পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ প্রথম পর্ব / class 5 poribesh question - school book solver

Pages

Monday, 6 January 2025

পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ প্রথম পর্ব / class 5 poribesh question

 


Wbbse ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড

পঞ্চম শ্রেণী আমাদের পরিবেশ

প্রথম পর্ব


মানবদেহ অধ‍্যয়

শরীরের বর্ম


প্রশ্ন- চামড়ার ব্যবহার কমাতে হয়েছে কেন?

 উত্তর- চামড়ার কারখানা নোংরা জল পরিবেশকে দূষিত করে। দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই চামড়ার ব্যবহার কমাতে হয়েছে।


 প্রশ্ন -কোন প্রাণীর চামড়া পুরু?

 উত্তর- গন্ডারের চামড়া ।

প্রশ্ন- চামড়া কে বর্ম বলে কেন ?

উত্তর-অনেক দিন আগে যুদ্ধে ও চামড়ার ব্যবহার করা হতো। গন্ডারের চামড়া দিয়ে পোশাক এবং ঢাল বানানো হতো। সেই পোশাক পড়ে যুদ্ধ করলে গায়ে সহজে আঘাত লাগতো না ।তাই চামড়া কে বর্ম বলা হয়।

প্রশ্ন - আমাদের শরীরে বর্ম কোন্‌টা?

উত্তর : আমাদের শরীরে বর্ম হল চামড়া বা ত্বক।


প্রশ্ন - চামড়া বা ত্বকের কাজ কী ?

উত্তর ঃ চামড়া বা ত্বকের কাজ হল, আমাদের শরীরকে বাইরের আঘাত ও সূর্যের আলোর অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চামড়া বা ত্বককে বাঁচানো।


প্রশ্ন -হাতের চেটোর দিকে শিরা দেখা যায় ?

উত্তর-- না

.

প্রশ্ন - চামড়া বা ত্বকের নীচে কী কী আছে?

উত্তর : চামড়া বা ত্বকের নীচে মাংসপেশি, নার্ভ, শিরা, ধমনি রয়েছে।


প্রশ্ন -আমাদের শরীরের সব জায়গার চামড়া বা ত্বক কি একরকম? 

উত্তর : না, আমাদের শরীরের সব জায়গার চামড়া একরকম নয়। কোথাও পাতলা, কোথাও পুরু, আবার কোথাও কোঁচকানো, আবার কোথাও টান টান।


প্রশ্ন- কোন জায়গা পুড়ে গেলে জল দিতে হয় কেন? উত্তর -চামড়ার ভেতরে অংশ যাতে ক্ষতি না হয়।

প্রশ্ন - চামড়া আর কোন্ কোন্ কাজে লাগে?

উত্তর ঃ চামড়া দিয়ে ব্যাগ, বেল্ট, জুতো সহ আরও অনেক কিছু তৈরি হয়।


প্রশ্ন - গন্ডারের চামড়া পুরু না পাতলা?

উত্তর : গন্ডারের চামড়া পুরু অর্থাৎ খুব মোটা।


প্রশ্ন - চামড়া কাদের বাঁচায়?

উত্তর : চামড়ার নীচে থাকে মাংসপেশি, শিরা-ধমনি এদের বাঁচায় চামড়া।


প্রশ্ন - শিরা-ধমনি দেখতে কেমন?

উত্তর ঃ শিরা-ধমনি দেখতে সব নলের মতো। 


প্রশ্ন- খুব ঘাম হলে কি খেতে হয় ?

উত্তর -নুন জল প্রশ্ন সাপের খোলস আসলে কি? উত্তর -আঁশ


প্রশ্ন -শিরা-ধমনি কোথায় থাকে?

উত্তর : শিরা থাকে চামড়ার ঠিক নীচে। আর ধমনি থাকে শরীরের ভিতর দিকে।


প্রশ্ন - তোমার বিচারে চামড়া কি সত্যিই শরীরের বর্ম?

উত্তর ঃ হ্যাঁ। চামড়া শরীরকে বাইরের আঘাত বা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়। শিরা- ধমনিও চামড়া বা বম থাকার ফলে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পায়।



 প্রশ্ন - আমাদের শরীরের সব জায়গার ত্বক কি একইরকম ?

উত্তর : না, আমাদের শরীরের ত্বক বা চামড়া কোথাও পাতলা আবার কোথাও পুরু।

 

প্রশ্ন - শরীরের সব জায়গায় শিরা দেখা যায় না কেন?

উত্তর : শরীরের যেখানে ত্বক পাতলা সেখানে শিরা দেখা যায়। আর যেখানে ত্বক মোটা সেখানে দেখা যায় না।

 

প্রশ্ন -আমাদের শরীরে ত্বক কোনো কোনো জায়গায় বেশি মোটা হয় কেন?

উত্তর : আমাদের শরীরে যেখানে সবচেয়ে বেশি ঘষাঘষি হয় ও চাপ পড়ে সেখানের ত্বক মোটা হয়।


প্রশ্ন - হাতের চেটোর দিকে শিরা দেখা যায়?

উত্তর ঃ না। কারণ এই চামড়া বেশ পুরু বা মোটা।



প্রশ্ন - হাতের কোন দিকটায় বেশি ঘষাঘষি হয়?

উত্তর : চোটের দিকটায়।


প্রশ্ন - পায়ের তলার চামড়া কেমন ?

কী ?

উত্তর : পায়ের তলায় চামড়া অনেক পুরু। গোড়ালির কাছটা সবচেয়ে পুরু।


প্রশ্ন -গোড়ালির চামড়া পুরু কেন?

উত্তর ঃ গোড়ালির ওপর শরীরের সব ভার পড়ে। গোড়ালিতে বেশি ঘষাঘষি হয়। তাই গোড়ালির চামড়া পুর।


প্রশ্ন -চামড়া কতটা পুরু তা মাপবে কীভাবে?

উত্তর : হাতের চামড়াটা দু-আঙুল দিয়ে ধরে, তারপর ছোটো জেল দিয়ে মাপতে হবে।


প্রশ্ন - কাদের মুখের ও কপালের চামড়ায় টান ভাব নেই?

উত্তর : বুড়োদের। 



প্রশ্ন কোন প্রাণী মুখের বেশি খুব শক্তিশালী? উত্তর -বাঘ-সিংহের মুখের পেশি খুব শক্তিশালী। 



প্রশ্ন-কালো মানুষদের সম্মানের জন্য কারা লড়াই করেছিল?

 উত্তর -নেলসন ম্যান্ডেলা মহাত্মা গান্ধী মার্টিন লুথার কিং।। 

প্রশ্ন -ব্যাঙের গায়ে আঁশ থাকে না থাকে না?

 উত্তর -থাকে না।


প্রশ্ন - পেশি কী ?

উত্তর : হাড়ের এক জায়গায় শুরু হয়ে অন্য জায়গায় শেষ হয় পেশি। এমনিতে নরম হলেও টানটান করলেই শক্ত হয়ে যায়।


প্রশ্ন -পেশি আমাদের কী সাহায্য করে?

উত্তর : পেশি আমাদের যে-কোনো কাজ করতে সাহায্য করে।


প্রশ্ন -আমাদের শরীরের কোন অংশে শুধুই পেশি ? উত্তর : চোখ, জিভ এবং কানে শুধুই পেশি।


প্রশ্ন -  কী খেলে পেশি জোরালো হবে?

উত্তর : মাছ-মাংস, ডিম, মাশরুম, ডাল, সয়াবিন, লেবু ইত্যাদি খেলে পেশি জোরালো হবে।


 

প্রশ্ন -  চামড়া কুঁচকে যায় কেন ?

উত্তর ঃ মোটা থেকে রোগা হলে বা বৃদ্ধ হলে মানুষের শরীরটা ছোটো হয়ে যায়। কিন্তু চামড়া ছোটো হতে পারে না ।অল্প আয়তনের ফলে তাই চামড়া কুঁচকে যায়।


প্রশ্ন -  চামড়ার রং কালো হয় কেন ?

উত্তর : মেলানিন নামের একটা জিনিসের জন্য।


প্রশ্ন - শরীরে মেলানিন তৈরি করতে কী সাহায্য করে?

উত্তর : রোদ।


প্রশ্ন - কোন্ চামড়া রোগের বিরুদ্ধে বেশি লড়াই করতে পারে?

উত্তর : কালো চামড়া।


প্রশ্ন - মেলানিনের কাজ কী কী ?

উত্তর ঃ শরীরে মেলানিন বেশি থাকলে চামড়ার রং কালো হয়। আবার, কম থাকলে চামড়ার রং ফর্সা হয়। সাহেবদের রং ফর্সা, তাদের চামড়ায় মেলানিন কম থাকে। মেলানিন কম  থাকলে চুলও সাদা হয়ে যায়। এ ছাড়া মেলানিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ক্যানসার আটকায়।


প্রশ্ন - অনেকের চামড়ায় সাদা সাদা ছোপ পড়ে কেন?

উত্তর : অনেকের সাদা ছোপ পড়ে, সেখানে মেলানিন তৈরি হয় না। অপুষ্টি ও অসুখ থেকেই এমন হয়।


প্রশ্ন - ভিটামিন-ডি কীভাবে তৈরি হয়?

উত্তর : চামড়ায় রোদ লাগালে ভিটামিন-ডি তৈরি হয়।


প্রশ্ন -   ভিটামিন-ডি কী কাজ করে ?

উত্তর ঃ ভিটামিন-ডি শিশুদের রোগ হওয়া থেকে আটকায়।  ভিটামিন-ডি কম হলে শিশুদের হাত ও পা সরু হয়।



প্রশ্ন -  ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে কী বেরিয়ে যায়?

উত্তর ঃ ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য ও নুন বেরিয়ে যায়। নুন নয়, বর্জ্য বেরিয়ে যাওয়া ভালো।

 প্রশ্ন - বেশি ঘাম বের হলে কী খেতে হবে ও কেন?

উত্তর : নুন জল খেতে হবে। তা নয়তো মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।


প্রশ্ন -  আগে কালো চামড়ার মানুষদের কী বলা হত?

উত্তর : অসভ্য। কিন্তু তারা নিজেদের সম্মানের জন্য অনেক লড়াই করেন।


প্রশ্ন -  কালো চামড়ার মানুষেরা নিজেদের সম্মানের জন্য কী করে?

উত্তর ঃ তারা নিজেদের সম্মানের জন্য অনেক লড়াই করতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে এসব মানুষেরা লড়াই করে নিজেদের সম্মান বা স্বাধীনতা আদায় করেছেন।


প্রশ্ন - পৃথিবীর কয়েকজন কালো মানুষের নাম করো যাঁরা মানুষদের সম্মানের জন্য লড়েছেন?

উত্তর : নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, মহাত্মা গান্ধি ইত্যাদি।


 প্রশ্ন -  আজকের দিনে অপরাধের সামিল কোনটি ?

উত্তর : চামড়ার রং দেখে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ।


          চুলের সাতকাহন

 

 প্রশ্ন - চুলের গোড়া কোথায় আটকে থাকে?

উত্তর : চামড়ার খুব গভীরে।


প্রশ্ন - প্রাণীর গায়ে লোম বেশি থাকে কেন ?

উত্তর : প্রাণীর গায়ে লোম, চুল, পালক সব কিছুর গোড়া চামড়ার ভিতরের পর্দায় থাকে। এর ফলে প্রাণীর গায়ে লোম বেশি থাকে।


 প্রশ্ন - চামড়া ছাড়া প্রাণীর দেহে লোম, চুল, পালক থাকে কেন?

উত্তর ঃ চামড়া শরীরকে রক্ষা করে। আবার নিজেকেও প্রথম ধাক্কা থেকে বাঁচাতে চায়। তাই প্রাণী নিজে থেকেই দেহের ওপরে লোম, চুল, পালক, আঁশ তৈরি করে নেয়।


প্রশ্ন - কোন্ কোন্ প্রাণীর দেহের ওপরের স্তরের নাম কী কী?

উত্তর : মানুষের মাথায় থাকে চুল, গায়ে থাকে লোম। পাখির গায়ে থাকে পালক, মাছের ও সাপের গায়ে আছে আঁশ, কিন্তু ব্যাঙের গায়ে আঁশ, পালক বা লোম কিছুই নেই।


প্রশ্ন - বয়স বাড়লে চুল সাদা হয়ে যায় কেন ?

উত্তর : বয়স বাড়লে মেলানিন কমে যায়, তাই চুল সাদা হয়ে যায়।



            শজারুর কাঁটা

প্রশ্ন - কাকাতুয়া ঝুটি আসলে কি? 

 উত্তর- জমাট বান্দা পালক।


প্রশ্ন - গন্ডারের  আসলে কি?

 উত্তর- জমাট বাধা চুল।


প্রশ্ন - কোন প্রাণী গা কাঁটায় ভর্তি?

উত্তর- সজারু


প্রশ্ন - কোন প্রাণী গায়ের লোম খুব শক্ত এবং সুচালো?

 উত্তর -সজারু।


প্রশ্ন - কোন প্রাণী গন্ধ সুখে খায় ?

উত্তর- বিড়াল


প্রশ্ন -  কোন প্রাণী গোঁফ থাকে?

 উত্তর- বাঘ এবং বিড়াল ।


প্রশ্ন - নখের কাজ কি?

 উত্তর- নখ আঙুলে ডগা গুলো রক্ষা করে । মাটি মাটি থেকে কোন জিনিস তুলতে সাহায্য করে।


প্রশ্ন -  নখ কাটলে রক্ত বের না কেন?

 উত্তর -ষখের মধ্যে রক্ত থাকে না ?


প্রশ্ন - নখ না কাটলে কি ক্ষতি হবে?

উত্তর- নখ না কাটলে ময়লা জমবে এবং জীবাণু তার ভিতরে বাসা বাঁধবে। সেগুলি খাবারের মাধ্যমে পেটের মধ্যে যাবে।তখন পেটের মধ্যে রোগ সৃষ্টি হবে। 


প্রশ্ন - আঙুল কে বাঁচায় কে?

 উত্তর- নখ।


প্রশ্ন - নখের গোড়ায় নোংরা জমলে কি হয়?

 উত্তর- নখ পেকে যায় এবং পুংঁজ হয়।


°প্রশ্ন -  নখের রং কি রকম"?

 উত্তর -গোলাপি 


প্রশ্ন - নখ ফেটে যাওয়ার কারণ কি?

উত্তর- এর কারণ রক্ত অল্পতা রোগ।


প্রশ্ন - কীভাবে নখের যত্ন করা দরকার?

উত্তর-নিয়মিত সাবধানে নখ কাটতে হবে।

নখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।


প্রশ্ন - নখের কাজ কী?

উত্তর : নখ আঙুলের ডগাগুলোকে রক্ষা করে। নখের সাহায্যে আমরা ছোটো ছোটো জিনিস ধরতে পারি। যেমন পায়ের কাঁটা তোলা, মাটিতে পড়ে থাকা পিন তোলা ইত্যাদি।


প্রশ্ন - আমাদের নখ কাটা এবং নখের গোড়া পরিষ্কার রাখা উচিত কেন?

উত্তর : নখ না কাটলে ময়লা জমে ও জীবাণু বাসা বাঁধে। নখের গোড়া পরিষ্কার না করলে পেকে যায় ও পুঁজ জমে।




প্রশ্ন - অনেকের নখ ফেটে যায়, এর কারণ কী?

না ?

উত্তর ঃ এর কারণ রক্তাল্পতা বা শরীরে কম বন্ধ থাকা।


 প্রশ্ন - কুকুরের নখ কেমন?

উত্তর : কুকুরের নাম ধারালো। বাইরে থেকে দেখা যায়। কিন্তু এই নখ বিড়ালের মতো থাবার লুলানো থাকে না


প্রশ্ন - শিকারি পারিদের নাম কেমন?

উত্তর : শিকারি পাখিদের নদ হকের মতো আর বাঁকানো ও সূঁচালো।



 প্রশ্ন - আমাদের শরীরে কয়টি হাড় আছে?

উত্তর-আমাদের শরীরে আছে ২০৬টি আছে।





প্রশ্ন - হাড় শরীরের কোথায় থাকে?

উত্তর ঃ শরীরের মাংসপেশির ভিতরে হাড় থাকে।


প্রশ্ন - মানুষের শরীরে সব হাড়ের আকার কী সমান? উত্তর : না, মানুষের শরীরে নানা আকারের ও মাপের হাড়আছে‌।


 প্রশ্ন - আমাদের শরীরের কাঠামো কী?

উত্তর ঃ হাড় হল আমাদের শরীরের কাঠামো।


প্রশ্ন - বুড়ো আঙুলে ও তর্জনীতে কটি ভাঁজ হয় ?

উত্তর ঃ বুড়ো আঙুলে দুটো ও তর্জনীতে তিনটে ভাঁজ হয়।


প্রশ্ন -  কবজি থেকে পাঁচটি আঙুলে মোট কটা হাড় আছে?

উত্তর : পাঁচটি।


প্রশ্ন - আমাদের শরীরে মোট কটি হাড় আছে তা কীভাবে জানা যাবে?

উত্তর ঃ যে-কোনো মানুষের কঙ্কাল দেখে জানা যাবে।


প্রশ্ন - কনুই থেকে কাঁধ পর্যন্ত হাড়টি কেমন?

উত্তর : নলের মতো।


প্রশ্ন -   কোমড় থেকে হাঁটু পর্যন্ত হাড়টি কেমন ?

উত্তর : নলের মতো।


প্রশ্ন -  আঙুলের ডগার হার কেমন?

উত্তর : ছোটো।



অস্থিসন্ধির হিসেবনিকেশ



প্রশ্ন - অস্থিসন্ধি কাকে বলে?

উত্তর : হাড়ের জোড়কে বলে অস্থিসন্ধি।


প্রশ্ন - লিগামেন্ট কাকে বলে?

উত্তর ঃ দড়ির মতো একরকম জিনিস যা অস্থিসন্ধিতে হাড়গুলির সঙ্গে লাগানো থাকে, তাকে লিগামেন্ট বলে।


 প্রশ্ন - হাড় অস্থিসন্ধিতে কী দিয়ে লাগানো থাকে?

উত্তর : লিগামেন্ট নামক দড়ির মতো জিনিসের সাহায্যে হাড় অস্থিসন্ধিতে লাগানো থাকে।



প্রশ্ন - কে হাড়কে সতেজ ও শক্ত রাখে?

উত্তর : ক্যালশিয়াম হাড়কে সতেজ ও শক্ত রাখে।


প্রশ্ন - কাঁধ, কোমড়, হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধির মাঝখানে কী থাকে?

উত্তর : কাঁধ, কোমড়, হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধির মাঝখানে একরকম হড়হড়ে তরল থাকে।


প্রশ্ন - অস্থিসন্ধি খুব নমনীয় থাকে কীভাবে?

উত্তর : জিমনাস্টিকস করলে।


প্রশ্ন -   কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?

উত্তর আলনা ও রেডিয়াস।


 প্রশ্ন -  কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত হাড়কে কী বলে ?

উত্তর : হিউমেরাস।


প্রশ্ন -  মেরুদন্ডের হাড়কে কী বলে ?

উত্তর : ভার্টিব্রা বা কশেরুকা।


  প্রশ্ন - কোমড় থেকে হাঁটু পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?

উত্তর : ফিমার।


 প্রশ্ন - হাঁটুর নীচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?

উত্তর : টিবিয়া ও ফিবুলা।


 প্রশ্ন - কী কমে গেলে হাড়ের নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়?



উত্তর : একরকম হড়হড়ে তরল পদার্থ।

পেশি নিয়ে কিছু কথা



প্রশ্ন -পেশি কী ?

উত্তর : হাড়ের এক জায়গায় শুরু হয়ে অন্য জায়গায় শেষ হয় পেশি। এমনিতে নরম হলেও টানটান করলেই শক্ত হয়ে যায়।


প্রশ্ন -পেশি আমাদের কী সাহায্য করে?

উত্তর : পেশি আমাদের যে-কোনো কাজ করতে সাহায্য করে।


প্রশ্ন -আমাদের শরীরের কোন অংশে শুধুই পেশি ? উত্তর : চোখ, জিভ এবং কানে শুধুই পেশি।


প্রশ্ন -কী খেলে পেশি জোরালো হবে?

উত্তর : মাছ-মাংস, ডিম, মাশরুম, ডাল, সয়াবিন, লেবু ইত্যাদি খেলে পেশি জোরালো হবে।



প্রশ্ন -কী করলে পেশি জোরালো হয়?

উত্তর : খেলাধুলা ও শরীরচর্চা (জিমনাস্টিক, যোগব্যায়াম করলে পেশি জোরালো হয়।


 প্রশ্ন - আমাদের হাড় না থাকলে কী হত?


প্রশ্ন -কোন কোন প্রাণীর পেশির জোর কীরকম?

উত্তর : চলাফেরা কেঁচোর মতো হয়ে যেত।

উত্তর : বাঘের মুখের পেশির জোর বেশি, পাখির ডানার পেশি শক্তপোক্ত, আর কেঁচোর তো শুধুই পেশি।

            স্টেথোস্কোপে শোনা

প্রশ্ন - ছোটাছুটি বা খেলাধুলা করলে বুকের বাঁদিকে ধুকপুক করে। ওই জায়গাটার নাম কি? উত্তর-হৃদপিণ্ড



 প্রশ্ন -স্টেথোস্কোপের যে দিকটা বুকে ঠেকায় সেটা দেখতে কীরকম?

উত্তর : ছোটো ফানেলের মতো।

প্রশ্ন - স্টেথোস্কোপটা বুকে ঠেকালে কী শোনা যায় ?

উত্তর ঃ বুকের ভিতর ধুপুক বা ধপ্ শব্দ।


প্রশ্ন - ধুকপুক শব্দটা কখন বেড়ে যায়?

উত্তর : দৌড়ে গেলে আর দৌড়ে ফিরলে।



প্রশ্ন -আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ড কোথায় থাকে?

উত্তর ঃ বুকের বাঁদিকে আমাদের হৃদপিণ্ড থাকে।


 প্রশ্ন --হৃদপিণ্ডের কাজ কী?

উত্তর ঃ হৃদপিণ্ডের কাজ হল আমাদের শরীরের রক্তকে পাম্প করে সমস্ত শরীরে পৌঁছে দেওয়া।

 

প্রশ্ন -শরীরে পাম যন্ত্রটির নাম কি ?

উত্তর - হৃৎপিণ্ড


প্রশ্ন -রক্তের কাজ কী ?

উত্তর : রক্তের কাজ হল সমস্ত শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দেওয়া এবং রেচন পদার্থ বয়ে নিয়ে আসা।


প্রশ্ন -হৃদপিণ্ড কি সব সময় সচল থাকে?

উত্তর : হ্যাঁ, হৃদপিণ্ড সব সময় সচল থাকে।


প্রশ্ন -ফোঁড়ার কাছে ওষুধটা যাবে কীভাবে?

উত্তর ঃ ওষুধ রক্তের সঙ্গে গুলে যাবে ও সেই রক্ত হৃপিণ্ড পাম্প করে ফোঁড়ায় পাঠাবে।




বাতাসে ওড়ে জীবাণু


প্রশ্ন - বাতাসের সাহায্যে শরীরে প্রবেশ করে কোন্ কোন্ রোগের জীবাণু? (দু-একটির নাম লেখো)

উত্তর : যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েখা, ফ্লু ইত্যাদি।


প্রশ্ন - যক্ষ্মা রোগের জীবাণু কার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করেছিল?

উত্তর : গোরুর মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করেছিল।


প্রশ্ন - যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কার হয় কবে?

 উত্তর ঃ প্রায় ১৩০ বছর আগে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কার হয়।


প্রশ্ন - যক্ষ্মা রোগের লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর : প্রথম প্রথম বিকেলের দিকে জ্বর, রাতে শ্বাসকষ্ট, অরুচি, বুকে ব্যথা, প্রচুর কফ ওঠা এবং রোগ বাড়লে কাশির সঙ্গে তাজা রক্ত ওঠা। ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।


প্রশ্ন - যক্ষ্মা কি বংশগত রোগ?

উত্তর : না


প্রশ্ন - শুধু কি কফ্, হাঁচিতে রোগ ছড়ায়?

উত্তর : না, থুথু থেকেও রোগ ছড়ায়।

 

প্রশ্ন - যক্ষ্মা রোগ কোথায় বেশি হয়?

উত্তর : ফুসফুসে।

 

প্রশ্ন - ফুসফুস দিয়ে আমরা কী করি?

উত্তর : ফুসফুস দিয়ে আমরা শ্বাস নিই আর ছাড়ি।

প্রশ্ন - যক্ষ্মা রোগ কতদিনে সারে?

উত্তর : যক্ষ্মা রোগ হলে বছরখানেক হাসপাতালে DOT চিকিৎসা করাতে হয়। ভালো খাবার খেতে হয়। দূষণমুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিতে হয়। তাহলেই পুরো সেরে যায়।


প্রশ্ন -কবে থেকে যক্ষ্মা রোগ মানুষের হচ্ছে?

উত্তর : সাত-আট হাজার বছর আগে মানুষের কঙ্কালে এই রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে।

জলের সঙ্গে জীবাণু

প্রশ্ন -যক্ষা রোগের প্রতিষেধকে নাম কি ?

উত্তর : বিসিজি টিকা।

প্রশ্ন -ঘোলা জলের মতো বনি ও পায়খানা করানো একান্ত দরকার ?

উত্তর : - চিনির জল বারবার খাওয়াতে হবে।

প্রশ্ন -নুন- চিনির জল বারবার খাওয়াতে হবে কেন?

উত্তর : বমি পায়খানা বারবার করলে শরীরে নুন আর জল কমে যায়। এটা খেলে তা পুরণ হবে।

প্রশ্ন -জল কীভাবে ফোটাতে হবে?

উত্তর : জল অন্তত কুড়ি মিনিট ফোটাতে হবে।

 প্রশ্ন -সাধারণত কলেরা হয় কেন? উত্তর ঃ প্রধানত দূষিত জল পান করা এবং আঢাকা খাবার বা পানীয় খেলেও কলেরা হয়।

প্রশ্ন -কলেরার পায়খানা কী হয়? উত্তর : কলেরার পায়খানা চাল ধোয়া জালের মতো হয়। এতে আঁশটে গন্ধ থাকে।



১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :


(ক) আমাদের শরীরের কর্ম হল- (i) চামড়া (ii) ধমনি (iii) শিরা (iv) মাংসপেশি।

উত্তর : চামড়া

(খ) আমাদের শরীরকে বাইরের আঘাত থেকে বাঁচায় - (i) অস্থি (ii) শিরা (iii) চামড়া (iv) খাদ্য

উত্তর : চামড়া

(গ) চামড়া বা ত্বকের নীচেই আছে- (i) খাদ্য নালী (ii) গলা (iii) হাড় (iv) মাংসপেশি।

উত্তর : মাংসপেশি

(ঘ) শরীরের ভিতরে থাকে- (i) চোখ (ii) চর্ম (iii) ধমনি (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : ধমনি

(ড) আমাদের শরীরের চামড়া পুরু হয় - (i) গোড়ালিতে (ii) চোখে (iii) পেটের (iv) বুকের।

উত্তর : গোড়ালিতে

(চ) চামড়ার ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় - (i) কম (ii) বেশি (iii) সবকটি (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : বেশি

উত্তর : 

(ছ) আমাদের শরীরে ফোস্কা পড়লে কী করা হয়—

(i) ত্বকে গরম জল দিতে হয় (ii) ত্বকে বরফ লাগাতে হয় (iii) দুটোই করতে হয় (iv) কিছুই করতে হয় না।

উত্তর : ত্বকে বরফ লাগাতে হয়

(জ) ত্বকের স্তর সংখ্যা – (i) ১টি (ii) ২টি (iii) ৩টি (iv) ৪টি।

উত্তর : ২টি

(ঝ) রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে- (i) সাদা চামড়া (ii) কালো চামড়া (iii) কোনোটিই নয় (iv) সবকটি।

উত্তর : কালো চামড়া

(ঞ) চামড়ায় সাদা সাদা ছোপ পড়ার কারণ—

(i) চামড়ায় মেলানিন বেশি তৈরি হলে (ii) চামড়ায় মেলানিন তৈরি না হলে (iii) সবকটির জন্য (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : চামড়ায় মেলানিন তৈরি না হলে 

(ট) ভিটামিন ডি-এর অভাবে-

(i) শিশুদের হাত ও পা সরু হয়ে যায় (ii) শিশুদের মাথা ছোটো হয়ে যায় (iii) শিশুদের হাত ও পা মোটা হয়ে যায় (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর-শিশুদের হাত ও পা সরু হয়ে যায় 

(ঠ) মানুষের গায়ে থাকে – (i) চুল (ii) পালক (iii) লোম (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : লোম

(ড) বয়স বাড়লে চুল সাদা হওয়ার কারণ—

(i) মেলানিন বেড়ে যায় (ii) মেলানিন কমে যায় (iii) লিপিড বেড়ে যায় (iv) লিপিড কমে যায়।

উত্তর : মেলানিন কমে যায়

(ঢ) লোম / চুল-এর কাজ হল-

(i) সৌন্দর্য রক্ষা করা (ii) আঘাত থেকে রক্ষা করা (iii) কাউকে আঘাত করা (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : আঘাত থেকে রক্ষা করা

(ণ) নখের রং হল- (i) সাদা (ii) লাল (iii) নীল (iv) গোলাপি।

উত্তর : গোলাপি

(ত) নখের কাজ হল-

(i) আঙুলের ডগাকে রক্ষা করা (ii) কাউকে আঘাত করা (iii) খাওয়া সুবিধা করা (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : আঙুলের ডগাকে রক্ষা করা

(থ) শিকারী পাখির নখ - (i) লম্বা (ii) গোলাকার (iii) হুকের মতো (iv) থাবার মতো।

উত্তর : হুকের মতো

(দ) আমাদের শরীরে হাড়ের সংখ্যা – (i) ১০০টি (ii) ২০০ টি (ii) ২০৫ টি (iv) ২০৬টি।

উত্তর : ২০৬টি

(ধ) আমাদের শরীরের কাঠামো হল - (i) হাড় (ii) রক্ত (iii) চর্ম (iv) মাংস দিয়ে।

উত্তর : হাড়

(ন) অস্থি বা হাড়কে সতেজ ও শক্ত রাখে— (i) পটাশিয়াম (ii) ক্যালশিয়াম (iii) অক্সিজেন (iv) নাইট্রোজেন।

উত্তর : ক্যালশিয়াম

(প) মেরুদণ্ডের হাড়কে বলে - (i) কশেরুকা (ii) ক্যালশিয়াম (iii) পটাশিয়াম (iv) লিগামেন্ট।

উত্তর : কশেরুকা

(ক) নীচের কোনটি খেলে পেশি শক্ত হয় ?(i) চাউমিন (ii) মুড়ি (iii) হলুদ (iv) মাছ।

উত্তর : মাছ

(র) যাদের হাড় থাকে না তাদের বলে - (i) মেরুদণ্ডী প্রাণী (ii) অমেরুদণ্ডী প্রাণী (iii) দুটোই (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : অমেরুদণ্ডী প্রাণী 

(ভ) রক্তের কাজ হল- (i) রেচন পদার্থ বয়ে নিয়ে যাওয়া (ii) খাদ্য পরিমাপ করা (iii) হাঁটা-চলা করা (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : কোনোটিই নয়।


(ব) কলেরা রোগ হয়-

(i) দুষিত জল পান করালে (ii) ফুটানো জল পান করলে (iii) ঢাকা দেওয়া খাবার খেলে (iv) কোনোটিই নয়।

উত্তর : দুষিত জল পান করালে