তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সত্যি সোনা গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর /satti sona story question anrwer - school book solver

Pages

Tuesday, 7 January 2025

তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সত্যি সোনা গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর /satti sona story question anrwer



 প্রথম পাঠ

তৃতীয় শ্রেণি

বিষয় ঃ সাহিত্য

প্রচলিত গল্প : সত্যি সোনা

লেখক : অজ্ঞাত (অজানা)


সারাংশ : এক বৃদ্ধ চাষি মৃত্যুশয্যায়। তার ছেলে ভারী অলস। মারা যাবার সময় চাষি তার ছেলেকে কাছে ডেকে।বলে যে, সে তার জমানো সোনা তাদের চাষের জমিতে পুঁতে রেখেছে। ছেলেটি অলস হলেও তার টাকা-পয়সার অত্যন্ত লোভ ছিল। ছেলের বউটি ছিল খুব বুদ্ধিমতী। সে বলল গোটা জমিটা খুঁড়ে দেখতে হবে। চাষির ছেলে তার বউয়ের কথায়, সোনা পাবার আশায়

নিজে এবং সঙ্গে দুইজন মজুর নিয়ে গোটা মাঠের মাটি খুঁড়ে ফেলে। কিন্তু সোনা পায় না। তখন বউয়ের কথায় বৃষ্টির সময় মাঠে সরষের চাষ করে। মাঠ ভরা সরষে ফুল দেখে মনে হয় কেউ যেন সত্যি মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। ফসল কাটার পর চাষির ছেলে তা হাটে বিক্রি করে এক

থলি (অনেক) টাকা পায়। সে তখন বুঝতে পারে যে, কঠোর পরিশ্রম আর বুদ্ধি দিয়ে কাজ করলে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।

শব্দার্থ : মৃত্যুশয্যা—মারা যাবার আগের শয্যা। দরকারি—প্রয়োজন। অলস – কুঁড়ে। ষোলো আনা—পুরোটাই, (এক টাকা)। চোখ বুজলে—মারা গেলে। ফুরিয়ে— শেষ হয়ে। পোঁতা—মাটির নীচে কোনো জিনিস শক্ত করে ঢুকিয়ে রাখা।

শ্রাদ্ধশান্তি—মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় আচার-অনুষ্ঠান। বুদ্ধিমতী— চালাক, চতুর মহিলা। আলসেমি—কুঁড়েমি। গড়িমসি—অনিচ্ছা দেখানো। গজগজ করা—বিরক্তি প্রকাশ করা। শুয়ে বসে কোনো কাজ না করে। মজুর — যারা পয়সা নিয়ে কাজ করে। কপাল – ভাগ্য। সোনার তাল-সোনা গলিয়ে বানানো গোলাকার বল। বৃথা - বিফল। মরিয়া—খেপে ওঠা। বিঘে জমির মাপ, পরিমাণ। মিছিমিছি—মিথ্যে মিথ্যে, শুধু শুধু। গর্ব-অহংকার। খেত—চাষের জমি। হাট—জিনিসপত্র বেচাকেনার জায়গা। ধারণা—বোধ, জ্ঞান। রোজগার—আয়। পরিশ্রম—খাটুনি। পুরস্কার—উপহার, পারিতোষিক।



হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :


১.১ বুড়ো চাষির সংসারে কে কে ছিল? 

উঃ। বুড়ো চাষির সংসারে তার ছেলে আর ছেলের বউ ছিল।

১.২ চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল।

 উঃ। চাষির ছেলেটি ছিল কাজকর্মে অলস ছিল।কিন্তু টাকার প্রতি ভীষণ। লোভ ছিল।

১.৩ বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো ?

উঃ। বাপের কথা শুনে ছেলের ননে লোভে বেড়ে গিয়েছিল।লোভে চোখ দুটো চকচক করে উঠল।


১.৪ বুড়ো চাষি কোন কথাটা তাঁর ছেলেকে বলে যাননি ?

উঃ। জমির ঠিক কোন জায়গায় সোনা  পোঁতা আছে তা বুড়ো চাষি তাঁর ছেলেকে বলে যাননি।



২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :

২.১ চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল ?

উঃ। চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়েছিল।


২.২ চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল?

 উঃ। চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ  খুশি হয়েছিল।



২.৩ গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা আছে, আর কী কী জিনিস দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে?

উঃ। কোদাল ছাড়াও টাকনা,গাঁইতি, লাঙ্গল, শাবল প্রভৃতি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায়।


২.৪ 'সত্যি সোনা' গল্পটির মতো আর কোন্ গল্প তোমার জানা আছে? জানা গল্পটি বন্ধুদের শোনাও।

উঃ। হ্যাঁ, 'একতাই বল' গল্পটি জানা আছে।

এক চাষির ছিল তিন ছেলে। তারা তিনজন খুব ঝগড়া করেত।  একদিন চাষি তাদের তিনজনকে ডেকে একগোছা লাঠি দিয়ে ভাঙতে বলল। তারা কেউ পারল না। তখন চাষি তাদের একটি করে লাঠি দিয়ে ভাঙতে বলল। তারা সহজেই ভেঙে ফেলল। তখন চাষি তাদের বোঝালো যে, লাঠিগুলি একসাথে ছিল বলে তারা ভাঙতে পারেনি। ঠিক তেমনই তোমরা যদি একত্রে থাকো তাহলে অন্য কেউ তোমাদের কিছু করতে পারবে না। ছেলেরা বাবার কথা বুঝল এবং তারপর থেকে নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে থাকতে লাগল।

সেইভাবে তারা তিনভাই যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে লাগল।



৩. বন্ধনীর মধ্যে থেকে ঠিক উত্তরটা বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নিজে লেখো :

৩.১ ছেলের চোখ দুটো লোভে (ঝকঝক/চকচক/ঝমমক/ঝিকমিকি) করে ওঠে।

উঃ। ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে ওঠে।


৩.২ চাষির ছেলের বউ ছিল খুব (চালাক/সরল/বোকা/বুদ্ধিমতী)। 

উঃ। চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী।


৩.৩ বউ বলেছিল, ‘সোনা যদি পাও তবে (আমাদের/তোমার /মজুরদের/আমার) কপালে ফিরে যাবে।

উঃ। বউ বলেছিল ‘সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ঘিরে যাবে।”


৩.৪ চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা (কম পয়সায়/দোকানে/হাটে/বাজরে) বিক্রি করে।

উঃ। চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা হাটে বিক্রি করে।


৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো :

৪.১ চাষির ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন ?

উঃ। চাষির ছেলে ছিল খুব অলস স্বভাবে। সে কোনো কাজ কর্ম করত না। চিরকাল সে  শুয়ে বসে কাটিয়েছে। সে কোনদিন চাষাবাদ করেনি। তাই সে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।


৪.২ শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারণ কী ছিল ?

উঃ। চাষি তার ছেলেকে বলেছিল জমিতে সোনা পোঁতা আছে। সেই সোনার লোভে এবং তার বুদ্ধিমতী বউয়ের কথায় চাষির ছেলে মজুর দিয়ে পাঁচ বিঘা জমি খোঁড়ার ব্যবস্থা করলো। তার বুদ্ধিমতী বউ তাকে বোঝালো জমি খুঁড়তে খুঁড়তে  যদি  সত্যি সোনা পাওয়া যায় তাহলে মজুর লোকেরাই নিয়ে নেবে। তুমিও ওদের সঙ্গে কাজে লেগে যাও। তাহলে সোনা পাওয়া গেলে নিতে ওরা পারবে না ।বুদ্ধিমতী বউয়ের কথা মতো চাষীর ছেলে জমিতে কাজ করতে গেল ।


৪.৩ চাষির ছেলের বউ কোন্ সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?

উঃ। চাষির ছেলের বউ বর্ষা আসার আগের সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।



৪.৪ সে কোথা থেকে বীজ কিনে এসেছিল ? 

উঃ। সে  হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল।


৪.৫ সে কীসের বীজ কিনেছিল?

 উঃ। সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।



৪.৬ গল্পের কোন্ মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো?

উঃ। গল্পের চাষির ছেলের বউ কে  আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো। কারণ, সে খুব বুদ্ধিমতী ছিল।



৫. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :

৫.১ ‘সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়'-কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কী বলার জন্য ডেকেছিল ?

উঃ। গল্পে, বুড়ো,চাষি এই কথা বলেছে। সে তার ছেলেকে এই কথা বলেছে। সে তাকে তার লুকোনো সন্ধান দেওয়ার জন্য ডেকেছিল।


৫.২ গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কীভাবে সাহায্য করেছে তা লেখো।

উঃ। চাষির ছেলের বউ ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। সে চাষির কথার সঠিক অর্থ বুঝতে পেরেছিল এবং তার সোজাসুজি কিছু না বলে সে সোনার লোভ দেখিয়ে তাকে বুদ্ধি দিয়ে, তার পাশে থেকে তাকে সাহায্য করত। চাষির ছেলে যখন কাজ করতো তখন মাঠে খাবার নিজে তো এবং তামাক সেজে নিয়ে যেত।



৫.৩ ‘সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে'- কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন্ জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কী কী মিল আছে?

উঃ। সোনা বলতে আসলে পাকা ধানের সোনালী রঙের শিস কে বোঝানো হয়েছে । ওই  ধানের শিষটার সাথে সোনার রং-এর মিল আছে। ধান বিক্রি করেও অর্থ রোজগার করে  সেই অর্থ দিয়ে সোনাও কেনা যায়।



৫.৪ চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কী কারণে খুব খুশি হলো ?

উঃ। ফসল বিক্রির টাকাটাই ছিল চাষির ছেলের জীবনের প্রথম রোজগার। বউটি তার স্বামীকে জীবনে প্রথমবার পরিশ্রম করে জমিতে চাষ করে, ফসল ফলিয়ে সেই ফসল বিক্রি করে রোজগার করতে দেখে খুব খুশি হল।








৫.৫ চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কী পুরস্কার পেয়েছে?

উঃ। চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে তা থেকে পয়সা রোজগার করে। তার।সাথে সাথে চাষির অলস ছেলে এও বুঝতে পারে যে, বুদ্ধি খাটালে ও পরিশ্রম করলে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।


৫.৬ ‘ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী'- —তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা গেল?

উঃ। বৃদ্ধ চাষির কথার ভেতরকার অর্থ একমাত্র চাষির ছেলের বউ বুঝতে পেরেছিল। সে প্রথমে অসল স্বামীকে সোনার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বিঘা জমি খোঁড়ায় ।

তারপর ধীরে ধীরে, ভালো ভালো কথা বলে তার পাশে থেকে তাকে দিয়ে জমিতে চাষের কাজে লাগায়। ফসল পায় তাকে উৎসাহ দেয় ওইভাবে ধীরে ধীরে তার অলস স্বামী পরিশ্রমী হয়ে ওঠে। চাষির ছেলের বউয়ের এই ধরনের কাজের মধ্যে দিয়ে তার বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।



৬. সোনা সকলের কাছেই পছন্দের। কারণ তার কতগুলো গুণ আছে। সেইগুণগুলো পাশের বাক্স থেকে নিয়ে তুমি নীচের ফাঁকা জায়গাগুলোয় বসাও ঃ

চকচকে, আসল, দামি, ঝলমলে

উঃ। ৬.১ পিতলের থালাটা সোনার মতোই চকচকে। 

৬.২ পাকা ধান সোনার মতোই ঝলমলে।

 ৬.৩ আসল সোনা।দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ৬.৪ রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম দামি।



৭. ‘সত্যি সোনা' গল্পটির সাহায্য নিয়ে ছবিগুলির নীচে উপযুক্ত বাক্য লিখে কাহিনিটি সম্পূর্ণ করো :

৭.১ মৃত্যুশয্যায় শায়িত চাষি তার ছেলেকে ডেকে সোনা কোথায় লুকানো আছে সেটা বলে যায় ।

৭.২ চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে অর্থাৎ স্বামীকে মাটি খোঁড়ার পরামর্শ দেয়।

৭.৩ চাষির ছেলে নিজে এবং দুজন মজুর দিয়ে মাঠে মাটি খোঁড়ায় কাজে লেগে যায়।

৭.৪ জমিতে সে বউয়ের কথামতো সরষের বীজ চাষ করে।

৭.৫ সে বছর খুব ভাল বৃষ্টি হয়।

৭.৬ ফসলে সারা মাঠ ভরে যায়।

সরষে গাছের হলুদ ফুল দেখে মনে

হয় মাঠে সোনা ঢালা হয়েছে।

৭.৭ তারা হাটে ধান বিক্রি করে অনেক (এক থলে) টাকা পায়।




অনুশীলনের বাইরে কিছু প্রশ্ন

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ঃ


প্রশ্ন- চাষির ছেলের কীসের লোভ ছিল?

 উঃ। চাষির ছেলের টাকা-পয়সার লোভ ছিল।

উঃ। চাষির ছেলে জমি চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারে না।


প্রশ্ন-মৃত্যুকালে চাষির কাছে তার ছেলে কী জানতে চেয়েছিল?

উঃ। চাষির ছেলে চাষির লুকিয়ে রাখা সোনার সন্ধান জানতে চেয়েছিল।


প্রশ্ন- চাষির ছেলের বউ কেমন ছিল? 

উঃ। চাষির ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী ছিল।


প্রশ্ন- সোনা পেলে কাদের কপাল ফিরেবে?

 উঃ। সোনা পেলে চাষির ছেলে ও তার বউয়ের কপাল ফিরে যেত।


প্রশ্ন-চাষির ছেলে কাদের দিয়ে জমি খোঁড়ায়? 

উঃ। চাষির ছেলে দুজন মজুর দিয়ে জমি খোঁড়ায়।

 প্রশ্ন- সোনার তাল পেলে কারা সরিয়ে ফেলতে পারে ?

 উঃ । সোনার তাল পেলে মজুররা সরিয়ে ফেলতে পাে

 প্রশ্ন- মজুরদের উপর নজর রাখার জন্য চাষির ছেলে কী করল ?

উঃ। নজর রাখার জন্য চাষির ছেলে নিজে কোদাল নিয়ে মাঠে কাজে লেগে গেল।


প্রশ্ন- সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত চাষির ছেলে কতটা জমি খুঁড়ল?

উঃ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি চাষির ছেলে খুঁড়েছিল।


প্রশ্ন- চাষির ছেলে জমিতে কীসের চাষ করেছিল? 

উঃ। চাষির ছেলে জমিতে সরষের চাষ করেছিল।

প্রশ্ন- “সত্যি সোনা' গল্পটি পড়ে তুমি কী উপদেশ পেলে?

উঃ গল্পটিতে কুঁড়েমির বদলে কাজ করার কথা বলা হয়েছে, আর কাজেও আনন্দ আছে।


 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :




প্রশ্ন-ছেলেটির বউ তাকে কীভাবে জমি খোঁড়ার পরামর্শ দেয়?

উঃ। ছেলেটি কুঁড়েমি করে জমি খুঁড়তে চাইত না। তখন তার বউ তাকে মজুর দিয়ে জমি খোঁড়ার পরামর্শ দেয় তার সাথে এও বলে সে নিজেও যেন মাঠে উপস্থিত থেকে মজুরদের দিকে নজর রাখে, যাতে মজুররা সোনা পেয়ে সরিয়ে ফেলতে না পারে।


প্রশ্ন- “আর ক-দিন পরেই বর্ষা নামবে। এই তো বীজ বোনার সময়”—কথাটি কার? সে কাকে কথাটি বলেছে।সে কা বীজ বুনতে বলেছে?

উঃ। কথাটি চাষির ছেলের বউয়ের। সে চাষির ছেলেকে কথাটি বলেছে। সে সরষে বীজ বোনার কথা বলেছে।


প্রশ্ন-'বাবা নিশ্চয় আমায় বোকা বানিয়েছে'—কথাটি কে বলেছে? সে কাকে কথাটি বলেছে? তার এই কথাটি।কেন মনে হয়েছে?

উঃ। কথাটি চাষির ছেলে বলেছে। সে কথাটি তার বউকে বলেছে। সে তাদের পুরো জমিটা খোঁড়ার পরেও যখন এক কণা সোনাও পেল না তখন, তার মনে হয়েছিল যে তার বাবা তাকে বোকা বানিয়েছে।


প্রশ্ন-গর্বে বুক ভরে যায় তার।'—কার কী কারণে গর্বে বুক ভরে যায় ?

উঃ। চাষির ছেলের বউয়ের বুক গর্বে ভরে যায়।

বীজ বোনার সময়। এই কথা শুনে ছেলেটি ভেবেছিল জমিটা যখন খুঁড়েই ফেলা হয়েছে তখন তা ফেলে না রেখে চাষ বউটি চাষির ছেলেকে বলেছিল জমিটা এখন ঠিক চাষ করার মতো হয়েছে। আর কদিন পরেই বর্ষা নামবে তখনই তো

করে ফেলাই ভালো। এই ভেবে সে জমিতে সরষে চাষ করলো। ছেলেটি সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ক্ষেতে কাজ করে।উটি তার খাবার ও তামাক সেজে নিয়ে যায়। অসল স্বামীকে এইভাবে পরিশ্রম করতে দেখে গর্বে বউটির বুক ভরে যায়।


প্রশ্ন- সত্যি সোনা গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার কর

গল্পে: এক বুড়ো চাষি মারা যাবার আগে তার অলস ছেলেকে ঘরের চাষের জমিতে পুঁতে রাখা সোনার লোভ দেখায়। সোনার লোভে তার লোভী ছেলে পুরো জমিটাই খুঁড়ে ফেলে। কিন্তু সোনা পায় না। তার বুদ্ধিমতী বউয়ের কথায়

সে সেই জমিতে সরষে চাষ করে। সরষে বেচে অনেক সে টাকা পায়। জমিতে সোনা থাকার অর্থ সে তখন বুঝতে পারে।

গল্পটিতে পরিশ্রম এবং উর্বর জমির মধ্যে লুকোনো সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তাই গল্পটির 'সত্যি সোনা' নামকরণ সার্থক।