচ্ছা—সখ (শখ)।
বাগান – বাগিচা।
চড়ুইভাতি — বনভোজন।
নিদ্রা – ঘুম ।
১৬. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : আজি, ছোটো, হেসে, শুরু, তলায়।
উঃ আজি—কাল।
ছোটো-বড়ো।
হেসে – কেঁদে।
শুরু—শেষ।
তলায় – আগায় ।
১৭. নীচের সূত্রগুলি কাজে লাগিয়ে শব্দ ছকটি পূরণ করো :
পাশাপাশি
১. আঁচল ভরে কী কুড়িয়ে এনেছে?
৪. মাটির তৈরি ছোটো ভাঁড়
৬. নুরু কী হয়েছিল?
৭. .......পুষি, আরসা, শকি
১০, রাঁধতে গিয়ে কী পুড়ে গেছিল?
১. নুরু, শফিরা কীসের তলায় খেলছিল ?
২. রঙে পূর্ণ
৩. হাঁড়ি কী দিয়ে বানানো হয়েছে ?
৫. শেষের বিপরীত শব্দ
১১. কাদা দিয়ে কী তৈরি করা হয়েছিল?
৮. বাঙালিদের প্রধান খাদ্য
৯. সবাই বক্সে,'বেজায়.....
পাশাপাশি ১১, আমের গুটি। ৪. পুরি। ৬. গিন্নি। ৭. নুরু। ১০. হাত। ১১. পিঠে।
উপর-নীচ ঃ ১. আমবাগিচা। ২. রঙিন। ৩. নারিকেলের মালা। ৫. শুরু। ৮. ভাত। ৯. মিঠে।
হাতে কলমের বাইরে প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন:- সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(ক) কবিতায় (৪টি/৫টি /৬টি) মেয়ে এসেছে।
উত্তর : ৪টি।
(খ) (আম-বাগিচার/জাম-বাগিচার / লিচু-বাগিচার) তলায় যেন তারা হেসেছে।
উত্তর : আম-বাগিচার।
(গ) (বোশেখ মাসের/জ্যৈষ্ঠ মাসের/শ্রাবণ মাসের) এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।
উত্তর : বোশেখ মাসের।
(ঘ) গিন্নি হল (নুরু/আয়ষা/শফি)।
উত্তর : নুরু।
প্রশ্ন:- এলোমেলো অক্ষরগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
ভো জ ন ব নে, খ বো শে, লে র কে রি না, ভ্র ম ণে মি
উত্তর :
র গি বা চা, > বাগিচার ।
ভো জ ন ব নে, > বনভোজনে।
খ বো শে > বোশেখ।
লে র কে রি না,> নারিকেলের।
ভ্র ম ণে মি > নিমন্ত্রনে।
এক কথায় উত্তর দাও
।
প্রশ্ন:-বনভোজনে কে কে মিলেছে?
উত্তর ঃ নুরু, পুথি, আয়না, আর শফি।
প্রশ্ন:-আমের গুটি কীসে করে এনেছে?
উত্তর : আঁচলে করে এনেছে।
প্রশ্ন:-রঙিন খুরি কোথা থেকে কিনেছে?
উত্তর ঃ চৈত-পুজোতে।
প্রশ্ন:- বনভোজন কবিতাটি কে লিখেছেন।
উত্তর : কবি গোলাম মোস্তাফা।
প্রশ্ন:- দুষ্টু কটি মেয়ে কী কাজে মিলেছে।
উত্তর ঃ বনভোজনে মিলেছে
প্রশ্ন:-আমবাগিচার তলায় কারা কেন হেসেছে ?
উত্তর : আমবাগিচার তলায় নুরু, পুষি, আয়ষা, শফি এই চারটি ছোট্ট মেয়ে বনভোজনে মিলিত হতে পেরেছে বলে হেসেছে।
প্রশ্ন:- তাদের কারও চোখে ঘুম নেই কেন?
উত্তর ঃ তারা বনভোজনের রান্না রাঁধবে বলে বৈশাখ মাসের ভরদুপুরে আমবাগিচায় মিলিত হয়েছে। তাই তাদের চোখে ঘুম নেই।
প্রশ্ন:-তাদের সবার চোখে কান্না এসেছিল কেন?
উত্তর : তারা বিনা আগুনে রান্না করছিল, কিন্তু তারা জানত যে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করলে যেমন 'কাঁদা' অর্থাৎ কান্না আসে চোখে, তেমনি বিনা আগুনে রান্না করলে মিছিমিছি ধোঁয়া লেগে চোখে ‘কাঁদা' অর্থাৎ কান্না আসে।
প্রশ্ন:-কোন সময় কবিতার কথক তাদের বনভোজনের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন? তাঁর উপস্থিত হওয়ার পর কী ঘটল?
উত্তর ঃ বনভোজনের আয়োজন সম্পূর্ণ করে তাদের যখন খাওয়াদাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন কবিতার কথক সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
তাদের মিছিমিছি আগুনে রান্না হচ্ছিল, মিছিমিছি আগুনের ধোঁয়ায় চোখে কান্না এসে যাচ্ছিল। এভাবে রান্না শেষ হয়ে গেলে তাদের মধ্যে নূরু গিন্নি সেজে সকলকে এক লাইনে বসিয়ে খাবার পরিবেশন করছিল। ধূলোবালির কোর্মা পোলাও
আর কানার পিঠে নিছিনিছি পেয়ে সবাই বলল, 'বেজায় মিঠে'। ঠিক সেইসময় কবিতার কথক পৌঁছে গেলে তারা খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়ে গেল।
প্রশ্ন:- ব্যস্ত সবাই আজকে তাদের ভোজের নিমন্ত্রণে!' কারা কীসের ভোজের নিমন্ত্রণে ব্যস্ত হয়েছে?
উত্তর : নূরু, পুষি, আয়ষা ও শফি বোশেখ মাসের ভরদুপুরে আমবাগিচায় বনভোজন করবে বলে মিলিত হয়েছে। তাদের মা-বাবা দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছে বলে তাদের সুবিধা হয়েছে। তাদের কেউ আঁচল ভরে আমের গুটি কুড়িয়ে এনেছে। রান্নার
সারঞ্জাম হিসেবে নারকেল মালার হাঁড়ি দুটি কেউ এনেছে। কেউ এনেছে চৈত পুজোতে কেনা ‘রঙিন খুরি, কেউ এনেছে ছোট বাটি, কেউ এনেছে ছুরি। এসব নিয়েই তাদের বনভোজনের বিপুল আয়োজন। তাই তারা আজ তাদের ভোজের নিমন্ত্রণে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।