পঞ্চম শ্রেণি বাংলা বিমলার অভিমান হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Bimalar abhiman question answer class 5 - school book solver

Pages

Friday, 21 February 2025

পঞ্চম শ্রেণি বাংলা বিমলার অভিমান হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / Bimalar abhiman question answer class 5





পঞ্চম শ্রেণি বাংলা

বিমলার অভিমান

কবি- নবকৃত ভট্টাচার্য


কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের পরিচিতি:-

কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের জন্ম হয় ৪ এপ্রিল ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে। তার জন্মস্থান আমতার। তিনি শিশু সাহিত্যিক নামে খ্যাত । তাঁর রচিত  উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল'বালক পাঠ', 'বাঙালির ছবি', 'শিশুপাঠ', 'ছেলেখেলা', 'কবিতা কুসুম', '

'ছবির ছড়া', 'সকালের ইতিকথা', 'সুখবোধ ব্যাকরণ', 'নীতিপাঠ' ইত্যাদি । তিনি 'সখা' পত্রিকার সম্পাদক ও 'মাসিক বসুমতী' পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তুমি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

বিমলার অভিমান কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা :-

কবিতায় বিমলা রাগ করেছে, রাগ রাগটা কার খাবারের উপর। সে কেন খাবার খেতে যায় কেন খেতে চাইছে না তার কারণ আছে । কারণ গুলি হল,  সিমলার মা তার দাদাকে বেশি করে খাবার দেয়, ননী বেশি করে দেয়, ক্ষীর বেশি করে দেয়। অন্যদিকে তাকে কম দেয়। উল্টে তাকে বাড়ির সব কাজ করতে হয়। ছাগল তারাতে হয়। পান সেজে দিতে হয়। খোকা কাঁদলে তাকে সামালতে হয়।  দাদা খেতে বসলে তাকে নুন আনতে বলে। একদিকে তার দাদা অন্যদিকে তার ভাই, দুজনেই যেন সোনার চুড়ো। তার খিদে পেলে কেউ তার দিকে তাকায় না ।তাকে কেউ ভালোবাসে না। এই নিয়ে বিমলার অভিমান।।


নামকরণ সার্থকতা : কবিতায় বিমলা রাগ করে কোন কিছু খেতে চাইছে না। তার অভিমান হয়েছে খাবারের উপর। কারণ সে বাড়ির সকল কাজ করলেও খাবার সময় তাকে কম দেওয়া হয় । তার ভাইকে বেশি দেওয়া হয়। কবিতার সমগ্র অংশটি বিমলার অভিমান সম্পর্কে আলোকিত হয়েছে। তাই এখানে নামকরণটি যথার্থ হয়েছে বলে আমার এখানে মনে হয়।


হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর

১. নিজে ভেবে দেখো

১.১ তোমার বাবা/মা/দাদা/ভাই/দিদি কে বেশি কাজ করে। তারা কী কী কাজ করে?

উত্তর :-আমার মা বেশি কাজ করে।

আমার মা সকালে উঠে চা করে । বাসন ধোয়।আমাদের খেতে দেয়। দুপুরে রান্না করে। জামা কাপড় কেচে  পরিষ্কার করে দেয় । ঘর গুছিয়ে রেখে জামা কাপড় আনলায় রেখে দেয় । আমার পড়ার ঘর পরিষ্কার করে বইগুলো গুছিয়ে দেয়। খাতা সেলাই করে দেয়। তার দিদি তরকারি কেটে দেয় খাবার সময় জল দেয় । রাতে আমাকে পড়ায়।



১.২ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে তোমার কী মনে হয় তা লেখো।

উত্তর :-এই বিষয়ে আমি ঠিকই মনে করি যে ছেলেদের তুলনা মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় । কারন,তারা একটা সংসার গুছানোর জন্য অনেক কাজ থাকে। মেয়েরা খাবার তৈরি করে। তার জন্য অনেক সময় লাগে। খাবার পাত্র পরিষ্কার করার জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়। জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয় । জল তুলতে হয়। এগুলো সব মেয়েরাই করে। এই কাজ করি সবই পরিশ্রমে কাজ

 

১.৩ ছেলে এবং মেঘের মধ্যে তফাত করা উচিত নয় এই নিয়ে মুক্তি দিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়। এর পিছনে যুক্তি হল

(১) স্কুলের শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে যোগ্যতা সমান। তাই ছেলে মেয়ে তখন করা উচিত নয়। 


(২) কর্মক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে সবরকমই সংস্থায় কাজ করতে পারে।

(৩) গৃহ এবং বাজার দোকানের কাজ সবই ছেলেমেয়েরা একই সঙ্গো করতে পারে।

(৪) পাইলট, ড্রাইভার, মহাকাশযাত্রী সবেতে ছেলেমেয়েরাই সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

(৫) ছেলে এবং মেয়ে সবার সমান অধিকার আছে।


২. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য লেখো :

উত্তর : 

ভার -ওজন,ভারী

ভাঁড় -মাটির পাত্র


বাঁচা—বেঁচে থাকা

বাছা–বেচারি, হতভাগা


৩. নীচের প্রতিটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো :

উত্তর : বেলা-দিনের সময়কাল।

বেলা- মল্লিকা ফুল। অথবা বেল ফুল


সোনা—মূল্যবান ধাতু

শোনা- কানে শুনতে পাওয়া


দাম—মূলাবিশেষ।

দাম—দাড়ি



8. কবিতাটি থেকে অন্ত্যমিল খুঁজে নিয়ে লেখো (৫টি) :

একটি করে দেওয়া হল-

নুন- চুন ,মুড়িয়ে - তাড়িয়ে,  শ‍্যমী-আমি, মরো -করো, ভার-তার ,তাই - ভাই।


৫. 'ক' ভজের সঙ্গে 'খ' ভড মিলিয়ে লেখো ।

উত্তর

ক"স্তম্ভ    খ "স্তম্ভ 

নুন   >        লবণ 

দুরন্ত   >      দুষ্টু 

ছাই           ভস্ম 

ফরমাস   >   আদেশ

 চুড়ো   >    শিখর


৬. শব্দমুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো


শব্দঝুড়ি:- ক্ষীর, বেশি, ছাই, দুরন্ত, বিমলা, নুন, ঝাল, ছোটো, পান, নটে গাছ, খোকা, কম।



বিশেষা:-  ক্ষীর, ছাই, বিমলা, নুন, পান, নটে গাছ, খোকা।


বিশেষণ:;- বেশি, দুরন্ত, ঝাল, ছোট, কম।




৭ ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :

৭.১ খাব না তো আমি

উত্তর : খাব না তো আমি।

৭.২ যা বিমলা যা।

উত্তর : যা বিমলা যা।

৭.৩ ও বিমলা নে মা একবার

উত্তর ঃ ও বিমলা নে মা একবার।

৭.৪ অবু বেশি খাবে।

উত্তর : অবু বেশি খাবে।

৭.৫ দে মা এনে চুন।

উত্তর : দে মা এনে চুন।


৮. শূন্যস্থান পূরণ করো :


৮.১ ........করি, দাও এনে, সোনামণি মা।

উত্তর ঃ পূজা করি, দাও এনে, সোনামণি মা।


৮.২ কাঁদিলে.........খোকা রাখা তারে ভার।

উত্তর ঃ কাঁদিলে দুরন্ত খোকা রাখা তারে ভার।


৮.৩ ছাগলেতে....... গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।

উত্তর : ছাগলেতে নটে  গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।

৮.৪ পানটা যে বড়ো........দে মা এনে চুন।

উত্তর ঃ পানটা যে বড়ো ঝাল, দে মা এনে চুন।



৯. বেমানান তার নীচে দাগ দাও :

৯.১ ক্ষীর, ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা।

উত্তর:: -ক্ষীর


৯.২ ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা।

উত্তর: -ফুল


৯.৩ সোনার চূড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, সাধু।

উত্তর;-সাধু



১০.বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : দাও, বড়ো, বেশি, ঝাল, আসে।

উত্তর : দাও > নাও।

বড়ো>ছোটো।

বেশি> কম।

 ঝাল>মিষ্টি।

আসে > যায়।




১১.বাক্যরচনা করো। ক্ষীর, দুরন্ত, ছাই, নটেগাছ, চুন

ক্ষীর— ক্ষীর দুধ থেকে তৈরি হয়।

দুরন্ত— এক্সপ্রেস ট্রেন দুরন্ত গতিতে ছোটে।

ছাই— ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলোর দরকার হয়।

নটেগাছ—নটে গাছ ছাগলে খেয়ে নেয়।

চুন- ঝিনুকের খোলা থেকে চুন তৈরি হয়।



১২. শব্দগুলো ঠিকমতো সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো।

১২.১ পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর।

উত্তর - দাদার থেকে বিমলার পরিমাণে ক্ষীর কম।


১২.২ হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে।

উত্তর : বিমলাকে পূজার ফুল আনতে হয়।


১২.৩ করে সবার পালন বিমলা ফরমাস সব।

উত্তর : সবার সব ফরমাস বিমলা পালন করে।


১২.৪ মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা।

উত্তর ঃ মেয়ে বলে শুধু বিমলার প্রতি অবিচার করা হয়।


১২.৫ নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত।

উত্তর ঃ ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়।


১৩. কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :

১৩.১ খাব না তো আমি।

উত্তর : না-বোধক বাক্য।


১৩.২ যা বিমলা যা।

উত্তর : আদেশমূলক বাক্য।


১৩.৩ ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।

উত্তর ঃ বিস্ময়মূলক বাক্য।


১৩.৪ আমার বেলায় বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই?

উত্তর : প্রশ্নমূলক বাক্য।




১৪.১ কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য কোন্ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন?


উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সংস্কৃত কলেজিয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন।

১৪.২ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর : কবির লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য বই হল (১) সকালের ইতিকথা  (২) ছবির ছড়া।



১৪.৩ তিনি কোন্ কোন্ পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন?

উত্তর ঃ কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য 'সখা' পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘মাসিক বসুমতী' পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন।



১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১৫.১ বিমলাকে সারাদিন কোন্ কোন্ কাজ করতে হয়? 

উত্তর : বিমলাকে সারাদিন যেসব কাজ করতে হয় সেইগুলো হল—

(১) মায়ের জন্য পূজার ফুল তুলে আনতে হয়। (২) দুরত্ত খোকা কাঁদলে তাকে ভুলিয়ে রাখতে হয়। (৩) ছাগলে নটে গাছ মুড়িয়ে খেতে এলে তাকে তাড়াতে হয়। (৪) খেতে বসলে দাদার পাতে লবণ দিতে হয়। (৫) মায়ের পান খেতে ঝাল লাগলে চুন এনে দিতে হয়।

১৫.২ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন ?

উত্তর ঃ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবু বা অবনী। বিমলার ছোটো ভাই ও দাদা বেশি পাবে এই কারণে যে, ছোটো ভাইয়ের আবদার এবং বড়ো ভাইয়ের লেখাপড়ার জন্য।



১৫.৩ ‘তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই'—বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী?

উত্তর : বিমলার দাম কমে যাওয়ার কারণ সে মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে।


১৫.৪ বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো। 

উত্তর : বিমলা একটি সরল বুদ্ধিমতী মেয়ে। আজকাল ছেলের সঙ্গে মেয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষা, কাজকর্ম, ক্ষমতা সবেতেই ছেলে ও মেয়ে সমান। উপযুক্ত পরিবেশে দুজনেরই সমান বিকাশ হয়। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সেই কারণে কোনো তফাত করতে নেই।


১৫.৫ খেতে না চেয়ে তুমি বা তোমার বন্ধুরা কখনো প্রতিবাদ জানিয়েছ বা জানানোর চেষ্টা করেছ—যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, সে সম্বন্ধে লেখো।

উত্তর ঃ খেতে না চেয়ে আমি অবশ্য কোনো প্রতিবাদ জানাইনি বা জানানোর চেষ্টা করিনি। তবে আমার বন্ধুরা মাঝেমধ্যে খেতে না চাওয়ার সংবাদ দেয়। সেখানে দেখা যায়, ইস্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অথচ রান্না তখনও হয়ে ওঠেনি।

সেই কারণেই আমার বন্ধুরা অনেকসময় না খেয়ে ইস্কুলে আসে বা পড়তে চলে যায়।



১৫.৬ বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো।

উত্তর ঃ বিমলার অভিমান করার কারণ, সে মেয়ে বলে তার প্রতি অনাদর করা হয়। বিমলা কারও কাছ থেকে আদর পায় না। তাকে বাড়ির লোকেরা সবসময় ফরমাস করে। সে বাঁচল কিংবা মরল, তার কষ্ট হল কিংবা দুঃখ পেল এসব কেউ দেখে না। সকলেই সুযোগ পেলেই বা প্রয়োজন হলেই বিমলাকে দিয়ে খাটিয়ে নেয়। বিমলা যেহেতু বড়ো নয়, আবার ছোটোও নয়, সেই কারণে

সকলের ফরমাস তাকে শুনতে হয়। সেইমতো কাজ করতে হয়।




দু-এক কথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন:-  বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? 

উত্তর ঃ বিমলার ছোটো ভাই অবু বা অবনী।


প্রশ্ন:- বিমলার মা কাকে কী খাবার দেয়?

উত্তর : বিমলার মা ক্ষীর রান্না করে বিমলার দাদাকে দেয় অনেকখানি, আর ছোটো ভাই অবনীকে দেয় অতখানি, কিন্তু বিমলাকে দেয় একটু মাত্র।


প্রশ্ন:- বিমলার কয় ভাই ?

উত্তরঃ বিমলার দুই ভাই ।




 প্রশ্ন:-বিমলাকে কী নিতে বলে ?

উত্তর : বিমলার মা বিমলাকে তার ছোটো ভাই কাঁদলে নিতে বলে।


প্রশ্ন:- দাদা খেতে বসলে বিমলাকে কী দিতে হয় ।

উত্তর ঃ দাদার  নুন এনে দিতে হয়।



প্রশ্ন:-খাবার এলে কারা কারা আগে খায় ?

উত্তর : রাধু, মাধু, রামী, বামী, শ্যামী, তার দাদা, ছোটো ভাই অবু আগে খায়।


প্রশ্ন:-বিমলার মা বিমলাকে কী বলে ডাকে।

উত্তর : বিমলার মা বিমলাকে সোনামণি বলে ডাকে।


প্রশ্ন:- বিমলার অভিমান' কবিতাটি কে লিখেছেন?

উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য 'বিমলার অভিমান' কবিতাটি লিখেছেন।


 প্রশ্ন:- অভিমান করে বিমলা কাকে কী বলেছে

উত্তর : অভিমান করে বিমলা তার মাকে বলেছে যে সে খাবে না।




প্রশ্ন:-  'যা বিমলা যা' বলে কে কোথায় যেতে বলে?

উত্তর : বিমলার মা ‘যা বিমলা যা’ বলে তাকে পূজার ফুল কিনে নিয়ে আসার জন্য আবদার করে।


উত্তর ঃ বিমলার দাদা বড়ো বলে বাড়িতে ভালোমন্দ খাবার এলে তা বেশি করে খাবে এই তার সুবিধা।


'প্রশ্ন:- অবু বেশি খাবে'—এখানে 'অবু'কে?

উত্তর ঃ অবু হল বিমলার ছোটোভাই অবনী। তাকে বিমলা এবং তার মা আদর করে অবু বলে ডাকে।



প্রশ্ন:- কবিতাটিতে দুরন্ত খোকা কাকে বলা হয়েছে?

উত্তর ঃ বিমলার ছোটো ভাই অবনী কাঁদতে শুরু করলে সহজে তাকে ধরে রাখা যায় না। তাই তাকে দুরন্ত খোকা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন:- ছোটো ভাই অবনী কাঁদতে শুরু করলে বিমলাকে তার মা কী বলে ?

উত্তর : বিমলার ছোটো ভাই যখন কাঁদতে শুরু করে তখন তার মা তাকে সুর করে বলে, “ও বিমলা, নে মা একবার।


প্রশ্ন:-  ছাগলে কী করে?

উত্তর ঃ ছাগলে নটে গাছ মুড়িয়ে খায়।


প্রশ্ন:-- ছাগলে যখন নটে গাছ মুড়িয়ে খায় তখন মা কী করে?

উত্তর ঃ ছাগলে যখন নটে গাছ মুড়িয়ে খায় তখন বিমলার মা তাকে বলে, ‘যা মা একবার, গিয়ে দে তো মা তাড়িয়ে।”


 প্রশ্ন:- ‘দাও তো মা নুন'—কথাগুলি কে কাকে বলে?

উত্তর : দাদা খেতে বসলে মা বিমলাকে বলে, 'দাদা বসিয়াছে খেতে—দাও তো মা নুন।’


 প্রশ্ন:- পান কে খায় ?

উত্তর : বিমলার মা পান খায়।


প্রশ্ন:-  পান খাওয়ার সময় বিমলার মা বিমলাকে কী বলে ?

উত্তর : বিমলার মা পান মুখে দিয়ে বিমলাকে বলে, ‘পানটা যে বড়ো ঝাল, দে মা এনে চুন।'


প্রশ্ন:- করমাস' কথার মানে কী ?

উত্তর : ফারসি ভাষার ‘ফরমাস' শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় ফরমাস শব্দটি ব্যবহার হচ্ছে। ফরমাস কথার মানে আদেশ বা হুকুম।


প্রশ্ন:- কখন বিমলাকে তার মায়ের মনে পড়ে না?

উত্তর : যখন ঘরে ভালোমন্দ খাবার নিয়ে আসা হয় তখন আর বিমলার কথা তার মায়ের মনে পড়ে না।

 প্রশ্ন:- বাড়িতে যখন ভালোমন্দ খাবার আসে তখন মা কাদেরকে ডাকে?

উত্তর ঃ বাড়িতে ভালোমন্দ খাবার এলে বিমলার মা রাধু, মাধু, রামী, বামী, শ্যামী এই সকলকে ডাকতে শুরু করে।

 প্রশ্ন:- দাদা বড়ো বলে কী সুবিধা পায় ?





প্রশ্ন:- দুরন্ত খোকা কাঁদলে কে তাকে সামলায় ? 

উত্তর : দুরন্ত খোকা কাঁদলে বিমলা তাকে সামলায়।


প্রশ্ন:- 'ও বিমলা, নে মা একবার' - এই সময় বিমলাকে কী কাজ করতে হয়

উত্তর : দুরন্ত খোকা কাদলে বিমলাকে তাকে রাখতে হয়।

প্রশ্ন:- 'বিমলার অভিযান' কবিতা কাকে রাখা ভার? 

উত্তর : দুরন্ত খোকাকে রাখা তার ভার।


প্রশ্ন:- কাকে 'সোনামণি মা' বলে ডাকা হয়েছে? 

উত্তর : বিমলাকে 'সোনামণি মা' বলে ডাকা হয়েছে।


 প্রশ্ন:- বিমলা খাবে না কেন?

উত্তর : বাড়িতে ক্ষীর হলে দাদা বেশি নেয়, ছোটো ভাই অবনী, সেও বেশি নেয়। শুধু বিমলার বেলায় সামান্য খাবার থাকে।সেই অভিমানে বিমলা ক্ষীর খাবে না বলছে।


 প্রশ্ন:- বিমলার ফরমাশ খাটার উদাহরণ দাও।

উত্তর : বাগানে ছাগল ঢুকলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া, দুরন্ত থোকা কাঁদলে তাকে ভুলিয়ে রাখা, দাদাকে পাতে নুন এনে দেওয়া, পান খেয়ে মায়ের ঝাল লাগলে চুন এনে দেওয়া ইত্যাদি ।



প্রশ্ন:- 'যার যত ফরমাস সব তুমি করো'- কোন কবিতার লাইন? এর পরের লাইনটি কী ?

উত্তর ঃ এটি 'বিমলার অভিমান' কবিতার লাইন। এর পরের লাইনটি হল : তাতে তুমি বিমলাটি বাচো আর মরো।


প্রশ্ন:- লেখক নবকৃयू ভট্টাচার্য সম্বন্ধে কী জানো?

উত্তর ঃ ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে হাওড়া জেলার অন্তর্গত আমতার কাছে কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য নারিট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 'গোকুলে মধু ফুরায়ে গেল 'তাঁর লেখা প্রসিদ কবিতা। কবি নবকৃয় ভট্টাচার্য ছবির ছড়া, পুষ্পাগুলি, টুকটুকে রামায়, ছেলেখেলা প্রভৃতি গ্রন্থ লিখেছেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কবির মৃত্যু হয়।




প্রশ্ন:-  বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো। 

উত্তর : বিমলা অভিমান করেছে। তাকে তার মা সর্বদাই ফরমাস করে। তার দাদা, তার ছোটো ভাই এরা থাকতে বিমলার ফুরসত নেই। ভালোমন্দ খাবার সকলে বেশি বেশি পায়, বিমলার বেলায় কম। বাগানে ছাগল ঢুকে নটে গাছ খেলে

না তাড়িয়ে দিতে বলে। দাদা খেতে বসলে নুন আনতে বলে। এইরকম হাজারও ফরমাস মা সর্বদাই করে থাকে। সে কারণেই বিমলা সংগত ভাবেই অভিমান করে খেতে চাইছে না। সুতরাং সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত তার অভিমান।


প্রশ্ন:- বিমলা নিজেকে কীভাবে তুলনা করেছে?

উত্তর ঃ বিমলা যেন বলছে, তার দুই দিকে দুই ভাই। তারা দুজনে সব বেশি বেশি পাবে। বিমলার বেলায় সে মাঝখানে থাকে বলে তার শুধু ছাই জুটবে অর্থাৎ কিছুই জুটবে না।