তৃতীয় শ্রেণীর ভাষা পাঠ সকল প্রশ্নের উত্তর - school book solver

Pages

Thursday, 13 February 2025

তৃতীয় শ্রেণীর ভাষা পাঠ সকল প্রশ্নের উত্তর

 তৃতীয় শ্রেণীর




ভাষা পাঠ

এক

প্রশ্ন ও উত্তর :ভাষার কথা


১. কোনগুলি আসলে ভাষা ?


উঃ। তপন, কাজলের কথা বলা, দিপকের হাত নাড়া, সিগন্যালের লাল-সবুজ আলো আর কল্যাণের হাবভাব—এসবই হল ভাষা।


২. তপন হাত নেড়ে অর্থাৎ ইশারায় কী বোঝাতে চেয়েছিল?

উঃ। তপন হাতের ইশারায় বোঝাতে চেয়েছিল যে, মাস্টারমশাই আসছেন। বলটা লুকিয়ে ফেল।


৩. কল্যাণ হাবভাবে কী বলেছিল?

উঃ। কল্যাণ বলেছিল তুই আমার বন্ধু নোস; শুধু শুধু আমায় মারলি।


৪. মুখ দিয়ে করা শব্দ ছাড়া আর কাকে ভাষা বলা যায়?

উঃ। হাবভাবকেও ভাষা বলা যায়। ভাষা হলো, যা বোঝা যায়, আবার অন্যকেও বোঝানো যায়।


৫. ভাষা কারা বুঝতে পারে ?

উঃ। প্রত্যেকটি ভাষার কিছু নিয়ম থাকে। সেই নিয়ম যারা জানে, তারা সেই ভাষা বুঝতে পারে।


৬. আমরা কীভাবে অনর্গল কথা বলে যাই?

উঃ। মুখ দিয়ে কিছু আওয়াজ করে আর সেই আওয়াজগুলোকে জুড়ে সাজিয়ে নিয়ে আমরা অনর্গল কথা বলে যাই।


৭. বাংলা ভাষা আমরা বুঝতে পারি কীভাবে ?

উঃ। বাংলা ভাষার নিয়মগুলি আমাদের জানা। তাই আমরা ওই ভাষা বুঝতে পারি। নিয়মগুলি না জানলে বুঝতে পারতাম না।


৮. পৃথিবীতে মোট কটা ভাষায় মানুষ কথা বলে ?

উঃ। প্রায় ছ-হাজারটা ভাষায় মানুষ কথা বলে। যেমন—তুমি বাংলা বলো, তেমনি অনেকে বলে হিন্দি বা ইংরেজি....ইত্যাদি।


৯. তুমি যদি বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা শিখতে চাও তাহলে কীভাবে শিখতে পারবে?

উঃ। যে কোনো ভাষার মধ্যেই এমন কিছু নিয়ম আছে, যা অন্য ভাষার মধ্যেও থাকে। তাই তুমি যদি তোমার ভাষার নিয়মকে ভালো করে জানো, দেখবে সহজেই অন্য ভাষা শিখে নিতে পারবে।


১০) ভাষা কাকে বলে ?

উঃ। শব্দ ও বাক্যের সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করাকে বলা হয় ভাষা।



       ভাষা পাঠ

        দুই

বাক্যের কথা


১. ধ্বনি ও বর্ণ কী এক?


উঃ। না, ধ্বনি ও বর্ণ এক নয়। এদের এক বলে মনে হলেও ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।


২. ধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। শব্দের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশের নাম ধ্বনি যা আমরা উচ্চারণ করি তাকে বলে ধ্বনি। সহজ কথায় যা আমরা কানে শুনি তাকে বলে ধ্বনি।

৩.বর্ণ কাকে বলে?

উঃ। শব্দের সবচেয়ে ছোটো অংশের নাম বর্ণ। যা আমরা কানে শুনি বা মুখে উচ্চারণ করি তার লিখিত রূপকে বলা হয় বর্ণ।


৪. ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?

উঃ। ধ্বনি হল আমরা যা উচ্চারণ করি আর বর্ণ হল সেই ধ্বনির লিখিত চেহারা। অর্থাৎ আমরা যা দেখি তা হল বর্ণ আর কানে যা শুনি তা হল ধ্বনি। তাই কানে যে ধ্বনি শুনি বা মুখে বলি তার লিখিত রূপ বর্ণ। ধ্বনির সঙ্গে সব সময় যে বর্ণ মিলে যাবে এরকম নাও হতে পারে। যেমন, আমরা বলি 'অ্যাখোন’, কিন্তু লিখি 'এখন'। তখন আমাদের মুখে বলা অ্যা-ধ্বনি আর লিখিত এ-বর্ণ মেলে না। .


৫. স্বরবর্ণ কাকে বলে ?

ঈ, উ, ঊ, ঋ, ৯, এ, ঐ, ও, ঔ। কিন্তু আমরা যখন কথা বলি তখন সেই কথার মধ্যে স্বরধ্বনির সংখ্যা কমে যায়।

উঃ। যে সমস্ত বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই উচ্চারিত হয় তাদের বলে স্বরবর্ণ। যেমন—অ, আ, ই, হয়ে যায়-অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।


৬. ঈ, উ, ৯, ঐ, ঔ— কোথায় গেল?

উঃ। হ্রস্ব আর দীর্ঘ আলাদা করে আমরা উচ্চারণ করি না। আমাদের হ্রস্ব ই আর দীর্ঘ ঈ মিলে শুধু হ্রস্ব ই হয়ে যায়। একইভাবে উ আর উ মিলে শুধু উ হয়। ঋ আমাদের উচ্চারণ (র + ই = রি) আর ৯ (লি), হওয়ায় ব্যঞ্জনধ্বনি হয়ে যায়। আর আছে ঐ আর ঔ। ঐ আর ঔ-এর মধ্যে আছে, ঐ = ও + ই আর ঔ = ও + উ।


৭. ধ্বনি কয়প্রকার ও কী কী?

উঃ। ধ্বনি দুই প্রকার—স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি। এছাড়াও আরো একধরনের ধ্বনি রয়েছে একে দ্বিস্বর বলে।


৮. স্বরধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। যে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হয় সেই ধ্বনিকে বলে স্বরধ্বনি। যেমন : অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা।


৯. ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় অন্য ধ্বনির সাহায্য নিতে হয় সেই ধ্বনিকে বলা হয় ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন ঃ ক, খ, গ....হ। (ক্ + অ), (খ্ + অ), (গ্ + অ), (হ্ + অ)।


১০. দ্বিস্বর কাকে বলে ?

উঃ। যখন দুটি স্বরধ্বনি মিলিত হয়ে একটিমাত্র ধ্বনির সৃষ্টি করে তখন তাকে দ্বিস্বর বলে। যেমন : ঐ = (ও +ই), ঔ = (ও + উ)।


১১. বাক্য কীভাবে গড়ে ওঠে?

উঃ। কতকগুলো শব্দ নিয়ে গড়ে ওঠে বাক্য। অর্থাৎ কতকগুলো শব্দ পাশাপাশি বসে বাক্য তৈরি হয়। যেমন : আমি বাড়ি যাব। এখানে আমি, বাড়ি ও যাব—তিনটি পৃথক পৃথক শব্দ পাশাপাশি বসে একটি বাক্য তৈরি করেছে।


১২. শব্দ কীভাবে গড়ে ওঠে?

উঃ। কতকগুলো বর্ণ পাশাপাশি বসে শব্দ তৈরি করে। যেমন—আমি শব্দটি আ, ম, ই (আ + ম + ই) এই তিনটি বর্ণ মিলিত হয়ে শব্দ তৈরি হয়েছে।


১৩. এখানে ঘর, বাড়ি ও পাড়ার সঙ্গে বর্ণ, শব্দ ও বাক্যের সঙ্গে কীভাবে তুলনা করা হয়েছে?

উঃ। কতকগুলি ঘর নিয়ে যেমন একটি বাড়ি তৈরি হয়, তেমনি কতকগুলি বর্ণ নিয়ে একটি শব্দ তৈরি হয়। আবার কতকগুলি বাড়ি নিয়ে যেমন একটি পাড়া হয়, তেমনি কতকগুলি শব্দ নিয়ে একটি বাক্য তৈরি হয়। তাই এখানে ঘর হল বর্ণ। বাড়ি হল শব্দ আর পাড়া হল একটি বাক্য।


১৪. ‘আমরা বাগানে খেলব'—এটি একটি বাক্য। বলোতো এটি কটি শব্দ দিয়ে তৈরি ?

উঃ। এটি তিনটি শব্দ দিয়ে তৈরি। আমরা, বাগানে ও খেলব।


১৫. ‘আমি আজ স্কুল যাব না'—এটি একটি বাক্য। এই বাক্যটি কটি শব্দ দিয়ে তৈরি বলোতো ?

উঃ। এই বাক্যটি মোট চারটি শব্দ নিয়ে তৈরি। আমি, আজ, স্কুল, যাবনা।


১৬. ‘আমি’, ‘তুমি’, 'আমরা’–এগুলি প্রত্যেকটি এক একটা শব্দ। এই শব্দগুলি ধ্বনি দ্বারা গঠিত বলোতো ?

উঃ। আমি = অ + ম + ই—তিনটি ধ্বনি। তুমি = ত + উ + ম + ই—চারটি ধ্বনি। আমরা = আ + ম + র + আ—চারটি ধ্বনি।


১৭. নীচে কয়েকটি বাক্য দেওয়া হলো। এই বাক্যগুলোর শব্দ কীভাবে তৈরি লেখো :

• ‘আজ ছুটি।’

উঃ। এই বাক্যটিতে শব্দ সংখ্যা দুটি—আজ ও ছুটি।


‘আজ’= আ + জ্—একটি স্বরধ্বনি ও একটি ব্যঞ্জনধ্বনি মিলিত হয়ে ‘আজ ' সব্দটি তৈরি হয়েছে।

‘ছুটি’ = ছ’+ উ + ট্‌ + ই—দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি ও দুটি স্বরধ্বনি মিলিত হয়ে ‘ছুটি’ শব্দটি তৈরি হয়েছে।


★• ‘আজ পনেরোই আগস্ট।

উঃ। এই বাক্যে শব্দ সংখ্যা তিনটি, আজ পনেরোই আগস্ট।

‘আজ’ = আ + জ। একটি স্বরধ্বনি, একটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

‘পনেরোই’ = প্ + অ + ন্ + এ + র্ + ও + ই—চারটি স্বরধ্বনি, তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

‘আগস্ট’ = আ + গ্ + অ + ষ্ + ট—দুটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।


★• ‘সকালবেলাই ইস্কুল থেকে ফিরে এসেছি'।

উঃ। এই বাক্যে শব্দ সংখ্যা পাঁচটি। সকালবেলাই, ইস্কুল, থেকে, ফিরে, এসেছি।

‘সকালবেলাই’—স্ + অ + ক্ + আ + ল + ব্ + এ + ল্ + আ + ই—পাঁচটি স্বরধ্বনি ও পাঁচটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

‘‘ইস্কুল’—–ই + স্ + ক্ + উ + ল—দুটি স্বরধ্বনি, তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

‘থেকে’–থ্ + এ + ক্ + এ—দুটি স্বরধ্বনি, দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

“ফিরে’—ফ্ + ই + র্ + এ—দুটি স্বরধ্বনি, দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

‘এসেছি’–এ + স্ + এ + ছ + ই–তিনটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।


★• ইসকুলে ফ্ল্যাগ তোলা হলো সকালে, তারপরেই ছুটি।

উঃ। এই বাক্যে শব্দ সংখা সাতটি।

ইসকুলে, ফ্ল্যাগ, তোলা, হলো, সকালে, তারপরেই, ছুটি।

‘ইসকুলে’–ই + স্ + ক্ + উ + ল্ + এ—তিনটি স্বরধ্বনি, তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ফ্ল্যাগ—ফ্ + ল্ + য + আ + গ—একটি স্বরধ্বনি, চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

তোলা—ত্ + ও + ল্ + আ—দুটি স্বরধ্বনি, দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

হলো—হ্ + অ + ল্ + ও—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

সকালে—স্ + অ + ক্ + আ + ল্ + এ—তিনটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

তারপরেই—ত্ + আ + র্ + প্ + অ + র্ + এ + ই—চারটি স্বরধ্বনি ও চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ছুটি—ছ + উ + ট্‌ + ই—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।


★• তখনই কী আশ্চর্য, বিরাট এক ঝাঁক ধবধবে সাদা পাখি ঠিক তক্ষুনি আকাশ দিয়ে, ফ্ল্যাগের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল।

উঃ। উপরিউক্ত বাক্যটিতে মোট আঠারোটি শব্দ পাশাপাশি বসে একটি বাক্য রচিত হয়েছে। ‘তখনই’, ‘আশ্চর্য’, ‘বিরাট’, ‘এক’, ‘ঝাঁক’, ‘ধবধবে’, ‘সাদা’, ‘পাখি’, ‘ঠিক’, ‘তক্ষুনি’, ‘আকাশ’, ‘দিয়ে’, ‘ফ্ল্যাগের’, ‘মাথার’, ‘উপর’, ‘দিয়ে’, ‘উড়ে’, ‘গেল’।

তখনই—ত্ + অ + খ্ + অ + ন্ + ই—এই শব্দটিতে তিনটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি বর্তমান।

‘আশ্চর্য’—আ + শ্ + চ্ + অ + র্ + য্ + অ—তিনটি স্বরধ্বনি ও চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

বিরাট–ব্ + ই + র্ + আ + ট্—দুটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

এক—এ + ক্—একটি স্বরধ্বনি ও একটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ঝাঁক—খ্ + ° + আ + ক্—একটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ধবধবে—ধৃ + অ + ব্ + ধ + অ + ব্ + এ–তিনটি স্বরধ্বনি, চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

সাদা—স্ + আ + দ্ + আ—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

পাখি—প্ + আ + খ + ই—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ঠিক—চ্ + ই + ক্—দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি ও একটি স্বরধ্বনি।

তক্ষুনি—ত্ + অ + ক্ + ষ্ + উ + ন্ + ই–তিনটি স্বরধ্বনি ও চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

আকাশ—আ + ক্ + আ + শ—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

দিয়ে—দ্ + ই + এ—দুটি স্বরধ্বনি ও একটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ফ্ল্যাগের—ফ্ + ল্ + য + আ + গ + এ + র—পাঁচটি ব্যঞ্জনধ্বনি ও দুটি স্বরধ্বনি।

মাথার—ম্ + আ + থ্ + আ + র্—দুটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

উপর—উ + প্ + অ + র্—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।


দিয়ে-দ + ই + এ দুটি স্বরধ্বনি ও একটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

উড়ে-উ + ভূ + এ দুটি স্বরধ্বনি ও একটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

গেল—গ্ + এ + ল্ + অ দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

★এমন ছায়াভরা আকাশে যখন ফ্ল্যাগটা উড়ল, আমরা 'জনগণমন' গান 'গাইলাম'।

উঃ। এই বাক্যটিতে দশটা শব্দ বর্তমান, ‘এমন’, ‘ছায়াভরা’, ‘আকাশে', 'যখন', 'ফ্ল্যাগটা’, ‘উড়ল’, 'আমরা', 'জনগণমন', 'গান', গাইলাম'।

এমন—এ + ম্ + অ + ন্—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ছায়াভরাচ্ + আ + য়্ + আ + ভ্ + অ + র্ + আচারটি স্বরধ্বনি ও চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

আকাশে—আ + ক্ + আ + শ + এ—তিনটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

যখন—য্ + অ + খ্ + অ + ন্—দুটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

ফ্ল্যাগ—ফ্ + ল্ + য + আ + গ—একটি স্বরধ্বনি ও চারটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

উড়ল—উ + ডু + ল্ + অ—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

আমরা—আ + ম্ + র্ + আ—দুটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

জনগণমন—জ্ + অ + ন্ + অ + গ্ + অ + ণ্ + অ + ম্ + অ + ন্ + অ—ছয়টি স্বরধ্বনি ও ছয়টি ব্যঞ্জনধ্বনি।

গান—গ্ + আ + ন–একটি স্বরধ্বনি ও দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি।

গাইলাম—গ + আ + ই + ল্ + আ + ম্—তিনটি স্বরধ্বনি ও তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি।



       ভাষা পাঠ

          তিন


বর্ণ আর ধ্বনির কথা

প্রশ্ন ও উত্তর

১. বাড়ির ঘর সংখ্যার সঙ্গে শব্দের কী সম্পর্ক বোঝানো হয়েছে?

উঃ। বাড়ির মধ্যে যেমন কয়েকটা ঘর থাকে, তেমনি শব্দের মধ্যেও কয়েকটা ঘর আছে।

বাড়ির মধ্যে যেমন শোবার ঘর, রান্নাঘর, কলঘর, বসার ঘর ইত্যাদি থাকে। তেমনি শব্দের মধ্যে যেমন— ‘কলকাতা” শব্দটিতেক্ + অ + ল্ + ক্ + আ + ত্ + আ—মোট সাতটি ঘর আছে।

আসলে প্রতিটি স্বরবর্ণের একটা করে স্বরচিহ্ন থাকলেও ‘অ’-এর কোনো আলাদা চিহ্ন নেই। আ-এর যেমন “’ই-তে ,ি ঈ-তেী। তেমন , ,ৈ CT, ৗে, কিন্তু ‘অ’-এর কোনো চিহ্ন নেই। সে মিশে থাকে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে।

যেমন— ক = ক্ + অ, খ = খ্ + অ.....ইত্যাদি।

তাহলে, ‘কলকাতা' শব্দটিতে (ক্ + অ) হয়েছে। কিন্তু ল-এর সঙ্গে অ যোগ হয়নি। কারণ আমরা যেভাবে কলকাতা বলি, সেভাবে লিখলে ল-এর পর ‘অ’ দিতে হয় না।

উদাহরণ ঃ তোর কী খবর বল। উচ্চারণ অনুযায়ী, (এই ‘বল' শব্দটিতে ব্ + অ + ল্)—তিনটি ঘর আছে। তুমি কেমন আছো বল। (এই ‘বল' শব্দটিতে ব্ + অ + ল্ + অ)—চারটি ঘর আছে।


২. বর্ণ কাকে বলে ?

উঃ। মনের ভাব যখন আমরা লিখে প্রকাশ করি তখন তাকে বলা হয় বর্ণ। কতকগুলি বর্ণ। কতকগুলি বর্ণ মিলিত হয়ে শব্দ গঠন করে। যেমন—ক, খ, ন এই তিনটি বর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে ‘কখন’ শব্দটির উৎপত্তি ঘটায়।


৩. বর্ণ প্রকার ও কী কী? 

উঃ। বর্ণ দুই প্রকার—স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।


৪. স্বরবর্ণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বাধাপ্রাপ্ত হয় না, সেই বর্ণকে স্বরবর্ণ বলা হয়।

উঃ। যে বর্ণগুলি অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে, যে বর্ণ উচ্চারণের সময়ে শ্বাসবায়ু মুখগহ্বরের কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হয় না ও এই বর্ণগুলি অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে তাই এই বর্ণগুলিকে স্বরবর্ণ বলা হয়।

যেমন : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ৯, এ, ঐ, ও, ঔ –এই বর্ণগুলি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখগহ্বরের কোথাও বাধা প্রাপ্ত হয় না ও বর্ণগুলি অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই উৎচ্চারিত হতে পারে। তাই বর্ণগুলোকে স্বরবর্ণ বলে‌।


৫. ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলা হয়। উদাহরণ দাও ।

উঃ। যে বর্ণগুলি অন্য বর্ণের সাহায্য ব্যতীত নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না। সেই বর্ণসমূহকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। আবার যে বর্ণগুলি উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরে শ্বাসবায়ু কোনো স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে সেই বর্ণকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ।

যেমন ঃ ক, খ, গ, ঘ থেকে হ পর্যন্ত বর্ণগুলি প্রত্যেকটাই ব্যঞ্জনবর্ণ। কারণ, ক, খ, গ, ঘ প্রত্যেকটি বর্ণই ‘অ’ স্বরবর্ণটির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না। অর্থাৎ ক = (ক্ + অ), খ = (খ্ + অ), গ = (গ্ + অ), ঘ = (ম্ + অ)।

আবার এই বর্ণগুলি উচ্চারণের সময় স্বাসবায়ু মুখগহ্বরের কোনো-না-কোনো স্থানের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই এগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়ে থাকে।


৬. ধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। কথা বলার সময় আমরা মুখে যে আওয়াজ করি তাকে বলে ধ্বনি। অর্থাৎ মনের ভাব প্রকাশের সময় বাগ্যন্ত্র দ্বারা নিঃসারিত শব্দকে ব্যাকরণের ভাষায় ধ্বনি বলা হয়। অ, আ, ক, খ এগুলি যখন আমরা মুখে উচ্চারণ করি তখন তাকে ধ্বনি বলে।

৭. ধ্বনি কয়প্রকার ও কী কী? 

উঃ। ধ্বনি দুই প্রকার। যথা—(১) স্বরধ্বনি (২) ব্যঞ্জনধ্বনি।

৮. স্বরধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। স্বরবর্ণ উচ্চারণের সময় বাগ্যন্ত্র দ্বারা যে শব্দ শোনা তাকে বলা হয় স্বরধ্বনি। যেমন : ‘আমি যাবো'। এই বাক্যটিতে আ + ম্ + ই + ষ্ + আ + ব্ + ও—এই ধ্বনিগুলি বর্তমান। এই ধ্বনিসমূহের মধ্যে আ, ই, আ, ও এই চারটি হল স্বরধ্বনি।



. ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে ?

উঃ। ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় বাগ্যন্ত্র দ্বারা যে শব্দ নির্গত হয় তাকে বলা হয় ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন : আমি যাব।

এই বাক্যটিতে ম, য, ব এই তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি বর্তমান।


১০. আমরা যা উচ্চারণ করি ও যা লিখি তা কী সর্বদা এক হয় ?

উঃ। না, সবসময় তা এক হয় না। যেমন—রবীন্দ্রনাথ শব্দটি যখন মুখে উচ্চারণ করি তখন সেটি হয়, রোবিন্দ্রনাথ কিন্তু লেখার সময় আমরা 'CT' (ও-কার) টাকে লিখি না।


১১. কোনো বর্ণের উচ্চারণের সময় সর্বদা সেই বর্ণের ধ্বনিটি কী অভিন্ন থাকে?

উঃ। না, বর্ণের উচ্চারণের সময় ধ্বনির পরিবর্তন হয়। বর্ণভেদে পরিবর্তন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন : ‘বদন’ শব্দটি-তে ‘দ’ বর্ণটির উচ্চারণের সময় আমরা উচ্চারণ করি ‘বদোন’। কিন্তু ‘দর্শন’ শব্দটির ‘দ’ বর্ণটি উচ্চারণের সময়

আমরা ‘দ’ বর্ণটিকে ‘দ' ধ্বনির দ্বারাই উচ্চারণ করি।


১২. ইংরেজিতে a-এর উচ্চারণ দেখাও।

উঃ। Cat-এ ক্যাট অর্থাৎ ‘অ্যা’ art-এ আর্ট অর্থাৎ ‘আ’। আবার ape-এ এপ অর্থাৎ ‘এ’ আবার, all আল অর্থাৎ ‘অ’।


১৩. e-এর নানারকম উচ্চারণ দেখাও ।

উঃ। egg-এগ অর্থাৎ উচ্চারণ 'এ' আবার electric-ইলেকট্রিক অর্থাৎ “ই”।


১৪. i এর উচ্চারণে কী দেখা যায়?

উঃ। i এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে ink-ইংক অর্থাৎ ‘ই’ হয় আবার ice-cream আইসক্রিম এর উচ্চারণে হয়, ‘আই’।


১৫. ইংরেজিতে O-এর উচ্চারণ দেখাও।

উঃ। ইংরেজিতে OX উচ্চারণে অক্স অর্থাৎ ‘অ’ হয়। only-ওনলি অর্থাৎ ‘ও’ উচ্চারণ হয়, আবার One ওয়ানএর ক্ষেত্রে হয় ওয়া।


১৬. U-এর উচ্চারণ দেখাও।

উঃ। U-এর থেকে উচ্চারণ নানা রকম। যেমন—but বাট অর্থাৎ ‘আ’। আবার Put পুট অর্থাৎ উচ্চারণ হলো ‘ উ’।কিন্তু tube টিউব-এর উচ্চারণ হয় ‘ইউ’।


১৭. একই বর্ণের ভিন্ন উচ্চারণ বা ভিন্ন ধ্বনির ব্যবহারের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল :

রস কিন্তু রসিক (রোসিক)

উদাহরণে প্রত্যেকটাতেই একই বর্ণের ভিন্ন উচ্চারণ লক্ষ করা যাচ্ছে।


১৮. নীচের শব্দগুলি কী কী বর্ণ দিয়ে তৈরি বলোতো ?

সৌম্য = স্ + ও + উ + ম্ + য + অ।

স্বাধীনতা = স্ + ব্ + আ + ধ + ঈ + ন্ + অ + ত্ + আ।

কম্পিউটার = ক্ + অ + ম্ + প্ + ই + উ + ট্ + আ + র্।

দর্পণ = প্ + অ + র্ + প্ + অ + ণ।

শরৎচন্দ্র = শ্ + অ + র্ + অ + ৎ + চ্ + অ + ন্ + দ্ + র্ + অ।

প্রণাম = প্ + র্ + অ + ণ্ + আ + ম্।



       ভাষা পাঠ

       চার

প্রশ্ন ও উত্তর

নিয়মের কথা

১. বাক্য গঠনের কী কোনো নিয়ম রয়েছে?

উঃ। হ্যাঁ, অবশ্যই বাক্য গঠনের নিয়ম রয়েছে।



২. বাক্য গঠনের নিয়ম মেনে বাক্য গঠন করলে কী হবে?

উঃ। বাক্য গঠনের নিয়ম মেনে বাক্য গঠন না করলে বাক্যগুলি ভুল হবে ও ভাব প্রকাশের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে।


৩. বাক্য গঠন নিয়ম মেনে হলে কী হবে ?

উঃ। বাক্য গঠন নিয়ম মেনে হলে বাক্যটি সুন্দর হবে ও সকলের কাছে সেটি বোধগম্য হবে।


৪. বাক্য গঠনের প্রধান দুটি উপকরণ কী?

উঃ। বাক্য গঠনের প্রধান দুটি উপকরণ হল কর্তা ও কর্ম।


৫. কর্তা কাকে বলে ?

উঃ। যখন আমরা বাক্য গঠন করতে চাই তখন সমগ্র বক্তব্যটি যে বিষয়, বস্তু বা ব্যক্তির সম্বন্ধে বলতে চাই তাকেই বলা হয় কর্তা। যেমন : আমি স্কুলে যাব। এই বাক্যটিতে কর্তা হল ‘আমি’ কারণ বাক্যটিতে আমি কী কাজ করছি সেটা

জানানো হয়েছে, অর্থাৎ আমার সম্পর্কে কিছু কথা জানানো হয়েছে।


৬. কর্ম কাকে বলে ?

উঃ। কোনো বাক্যের মাধ্যমে কর্তা কী কাজ করছে যখন জানানো হয়ে থাকে তখন সেই কাজটিকে বলা হয় কর্ম।

যেমন ঃ আমি স্কুলে যাব। বাক্যটিতে ‘যাব’ শব্দটি হল কর্ম। কারণ এই শব্দ দিয়ে কাজ করা বোঝায়।


৭. একটি ছোটো বাক্য কীভাবে গঠিত হয় ?

উঃ। প্রথমে কর্তা ও তারপর কর্ম বসে একটি বাক্য গঠিত হয়। যেমন : রত্না খায়। এই বাক্যে রত্না কর্তা ও খায় কর্ম। কর্তার পরে কর্ম বসে একটি বাক্য গঠিত হয়েছে।


৮. একটি বড়ো বাক্য কীভাবে রচিত হয়?

উঃ। কর্তা সম্পর্কে বাক্যে আরও বেশি কিছু জানাতে হলে সেই বক্তব্যটি কর্তা ও কর্মের মাঝের অংশে বসে একটি সম্পূর্ণ সঠিক বাক্য রচনা করে। যেমন ঃ রত্না মুড়ি খায়। বাক্যে রত্নার খাবার কথাটি জানানোর সাথে সাথে সে যে মুড়ি খাচ্ছে তা জানানো হয়েছে। কাজেই মুড়ি শব্দটি কর্তা ও কর্মের মাঝে বসেছে।

৯. বাক্য গঠনের সঙ্গে কীভাবে পাড়ার মধ্যে দুটি বাড়ির মাঝখানে বাড়ি তৈরির নিয়মের তুলনা করা হয়েছে?

উঃ। পাড়ার মধ্যে বাড়ি করতে গেলে যেমন-পাড়ার কারো সূত্রে আসে, তেমনি বাক্য গঠন করতে গেলে বাক্যের সূত্রে গঠন করা হয়।

যেমন—আমি গাই। ‘আমি’ ও ‘গাই’ দুটো বাড়ি। এখানে তিনটি বাড়ি বানাতে গেলে, আমি গান গাই। এর মধ্যে ‘গান’ হল তিন নম্বর বাড়ি। অর্থাৎ ‘গান’ এল ‘গাই’-এর সূত্রে।


১০. ছোটো বাক্য থেকে সঠিক বড়ো বাক্য গঠনের উদাহরণ দাও

ঃ কিংশুক যায়। (কর্তা ও কর্ম)


কিংশুক ভাত খায়। (কী যায়?) (কর্তা ও কর্ম)

কিংশুক হাত দিয়ে ভাত খায়। (কীভাবে যায়?) (কর্তা ও কর্ম) কিংশুক হাত দিয়ে মাছের ঝোল আর ভাত খায়। (কী দিয়ে ভাত খায়?) (কর্তা ও কর্ম) নীচের পড়াগুলোয় ঘর বাড়াও

• তন্ময় বই পড়ে। • তন্ময় বাংলা বই পড়ে। • তন্ময় মন দিয়ে বাংলা বই পড়ে।

• পা যাচ্ছে।

• রূপা স্কুলে যাচ্ছে। • রূপা সকালবেলায় স্কুলে যাচ্ছে। • রূপা সকালবেলায় কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।

• আবদুল এসেছে।

• আবদুল দিল্লি থেকে এসেছে। • আবদুল দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে।

• আবদুল দিল্লি থেকে কলকাতায় মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছে।

তুমি আসবে ?

তুমি কবে আসবে? • তুমি কবে কোথায় আসবে? • তুমি কবে কোথায় কেন আসবে?

• আমি যাব।

• আমি কলকাতা যাব। • আমি কলকাতা বেড়াতে যাব। • আমি কলকাতা ট্রেনে চড়ে বেড়াতে যাব।

• পাখি ডাকছে।

• পাখি ভোরবেলায় ডাকছে। • পাখি ভোরবেলায় কিচির মিচির শব্দে ডাকছে।

• পাখি ঘুম ভাঙানোর জন্য ভোরবেলায় কিচির মিচির শব্দে ডাকছে।

• মেরি খেলছিল।

• মেরি মাঠে খেলছিল। • মেরি বিকেলবেলায় মাঠে খেলছিল।

• মেরি বিকেলবেলায় মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলছিল।

• ফুল ফুটেছে।

• ফুল গাছে ফুটেছে। • ফুল বাগানের গাছে ফুটেছে। • ফুল বাগানের চারদিকে গাছে ফুটেছে।

• যে পাড়াটার মানে আছে তার পাশে '(/)' দাও, যে পাড়াটার মানে নেই তার পাশে ‘(X)' চিহ্ন দাও।

• আমি গান।

• বদিউর অঙ্কে ভালো।

• তোমার নাম কী?

• জল পড়ি।

°

বাঁকুড়া রাস্তা যাবার

উঃ। • আমি গান।

• দিলীপ ছবি আঁকে।

• নেকড়ের যাব কাছে না।

• কই ভরা ডিম।

• কাল ভোরে সূর্য উঠবে।

দিলীপ ছবি আঁকে।

• নেকড়ের যাব কাছে না।

কই ভরা ডিম।

• বদিউর অঙ্কে ভালো।

• কাল ভোরে সূর্য উঠবে।


• তোমার নাম কী?

• জল পড়ি।

বাঁকুড়া রাস্তা যাবার

→ নীচের বাক্যগুলির কোনটি কাজ আর কে কাজ

• আমি এখন ছবি আঁকছি।

• কোথায় যাচ্ছ? (এখানে কর্তা 'তুমি' উহ্য রয়েছে)

• তার চলে যাওয়ায় কাজ শেষ হলো না।

• মেঘের পরে মেঘ জমেছে।

• আমি রুদ্রকে বই দিলাম।

করছে তার নীচে দাগ দাও।

উঃ। • আমি এখন ছবি আঁকছি।

উঃ। [কে কাজ করছে—আমি, তুমি, তার মেঘের, আমি।

কোনটি কাজ—আঁকছি, যাচ্ছ, শেষ হলো না, জমেছে,

• কোথায় যাচ্ছ? (এখানে কর্তা ‘তুমি’ উহ্য রয়েছে)

• তার চলে যাওয়ায় কাজ শেষ হলো না।

• মেঘের পরে মেঘ জমেছে।

• আমি রুদ্রকে বই দিলাম।

দিলাম।]