চতুর্থ শ্রেণি তোত্তো-অ্যাডভেঞ্চার হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের
![]() |
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞার
তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
★লেখিক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি পরিচিতি:-
উত্তর- তিনি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। জাপানের সুপ্রসিদ্ধ লেখিকা তেৎসুকো কুরোয়ানাগি।তাঁর লেখায় অসাধারণ বর্ণনাশৈলী পাওয়া যায়। এই লেখিকা ছিলেন জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।
★ তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞার গল্পের নামকরণ সার্থকতা:-
তোত্তো-চান একটি জাপানি মেয়ের নাম। তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার' গল্পটি তাঁর ছেলেবেলার স্কুল জীবনের সময়। গল্পটি শুধুমাত্র তাঁর স্মৃতির পাতা থেকে নিয়ে আসা ঘটনা নয়। এই গল্পকে ঘিরে এক সর্বকালের আদর্শ শিক্ষকের সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন দিক প্রকাশ পেয়েছে। অসাধারণ বর্ণনার গুনে লেখাটি সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনূদিত হয়েছে। তাঁর লেখা 'তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার' গল্পটিতে তোত্তো-চান বলতে কিছুটা ছোট্ট খুকুকে বোঝায়।গ ল্পের সমগ্র অংশটি তোত্তো-চানকে কেন্দ্র করে লেখা।
সুতরাং গল্পটির নাম তোত্তো-চান নামকরণটি সার্থক হয়েছে বলে আমার মনে হয়।
★বিষয়বস্তু আলোচনা
গল্পটি জাপানের একটি স্কুলের দুটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে। তোত্তো-চান আর ইয়াসুয়াকি-চান। তোত্তো-চানের থেকে বয়সে একটু বড়ো ইয়াসুয়াকি-চান। তাদের স্কুল সিমানায় প্রত্যেকের জন্য একটা করে গাছ ছিল। সেই গাছে সকলেই উঠে নীচের সবকিছু প্রাণভরে দেখত। কিন্তু
ইয়াসুয়াকি-চান মনের স্যুপে তাদের দিকে চেয়ে থাকত। তোখো চান খুব অনুভব করল ইয়াসুয়াকি-চানের মনের দুঃখ।
একদিন স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে ভরদুপুরে একটা মই নিয়ে এলো। তার নিজস্ব যে গাছটা ছিল তার ছ-ফুট উঁচুতে ব্লু-ভাগ হবে যাওয়া একটা ভাল ছিল। মইটা সেই দুই ভাগ হয়ে যাওয়া গাছের ডালে ঠিক করে রাখল। তারপর নীচ থেকে ইয়াসুয়াকি-চানকে ঠেলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠিয়ে দিতে চেষ্টা করল। কিন্তু ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে একটুও জোর ছিল না। কারণ তার পোলিও রোগ ছিল । তাই সে সিঁড়ির একটা ধাপও উঠতে পারল না। অসম্ভব জেদি মেয়ে তোত্তো-চান। সে এবার নিজে গাছের ছ-ফুট মাথায় দু-দিকে ভাগ হয়ে যাওয়া ডালের মাঝখানে উঠে পড়ল। তারপর দু-হাত বাড়িয়ে অসম্ভব চেষ্টায় ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছের ডালে তুলে নিল। এই প্রথম প্রাণভরে যেন নীচের পৃথিবীটাকে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান । ভীষণ খুশি হয়ে সে তোত্তো-চানকে বলল, তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে বলেছে আমেরিকায় টেলিভিশন নামে বাক্সের মতো একটা জিনিস আছে। সেই বাক্সের মতো জিনিসটা যেদিন জাপানে চালু হবে তখন তারা বাড়িতে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। তখনকার দিনে জাপানে তখনও কেউ টেলিভিশন বলে কিছু জানত না। তোত্তো-চান সেই প্রথম ইয়াসুয়াকি-চানের মুখ থেকে যন্ত্রটার পরিচয় জানতে পারল।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. 'তোত্তো-চান' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : 'তোত্তো-চান' শব্দটির অর্থ খুব ছোটো খুকু বলতে যা বোঝায়।
২. 'তোত্তো-চান' বইটির লেখিকার নাম কী?
উত্তর : 'তোত্তো-চান' বইটির লেখিকার নাম তেৎসুকো কুরোয়ানাগি।
৩. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
নো য়া পা ন > পালোয়ান
ঘ ল র হ > হলঘর
তি রী থা য় > যথারীতি
ভি টে শ লি ন > টেলিভিশন
সা ৎ উ হ > উৎসাহ
ক্ষ অ ক নে ণ > অনেকক্ষণ
৪. কখনীর থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে আবার লেখো :
৪.১. তোত্তো-চান তার বন্ধুকে (খাবার খাওয়া/বাড়িতে যাওয়া/গাছে চড়া/দোলনায় ওঠা)-র নিমন্ত্রণ করেছিল।
উত্তর :তোত্তো-চান তার বন্ধুকে গাছে চড়া র নিমন্ত্রণ করেছিল।
৪.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল (রাস্তার মাঝখানে/বাড়ির উঠোনে/ বেড়ার ধারে/বাগানের মধ্যে)
উত্তর : তোত্তো-চানের গাছটা ছিল বেড়ার ধারে।
৪.৩, তোত্তো-চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল (রকি/বাবা/দারোয়ান/ ইয়াসুয়াকি-চান)-কে।
উত্তর : তোত্তো-চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইয়াসুয়াকি-চান কে।
৪.৪ তোত্তো-চান মই নিয়ে এসেছিল (বাড়ি/দারোয়ানের ঘর/দোকান/শ্রেণিকক্ষ) থেকে। উত্তর : তোত্তো-চান মই নিয়ে এসেছিল দারোয়ানের ঘর থেকে।
৪.৫ ইয়াসুয়াকি-চানের (পোলিয়োর/টাইফয়েডের/নিউমোনিয়া/জন্ডিসের) জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।
উত্তর : ইয়াসুয়াকি-চানের পোলিয়োর জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।
৫. কোনটি বেমানান চিহ্নিত করো :
৫.১. গাছ / ভাল / পাতা/রাস্তা
উত্তর : রাস্তা। (বাকিগুলি গাছের অংশ রাস্তা কাঁচের অংশ নয়)
৫.২. হলঘর / কলঘর / উঠোন/চিলেকোঠা
উত্তর : উঠোন। (বাকিগুলি ঘরের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। কিন্তু উঠোন ঘরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই)
৫.৩. সিঁড়ি/মই/তাবু/ ধাপ
উত্তর : তাঁবু। (বাকিগুলো মই এর প্রতিশব্দ তাবু মইয়ের প্রতিশব্দ নয়)
৫.৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/ জাপান/বাংলাদেশ/পশ্চিমবঙ্গ।
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গ। (বাকিগুলি দেশের নাম পশ্চিমবঙ্গের একটি রাজ্যের নাম)
৫.৫. সুমো/বক্সিং/ব্যাডমিন্টন/ক্যারাটে
উত্তর : ব্যাডমিন্টন। (বাকিগুলি খালি হাতের খেলা ব্যাডমিন্টন খালি আছে খেলা নয়)
৬. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজাও ঃ (ডানদিকের বন্ধনীতে দেওয়া নম্বর অনুযায়ী ঘটনাক্রম দেখো।)
৬.১. গলাট টিকিটটা বুলিয়ে তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৬.২. সেদিন তোত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে ওর গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
৬.৩. সিঁড়ি-মইটা ও টেনে নিয়ে এল গাছের গোড়ায়।
৬.৪. অবশেষে ইয়ানুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছোল।
৬.৫. ইয়ানুয়াকি চানকে বলে উঠল, 'এবার চলে এসো তুমি।'
উত্তর :
৬.২. সেদিন তোত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে ওর গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
৬.১. গলাট টিকিটটা বুলিয়ে তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৬.৩. সিঁড়ি-মইটা ও টেনে নিয়ে এল গাছের গোড়ায়।
৬.৫. ইয়ানুয়াকি চানকে বলে উঠল, 'এবার চলে এসো তুমি।'
৬.৪. অবশেষে ইয়ানুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছোল
৭. শব্দঝুড়ি থেকে শব্দটি বেছে শূন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তর-
শব্দঝুড়ি:- [সুমো, বেড়া, তোমোই, পোলিয়ো, বাক্স।]
৭.১ তে সবার একটা করে গাছ ছিল।
উত্তর- তোমোই
৭.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল —-র ধারে।
উত্তর-বেড়া
৭.৩. ইয়াসুয়াকি-চানের.....র জন্য পায়ে অসুবিধা ছিল।
উত্তর- পোলিয়ো
৭.৪. টেলিভিশন নাকি একটা......মতন
উত্তর- বাক্সের
৭.৫. তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো ....পালোয়ান।
মতন।
উত্তর ঃ সুমো।
৮. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৮.১. তোত্তো-চান কাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল?
উত্তর : তার স্কুলের বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে তোত্তো-চান গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
৮.২. গাছে চড়ার নিমন্ত্রণের কথা কারা জানতেন না?
উত্তর : গাছে চড়ার নিমন্ত্রণের কথা তোত্তো-চানের মা-বাবা জানতেন না।
৮.৩. কোথায় সবার একটা করে গাছ ছিল?
উত্তর : তোমোই-তে অর্থাৎ স্কুল চত্বরে সবার একটা করে গাছ ছিল।
৮.৪. স্কুল চত্বরে কারা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল?
উত্তর : স্কুল চত্বরে স্কুলেরই ছেলেমেয়েরা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল।
৮.৫. টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো-চান কী করত?
উত্তর ঃ টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো-চান তার নিজস্ব গাছে চড়ে নীচের মানুষজন আর ওপরের আকাশ দেখত।
৮.৬. ইয়াসুয়াকি-চানের পায়ে কী অসুবিধে ছিল?
উত্তর : ইয়াসুয়াকি-চানের পায়ে পোলিয়োর জন্য তার পায়ে জোর ছিল না।
৮.৭. তোত্তো-চান মাকে কী বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ?
উত্তর ঃ তোত্তো-চান মাকে ডেনেনচফুতে ইয়াসুয়াকি-চানের বাড়িতে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল।
৮.৮. স্কুলে গিয়ে তোত্তো-চান কী দেখেছিল ?
উত্তর ঃ স্কুলে গিয়ে তোত্তো-চান দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৮.৯. তোত্তো-চান কোথা থেকে মই সংগ্রহ করেছিল?
উত্তর ঃ তোত্তো-চান স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে মই সংগ্রহ করেছিল।
৮.১০. মইয়ের মাথায় পৌঁছেও ইয়াসুয়াকি-চান গাছের ওপর উঠতে পারছিল না কেন ?
উত্তর : মইয়ের মাথায় পৌঁছেও ইয়াসুয়াকি-চান গাছের ওপর উঠতে পারছিল না কারণ, পোলিয়োর রোগের জন্য তার পায়ের কোনো জোর ছিল না।
৮.১১. ইয়াসুয়াকি-চানের হাতটা কেমন ছিল?
উত্তর ঃ ইয়াসুয়াকি-চানের হাতটা তোত্তো-চানের চেয়ে বড়ো ছিল, আঙুলগুলোও অনেকটা লম্বা ।
৯. নীচের বাক্যগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১. তোত্তো-চান গাছের ওপর উঠে কীভাবে সময় কাটাত ?
উত্তর ঃ তোত্তো-চান প্রায়ই টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তার গাছের উপর উঠে নীচের লোকজন আর ওপরের আকাশটারে দেখত।
৯.২. ছেলেমেয়েরা গাছগুলোকে কীভাবে আপন করে নিয়েছিল ?
উত্তর : ছেলেমেয়েরা মনে করত গাছগুলো তাদের নিজের। ফলে কেউ যদি কারও গাছে চড়তে চাইত তাহলে তাকে গিয়ে বিনীতভাবে অনুরোধ করে বলতে হত, 'আমি কি একটু ভিতরে আসতে পারি?'
৯.৩. বন্ধুকে কীভাবে গাছে ওঠাবে বলে তোত্তো-চান পরিকল্পনা করেছিল ?
উত্তরঃ তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে তার গাছে ওঠাবে বলে গোপনে পরিকল্পনা করেছিল। কথাটা ওরা আগে থেকে কাউকে বলেনি।
৯.৪. টেলিভিশনের গল্প শুনে তোত্তো-চান কী ভেবেছিল ?
উত্তর ঃ তোত্তো-চান ভাবছিল, একটা ঘরের ভিতরে একটা বাক্স, তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো সুমো পালোয়ান — এটা কেমন করে হতে পারে? ব্যাপারটা হলে কিন্তু দারুণ হবে।
৯.৫. ‘এই প্রথম তোত্তো-চান বুঝতে পারল —– তোত্তো-চান কী বুঝতে পারল ? কাজটা কেন সহজ ছিল না, লেখো।
উত্তর ঃ তেত্তো-চান বুঝতে পারল খুব সহজে ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠাতে পারবে না।
ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে পায়ে জোর ছিল না।তার পোলিয়ো রোগ ছিল।
৯.৬ তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি চানকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল কেন ?
উত্তর ঃ স্কুল চত্বরে ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব কোনো গাছ ছিল না। তার পোলিও রোগ ছিল । অন্য সকলে গাছে উঠে নিচের লোকজন আরো উপরে আকাশ দেখতে । সেজন্য ইয়াসুয়াকি চানকে সেজন্যই তোত্তো-চান এর গাছে চড়ার নেমন্তন্ন করেছিল।
৯.৭. দুই বন্ধু গাছের ওপর বসে টেলিভিশন নিয়ে কী গল্প করেছিল?
উত্তর : ইয়াসুয়াকি চান বলেছিল তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে জানিয়েছে যে; আমেরিকায় টেলিভিশন নামে একটা জিনিস
আছে। সেই জিনিস যখন জাপানে আসবে তখন তারা ঘরে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। টেলিভিশন নাকি একটা বাক্সের মতো। তোত্তো-চান একথা শুনে ভেবেছিল এটা কেমন করে হতে পারে। ব্যাপারটা হলে দারুণ হবে।
৯.৮. তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে যে ধরনের গল্প করো তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর : আমি এবং আমার বন্ধু রেডিয়ো, টেলিভিশন নিয়ে মাঝে মাঝে গল্প করি। আমার বন্ধু নির্মল টিভি দেখতে খুব ভালোবাসে। এই প্রসঙ্গে রেডিয়োর কথাও এসে যায়। আমাদের জন্ম হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে রেডিয়োর প্রচলন হয়েছে। রেডিয়ো থেকে কথা শোনা যায়, মানুষ দেখা যায় না। কিন্তু টেলিভিশনে কথাও শোনা যায় এবং মানুষও দেখা যায়। আমরা দুজনে আলোচনা করে খুব অবাক হয়ে যাই যে, যিনি রেডিয়ো আবিষ্কার করেছেন তিনি। কত বিশাল মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। আবার যিনি টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন তিনিও যা আবিষ্কার করেছেন তা অভাবনীয় এবং অকল্পনীয়। কারণ টেলিভিশনের পর্দায় আমরা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলা বা ফুটবল খেলা তখনই বসে দেখতে পাই। মাঠে বসে দেখা আর ঘরে বসে দেখা আজ একই হয়ে গেছে।
৯.৯ বাড়ি বা স্কুলের কোন্ গাছটা তোমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়? সেই বন্ধুর যত্ন তুমি কীভাবে করো ?
উত্তর : আমার বাড়ির সামনে যদি একটা গাছ থাকতো তাহলে আমি মাঝে মাঝে গাছে তলায় বসতাম। গাছের উঁচু ডালে উঠতাম।আর যদি আম গাছ হতো তাহলে আম গাছে আম পারতাম। আম পাতা পাকতাম । যদি বট গাছ হতো তাহলে নামাল ধরে ঝোল খেতাম । পাতা কুড়িয়ে খেলা করতাম বন্ধুদের সঙ্গে গাছের উপরে উঠতাম। উপরে উঠে আকাশ দেখতাম নিচে লোকজনকে দেখতাম । মজা করতাম।
৯.১০, পাছে যদি তোমার একটি বাড়ি থাকত, তুমি কীভাবে সেখানে সময় কাটাতে কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : গাছে যদি আমার একটা বাড়ি থাকতো তাহলে পাখিদের আমি সঙ্গে নিতাম তাদের বাসা তৈরি করতাম। তাদের খাবার দিতাম। গাছের ফল পেরে খেতাম। পাখিদের সঙ্গে খেলা করতাম আমি যে লোকজনের সঙ্গে উপর থেকে কথা বলতাম উপরে আকাশ দেখতাম। ফুলের গন্ধ নিতাম ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতাম ।
১০. প্রতিশব্দ লেখো ও গাছ, মাটি, সূর্য, রাস্তা, আকাশ।
উত্তর ঃ গাছ- বিটপ।
মাটি – জমি।
সূর্য - দিবাকর।
রাস্তা—পথ।
আকাশ — গগন।।।
১১. বর্ণবিশ্লেষণ করো ঃ তরতর, ছোটোখাটো,
ভয়ানক, লাজুক, অ্যাডডেয়ার।
উত্তর : তরতর- ত্ + অ + স্ + অ + ত্ + অ + র।
ছোটোখাটো—ছ + ও + ট্ + ও + ষ্ + আ + + 1
ভয়ানক—ড্ + অ + + আ + ন্ + অ + ক/
লাজুক ল্ + আ + জ + উ + ক।
অ্যাডভেপার আ + য + ড্ + অ + ভ্ + এ + এব + চ্ + আ + র।
১২. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো। (তোমার পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত প্রশ্নটি পড়ে নাও।
উত্তর ঃ তোত্তো-চান ঘামেভেজা চুল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানাল ঃ
“স্বাগতম!” ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে, লাজুকভাবে হেসে বলল, ‘আসতে পারি ভিতরে?' ও তো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে। ‘গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম!' বলে ও হাসল।
১৩। নীচের এক-একটি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর ঃ খেলা ঃ আমি ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করি। কারণ আমার দাদু কাকারা ও খুব এই খেলাকে ভালোবাসতো। আমাদের গ্রামের দক্ষিণ দিকে একটা ফুটবল খেলার মাঠ আছে । ওখানে ক্রিকেট খেলা হয়। আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে শীতকালের বিকালে প্রত্যেকদিন টিকিট খেলে আনন্দ পাই।
গাছ ঃ একটি গাছ একটি প্রাণ । গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। আমাদের বাগানে অনেক ছোটো বড়ো গাছ আছে। আমার মা ফুল গাছ খুব ভালোবাসে। আমার মা সকালে ফুল তুলে মন্দিরে পুজো দেয়।
নেমন্তন্ন ঃ দুর্গাপুজোয় আমার বন্ধু আমাকে প্রতিবছর নেমন্তন্ন করে । প্রতিবছর আমি বন্ধুর বাড়ি যাই ।খুব মজা করি । আনন্দ পাই। আমার সঙ্গে আমার মা বাবা যায়।
১৪. একটি গাছবাড়ির ছবি আঁকো।
উত্তর : নিজেরা গাছের ছবিটি আঁকার চেষ্টা করো।
অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর ঃ
প্রশ্ন-- সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) তোত্তো-চান যাকে গাছে ওঠার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিল—
(ক) মা-বাবাকে (খ) অন্য বন্ধুদের (গ) ইয়াসুয়াকি-চানকে।
উত্তর : (গ) ইয়াসুয়াকি-চানকে।
প্রশ্ন:-ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব গাছ ছিল না। কারণ—
(ক) তার পায়ে পোলিয়োর জন্য অসুবিধা ছিল (খ) ও খুব দুষ্টু ছিল (গ) ও খুব হিংসুটে ছিল।
উত্তর ঃ (ক) ওর পায়ে পোলিয়োর জন্য অসুবিধা ছিল।
প্রশ্ন:- বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তোত্তো-চান মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না, কারণ—
(ক) সে মিছে কথা বলেছিল (খ) তার চোখে ব্যথা করছিল (গ) মা খুব রেগে ছিল।
উত্তর : (ক) সে মিছে কথা বলেছিল।
প্রশ্ন:-তোত্তো-চানের চেহারা ছিল—
(ক) বেশ মোটাসোটা (খ) ছোটোখাটো রোগা একটা মানুষ (গ) খুব লম্বা-চওড়া।
উত্তর : (খ) ছোটোখাটো রোগা একটা মানুষ।
প্রশ্ন:-কে আমেরিকার থাকে-
(ক) তোত্তো-চানের মা (খ) ইয়াসুয়াকি-চানের বাবা (গ) ইয়াসুয়াকি-চানের দিদি।
উত্তর : (গ) ইয়াসুরাকি-চানের দিদি।
প্রশ্ন:-জাপানে টেলিভিশন এলে বাড়িতে বসে দেখা যাবে-
(ক) সুমো পালোয়ানদের (খ) সিনেমা (গ) খেলা।
উত্তর : (ক) সুমো পালোয়ানদের।
প্রশ্ন:- ইয়াসুয়াকি-চান, তোত্তো-চানকে তার গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন:-তোত্তো-চানের গাছটা ছিল বেড়ার কাছে।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন:-ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব কোনো গাছ ছিল না।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন:- তোত্তো-চানের পায়ে পোলিয়োর জন্য অসুবিধা ছিল।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন:-তোত্তো-চান দারোয়ানের ঘর থেকে মই নিয়ে এসেছিল।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন:-শেষ পর্যন্ত ইয়াসুয়াকি-চান গাছে উঠতে পারেনি।
উত্তর : মিথ্যা।
প্রশ্ন:- এলোমেলো অক্ষরগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
শভিনলিটে, ইতোমা, য়োপোলি, তেচননেফুডে, হনকুরপুকু
উত্তর :
ই শ ভি ন লি টে—টেলিভিশন।
তো মা—তোমাই।
য়ো পো লি-পোলিয়ো।
তে চ ন নে ফু ডে–ডেনেনচফুতে।
হ ন চু র সু কু—কুহনবুৎসুর।
★এককথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন:-বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তেত্তো-চান মা-কে কী বলেছিল ?
উত্তর : ডেনেনচফুতে ইয়াসুয়াকি-চানের বাড়িতে যাচ্ছে বলেছিল।
প্রশ্ন:- ইস্কুল চত্বরে গাছগুলিকে ছেলেমেয়েরা কী মনে করত?
উত্তর : ইস্কুল চত্বরে গাছগুলিকে ছেলেমেয়েরা মনে করত গাছগুলো তাদের নিজেদের সম্পত্তি।
প্রশ্ন:-তোত্তো-চানের পিছনে পিছনে স্টেশন পর্যন্ত কে এসেছিল?
উত্তর : রকি এসেছিল।
প্রশ্ন:- ইয়াসুয়াকি-চান গাছে উঠতে পারত না কেন ?
উত্তর : ইয়াসুয়াকি-চানের পোলিয়োর জন্য হাতে-পায়ে জোর ছিল না বলে ।
★সংক্ষেপে উত্তর দাও :
প্রশ্ন:-তোত্তো-চান কেন ইন্নাসুয়াকি-চানকে নীচ থেকে ঠেলে তুলে দিচ্ছিল ?
উত্তর : গাছে উঠাতে গিয়ে ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে পায়ে এতই কম জোর ছিল যে মইয়ের প্রথম ধাপটাও বিনা সাহায্যে ওঠা এর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই তোত্তো-চান তাকে নীচ থেকে ওপরে ঠেলে দিচ্ছিল।
'প্রশ্ন:-এবারে চলে এসো তুমি। ওঠার চেষ্টা করো।' কে কাকে কখন বলেছিল ?
উত্তর : তোত্তো-চান খুব জেদ ধরেছে ইয়াসুয়াকি চানকে গাছে চড়াবে। তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে তারা দু-জনে স্কুলের মাঠে হাজির হল। ইয়াসুয়াকি-চানকে নিয়ে তোত্তো-চান ওর গাছের দিকে এগিয়ে গেল। দারোয়ানের ঘর থেকে মইটা নিয়ে এসে গাছের গায়ে এমনভাবে ঠেকিয়ে রাখল যাতে মইয়ের মাথাটা গাছের ভাগ হওয়া ডালটাকে ছুঁতে পারে। এবার নিজে তরতর করে উঠে গিয়ে মইয়ের মাথাটা দু-হাত দিয়ে ধরে রেখে ইয়াসুয়াকি-চানকে বলে উঠল, 'এবারে চলে এসো তুমি। ওঠার চেষ্টা করো।'
প্রশ্ন:- মাকে নিছে কথা বলার পরে তোত্তো-চান কী করেছিল
উত্তর : মাকে মিছে কথা বলেছিল বলে তোত্তো-চান মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারছিল না। তাই ও জুতোর ফিতের দিকে তাকিয়েছিল।